09/03/2025
"একটি ফুটেজের রাজনীতি আর এক দলা নোংরামি"
খুব কষ্ট নিয়ে আজকে এই কথা গুলো বলতে হচ্ছে।
আজকে নারী দিবসের প্রোগ্রাম শেষ করে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমিন মোর্শেদ আপার সাথে ঢাকা মেডিকেল এ ঢুকলাম আছিয়ার বিস্তারিত খোঁজ নেয়ার জন্য।আমরা ঢুকেই এ পর্যন্ত যে কয়জন গাইনী ডক্টর আছিয়াকে দেখেছে,শুরু থেকে এখন অব্দি বিস্তারিত তথ্য নিলাম ইমার্জেন্সি বিভাগের নিচ তলার ওসিসি রুমে বসে।
এরপর দ্বিতীয় তলাতে গেলাম আমরা,যেয়ে দেখি আছিয়ার মা আই সি ইউর দরজার বাহিরে অচেতন হয়ে পড়ে আছে,কথা ও বলতে পারছে না।এরপর আমি,শারমিন মোর্শেদ আপা,নুসরাত আপু আই সি ইউ'র ভেতরে ঢুকি আই সি ইউ ডক্টরদের সাথে কথা বলতে,ঠিক তার ১০ মিনিটের মাথায় যেটা হলো,আই সি ইউ'র দরজা মনে হচ্ছে ভেংগে বাইরে থেকে হিউজ একটা গ্যাদারিং ভেতরে ঢুকার চেষ্টা করছে,দরজা ভেংগে ই ফেলবে এমন একটা অবস্থা তখন দরজা খুলে দেয়া হয় এবং যেটা দেখলাম কমপক্ষে ২৫০-৩০০ জন মানুষের হিউজ একটা ক্রাউড আর সাথে সাথে সবাই বলা শুরু করে সেলিনা রহমান আপা আসসে,জায়গা করে দেন,জায়গা করে দেন।তখন ব্রিগেডিয়ার আসাদ স্যার বলেন এখানে একজন উপদেষ্টা স্যার আছেন,তিনি কথা বলছেন,উনাকে একটু বের হয়ে যাওয়ার সুযোগ দিন কিন্তু সাথে সাথে তারা বলে উঠলো আমাদের বিএনপির নেত্রী আসসে,তাকে ঢুকাতে হবে,এই বলে সেই নেত্রী সহ ৩-৪ জন ঢুকে পড়লো এবং সাথে সাথে দরজা আটকায় দিলো এবার বাকিরা আসতে না পেরে বাইরে রিতীমতো মারামারি,ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে গেলো।এরপর আমরা আই সি ইউ ডক্টর এর রুমে যেয়ে শারমিন আপাকে বললাম আছিয়া এখানে থাকলে যাও বাঁচার সম্ভাবনা ছিলো সেইটাও থাকবে না, ইনফেকশন ছড়িয়ে যাবে। শারমিন আপা সাথে সাথে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নুরজাহান বেগম এর সাথে ফোনে কথা বলে আছিয়া কে ইমার্জেন্সি সি এম এইচ এ নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেন এই ভেবে যে সেখানে অন্তত এইভাবে মানুশ আছিয়াকে খাবলে খাবে না।২০ মিনিট পর দরজা খুলা হলো,দরজার বাইরে এসে দেখি আই সি ইউ'র রুম থেকে শুরু করে নিচ তলা পর্যন্ত এই নেতাকর্মীরা হিউজ ক্রাউড করে দাঁড়িয়ে আছে এবং মনে হচ্ছে আমরা কোন সমাবেশে আসসি।
আছিয়াকে সি এম এইচ এ পাঠানো হয়েছে কারণ সেখানে চাইলেই ৩০০-৪০০ জনের সমাবেশ নিয়ে কেউ ঢুকতে পারবে না কিন্তু ততক্ষনে আমাদের বোন আছিয়ার সারা শরীরে ইনফেকশন ছড়িয়ে গেছে আর যেই আশঙ্খার ভয়ে আছিয়া কে সি এম এইচ পাঠানো সেইটা ই হলো।
ধিক্কার জানাই আমি এমন নোংরামির।
ধিক্কার এমন বাংলাদেশে জন্মেছি।।
ধিক্কার এমন রাজনীতির।।।
লেখা: মাহমুদা রিমি