25/06/2025
শেষ পর্ব: আগুনের চোখে ছায়ার বিদ্রোহ
রাবাত শহরের উপকণ্ঠ, একটি পরিত্যক্ত উপনিবেশিক দুর্গ। উপরের আকাশে ড্রোন ঘোরে, নিচে মরুভূমির বাতাসে ধুলো উড়ে যায়। ঠিক এখানেই বসেছে ছায়ার বৈঠক, যেখানে বিশ্বের শীর্ষ পাঁচটি গোয়েন্দা সংস্থার কিছু দুর্নীতিগ্রস্ত উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, মিলিশিয়া প্রধান এবং কনট্রাক্ট কিলার একত্র হয়েছে।
তাদের একটাই লক্ষ্য — ‘আল-নার’ AI অস্ত্রের দখল নেওয়া, যা যেকোনো দেশের তথ্য, কমিউনিকেশন, ও মিলিটারি সিস্টেম হাইজ্যাক করতে পারে।
---
নাজিয়ার প্রস্তুতি:
নাজিয়া এখন একা নয়। সে নিজেই তার হ্যান্ড-প্রোগ্রামড ড্রোন-স্কোয়াড তৈরি করেছে। সে জানে, এবার শেষ খেলা।
তার পরনে কালো ট্যাকটিক্যাল স্যুট, মুখ ঢেকে রেখেছে আধা-মুখোশে। চোখে AR ভিশন গগলস।
সে একা ঢুকে পড়ে সভাস্থলে। লেজার স্ক্যানার তার মুখ শনাক্ত করতে ব্যর্থ হয় — কারণ, সে এখন নিজেই ছায়া।
---
চক্রান্তের উন্মোচন:
হঠাৎ, এক জায়ান্ট হলরুমে বিশাল স্ক্রিনে ভেসে ওঠে সেই AI সিস্টেম—‘আল-নার’।
ভয়ঙ্কর এক কণ্ঠ ভেসে আসে, যার মালিক সেই ব্যক্তি, যাকে নাজিয়া এতদিন “ডিরেক্টর” ভেবে আসছিল।
> “নাজিয়া… তুমি আসার আগেই হেরে গেছ। তুমি জানো না, এই পুরো অপারেশনেই তুমি ছিলে আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ‘বেটা টেস্ট’। এখন আমরা জানি, একজন গোয়েন্দা কত দূর পর্যন্ত প্রতিরোধ করতে পারে।”
নাজিয়া থামে না। সে জানে, এরা তার সঙ্গে শুধু যুদ্ধ করেনি—তার পরিচয়, আত্মবিশ্বাস, স্মৃতি সব নিয়েও খেলা করেছে।
---
শেষ যুদ্ধ:
তার সিগন্যালে ড্রোন স্কোয়াড ঢুকে পড়ে। শুরু হয় হেলফায়ার।
নাজিয়া একা লাফ দেয় কাঁচের জানালা ভেঙে, সোজা মূল সার্ভার রুমে। সেখানেই ‘আল-নার’ এর মূল কোর।
ভেতরে ঢুকে সে দেখতে পায় সায়িদ আবার হাজির—এইবার আগের থেকে বেশি বিপজ্জনক। দুজনের মধ্যে হাতাহাতি, গুলি, ছুরি — একটা বন্য দ্বন্দ্ব।
শেষ মুহূর্তে, নাজিয়া তার নিজের AR সিস্টেম দিয়ে ‘আল-নার’-এর সিস্টেমকে রিভার্স করে দেয়—“ছায়া ছায়াকেই খায়।”
সিস্টেম ওভারলোড হয়। গর্জন করে বিস্ফোরণ।
---
শেষ দৃশ্য:
নাজিয়া ধীরে ধীরে বেরিয়ে আসে পুড়ে যাওয়া দুর্গ থেকে। তার চোখে ক্লান্তি, কিন্তু আত্মবিশ্বাস অটুট।
পেছনে রাবাত শহরের আলো জ্বলছে। দূর আকাশে এক টুকরো শান্তি।
একটি গোপন ফাইল সে হ্যাক করে পাঠিয়ে দেয় আন্তর্জাতিক তদন্ত সংস্থার হাতে—সব দুর্নীতির তথ্যসহ।
---
শেষ লাইন:
> “আমি একজন ছায়া ছিলাম।
এখন আমি আলোতে হেঁটে যাই—
কিন্তু আমার ছায়া আমি রেখে গেলাম,
যাতে যারা অন্ধকারে লুকায়, তারা জানে...
নাজিয়া আল হাকিম এখনও জেগে আছে।”
---
✅ সমাপ্ত