06/03/2024
নির্মানাধীন চিলমারী হরিপুর তিস্তা সেতু দেখতে। কাজের শেষ অবস্থা।
হরিপুর চিলমারী সেতু।
বাংলাদেশের উত্তরের নদীবেষ্টিত দুই জেলা কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধা। নদীর উত্তরে কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী উপজেলা ওপারে দক্ষিনে গাইবান্ধা জেলা সুন্দরগঞ্জ উপজেলা। দুই উপজেলার মাঝপথ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে দেড় কিলোমিটার প্রসস্ত তিস্তা নদী। নদী বিচ্ছিন্ন এই দুই উপজেলার লাখ লাখ মানুষের মধ্যে যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যমে ছিলো খেয়া পারাপার। দিনে বেলায় খেয়ার নৌকায় নদী পাড়া পাড় করলেও সন্ধ্যা নেমে এলেই বন্ধ হয়ে যায় খেয়া পারাপার।
দুই অঞ্চলের দুই জেলার মানুষের যাতায়াতের সেই দুর্ভোগ নিরসনে ২০১৪ সালে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের হরিপুরে তিস্তা নদীর উপর দেড় কিলোমিটার দীর্ঘ এই সেতুর নির্মান কাজ শুরু হয়। যা হরিপুর চিলমারী তিস্তা সেতুনামেই পরিচিতি পেয়েছে। ইতোমধ্যে মুল সেতুর নির্মান কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। সেতুর মোট ৩০ টি পিলারে মধ্যে ২৮ টি পিলারের কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। বাকী ২টি পিলারের কাজও শেষ হওয়ার পথে।
সেতুটির নির্মান কাজ শেষ হওয়ার পথে থাকলেও সেতুর উভয় পাশের ৮৮ কিলোমিটার সংযোগ সড়কের কাজ এখনও চলমান আছে। এছাড়াও উভয় পাশে সংযোগ সড়কের জন্য তৈরী করা হচ্ছে দৃষ্টি নন্নদ বিভিন্ন কালভার্ট।
সেতুটি নির্মান শেষ না হলেও হরিপুর প্রান্তে ইতোমধ্যে পর্যটকদের আনাগোনা বেড়ে গেছে। আশা করা যায় সেতুটি নির্মাণ শেষ হলে সেতুর দুই প্রান্ত বিনোদন স্পট হিসেবে গড়ে উঠবে। একই সাথে এ অঞ্চলের মানুষ যেমন নদী ভাঙ্গন থেকে রক্ষা পাবে তেমনী কুড়িগ্রাম, উলিপুর, নাগেশ্বরী, ভুরাঙ্গামারী, চিলমারী থেকে সড়কপথে ঢাকার দূরত্ব কমে আসবে প্রায় ১00 কিলোমিটার। দূরত্ব কমবে বিভাগীয় শহর রংপুরেরও। পাল্টে যাবে এ অঞ্চলের মানুষের জীবনমানের ধারা, ঘটবে অর্থনৈতিক উন্নয়ন।