28/11/2025
প্রবাসীরা বাপের জমি বিক্রি করে,এনজিও থেকে চড়া সুদে ঋন নিয়ে,দালাল ধরে বিদেশে যায়। সেখানে হাড়ভাঙা পরিশ্রম করে। রোদ পুড়ে,আধবেলা খেয়ে, গাদাগাদি করে বছরের পর বছর কাটিয়ে দেয়। অশিক্ষিত,অদক্ষ হওয়ার কারণে বিদেশে সবাই ঠকায়।
এর ভেতরে যদিও দেনা শোধ করে দেশে কিছু টাকা পাঠিয়ে একটু স্বাবলম্বী হলেই ফিরে আসে মাতৃভূমির টানে। আসার সময় হয়তো বাবা বা ভাই বা ছেলের জন্য দুইটা ফোন, কিছু সুগন্ধি, কিছু কসমেটিকস নিয়ে আসে। বাড়ির সবাই অপেক্ষা করে বিদেশ থেকে কি কি আনবে! কতজনের কত দাবি!
হাড়ভাঙা পরিশ্রমের টাকায় কেনা সেসব জিনিসপত্র হযরত শাহজালাল (র) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কিছু দেশীয় চোর সব লাগেজ কেটে বের করে নেয়। এগুলো একদিন হয় না।
বছরের পর বছর এই ভিডিও দেখছি। বিমানবন্দরে শ্রমিকদের হাহাকার, বুকফাটা কান্না, চোখের পানি। কিন্তু কোনদিন চোর ধরা পড়ে না, চাকরিচ্যুত হয় না, শাস্তিও পায় না কেউ।
যেন হাজার হাজার সিসিটিভির চোখে ধুলো দিয়ে জ্বীন ভূতে সব নিয়ে নেয়। কারো জবাবদিহিতা নাই। প্রবাসী ভাইয়েরা কাঁদতে কাঁদতে চলে যায়। ছেড়া লাগেজ নিয়ে। কখনো কর্তৃপক্ষ দায় স্বীকার করেও না। যদি অবৈধ কিছু নিয়ে আসে সেগুলো বিষয়ে প্রেস ব্রিফিং করুক, যদি অতিরিক্ত পন্য নিয়ে আসে সেগুলো তাদের বলা হোক! কিন্তু চেকিংএর নামের লাগেজের তালা ভেঙে, লাগেজ কেটে সাবান, শ্যাম্পু, লোশন, মোবাইল বের করে নেওয়ার মানে কি? অথচ এদেশের মূলধন জোগাচ্ছে এই প্রবাসীরা। বিএনপি গেল,আওয়ামী লীগ গেল, ইন্টেরিম যায় যায় - তবুও এই বিমানবন্দরে চুরি বন্ধ হল না।
আমি দৃঢ় ভাবে চাই- বাংলাদেশ বিমানবন্দর বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়া হোক। এই চোররা যতই আন্দোলন করুক তবুও।
এই চোরদের কঠোর শাস্তি হওয়ার দরকার।