সংগঠনের নিজস্ব মনোগ্রাম আছে -
সংগঠনের ধরণ :
একটি শিক্ষামূলক সংগঠন ।এটি সম্পূর্ণ সেবামূলক, অরাজনৈতিক, অলাভজনক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।
২। প্রধান কার্যালয় : আপাদত নানিয়ারচর উপজেলার এর ভিতর যেকোন সুবিধাজনক জায়গায় এর কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
৩। কার্য এলাকাঃ- বর্তমানে সমগ্র নানিয়ারচর উপজেলা। আগামীতে রাঙামাটি জেলা ও
ভবিষ্যতে যদি এর প্রসার ঘটে তাহলে সমগ্র বাংলাদেশে এর বিস্তৃতি লাভ করবে।
৪। উদ্দেশ্য ও লক্ষ্যঃ
উদ্দেশ্যঃ মূখ্য উদ্দেশ্য হল উন্নয়ন । সামাজ ও মানুষের উন্নয়নে এই সংস্থাটি কাজ করবে। অন্যতম উদ্দেশ্য হল দুস্থ-অসহায়দের পাশে দারান।
লক্ষ্যঃ স্বপ্নচূড়ার লক্ষ্য হচ্ছে অসহায় ও দরিদ্র মানুষের সেবার মাধ্যমে সুন্দর ও সুখী সমাজ গড়ে তোলা। যে সমাজে থাকবে না অসহায় মানুষের আর্তনাদ, আর্থিক অভাবের কারনে স্কুল পড়ুয়া ছাত্রছাত্রীদের ঝরে পড়া এবং চিকিৎসার অভাবে অকাল মৃত্যু । অর্থাৎ, আমাদের সাধ্যের মধ্যে অসহায় ও দারিদ্রের সার্বিক সহযোগিতা করা। এছাড়াও ভবিষ্যতে শিক্ষা প্রসারের সাথে সাথে বেকার যুবকদের জন্যে কর্মসংস্থান গড়ে তোলার কর্মসূচি হাতে নিব ইনশাআল্লাহ ।
৫। সদস্যপদ নিয়মাবলী ও শর্ত।
কেবল মাত্র উৎসাহিত ও সংগঠনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য, গঠনতন্ত্রের সাথে সমমনা কর্মীগণ এ সংগঠনের সদস্য হতে পারবে।
__________________________________
* যোগ্যতাঃ- আগ্রহী ব্যক্তিকে অবশ্যই নূন্যতম এস.এস.সি পাশ হতে হবে।
* দুঃখী-দরিদ্র মানুষের সেবা করার মানসিকতা থাকতে হবে।
* প্রতি মাসের প্রথম শুক্রবার সকাল ১০ টায় উক্ত সংগঠনের মিটিং আহ্বান করা হবে আর এই মিটিং-এ উপস্থিত থাকতে হবে।
* সংগঠন কর্তৃক মাসিক ধার্যকৃত চাঁদা জমা দিতে হবে।
* অবশ্যই নম্র ভদ্র ও উত্তম আচরণের অধিকারি হতে হবে।
* সংগঠনের সকল সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
* যেহেতু আমরা স্বেচ্ছাসেবক হিসাবে কাজ করব, নিজ স্বার্থ হাসিল করার জন্যে স্বপ্নচূড়ার সাথে যুক্ত হওয়া যাবে না।
* নিজেদের ভিতর কোন বিষয় নিয়ে গ্রুপিং করা যাবে না।
* কোন স্বেচ্ছাসেবক আইন বিরোধী কাজে লিপ্ত থাকলে, তার দায়ভার “স্বপ্নচূড়া"' অথবা অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবক গ্রহণ করবে না।
* স্বপ্নচূড়া'র কাজে বাধা সৃষ্টি করে এমন কর্মকান্ড ঘটানো যাবে না।
* সকল স্বেচ্ছাসেবকই একে-অপরের ভাই-বোন সমতুল্য, নিজেদের ভিতর একাত্মতা ও সুসম্পর্ক বজায় রাখতে হবে, আচার-আচারণ মার্জিত ও রুচিশীল হতে হবে।
* নির্বাহী পরিষদ যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে তা সকল সদস্যকে অবশ্যই মানতে হবে। তবে ঐ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যদি কোন স্বেচ্ছাসেবকের কোন অভিমত থাকে, তাহলে সে তার অভিমত প্রকাশ করতে পারবে। যৌক্তিক হলে তা অবশ্যই ভেবে দেখা হবে।
(৬) সদস্য হওয়ার উপায়ঃ-
সদস্য ফরম সংগ্রহ করে তা যথাযথ পূরণ করে জমা দিতে হবে অথবা অনলাইনে www……………………… থেকে পূরণ করে নিতে হবে।
(৭) সদস্য পদ বাতিলের/স্থগিতের নিয়মাবলী :
(ক) কোন সদস্যের নামে যদি অসামাজিক কর্মকান্ডের যথার্থ প্রমাণ পাওয়া যায় তাহলে তার সদস্য পদ বাতিল গণ্য হবে।
(খ) যদি কোন সদস্যের ৩ মাসের চাঁদা বকেয়া থাকে তাহলে তার সদস্যপদ বাতিল হবে।
(গ) বছরে নূন্যতম ৪ টি মিটিং-এ অবস্থিত থাকতে হবে (১২ টির মধ্যে) অন্যথায় সদস্যপদ বাতিল হয়ে যাবে ।
(ঘ) সংগঠনের স্বার্থের পরিপন্থী কোন কর্মকান্ডের জড়িত হলে।
(ঙ ) কোন সদস্য স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করলে
(৮) বাতিলকৃত পদ পুনর্বহাল-এ করনীয়ঃ
(ক) সভাপতির নিকট বাতিলকৃত পদের পুনর্বহালের জন্যে আবেদন করতে হবে সেই সাথে জবাবদিহিতার লিখিতও দিতে হবে।
এখানে উল্লেখযোগ্য যে, আবেদনটি সংগঠনের বিশেষ সভার মাধ্যমে বিবেচিত হবে এবং বকেয়া থাকলে তা পরিশোধ করতে হবে।
(৯) সাহায্য/ সেবা পাওয়ার উপায়ঃ-
সাহায্য গ্রহনে ইচ্ছুক ব্যাক্তিকে কোন সদস্যের মাধ্যমে নির্দিষ্ট ফরম পূরণ করে সাহায্য গ্রহন করতে হবে । এক্ষেত্রে লক্ষণীয় যে, আবেদনটি সাধারণ সভায় গৃহীত হলেই উক্ত ব্যক্তি কাঙ্ক্ষিত সেবা পাবে।
(১০) সদস্য ব্যতীত অন্য ব্যক্তিদের অর্থদান প্রসঙ্গেঃ-
এমন কোন ব্যক্তি যিনি সংগঠনের সদস্য নয় তার দানকৃত অর্থ গ্রহণ হবে যদি উক্ত দান তা স্বত্ত/ নিঃস্বার্থ ও নি;শর্ত ভাবে হতে হবে।
১১। সংস্থার তহবিল সংক্রান্তঃ-
ক) সংস্থার একটি মাত্র তহবিল থাকবে, যা একটি ব্যাংকে চলতি হিসাব নামে থাকবে।
খ) সংস্থার সকল লেনদেন, কার্যবিবরনি ও বার্ষিক আয়ব্যয় এর হিসাব বার্ষিক সভায় পেশ করতে হবে।
গ) তহবিলের লেনদেন নির্দিষ্ট যে কোন নূন্যতম ২ জনের সাক্ষরে হতে হবে ।
১২।। সভা অনুষ্ঠানঃ
(ক) প্রতি মাসে নির্বাহী ও সাধারণ সদস্যদের নিয়ে একটি সভা হবে।
( খ) প্রতি মাসে সম্ভব না হলে ২ মাস অন্তর অন্তর সভার আয়োজন করতেই হবে।
(১৩)সাংগঠনিক কাঠামোঃ-
এই সংস্থাটি ৩ স্তর বিশিষ্ট সাংগঠনিক কাঠামো দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। যথাঃ-
(ক) উপদেষ্টা পরিষদ ।
(খ) নির্বাহী পরিষদ ।
(গ) সদস্য ।
উপদেষ্টা পরিষদের গঠন প্রকৃতিঃ-
উক্ত উপজেলার সম্মানিত ও প্রজ্ঞাবান ব্যক্তিদের সমন্বয়ে এই সংস্থার উপদেষ্টা পরিষদ গঠিত ।
উপদেষ্টার মূল্যবান পরামর্শের মাধ্যমে সংগঠন তার কার্য বিস্তৃত করছে।
নির্বাহ পরিষদের গঠন প্রকৃতিঃ
১। সভাপতি -১ জন
২। সহ সভাপতি -১ জন
৩।সাধারণ সম্পাদক -১ জন
৪।যুগ্ন সম্পাদক -১ জন
৫।সাংগঠনিক সম্পাদক -১ জন
৬।প্রচার সম্পাদক -১ জন
সর্বমোট ৬ জন ।
# নির্বাহ পরিষদের কাজঃ-
১. সাধারণ সভা ও অন্যান্য সভার আহ্বান করবে ।
২. বিষেশ প্রয়োজনে সভাপতির আহ্বানে জরুরী সিদ্ধান্তের মাধ্যমে কোন সিদ্ধান্ত গ্রহন করবে ।
৩. সভায় গৃহিত সিদ্ধান্ত সভাপতি ও সা. সম্পাদকের সাক্ষরে বাস্তবায়িত হবে।
৪. নির্বাহি পরিষদে সংঠনের যাবতীয় কার্যাবলির চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত প্রদানকারি ও নীতি নির্ধারক বলে বিবেচিত হবে।
৫. নির্বাহী পরিষদ দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যের সম্মতিক্রমে সংগঠনের মূল উদ্দেশ্যের সাথে সংগতিপূর্ন গঠনতন্ত্রের সংশোধন,পরিবর্তন, পরিবর্ধন ও সংযোজন করতে পারবে ।
৬. সংগঠনের বার্ষিক আয়-ব্যয় এর হিসাব পরিক্ষা-নিরিক্ষা ও অনুমোদন করবে।
৭. সার্বিক উন্নয়ন ও আয় বৃদ্ধির জন্য কার্যকরি পদক্ষেপ গ্রহন করবে।
৮. বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের জন্য সদস্যদের নির্দেশ প্রদান করবেন।
# সভাপতির দায়িত্বঃ
১. সংগঠনের প্রধান বলে বিবেচিত হবেন।
২. সভার সভাপতিত্ব করবেন।
৩. সংগঠনের নির্বাহী পরিচালকের দায়িত্বে থাকবেন।
৪. সংগঠনের স্বার্থে ও কল্যানে যেকোনো দায়িত্ব পালন করবেন।
৫. বিশেষ প্রয়োজনে জরুরী সভার আহ্বান করবেন।
৬. সভা পরিচালনার পূর্ণ দায়িত্ব পালন করবেন ।
# সহ-সভাপতির দায়িত্বঃ
১. সভাপতির সকল কাজে সাহায্য করবেন।
২. সভাপতির অনুপস্থিতে সভাপতির দায়িত্ব পালন করবেন ।
৩. নির্বাহী পরিষদের অর্পিত দায়িত্ব পালন করবেন।
# সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বঃ
১. সকাল প্রকার যোগাযোগ, চিঠি লেখা ও চিঠিপত্র ইস্যুতে সাক্ষর প্রধান করবেন।
২. সংগঠনের কর্মসূচী, কার্যক্রম, প্রকল্প প্রস্তাবনা প্রনয়ন করবেন।
৩. সকল প্রকার কাগজপত্র, দলিল ও তথ্যাদি রক্ষানাবেক্ষন করবেন।
৪. সকল প্রকার বিল, ভাউচার লেনদেন পরীক্ষানিরীক্ষা করবেন।
৫. প্রসাসন, বাজেট তৈরি, প্রকল্প প্রনয়ন এবং কার্যক্রম বাস্তবায়নে সাহায্য করবেন।
৬. নির্বাহী পরিষদের অর্পিত দায়িত্ব পালন করবেন।
# যুগ্ন সম্পাদকঃ
১. সাধারণ সম্পাদকের সকল কাজে সাহায্য করবেন।
২. সাধারণ সম্পাদকের অনুপস্থিতে সভাপতির দায়িত্ব পালন করবেন ।
৩. নির্বাহী পরিষদের অর্পিত দায়িত্ব পালন করবেন।
# সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্বঃ
১. সংগঠনের কার্যক্রমকে গতিশীল রাখার জন্য পদক্ষেপ গ্রহন করবেন।
২. সংগঠনের কার্যক্রমে স্থিরতা দেখা দিলে তা নির্ণয় করে সভাপতি ও সা. সম্পাদকের সাথে কথা বলে সমাধান করতে হবে।
৩. সংগঠনের সভায় বা কার্যক্রমে সদস্যের অনুপস্থিতি, সংগঠনের স্বার্থ বিরুধী কাজ নির্নয় করে তা সভায় পেশ করবে।
# প্রচার সম্পাদকের দায়িত্বঃ
১. সকল প্রকার প্রচার ও প্রসার করবে।
২. প্রয়োজনে সংবাদ সম্বেলন করবে।
৩. সংগঠনের সকল প্রকার প্রকাশনার ডিজাইন ও প্লান করবেন।
# অন্যান্যঃ
১. সংগঠনের সকল বিপদে- আপদে নির্বাহি পরিষদসহ সবাই পাশে থাকবে।
২. সংগঠনের সকল সদস্যদের সংগঠনের উন্নয়নে সর্বদা সচেষ্ট থাকবেন।
৩. নির্বাহি পরিষদসহ সকল সদস্য নিঃস্বার্থভাবে কাজ করার জন্য অঙ্গীকারাবদ্ধ থাকবেন ।
৪. কোন অভিযোগ বা পরামর্শের জন্য নির্বাহী পরিষদের সাথে যোগাযোগ করবেন।
১৪।। সংগঠনের জন্য আইন পালনীয়ঃ
অত্র গঠনতন্ত্রে যা কিছু উল্লেখ্য থাকুক না কেন উক্ত সংস্থাটি ১৯৬১ সালের ৪৬ নং অধ্যাদেশের আওতায় এবং দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী সকল কার্যক্রম পরিচালিত হবে । তাছাড়া অন্যান্য কার্যক্রম সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের অনুমোদন সাপেক্ষে কার্যকরি হবে।