06/05/2023
সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানা হচ্ছে বাংলাদেশের একটি রেলওয়ে কারখানা, যেটি নীলফামারী জেলার সৈয়দপুরে অবস্থিত। এটি বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃক পরিচালিত হয়। এটি বাংলাদেশের দুটি রেলওয়ে কারখানার মধ্যে একটি (আরেকটি হচ্ছে চট্টগ্রামের পাহাড়তলী রেলওয়ে কারখানা), যেখানে রেলওয়ে কোচ ও ওয়াগনসমূহের রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামতের কাজ করা হয়। সাথে সাথে এটি দেশটির সবচেয়ে বড় রেলওয়ে কারখানা।
সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানা
সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানা.
২০২০ সালে সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার প্রবেশদ্বার
ধরন
সরকারী
শিল্প
রেল
প্রতিষ্ঠাকাল
১৮৭০; ১৫২ বছর আগে
সদরদপ্তর
সৈয়দপুর, নীলফামারী জেলা, বাংলাদেশ
পরিষেবাসমূহ
রক্ষণাবেক্ষণ, মেরামত ও কার্যক্রম
মালিক
বাংলাদেশ রেলওয়ে
সম্পাদনা
১৮৭০ সালে, ১১০-একর জমির উপর একটি মিটার-গেজ বাষ্পচালিত লোকোমোটিভের মেরামত শেড হিসেবে সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানা প্রতিষ্ঠিত হয়। পরবর্তীতে মিটার-গেজ ও ব্রড-গেজ কোচ ও ওয়াগন মেরামতের জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ ইত্যাদি স্থাপন করে ১৯৫৩ সালে ৮০০ একর জমির উপর কারখানাটিকে সম্পূর্ণ সজ্জিত করা হয়। এতে ২৫টি শপ রয়েছে যেখানে মেরামতের কাজ করা হয় এবং ক্যারিজ ও ওয়াগনের জন্য প্রায় ১,২০০টি স্পেয়ার পার্টস ও টুলস তৈরি করা হয়।
মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণের পাশাপাশি কারখানাটিতে কোচ ও ওয়াগন উৎপাদনও করা হতো। কিন্তু ১৯৯৩ সালে তৎকালীণ সরকার রেল সংকোচন নীতির আওতায় এই উদ্যোগ বন্ধ করে দেয়।বর্তমানে কারখানাটিতে জনবলের সংকট রয়েছে। ২০২০ সাল অব্দি ২,৮২৫টি অনুমোদিত জনশক্তির বিপরীতে রয়েছে মাত্র ৯১৮ জন স্টাফ (অফিসার সহ), অর্থাৎ প্রায় ৬৮% জনবল ঘাটতি রয়েছে।
২০১৬ সালে বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃক কারখানাটির উত্তর পাশে দার্জিলিং গেটসংলগ্ন এলাকায় ২০ একর জমির উপর কোচ ও ওয়াগন উৎপাদনের জন্য একটি নতুন ক্যারিজ শপ যুক্ত করার পরিকল্পনা করা হয়।[৪][৫] কারখানাটির আধুনিকায়ন ও নতুন জনবল নিযুক্ত করার পরিকল্পনাও নেওয়া হয়।
২০২০ সালের ২৯ আগস্ট সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় জাদুঘর উদ্বোধন করা হয়। এই জাদুঘরে ইংরেজ আমলে ব্যবহৃত প্রেসিডেন্ট সেলুন কোচসহ বিভিন্ন মালামাল ও যন্ত্রপাতি সংরক্ষিত রয়েছে।