Abir Chowdhury

Abir Chowdhury Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from Abir Chowdhury, Digital creator, Betbunia, Rangamati.

শিক্ষা—এ যেন এক আলো, যা অন্ধকার অন্তঃকরণকে করে উন্মীলিত। অথচ আমাদের সমাজে এই আলোকে কেবলমাত্র পুঁথিগত বিদ্যার একচেটিয়া স...
26/05/2025

শিক্ষা—এ যেন এক আলো, যা অন্ধকার অন্তঃকরণকে করে উন্মীলিত। অথচ আমাদের সমাজে এই আলোকে কেবলমাত্র পুঁথিগত বিদ্যার একচেটিয়া সংজ্ঞায় আবদ্ধ করে ফেলা হয়েছে। যেন শিক্ষা মানেই সার্টিফিকেট, ডিগ্রি, চাকরির হাতছানি—এই ভাবনাটিই এখন প্রধান হয়ে দাঁড়িয়েছে। অথচ প্রকৃত শিক্ষা তো আত্মার পরিশুদ্ধি, চরিত্রের দৃঢ়তা ও চিন্তার স্বাধীনতাকে উদ্বুদ্ধ করে।

শিক্ষা মানুষের পশুত্বকে মোচন করে তাকে মানুষে রূপান্তরিত করে। কিন্তু বর্তমানে আমরা যা দেখি, তা যেন শিক্ষার মুখোশ। আমরা বিদ্যালয়ে পাঠ করি, পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হই, একের পর এক ডিগ্রির মালা গাঁথি, অথচ নিজের আত্মাকে চিনতে শিখি না। আমাদের শিক্ষা যদি মানুষকে মানবিক না করে, তাহলে সে শিক্ষা ভার বইবার বোঝা ছাড়া আর কিছু নয়।

আধুনিক সমাজে প্রযুক্তি, প্রতিযোগিতা ও ভোগবাদিতা শিক্ষাকে এক প্রকার যন্ত্রনির্ভর বানিয়ে ফেলেছে। পাঠ্যবই মুখস্থ করে আমরা হয়তো কিছু প্রশ্নের উত্তর দিতে পারি, কিন্তু হৃদয়ের গভীরে যে প্রশ্ন—"আমি কে?"—তার জবাব মেলে না। আর এটাই আজকের শিক্ষার সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা।

শিক্ষা হওয়া উচিত এমন এক অগ্নিশিখা, যা মানুষের বিবেককে জাগ্রত করে, মননকে প্রসারিত করে এবং সমাজকে করে আলোকিত। কেবলমাত্র জীবিকার জন্য শিক্ষিত হওয়া নয়, জীবনকে সুন্দর করে তোলার জন্য শিক্ষিত হওয়াই অধিক গুরুত্বপূর্ণ।

যে শিক্ষা মানুষকে সৎ হতে শেখায়, পরের দুঃখে কাতর হতে শেখায়, হৃদয়ের স্বরকে জাগিয়ে তোলে—সেই শিক্ষাই প্রকৃত শিক্ষা। একালের তরুণরা যদি শিক্ষা গ্রহণ করে কেবল চাকরির আশায়, তবে সে শিক্ষার স্বাদ একদিন বিস্বাদে রূপ নেবে। কারণ, চাকরি পাওয়া যেতে পারে, কিন্তু মানুষ হয়ে ওঠা—তা আরও কঠিনতর শিল্প।

শেষ কথা এই—শিক্ষা যদি মনুষ্যত্ববোধ না জাগায়, তবে সে শিক্ষা নিরর্থক। এবং যে জাতি কেবল শিখে, কিন্তু মননে অন্ধ, সে জাতি কেবল দেহে বেঁচে থাকে, প্রাণে নয়। প্রকৃত শিক্ষা সেই যে, যা মানুষকে মানুষ করে তোলে।

রামাদানকে এখনও গভীরভাবে অনুভব করতে পারেননি?শেষ রাতে জাগছেন, তাহাজ্জুদেও দাঁড়াচ্ছেন, কিন্তু আল্লাহর কাছে কোনোকিছুই গোছানো...
25/03/2025

রামাদানকে এখনও গভীরভাবে অনুভব করতে পারেননি?

শেষ রাতে জাগছেন, তাহাজ্জুদেও দাঁড়াচ্ছেন, কিন্তু আল্লাহর কাছে কোনোকিছুই গোছানোভাবে চাইতে পারছেন না? কোনোকিছু গোছানোভাবে বলতে পারছেন না?

আপনার মন বলছে, যদি জায়নামাযে হুঁ হুঁ করে কাঁদতে পারতেন, তাহলেই হয়তো অশান্ত মনটা শান্ত হয়ে যেত। কিন্তু হায়, আপনার চোখের মাঝে যেন ভর করেছে চৈত্রের খাঁ খাঁ করা দুপুর৷ সেখানে কোথাও মেঘ নেই, অঝোর ধারার বর্ষণ নেই। আপনি খুব করে আল্লাহর ভয়ে কাঁদতে চান, গভীর অনুতাপে ব্যথিত হতে চান রবের সামনে, কিন্তু পারছেন না?

চারদিকে কতো লোক কতো আমলমুখর করে রামাদান কাটাচ্ছে। ডুবে আছে তিলাওয়াত, যিকির, আযকার আর নিমগ্ন ইবাদাতে। আপনার রামাদান কাটছে যেনতেনভাবে। না বাড়তি আমল, না বাড়তি কোনো আয়োজন। ভাবছেন, রামাদান তো ফুরিয়েই গেল। এবারও ঠিক সেভাবে গুছিয়ে কিছু করা হলো না, আমি কি তবে ক্ষমাপ্রাপ্তদের দলভুক্ত হতে ব্যর্থ হয়ে গেলাম?

এসবকিছুই যদি আপনাকে দুশ্চিন্তায় ফেলে দেয়, এই অপ্রাপ্তি আর ব্যর্থতার দহন যদি আপনাকে এই মুহূর্তে কুরে কুরে খায়, তাহলে এই লেখাটা আপনার জন্য।

আজ পঁচিশে রামাদানের রাত। পবিত্র লাইলাতুল ক্বদরের সম্ভাব্য একটা মুহূর্ত। এটা এমন এক পবিত্র রাত যে রাতটাকে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা বলেছেন হাজার মাসের চেয়েও উত্তম। হাজার মাস মানে হলো প্রায় ৮৪ বছরের সমান। অর্থাৎ, এই রাতে যদি একটা সিজদাহ দেয় কেউ, ৮৪ বছর সিজদাহ দেওয়ার সমান সওয়াব পাওয়া যাবে৷ কেউ যদি এই রাতে দুই রাকআত সালাত আদায় করে, ৮৪ বছর দুই রাকআত সালাত আদায় করলে যা সওয়াব, সেই পরিমাণ তার আমলনামায় যুক্ত হয়ে যাবে।

বিশ্বাস করুন, রামাদান এখনও ফুরিয়ে যায়নি আর ফুরিয়ে যায়নি আল্লাহর কাছ থেকে ক্ষমা লাভের সুযোগও।

যদি আমরা রামাদানের রাত হিশেব করি, এখনও গুনে গুনে ৫-৬ টা রাত অবশিষ্ট আছে। আর, যদি বেজোর রাতের হিশেব করি, আজকের রাত সহ সেটা অবশিষ্ট আছে আরও ৩ রাত।

এখনও অবারিত সুযোগ, সুবহানাল্লাহ!

আমাদের একজন নেককার পূর্বসূরি বলেছেন, ‘কবরের বাসিন্দাদের যদি শুধুমাত্র দুনিয়ার জীবনে একটা রাতের জন্য ফেরার সুযোগ দেওয়া হতো, তারা নিঃসন্দেহে রামাদান মাসের একটা রাতকেই বেছে নিতো।’

রামাদান মাসের একটা রাতেরই আছে অঢেল অঢেল মর্যাদা, সেখানে আমাদের হাতে থাকছে আরও ৫-৬ টা পূর্ণাঙ্গ রাত। দিনগুলো তো আছেই।

সুতরাং, যারা এখনও পূর্ণ উদ্যমে রামাদানকে কাজে লাগাতে পারেনি, তাদের জন্য এটাই সর্বশেষ সুযোগ।

উঠুন। দাঁড়ান। নিজের উপর বিশ্বাস রাখুন। অবিশ্বাসী ব্যতীত আল্লাহর রহমত থেকে আর কেউ নিরাশ হয় না। আপনি তো আল্লাহর বিশ্বাসী বান্দা। হয়তোবা একটু পিছিয়ে আমরা পড়েছি। হয়তোবা একটু বেখেয়ালি হয়ে গিয়েছি এই ক’দিন। কিন্তু নিজেকে বলুন—‘আর নয়! আজ এই মুহূর্ত থেকে রামাদানের বাকি সময়টা আমি এমনভাবে কাটাব, যেন এমনভাবে রামাদান কাটানোর জন্য আমি আরেকটা বছর প্রতীক্ষা করতে পারি’।

ইবনু রজব হাম্বলি রাহিমাহুল্লাহ বলেছেন, ‘ঘোড় দৌঁড়ে ঘোড়া যখন লক্ষ্যের খুব কাছাকাছি চলে আসে, তখন সে তার গতি আরও বহুগুণে বাড়িয়ে দেয়। রামাদান মাস যখন পূর্ণতার দিকে চলে আসে, বিশ্বাসী বান্দাও তার নিমগ্ন ইবাদাতের মাত্রাকে বাড়িয়ে নেয় বহুগুণ’।

হে আল্লাহর বিশ্বাসী বান্দা, আপনার জন্য আপনার রব ক্ষমার দরোজা খুলে বসে আছেন। ক্ষিপ্র গতিতে শুধু আপনাকে ছুটে আসতে হবে তার দিকে। তার দিকে ছুটে আসার বসন্তকাল হচ্ছে রামাদান। সেই রামাদানের শেষ মুহূর্তটায়, কী সেই জিনিস যা আপনাকে আপনার রবের ইবাদাতে ডুবে যেতে বাঁধা দিচ্ছে? সোশ্যাল মিডিয়া? বন্ধু? আড্ডাবাজি? রাজনীতি? সুবহানাল্লাহ, এসবকিছু কি আপনার রবের সান্নিধ্য থেকে বড় বিষয়?

উঠুন। দৌঁড়ান। ইতিহাসে এমন বহু মানুষ আছেন যারা শেষ সময়ে দৌঁড় শুরু করে বিজয়ী হয়েছিলেন। আপনার নামটাও তাদের তালিকায় তুলুন।

Your Raab is awaiting for you 💚
©আরিফ আজাদ

রামাদান চলে যাচ্ছে, অথচ যে অন্তর এখনও রবের ক্ষমা লাভের তাড়নায় তড়পড়াচ্ছে না, সেটা মৃত অন্তর।রামাদান ফুরিয়ে যাচ্ছে, অথচ যে...
17/03/2025

রামাদান চলে যাচ্ছে, অথচ যে অন্তর এখনও রবের ক্ষমা লাভের তাড়নায় তড়পড়াচ্ছে না, সেটা মৃত অন্তর।

রামাদান ফুরিয়ে যাচ্ছে, অথচ যে ঘরে এখনও আমলের তোড়জোড় নেই, সেই ঘর খাঁ খাঁ করা রুক্ষ যমিনের মতো—অনুর্বর।

রামাদানের অর্ধেক শেষ হয়ে এলো, কিন্তু যে ব্যক্তি এখনও তার গতানুগতিক উদাসীন জীবনের ধারা থেকে বের হতে পারেনি, কতই না হতভাগা সেই ব্যক্তি!

জীবন কখনো শহরের মত ব্যস্ত, কখনো পাহাড়ের মত নিরিবিলি।একদিকে ইট-কাঠের কঠিন বাস্তবতা, অন্যদিকে প্রকৃতির সবুজ প্রশান্তি।তবে ...
07/12/2024

জীবন কখনো শহরের মত ব্যস্ত, কখনো পাহাড়ের মত নিরিবিলি।
একদিকে ইট-কাঠের কঠিন বাস্তবতা, অন্যদিকে প্রকৃতির সবুজ প্রশান্তি।

তবে মনে রাখুন, শহরের শত ব্যস্ততার মধ্যেও এক চিলতে সবুজের খোঁজ করতে হবে। কারণ, প্রকৃতি আমাদের শিখিয়ে দেয়—সব অশান্তির মাঝেও শান্তি খুঁজে পাওয়া সম্ভব।

জীবনের চ্যালেঞ্জগুলোকে জয় করতে থাকুন, আর নিজেকে হারাতে দেবেন না।
কোলাহলের মাঝেও নিজের জন্য একটুখানি প্রশান্তি খুঁজে নিন।

জীবনে এমন পরিবেশ বেছে নাও যেখানে তোমার উপস্থিতি উপলব্ধি করা হয়, তোমার কাজের মূল্যায়ন হয়, এবং তোমাকে প্রশংসার দৃষ্টিতে...
29/11/2024

জীবনে এমন পরিবেশ বেছে নাও যেখানে তোমার উপস্থিতি উপলব্ধি করা হয়, তোমার কাজের মূল্যায়ন হয়, এবং তোমাকে প্রশংসার দৃষ্টিতে দেখা হয়।

যদি কখনো এমন পরিস্থিতির মধ্যে পড়ো যেখানে তুমি নিজেকে অদৃশ্য মনে করো, মনে রাখবে, সেটি তোমার জন্য নয়। জীবন খুবই ছোট, তাই এমন জায়গায় সময় নষ্ট করো না যেখানে তোমার কদর নেই।

তোমার মূল্য বোঝার মতো মানুষ এবং পরিবেশ বেছে নাও। তোমার আলোকে জ্বালানোর জন্য সঠিক স্থান খুঁজে পাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মনে রেখো, তুমি যা কিছু ভালো করো, তার জন্য সঠিক মঞ্চ এবং দর্শক অপেক্ষা করছে। শুধু সঠিক সিদ্ধান্ত নাও, এবং তোমার গল্প শুরু করো।

প্রাকৃতিক দুর্যোগের পরবর্তী সময়ে ভূত দেখার খবর যেন আরও ঘন ঘন শোনা যাচ্ছে। বিশেষ করে ভয়াবহ ঝড়, বন্যা, বা ভূমিকম্পের পর এম...
23/11/2024

প্রাকৃতিক দুর্যোগের পরবর্তী সময়ে ভূত দেখার খবর যেন আরও ঘন ঘন শোনা যাচ্ছে। বিশেষ করে ভয়াবহ ঝড়, বন্যা, বা ভূমিকম্পের পর এমন অভিজ্ঞতার কথা শোনা যায়, যা মানুষের মনোযোগ আকর্ষণ করে। মনোবিজ্ঞানীরা এ ঘটনাগুলোর কারণ খুঁজতে গিয়ে প্রস্তাব করেছেন যে, এটি মানুষের মানসিক আঘাতের একটি প্রভাব। যখন কেউ কোনো বিশাল বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়, তার মস্তিষ্কের স্বাভাবিক কার্যপ্রণালী প্রভাবিত হতে পারে। এ সময় দৃষ্টিভ্রম, কল্পনা বা অস্বাভাবিক কিছু অনুভব করা স্বাভাবিক হয়ে উঠতে পারে। এর ফলে অনেকেই তাদের অভিজ্ঞতাকে অতিপ্রাকৃত কিছু হিসেবে ব্যাখ্যা করেন।

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে পৃথিবীজুড়ে প্রাকৃতিক দুর্যোগের সংখ্যা এবং তীব্রতা ক্রমশ বাড়ছে। ঝড়, বন্যা, খরা বা ভূমিধসের মতো ঘটনাগুলো মানুষের জীবনে ভয়াবহ প্রভাব ফেলছে। এগুলোর ফলে মানুষের মনস্তাত্ত্বিক অবস্থার পরিবর্তন ঘটছে এবং তাদের দৃষ্টিভঙ্গিতে অতিপ্রাকৃত বিশ্বাসের জায়গা আরও বিস্তৃত হচ্ছে। একদিকে প্রকৃতির এই অদম্য শক্তি মানুষকে অসহায় করে তুলছে, অন্যদিকে তাদের মনোজগতে এমন ধারণা জন্ম দিচ্ছে যে, এসব দুর্যোগ হয়তো কোনো অতিপ্রাকৃত শক্তির কাজ।

এভাবে বলা যায় যে, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট প্রাকৃতিক বিপর্যয় আমাদের জীবন ও মানসিকতার ওপর গভীর প্রভাব ফেলছে। একদিকে এটি আমাদের বাস্তব জীবনের চ্যালেঞ্জ বাড়াচ্ছে, অন্যদিকে অতিপ্রাকৃতের প্রতি মানুষের আগ্রহ বা বিশ্বাস আরও ব্যাপক হয়ে উঠছে। এটি মানবজাতির সংস্কৃতি, মনস্তত্ত্ব এবং ভবিষ্যত চিন্তার ধারার ওপর একটি নতুন মাত্রা যোগ করছে।

মেক্সিকো থেকে বিশ্বের জন্য 🐜🐜🐜ওয়াহাকাতে এমন এক বিশেষ ধরনের পিপড়া পাওয়া যায়, যাকে 'হানি অ্যান্ট' বলা হয় 🍯। এর পেট মি...
16/11/2024

মেক্সিকো থেকে বিশ্বের জন্য 🐜🐜🐜
ওয়াহাকাতে এমন এক বিশেষ ধরনের পিপড়া পাওয়া যায়, যাকে 'হানি অ্যান্ট' বলা হয় 🍯। এর পেট মিষ্টি মধুতে ভরা থাকে, যা আপনি সহজেই বের করে নিতে পারেন, তারপর ছোট্ট পিপড়াটিকে আবার ছেড়ে দিতে পারেন।

ওয়াহাকার গ্রামগুলোতে এটি 'চিনডুডিস' নামে পরিচিত। এরা একধরনের মধু উৎপাদনকারী পিপড়া, তবে মৌচাক তৈরি না করে, তাদের পেটের পাশে একটি থলে তৈরি করে, যা ফুলের মধু দিয়ে ভরলে তা বাইরের দিকে ফুলে ওঠে। সাধারণত মরুভূমি অঞ্চলে এদের পাওয়া যায় এবং বিশেষ করে মিক্সটেকা এলাকায় যখন বৃষ্টি হয় না, তখন এরা মাটির নিচে লুকিয়ে থাকে।

পিপড়াগুলো বিভিন্ন নামে পরিচিত, যেমন—চিনডুডিস, তিওকন্দুডি, বোটিজাস, তিওকো এনতুদি (মিক্সটেক ভাষায় হানি অ্যান্ট অর্থে), বিনিতোস, বিঙ্গুইনাস ইত্যাদি। একেক গ্রামের ভাষায় নামগুলো পরিবর্তিত হয়। দিনের বেলা মাটিতে পিপড়ার চলাচল দেখলেই একটু খনন করলেই আপনি এই মিষ্টি খাদ্য খুঁজে পাবেন। যদিও এর স্বাদ মধুর মতো মিষ্টি, তবে এতে রয়েছে বিভিন্ন ফুলের স্বাদের মিশ্রণ। তবে তাদের ক্ষতি করবেন না—শুধু মধু বের করে নিয়ে তাদের ছেড়ে দিন, তারা রাতের বেলা আবার পেট ভরে নেবে।

জালালউদ্দিন রুমি একবার একটা বনের মাঝ দিয়ে যাওয়ার সময় একটা বড় কালো তিতির পাখি ধরে ফেলেন। রুমি যখন ভাবছেন যে, পাখিটাকে কীভ...
12/11/2024

জালালউদ্দিন রুমি একবার একটা বনের মাঝ দিয়ে যাওয়ার সময় একটা বড় কালো তিতির পাখি ধরে ফেলেন। রুমি যখন ভাবছেন যে, পাখিটাকে কীভাবে খাবেন; আগুনে ঝলসে; নাকি তরকারি রান্না করে!

এমন সময় পাখিটি বলে ওঠে— ‘রুমী তুমি তোমার এই জীবনে এতো গোশত খেয়েছো; অথচ তোমার এই আমিষের আকুতি শেষ হয়না। তুমি যদি আমাকে মুক্ত করে দাও; আমি তোমাকে তিনটি পরামর্শ দেবো; যা তোমার জীবনকে সন্তোষ আর শান্তিতে ভরে দেবে।’

রুমি কিছুটা বিচলিত হয়ে বলেন— “আমার হাতে বসেই প্রথম পরামর্শটা দাও; যদি পছন্দ না হয়; সঙ্গে সঙ্গে হত্যা করবো তোমাকে।”

পাখিটি রাজি হয়ে বলল— ‘তুমি সব সময় তোমার বন্ধুদের উদ্ভট সব আলোচনায় বিচলিত হয়ে পড়ো। এর চেয়ে তাদেরকে তাদের মতো থাকতে দাও। তাতে তোমার জীবন শ্রেয়তর হবে।’

রুমি কিছুটা চিন্তা করে নিয়ে ভাবতে থাকেন; পাখিটার কথায় বোধ আছে। সুতরাং দ্বিতীয় পরামর্শ দিতে বলেন।

পাখি বলে— ‘তুমি আমায় ছেড়ে দিলে ওই গাছের ডালে বসে দ্বিতীয় পরামর্শটা দেবো।’

রুমি তখন কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পাখিটিকে ছেড়ে দেন; আর পাখি গিয়ে কাছেই একটি গাছের ডালে বসে।
পাখিটা এবার তার দ্বিতীয় পরামর্শের কথা বলে— ‘রুমী অতীতকে কখনো পালটানো যায় না। সুতরাং বর্তমান মুহূর্তটিকে উপভোগ করো। আর ভবিষ্যতের জন্য বাঁচো। যা হোক বড় বোকামি করেছো তুমি। আমার পেটের মধ্যে তিন কেজি হীরা আছে। তুমি এটা পেলে তোমার তিনপুরুষ বসে খেতে পারতে।’

সাংঘাতিক ঘাবড়ে গিয়ে রুমি তিতিরের পেছনে রেগে ছুটতে থাকেন; তাকে আবার ধরতে। পাখি তখন জোরে জোরে বলে— ‘রুমি তুমি দেখছি আমার পরামর্শ একেবারেই শুনলে না। আমার নিজেরই ওজন যেখানে দুই কেজির বেশি নয়; আমার পেটে কী করে তিন কেজি হীরা থাকবে! তুমি দেখছি এখনো উদ্ভট আর বোধহীন কথায় প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছো! দ্বিতীয়ত আমি এরিমাঝে তোমাকে ছেড়ে গেছি; তোমার জীবনে এখন আমি অতীতের বিষয়।’

পুরোপুরি স্তম্ভিত হয়ে রুমি তখন তৃতীয় পরামর্শের জন্য অনুরোধ করেন।

তিতির পাখিটি বলে— ‘রুমি শোনো; সবাইকে উপদেশ দিতে যেওনা। শুধু তাদের উপদেশ দাও; যারা সেটা শুনবে-মনে রাখবে। মনে রেখো কিছু কাপড় এতো জীর্ণ হয়ে যায়; যা আর কখনো সেলাই করা যায় না।’

মাওলানা রুমী (রহ:)

আমাদের চাঁদের সবচেয়ে স্পষ্ট ও ধারালো ছবি! 🌕এই অবিশ্বাস্য ছবিটি আমাদের চাঁদের 4.5 বিলিয়ন বছরের ইতিহাসকে যেন সামনে এনে দ...
05/11/2024

আমাদের চাঁদের সবচেয়ে স্পষ্ট ও ধারালো ছবি! 🌕

এই অবিশ্বাস্য ছবিটি আমাদের চাঁদের 4.5 বিলিয়ন বছরের ইতিহাসকে যেন সামনে এনে দিয়েছে। পৃথিবী থেকে এত ডিটেইল দেখা অসম্ভব মনে হলেও, মার্কিন ফটোগ্রাফার অ্যান্ড্রু ম্যাকার্থির দক্ষ হাতে এই ছবিটি সম্ভব হয়েছে। ছবিটিতে চাঁদের প্রতিটি গর্ত, খাদ ও সমতল অঞ্চলের প্রতিটি খুঁটিনাটি দেখা যাচ্ছে, যা সাধারণত খালি চোখে ধরা পড়ে না।

চাঁদের এমন নিখুঁত ও ডিটেইলড ছবি তুলতে অসাধারণ দক্ষতা ও ধৈর্যের প্রয়োজন। অ্যান্ড্রু ম্যাকার্থি কিছু বিশেষ টেলিস্কোপিক কৌশল ব্যবহার করে এই ছবিটি তোলেন, যাতে চাঁদের প্রতিটি অংশ স্পষ্ট হয়ে ওঠে।

এই ছবি শুধু একখণ্ড পাথরের নয়, বরং আমাদের মহাকাশের এক রহস্যময় ইতিহাসের অংশ। কোটি কোটি বছর আগে চাঁদের মুখে আঘাত করা উল্কাগুলোর চিহ্ন, তার নিস্তব্ধ পৃষ্ঠ এবং গভীর খাদগুলো আমাদের মহাবিশ্বের এক অসাধারণ গল্প বলে।

আমাদের চাঁদ, যাকে আমরা প্রতিরাতে আকাশে দেখি, তার এই রূপে দেখে মুগ্ধ না হয়ে পারা যায় না।

📸 ফটোগ্রাফার: অ্যান্ড্রু ম্যাকার্থি

মহাবিশ্বের বিশালত্বকে প্রতিফলিত করে আকাশের এক নিখুঁত শিল্পকর্ম হলো প্রজাপতি নীহারিকা (Butterfly Nebula), যা প্রায় ৫৮৮ ট...
19/10/2024

মহাবিশ্বের বিশালত্বকে প্রতিফলিত করে আকাশের এক নিখুঁত শিল্পকর্ম হলো প্রজাপতি নীহারিকা (Butterfly Nebula), যা প্রায় ৫৮৮ ট্রিলিয়ন মাইলজুড়ে বিস্তৃত! এই জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক বিস্ময় আমাদের চোখের সামনে উদ্ভাসিত করে এক অতুলনীয় মহাকাশীয় দৃশ্য।

এই চমৎকার ছবিটি তোলা হয়েছে টেক্সাসের হিউস্টন থেকে, যেখানে আলো দূষণের মাত্রা বোর্টল স্কেলে ৯! এক গভীর, আলোকিত শহর থেকে এমন নিখুঁত মহাজাগতিক ছবি তোলা চাট্টিখানি কথা নয়। তবুও, এই কাজটি সম্ভব হয়েছে সেলেস্ট্রন হাইপারস্টার C6 টেলিস্কোপ এবং Baader হাই-স্পিড F2 ন্যারোব্যান্ড ফিল্টার দিয়ে, যা দূরবর্তী নীহারিকার উজ্জ্বল রং এবং সূক্ষ্ম ডিটেইলসগুলোকে স্পষ্টভাবে ধরতে সক্ষম হয়েছে।

এই ছবির মোট এক্সপোজার সময় ছিল ১৫ ঘণ্টা — ধৈর্য, প্রযুক্তি আর নক্ষত্রপ্রেমীদের এক নিখুঁত মেলবন্ধন! ক্লিন্ট শিমারের তোলা এই ছবিটি শুধু আকাশের অদ্ভুত সুন্দর এক ক্যানভাস নয়, বরং আমাদের মহাবিশ্বের অসীমতাকে অনুভব করার একটি ছোট্ট জানালা।

মহাবিশ্বের এই সৌন্দর্য আমাদের শিখিয়ে দেয় যে প্রকৃতি কখনও আমাদের বিস্মিত করতে থামবে না। 🌌✨

এটি বিশ্বের অন্য প্রান্ত থেকে তোলা কোনো ছবি নয়, বরং আমাদেরই বাংলাদেশে ১৯ শতাব্দীর এক অসামান্য মুহূর্তের দলিল। এই ছবি যম...
16/09/2024

এটি বিশ্বের অন্য প্রান্ত থেকে তোলা কোনো ছবি নয়, বরং আমাদেরই বাংলাদেশে ১৯ শতাব্দীর এক অসামান্য মুহূর্তের দলিল। এই ছবি যমুনা নদীর ওপরে ট্রেন ফেরিতে পারাপারের চমকপ্রদ দৃশ্যটি তুলে ধরেছে! ভাবুন, ট্রেনের মতো ভারী যানবাহন ফেরিতে নদী পার হচ্ছে—কি অবাক কান্ড, তাই না?

বাংলাদেশের রেলওয়ে ইতিহাসে এই দৃশ্য বিরল হলেও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই রেলওয়ে ফেরির ইতিহাস সাক্ষী রয়েছে বাহাদুরাবাদ ফেরি ঘাটে, যা একসময় দেশের গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগ ব্যবস্থার অংশ ছিল। ফেরিতে ট্রেন পারাপার সেই সময়ের প্রযুক্তিগত দক্ষতা ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উদ্ভাবনী ক্ষমতারই প্রতীক।

আজকের দিনে ট্রেন সরাসরি সেতুর ওপর দিয়ে যমুনা পাড়ি দিলেও, এই ইতিহাস আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় সেই সময়ের সৃজনশীলতাকে, যখন যাতায়াতের নতুন নতুন পথ তৈরি করা হয়েছিল।

এমন ঐতিহাসিক ঘটনা কি কখনও দেখেছেন?

আপনি যে ছবিগুলো দেখছেন তা হলো চাঁদের সর্বোচ্চ স্পষ্ট ছবি, যার আকার ৭০৮ জিবি। • কুর্দি জ্যোতির্বিদ্যা ফটোগ্রাফার দারিয়া ...
08/09/2024

আপনি যে ছবিগুলো দেখছেন তা হলো চাঁদের সর্বোচ্চ স্পষ্ট ছবি, যার আকার ৭০৮ জিবি।

• কুর্দি জ্যোতির্বিদ্যা ফটোগ্রাফার দারিয়া কাওয়া মির্জা চাঁদের সবচেয়ে উন্নত এবং বিস্তারিত ছবি ধারণ করেছেন। চার দিনব্যাপী নিরবচ্ছিন্ন পর্যবেক্ষণ ও শুটিং শেষে এই অসাধারণ ছবি তোলা হয়। চূড়ান্ত ছবির রেজোলিউশন ১৫৯.৭ মেগাপিক্সেল।
• ছবিটির আকার: ৭০৮ গিগাবাইট।
• ছবির মোট সংখ্যা: ৮১ হাজারের বেশি স্ট্যাক করা ছবি।
• টেলিস্কোপ: স্কাইওয়াচার ফ্লেক্সটিউব ২৫০পি ডবসোনিয়ান (পরিবর্তিত এনইকিউ ৬প্রো মাউন্ট)।
• ক্যামেরা: ক্যানোন ইওএস ১২০০ডি এবং জেটডব্লিউও এএসআই ১৭৮এমসি।

Address

Betbunia
Rangamati

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Abir Chowdhury posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share