23/07/2025
মনের কথা
-মোঃ মহিউদ্দিন মানিক
মানুষ মফস্বলে থাকতে চায় না কেন জানেন! আপনি যখন আপনার মৌলিক চাহিদা গুলো মিটাতে গিয়ে ক্লান্ত হয়ে যাবেন তখন নিজের থেকেই বলে উঠবেন, এ আমি কোথায় বাস করি? বিশ্বাস করেন, আপনার প্রচুর টাকা, পরিপূর্ণ নাগরিক সুবিধা ভোগ করার জন্য যতটা প্রয়োজন তার থেকেও অনেক বেশি, কিন্তু মফস্বলে আপনি মানুষ হিসাবে নুন্যতম মৌলিক চাহিদাটাও মিটাতে পারবেন না বেশিরভাগ সময়। ভালো স্কুল নেই, পর্যাপ্ত ডাক্তার নেই, খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্হান কোন কিছুই আপনি আপনার প্রয়োজন অনুসারে পাবেন না। এই তো কিছুদিন আগে মাকে নিয়ে এক ডাক্তারের কাছে গেলাম, আমাদের এলাকারই ছেলে, বয়সও আমার কাছাকাছি খুব উচ্ছ্বসিত ছিলাম ভালো একটা প্রতিক্রিয়ার আশায়। কিন্তু আশায় গুড়োবালি, তার সাথে কথা বলতে গিয়ে মনে হলো আমি কোন ভিন গ্রহ থেকে পৃথিবীর সম্রাটের সামনে দাঁড়িয়েছি অনেক বড় স্পর্ধা নিয়ে। তার কিছুদিন পর ঘটলো আরও এক ভয়াবহ ঘটনা, বাচ্চার অসুস্হতার কারণে কুড়িগ্রামের ওয়াল্ড চ্যাম্পিয়ানখ্যাত শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলাম দেখানোর জন্য। আহ্! যাকে বলে জঘন্য, রোগীর বিবরণী শোনা তো দূরের কথা ভালো করে দেখারও সময় নাই এই বিশিষ্ট মহামান্যের। আরও ভয়াবহ ব্যাপার হলো তার রিকমান্ডে বাচ্চাকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করালাম এবং সে সেখানে রেগুলার ডিউটি টাইমে দেখবে এতে মনে মনে খুশিও হলাম। কিন্তু আমি এতো বেশি হতাশ হলাম যখন দেখলাম হাসপাতালে রুটিন ডিউটি করতে গিয়ে জমিদার সাহেব সমস্ত অসুস্হ বাচ্চাকে গরমে সিরিয়ালে দাঁড় করিয়ে আরও অসুস্হ বানিয়ে এক এক করে দেখছে। কেবিনে বা বেডে গিয়ে সে বাচ্চা রোগীদের দেখতে পারবে না, তাকে দেখাতে হলে এভাবেই দেখাতে হবে। জানিনা সরকারি হাসপাতালে রোগী দেখার এটাই সরকারি নিয়ম কিনা, যদি হয়েও থাকে তাহলে বলবো লাথি মেরে এ সিস্টেম ভেঙ্গে ফেলা উচিত। লিখতে বাধ্য হলাম কারন, আবারও প্রায় একই রকম ঘটনার সম্মুখীন হয়েছি দুই-তিন দিন আগে, একই ডাক্তারের কাছে। এরপরেও আপনাকে আবারও তার কাছেই যেতে হবে কেনোনা আপনার হাতে দ্বীতিয় কোন অপশন নাই। সব কিছুর পর আপনি বলতে বাধ্য হবেন, না আর নয় আমি ক্লান্ত, আমি মুক্তি চাই এ অভিশপ্ত জীবন থেকে।