Rashis Chakma

Rashis Chakma No one saves us but ourselves. No one can and no one may. We ourselves must walk the path.

- Buddha

05/06/2025
আমরা আবার মাস্ক পরার দিকে ফিরে যাচ্ছি। COVID-Omicron XBB অতীতের থেকে আলাদা কারণ এটি মারাত্মক এবং সনাক্ত করা সহজ নয়, তাই...
04/06/2025

আমরা আবার মাস্ক পরার দিকে ফিরে যাচ্ছি। COVID-Omicron XBB অতীতের থেকে আলাদা কারণ এটি মারাত্মক এবং সনাক্ত করা সহজ নয়, তাই সকলকে মাস্ক পরার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

১. নতুন COVID-Omicron XBB এর লক্ষণগুলি হল:

i). কাশি নেই।
ii). জ্বর নেই।

iii). জয়েন্টে ব্যথা।

iv). মাথাব্যথা।
v). গলা ব্যথা।

vi). পিঠে ব্যথা।

vii). নিউমোনিয়া।

viii). ক্ষুধা নাটকীয়ভাবে হ্রাস পেয়েছে।

২. এছাড়াও, COVID-Omicron XBB ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের তুলনায় ৫ গুণ বেশি বিষাক্ত এবং এর মৃত্যুর হারও বেশি।

৩. খুব অল্প সময়ের মধ্যে লক্ষণগুলি অত্যন্ত তীব্র হয়ে উঠবে এবং স্পষ্ট লক্ষণগুলির অনুপস্থিতিতেও পরিবর্তন ঘটবে।

৪. তাই আপনাকে আরও সতর্ক থাকতে হবে।

* এই রূপটি নাসোফ্যারিঞ্জিয়াল অঞ্চলে পাওয়া যায়নি, এবং তুলনামূলকভাবে অল্প সময়ের মধ্যে এটি সরাসরি ফুসফুসের "জানালা" প্রভাবিত করে এবং নিউমোনিয়ার লক্ষণ দেখাতে শুরু করে।

৫. COVID-OmicronXBB-তে সংক্রামিত অল্প সংখ্যক রোগীকে জ্বর-মুক্ত এবং ব্যথা-মুক্ত হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়, তবে এক্স-রেতে হালকা নিউমোনিয়া দেখা যায়। এছাড়াও, নাকের গহ্বরের মধ্য দিয়ে তুলার সোয়াব পরীক্ষা করে COVID-Omicron XBB নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে এবং নাসোফ্যারিঞ্জিয়াল পরীক্ষার সময় মিথ্যা নেতিবাচক পরীক্ষার উদাহরণ বাড়ছে। তাই এই ভাইরাসটি খুবই ধূর্ত। এর ফলে, ভাইরাসটি সম্প্রদায়ের মধ্যে সহজেই ছড়িয়ে পড়ে, সরাসরি মানুষের ফুসফুসকে সংক্রামিত করে, ভাইরাল নিউমোনিয়া সৃষ্টি করে এবং তীব্র শ্বাসকষ্টের সমস্যা সৃষ্টি করে। এটি ব্যাখ্যা করে যে কেন COVID-Omicron XBB এত সংক্রামক এবং মারাত্মক হয়ে উঠেছে। *

৬. যতটা সম্ভব জনাকীর্ণ স্থান এড়িয়ে চলুন, খোলা জায়গায় এমনকি ১.৫ মিটার দূরত্ব বজায় রাখুন, মাস্কের উপযুক্ত স্তর পরুন এবং লক্ষণ ছাড়া কাশি বা হাঁচি না দিলে ঘন ঘন হাত ধুয়ে নিন।

এই COVID-Omicron XBB "WAVE" প্রথম COVID-19 মহামারীর চেয়েও মারাত্মক।
* অতএব, বিচক্ষণ, বৈচিত্র্যময় এবং নিবিড় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা আবশ্যক।

অনুগ্রহ করে আপনার আত্মীয়স্বজন এবং বন্ধুদের যতটা সম্ভব বলুন।

নিরাপদ থাকার জন্য বাইরে বের হওয়ার সময় মাস্ক পরতে ভুলবেন না।

©

কথায় আছে মা ভালো হলে সন্তানও ভালো হয়৷ কথাটা আক্ষরিক অর্থেই সত্যি। একজন ভালো মায়ের কী কী বৈশিষ্ট্য থাকে আসুন জেনে নিই।• ১...
29/05/2025

কথায় আছে মা ভালো হলে সন্তানও ভালো হয়৷ কথাটা আক্ষরিক অর্থেই সত্যি।
একজন ভালো মায়ের কী কী বৈশিষ্ট্য থাকে আসুন জেনে নিই।
• ১. একজন ভালো মা সন্তানের সামনে কখনো মিথ্যা বলেন না।

২. ভালো মা সন্তানকে সব বিষয়ে ছাড় দেন না। কখনো সন্তানের অন্যায় বায়না কে প্রশ্রয় দেন না।

৩. নিজের স্বার্থসিদ্ধির জন্য কোনো অনৈতিক কাজের আশ্রয় নেন না।

৪. প্রকৃত মা সবসময় পরিশ্রমী হয়ে থাকেন। সন্তানও পরিশ্রমের শিক্ষা পেয়ে থাকে।

৫. সন্তানকে অন্য কারো বিরুদ্ধে যাওয়ার শিক্ষা দেন না। মিলেমিশে থাকার শিক্ষা দেন।

৬. সন্তান ভালো করলে উৎসাহ দেন। খারাপ করলে চুপ থাকেন না। বরং শাসন করেন।

৭. তিনি ধৈর্যশীল হন। সামান্য ব্যাপারে বিচলিত হন না। ধৈর্য সহকারে গোটা বিষয় পর্যবেক্ষণ করেন।
_____________

⚡এই ছবিটি একটি অনুপ্রেরণামূলক (মোটিভেশনাল) চিত্র যা সফলতার (Success) দিকে পৌঁছানোর ধাপগুলোর একটি প্রতীকী রূপ তুলে ধরেছে।...
28/05/2025

⚡এই ছবিটি একটি অনুপ্রেরণামূলক (মোটিভেশনাল) চিত্র যা সফলতার (Success) দিকে পৌঁছানোর ধাপগুলোর একটি প্রতীকী রূপ তুলে ধরেছে। ছবির মূল বার্তাটি হলো — সফলতা অর্জন কোনো তাৎক্ষণিক বিষয় নয়, এটি একটি ধাপে ধাপে উপরে ওঠার প্রক্রিয়া।
নিচ থেকে ওপরে সফলতার পথকে ব্যাখ্যা করা যাক:
---
✍️
১. Hard Work (কঠোর পরিশ্রম)
প্রথম ধাপই হলো কঠোর পরিশ্রম। সফলতার ভিত্তি এই জায়গাতেই তৈরি হয়। বিনা পরিশ্রমে কিছুই অর্জন করা যায় না। সময়, শক্তি, আর মানসিক স্থিতিশীলতা দিয়ে নিরলস চেষ্টা চালিয়ে যেতে হয়।
---
✍️
২. Commitment (অঙ্গীকার)
পরিশ্রমের সঙ্গে যদি প্রতিশ্রুতি বা অঙ্গীকার না থাকে, তাহলে লক্ষ্যচ্যুতি ঘটে। নিজের লক্ষ্য ও দায়িত্বের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকা জরুরি।
---
✍️
৩. Passion (উদ্দীপনা/উৎসাহ)
যে কাজে আপনি আগ্রহী নন, তাতে দীর্ঘদিন মনোযোগ ধরে রাখা কঠিন। সাফল্যের পথে প্যাশন বা গভীর ভালোবাসা একটি বড় চালিকা শক্তি।
---
✍️
৪. Failures (ব্যর্থতা)
ছবিতে দেখানো হয়েছে ব্যর্থতাও একটি ধাপ — কারণ ব্যর্থতা হলো শিক্ষা নেওয়ার জায়গা। প্রতিটি ব্যর্থতা নতুন কিছু শেখায় এবং আমাদের অভিজ্ঞ করে তোলে।
✍️
---
৫. Goal (লক্ষ্য)
সফলতা পাওয়ার জন্য একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য থাকা আবশ্যক। লক্ষ্যহীন পরিশ্রম অনেক সময় ব্যর্থতায় গড়ায়। তাই নিজের গন্তব্য ঠিক করতে হবে এবং সেখানে পৌঁছানোর জন্য প্রতিটি ধাপ নিতে হবে।
✍️
---
৬. Success (সফলতা)
এই সবকিছুর ফলাফল হলো সফলতা। এটি সময়সাপেক্ষ, কিন্তু যদি উপরের প্রতিটি ধাপ ঠিকভাবে অনুসরণ করা যায়, তাহলে সাফল্য অবশ্যম্ভাবী।
🎗️
---
মোটিভেশনাল দিকনির্দেশনা:
ধৈর্য ধরুন: সফলতা একদিনে আসে না। সময় লাগে। কিন্তু যদি মনোবল অটুট থাকে, তাহলে কোনো কিছুই অসম্ভব নয়।
ভয়কে জয় করুন: ব্যর্থতাকে ভয় না পেয়ে শিখে আবার এগিয়ে যান।
নিজেকে বিশ্বাস করুন: নিজে নিজের সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা হতে পারেন।
পরিবেশ নয়, মনোভাব গুরুত্বপূর্ণ: বাইরের পরিস্থিতি আপনার নিয়ন্ত্রণে না-ও থাকতে পারে, কিন্তু আপনার মানসিকতা ও প্রচেষ্টা পুরোপুরি আপনার হাতে।
---
💥
উপসংহার:
এই ছবিটি আমাদের শেখায় যে, সফলতা একটি সিঁড়ির মতো — যার প্রতিটি ধাপে রয়েছে পরিশ্রম, অঙ্গীকার, উৎসাহ, ব্যর্থতা, লক্ষ্য এবং শেষ পর্যন্ত সফলতা। প্রতিটি ধাপে নিজেকে আরও দৃঢ়ভাবে প্রস্তুত করতে হবে। ✅

ব্যর্থ সমাজ চিনবেন কিভাবে? ১২ টি লক্ষণ আছে যা দেখে আপনি ব্যর্থ সমাজ চিনতে পারবেন:১. ব্যর্থ সমাজে মানুষ জ্ঞান-বিজ্ঞানে জে...
28/05/2025

ব্যর্থ সমাজ চিনবেন কিভাবে? ১২ টি লক্ষণ আছে যা দেখে আপনি ব্যর্থ সমাজ চিনতে পারবেন:

১. ব্যর্থ সমাজে মানুষ জ্ঞান-বিজ্ঞানে জেগে ওঠে না, জেগে ওঠে হুজুগে। সেখানে বই পড়া, মুক্তচিন্তা, বিজ্ঞানচর্চার অভ্যাস কম থাকে।

২. ব্যর্থ সমাজে মানুষ অর্থহীন সস্তা বিনোদনের পিছনে ছোটে। ফলে সস্তা বিনোদন দিয়েও এক শ্রেণীর মানুষ রাতারাতি প্রচুর জনপ্রিয়তা পায়।

৩. ব্যর্থ সমাজে দুর্নীতিবাজদের সবচেয়ে সফল মানুষ হিসেবে গণ্য করা হয়। লোকের চোখে তারাই রোল মডেল।

৪. ব্যর্থ সমাজে অশিক্ষিতরা আপনার ভাগ্য নির্ধারণ করার দায়িত্ব নেয়। মানুষ শিক্ষাকে কম, টাকা আর ক্ষমতাকে বেশি মূল্যায়ন করে।

৫. ব্যর্থ সমাজে প্রতিটি চিন্তাশীল মানুষের বিপরীতে হাজার হাজার বোকার হদ্দ থাকে এবং প্রতিটি সচেতন শব্দের বিপরীতে থাকে শত শত পচনশীল শব্দ।

৬. ব্যর্থ সমাজে উদ্যোক্তার চেয়ে চাকরিজীবীর দাম বেশি হয়। সেখানে উদ্যোক্তাদের কেউ সম্মান করে না।

৭. ব্যর্থ সমাজে চিন্তাশীল ব্যক্তির মূল্য বা ওজন কেউ বোঝে না। যে কঠিন সত্য বলে বাস্তবতাকে জাগিয়ে তোলার চেষ্টা করে তাকে কেউ গ্রহণ করে না।

৮. ব্যর্থ সমাজে তরুণ প্রজন্মের সামনে মহৎ কোনো লক্ষ্য থাকে না। যুবসমাজ সেখানে শর্টকাটে বড়লোক হবার রাস্তা খোঁজে।

৯. ব্যর্থ সমাজে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ হয় নির্বোধ। সমাজের তুচ্ছ বিষয় নিয়ে মানুষ আলোচনায় মেতে থাকে, মূল টপিকগুলো হারিয়ে যায়।

১০. ব্যর্থ সমাজে অর্থহীন তত্ত্ব দিয়ে মানুষকে দিনের পর দিন নেশাগ্রস্ত করে রাখা হয়। লোকজন এই নেশা কাটিয়ে উঠে সৃষ্টিশীল কাজে মনোনিবেশ করতে পারে না।

১১. ব্যর্থ সমাজে প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সবার একটি করে মতামত থাকে, কারণ সবাই সেখানে সবজান্তা!

১২. ব্যর্থ সমাজে মানুষ সমস্যার উপর দিয়ে ভেসে বেড়ায়, কিন্তু গভীরে প্রবেশ করতে পারে না। সমস্যা সমাধানের চেয়ে অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপাতে সবাই বেশি সিদ্ধহস্ত হয়।

"অমুক মাছ কেটে দিনে দশ হাজার কামাচ্ছে""লাউয়ের বাগান করে কোটিপতি""চাকরি ছেড়ে গোবর আর কেঁচো নাড়াচাড়া"এসব গল্প এখন অনেকেই শ...
28/05/2025

"অমুক মাছ কেটে দিনে দশ হাজার কামাচ্ছে"
"লাউয়ের বাগান করে কোটিপতি"
"চাকরি ছেড়ে গোবর আর কেঁচো নাড়াচাড়া"
এসব গল্প এখন অনেকেই শোনায়।

তরুণদের জন্য, এই ফাঁদে পড়বেন না। একদম নিজের চোখে দেখা অভিজ্ঞতা। আমাদের বয়সী একজন, ওয়েল পেইড জব ছেড়ে এইসব কুইক ক্যাশের নেশায় পড়ে গেলো। এখন হাউমাউ করে মরছে।

১। আপনি যা-ই করেন, সেটার এক্সপান্ডিবিলিটি থাকতে হবে। ধরুন, একজন রিকশাওয়ালা, সে ডিসেন্ট আয় করে, এন্ট্রি লেভেল চাকরিজীবীর চেয়ে বেশী। রিকশাওয়ালা ৩০ হাজার কামায় আর জবে নতুন হলে ১৫ হাজার বেতন - সবাই আপনাকে এটুকুই বলবে।

এবার পরের হিসাবটা, ধরুন ওই রিকশাওয়ালা তার ইনকাম ডাবল করতে চায়, বা ইভেন বাড়াতে চায়। তার জন্য একমাত্র অপশন রিকশা চালানোর সময় বাড়িয়ে দেওয়া। ডাবল করতে চাইলে তাকে ১০ ঘন্টার জায়গায় ২০ ঘণ্টা রিকশা চালাতে হবে। এটা কী ফিজিকালি পসিবল? সাথে বৃষ্টি, রোদ, ছুটির দিনে কাজে না গেলে আয় নেই।
বা যে মাছ কাটছে তাকে ডাবল মাছ কাটতে হবে।

কিন্তু এন্ট্রি লেভেলের জবে ৪/৫ বছরে বেতন ডাবল হয়ে যাওয়া খুবই স্বাভাবিক, কোনো অতিরিক্ত ঘন্টা না বাড়িয়েই।

২। আপনি যে কাজটা করতে চান সেটা তো ভালো লাগতে হবে। ফেসবুকের এক লাইকখোরের লেখা পড়ে আপনি সিদ্ধান্ত নিলেন বাজারে বসে মাছ কাটবেন, চাকরীর ডাবল ইনকাম। ভেবে দেখুন, আগামী ত্রিশ বছর আপনি বটি ঘাড়ে করে মাছবাজারে গিয়ে নোংরা জলের মধ্যে বসে মাছ নাড়াচাড়া করতে রাজি আছেন কিনা।

৩। লাইফস্টাইলের ব্যপার রয়েছে। আপনার যখন তেমন ইনকাম ছিলো না আপনি বাইক চালাতেন। সামনে টাকা হবে, গাড়ী কিনবেন। কিন্তু এসব কাজে তার কাজ কী? গাড়ী চালিয়ে কি আপনি ঝালমুড়ি বেচতে যাবেন?

৪। চাকরিজীবি বা ডিসেন্ট লেভেলের উদ্যোক্তা হলে আপনি তার সাথে একটা লাইফস্টাইল আর নেটওয়ার্ক বাই ডিফল্ট পাবেন। এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। ধরুণ, আপনি একটা স্টেশনারি কোম্পানির মার্কেটিংয়ে জব করেন। আপনি আজ এই ভার্সিটিতে, কাল ওই ঝকঝকে অফিসে বিটুবি ডিল করতে যাবেন। কত হাই স্কিল লোকের সাথে পরিচিতি হবে, কন্টাক্ট বিনিময় হবে।

কিন্তু আপনি টাকা দেখে রাস্তায় ঝুড়ি নিয়ে দাড়ালেন। আপনার নেটওয়ার্ক হবে পাশের বাদামওয়ালা, গান গাওয়া ভিক্ষুক। ওই বাদামওয়ালার এই মুহুর্তের সবচেয়ে বড় চিন্তা সে কতক্ষণে সব বিক্রি করে ঘরে যাবে। আগামীকালও সে একই কাজ করবে। আপনার মত তার অ্যাম্বিশন নেই, বড় কিছু করার ইচ্ছে নেই, দেশ-মানুষের উপকারে আসার খায়েশ নেই।

মনে রাখবেন, Your network is your net-worth

৫। আর এইসব পেশায় যে খুব বেশী ইনকাম হয় তাও কিন্তু না। শিরোনামে লেখা 'চাকরি ছেড়ে লাউ চাষে লাখপতি'। ভিতরে লিখেছে এক বছরে তার আয় তিন লাখ টাকা। মানে ওই লোক মাসে ২৫,০০০ টাকা কামায়, সেটা আবার নিউজ!

তাই এইসব ভুয়া মোটিভেশনের ফাঁদে পড়বেন না। প্রতিবছর নিউজ মিডিয়াগুলো নিজেদের স্বার্থেই এরকম নিউজ করে। গত পাঁচ বছরে তো নিউজ কম দেখেন নি, আইফোন হাতে বাদামওয়ালা, ডিএসএলআর হাতে খিচুড়ি বিক্রেতা। প্রশ্ন হলো তারা এখন কোথায়? তারা এখনো কেন সেই রাস্তায় বসছে না আর ওরকম আয় করছে না? তাহলে এগুলো রিলায়েবল পেশা হয় কিভাবে?

কোন কাজই ছোট নয়। কিন্তু সব কাজই যে আপনার ফিল্ড, তা-ও নয়।
আপনার কাছে খুব ভালো একটা প্লান আছে, কিন্তু পঞ্চাশ হাজার টাকার জন্য আপনি এগোতে পারছেন না। এখন আপনি যদি মাছ কুটে, বাদাম বেঁচে ওই পঞ্চাশ হাজার টাকা জোগাড় করে ফেলতে পারেন, তাহলে সেটা ঠিক আছে। কিন্তু যেভাবে এসব পেশাকে সরাসরি একটা ওয়েল পেইড জবের বিকল্প হিসেবে দেখানো হচ্ছে, তা মোটেও রিয়েলিস্টিক নয়।

#𝑪𝒐𝒍𝒍𝒆𝒄𝒕𝒆𝒅

27/05/2025

☸✫*•. বৌদ্ধধর্মে নিষিদ্ধ পঞ্চ বাণিজ্য
কী কী? .•*✫☸

কর্ম বহুল জীবনে মানুষের পেশার অন্ত
নেই। শুদ্ধ পবিত্র জীবন যাপন
করতে হলে পেশা পবিত্র সুন্দর নির্মল
পরিশুদ্ধ হওয়া প্রয়োজন, শুধু অর্থ
উপার্জনে কিংবা সম্মান
লাভে পেশা শুদ্ধ পবিত্র সুন্দর হয় না।
যে পেশা শক্তির দ্বারা অপর কোন
প্রাণীকে প্রবঞ্চনা করতে হয়,
পীড়া দিতে হয়, অপর
প্রাণীকে হত্যা করতে হয়,
সে পেশা বা জীবিকা কোন দিন, কোন
সময় সুন্দর পরিশুদ্ধ হয় না। তাই
মহাকারুণিক বুদ্ধ পাঁচ প্রকার অকুশল
পাপময় অপরিশুদ্ধ মিথ্যা জীবন
জীবিকা বাণিজ্যকে নিষিদ্ধ করেছেন।
তিনি দেশনা করেছেন- ‘‘অস্ত্র,
প্রাণী, মাংস, মদ্য/নেশা, বিষ এ পঞ্চ
বাণিজ্য করবে না।
এগুলো মিথ্যা জীবিকা, ধর্মের
পরিপন্থী।’’
ক) সত্থ বণিজ্জা - অস্ত্র বাণিজ্য :
যে অস্ত্রশস্ত্রের ব্যবসায়
দ্বারা নিজেরও ক্ষতি হয় এবং অপরেরও
ক্ষতি হয়, এমনকি এর দ্বারা মহামানব
জীবনে বহু দুঃখের কারণ হয়ে দাঁড়ায়
তথা এই মহামানব জীবনও নষ্ট
বা ধ্বংসের কারণও হতে পারে।
খ) সত্ত বণিজ্জা - প্রাণী বাণিজ্য :
আমার যেমন প্রাণ আছে, প্রাণের
প্রতি মায়া আছে তেমন তারও প্রাণ ও
প্রাণের প্রতি মায়া আছে।
আমি আমার
প্রাণটাকে বা জীবনটাকে রক্ষা করতে যেমন
চাই তেমনি সকলেই তো নিজের
প্রাণটাকে বা জীবনটাকে বাঁচাবার
জন্য কামনা করে থাকেন।
তবে আমরা বিক্রয়ের জন্য অন্য প্রাণীর
প্রাণ সংহার করবো কেন?
নিজেকে দিয়ে চিন্তা করে অন্য
প্রাণীর প্রাণ সংহার
এবং প্রাণী বাণিজ্য ছাড়া জীবন ধারণ
প্রয়োজন।
গ) মংস বণিজ্জা - মাংস বাণিজ্য :
মাংস বাণিজ্য
জীবনে পেশা রূপে গ্রহণ করলে অবশ্যই
প্রাণ সংহার করতে হয়।
যেখানে আমার তোমার মধ্যে তফাৎ
নেই, সেখানে অন্য প্রাণীর প্রাণ
সংহার করি কিভাবে! প্রাণ রক্ষার
চেয়ে প্রাণ দাতার মূল্য অধিক।
সুতরাং, হত্যা করা সহজ, কিন্তু প্রাণ
দান অসম্ভব হয়।
ঘ) মজ্জ বণিজ্জা - মদ
বা নেশা বাণিজ্য : যা পান
করলে বা সেবন করলে স্বীয় সচেতন মন
মানসিকতার পরিবর্তন হয়, অচেতন হয়,
হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হয় এমন দ্রব্য পান
করা বিধেয় নয়। এভাবে সকলের
কথা চিন্তা করে মোহচ্ছন্ন
বা লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে বিপথে গমণ
করতে পারে এমন নেশা জাতীয় দ্রব্য
বাণিজ্য হতেও বিরত থাকা প্রয়োজন।
ঙ) বিস বণিজ্জা - বিষ বাণিজ্য :
মানুষের জীবনে অর্থ
উপার্জনে সুবিধার জন্য বিষ জাতীয়
বস্তু বিক্রয় করা সমীচীন নয়
যা ক্রেতারা খেয়ে নিজের
মহামূল্যবান জীবনকে নষ্ট করে দেয়,
তা নিজের পক্ষেও ক্ষতিকর
এবং অপরের পক্ষেও মহা ক্ষতিকর
ক্ষতি হয় এমন জিনিষ নিজে গ্রহণ
এবং অন্যদেরকে গ্রহণের সুযোগ
করে দেওয়া মানবোচিত নয়, কারণ
জীবন ধ্বংসের সম্ভাবনা রয়েছে।
“কিচ্ছং মচ্চানং জীবিতং” অর্থাৎ,
মরণশীল জীবন বড়ই কষ্টকর। এই কষ্টকর
মরণশীল জীবনে সৎপথে জীবিকা অর্জন
পূর্বক সুবিশুদ্ধ ইহজীবন
এবং সুগতি লাভে পরজীবন
প্রাপ্তিতে সর্ব জীবে করুণাময়
মহাকারুণিক বুদ্ধ উপরোক্ত পঞ্চ
বাণিজ্যের মহাপাপ অকুশল দুঃখ
দেখে সমগ্র জাতিকে তা বর্জন করার
জন্য এবং তা হতে দূরে থাকার জন্য
দেশনা করেছেন। পাশাপাশি,
“তুলাকুট” অর্থাৎ ওজনে কম দেওয়া;
“মানকুট” অর্থাৎ ঠকাবার ইচ্ছায়
ওজনে বেশী নেওয়া এবং কম দেওয়া;
“করমকুট” অর্থাৎ কোন ভাল দ্রব্যের
সহিত মন্দ দ্রব্য মিশিয়ে ভাল
বলে লাভের আশায়
বিক্রি করা হতে বিরত থেকে সৎ
জীবিকা অর্জনের উপায়
হিসেবে তিনি সুবিশুদ্ধ, নির্মল, কায়,
বাক্য ও মনে সৎ শিল্পকর্ম, কৃষিকর্ম,
ব্যবসা-বাণিজ্য, অধ্যয়ন, অধ্যাপনা ও
ভাল চিকিৎসা বিদ্যা জ্ঞানমূলক
জীবিকার মধ্যদিয়ে জীবন নির্বাহ
করাই উত্তম বলে অভিহিত করেছেন।
পঞ্চ বাণিজ্য হতে বিরত থাকুন।
সম্যক পথে জীবন করুন

• তথ্যসূত্র :
আর্য অষ্টাঙ্গিক মার্গ (প্রবন্ধ)
বুদ্ধের জীবন ও দর্শন - ভদন্ত
তিলোকাবংশ ভিক্ষু।
বৌদ্ধ ধর্মে প্রবেশ-দ্বার ও আদর্শ
জীবন - ভদন্ত জে. তিলোকানন্দ ভিক্ষু।

আগামী ১০মে ২০২৫খ্রি. শনিবার পার্বত্য ভিক্ষু সংঘ বাংলাদেশ, রাঙামাটি পৌর ও সদর উপজেলা শাখার উদ্যোগে রাঙামাটি সদরস্থ সকল বৌ...
02/05/2025

আগামী ১০মে ২০২৫খ্রি. শনিবার পার্বত্য ভিক্ষু সংঘ বাংলাদেশ, রাঙামাটি পৌর ও সদর উপজেলা শাখার উদ্যোগে রাঙামাটি সদরস্থ সকল বৌদ্ধ বিহারের দায়ক-দায়িকাদের সম্মিলিত অংশগ্রহণে বৌদ্ধদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব পবিত্র বুদ্ধপূর্ণিমা -২৫৬৯ বুদ্ধাব্দ উপলক্ষে বিশ্বশান্তি কামনায় ধর্মীয় শোভাযাত্রা ও মহাপূণ্যানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। ভোর সাড়ে সকাল ৭:০০ টা রাঙামাটি পৌরসভা মাঠ প্রাঙ্গণ হতে শুরু হয়ে আনন্দ বিহার পর্যন্ত শোভাযাত্রা শেষ হবে।

অনুষ্ঠানে উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত থাকবেন মান্যবর সার্কেলচীফ রাজা ব্যারিষ্টার দেবাশীষ রায়, প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা বাবু সুপ্রদীপ চাকমা, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন রাঙামাটি জেলা পরিষদের সম্মানিত চেয়ারম্যান কৃষিবিদ কাজল তালুকদার। মহামানব তথাগত বুদ্ধের ত্রিস্মৃতি বিজড়িত দিন শুভ বুদ্ধপূর্ণিমা দিনটি সাফল্য মণ্ডিত করার জন্য সকল বৌদ্ধ অনুরাগীদের অংশগ্রহণের জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।

- শীল জ্যোতি ভান্তের ফেইসবুক থেকে সংগৃহীত

Address

Rangamati
4500

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Rashis Chakma posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Rashis Chakma:

Share