25/05/2025
এম এন লারমা যদি বেঁচে থাকতেন এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের বর্তমান বাস্তবতা, বিশেষ করে পাহাড়ের চারটি আঞ্চলিক দলের মধ্যে সংঘাত ও বিভক্তি—দেখতেন, তাহলে তিনি সম্ভবত গভীর দুঃখ ও হতাশা প্রকাশ করে বলতেন-
"আমি স্বপ্ন দেখেছিলাম পাহাড় এক হবে। আজ যদি দেখি, পাহাড় নিজের হাতেই পাহাড়কে রক্তাক্ত করছে, তবে কিসের জন্য আমি আমার জীবন উৎসর্গ করেছিলাম?
যুদ্ধ করেছি বাঙালির বিরুদ্ধে নয়, অন্যায়ের বিরুদ্ধে। এখন যদি পাহাড়ি পাহাড়িকে মারে, তাহলে সেই অন্যায় তো আমরা নিজেরাই করছি।
আমরা আত্মনিয়ন্ত্রণ চেয়েছিলাম, জাতিসত্তার স্বীকৃতি চেয়েছিলাম, চেয়েছিলাম পাহাড়িদের সম্মিলিত ভবিষ্যৎ। এখন দেখি দলীয় স্বার্থে, ক্ষমতার লোভে আমরা নিজেরাই নিজেদের খণ্ডিত করে ফেলেছি।
এই হানাহানি থামাও। দল বড় না, জনগণ বড়। নেতা বড় না, জাতির মুক্তি বড়। যারা জনগণের নামে ক্ষমতা চালায় কিন্তু জনগণকে ভুলে যায়, তারা ইতিহাসে টিকে না।
চলো আবার এক হই। অস্ত্র রেখে আলোচনায় বসো। পাহাড়কে রক্ষা করতে হলে আগে নিজেদের মধ্যে ঐক্য ফিরিয়ে আনতে হবে। নইলে আমাদের স্বপ্নগুলো শুধু অজস্র কবর আর নিঃসঙ্গ স্মৃতিফলকে পরিণত হবে।"
মহান নেতা এম এন লারমা ছিলেন ঐক্য ও আত্মপরিচয়ের রাজনীতি করার একজন প্রতীক। আজ যদি তিনি থাকতেন, সম্ভবত তিনি সব দলের মধ্যে সংলাপ, সহমর্মিতা ও ঐক্যের আহ্বান জানিয়ে এক নতুন জাতীয় মুক্তির দৃষ্টিভঙ্গি দাঁড় করাতেন।
কিন্তু দু;খের বিষয় তিন পার্বত্য চট্টগ্রাম বর্তমানে এক বৃহৎ শবাসালে পরিণত হয়েছে। যেখানে পাহাড়িদের সম্মিলিত ভবিষ্যত দাউ দাউ করে পুড়ছে।
ছবিঃ প্রতিকী