Dream World-স্বপ্নের পৃথিবি ツ

Dream World-স্বপ্নের পৃথিবি ツ Actor and Video maker in my page

23/09/2024

” مَنْ قَاتَلَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ فُوَاقَ نَاقَةٍ فَقَدْ وَجَبَتْ لَهُ الْجَنَّةُ.”

“যে ব্যক্তি উটের দুধ দোহনের মধ্যবর্তী বিরতির সময় পরিমাণ আল্লাহর পথে যু'দ্ধ করবে, তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যাবে।”
(সহীহ আবু দাউদ: ২৫৪১)

03/01/2024

একজনের বিশেষ অনুরোধে আবারো,, লিখতে বসলাম.

গল্পঃ ০১/

এক টুকরো মেঘ
লেখকঃ Nafic iqbal Nur Alam

রিফাত যখন নতুন বিয়ে করে নতুন বউ কে একা বাসায় নিয়ে আসে তখন রিফাতের খুব আনন্দ হয়েছিল। বিয়ে বাড়ির মতো রিফাতের বাড়িটা সাজানো ছিল না। সব দিকে বাসার সব ময়লা আবর্জনা ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। আনিকা বউ সেজে বাসর ঘরে বসে আছে। রিফাত রুমে ঢুকতেই দেখতে পেল আনিকার মধ্যে কোনো সাড়াশব্দ নেই। রিফাত খুব অবাক হলো তারপর রিফাত মাথা টা হাতিয়ে নিল। রিফাত ভাবল বাসর ঘরে বউ এসে স্বামী কে সালাম করে কিন্তু আনিকা তা করছে না। রিফাতের বুকের মধ্যে একটা কামড় দিল। তারপর রিফাত বোকার মতো করে একটা ফ্যাকাসে হাসি দিয়ে আনিকার সামনে বসল। আনিকার দিকে রিফাত একটা রাক্ষস পাখির মতো করে চেয়ে রইল। আনিকার মুখে কি মায়া সেটা তো শুধু রিফাত দেখেছিল। সারা গলায় গয়না । মুখে লাল রঙের মেকাপ। ঠোঁটে গোলাপি লিপস্টিক। চোখে মন জড়ানো কাজল। ইশ! কি ভালো ওই না লাগছিল। রিফাত তার হাত টা নিয়ে আনিকার হাতের মধ্যে রাখতে যাবে ঠিক তখনি আনিকা বলে আপনারা এতো নিষ্ঠুর? আপনাদের কাছে আমার কোনো মূল নাই? আমার জীবন টা আপনাদের কাছে একটা খেলনা? আপনারা আমাকে নিয়ে শুধু খেলবেন? আমার ইচ্ছার কোনো দাম নাই? আমার ইচ্ছামত আপনারা আমাকে বাঁচতে দিবেন না? একদিন দেখবেন আপনারাও আমার মতো কষ্ট পাবেন। সেদিন এই পৃথিবী টা শুধু হাসবে। কেউ আপনাদের কষ্ট বুঝবে না। এসব কথা বলে আনিকা কান্না করতে থাকলো। রিফাত কিছু ওই বুঝতে পারল না । আনিকার জীবনে এতো কষ্ট কিসের? কি জন্য রিফাত কে এতো গুলা কথা বলল? রিফাত নিজের চোখের পানি নিজের হাত দিয়ে মুছে পেল। রিফাত আবার একটা চরম ধাক্কা পেল। রিফাত বলল ” আপনি এখন থেকে আপনার ইচ্ছামত বড় হবেন। আপনার স্বপ্ন নিয়ে বড় হবেন। সেখানে আমার কোনো ইচ্চা থাকবে না। আচ্ছা আপনি ঘুমিয়ে পড়েন। আমি সোফায় ঘুমিয়ে পড়ছি । ” রিফাত এসব কথা বলে সোফায় ঘুমাতে গেল। সোফায় সাথে মুখটা ছেপে ধরে কান্না করতে থাকলো। কেন তার সাথে এসব হচ্ছে? তার একটা ইচ্ছাও পূরণ হচ্ছে না। এসব ভাবতে ভাবতে রিফাত ঘুমিয়ে পড়ল।

খুব সকালে রিফাত ঘুম থেকে উঠে কফি করল। সে এক কাপ কফি খেয়ে আরেক কাপ কফি করে আনিকার ড্রয়িংরুমে এর সামনে রেখে অফিসে চলে গেল। অফিসে যেতেই দশ জন কর্মী দশ কথা বলছে। কি রিফাত সাহেব নতুন বিয়ে? নতুন বউ। কেমন চলছে সংসার। নতুন বউ বুঝি বিয়ের পরের দিন ওই অফিস পাঠিয়ে দিল। সবাই এ রকম কথা বলে সবাই হাসাহাসি করছে।

রিফাত মুচকি হাসি দিয়ে বলে আপনাদের ছেড়ে থাকতে ভালো লাগছে না। তাই চলে আসলাম। পাশের সীটে বসে থাকা ৩৫ বছরের চাচা বলেন তোমার চাচীও এমন করেছিল আমার সাথে তারপর সব ঠিক হয়ে গিয়েছিল। সবাই তো হাসতে হাসতে অজ্ঞান হয়ে যাচ্ছে। অফিসের সব কর্মীর মধ্যে রিফাতের বয়স একদম কম মাত্র ২৬ বছর হবে। রিফাতের লেখাপড়া শেষ করেই চাকরী হয়ে যায়। তাই অল্প বয়স।

অফিস শেষ করে একটা দোকান থেকে কিছু গোলাপ ফুল নিল। আনিকা কে দিবে বলে আর কিছু আইসক্রিম নিল। মেয়েরা নাকি এসব খুব পছন্দ করে। এসব মেয়েদের খুব পছন্দের। একটা গাড়ি তে উঠতেই দেখতে পায় তার নতুন মায়ের ছেলে। রিফাত তাড়াতাড়ি লুকিয়ে যায় কিছু মানুষের আড়ালে। তাকে তার মুখ টা দেখাতে চায় না। এসব লুকোচুরি পর রিফাত বাসায় যায়। কলিংবেল বাজাতেই আনিকা আসে। দরজা টা খুলেই আনিকা তার রুমে চলে গেল। রিফাতও তার পিছন পিছন গেল। রিফাত একটা কাশি দিয়ে বলে আপনার জন্য। আনিকা মায়াবী মুখে রাগের ছাপ এনে বলে অসহ্য। একটু একা থাকতে দেন। বাসা থেকে বিপদ মুক্ত হয়ে এখানে আসলাম। এখন আপনি আমার বিপদ হয়ে দাঁড়াবেন। রিফাত মুখ টা কালো করে বলে ” সরি ”

আনিকা বলে ” শুনেন আমি অনার্স ২ বর্ষে পড়ি। আমার সব থেকে বড় ইচ্ছা আমি লেখাপড়া শেষ করব। রিফাত বলে আপনি তো হিসাববিজ্ঞান নিয়ে লেখাপড়া করছেন। আমিও হিসাববিজ্ঞান নিয়ে লেখাপড়া করছি। আচ্ছা আপনি কাল থেকে আবার কলেজে যাবেন। আপনার যদি টাকাপয়সা প্রয়োজন হয় তাইলে এই নেন আমার চাবি এখান থেকে টাকা পয়সা নিয়ে নিয়েন। ” আনিকা একটু লজ্জাবোধ করে চাবি টা নিয়ে নিল। রিফাত রাতের ডিনার খেয়ে সোফায় ঘুমিয়ে পড়ল।

বিকাল বেলা অফিসের কাজ করে রিফাত ঘুরতে গেল। রিফাত থমকে দাঁড়াল একটা টিশার্ট পড়া ছেলে কে দেখে। ছেলেটার বয়স তেমন হবে না। ৫ বছর বয়স হবে। কিছু বই বিক্রি করতাছে। রিফাত তার কাছে গেল গিয়ে দেখতে পেল একটা পরিচিত বই অক্সফোর্ড। এই বই টা দেখে রিফাত কান্না করে দিল। এই বই টা তার পেটের ভাত যোগাড় করে দিয়েছিল। খুব ছোট বেলার কথা রিফাতের মনে পড়ছে। এইতো আজ থেকে ২০-২১ বছরের পিছনের কাহিনী। রিফাত খুব বড় লোক বাবার ছেলে। রিফাতের মা রিফাতের জন্মের ৪ বছর পর মরে যান। তারপর থেকে রিফাত বাসায় খুব একা থাকে। বলতে গেলে বাসায় শুধু তার দাদু। আরেক টা কথা রিফাতের বাবা আর রিফাতের মা তারা ভালবেসে বিয়ে করেছিলেন। বিয়ের মধ্যে রিফাতের দাদু রাজি ছিলেন না। কারণ রিফাতের মা গরীব ঘরের সন্তান ছিলেন। বিয়ের পর তাদের পরিবারে খুব শান্তি ছিল না। রিফাতের দাদু শুধু ঝগড়া করতেন রিফাতের মায়ের সাথে। একদিন রিফাত ও রিফাতের বাবা রিফাতের মা গাড়ি নিয়ে ঘুরতে যান সেদিন গাড়ি এক্সিডেন্টে মারা যান রিফাতের মা। সেদিন থেকে রিফাত খুব একা হয়ে যায়। রিফাতের দাদু রিফাত কে তেমন ভালবাসতেন না। খুব অবহেলা করতেন। রিফাতের বাবাকে রিফাতের দাদু আরেক টা বিয়া করান। রিফাতের নতুন মা রিফাত কে খুব ভালবাসতেন।

যখন রিফাতের নতুন মায়ের আরেক টা ছেলে সন্তান হয় তখন রিফাত কে আগের মতো করে ভালবাসেন না। আগের মতো করে খাইয়ে দেন না। স্কুলের সময় রিফাত কে সাজিয়ে দেন না । রিফাত কে ধীরে ধীরে রিফাতের নতুন মা অবহেলা করতে শুরু করলেন। রিফাতের উপর অকারণে হাত তুলেন। রিফাত তার দাদুর কাছে গেলে রিফাতের দাদু আর বেশি করে বকা দেন। এক সময় রিফাত নিজের রুমে বসে কান্না করে। রিফাতের বাবা অফিস থেকে আসলে রিফাত তার বাবার বুকের মধ্যে মাথা রাখে কিন্তু তার নতুন মা অনেক রাগারাগি করেন। তার নতুন মা বলেন রিফাত তুমি কি পরিবারের কেউ কে শান্তিতে থাকতে দিবে না। আমরা কি তোমার দাস নাকি। তোমার বাবা এখন অফিস থেকে এসে কিছু বিশ্রাম নিচ্ছেন আর তুমি এসে এখানে ঢং শুরু করছ। যাও নিজের রুমে যাও।

রিফাতের বাবা রিফাতের মাথা টা হাতিয়ে দিয়ে বলেন যাও বাবা নিজের রুমে যাও। রিফাতের বুকের মধ্যে একটা বড় বাধা তৈরি হলো। এই বাধা টা কিছুতেই রিফাত কে শান্তিতে কিছু করতে দিচ্ছে না। রিফাত চুখের পানি মুছে নিজের রুমে চলে আসলো। রিফাতের বয়স যখন ৭-৮ তখন তার ছোট ভাইয়ের বয়স হল ২-৩। রিফাত একটা খেলনার জন্য তার বাবার কাছে আবদার করল। তার বাবা সেই খেলনা টা রিফাত কে কিনে দিলেন। রাতে যখন তার বাবা অফিস থেকে আসলেন তখন তার বাবার সাথে তার নতুন মায়ের প্রচুর ঝগড়া। দাদুও তার নতুন মায়ের সাথে জড়িত হয়ে তার বাবার সাথে ঝগড়া শুরু করলেন। তারা দু’জন বলছে রিফাত কে বাসা থেকে বের করে দিতে নইলে তারা বাসা থেকে বের হয়ে যাবেন। রিফাতের বাবা মা মরা ছেলে কে কিছুতেই বিদায় করে দিবেন না বলে দেন কিন্তু রিফাত বাবার সুখের কথা চিন্তা করে কেউ কে না বলে বাসা থেকে বের হয়ে যায়।

রিফাত রাস্তায় বসে কান্না করছে। তার খুব খিদা লাগছিল। হঠাৎ একটা গাড়ি এসে তার সামনে থামল। রিফাত সে গাড়ির দিকে চেয়ে রইল একজন বালক সে গাড়ি থেকে নেমে এসে বলে ” কিরে তুই কাঁদিস কেন?

রিফাত দুই হাত দিয়ে দুই চোখ মুছে বলে খিদা লাগছে। বালক বলে তোর মা-বাবা নেই?

রিফাত কান্না করতে করতে বলে মা মারা গেছেন। বালক একটু হতাশ হয়ে বলে তোর বাবা নেই?

তারপর রিফাত চোখের পানি মুছে মুছে সব কিছু বলে দেয় সেই বালক কে। বালক চোখ থেকে দুই ফোটা পানি মাটিতে ফেলে বলে তুই আমার সাথে কাজ করবি?

রিফাত বলে ” আমি ভাত খাব। ” বালক বলে চল তোকে ভাত খাইয়ে আনি তারপর তারা দু’জন খেতে চলে যায়। রিফাত ভাত খাইয়ে চুপ হয়ে বসে থাকে।

বালক বলে তুই কি এই বই গুলা বিক্রি করতে পারবি আমার সাথে। রিফাত বলে এই গুলা কোথায় বিক্রি করব? বালক বলে তুই আমার সাথে থাকলে সব কিছু বুঝতে পারবি। তারপর থেকে তারা দু’জন বিভিন্ন বাজারে বিক্রি করত। একসময় রিফাত স্কুলে ভর্তি হয়। এই অক্সফোর্ড বই বিক্রি করে তারা দু’জন লেখাপড়া খরচ চালাতো। এক সময় বালকের মাস্টার্স শেষ হয়ে যায় সব দায়িত্ব রিফাত কে দিয়ে দেয়। বালক একটা ভালো চাকরি পেয়ে যায়। আর রিফাত তখন ক্লাস নাইনে ভর্তি হয়। তারপর থেকে রিফাত সব কিছু একা চালায়। একদিন রিফাত দেখতে পেল।তার বাবা- মাকে। তারা গাড়ি নিয়ে রিফাত যে শহরের থাকে সে শহরে তারা এসেছেন। সেই গাড়ি থেকে একটা ছেলে ও একটা মেয়ে নামল। তাদের কে দেখতে খুব সুন্দর লাগছিল। রিফাতের নতুন মায়ের সন্তান। রিফাত মুখ টা গামছা দিয়ে ঢেকে বই গুলা বিক্রি করতে লাগল এমন সময় তারা দুই ভাই বোন তার কাছে বই কিনতে আসল। সে অল্প টাকা দিয়ে বই বিক্রি করে দেয়। রিফাত তার বাবার মুখ টা ভালো করে দেখার জন্য সব বই তাদের গাড়িতে তুলে দেয়। বাবা কে দেখে রিফাত একটু শান্তি পেল। পরে সে চলে আসে।

রিফাত বাস্তবে ফিরে আসে। ছেলেটার কাছ থেকে একটা বই কিনে নিয়ে এসে বাসায় চলে আসে। কলিংবেল বাজাতেই আনিকা দরজা খুলেই নিজের রুমে চলে যায়। রিফাতও রাতের ডিনার করে ঘুমিয়ে পড়ে।

এসব দেখতে দেখতে রিফাতের বিয়ের আজ ২ বছর ৬ মাস হয়ে গেল। এ দিকে আনিকা অনার্স শেষ করে ফেলেছে। আনিকা এখন নিজের আশা টা পূরন করতে পারল। রিফাত আগ থেকে অনেক পরিবর্তন হয়ে গেছে। রিফাত আগে সিগারেট খেতে পছন্দ করত না। কিন্তু এখন একটু একটু সিগারেট খায়। সিগারেটের ধুয়ার সাথে নিজের কষ্ট টা উড়িয়ে দেয়। রিফাতের সব কিছু থেকেও কিছু ওই রিফাতের নেই। সব কিছু শূন্যর মতো। রিফাত মুখ টা কালো করে তার নিজস্ব ঠিকানা সোফার মধ্যে ঘুমাতে গেল। এমন সময় আনিকা তার সামনে এসে তাকে কিছু মিষ্টি দিল। আনিকা তার খুশির খবর টা রিফাত কে দিল। রিফাত সব মিষ্টি খেয়ে শুয়ে পড়ল। যেদিন রিফাত কে সেই অক্সফোর্ড বালক ভাত খাইয়ে খিদা মুক্ত করেছিল তার চাইতে হাজার গুণ বেশি আনন্দ হয়েছিল এই মিষ্টি পেয়ে। কারণ এই প্রথম আনিকা তাকে এমন একটা ভালো আচরণ করল। আনিকা বলল আপনাকে একটা কথা বলব। রিফাত চোখ থেকে হাত সরিয়ে বলে বলেন। আপনাকে আমার পরিবারের কিছু ওই বলি নি সেখানে আমি শান্তিতে ছিলাম না। রিফাত বলে আমি আপনার সব কিছু জানি। আপনার মা মারা গেছেন। তারপর আপনার বাবা আরেক টা বিয়ে করেন। আপনার নতুন মা আপনাকে সহ্য করতে পারতেন না। আপনি খুব কষ্ট করে বড় হয়েছেন । আনিকা খুব অবাক হয়ে বলে ” আপনি এসব কিছু কিভাবে জানলেন?”

রিফাত এই কষ্টের মধ্যেও একটা মুচকি হাসি দেয়। রিফাত বলে ” আমার জানার ইচ্ছা আছে তাই আমি জানি। ”

রিফাত ঘুম থেকে উঠে দেখে আনিকা রুমে নেই। তাই সে কিছু খেয়ে বাহিরে চলে গেল। রাস্তা দিয়ে হেঁটে হেঁটে একটা পুকুরের পাড়ে গেল। রিফাত কে এখন তার মা বাবা ইচ্ছা করলেই চিনতে পারবে না। রিফাতের মুখে দাঁড়ি। চোখে চশমা পড়ে। রিফাত অনেক বড় হয়ে গেছে । রিফাত পুকুরের পাড়ে বসে দূর আকাশ টা দেখতে লাগল। একটা সময় তার এক বন্ধু রিফাত কে ফোন দেয়। ফোন দিয়ে রিফাত কে অফিসের সামনে যেতে বলে। রিফাত কিছু সময় পর সেখানে গিয়ে হাজির হয়। একটা সময় রিফাত দেখতে পায় রাস্তা দিয়ে একজন বৃদ্ধা রাস্তা পার হচ্ছেন। রিফাত চিনতে ভুল করে নি এই টা তার বাবা। বিপরীত পাশ দিয়ে একটা গাড়ি আসছে। রিফাত মুখ টা চটপট করতে লাগল। রিফাতের বাবা গাড়ি টি দেখতে পান নি। রিফাত বাবা বলে চিৎকার করে। রিফাতের বাবা তার দিকে অপলক ভাবে থাকিয়ে থাকেন। রিফাত দৌড় দিয়ে এসে তার বাবা কে ধাক্কা দেয়। তার বাবা গাড়ির ধাক্কা থেকে রক্ষা পান কিন্তু রিফাত রক্ষা পায় নি। রিফাতের বাবা ২০-২১ বছর পর তার ছেলে কে এমন অবস্থায় দেখে অবাক হয়ে যান। রিফাত কে হাসপাতালে নিয়ে যান। রিফাতের বাবা নিজের কাছে অপরাধী হয়ে যান। চেয়ারে বসে কান্না করতে থাকেন। রিফাত কে ICU তে ভর্তি করান। ডাক্তার রা তার চিকিৎসা করতাছে। এ দিকে তার অফিসের সব লোক খবর পেয়ে তাকে দেখতে আসেন সবাই কান্না করছে। এক সময় আনিকাও আসে। তার হাতে বিয়ার নতুন শাড়ি। রিফাতের জন্য পাঞ্জাবি। হয়তো নতুন করে আবার শুরু করতে এসব কিছু কিনে এনেছে। কিন্তু রিফাত তো এসব করবে না। সে চলে যাবে। তার জন্য তার আপন মা অপেক্ষা করছেন। রিফাত ছোট বেলা থেকে এখন পর্যন্ত খুব কষ্টে বড় হয়েছে।

রিফাত ICU তে। রিফাতের নতুন মাও আসলেন রিফাত কে দেখার জন্য আনিকাকেও দেখলেন। আনিকার হাতে এসব কিছু দেখে রিফাতের নতুন মা খুব আতংকিত হলেন। রিফাতের নতুন মা এবার বুঝলেন ভালবাসা কি?

রিফাতের বাবা ফ্লোরে কেঁদে কেঁদে শুয়ে পরলেন। বাবার জন্য নিজের জীবন টা শেষ করে দিল। শেষ বারের মতো ভালো করে বাবা ডাকটাও শুনতে পান নি রিফাতের বাবা। রিফাত কে দেখতে সবাই ICU এর ভিতর গেল। সবাই তাকে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়ল। অফিসের সবাই একজন আরেকজন কে ধরে কান্না করতে লাগল। তার বাবা রিফাত কে ধরে কান্না করতে লাগলেন। এ দিকে আনিকাও যেন অজ্ঞান হয়ে যাচ্ছে। আনিকা রিফাতের জীবনের সব কথা পড়ল। একটা বইয়ের মধ্য থেকে পড়ল। সে বইটা নিজের হাতে বানিয়েছিল রিফাত। কিন্তু কষ্টের কথা রিফাত আর থাকবে না। রিফাত সবার দিকে একবার চেয়ে নিল। তার নতুন মায়ের দিকে একবার চেয়ে চোখ দিয়ে বুঝি দিল আমি আপনার স্বামী কে আপনার হাতে ফিরিয়ে দিলাম। আনিকার দিকে একবার চেয়ে আনিকাকেও চোখ দিয়ে বুঝিয়ে দিল আপনার স্বপ্ন নিয়ে আপনি বেঁচে থাকবেন । আমি চলে যাব। কিন্তু তার চোখের ভাষা কেউ বুঝতে পারে নি। রিফাত দুই চোখ টা শেষবারের মতো বন্ধ করে দেয়। মনে মনে বলে ” ভালো থেকো আনিকা। “
,,, ভালো লাগলে জানাবেন,

11/09/2023
08/09/2023

CCS

01/09/2023

বোতল সোজা হয়ে পড়লে মিষ্টি,না দেখলে মিস😁😁🤩🤩🤩

30/08/2023

JUST FOR YOU

গ্রাম বাংলা
04/07/2023

গ্রাম বাংলা

15/02/2023

বেইমানি চলবেনা
আসেন ফলো টু ফলো
একটিব আছি দ্রুত করুন।
বেক টু বেক

15/02/2023

Followers বাড়াতে চাইলে সবাই
সবার পেইজ প্রমোট করতে সাহায্য করি।
Follow করলেই follow back
Follow for Follow

14/02/2023

একজন শিহ্মক রিক্সা চালক
😭😭😭😭

Address

Rangpur
5450

Telephone

+8801707470513

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Dream World-স্বপ্নের পৃথিবি ツ posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Dream World-স্বপ্নের পৃথিবি ツ:

Share