22/05/2025
এটা নিয়ে সমালোচনা হবে। ফেসবুক গরম হবে। কিন্তু বাস্তবতা হলো ইশরাক মেয়র হবে। তাকে শপথ পড়াতে হবে।
আমাদের যে রাজনীতি বিমুখ একটি প্রজন্ম গড়ে উঠতেছে, তাদের জন্য সামনের পরিবেশ আরো ভয়ঙ্কর হবে।
একটা বিষয় মনে রাখবেন, এই রাষ্ট্র ইসলামী রাষ্ট্র না, যে সকলের অধিকার সমানভাবে রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে পৌঁছে দেয়া হবে। এই রাষ্ট্রে আপনার রাজনৈতিক পাওয়ার না থাকলে, আপনাকে উদ্বাস্তু মনে করা হবে।
আপনার অধিকারের জন্য শক্তি প্রয়োগ করতে হবে। শক্তি থাকলে রাষ্ট্র আপনাকে মূল্য দিবে। আর শক্তি না থাকলে রাষ্ট্র আপনার সাথে কথা বলারই প্রয়োজন মনে করবে না।
ফেসবুকে ইশরাকের বিরুদ্ধে কত কথা, কিন্তু সে তার দাবি আদায় করে নিয়েছে। কারণ তার শক্তিশালী রাজনৈতিক অবস্থান আছে। তার পক্ষে হাজার হাজার লোক রাস্তায় নেমে যাচ্ছে। রাষ্ট্র মূল্যায়ন করতে বাধ্য।
রাজনীতিটা ঠিক আপনার এই জন্যই করতে হবে, আপনি ন্যায়ের পক্ষে আপনি ভালোর পক্ষে সুতরাং ভালোর পক্ষে একটা শক্তিশালী রাজনৈতিক অবস্থান থাকতে হবে। এটা না থাকলে নীতি-নৈতিকতার কথা, সুন্দর সুন্দর নসিহত এগুলো রাজনীতির ময়দানে চলে না। রাজনীতি হলো শক্তি প্রদর্শনের জায়গা।
মক্কার যেই কাফেররা মুসলমানদেরকে সীমাহীন নির্যাতন করতো, তারাই কিছুদিন পরে তাদের সামনে হাঁটু গেড়ে বসেছে।
আমেরিকার সাদা চামড়ার কুকুরগুলো আ'ফ'গানিস্তানে কি পরিমাণ ধ্বংসলীলা চালিয়েছে, তারাই তা'লি'বদের সামনে নত হতে বাধ্য হয়েছে। পাকিস্তানের ফজলুর রহমান সাহেবকে মাইনাস করে কিছু করা সম্ভব হয় না। কারণ ফজলুর রহমান সাহেবদের রাজনৈতিক পাওয়ার আছে। এক ঘন্টার আল্টিমেটামে এক লক্ষ মানুষ রাস্তায় নামাতে পারার সক্ষমতা আছে।
সুতরাং যে ভুখন্ডে জি'হা'দ করা সম্ভব, সেখানে কব্জির জোর অর্জন করতে হবে, যেখানে জি'হা'দ করতে পারতেছেন না, সেখানে আপনার রাজনৈতিক শক্তি অর্জন করতে হবে।
মিষ্টি কথা, শুধু দাওয়াত, শুধু ইসলাহ বা ফেসবুক ক্যাম্পেইন দিয়ে আপনি অধিকার নিয়ে বাঁচতে পারবেন না।
Courtesy :
Molla Khalid Saifullah ভাই