Freelancer Kayu Ching

Freelancer Kayu Ching I am a professional Digital Marketer expert. I have been working successfully for 2 years.

ফ্রিল্যান্সিং একটি মুক্ত পেশা।এটি একটি আন্তর্জাতিক পেশা।ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স করার মধ্য দিয়ে নিজেকে একজন দক্ষ্য ফ্রিল্...
29/07/2023

ফ্রিল্যান্সিং একটি মুক্ত পেশা।
এটি একটি আন্তর্জাতিক পেশা।
ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স করার মধ্য দিয়ে নিজেকে একজন দক্ষ্য ফ্রিল্যান্সার হিসেবে গড়ে তুলার লক্ষ্যে আগামী ৩০.০৭.২০২৩ ইং, রবিবার, রাত ০৮.০০ টায় Harbour IT & Training Institute এর পক্ষ থেকে Digital Marketing বিষয়ক Special Mega Seminar আয়োজন করা হয়েছে।
উক্ত সেশনে অংশ গ্রহণ করে আপনার অনলাইন ক্যারিয়ার বিষয়ক তথ্য নেওয়ার মাধ্যমে নিজেকে একজন দক্ষ ফ্রিল্যান্সার হিসেবে গড়ে তুলুন।

Tech Info পর্ব ০৮আজকের বিষয়ঃ গুগলের ১০ টি জনপ্রিয় সেবা ও ব্যবহার বর্তমান বিশ্বে তথ্য প্রযুক্তি খাতে আলোড়ন সৃষ্টিকারী কোম...
25/06/2023

Tech Info
পর্ব ০৮

আজকের বিষয়ঃ গুগলের ১০ টি জনপ্রিয় সেবা ও ব্যবহার

বর্তমান বিশ্বে তথ্য প্রযুক্তি খাতে আলোড়ন সৃষ্টিকারী কোম্পানীর মধ্যে গুগলের অবস্থান সর্ব প্রথমে। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও এর ব্যবহার কারীর সংখ্যা অনেক। গুগলের অনেকগুলো পরিসেবার মধ্যে বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় সেবা গুলো নিয়ে আলোচনা করা হলো।

১. গুগল সার্চ ইঞ্জিন
কোনো তথ্য খুঁজে পেতে আমরা সব চেয়ে বেশি ব্যবহার করি গুগল সার্চ ইঞ্জিন । কেননা এটি খুব সহজেই আমাদেরকে প্রয়োজনীয় তথ্যটি খুঁজে পেতে সাহায্য করে। তাই গুগল সার্চ ইঞ্জিন খুবই জনপ্রিয় আমাদের কাছে। Google Search Engine

২. জিমেইল
ই-মেইল ব্যবহারের অন্যতম মাধ্যম হিসাবে মানুষ গুগলের পরিসেবা জিমেইল সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করে। সব চেয়ে মজার ব্যপার হচ্ছে এই একটি জিমেইলের মাধ্যমে সহজেই অন্যান্য সেবাগুলো ব্যবহার করা যায়। Gmail

৩. ইউটিউব
প্রতিদিন নতুন নতুন ভিডিও দেখার অন্যতম মাধ্যম হিসাবে মানুষ ইউটিউব ব্যবহার করে। শুধু দেখে যে তা না মানুষ এখন ইউটিউবে চ্যানাল তৈরি করে সেখানে ভিডিও আপলোড করে থাকে। এছাড়াও ইউটিউবের মাধ্যমে আয় করা যায় বলে বর্তমানে ছেলে মেয়েরা নিজেদের ইউটিউবার হিসাবে গড়ে তুলছে। Youtube

৪. গুগল ম্যাপ
কোন জায়গা না চিনলে আমরা প্রথমেই গুগল ম্যাপে দেখে নিই। সেখান থেকে জায়টা কত দূরে, কোন পথে কিভাবে যেতে হবে তা দেখা যায়। শুধু তাই নয় সে জায়গায় হেঁটে যেতে কত সময় লাগবে কিংবা গাড়িতে যেতে কত সময় লাগবে তাও জানা যায়। এখন আমি কোন স্থানে আছি সেটাও দেখা যায়। এসব সুবিধার জন্য আমাদের দেশে গুগল ম্যাপ খুবই জনপ্রিয়। Google map

৫. গুগল ট্রান্সলেট
একেক দেশে একেক রকমের ভাষা। যার কারণে আমরা আমাদের মাতৃভাষা ছাড়া অন্য ভাষা বুঝি না। এই অসুবিধা দূর করতে আমরা গুগল ট্রান্সলেটের সাহায্য নিয়ে থাকি। আমরা ইংরেজি কোন শব্দের অর্থ না বুঝলে সে শব্দ সেখানে দিয়ে বাংলা সিলেক্ট করলে তার বাংলা অর্থ দেখা যায়। এছাড়া গুগল ট্রান্সলেটে অনেকগুলো ভাষা আছে যেখানে একটি থেকে অন্যটি ট্রান্সলেট করা যায়। Google Translate

৬. গুগল অ্যাডসেন্স
বর্তমানে বিজ্ঞাপন প্রদানের এবং বিজ্ঞাপন প্রকাশের অন্যতম মাধ্যম হিসাবে গুগল অ্যাডসেন্স ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এখানে বিজ্ঞাপন প্রদান করলে তা হাজার হাজার ওয়েবসাইটের মাধ্যমে প্রকাশিত হয়। এছাড়া অ্যাডমোব এর মাধ্যমে মোবাইল অ্যাপস এ বিজ্ঞাপন দেখা যায়। আবার বর্তমানে ছেলে-মেয়েরা এর মাধ্যমে শত শত ডলার আয় করছে। নিজেদের অ্যাপস, ওয়েবসাইট এবং ইউটিউব চ্যানেল দিয়ে গুগলের বিজ্ঞাপন প্রকাশের মাধ্যমে টাকা আয় করা যায়। Google Adsense

৭. গুগল ড্রাইভ
সবচেয়ে জনপ্রিয় ক্লাউড হচ্ছে গুগল ড্রাইভ। এখানে প্রায় ১৫ জিবি ফ্রি স্পেস থাকে। যে কোন ফাইল বা ফোল্ডার এখানে রাখা যায়। এছাড়া গুগল ড্রাইভের অ্যাপস ডাউনলোড করলে কম্পিউটারের হার্ডডিস্ক কিংবা মোবাইলের মেমোরির ডাটাগুলো অটোমেটিক গুগল ড্রাইভে সিংক হতে থাকে। এতে সুবিধা হয় যদি কম্পিউটার বা মোবাইল হারিয়ে অথাবা নষ্ট হয়ে যায় গুগল ড্রাইভ থেকে সিংক হওয়া ডাটাগুলো আবার নেওয়া যায়। Google Drive

৮. গুগল ডকস
কম্পিউটারে কাজ করেন কিন্তু মাইক্রোসফট ওয়ার্ডের নাম শুনেননি এমন লোক খুব কমই পাওয়া যাবে। গুগল ডকস মাইক্রোসফট ওয়ার্ডের মতই। তবে এখানে যা লিখা হয় তা ক্লাউডে সংরক্ষিত থাকে। আপনি আপনার কোন বন্ধুকে এখানে লিখা ফাইলটি শেয়ার করতে পারবেন। এছাড়াও এখানে রয়েছে শীটস ও স্লাইড করার সুবিধা। Google Docs

৯. গুগল ক্রোম
যেকোন ডিভাইস থেকে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে প্রয়োজন হয় একটি ব্রাউজারের। অনেকগুলো ব্রাউজারের মধ্যে গুগল ক্রোম অন্যতম। এর মাধ্যমে অনেক এক্সটেনশন সুবিধা পাওয়া যায়। বিশেষ করে যারা ডেভলাপমেন্টে কাজ করে এটি তাদের অনেক উপকারে আসে। এছাড়াও নানা রকম সুবিধা পাওয়া যায় বলে মানুষ গুগল ক্রোম অনেক বেশি ব্যবহার করে থাকে। Google Chorme

১০. প্লে স্টোর
অ্যাপস ডাউনলোড করার কথা চিন্তা করলেই মনে পড়ে প্লে স্টোর এর কথা। এখান থেকে বিভিন্ন ধরণের অ্যাপস পাওয়া যায়। কেউ নিজেদের তৈরি করা অ্যাপ এখানে আপলোড করে আবার কেউ নিজের প্রয়োজনীয় অ্যাপগুলো ডাউনলোড করে নেয়। বাচ্চাদের প্রিয় গেমসগুলোও এখানে পাওয়া যায়। Google Play Store

এছাড়াও গুগলের আরো অনেক পরিসেবা আছে যা আমাদের অনেক কাজে লাগে। মজার ব্যাপার হচ্ছে এগুলো সব ফ্রি। এতসব সুবিধার জন্য অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের চেয়ে গুগল অনেক বেশি জনপ্রিয়।


Tech Info(পর্ব ০৭)আজকের বিষয়ঃ মাইক্রোসফট এক্সেলের ব্যবহার ও গাণিতিক সূত্র এবং প্রয়োগ মাইক্রোসফট এক্সেল কি?মাইক্রোসফট এক্...
25/06/2023

Tech Info
(পর্ব ০৭)
আজকের বিষয়ঃ মাইক্রোসফট এক্সেলের ব্যবহার ও গাণিতিক সূত্র এবং প্রয়োগ

মাইক্রোসফট এক্সেল কি?

মাইক্রোসফট এক্সেল একটি হিসাব রক্ষার কাজে ব্যবহৃত প্রোগ্রাম। কম্পিউটারে ভিজ্যুয়ালী হিসাব-নিকাশ করার জন্য এই প্রোগ্রামটির জুড়ি নেই। এর গ্রাফিক্যাল ইন্টারফেস সহজ হওয়ার কারণে যে কেউ এই প্রোগ্রামটি ব্যবহার করতে পারবেন। এটি মাইক্রোসফট কর্পোরেশনের তৈরিকৃত একটি স্প্রেডশীট বিশেষণধর্মী প্রোগ্রাম। স্প্রেড শব্দের অর্থ ছড়ানো এবং শীট অর্থ হল পাতা। মাইক্রোসফট এক্সেল ব্যবহার করে বিভিন্ন জটিল/সরল গাণিতিক ও পরিসংখ্যান করা যায়। সুতরাং স্প্রেডশীট শব্দের অর্থ ছড়ানো পাতা। এক্সেলের ফাইলকে ওয়ার্কবুক বলা হয়। প্রতিটি ওয়ার্কবুক কতগুলো শীটের সমন্বয়ে গঠিত। প্রতিটি ওয়ার্কশীটে আবার ২৫৬ টি কলাম এবং ৬৫৫৩৬ টি রো থাকে। রো গুলো ১,২,৩,৪….. নামে এবং কলামগুলো A, B, C, AB, AC……নামে পরিচিত। কলাম এবং রো এর সমন্বয়ে গঠিত প্রতিটি ঘরকে এক একটি সেল বলা হয়।

মাইক্রোসফট এক্সেলের সাহায্যে আপনি যা যা করতে পারবেন:
১।বিভিন্ন সরল ও জটিল হিসাব করা।
২। বেতনবিল ও অন্যান্য হিসাব করা।
৩।চার্ট ও গ্রাফ করে পরিসংখ্যান করা।
৪। একসাথে এবং দ্রুত অনেক হিসাব করা।
৫।রেজাল্ট, স্যালারি ও অন্যান্য শিট করা।
৬। আয়কর ও অন্যান্য হিসাব করা ।
৭।সব ধরনের পরিসংখ্যানগত হিসাব বিশ্লেষণ করা ।
৮। ডাটা সংরক্ষন ও ব্যবস্থাপনার যাবতীয় কাজ ইত্যাদি ।
এক্সেল (Excel) এর Spreadsheet কি ?

স্প্রেডশীট শব্দটির আভিধানিক অর্থ হলো ছড়ানো পাতা। এখানে Spread শব্দের অর্থ ছড়ানো আর sheet শব্দের অর্থ পাতা। একসঙ্গে Spreadsheet অর্থ ছড়ানো পাতা। গ্রাফ কাগজের ন্যায় X অক্ষ এবং Y অক্ষ বরাবর খোপ খোপ ঘরের ন্যায় অনেক ঘর সম্বলিত বড় শীটকে স্প্রেডশীড বলে।

এক্সেল (Excel) এর Worksheet কি ?

এক্সেল এর সুবিশাল পাতার যে অংশে কাজ করা হয় তাকে Worksheet বলে। মূলত: স্প্রেডশীটই হলো Worksheet একটি খাতায় যেমন অনেকগুলো পাতায় লেখা যায়, এক্সেলেও তেমনি ভিন্ন ভিন্ন ওয়ার্কশীট খুলে তাতে কাজ করা যায়।

প্রাথমিক ধারণাঃ
Ms Excel এর ব্যবহার করি :
প্রথমে পরিচিতি এর পরই যোগের সূত্র:
দুটি সংখ্যা পাশাপাশি থাকলে নিম্নের সূত্রের সাহায্যে যোগ করা হয়:-
গঠন: =(১ম সংখ্যার সেল এড্রেস + ২য় সংখ্যার সেল এড্রেস) তারপর এন্টার কী প্রেস করতে হবে।
EXP : =SUM(A1+B1)
দুই বা ততোধিক সংখ্যা পাশাপাশি থাকলে নিম্নের সূত্রের সাহায্যে যোগ করা হয়:-
গঠন: =SUM(১ম সংখ্যার সেল এড্রেস : শেষ সংখ্যার সেল এড্রেস) তারপর এন্টার কী প্রেস করতে হবে।
EXP : =SUM(A1:B1)

উদাহরন: দরুন আমরা 10 এবং 20 যোগ করব C1 সেলে , এজন্য আমাদেরকে সর্বপ্রথম C1 সেলে =(সমান) চিহৃ দিতে হবে । তারপর 10 এর সেল এড্রেস দিতে হবে, খেয়াল করে দেখুন 10 A কলামে এবং 1 নং রো তে রয়েছে এজন্য 10 এর সেল এড্রেস হবে A1 ।
তারপর (+) সাইন দিয়ে 20 এর সেল এড্রেস দিয়ে এন্টার প্রেস করলে আমরা আমাদের ফলাফল পেয়ে যাব। অর্থাৎ সূত্র হবে =A1+B1 PRESS ENTER.
বিয়োগের সূত্র:
দুটি সংখ্যার মধ্যে বিয়োগ করতে হলে নিম্নের সূত্রের সাহায্যে বিয়োগ করতে হয়:-
গঠন: =(১ম সংখ্যার সেল এড্রেস – ২য় সংখ্যার সেল এড্রেস) তারপর এন্টার কী প্রেস করতে হবে।
EXM : =SUM(A1-B2)
গুনের সূত্র:
দুটি সংখ্যার মধ্যে গুন করতে হলে নিম্নের সূত্রের সাহায্যে গুন করতে হয়:-
গঠন: =(১ম সংখ্যার সেল এড্রেস * ২য় সংখ্যার সেল এড্রেস) তারপর এন্টার কী প্রেস করতে হবে।
EXM : =SUM(A1*B2)
ভাগের সূত্র:
দুটি সংখ্যার মধ্যে ভাগ করতে হলে নিম্নের সূত্রের সাহায্যে ভাগ করতে হয়:-
গঠন: =(১ম সংখ্যার সেল এড্রেস /২য় সংখ্যার সেল এড্রেস) তারপর এন্টার কী প্রেস করতে হবে।
EXM : =SUM(A1/B2)

পার্সেন্টিজ(%) বের করার সূত্র:
গঠন: =(যে সংখ্যার পার্সেন্টিজ বের করবেন ঐ সংখ্যা * যত পার্সেন্ট বের করবেন% ) তারপর এন্টার দিতে হবে।
EXM : =SUM(A1*10%)

উদাহরন: আমরা 5,000 এর 10% পাসেন্ট বের করব। তাহলে সূত্র হবে =5,০০০ এর সেল এড্রেস*10%

গড় বের করার সূত্র:
গঠন: =AVERAGE(১ম সংখ্যার সেল এড্রেস : শেষ সংখ্যার সেল এড্রেস) তারপর এন্টার কী প্রেস করতে হবে।
উদাহরন: দরুন আমরা ১০, ২০, ৩০,৪০ ও ৫০ এই পাঁচটি সংখ্যার গড় বের করব, তাহলে সূত্র হবে:
=AVERAGE(১০ এর সেল এড্রেস : ৫০ এর সেল এড্রেস) তারপর এন্টার কী প্রেস করতে হবে।
EXM : = AVERAGE (A1:E1)

সর্বনিম্ন সংখ্যা বের করা সূত্র:
গঠন: =MIN(১ম সংখ্যার সেল এড্রেস : শেষ সংখ্যার সেল এড্রেস) তারপর এন্টার কী প্রেস করতে হবে।
EXM : = MIN(A1:C1)
সর্বোচ্চ সংখ্যা বের করা সূত্র:
গঠন: =MAX(১ম সংখ্যার সেল এড্রেস : শেষ সংখ্যার সেল এড্রেস) তারপর এন্টার কী প্রেস করতে হবে।
EXM : = MAX(A1:C1)
সংখ্যা গননা করার সূত্র:
গঠন: =COUNT(১ম সংখ্যার সেল এড্রেস : শেষ সংখ্যার সেল এড্রেস) তারপর এন্টার কী প্রেস করতে হবে।
EXM : = COUNT (A1:D1)

RESULT SHEET GRADE SYSTEM
—————————————————————————
এবার চেষ্টা করি আমরা কিভাবে গ্রেডিং সিস্টেম এ একটি রেজাল্ট শীট তৈরী করব। চলেন এবার গ্রেডিং সিস্টেমের নিয়ম গুলো দেখে নেই:
• মোট প্রাপ্ত নম্বর ৮০ নম্বেরর উপরে হলে হবে A+ Grade
• মোট প্রাপ্ত নম্বর ৭০-৭৯ নম্বেরর মধ্যে হলে হবে A Grade
• মোট প্রাপ্ত নম্বর ৬০-৬৯ নম্বেরর মধ্যে হলে হবে A- Grade
• মোট প্রাপ্ত নম্বর ৫০-৫৯ নম্বেরর মধ্যে হলে হবে B Grade
• মোট প্রাপ্ত নম্বর ৪০-৪৯ নম্বেরর মধ্যে হলে হবে C Grade
• মোট প্রাপ্ত নম্বর ৩৩-৩৯ নম্বেরর মধ্যে হলে হবে D Grade
• মোট প্রাপ্ত নম্বর ৩৩ নম্বেরর নিচে হলে অকৃতকার্য বা Fail.
এবার নিচে মত করে একটি ডাটাবেজ তৈরী করুন:

প্রথমে A1 থেকে M1 পর্যন্ত সেলকে সিলেক্ট করে Merge Cell করে ফেলুন, তারপর টাইপ করুন Result Sheet Grade System ।
লক্ষ্য করে দেখুন লেখা গুলো ভার্টিক্যালি রয়েছে। এক্সেলে আমরা যেকোন লেখাকে বিভিন্ন angle এ লিখতে পারি । যে লেখাকে আপনি angle করবেন ঐ লেখাকে সিলেক্ট করে Home Menu এর Orientation থেকে লেখাকে Angle বা Vertical করুন।

Average: Average বের করার জন্য সেল পয়েন্টারটিকে L3 সেল এ রাখুন। তারপর নিম্নের সুত্র টাইপ করুন:
=AVERAGE(C3:K3) তারপর এন্টার দেন।

Grade: এবার আমরা আমাদের আসল কাজটি করব গ্রেড বের করব। গ্রেড বের করার জন্য সেল পয়েন্টারটিকে M3 সেল এ রাখুন । তারপর নিম্নের সূত্র টাইপ করুন:
=IF(OR(C3

Tech Infoপর্বঃ ০৬আজকের বিষয়ঃ ই-মেইল মার্কেটিং কী এবং কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মে এটা কাজে লাগিয়ে ক্যারিয়ার গড়া যায়...
24/06/2023

Tech Info
পর্বঃ ০৬

আজকের বিষয়ঃ ই-মেইল মার্কেটিং কী এবং কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মে এটা কাজে লাগিয়ে ক্যারিয়ার গড়া যায়।

ইমেইল মার্কেটিং কি বা কাকে বলে ? (Email marketing bangla)

ইমেইল মার্কেটিং এর ব্যাপারে জানার আগে আপনার আগে জানতে হবে মার্কেটিং কাকে বলে। মার্কেটিং মানে হলো, বিভিন্ন রকমের মাধ্যম, উপায় বা প্রক্রিয়ার দ্বারা নিজের বিসনেস (business), পণ্য (product) বা যেকোনো সার্ভিস (service) এর প্রচার করা বা তাদের বিক্রি করার চেষ্টা করা।

এখন, যেই প্রোডাক্ট (product), অফার (offer), ব্যাবসা (business) বা সেবার (service) প্রমোশন (promotion), প্রচার বা মার্কেটিং আমরা ইমেইল (e-mail) এর মাধ্যমে করি, সেই মার্কেটিং এর প্রক্রিয়াকেই “email marketing” বলা হয়। এবং, এ digital marketing বা internet marketing এর একটি অনেক বিখ্যাত মাধ্যম।

প্রমোশন বা মার্কেটিং এর জন্য আমরা ইমেইল এর ব্যবহার সাধারণ ভাবেই করি। যেভাবে আমরা কাওকে একটি ইমেইল পাঠাই ঠিক সেভাবেই। কিন্তু, এমনিতে আমরা একটি মেইল কেবল একজন কেই one – to – one পাঠাই। অথচ, ইমেইল মার্কেটিং এর মাধ্যমে আমরা একটি ইমেইল অনেক জনকেই একসাথে পাঠিয়ে দেই।

এতে, আপনি একটি ইমেইল (email) এর দ্বারা নিজের প্রোডাক্ট, বিসনেস বা সেবার বিষয়ে হাজার হাজার লোকেদের কাছে একসাথেই প্রচার করতে পারবেন। এই প্রক্রিয়াকে আপনি email broadcasting ও বলতে পারেন।

ইন্টারনেটের অনেক বড় বড় ব্লগ, ওয়েবসাইট বা কোম্পানি রয়েছে যেগুলির মধ্যে প্রায় সবাই ইমেইল মার্কেটিং এর এই মাধ্যম ব্যবহার কোরে নিজেদের business, product বা online service প্রমোট বা প্রচার করছে। এতে তাদের অনেক লাভ হচ্ছে।

🔘ইমেইল মার্কেটিং এর কিছু লাভ যেমন ইমেইল মার্কেটিং দ্বারা সবচেয়ে বেশি নতুন কাস্টমার ইন্টারনেটের মাধ্যমে পাওয়া যায়।

🔘 এই মাধ্যম ব্লগ এবং ওয়েবসাইটের জন্য হাজার হাজার ভিসিটর বা ট্রাফিক আনতে পারে।
ইমেইল মার্কেটিং দ্বারা কেবল একটি ইমেইল (email) পাঠিয়েই যেকোনো নতুন video, blog article, product বা business এর ব্যাপারে ঘরে বসেই লোকেদের জানানো সম্ভব।

🔘ডিজিটাল মার্কেটিং এর অন্য মাধ্যম গুলির থেকে এই মাধ্যম অনেক সস্তা এবং কম খরচেই সম্ভব। কিছু ফ্রি email marketing tool ব্যবহার করে আপনি ফ্রীতেই এই মাধ্যম ব্যবহার করতে পারবেন।
ইমেইল মার্কেটিং অনেক সোজা এবং এর থেকে লাভ অনেক বেশি।

🔳 Email marketing কিভাবে করবেন ?
সবচে আগেই, আমি আপনাদের একটি উদাহরণ দিয়ে বুঝিয়ে দিতে চাই যে, “ইমেইল মার্কেটিং কিভাবে করবেন” .

ধরে নিন, আপনার একটি নতুন পণ্য (product) বা সার্ভিস (service) মার্কেটে এসেছে এবং আপনি সেই বিষয়ে লোকেদের জানাতে চান বা মার্কেটিং করতে চান। এর বাইরেও আপনার কোনো প্রোডাক্ট এর নতুন অফার (offer) বা সুবিধার বিষয়ে আপনি মার্কেটিং করতে চাচ্চেন।

আপনার কেবল, ইমেইল এর দ্বারা লোকেদের নিজের product বা সার্ভিসের ব্যাপারে জানাতে হবে। এবং, তারপর তারা যদি আগ্রহী (interested) থাকেন তাহলে নিশ্চই আপনার প্রোডাক্ট বা সার্ভিস তারা কিনবেন বা তাতে রুচি রাখবেন।

আমরা সাধারণ ভাবে যেরকম ইমেইল লিখি ঠিক সেরকম ভাবেই আপনার নিজের offer, business বা service এর ব্যাপারে মেইলে লিখতে হবে। মেইল এভাবে লিখবেন যাতে আপনার ইমেইল এর বিষয় লোকেরা পরেই বুঝতে পারেন। শেষে, ইমেইল লেখা হলে এক সাথে হাজার হাজার লোকেদের ইমেইল আইডিতে পাঠিয়ে দিতে হবে।

ইমেইল মার্কেটিং দ্বারা আপনি কেবল কয়েক মিনিটেই হাজার হাজার লোকেদের মধ্যে আপনার নতুন বিসনেস, business offer, product বা service এর ব্যাপারে প্রচার করে দিতে পারবেন।

এতে, হাজার হাজার লোকেদের মধ্যে কয়েজন তো আপনার product বা offer এর ওপর আকর্ষিত হবেন ? এবং, যদি আপনি ইমেইল দ্বারা নিজের ব্লগের আর্টিকেল বা ইউটিউবের ভিডিও মার্কেটিং করছেন, তাহলে হাজার এর মধ্যে কয়েক ১০০ জন তো আপনার আর্টিকেল পড়ার জন্য বা ভিডিও দেখার জন্য আসবেন ?

🔳ইমেইল মার্কেটিং করার নিয়ম
হে, ইমেইল মার্কেটিং মানে অন্য অন্য ইমেইল আইডিতে নিজের বানানো ইমেইল পাঠানো। কিন্তু, আপনি এই মার্কেটিং করার জন্য Gmail, Yahoo বা outlook এর মতো সার্ভিস ব্যবহার করতে পারবেননা।

কারণ, Gmail বা অন্য ফ্রি ইমেইল একাউন্ট থেকে আপনি কেবল কিছু নির্ধারিত সংখ্যায় ইমেইল পাঠাতে পারবেন। এবং, এটাও হতে পারে যে একসাথে হাজার হাজার লোকেদের ইমেইল পাঠানোর জন্য email spamming এর সন্দেহে আপনার email account জিমেইল, ইয়াহু বা আউটলুক দ্বারা ব্লক (block) করিয়ে দেয়া যেতে পারে।

তাহলে কি করবেন ? কিভাবে একসাথে হাজার হাজার লোকেদের ইমেইল পাঠিয়ে ইমেইল মার্কেটিং করবেন ? এর উপায় কি ?

আপনার ব্যবহার করতে হবে কিছু email marketing tools বা website এর। অনলাইন ইন্টারনেটে অনেক email marketing tool রয়েছে যেগুলির ব্যবহার করে এক সাথেই হাজার হাজার লোকেদের ইমেইল পাঠিয়ে আপনি নিজের business এর মার্কেটিং করতে পারবেন। এমন টুলস (tools) এর মধ্যে –


🔘 Mailchimp
🔘 SendPress (ওয়ার্ডপ্রেস প্লাগিন)
🔘 Drip
🔘 MailerLite
এগুলি ফ্রি এবং সেরা। আপনি google এ সার্চ করলে এমন অনেক ফ্রি email marketing tools এবং ওয়েবসাইট পেয়েযাবেন।

ইমেইল মার্কেটিং করার মূলত ২ টি নিয়ম আছে।

একটি, ফ্রি (free) এবং একটি পেইড (paid).

🔳 ফ্রিতেই ইমেইল মার্কেটিং করুন
ইমেইল মার্কেটিং এ সবচে জরুরি জিনিস হলো, ইমেইল লিস্ট (email list) বা email contacts। মানে, আপনি যাদেরকে ইমেইল পাঠাবেন তাদের ইমেইল আইডি আপনার প্রথমে জমা করতে হবে। এক এক কোরে জমা করা অনেক অনেক ইমেইল আইডির সুচিকে email list বা mailing list বলা হয়। এবং, ইমেইল মার্কেটিং করার জন্য আপনার সবচে আগেই এরকম অনেক লোকেদের ইমেইল আইডি জমা করতেই হবে। তারপরেই, আপনি তাদের ইমেইল পাঠাতে পারবেন।

তাহলে, আপনি ফ্রীতে নিজের email list বা contacts এক এক করে জমা করতে পারবেন নিজের ব্লগ বা ওয়েবসাইট দ্বারা। আপনার যদি একটি ব্লগ বা ওয়েবসাইট আছে, তাহলে তাতে আপনি “Blog subscription” অপসন বা “newsletter” অপশনের মাধ্যমে লোকেদের, আপনার email লিস্টে যোগ হওয়ার জন্য বলতে পারেন।

Newsletter subscription
যেরকম আপনারা ওপরে ইমেজটি দেখছেন, আমি আমার ব্লগে আশা লোকেদের আমার email লিস্টে subscribe করার জন্য একটি অপসন দিয়েছি।

এখন, যখনি লোকেরা তাদের নাম এবং ইমেইল আইডি দিবেন এবং আমার ইমেইল লিস্টে নিজেকে যোগ করবেন , তার পর থেকেই তারা আমার সব রকমের ব্লগের আর্টিকেল বা ব্লগ পোস্ট ইমেইল এর মাধ্যমে পেয়ে যাবেন। এর বাইরে আমি যা যা ইমেইল তাদেরকে পাঠাতে চাইবো তারা সেগুলি নিজের মেইলে পাবেন।

এভাবে, আমি এক এক করে ফ্রীতেই অনেক লোকেদের ইমেইল আইডি পেয়েযাবো। তারপর,তাদের যখনি চাইবো তখন ইমেইল এর মাধ্যমে নিজের প্রোডাক্ট, পণ্য, সার্ভিস, আর্টিকেল বা ভিডিওর আপডেট দিয়ে তার মার্কেটিং করতে পারবো।

এভাবেই সব ছোট বোরো কোম্পানি নিজের একটি ওয়েবসাইট বা ব্লগ এর দ্বারা newsletter / email list এর মাধ্যমে হাজার হাজার লোকেদের ইমেইল সংগ্রহ করেন। এবং, তারপর তাদের নিজের product বা service এর ব্যাপারে যখন খুশি তখন ইমেইল এর মাধ্যমে প্রচার বা marketing করেন।

এর বাইরেও, ইমেইল মার্কেটিং করার জন্য আপনার একটি business email id থাকতে হবে। যেমন, আমাদের business email id হলো “[email protected]” . সেরকম আপনার একটি আইডি থাকতে হবে যেখানথেকে আপনারা লোকেদের মেইল পাঠাবেন।

পেইড (paid) ইমেইল মার্কেটিং
পেইড মাধমের বেপারে আমি বেশি কিছু বলবোনা। কারণ, paid marketing এ আপনার কিছু ওয়েবসাইট বা অনলাইন টুলের থেকে হাজার হাজার email contacts কিনতে হবে। কিছু টাকা খরচ করেই আপনি অনেক লোকেদের ইমেইল আইডি কিনতে পাবেন।

তারপর কি, একবার ইমেইল আইডি কেনার পর আপনি, আমি ওপরে বলা email marketing tool গুলির ব্যবহার করেই নিজের ব্যবসার বা পন্যর প্রচার করতে পারবেন হাজার হাজার লোকেদের কাছে।

তাহলে, ইমেইল মার্কেটিং কি ? কিভাবে করবো এবং ইমেইল মার্কেটিং করে কি লাভ হবে এগুলির ব্যাপারে হয়তো আপনারা এখন ভালো করে বুঝে গেছেন।

আপনার কেবল এতটুকুই করতে হবে যে,

কিছু ফ্রি email marketing tools বা ওয়েবসাইটে রেজিস্টার করতে হবে।
নিজের একটি business email id থাকা জরুরি।
ফ্রি বা পেইড যেকোনো মাধ্যমে অনেক লোকেদের ইমেইল আইডি সংগ্রহ করা এবং তাদের নিজের ইমেইল লিস্টে যোগ করা।
তারপর শেষে, email মার্কেটিং টুল গুলি ব্যবহার করে, নিজের ইমেইল লিস্টে থাকা সাবস্ক্রাইবার (subscriber) বা ইমেইল contacts গুলিকে ইমেইল পাঠিয়ে নিজের পণ্য (product), blog, offer বা business এর প্রচার করা বা মার্কেটিং করা।
আপনি যদি সঠিক মাধ্যমে ইমেইল এর মাধ্যমে এই মার্কেটিং এর ব্যবহার করেন, তাহলে আমি জানি আপনি নিজের ব্যবসার জন্য অনেক customer বা visitors পেয়ে যাবেন। আজ ডিজিটাল মার্কেটিং এর এ অনেক গুরুত্বপূর্ণ এবং লাভজনক উপায়।

আশাকরি আমাদের ইমেইল মার্কেটিং টিউটোরিয়াল আপনাদের অনেক ভালো লেগেছে।

________________


পর্ব ০৫আজকের বিষয়ঃ ক্যানভা কী এবং তা দিয়ে কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মে আয় করা যায়।​Canva কি?✅ ​canva হলো একটি ডিজাই...
24/06/2023

পর্ব ০৫
আজকের বিষয়ঃ ক্যানভা কী এবং তা দিয়ে কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মে আয় করা যায়।

​Canva কি?
✅ ​canva হলো একটি ডিজাইন তৈরির প্লাটফর্ম যেখানে আপনি চাইলে বিভিন্ন ধরনের ডিজাইন তৈরি করতে পারবেন যেমন টি-শার্ট ডিজাইন অথবা পোস্টার ডিজাইন। এই ওয়েবসাইটটি এত জনপ্রিয় হওয়ার কারণ হল এটি থেকে যেমন ভাল মানের ডিজাইন তৈরি করা যায় তিনি অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম থেকে ভালোভাবে আয় করা যায়। ফ্রিল্যান্সাররা এটি ব্যবহার করে ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটপ্লেস থেকে খুব ভালো আয় করতে পারেন।

এই ওয়েবসাইটটি থেকে আপনি যে সকল ধরনের ডিজাইন তৈরি করতে পারবেন( আনুমানিক)ঃ


🔘​পোস্টার ডিজাইন
🔘​টি-শার্ট ডিজাইন
🔘​ইনস্টাগ্রাম পোস্ট ডিজাইন
🔘​ফেসবুক পোস্ট ডিজাইন
🔘​মার্কেটিং এর জন্য ডিজাইন

✅ ​Canva থেকে কিভাবে আয় করা যায়?
​এই ওয়েবসাইট থেকে দুই ভাবে আয় করা যায়।

🔳প্রথমত এর মাধ্যমে ডিজাইন তৈরি করে তা বিক্রি করার মাধ্যমে।
🔳 দ্বিতীয়তঃ এই ওয়েবসাইটের অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম এ জয়েন করে।

যারা গ্রাফিক্স ডিজাইনার তারা খুবই পছন্দ করে। কারণ এই ফিচারগুলো খুবই সুন্দর এবং এর মাধ্যমে তৈরিকৃত ডিজাইন খুবই দৃষ্টিনন্দন। ক্যানভা থেকে আপনি চাইলে ডিজাইন বানিয়ে তা ফাইবার বা আপওয়ার্ক এর মত প্লাটফর্মে কাজ করতে পারেন।
_____________


পর্ব:০৪ আজকের বিষয়ঃ ওয়েবসাইট কী এবং এটি কাদের দরকার বা এর প্রয়োজনীয়তা কী?✅ ওয়েবসাইট কি? উকিপিডিয়ার মতে ওয়েবসাইট বলতে ...
24/06/2023

পর্ব:০৪
আজকের বিষয়ঃ ওয়েবসাইট কী এবং এটি কাদের দরকার বা এর প্রয়োজনীয়তা কী?

✅ ওয়েবসাইট কি?
উকিপিডিয়ার মতে ওয়েবসাইট বলতে বোঝায়, কোন নির্দিষ্ট ওয়েব সার্ভারে রাখা- ওয়েব পেজ,ভিডিও,অডিও,ছবি বা যে কোন ধরণের তথ্য যা ইন্টারনেটের মাধ্যমে পৃথিবীর যে কোন প্রান্ত থেকে অ্যাক্সেস করা যায়। আমরা যখন আমাদের ব্রাউজার থেকে কোন ওয়েবসাইট কে অ্যাক্সেস করার চেষ্টা করি, তখন সার্চকৃত ওয়েবসাইটটি কোন ওয়েবসার্ভার থেকে এইচটিটিপি প্রোটোকলের মাধ্যমে সমস্ত ফাইলকে একত্রে করে একটি এইচটিএমএল ডকুমেন্ট আকারে আমাদের সামনে প্রদর্শন করে।
যদি সহজ ভাবে বলতে যাই তাহলে- আমরা ব্রাউজারে ( facebook.com ) লিখে সার্চ করার পর কি পাই? ফেসবুক দেখতে পাই।

✅ ওয়েবসাইট কেন দরকার?
বিশ্বায়নের এই যুগে ওয়েবসাইট কেন দরকার তা যদি বিস্তারিত আলোচনা করতে যাই, তাহলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা পেজের পর পেজ শেষ হয়ে যাবে তবু আলোচনা শেষ হবে কিনা সন্দেহ আছে। তাই এত দীর্ঘ সময় আলোচনার করার বদলে আমরা চেষ্টা করবো শর্টকাটে- ওয়েবসাইট কেন দরকার তাঁর গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো নিয়ে আলোচনা করতে, তো চলুন কথা না বাড়িয়ে শুরু করা যাক।

🔘ফ্রিল্যান্সিং করতে ওয়েবসাইট
আপনি ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে চাচ্ছেন বা ফ্রিল্যান্সিং জগতে নতুন পদার্পণ করেছেন? যদি আপনে নতুন ফ্রিল্যান্সার হয়ে থাকেন, এই ক্ষেত্রে আপনার সর্ব প্রথম কাজ হবে কোন নির্দিষ্ট সেক্টরে নিজের স্কিল অর্জন করা।

উদাহরণস্বরূপ: আনোয়ার একজন নতুন ফ্রিল্যান্সার, সে ফ্রিল্যান্সিং করার উদ্দেশ্য দীর্ঘদিন যাবত গ্রাফিক্স ডিজাইন সেক্টরে নিজেকে দক্ষ করে তুলছে। আনোয়ার দিনের পর দিন মাসের পর মাস চর্চা করে গ্রাফিক্স ডিজাইন আয়ত্ব করে ফেলেছে, এখন গ্রাফিক্স ডিজাইনে তাঁর দক্ষতা রয়েছে, সে ডিজাইন রিলৈটেড কাজ করার জন্য পুরোপুরিভাবে প্রস্তুত। তো আনোয়ার যেহেতু কাজ শিখে গেছে তাই সে বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে গিয়ে নিজের একাউন্ট তৈরি করেছে এবং কাজ পাবার জন্য লক্ষ লক্ষ ফ্রিল্যান্সারের সাথে প্রতিযোগিতায় নেমে গেছে।

আজকে ফাইবারের নতুন গিগ বানাচ্ছে তো কালকে আপওয়ার্কে নতুন প্রোজেক্টে বিট করছে। কিন্তু গ্রাফিক্স ডিজাইনে দক্ষতা থাকার পরেও আনোয়ার কাজ পাচ্ছে না কোন ভাবেই। মাঝে মাঝে ক্লায়েন্টের নক পেলেও ক্লায়েন্টকে কোন মতেই বোঝাতে পারছে না সে আসলেই গ্রাফিক্স ডিজাইন কাজ জানে এই বিষয়ে তাঁর দক্ষতা রয়েছে। কিছু কিছু বায়ার আনোয়ারের প্রোফাইল দেখেই ফিরে যাচ্ছে কারণ আনোয়ারের নতুন একাউন্ট তাই ক্লায়েন্ট ভরসা করতে পাচ্ছে না আসলেই আনোয়ারকে দিয়ে তাঁর কাজ হবে কিনা।

এখানে আনোয়ারের ভুল কোথায়? কেন দক্ষতা থাকার পরও সে কাজ পাচ্ছে না? উত্তর একটাই, আনোয়ার ক্লায়েন্টের কাছে নিজেকে একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার হিসেবে রি-প্রেজেন্ট করতে পারেনি। এই পরিস্থিতে আনোয়ারের যদি একটা পোর্টফলিও ওয়েবসাইট থাকতো আর সেখানে যদি আনোয়ার তাঁর পূর্বের করা কিছু প্রোজেক্ট পোর্টফলিও হিসেবে তুলে ধরতো ,তাহলে সে খুব সুন্দর মতো ক্লায়েন্টেকে বোঝাতে পারতো, সে আসলেই গ্রাফিক্স ডিজাইন জানে এর পূর্বেও সে অসংখ্য ডিজাইন রিলেটেড কাজ-কর্ম করেছে।
শুধু গ্রাফিক্স ডিজাইন না ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে আপনে যে কোন কাজই করুন না কেন, আপনার একটি পোর্টফোলিও থাকা অত্যন্ত জরুরী। আপনে মুখে সারাদিন বললেন এই কাজ পারি,সেই কাজ পারি কিন্তু কিছু প্রজেক্ট দেখাতে বললে দেখাতে পারলেন না তাহলে আপনার প্রতি ক্লায়েন্ট বিশস্ত হবে কেন? কোন ভরসাতে আপনাকে কাজ দিবে? একটি পোর্টফলিও ওয়েবসাইট যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা বর্ণণা করার মতো নয়, কিন্তু আমাদের দেশের অধিকাংশ ফ্রিল্যান্সার এই বিষয়টিকে গুরুত্বসহকারে দেখে না, যার ফলে মার্কেটপ্লেসে একাউন্ট তো অনেক, কিন্তু সত্যিকার অর্থে নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছে এমন ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যা খুবই কম।

🔘 ব্লগার / লেখকদের জন্য ওয়েবসাইট
আগের যুগের হিমু,মিসির আলি জন্ম নিতো লেখকের ডাইরির পাতায় আর বর্তমান যুগের হিমু,মিসির আলির জন্ম হচ্ছে ফেসবুকের পোস্টের পাতায়। অনেক ভালো ভালো রাইটার আছে যারা সারাদিন ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপে,পেজে,পোস্টে অসংখ্য আর্টিকেল লিখে যাচ্ছে। শুধু ফেসবুকেই না কোরাতে গেলে দেখতে পাবেন রাইটারদের ছড়াছড়ি, হাজার হাজার ক্যাটাগরীতে হাজার হাজার রাইটার লিখে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত।

এখন প্রশ্ন হলো- আপনার মাঝে ভালো রাইটিং দক্ষতা থাকার পরেও কেন অন্যর প্ল্যাটফর্মে লিখে যাচ্ছেন? এর বিনিময়ে কি কোন টাকা পাচ্ছেন? নাকি অন্য কোন ভাবে উপকৃত হচ্ছেন? আপনার লেখার প্রতিভার বিনিময়ে ফেসবুকে পাচ্ছেন কিছু লাইক আর কোরাতে পাচ্ছেন কিছু আপভোট। লাইক আর আপভোট দিয়ে কি জীবন চলবে? অথচ আপনার লেখা আর্টিকেল দিয়ে কিন্তু ফেসবুক,কোরা বা অন্যকোন প্ল্যাটফর্ম ঠিকই টাকা আয় করে নিচ্ছে।

দীর্ঘদিন লেখালেখি করে ফেসবুকে একটি পেজ বড় করলেন, কোরাতে আপনার প্রোফাইলের ফলোয়ার বৃদ্ধি করলেন কিন্তু হঠাৎ কোন কারণ বসত আপনার ফেসবুক পেজটি অথবা কোরা একাউন্টটি নষ্ট হয়ে গেল, তখন কি হবে? আপনার দীর্ঘ দিনের পরিশ্রম এক নিমিষেই মাটি হয়ে গেল।

তাই এখনো সময় আছে কোরা,ফেসবুকের পাশাপাশি কোন বিকল্প চিন্তা করুন। অন্যর প্ল্যাটফর্মে না লিখে নিজের একটি ওয়েবসাইট করুন নিজের প্ল্যাটফর্ম তৈরি করুন, এতে করে একসময় যেমন আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হতে পারবেন অপরদিকে নিজের পোর্টফলিও হিসেবেও পরিচয় দিতে পারবেন।

আগের যুগের লেখকদের যে কত কষ্ট করে লেখা পাঠকদের মাঝে পৌছে দিতে হতো তা ইতিহাসের দুই,একটি পাতা উল্টোলেই জানতে পারবেন। বর্তমান সময়ে লেখা পাঠকদের মাঝে পৌছে দেয়া যে কত সহজ হয়ে গেছে তা বলার উপেক্ষা রাখে না। রবীন্দ্রনাথ বেঁচে থাকলে হয়তো আইটি নাটের পক্ষ থেকে একটা ফ্রি ওয়েবসাইট করে দেয়া হতো। আপনার লেখা যেমনি হোক না কেন, যাদেরকে নিয়েই লেখা হোক না কেন, গ্রামের প্রান্তিক পর্যায় থেকে শুরু করে শহরের আনাচে-কানাচে পর্যন্ত লেখা পাঠকদের মাঝে পৌছে দিতে ওয়েবসাইটের কোন বিকল্প নেই।

🔘 চাকরীর জন্য ওয়েবসাইট
হ্যাঁ, ঠিকই শুনেছেন চাকরীর জন্যও ওয়েবসাইট প্রয়োজন। চাকরীর জন্যও যে ওয়েবসাইটের প্রয়োজন তা এখন পর্যন্ত আমাদের দেশের অনেকেরি অজানা, কিন্তু আপনে যদি ইউরোপ-আমেরিকার দেশগুলোর দিকে লক্ষ্য করেন তাহলে দেখবেন ওয়েবসাইট থাকাটা এখন কমন হয়ে গেছে, চাকরী থেকে শুরু করে ব্যবসা বাণিজ্য সব জায়গাতেই ওয়েবসাইটের প্রচলন।
একদম সহজ একটা বিষয় ভেবে দেখুন একটি চাকরীর জন্য হাজার হাজার সিভি জমা পড়ে, জব রিক্রুটাররা সাধারণত একটি সিভিতে সর্বনিম্ন ৩ সেকেন্ড এবং সবোর্চ্চ ২৬ সেকেন্ড সময় দিয়ে থাকে। এখন এই কয়েক সেকেন্ডের ভেতরেই আপনাকে সিভিতে এমন কিছু তথ্য তুলে ধরে ইমপ্রেস করতে হবে যাতে আপনি পরবর্তী স্টেপের জন্য সিলেক্ট হয়ে যান। এখানে খুব সহজ একটা ক্যালকুলেশন ৯০% জব সিকাররা তাঁদের সিভিতে কোন পোটফলিও ওয়েবসাইট তুলে ধরবে না, আর এখানেই আপনার এগিয়ে থাকার সুযোগ। সিভির উপর অংশের বাম দিকে যেখানে আপনার ফোন নাম্বার,ই-মেইল এড্রেস দিয়ে থাকেন সেখানে ফোন নাম্বার, ই-মেইল এড্রেসের পরই যদি আপনার ওবেসাইটের নামটা তুলে ধরতে পারেন তাহলে নিজেই ভেবে দেখুন অন্য সবার সিভির থেকে আপনার সিভিটা কতটুকু এগিয়ে থাকবে।

🔘 ব্যবসার জন্য ওয়েবসাইট
বিল গেটর্স এর একটা জনপ্রিয় উক্তি আছে ( If your business is not on the Internet, then your business will be out of business ) উক্তিটি আজকের এই যুগে একদমই সঠিক। ডিজিটাল এই সময়ে আপনার ব্যবসা যদি ইন্টারনেটে না থাকে, তাহলে আপনার ব্যবসা খুব বেশি গ্রো করতে পারবে না, একটা নিদির্ষ্ট গন্ডিতেই আপনার ব্যবসা রয়ে যাবে।

ব্যবসা তখনই বড় হয় যখন এর কাস্টোমারবেস বড় আকারের হয়ে থাকে। ইন্টারনেটে আপনে যে পরিমাণ কাস্টোমার একত্রে পাবেন পৃথিবীর কোথাও সেটা আর দ্বিতীয় বার পাবেন না। ব্যবসার প্রচার-প্রচারণা থেকে শুরু করে যাবতীয় কাজ-কর্ম একটি ওয়েবসাইট দিয়ে সম্ভব। উদাহরণ চোখের সামনেই আছে, অ্যমাজনের দিকে তাকিয়ে দেখুন। একটি ওয়েবসাইট কত বড় আকার ধারণ করতে পারে এবং কতটা লাভজনক ব্যবসায় পরিণত হতে পারে তাঁর সবথেকে বড় উদাহরণ অ্যমাজন।

ওয়েবসাইট একটা বিশ্বস্ততার প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে, কোন কাস্টোমার আপনার ব্যবসার নাম দিয়ে যখন সার্চ করে ওয়েবসাইট পেয়ে যাবে এবং সেখানে সব তথ্য পাবে তখন তাঁর ট্রাস্টের পরিমাণ কয়েকগুণ বেড়ে যাবে। এছাড়াও ওয়েবসাইট ব্যবহার করে কম খরচে মার্কেটিং করার সুযোগ তো রয়েছেই যার বিনিময়ে আপনার গ্রাহক সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি হতেই থাকবে।

Address

Rajasthali
Rangamati
4540

Telephone

+8801608597057

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Freelancer Kayu Ching posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Freelancer Kayu Ching:

Share