Faruque Hossain

Faruque Hossain documentary video creator

আজ অমিতাভ বচ্চনের জন্মদিন-অমিতাভ বচ্চন ১১ অক্টোবর ১৯৪২ জন্মগ্রহণ করেন।একজন জনপ্রিয় ভারতীয় চলচ্চিত্র অভিনেতা, প্রযোজক, ...
11/10/2025

আজ অমিতাভ বচ্চনের জন্মদিন-
অমিতাভ বচ্চন ১১ অক্টোবর ১৯৪২ জন্মগ্রহণ করেন।একজন জনপ্রিয় ভারতীয় চলচ্চিত্র অভিনেতা, প্রযোজক, টেলিভিশন উপস্থাপক ও সাবেক রাজনীতিবিদ হিসেবে তিনি খ্যাতি লাভ করেন। বলিউডের শাহেনশাহ ও সহস্রাব্দের সেরা তারকা হিসেবে পরিচিত বচ্চন তার পাঁচ দশকের অধিক সময়ের কর্মজীবনে ২০০টির অধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। বচ্চনকে ভারতীয় চলচ্চিত্র তথা বিশ্ব চলচ্চিত্রের অন্যতম সেরা ও প্রভাবশালী অভিনেতা হিসেবে গণ্য করা হয়। ১৯৭০ ও ১৯৮০-এর দশকে ভারতীয় চলচ্চিত্রে তার একচ্ছত্র আধিপত্য বিরাজ করে।

বচ্চন তার কর্মজীবনে অসংখ্য পুরস্কার অর্জন করেছেন; তন্মধ্যে রয়েছে ৪টি শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার এবং ১৫টি ফিল্মফেয়ার পুরস্কার সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক পুরস্কার। ফিল্মফেয়ারে অভিনয়ের জন্য প্রদত্ত পুরস্কারের বিভাগে তিনি সর্বাধিক মনোনয়ন পাওয়ার রেকর্ড করেছেন। অভিনয় ছাড়াও তাঁকে নেপথ্য গায়ক, চলচ্চিত্র প্রযোজক, টেলিভিশন সঞ্চালক হিসেবেও দেখা গেছে। তিনি গেম শো ফ্র্যাঞ্চাইজ হু ওয়ান্টস টু বি আ মিলিয়নিয়ার-এর ভারতীয় সংস্করণ কৌন বনেগা ক্রোড়পতি অনুষ্ঠানের কয়েকটি মৌসুমের সঞ্চালনা করেন। ১৯৮০-এর দশকে তিনি রাজনীতিতে প্রবেশ করেন এবং ১৯৮৪ থেকে ১৯৮৭ পর্যন্ত ভারতীয় সংসদে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ছিলেন।

শিল্পকলায় তার অবদানের জন্য ১৯৮৪ সালে ভারত সরকার তাকে ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা পদ্মশ্রী, ২০০১ সালে তৃতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা পদ্মভূষণ, এবং ২০১৫ সালে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা পদ্মবিভূষণে ভূষিত করে। বিশ্ব চলচ্চিত্রে তার অনন্য কর্মজীবনের স্বীকৃতি হিসেবে ২০০৭ সালে ফ্রান্স সরকার তাঁকে ফ্রান্সের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা লেজিওঁ দনরের নাইট উপাধিতে ভূষিত করে।

তার অভিনিত সিনেমা দোস্তানা, শান, কালিয়া, শক্তি, নিমক হারাম,, অনুসন্ধান, কুলি উল্লেখযোগ্য।

মিঠাপুকুর তিন কাতার মসজিদ-বাংলাদেশের রংপুর বিভাগে অবস্থিত মিঠাপুকুর উপজেলার অন্তর্গত একটি প্রাচীন মসজিদ। বাংলাদেশ প্রত্ন...
10/10/2025

মিঠাপুকুর তিন কাতার মসজিদ-
বাংলাদেশের রংপুর বিভাগে অবস্থিত মিঠাপুকুর উপজেলার অন্তর্গত একটি প্রাচীন মসজিদ। বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর এর তালিকাভুক্ত একটি প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা। ধারণা করা হয় মোঘল আমলের শেষের দিকে তৈরি।
অবস্থান - গড়ের মাথা, মিঠাপুকুর, রংপুর।
বর্ণনা- আয়তাকার তিন গম্বুজ বিশিষ্ট এ মসজিদের পরিমাপ ১০.৬৬ মিঃ। এ মসজিদের সম্মুখে প্রাচীরবেষ্টিত অঙ্গনের পূর্ব পাশের মধ্যবর্তী স্থানে বাংলাদেশের নিজস্ব স্থাপত্য বৈশিষ্ট্যের দোচালা পদ্ধতিতে নির্মিত অপূর্ব প্রবেশ তোরণ ও মসজিদের চার কোণে চারটি কর্ণার টাওয়ার যা ছাদের কিনারা থেকে বেশ ওপরে উঠে ছোট গম্বুজের মতো কিউপোলা আকারে শেষ হয়েছ। আয়তাকার মসজিদটি দুইটি ল্যাটারাল খিলানের সাহায্যে তিন ভাগে ভাগ করে ওপরে তিনটি অর্ধ গোলাকার গম্বুজ নির্মাণ করা হয়েছে।মসজিদের পূর্ব দেয়ালে তিনটি প্রবেশপথ এবং উত্তর ও দক্ষিণে একটি করে মোট পাঁচটি প্রবেশপথ রয়েছে। তিনটি মিহরাব,মসজিদের সম্মুখের দেয়াল,প্যারাপেট দেয়াল ও গম্বুজের ড্রামসমূহ সুন্দর প্যানেল, লতাপাতা, ফুল জ্যামিতিক নক্সা ও সাপের ফনাসদৃশ নক্সা দ্বারা অলংকৃত। মসজিদের সম্মুখের দেয়ালের শিলালিপি থেকে জানা যায় জনৈক শেখ মোহাম্মদ সাবেরের পুত্র শেখ মোহাম্মদ আছের কর্তৃক ১২২৬ হিজরীতে (১৮১০ খ্রিঃ) মসজিদটি নির্মিত।

10/10/2025
09/10/2025

তাজহাট জমিদারবাড়ি -
বাংলাদেশের রংপুর শহরের তাজহাটে অবস্থিত একটি ঐতিহাসিক প্রাসাদ ও প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন। বর্তমানে জাদুঘর হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। রংপুরের পর্যটকদের কাছে একটি আকর্ষণীয় স্থান। এটি রংপুরের অন্যতম একটি প্রাচীন নিদর্শন

জমিদারবাড়ির ইতিহাস -
‘জমিদারি শাসনামল’ প্রাচীন শাসনব্যবস্থার প্রচলন ছিল বাংলাদেশেও। রংপুর জেলার তাজহাট, ডিমলা, কাকিনা, মন্থনা, পীরগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকায় বেশ কিছু জমিদার বংশ ছিল।পাঞ্জাব থেকে আগত মান্নালাল রায় এই জমিদারির প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। পেশায় তিনি ছিলেন স্বর্ণকার। উত্তরাধিকারী গোবিন্দলাল ১৮৭৯ সালে এই জমিদারির মালিক হন এবং পরবর্তীতে তিনি ১৮৮৫ সালে ‘রাজা’, ১৮৯২ সালে ‘রাজা বাহাদুর’ এবং ১৮৯৬ সালে ‘মহারাজা’ উপাধি অর্জন করেন।ধারণা করা হয় তার তাজ বা রত্নখচিত মুকুটের চেহারা থেকে এই এলাকার নামকরণ করা হয় তাজহাট।

বিশাল এ প্রাসাদটি পূর্বমুখী দোতলা, এর দৈর্ঘ্য ৭৬.২০ মিটার ও প্রস্থ ১৫.২৪ মিটার। ইতালি থেকে আনা সাদা মার্বেল পাথরে তৈরি ৩১টি কেন্দ্রীয় সিঁড়ি সরাসরি দোতলায় চলে গিয়েছে। বাড়ির পিছনে গুপ্ত সিঁড়ি ও শ্বেত মার্বেল পাথরের ফোয়ারা রয়েছে। মহারাজা কুমার গোপাল লাল রায় এই প্রাসাদটি নির্মাণ করেন। প্রাসাদটি তৈরিতে সময় লেগেছিলো ১০ বছর।ধারণা করা হয় তার তাজ বা রত্নখচিত মুকুটের চেহারা থেকে এই এলাকার নাম তাজহাট।
১৯৮৪ থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত প্রাসাদটি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের রংপুর হাইকোর্ট শাখা হিসেবে ব্যবহৃত হয়। ১৯৯৫ সালে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ কর্তৃক প্রাসাদটিকে একটি সংরক্ষিত স্মৃতিস্তম্ভ হিসেবে ঘোষণা করা হয় । এর অসাধারণ স্থাপত্য মূল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশ সরকার ২০০৫ সালে রংপুর জাদুঘরটিকে প্রাসাদের দ্বিতীয় তলায় স্থানান্তরিত করে। মার্বেল সিঁড়ির উপরের প্রধান কক্ষে দশম-একাদশ শতাব্দীর পোড়ামাটির নিদর্শন প্রদর্শনের জন্য বেশ কয়েকটি প্রদর্শনী কেস রয়েছে। সংস্কৃত এবং আরবি পাণ্ডুলিপির বেশ কয়েকটি সূক্ষ্ম উদাহরণ রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে মহাভারত, রামায়ণ এবং একটি কুরআনের অনুলিপি যার উৎপত্তি মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেবের । পিছনের কক্ষগুলিতে কালো পাথরের হিন্দু খোদাইয়ের বেশ কয়েকটি উদাহরণ রয়েছে, প্রধানত দেবতা বিষ্ণুর। তবে জাদুঘরে ছবি তোলার অনুমতি নেই।

08/10/2025

বাংলায় জন্ম ভারতবর্ষের অহংকার একজন ফুটবলার-
গোষ্ঠ পাল ( পুরোনাম - গোষ্ঠ বিহারি পাল)
জন্ম- ২০ আগস্ট ১৮৯৬
মৃত্যু - ৮ এপ্রিল ১৯৭৬
জন্মস্থান- ভোজেশ্বর, নড়িয়া, মাদারীপুর, বাংলাদেশ
মাঠে অবস্থান- রক্ষণভাগ
জার্সি নং- ৫
দল- কুমারটুলি, মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল এবং জাতীয় দল
আলোকিত ক্যারিয়ার- ১৯০৭-১৯৩০
পুরস্কার - পদ্মশ্রী ১৯৬২
উপাধি - চীনের প্রাচীর

07/10/2025

দূর্নীতি বন্ধ হোক সবার ঘর থেকে।

এই সুন্দর মসজিদের নাম কি এবং কোথায় অবস্থিত ? জানতে চাইলে কমেন্ট বক্সে এর ইতিহাস দেখুন।
06/10/2025

এই সুন্দর মসজিদের নাম কি এবং কোথায় অবস্থিত ? জানতে চাইলে কমেন্ট বক্সে এর ইতিহাস দেখুন।

05/10/2025

ইতিহাস পড়লে বোঝা যায় যুদ্ধের সাথে মানুষের সম্পর্ক কেমন হয়।

03/10/2025

কাটরা মসজিদ -
কাটরা মসজিদ মুর্শিদাবাদ রেল স্টেশনের পূর্ব দিকে বাজারের মধ্যে অবস্থিত। এটি ১৭২৩ এবং ১৭২৪ সালের মধ্যে নির্মিত হয়। এখানে নওয়াব মুর্শিদ কুলি খাঁন এর সমাধি রয়েছে। এটি ভারতীয় উপমহাদেশের বৃহত্তম কাফেলা কেন্দ্রের একটি। মুর্শিদকুলি খান ঢাকা থেকে ১৭১৭ খ্রিষ্টাব্দে রাজধানী স্থানান্তরিত করেন। তার নিজের নামানুসারে নতুন রাজধানীর নামকরণ করেন মুর্শিদাবাদ। কাটরা মসজিদটি নতুন রাজধানীর জামে মসজিদ হিসেবে নির্মিত হয়।

02/10/2025

আজ মহাত্মা গান্ধীর জন্মদিন
পুরোনাম- মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী।
জন্ম- ২ অক্টোবর ১৮৬৯। ছিলেন অন্যতম ভারতীয় রাজনীতিবিদ, ব্রিটিশদের হাত থেকে ভারতবর্ষের স্বাধীনতা আন্দোলনের অগ্রগামী ব্যক্তিবর্গের মধ্যে একজন এবং প্রভাবশালী আধ্যাত্মিক নেতা। এছাড়াও তিনি ছিলেন সত্যাগ্রহ আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা। যার মাধ্যমে স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে জনসাধারণ তাদের অভিমত প্রকাশ করে। এ আন্দোলন প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল অহিংস মতবাদ বা দর্শনের উপর ভিত্তি করে এবং এটি ছিল ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম চালিকা শক্তি, সারা বিশ্বে মানুষের স্বাধীনতা এবং অধিকার পাওয়ার আন্দোলনের অন্যতম অনুপ্রেরণা।

I gained 7,791 followers, created 132 posts and received 908 reactions in the past 90 days! Thank you all for your conti...
02/10/2025

I gained 7,791 followers, created 132 posts and received 908 reactions in the past 90 days! Thank you all for your continued support. I could not have done it without you. 🙏🤗🎉

ভ্যালেন্টাইন ডে পালন করা যাবে কিনা - ২৭০ খ্রিষ্টাব্দের কথা। তখন রোমান সম্রাট দ্বিতীয় ক্লডিয়াস নারী-পুরুষের বিবাহ বìধনে আ...
14/02/2025

ভ্যালেন্টাইন ডে পালন করা যাবে কিনা -
২৭০ খ্রিষ্টাব্দের কথা। তখন রোমান সম্রাট দ্বিতীয় ক্লডিয়াস নারী-পুরুষের বিবাহ বìধনে আবদ্ধ হওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিলেন। তার ধারণা ছিল, বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলে যুদ্ধের প্রতি পুরুষদের অনীহা সৃষ্টি হয়। সে সময় রোমের খ্রিষ্টান গির্জার পুরোহিত ‘ভ্যালেন্টাইন’ রাজার নির্দেশ অগ্রাহ্য করে গোপনে নারী-পুরুষের বিবাহ বন্ধনের কাজ সম্পন্ন করতেন। এ ঘটনা প্রকাশ হওয়ার পর তাকে রাজার কাছে ধরে নিয়ে আসা হয়। ভ্যালেন্টাইন রাজাকে জানালেন, খিষ্টধর্মে বিশ্বাসের কারণে তিনি কাউকে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে বারণ করতে পারেন না। রাজা তখন তাকে কারাগারে নিক্ষেপ করেন। কারাগারে থাকা অবস্খায় রাজা তাকে খ্রিষ্টান ধর্ম ত্যাগ করে প্রাচীন রোমান পৌত্তলিক ধর্মে ফিরে আসার প্রস্তাব দেন এবং বিনিময়ে তাকে ক্ষমা করে দেয়ার কথা বলেন।

উল্লেখ্য, রাজা দ্বিতীয় ক্লডিয়াস প্রাচীন রোমান পৌত্তলিক ধর্মে বিশ্বাস করতেন এবং তৎকালীন রোমান সাম্রাজ্যে এ ধর্মের প্রাধান্য ছিল। যা হোক, ভ্যালেন্টাইন রাজার প্রস্তাব মানতে অস্বীকৃতি জানালেন এবং খ্রিষ্ট ধর্মের প্রতি অনুগত থাকার কথা পুনর্ব্যক্ত করলেন। তখন রাজা তাকে মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ দেন। অত:পর রাজার নির্দেশে ২৭০ খ্রিষ্টাব্দের ১৪ ফেব্রুয়ারি ভ্যালেন্টাইনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।

পরে রোমান সাম্রাজ্যে খ্রিষ্ট ধর্মের প্রাধান্য সৃষ্টি হলে গির্জা ভ্যালেন্টাইনকে ` `Saint' হিসেবে ঘোষণা করে। ৩৫০ সালে রোমের যে স্খানে ভ্যালেন্টাইনকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছিল সেখানে তার স্মরণে একটি গির্জা নির্মাণ করা হয়। অবশেষে ৪৯৬ খ্রিষ্টাব্দে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের ধর্মগুরু পোপ গ্লসিয়াস ১৪ ফেব্রুয়ারিকে `Saint Valentine Day' হিসেবে ঘোষণা করেন। ভ্যালেন্টাইন কারারক্ষীর যুবতী মেয়েকে ভালোবাসার কারণে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের ধর্মগুরু পোপ গ্লসিয়াস ১৪ ফেব্রুয়ারিকে ‘ভ্যালেন্টাইন ডে’ ঘোষণা করেননি।

কারণ, খ্রিষ্ট ধর্মে পুরোহিতদের জন্য বিয়ে করা বৈধ নয়। তাই পুরোহিত হয়ে মেয়ের প্রেমে আসক্তি খ্রিষ্ট ধর্মমতে অনৈতিক কাজ। তা ছাড়া, ভালোবাসার কারণে ভ্যালেন্টাইনকে কারাগারে যেতে হয়নি। কারণ, তিনি কারারক্ষীর মেয়ের প্রেমে পড়েছিলেন কারাগারে যাওয়ার পর। সুতরাং, ভ্যালেন্টাইনকে কারাগারে নিক্ষেপ ও মৃত্যুদণ্ডদানের সাথে ভালোবাসার কোনো সম্পর্ক ছিল না। তাই ভ্যালেন্টাইনের কথিত ভালোবাসা সেন্ট ভ্যালেন্টাইন ডে’র মূল বিষয় ছিল না। বরং ধর্মের প্রতি গভীর ভালোবাসাই তার মৃত্যুদণ্ডের কারণ ছিল।

খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের একটি ধর্মীয় উৎসব কিভাবে প্রেমিকা-প্রেমিকদের উৎসবে পরিণত হলো এটা জানার জন্য আমাদের প্রাচীন রোমান পৌত্তলিক ধর্মীয় উৎসব ‘লুপারকেলিয়া’ সম্পর্কে জানতে হবে। ১৪ ফেব্রুয়ারি খ্রিষ্টান সম্প্রদায় কর্র্তৃক `Saint Valentine Day' হিসেবে ঘোষণার আগে এ দিনটি পৌত্তলিক ধর্মীয় উৎসব হিসেবে পালিত হতো। তখন তারা ফেব্রুয়ারি মাসের ১৩ থেকে ১৫ তারিখ পর্যন্ত লুপারকেলিয়া উৎসব পালন করত।

ইউরোপ-আমেরিকার বিভিন্ন ``Valentine Day' কার্ডে Cupid-এর প্রতীক ব্যবহার করা হয়। এ দিনে রোমানদের আরেকটি উল্লেখযোগ্য কর্মসূচি ছিল, প্রেমের দেবী জুনুর আশীর্বাদ কামনায় যুবকদের মধ্যে যুবতীদের বন্টনের জন্য লটারির আয়োজন। তারা যুবতী মেয়েদের নাম লিখে একটি বাক্সে রাখত এবং লটারির মাধ্যমে যুবকরা এসে নাম তুলত। লটারিতে যার সাথে যার নাম উঠত এক বছরের জন্য তারা লিভ টুগেদার করত।

এ ধরনের নানা অনৈতিকতা, কুসংস্কার ও ভ্রান্ত বিশ্বাসে আচ্ছন্ন লটারির মাধ্যমে যুবতীদের বন্টনের রীতি ফন্সান্স সরকার ১৭৭৬ সালে নিষিদ্ধ করেছিল। ক্রমান্বয়ে এটি ইতালি, অস্ট্রিয়া, হাঙ্গেরি ও জার্মান থেকেও উঠে যায়। ইংল্যান্ডেও এক সময় এটি নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।

কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, আধুনিক সভ্যতার এ যুগে কুসংস্কারাচ্ছন্ন ভ্রান্ত বিশ্বাসের ওপর প্রতিষ্ঠিত তথাকথিত প্রেমিক উৎসব চালু হলো কিভাবে? ইস্টার এ হল্যান্ড নামক এক চতুর কার্ড বিক্রেতা কোম্পানি প্রথম 'What Else Valentine' নামে প্রথম বাণিজ্যিকভাবে আমেরিকান ভ্যালেন্টাইন ডে ক, র্ড বানায় এবং প্রথম বছরই ৫০০০ ডলারের কার্ড বিক্রি হয়। পরে সুযোগসìধানী মিডিয়া কোম্পানির পৃষ্ঠপোষকতায় ভ্যালেন্টাইন ডে ফুলে-ফেঁপে ওঠে।

সুযোগসìধানী নীতিহীন ব্যবসায়ী ও সস্তা জনপ্রিয়তাকামী একশ্রেণীর মিডিয়া ২৫০০ বছরের পুরনো লটারির মাধ্যমে যুবকদের মাঝে যুবতীদের বন্টনের মতো একটি ঘৃণ্য রীতিকে ভালোবাসা দিবসের মোড়কে প্রেমিক-প্রেমিকার উৎসবে পরিণত করেছে।

‘ভ্যালেন্টাইন ডে’ সম্পর্কিত এসব অজানা তথ্য জানার পরও ইসলাম ধর্মের অনুসারী এবং বাংলাদেশী ঐতিহ্যে লালিত কোনো নারী কিংবা পুরুষ কি এই দিনে তার প্রিয়জন থেকে কোনো চিরকুট, প্রেমপত্র, লাল গোলাপ, ভ্যালেন্টাইন ডে কার্ড পাওয়ার প্রতীক্ষায় থাকবে?

Address

Kukrul
Rangpur
5400

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Faruque Hossain posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Faruque Hossain:

Share

Category