14/12/2024
হেলাল হাফিজ শান্তি পায়নি জীবনে। হেলেন কি পেয়েছিল?
স্কুল জীবনে হেলেনের প্রেমে পড়ে হেলাল হাফিজ। দুজনে চুটিয়ে প্রেম করে । কিন্তু বিয়ে হয়নি। দারোগা পিতা হেলেনের ক্ষুদ্র স্কুল শিক্ষকের ছেলের সাথে বিবাহ দিতে রাজী হয়নি। হেলেনের বিয়ে হয় এক বিখ্যাত সিনেমা হলের মালিকের সাথে।
রাগে অভিমানে হেলাল হাফিজ ২ সপ্তাহ খায়নি কিছু। কারও সাথে কথা বলেনি। হেলেন তার জীবনে এত প্রভাব ফেলে যে হেলেনকে নিয়ে গোটাশুদ্ধ বই লিখেন।
কিন্তু হেলেনের কী হয়?
না, হেলেন স্বার্থপরের মত ভালোভাবে বাচতে পারেনি। বেচারি। হেলেনের জামাই অনেক বইয়ের সাথে বইমেলা থেকে যে জলে আগুন জ্বলেও কিনে নেয়। হেলেন বইটা পড়ে দেখে গোটা বইয়ে শুধু সে।
হেলেন নিজেকে ধরে রাখতে পারেনি। বদ্ধ উন্মাদ হয়ে যায় হেলালের অভিশাপে। হেলাল হাফিজ কি চেয়েছিল সেটা?
নাহ, শেষ বয়সে আসার পরও হেলেনের নাম শুনলে হেলাল হাফিজ বাচ্চা শিশুর মত নাকি কাদতেন। এমনটাই উঠে এসেছেন আখতারুজ্জামান আজাদের সাক্ষাতকারে।
কাওকে হয়ত এতটা ভালোবাসতে নেই যে দ্রোহে নিজের ভালোবাসার মানুষটাই পাগল হয়ে যায়।
প্রেমের আগুনে হেলাল হাফিজ পুড়েছেন। নি:সংগ জীবন কাটিয়েছেন। উনাকে যদি জিজ্ঞেস করা হতো , আপনি বিয়ে করছেন না কেন?
উনি নাকি হালকা হেসে বলতেন, কেউ আমাকে বিয়ে করেনি।
উনার পরিবার থেকে কারও প্রস্তাব আসলে উনি নাকি বলতেন, মেয়েটা আমার মায়ের মত।
অবশেষে পরিবারের চাপ কমাতে থাকা শুরু করেন মেসে। ভিন্ন নামে। ভিন্ন পরিচয়ে। কাওকে হেলেনের জায়গা দিতে পারেনি হেলাল হাফিজ। নিজেও সুখের দেখা পায়নি। হেলেনের ও সুখ হয়নি।
শাহবাগের সুপার হোস্টেলের একটা ঘরে একা থাকতেন কবি। শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুরে ওয়াশরুমের দরজা খুলে তাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। প্রায় ৩০ মিনিট চেষ্টার পর দুপুর সোয়া ২টার দিকে ওয়াশরুমের দরজা ভেঙে খোলা হয়। পড়ে গিয়ে মাথায় আঘাত পেয়েছিলেন তিনি, হয়েছিলেন রক্তাক্ত।
এরপর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (BSMMU) হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।