15/09/2025
৮৬ তম জন্মদিনে মহান নেতা এম.এন লারমার স্মরণে জুমজার্নালে প্রকাশিত নেতার জীবনী নিয়ে ওয়েবপেজ।
১৫ সেপ্টেম্বর: এম.এন. লারমার জন্মদিনে শ্রদ্ধাঞ্জলি৷
[ ৮৬তম জন্মদিনে মহান নেতার স্মরণে জুমজার্নাল এ প্রকাশিত হলো বিশেষ ওয়েব পেইজ https://mnlarma.jumjournal.com/ ]
সবার প্রতি ঘুরে আসার আমন্ত্রন রইলো৷
১৯৩৯ সালের এইদিন রাঙামাটি জেলার নানিয়ারচর উপজেলার মহাপুরুম গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রামের জুম্ম জনগোষ্ঠীসহ পুরো বাংলাদেশের গরীব দুঃখী মেহনতী মানুষের এক বিপ্লবী কন্ঠস্বর, নাম মানবেন্দ্র বোধিপ্রিয় নারায়ণ লারমা (এম.এন. লারমা)।
১৯৭২ সালের গণপরিষদ নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে তিনি যখন সংসদে প্রবেশ করেন, তখন বার বার তাঁর কণ্ঠে প্রতিধ্বনিত হয়েছিল সমগ্র বাংলার কৃষক, শ্রমিক, দিনমজুর, রিকশাচালকসহ সকল শোষিত-নিপীড়িত মানুষের কথা। তিনি বারবার দাবি তুলেছিলেন- যেন সংবিধানে গরীব-দুঃখী মানুষের দু’বেলা দু’মুঠো ভাত খেয়ে বেঁচে থাকার অধিকারটুকু অন্তর্ভুক্ত করা হয়৷ তাই বলা হয়, তিনি শুধু পার্বত্য চট্টগ্রামের জুম্ম জনগণের নয়, বরং সমগ্র বাংলাদেশের গরীব-দুঃখী, মেহনতি মানুষের এক অনন্য কণ্ঠস্বর।
তাঁর সবচেয়ে ঐতিহাসিক মুহূর্ত হলো ১৯৭২ সালের সংবিধান প্রণয়নকালে প্রদত্ত সেই উক্তি, যা এখনো পার্বত্য চট্টগ্রামের জাতিসত্তার সংগ্রামের ভিত্তি৷ তিনি স্পষ্ট ভাষায় ঘোষণা করেছিলেন:
“আমি বাঙালি নই, আমার বাপ-দাদাও কোনোদিন বলেননি আমি বাঙালি। আমি একজন চাকমা, একজন পাহাড়ি। আমি জুম্ম জাতির মানুষ।”
এম.এন. লারমা বিশ্বাস করতেন জাতিসত্তার মর্যাদা, ন্যায্য অধিকার, অর্থনৈতিক মুক্তি এবং সমঅধিকার প্রতিষ্ঠা ছাড়া সত্যিকারের গণতন্ত্র কখনো সম্ভব নয়।
এই মহান নেতাকে আরো প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম ধরে বাঁচিয়ে রাখতে তাঁর জন্মদিনে জুমজার্নাল এর পক্ষ থেকে এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা৷ আশা করি আমাদের এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টার মাধ্যমে বর্তমান তরুণ প্রজন্ম এমএনলারমা কে নিয়ে জানার, তার আদর্শকে ধারন করার পথকে আরো সহজ করবে৷
#জুমজার্নাল #এমএনলারমা #মানবেন্দ্রনারায়ণলারমা #মানবেন্দ্র_নারায়ণ_লারমা #লারমা #পার্বত্যচট্টগ্রাম #সিএইচটি
#চিটাগাংহিলট্রাক্টস