10/08/2025
🙋♂️ ফেসবুক অ্যাড বা বুস্টিং সার্ভিস নেয়ার আগে - এই সার্ভিসটা সম্পর্কে ভালোভাবে আপনার বুঝা উচিত।
প্রথমত, সবার আগে আপনার বুঝা উচিত বা জানা উচিত ফেসবুক অ্যাড কি আর ফেসবুক পোস্ট বুস্ট কি। আফসোসের সাথে বলতে হয়, ১০ মিনিট সময় ব্যয় করে আপনার এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি বুঝার সুযোগ হয়না। যার ফলে অনেক উদ্যোক্তা প্রাথমিকভাবে বুস্ট করে কিছু সেল পেলেও একটা সময় পার হলে, বিজনেসের আর কোন অগ্রগতি না হলে ঠিকই তখন এই অ্যাড বা বুস্ট সম্পর্কে জানার চেষ্টা করেন।
🔰 অধিকাংশ উদ্যোক্তা ফেসবুক অ্যাড বা বুস্ট সার্ভিস নিতে চান অনেকটা এভাবেঃ
প্রশ্নঃ স্যার, ডলার রেট কত করে? আমার পেজটা বা একটা পোস্ট বুস্ট করে দিতে হবে। ভালো সেল এনে দিতে হবে, তাহলে কন্টিনিউ আপনাকে দিয়ে বুস্ট করাব।
যিনি সার্ভিস দেন তার উত্তরঃ ডলার রেট ১৩০ বা ১৫০ ইত্যাদি (জাস্ট ফর উদাহরণ)। পেজের এক্সেস নেন, এরপর ৫ ডলার বা ১০ ডলার এর বুস্ট মেরে দেন। কিছু টার্গেট দিলে দেন, তা না হলে ব্ল্যাংক টার্গেটে বুস্ট করে দেন। ফলাফল কারো রেজাল্ট ভালো, কারো রেজাল্ট খারাপ।
⚡ এবার আসি মূল কথায় - ফেসবুক অ্যাড বা বুস্ট আসলে কিভাবে করা উচিত?
দেখুন, বিজনেস অনুযায়ী বা প্রোডাক্ট অনুযায়ী সেটার মার্কেটিং স্ট্রাটেজি ভিন্ন হবে। সো, আপনার বিজনেসে কোনটা, কখন, কিভাবে স্টেপ বাই স্টেপ করা উচিত সেটা বুঝতে হলে আপনাকে টোটাল বিষয়গুলো বুঝতে হবে।
🎯 একটা অ্যাড দেয়ার আগে করণীয় কি কি?
১. যে প্রোডাক্টের অ্যাড দিবেন, সেটা কোন অডিয়েন্সের জন্য? তাদের লিঙ্গ, বৈবাহিক অবস্থা, বয়স, প্রফেশন, লোকেশন, ইন্টারেস্ট, বিহ্যাভিয়ার ইত্যাদি সহ আরো অনেক বিষয় রয়েছে সেগুলো সম্পর্কে ক্লিয়ার ধারণা থাকতে হবে।
২. আপনার অডিয়েন্স কোন চ্যানেলে এক্টিভ বেশি, কোথায় অ্যাড দিলে খুব সহজে তাদেরকে রিচ করতে পারবেন সেটা আপনাকে জানতে হবে। যদি আপনার অডিয়েন্স ইনস্টাগ্রামে বেশি এক্টিভ থাকে তাহলে ফেসবুকে অ্যাড দিয়ে তো লাভ নাই, তাই না? সো, সঠিক মার্কেটিং চ্যানেল ব্যবহার করতে হবে।
৩. আপনার প্রোডাক্টের USP কি সেটা সম্পর্কে আপনার ক্লিয়ার ধারণা থাকতে হবে। প্রোডাক্টের উপকারিতা বা প্রোডাক্টটি কাস্টমারের কি সমস্যার সমাধান করবে, কিভাবে করবে, কাস্টমারের লাইফে কিভাবে পরিবর্তন আনবে ইত্যাদি বিষয় অডিয়েন্সের সামনে তুলে ধরতে হবে। এখন এটা হতে পারে, ভিডিও বা ইমেজ বা লেখা যেভাবে আপনার জন্য ইজি হয় এবং অডিয়েন্সও বুঝবে সেভাবেই