12/07/2024
অমাবস্যার রাত, রাত ঠিক বারোটা কি একটা হবে। দুজন ছেলে হেঁটে যাচ্ছে কবরস্থানের দিকে। কারণ তাদের নতুন কবর হওয়া, কোন কবর থেকে সেই লা*শের মাথা কেঁ*টে নিয়ে আসতে হবে। 😳
আপনারা হয়তো ভাবছেন রাতের বেলা ছেলে দুটো কবরস্থানে লাশের মাথা কাঁটতে আসছে কেন৷
শোনেন তাহলে।
এই ছেলে দুটো খুব ভালো বন্ধু। পরিবেশ ও পরিস্থিতিতে খাপ খাওয়াতে না পেরে দুজনে বেঁচে নেয় খুব অন্ধকার একটা জিবন। দুজনের মাথায় আসে, জ্বীন বস করার নেশা।
জ্বীন বস করার নেশা ও কবিরাজি শিখতে দুজনে একজন কবিরাজের কাছে চলে যান।
সেই কবিরাজের কাছে যাবার পর। অনেক অনুরোধ করতে থাকেন কবিরাজকে, কবিরাজ যেনো তাঁদেরকে তার শিষ্য বানায়। তাঁদেরকেও যেনো কবিরাজি শেখানো হয়।
ছেলে দুটোর অনেক অনুরোধে কবিরাজ তাঁদেরকে কবিরাজি শেখাতে রাজি হন কিন্তু খুব কঠিন সর্ত তাঁদের দেয়া হয়৷
তিনটা সর্তের মধ্যে প্রথম যে সর্ত ছিলো সেটাই হলো আমাবস্যার রাতে কোন এক কবরস্থান থেকে লা*শের মাথা কেঁ*টে এনে কবিরাজকে দিতে হবে। কবিরাজের দেয়া প্রথম সর্ত পালন করতে আমাবস্যার রাতে কবরস্থানের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, এই দুই বন্ধু , এদের একজনের নাম, শাহাদাৎ, আরেকজনের নাম জয়নাল।
আমাবস্যার রাত, গ্রামের রাস্তা একদম ফাঁকা, একটা গা ছমছম পরিবেশ শাহাদাৎ ও জয়নাল দুজনে হেঁটে চলেছে কবরস্থানে দিকে।
এরা দুজন যখন হেঁটে কবরস্থানের পাশে কাছে চলে আসে ঠিক তখনি পিছন থেকে একটা আওয়াজ ভেসে আসে। এখান থেকে চলে যা, বাঁচতে চাইলে চলে যা।
পিছন থেকে এমন আওয়াজ পেয়ে, শাহাদাৎ ও জয়নাল দুজনে পিছনে ঘুরে তাকায়, কিন্তু পিছনে তে কেউ নেই, তাহলে আওয়াজটা আসলো কোথা থেকে৷
পিছনে কাউকে না দেখে দুজনে কবরস্থানের কাছে চলে আসে, ও দেয়াল টপকে কবরস্থানের ভিতরে প্রবেশ করে।
কবরস্থানে ঢুকে দুজনে খুজতে থাকে, নতুন কবর মানে, কয়েকদিনের মধ্যে মারা গেছে এমন একটা কবর।
এমন একটা কবর দুজনে খুঁজতে থাকে, খুঁজতে খুঁজতে এক সময় তাঁরা একটা নতুন কবর পেয়ে জান।
নতুন কবরটা পাওয়ায়, শাহাদাৎ ও জয়নাল কবর থেকে মাটি সরাতে থাকে।
এদিকে মাঝে মধ্যে এদিক সেদিক তাকিয়েও দেখে কেউ আসছে কিনা৷
যাইহোক কবরের মাটি সরাতে সরাতে এক সময় বাঁশ বের করেন আর বাঁশ গুলা সরাতে দুজনে দেখতে পায় কবরে একটা লাশ রাখা, একজন বৃদ্ধের লাশ।
লাশটা দেখে, জয়নাল শাহাদাৎকে বলেন। এই শাহাদাৎ যা নিয়ে যা আর লাশের মাথাটা কেটে নিয়ে আয়।
জয়নালের কথায় শাহাদাৎ বলে, আমার তো ভয় করছে রে, তুই নাম কবরে আর মাথাটা কেঁ*টে নিয়ে আয়।
শাহাদাতের কথায় জয়নাল রাগ করে বলেন, ভয় নিয়ে কাজ করলে কি কবিরাজি শেখানো যাবো, দে হাতিয়ারটা আমাকে দে আমি লা*শের মাথাটা কে*টে নিয়ে আসি, তুই উপরে থেকে দেখ কেউ আসে কিনা।
কথাটা বলে জয়নাল নেমে যায় কবরের ভিতরে, জয়নাল যখন কবরে নামে, উপরে থেকে শাহাদাৎ তখন দেখতে পান, চার থেকে পাঁচটা শেয়াল ওদের দিকে এগিয়ে আসছে।
এই দেখে শাহাদাৎ বলেন, জয়নাল এই জয়নাল ওই দেখ আমাদের দিকে কয়েকটা শেয়াল এগিয়ে আসছে।
ওদিকে কবরের ভিতর থেকে জয়নাল বললেন, চুপ করে থাক তো শেয়াল আবার এমন কি একটা লাঠি দিয়ে ভয় দেখা পালিয়ে যাবে।
জয়নালের কথায় শাহাদাৎ চুপ করে ঐ শেয়াল গুলোর দিকে তাকিয়ে আছে, এদিকে শেয়াল গুলো আস্তে আস্তে কিছুটা কাছে আসায় শাহাদাৎ দেখলেন শেয়াল গুলো সাধারণ শেয়ালের থেকে অনেক বড়, শেয়াল গুলোর চোখ আগুনের মত জলজল করছে দাঁত গুলো অনেক বড় বড় ও ছুচালো।
এমন অদ্ভুত রকমের শেয়াল দেখে শাহাদাৎ ভয়ে জয়নালকে বলে জয়নাল একবার উপরে তাঁকা আমার মনে হয় এগুলা সাধারণ কোন শেয়াল নারে।
শাহাদাতের কথায় জয়নাল কবর থেকে উপরে তাকিয়ে ও নিজে দেখেও বুঝতে পারে আসলেই এগুলা সাধারণ কোন শেয়াল না।
বিষয়টা বুঝতে পেরে জয়নাল বললেন, শাহাদাৎ কি করবো।
জয়নালের কথায় শাহাদাৎ বললেন, চল পালাতে আগে জিবন বাচাঁই।
কথাটা বলে দুজনে পালাতে যাবে, তখন শুরু হয় ভয়ংকর একটা ঘটনা, পালানোর জন্য জয়নাল কবর থেকে উঠতে যাবে, তখনি কবরের ভিতর থেকে কে যেনো জয়নালের পা টেনে ধরে।
জয়নালের পা টেনে ধরায় জয়নাল ভয়ে চিৎকার করতে থাকে৷ জয়নালের এমন অবস্থায় উপর থেকে শাহাদাৎ জয়নালের হাত ধরে টানতে থাকে।
কবরের ভিতরে থাকা অবয়বটা জয়নালের পা কোনভাবে ছাড়ছেনা। এদিকে উপরে ঐ হিংস্র ভয়ংকর শেয়াল গুলো এগিয়ে আসতে থাকে তাঁদের দিকে।
তারপর _____
শাহাদাৎ ও জয়নালের সাথে কি ঘটে সেটা জানতে পারবেন পরের পর্বে।
গল্পটা কেউ কপি করলে লেখকের নাম কাটবেন না।
গল্পটা সবাই শেয়ার করে দিন। এটা খুব রহস্যময় ভয়ংকর গল্প।
গল্প জ্বীনের প্রতিসোধ
পর্ব : ০১
#লেখক__মোঃ__বেলাল
ভালো লাগলে পেজে ফলো দিয়ে রাখেন Feelveeツ