
02/01/2023
🙏🙏পুত্রদা একাদশীর উপবাস।🍋
🍎পুত্রদা একাদশীর মাহাত্ম্য🍊
এই একাদশীর ব্রত পালন করিলে জীবের সকল পাপ ধ্বংস হয়।ভদ্রাবতী নামক নগরে সুকেতুমান নামক এক রাজা বাস করিতেন। রাজার কোন সন্তান ছিল না। তাঁহার পিতৃপুরুষগণ চিন্তা করিতেন যে, আমাদের বংশের কোন সন্তান না থাকিলে, ভবিষ্যতে আমাদের উদ্দেশ্যে তর্পণ জল কে দান করিবে? পিতৃপুরুষদের এইরূপ দুঃখের বার্তা জানিতে পারিয়া, রাজা বড়ই চিন্তায় পড়িয়া গেলেন। তিনি অত্যন্ত শোকাকুল ও নিরাশার মধ্যে থাকিয়া কাছের বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়-স্বজনদের সহিত ঠিকমত মেলামেশা ও বাক্য আলাপ করিতেন না। সর্বদা পুত্রহীনের জন্য চিন্তা করিতেন।
একদা তিনি ভাবলেন ভগবদ্ভক্তি ও পূর্ব পূর্ব জন্মের সুকৃতি ব্যতীত সন্তানাদি লাভ হয় না। এইরূপ চিন্তা করিয়া মনের দুঃখে তিনি ঘোড়ায় চড়িয়া বনে গেলেন। বন্য পশু, পক্ষী, গাছপালাকে দর্শন করিয়া চিন্তা করিলেন, আমি সকল প্রজাগণকে শ্রদ্ধা, স্নেহ, ভালোবাসা করিতাম, সাধুগণের নির্দেশে যাগ-যজ্ঞ প্রভৃতি ধর্ম পালন করিতাম ,তথাপি এত চিন্তা কষ্ট পাইতেছি কেন? তিনি মনে মনে এইরূপ চিন্তা করিতে করিতে এক সরোবরের তীরে ধ্যানস্থ মুনিগণকে দেখিয়া প্রণাম করিলেন। সেইদিন মুনিগণ পুত্রদা একাদশী পালন করিতেছিলেন। এই একাদশী পালন করিলে পুত্র প্রাপ্তি হয়, সেই মুনিদের নির্দেশ মতো রাজা পুত্রদা একাদশী পালন করিয়া পুত্র লাভ করিয়াছিলেন।
শ্রীনিবাস আচার্যের পিতা শ্রীগঙ্গাধর ভট্টাচার্য ও মাতা শ্রীলক্ষ্মীপ্রিয়া দেবী ভগবানের নিকট ভগবানের সেবার জন্য, পুত্র কামনা করিয়াছিলেন। শ্রীমন্মহাপ্রভু একদা গোবিন্দকে বলিয়াছিলেন,-
এই ব্রাহ্মণ ও ব্রাহ্মণী পুত্র কামনা করে এসেছেন। ইহাদের শ্রীনিবাস নামে এক ভক্তিমান পুত্র হইবে, শ্রীরূপ -সনাতনাদির রচিত গ্রন্থসমূহ শ্রীনিবাসাদির দ্বারা জগতে প্রচারিত হইবে।
" সেই সে পরম বন্ধু, সেই পিতা- মাতা।
শ্রীকৃষ্ণচরণে যেই প্রেমভক্তি দাতা।।"
অতএব যাঁহারা ভগবৎ সেবার জন্য, ভগবানের নিকট সন্তান প্রার্থনা করেন, ব্রত পালন করেন, তাঁহারাই ধন্য , তাঁহাদের জীবন সার্থক হইয়া থাকে।