Rajibpur Live (2025)

19/07/2025

বিস্তারিত কমেন্টে...

19/07/2025

মঞ্চে লুটে পড়েও বক্তব্য অব্যাহত রাখলেন আমীরে জামায়াত

19/07/2025

স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে রাজিবপুর সরকারি কলেজ ছাত্রদলের দোয়া অনুষ্ঠান

স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে আত্মত্যাগকারী শহীদদের স্মরণে ও আন্দোলনে আহত ও অসুস্থদের সুস্থতা কামনায় দোয়া মাহফিল আয়োজন করেছে রাজিবপুর সরকারি কলেজ ছাত্রদল।

শনিবার (১৯ জুলাই) রাজিবপুর সরকারি কলেজ প্রাঙ্গণে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা এ দোয়া ও মোনাজাতের আয়োজন করেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত বক্তারা বলেন, “স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে শহীদ ভাইদের অবদান জাতি কোনোদিন ভুলবে না। তাঁদের আত্মত্যাগ আমাদের আন্দোলনের প্রেরণা হয়ে থাকবে।”

এসময় শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা এবং বর্তমানে অসুস্থ ও আহত ভাইদের দ্রুত আরোগ্য লাভের জন্য দোয়া করা হয়।

কলেজ ছাত্রদল নেতা মো. হাবিব বলেন, “গণতন্ত্র রক্ষায় আমাদের এই সংগ্রাম চলমান থাকবে। শহীদদের রক্ত যেন বৃথা না যায়, সে লক্ষ্যে আমরা রাজপথে ঐক্যবদ্ধ।”

অনুষ্ঠানটি পরিচালনায় স্থানীয় ছাত্রদল নেতৃবৃন্দ ছাড়াও কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীরাও অংশ নেন। অনুষ্ঠান শেষে সবাই শহীদদের স্মরণে ১ মিনিট নীরবতা পালন করেন।

19/07/2025

আজ বিকেল ৩টায় রাজিবপুর উপজেলা শিশু পার্কে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আয়োজনে সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন মুফতী সৈয়দ ফয়জুল করীম।

19/07/2025

জাতীয় সমাবেশে রাজিবপুর উপজেলা জামায়াতের অংশগ্রহণ।

18/07/2025

ব্রীজের কাজে অ*নি*য়*ম করায় মিস্ত্রি কে গাছের সাথে বেঁ*ধে রাখলো জনতা

কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার ২নং শৌলমারী ইউনিয়নের চেংটাপাড়া পুরাতন ব্রিজের পাশে নতুন ব্রিজের কাজ সঠিক না করার কারণে হেট মিস্ত্রিকে বেঁ*ধে রাখলো সাধারণ জনগণ।

18/07/2025

আগামীকাল বিকেল ৩টায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ রাজিবপুর উপজেলা শাখার আয়োজনে ওয়াজ মাহফিল।

প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন, মুফতী সৈয়দ মো. ফয়জুল করীম, নায়েবে আমীর ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।

18/07/2025

🩸 ১৮ জুলাই ২০২৪ – উত্তরা বিএনএস: সেই দিন যা হয়েছিল আমার জীবনের এক জ্বলন্ত স্মৃতি

লিখেছেন: হযরত আলী
Bashundhara Technical Institute

সকাল থেকে উত্তরা বিএনএস এলাকায় ছিল এক বিশাল সমাবেশ। আমি আর আমার বন্ধু সেখানে উপস্থিত ছিলাম—শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের অংশ হিসেবে। চারপাশে হাজার হাজার মানুষ মেধার অধিকার ও কোটা সংস্কারের দাবিতে একসাথে স্লোগান দিচ্ছিল। উত্তরা যেন সেই মুহূর্তে এক ধরণের একাত্মতার শিখরে পৌঁছে গিয়েছিল।

কিন্তু সেই শান্তি বেশি স্থায়ী হয়নি। হঠাৎ করেই পুলিশ টিয়ার গ্যাস ছুড়ে দেয়। প্রথম কয়েক সেকেন্ড বুঝতে পারিনি কী ঘটছে। হঠাৎ চোখ-মুখে অসহনীয় জ্বালা শুরু হয়, গলায় জ্বালাপোড়া, শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছিল। লোকজন আতঙ্কিত হয়ে ছুটে যেতে শুরু করে। আমরা পারিপার্শ্বিক আগুনের পাশে গিয়ে একটু আরাম নেওয়ার চেষ্টা করি, কারণ আগুনের কাছাকাছি গরমে চোখ-মুখ কিছুটা শান্ত হচ্ছিল।

কিছুক্ষণ পর আমরা আবার সংগঠিত হয়ে পুলিশদের ধাওয়া করি। তখন দেখি পুলিশ ছাড়াও ছাত্রলীগের কিছু গোষ্ঠী ঐ এলাকায় অবস্থান নিয়েছে এবং তারা পুলিশের সঙ্গে একত্রে আন্দোলনকারীদের দমনে কাজ করছিল। পুলিশ এবং ছাত্রলীগ একসাথে মিলিত হয়ে আন্দোলন দমন করতে কঠোর ব্যবস্থা নেয়। তারা থানায় পালিয়ে যায় এবং সেখানে থেকে থানার ছাদ থেকে গুলি চালানো শুরু করে। সেই গুলির শব্দ আর আতঙ্কে চারপাশ রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।

একপর্যায়ে একজন র‌্যাব সদস্য একা একটি গাড়ি নিয়ে আসে। মনে হচ্ছে চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছিলেন—গাড়িটি সোজা করে ওভারব্রিজের সাথে ধাক্কা খায়। আমরা দৌড়ে সেই স্থানে পৌঁছাই। অনেক মানুষ গাড়ির ওপর হামলা করে, উত্তেজনা চরমে পৌঁছায়।

ঠিক সেই সময়ে আমার মাথায় একটা প্রচণ্ড শক্তিশালী আঘাত লাগে। আমি হোঁচট খাই, হাত দিয়ে দেখি—রক্ত ঝরছে। বন্ধুকে ডাকি, সে এসে দেখে বলে,

> "তোর মাথায় রাবার বুলেট লেগেছে!"

আমি চোখের পলকে বুঝতে পারি আমার জীবন বিপদে। আমাকে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হয়।

হাসপাতালের রুমে ঢুকে দেখি চারপাশে রক্তাক্ত মানুষ। কেউ গুলিবিদ্ধ, কেউ রাবার বুলেটে আহত, কেউ টিয়ার গ্যাসের কারণে কাতর হয়ে চিৎকার করছে। রিকশায় করে, সিএনজিতে করে একের পর এক আহত ভাইদের আনা হচ্ছিল।

সেই দৃশ্য, সেই আর্তনাদ, সেই বেদনার শব্দ আজও আমার মনে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বাজে। আমি ভাগ্যবান—আল্লাহর রহমতে বেঁচে আছি। যদিও মাথায় এখনো তিনটি রাবার বুলেটের দাগ থেকে যায়।

কিন্তু যারা সেদিন আমার পাশে ছিল, তাদের মধ্যে অনেকেই ফিরে আসেনি। কেউ মারা গেছেন, কেউ নিখোঁজ।

সেদিন, উত্তরা বিএনএস এলাকা হয়ে উঠেছিল এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধক্ষেত্র। রক্ত, কান্না, গর্জন—সবই একসাথে জড়িয়ে গিয়েছিল।

আজও সেই আগুন নিভেনি।
আমরা যারা নিজের জীবন বাজি রেখে জুলাই আন্দোলনে রাজপথে ছিলাম—
আজ তাদের খোঁজ রাখে না কেউ।
আমরা রক্ত দিয়েছি, গুলি খেয়েছি, হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে মৃত্যুর সাথে লড়েছি।
আর আজ যাদের সেদিন আন্দোলনের ধারে-কাছেও দেখা যায়নি,
তারা বসে আছে মঞ্চে—নেতা, সমন্বয়ক, পদধারী পরিচয়ে।

আমরা কোনো পদ চাই না, বাহবা চাই না।
আমরা এসেছিলাম দেশের জন্য—
এই মাটি, এই ভবিষ্যৎ, এই প্রজন্মের জন্য।

আমরা আবার আসবো—
যখনই দেশ ডাক দেবে।
আবার রাজপথে নামবো,
আবার বুক পেতে গুলি খাবো,
আবার বলবো: "এই দেশটা আমাদের!"

আমরা আসি আড়াল থেকে,
চলে যাই নীরবে,
কিন্তু রেখে যাই ইতিহাসের গভীরে অমোচনীয় চিহ্ন।

আমাদের নাম সংবাদে নেই, মাইকে নেই, ব্যানারে নেই।
কিন্তু রাজপথ জানে, হাসপাতালের দেয়াল জানে,
শহীদদের চোখ জানে—
> আমরা হারিনি, হারবো না। কারণ আমরা আসছি আবারও, দেশের জন্য, মানুষের জন্য।

18/07/2025

আনিছুর রহমান কে অব্যাহতি দিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী রাজিবপুর উপজেলা শাখা।

Rajibpur Live

19/07/2025

19/07/2025

19/07/2025

19/07/2025

19/07/2025

18/07/2025

18/07/2025

18/07/2025

18/07/2025

Address

Website

Alerts

Contact The Business

Shortcuts

Share