05/07/2025
ঋতুপর্ণার বলা একটা কথা অনেকেই সমালোচনা করতেছে,আর অনেকেই সেটা তার ভুল,,বাঙালি সহপাঠীদের মাঝে থেকে শুনতে শুনতে অভ্যস্ত হয়েছে কিংবা বাধ্য হয়ে বলতে হয়েছে এমন বলতেছেন।
তার বিষয়ে আমার কিছু মন্তব্য প্রকাশ করছি।আর আমার আপনাদের কাছে এইটা প্রশ্ন ও ধরতে পারেন।প্রথমে বলি সহপাঠীদের মাঝে থেকে শুনে অভ্যস্ত হওয়া বিষয়টা আমি মানতে পারিনা।কেন মানতে পারি না,?,ছেলেদের দলে আমাদের রাংগামাটির ছেলে মিতুল সে ও জাতীয় দলে একা একজন আদিবাসী, ফোনে পরিবার আর বন্ধুদের সাথে সে নিজের ভাষায় কথা বলতে পারে আর বাকি সময়টা বাংলা ভাষাভাষীদের মাঝে কাটায় বাংলায় কথা বলে।।সে কিন্তু শুনতে শুনতে অভ্যস্ত হয়ে এই শব্দটা কখনো মুখ ফসকে বলে নি।।
অন্যদিকে ঋতুরা তো মনিকা সহ অনেকেই একসাথে রয়েছে তারা বাংলা ভাষার পাশাপাশি ঐখানে নিজেদের মাঝে নিজ মাতৃভাষা কথা বলতে পারে।। নিজ মাতৃভাষা কথা বলার সঙ্গী রয়েছে তাদের।। তাহলে কোন যুক্তি তে আমরা বলি শুনতে শুনতে অভ্যস্ত হয়ে মুখ ফসকে বলে ফেলেছে??
বাধ্য হয়ে বলা টা আমি মানতে রাজি নই।কেন নই))??
আবারো সেই মিতুলের কথাই বলবো।।
জাতীয় দলে থাকলে ঐ কথা বলতে হবে এমন বাধ্যতামূলক হলে তো মিতুলকে ও ঐ কথাটা প্রতিটা সংবাদ সাক্ষাৎকারে বলতে হতো।।কিন্তু আমরা কখনো কি মিতুলের মুখে ঐ শব্দটি শুনেছি? না কখনো শুনিনি।।
তাহলে বাধ্যতামূলকটা কি শুধু মেয়েদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য???
ম্যাচ জেতার পরে ঋতু একটা পোস্ট করেছিলো বাংলায় ঐখানে শেষে আল্লাহ মহান লিখেছিলো।যদি ও পরবর্তীতে তা ইংরেজি করেছিলো।।আল্লাহ মহান এই বাক্য নিয়ে আমার কোনো মাথা ব্যাথা নেই,কারণ আমি নিজেই আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস এবং সম্মান রাখি।। আমার কথা হচ্ছে অন্য ধর্মকে সম্মান আর শ্রদ্ধা করো ঠিক আছে,,কিন্তু নিজের ধর্মকে ভুলে নয়।।
সে কিন্তু সেখানে আল্লাহর নামের পাশাপাশি নিজ ধর্মের ভগবান বুদ্ধের নাম ও লিখতে পারতো তাহলে নিজ ধর্ম আর অন্যের ধর্ম দুটোকেই সম্মান আর শ্রদ্ধা করা হতো আর সমালোচনা ও হতো না।।
বিদ্র ::আমি মিতুলের নাম নিয়েছি উদাহরণ হিসেবে।।
যদি কোনো ভুল বলে থাকি ধরিয়ে দিন আর ভুল বলার জন্যে ক্ষমা প্রার্থী 🙏