
15/03/2025
"অন্ধকারের ছায়া"
রাতের শহর। আলো-আঁধারের মিশেলে রাস্তাগুলো যেন এক অন্য রূপ ধারণ করেছে। আরিফ তার অফিস থেকে ফিরছিল। দিনভর কাজের চাপে ক্লান্ত, তবুও সে হেঁটে বাড়ি ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। তার মনে হয়েছিল, হাঁটলে একটু প্রশান্তি মিলবে। কিন্তু সে জানত না, এই রাত তার জীবনে কী বিপদ ডেকে আনতে চলেছে।
রাস্তাটা একটু নির্জন। দু-একজন পথচারী ছাড়া কেউ নেই। আরিফ হেডফোনে গান শুনতে শুনতে এগিয়ে যাচ্ছিল। তার চারপাশে কী হচ্ছে, সে তেমন খেয়ালই করছিল না। হঠাৎ তার পেছনে কারো পায়ের শব্দ শোনা গেল। সে পিছনে তাকাল, কিন্তু কাউকে দেখতে পেল না। ভাবল, হয়তো তার কানে ভুল শোনাচ্ছে। সে আবার গান শুনতে শুরু করল।
কিছুক্ষণ পর আবার সেই শব্দ। এবার আরিফের গা শিউরে উঠল। সে দ্রুত পেছনে তাকাল, কিন্তু তেমন কাউকে দেখতে পেল না। তার মনে হলো, কেউ তাকে অনুসরণ করছে। সে গান বন্ধ করে দ্রুত পায়ে চলতে শুরু করল। কিন্তু পেছনের পায়ের শব্দও যেন তাল মিলিয়ে দ্রুত হতে লাগল।
আরিফের হৃদস্পন্দন বেড়ে গেল। সে বুঝতে পারছিল, সে বিপদে আছে। তার সামনে একটি গলি দেখা গেল। সে ভাবল, গলিতে ঢুকে হয়তো পেছনের লোকটিকে এড়ানো যাবে। কিন্তু গলিটা ছিল অন্ধকারে ঢাকা। আরিফ গলিতে ঢুকতেই পেছন থেকে কেউ তাকে জড়িয়ে ধরল। তার মুখ চেপে ধরা হলো। সে চিৎকার করতে চাইল, কিন্তু কোনো শব্দ বের হলো না।
সে লড়াই করতে লাগল, কিন্তু আক্রমণকারীর শক্তির কাছে সে অসহায়। হঠাৎ দূরে পুলিশের সাইরেনের শব্দ শোনা গেল। আক্রমণকারী ভয় পেয়ে আরিফকে ছেড়ে দিল এবং অন্ধকারে মিশে গেল। আরিফ মাটিতে পড়ে গেল, তার শরীর কাঁপছিল। কিছুক্ষণ পর পুলিশ গলিতে ঢুকল এবং তাকে উদ্ধার করল।
পুলিশ তাকে জানাল, এই এলাকায় বেশ কয়েকদিন ধরে এমন ঘটনা ঘটছে। তারা সতর্ক থাকার পরামর্শ দিল। আরিফ বুঝতে পারল, তার অসতর্কতাই তাকে বিপদে ফেলেছে। সে যদি হেডফোনে গান না শুনে চারপাশে খেয়াল রাখত, যদি নির্জন রাস্তা এড়িয়ে চলত, তাহলে এই ঘটনা এড়ানো যেত।
**শিক্ষা:** রাস্তায় চলাফেরার সময় সতর্ক থাকুন। নির্জন বা অন্ধকার রাস্তা এড়িয়ে চলুন। হেডফোনে গান শুনে বা মোবাইলে ব্যস্ত থাকলে চারপাশের দিকে খেয়াল রাখুন। বিপদের সম্ভাবনা দেখলে দ্রুত নিরাপদ স্থানে চলে যান এবং সাহায্যের জন্য চিৎকার করুন। মনে রাখবেন, সতর্কতাই আপনার নিরাপত্তার প্রথম সুরক্ষা।