20/08/2023
ছেলেঃ আই লাভ ইউ ইরি।
ইরিঃ থাপ্পড় চিনেন?
- চিনি তো
- খাবেন?
- কে দেবে?
- আমি।
- দেরী করছো কেনো? এক্ষুনি দাও।
- লজ্জা করেনা আপনার?
- আমি তো প্যান্ট পরে আছি।
- আপনাকে যে কি করি?
- বিয়ে করো।
-আসলেই একটা থাপ্পড় দেয়া উচিত আপনাকে।
- চাইলে আদর ও করতে পারো।
- সামনে থেকে সরুন।
- পেছন পেছন আসবো নাকি?
- আপনি কি করেন?
- স্টাডি করি।
- আপনার বাবা কি করেন?
- বাবা নেই।
-মারা গেছেন?
- না,আসলে আমি জানি না,
- আপনার মা?
-আমার মা আমার জন্মের সময় মারা গেছেন।
- থাকেন কোথায়?
-বস্তিতে,
এক ভিক্ষুকের সাথে। এখন তিনিই আমার মা।
- আমি আপনাকে ভালোবাসতে পারবো না।
- কেনো?
- ভিখারীর ছেলেকে কি করে বয়ফ্রেন্ড বানাই?
ফকিন্নির ছেলের আবার ভালোবাসার শখ!!
- আচ্ছা।
- কি আচ্ছা?
- আর ডিস্টার্ব করবো না তোমাকে।
- ধন্যবাদ।
আমি আর কিছুই বললাম না।নীরবে চলে আসলাম।
আসলে জোর করে ভালোবাসা হয় না। তাছাড়া আমি যেহেতু ভিখারীর সন্তান, সেহেতু এসব ভাবাও আমার জন্য পাপ।
আমি আল -ফারাবী। ডাক নাম ফারাবী। ঢাকা শহরের একটা বস্তিতে থাকি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিজিক্সে অনার্স করছি। আমার বাবা কে তা আমি জানিনা।
মা জন্মের সময় মারা গেছেন। মাকে কখনো দেখতে পারিনি।
তাই বড় হয়েছি এক ভিখারীর কাছে। তিনিই এখন আমার মা। কিছুটা বুঝতে যখন শিখেছি, তখন টোকাই দলে নাম লিখেছি। সারাদিন টোকাই গিরি করে যা পেতাম তাতে আমার দিন যেতো।
একদিন পাশের মহল্লার কিছু টোকাই ছেলে আমাকে মেরেছিলো।
তারপর আমার মা (যার কাছে থাকি) তিনি আমাকে স্কুলে ভর্তি করে দিলেন। আর তিনি ভিক্ষা করতেন।
প্রাইমারী পাশ দেবার পর আসি হাইস্কুলে ভর্তি হলাম। বেশ মেধাবী ছিলাম আমি। সবসময় সব ক্লাসে ফার্স্ট হতাম। পাশাপাশি একটা প্লাস্টিক কারখানাতেও জব করতাম। যে টাকা বেতন দিত, তাতে পেট চলতো।
পড়ালিখার টাকা মা ভিক্ষা করে জোগাড় করতো। মোটামুটি চলে যেতো দিন।
খুব ভালো খাবার খেতে পারতাম না।নিম্ন মানের চালের ভাত আর পিয়াজ বা কাঁচামরিচের ঝাল হলেই পেট ভরে খেতাম। মাঝে মাঝে মা ডাস্টবিন হতে বড় লোকদের ফেলে দেয়া আধখাওয়া পঁচা বাসি খাবার
নিয়ে আসতেন।
আমার চোখ খাবার লোভে চকচক করতো। আমি গপাগপ গিলতাম। খাবার শেষে তৃপ্তির ঢেঁকুর তোলে মায়ের দিকে তাকাতাম। দেখতাম আমার মায়ের দুচোখে জল চিকচিক করছে
আমি তাকালেই মা মুখ ঘুরিয়ে নিত।
আঁচলে চোখ মুছতো আমাকে আড়াল করে। মাঝে মাঝে বলতো,
"বা'জান, চোকে মনে অয় সমেস্যা দেহ