28/09/2024
জাভেদ কায়সার রাহিমাহুল্লাহু তায়ালার একটা লেখা।
আজ এই লেখাটা চোখে পড়ল। লেখাটা পড়ে আমার নিজের কিছু পরিস্থিতির কথা মনে পড়ল।
প্রায় ৫ বছর আগে হবে। হজ্জের সময় মাগরিবের নামাজ আদায় করছিলাম। আমার সামনের কাতারে এক পাকিস্তানি কম বয়সী হাজি নামাজে দাঁড়ালেন। উনি বৈঠকে ডান দিকে পা বের না করে বাম দিকে বের করে বসছেন। উনার এই বসার জন্য আমার নিজের নামাজের মনোযোগ বার বার নষ্ট হচ্ছিল। নানান খেয়াল আসছিল। কী আজিব! নামাজের সিস্টেমটাও ঠিক মত জানেনা। এই বিষয়টা খুব হতাশ করল আমাকে। নামাজটা পড়বে নিখুত ভাবে, সেটাও করে না। মৌলিক ইলমগুলোও মানুষ রাখেনা। এরপর ভাবছিলাম কীভাবে তাকে নাসিহা করব যে তার নামাজের ভুল হচ্ছে?
নামাজ শেষ করলাম, তাকে পেছন থেকে টোকা দিয়ে ডাকলাম, তাকালে সালাম বিনিময় করে বললাম তোমাকে একটা কথা বলি? সে আমার উত্তর না দিয়েই খুব ঝাড়ি মেরে বলল, দেখো, আমার এক্সিডেন্ট হয়েছে, আমি ডান দিকে বসতে পারিনা। এভাবেই বসতে হয়, বলো আমার কি নামাজ হচ্ছে না?
আমি ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেলাম। বুঝলাম, অনুভব করলাম সে কতজনকে এর জবাব দেয়। দিতে দিতে বিরক্ত সে। কি ফায়দা হল আমার? নিজের নামাজের খুশুউ নষ্ট হল, আর কু ধারণা করলাম।
সেই থেকে আমি হুট করেই আর কাউকে জাজ করি না। না জেনে কাউকে জাজ করা, আবার সেটা অন্য কারও সাথে আলাপ করা, গীবত আর গীবতের শাখাপ্রশাখা প্রসার করা, এই এক ভয়াবহ গুনাহে সিলসিলা। এমন এক গুনাহ যার জন্য আল্লাহর কাছে তওবা করলেও পরিপূর্ণ মাফ পাওয়া যাবে না।
নিচের লেখাটা লিখেছেন- জাভেদ কায়সার রাহিমাহুল্লাহ।
মাগরিবের জাম'আতে ফরজ ৩ রাক'আত নামায শেষ করে বের হয়ে যাওয়া ভাইটির দিকে তাকিয়ে আপনি ভাবলেন – "২ রাকআত সুন্নাত না পড়েই চলে গেলো এই ভাই? সুন্নাতের বিষয়ে মানুষ বড়ই উদাসীন আজকাল।"
অথচ আপনি জানেন না – ভাইটি "মুসাফির"!
ইশার জাম'আতে ফরজ ৪ রাক'আত নামায শেষ করে বের হয়ে যাওয়া আরেক ভাইয়ের দিকে তাকিয়ে আপনি ভাবলেন – "সুন্নাত আর বিতর না পড়েই চলে গেলো এই ভাই? এই উম্মাহ কিভাবে উন্নতি করবে?"
অথচ আপনি জানেন না – সেই ভাই সুন্নাত নামায বাসায় পড়েন। আর বিতর পড়েন শেষ রাতে, তাহাজ্জুদের পর। আর নিশ্চয়ই সেটি উত্তম।
মুসলিম ভাইবোনদের বিষয়ে উত্তম ধারণা রাখার চেষ্টা করবো আমরা ইন-শা-আল্লাহ। 🌸
~সংগ্রহিত।