BD Misty Media

BD Misty Media Vedio Creator

একটি ভয়ংকর ভুতের গল্প, পিরিয়ডের রক্ত দিয়ে কালো যাদু।গল্পটি শুনুন ভালো লাগবেBD Misty Media Everyone
06/05/2025

একটি ভয়ংকর ভুতের গল্প,
পিরিয়ডের রক্ত দিয়ে কালো যাদু।
গল্পটি শুনুন ভালো লাগবে

BD Misty Media
Everyone

➤Golpo: ভয়ংকর জিনের তাণ্ডব➤ Lekhok: ➤ Voice: ➤ Editing: আজমাল হোসেন সালমান➤ Presentation:Bhoot Adda2.0 Get connected with us:➤WhatsApp Number 01737670431➤ a...

ভৌতিক গল্প শুনতে ভালই লাগে
15/04/2025

ভৌতিক গল্প শুনতে ভালই লাগে

একটি মেয়ে পরীর গল্প । মায়াবিনী । Mayabini । Bhoot Adda 2.0তার ভালোবাসার মানুষ যে ১৩০০ বছর আগে মারা গেছে। সেই হেলেক্স শয়তানের সমস.....

22/12/2024

আবার রক্ত পিশাচ রহস্য (১)

এই বছরের বন্যায় পত্তন পুর সহ আশে পাশে সব গ্রামে নদীর পার্শ্ববর্তী এলাকাতে জল ভর্তি হয়ে গেছে।
পত্তন পুর, রাঘব পুর, কামার পুর, জামাল পুর, রাখা নগর এই সব গ্রাম গুলো পশ্চিম বঙ্গের খুবই প্রত্যন্ত গ্রাম। তবে পত্তন পুরের কিছু উন্নয়ন হলেও, বাকি গ্রাম গুলোর এখনো পর্যন্ত তেমন ভাবে উন্নয়ন হয় নি। গ্রামের বেশির ভাগ মানুষের জীবিকা হল চাষবাস। কিছু কিছু মানুষ জীবিকা হিসাবে বেছে নিয়েছে নদীতে মাছ ধরা। তারা নদী থেকে মাছ ধরে বাজারে বিক্রি করে টাকা উপার্জন করে।

প্রায় দশ দিনের টানা বৃষ্টিতে মাঠে জল দাঁড়িয়ে গেছে। চাষিদের সব ফসল জলের নিচে চলে গেছে। যে কারণে সব চাষিদের মাথায় হাত। কারণ তারা জানে এই জল সহজেই চাষের জমি থেকে সরবে না। নদীর দুই কুল ছাপিয়ে গ্রামে জল ঢুকেছে। এই জল কমতে অনেক সময় নেবে। যার ফলে চাষের সমস্ত ফসল জলের তলায় পচে যাবে। সব একেবারে নষ্ট হয়ে যাবে।
চাষিদের যে বিশাল আর্থিক সংকটের সম্মুখীন হতে হবে তা তারা বুঝতে পারছে।
তবে চাষিদের আয়ের বিকল্প রাস্তাও আছে। তারা নদীতে নৌকা নিয়ে জাল ফেলে মাছ ধরে। এমন বন্যায় যদি মাছ বেশি ধরতে পারে তাহলে তা কলকাতায় রপ্তানি করে নিজেদের আর্থিক সংকট দূর করতে পারবে।

সেইদিন বিকালে আটজন একটা নৌকা নিয়ে নদীতে মাছ ধরতে যায়। আকাশে তখন কোন মেঘ ছিল না। নিলাভ আকাশে সূর্য যেন ঝলমলে হয়ে উঠেছিল। চারিদিকে জলরাশি যেন সূর্যের আলোতে ঝিকঝিক করছিল।
নৌকা থেকে নদীতে জাল ফেলে তারা মাছ ধরছিল। মাছ ধরার কাজ তারা খুব দ্রুত করছিল। কারণ নদীতে জলের পরিমান এতটাই বেশি যে, পশ্চিম আকাশে সূর্য ডোবার আগেই তাদের সকলকে বাড়িতে ফিরতে হবে। তা না হলে চারিদিক অন্ধকার হয়ে গেলে বাড়িতে ফেরার কোন উপায় থাকবে না তাদের। তারা বাড়ি ফেরার কোন দিক ঠিক করতে পারবে না। চারিদিকে জলের পরিমান এতটাই বেশি যে তারা একটু ভুল করলেই ভুল দিকে চলে যেতে পারে। এমন কি নৌকা নদীর জলেতে তলিয়ে ও যেতে পারে।
দেখতে দেখতে সূর্য তখন অনেকটাই পশ্চিম আকাশের দিকে অগ্রসর হয়েছে। নৌকার মধ্যে থাকা সনাতন নামে লোকটি বলে ওঠে, সূর্য কিন্তু পশ্চিম আকাশের একেবারে শেষ প্রান্তে চলে গিয়েছে। এবার আমাদের বাড়ি ফেরার কথা ভাবতে হবে।
সনাতনের কথা শুনে সকলে এক সাথে বলে ওঠে, হ্যাঁ। এবার তাহলে বাড়ি ফেরা যাক।
সনাতন বলে, আমি আর একবার জাল ফেলবো৷ তারপর নৌকা আর এগিয়ে যাবে না। আমরা সকলে ফেরার পথ ধরবো।
সনাতনের কথাতে সকলেই রাজি হল।
সনাতন আর দেরি না করে জালটা হাতে নিয়ে কৌশল করে নদীর জলের উপর ছুড়ে ফেলল। কিছুক্ষন পর সনাতন জালের দড়িটা ধরে টান দিয়ে ধীরে ধীরে জাল নদীর জল থেকে উপরে তুলতে লাগল। জাল কিছুটা তুলতেই থমকে দাঁড়ালো সনাতন। সে অবাক দৃষ্টিতে সকলের মুখের দিকে তাকালো। সনাতন বলল, মনেহয় বড় মাছ বেঁধেছে জালে। সকলে আমার সাথে হাত লাগা।
সনাতনের কথা শুনে সকলের মুখে হাঁসি ফুটলো। সকলে সনাতনের দিকে এগিয়ে গিয়ে জালের দড়িটা ধরল। একসাথে টান দিতেই সকলেই বুঝতে পারলো সনাতন একেবারে মিথ্যা কথা বলে নি। আটজন এক সাথে জালে টান দিয়েও তাদের খুব ভাড়ি লাগল। আটজন একসাথে টান দিয়ে খুব কষ্ট করে জালটা নৌকার উপর তুলে আনলো। কিন্তু জালটা নৌকার উপর তুলে আনতেই তারা সকলে অবাক হয়ে গেল। তারা যা দেখল তাতে তাদের সারা শরীর যেন ভয়ে ঠান্ডা হয়ে। সকলে একে অপরের মুখ চাওয়াচাওয়ি করল।
তাদের জালেতে বড় কোন মাছ বাঁধেনি। বেঁধেছে একটা কফিন। যে কফিনের মধ্যে মানুষের মৃতদেহ রেখে কবর দেওয়া হয়।
সনাতন বলে, কফিনটা খুলে দেখা হবে এর মধ্যে কি আছে?
রাজু বলল, এখন কফিন খোলার কোন প্রয়োজন নেই। আগে নদীর তীরে পৌছায়। সেখানে গিয়ে কফিনটা খোলা হবে। এখানে কফিন খুলতে গেলে অনেক দেরি হয়ে যাবে। তখন চারিদিকে অন্ধকার নেমে আসবে।
সনাতন বলল, ঠিক আছে। আর দেরি না করে নৌকা ঘুরিয়ে ফিরে চল।

নদী কূলে যথা স্থানে পৌঁছাতে তাদের আধা ঘণ্টা লেগে যায়। তখন সূর্য পশ্চিমে সম্পূর্ণ অস্ত গেছে। চারিদিকের আলো কমে অন্ধকার নামতে শুরু করেছে। এমন অবস্থায় সনাতন সহ আটজন নৌকা থেকে কফিনটা ধরে নিয়ে নৌকা থেকে নিচে নামিয়ে আনে।
সকলের চোখে মুখে তখন চরম উৎফুল্ল। এই কফিনের মধ্যে কি আছে তারা তা অনুমান করতে পারলো না। শুধুমাত্র তারা তাদের একে ওপরের মুখ চাওয়াচাওয়ি করলো। সনাতন বলল, আর বেশি দেরি না করে এবার তাহলে কফিবের ঢাকনাটা খোলা যাক। দেখা যাক এর ভেতর কি আছে?
সকলে এক সাথে মাথা নেড়ে বলল, তাই করা হোক।
সকলে একসাথে হাত লাগিয়ে কফিনের ঢাকনাটা খুলে ফেলে।
তৎক্ষনাৎ চারিদিকের পরিবেশ যেন আকস্মিক ভাবে সম্পূর্ণ পরিবর্তন হয়ে যায়। আকাশ যেন হঠাৎ কালো মেঘে পূর্ণ হয়ে যায়। একসাথে ঝোড়ো হাওয়া বইতে শুরু করে। উপস্থিত আট জন একে অপরের মুখ চাওয়াচাওয়ি করল। তারা কফিনের ভেতরে চোখ রাখতেই তাদের হৃদ স্পন্দন যেন বেড়ে গেল। সকলে নিজেদের চোখ দুটো গোল্লা পাকিয়ে কফিনের ভিতরের দিকে তাকিয়ে থাকলো।
তারা দেখতে পেল কফিনের ভেতরে একটা মেয়ে মৃত অবস্থায় শুয়ে আছে। যার পেটের দিকে একটা বড়ো তলোয়ার ঢোকানো আছে। যেখান দিয়ে তাজা রক্ত বের হচ্ছে।
সনাতন বলল, মনে হয় মেয়েটা এখনো বেঁচে আছে।
রাজু বলল, নাকে উপর হাত দিয়ে দেখ। শ্বাস প্রশ্বাস পরছে কি?
সনাতন তার হাত কফিনের ভিতরে থাকা মেয়েটির নাকের কাছে নিয়ে যায়। কিছুক্ষণ সনাতন তার হাতটা মেয়েটির নাকের কাছে রাখে। নিজের চোখ দুটো গোল্লা পাকিয়ে ঘন ঘন নিশ্বাস ফেলতে থাকে। তারপর সনাতন হাতটা সড়িয়ে এনে বলে, রাজু আমার মনে হচ্ছে এখনও মেয়েটি বেঁচে আছে। কেউ মেয়েটিকে হত্যা করে কফিনে মধ্যে ঢুকিয়ে নদীতে ফেলে দিয়ে গেছে।
রাজু বলল, তাহলে এখন কি করা যায় সনাতন?
সনাতন :- আগে তলোয়ারটা মেয়েটির পেট থেকে বের করে নেওয়া হোক। তারপর মেয়েটিকে পাশের নার্সিংহোম নিয়ে যাওয়া হবে।
রাজু:- ঠিক আছে সনাতন। তাই করা হোক। কিন্তু তলোয়ারটা মেয়েটির পেট থেকে বের করবে কে? (অবাক কন্ঠে রাজু বলল)
সনাতন :- আমিই বের করছি। শুধু তোরা আমার সাথে থাক।
সনাতনের কথাতে সকলে সহমত হল। সনাতন তলোয়ারটা দুই হাত দিয়ে শক্ত করে ধরল। একটানে তলোয়ারটা মেয়েটির পেট থেকে বের করে নিল। ঠিক তখনই কফিনের মধ্যে শুয়ে থাকা মেয়েটি চিৎকার করে ওঠে। চারিদিক যেন মূহুর্তের মধ্যে গাড় অন্ধকারে ভড়ে যায়। অন্ধকারের গাঢ়ত্ব এতটাই বেশি যে, সামনের দিকে তাকালে কাউকে দেখতে পাওয়া যায় না। তারা সকলে কফিনের মধ্যে তাকায়। কিন্তু কফিনের মধ্যে মেয়েটিকে দেখতে পায় না। সকলে অন্ধকারে ইতস্তত ভাবে এদিক ওদিক খুঁজতে শুরু করে দেয়। কিন্তু তারা কোথাও দেখতে পায় না।
আকস্মিক ভাবে অন্ধকারের মধ্যে এক চিৎকারের শব্দ শুনে সকলে সেই দিকে তাকালো। তারা দেখতে পেল, সেই মেয়েটি রাজুর ঘাড়ে দিকে কামড়ে ধরেছে। রাজু যন্ত্রণায় চিৎকার করছে। সকলে নিজেদের চোখ দুটো গোল্লা পাকিয়ে সেই দিকেই তাকিয়ে থাকল। কিছুক্ষণ পর রাজুর শরীর যেন শিথিল হয়ে আসল। মেয়েটি রাজুকে ছেড়ে দিতেই রাজুর শিথিল শরীর মাটিতে লুটিয়ে পড়ল।
মেয়েটির মুখে তখন রাজুর তাজা রক্ত। মেয়েটি তার জিভ দিয়ে তার রক্ত মাখা হাত দুটো চাটতে লাগলো।
সনাতন কাঁপা কাঁপা কন্ঠে বলল, ভ্যাম্পায়ার!
মুহূর্তের মধ্যে আবার মেয়েটি অদৃশ্য হয়ে গেল

পর্বটি আপনার কেমন লাগল?

22/12/2024

Lovely Lover (part-1)


স্টেশনের ভীড় ঢেলে বড়ো লাগেজটি ছোট্ট বাচ্চাদের যেমন জোর করে স্কুলে পাঠানো হয় তেমনভাবে টানতে টানতে নিয়ে ট্রেনে উঠলো সাদা টিশার্ট,ফেসেড জিন্স পরিহিতা বয়স একুশের মেয়েটি।ট্রেনে উঠতেই ফর্সা আদুরে মুখের উপর ফুটে ওঠা বিন্দু বিন্দু ঘাম গুলোকে একহাতে মুছে নিয়ে, বুকে হাত দিয়ে জোরে নিঃশ্বাস ছাড়লো। তারপর নিজের কেবিনের দিকে যাওয়ার সময় পকেট থেকে ফোন বের করে একটি নাম্বার ডায়েল করে কানে ধরলো। ওপাশ থেকে ফোন রিসিভ হতেই মেয়েটি চিল চিৎকার শুরু করলো...."শুঁটকির কিমা,কেঁচোর সুপ,আরশোলা ফ্রাই,টিকটিকির মালাইকারি..."। মেয়েটি আরও কিছু বলতো যদি না ফোনের ওপাশে থাকা মেয়েটি থামাতো।
-"ওরে থাম থাম,এবার কি বমি করিয়ে ছাড়বি নাকি তানিশা সোনা?"
তানিশা:- হ্যাঁ হ্যাঁ বমি কর তুই মিলি,দিয়ে ওটাতেই ডুবে মর।😠
মিলি:- আচ্ছা শান্ত হ।
তানিশা:- শান্ত হবো? তুই আমাকে শান্ত হতে বলিস কিভাবে?
মিলি:- মুখ দিয়েই তো বললাম!!
তানিশা:- শাটআপ। লজ্জা করে না কথা বলতে?
মিলি:-মাগুর মাছ ঘষার মতো তুই তো আমার লজ্জাটা পরিস্কার করে দিয়েছিস বেবি।
তানিশা:- একদম মজা করবি না বলে দিলাম। আমি কিন্তু হেব্বি হট হয়ে আছি।
মিলি:- কেন জানু? স্টেশনে হট পোলা দেখেছো নাকি?
তানিশা:- ধূর একটাও চোখে ধরার মতো কাউকে পেলাম না। এই একমিনিট, তুই আমার মনোযোগ অন্যদিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবি না।আমি রেগে আছি।
মিলি:- উফফ আমি আর রিয়া তো কান ধরে সরি বলার ভিডিও তোকে সেন্ড করেছি তাও রেগে যাচ্ছিস কেন?
তানিশা:- লাইক সিরিয়াসলি মিলি? তোরা যেটা করলি তারপর ওই কয়েক মিনিটের ভিডিও দেখে সব ভুলে যাবো?
মিলি:- হ্যাঁ মানছি এটা আমাদের তিনজনের ট্রিপ ছিল,আর যেতে হচ্ছে তোকে একা। কিন্তু কি করবো বল,হুট করে দিদিমার শরীর খারাপ করে গেল।আর মা আমাকে না নিয়ে মামার বাড়ি যাবে না। রিয়া বেচারিও তো পরে গিয়ে হাতে চোট পেয়েছে।
তানিশা:- হাতের বদলে ঘাড় মটকে পরলে ভালো হতো।
মিলি:- আরে রাগ করছিস কেন,এটাকে সলো ট্রিপ ভেবে নে, তাহলেই হবে।
তানিশা:-রাখ তোর সলো ট্রিপ। এমনিতেই বাড়িতে না জানিয়ে পালিয়ে এসেছি তার উপর তোরাও গাদ্দারী করলি। নেহাত পাহাড় আমাকে ডাকছে নাহলে আমি কোনদিন ও যেতাম না।
মিলি:- ন্যাকামি করিস না। নেহাত টিকিট খরচাটা তোর পকেটমানি থেকে ধসেছে তাই যাচ্ছিস।
তানিশা:- ধূর...আমি তোদের মিস করছি।
মিলি:- মিস ইউ দু জানু। আচ্ছা বলছি যে তুই কি নিজের সীটে বসে গেছিস?
তানিশা:- আরে না না সেদিকেই যাচ্ছি। আমরা সবাই মিলে মজা করে যাবো বলে ফাস্ট ক্লাস কোচের টিকিট কাটলাম।এবার আমি একা একা ওই কেবিনে কি করবো?
মিলি:- একা তো না। ওখানে তো চারটে সিট আছে।তিনটে আমাদের ছিল একটা তো অন্যজনের।
তানিশা:- ওটাই তো চিন্তা হচ্ছে। আমি একা আছি,কি জানি সেই ব্যক্তি কেমন হবে!!
তানিশা বেশ চিন্তিত হয়ে বললো।
মিলি:- চিন্তা করিস না,কিচ্ছু হবে না। তাছাড়া বেশি বাড়াবাড়ি করলে মুখের সাথে হাতটাও চালিয়ে দিবি।
তানিশা:- আচ্ছা আমি একটু পরে ফোন করছি।
মিলি:- হুম হুম,তোর কেবিন পার্টনার কেমন পেলি জানাবি মনে করে।
তানিশা:- মাথা খাসনা রাখ।
তানিশা ফোনটা পকেটে ভরে নিজের জন্য বরাদ্দ কেবিনের সামনে গিয়ে ঠাকুর প্রণাম করে ভিতরে ঢুকলো। বড়ো লাগেজটার ব্যাবস্থা করে ঘুরতেই হাঁ হয়ে গেল। একজন পুরুষ,থুরি সুপুরুষ আগে থেকেই একটি সিট দখল করে আধশোয়া অবস্থায় আছে। পরনে মেরুন টিশার্ট,ধূসর প্যান্ট,হাতে ঘড়ি,চুলগুলো হালকা এলোমেলো হয়ে আছে।
তানিশা:- উফফফফ....
ছেলেটিকে দেখে তানিশার মুখ থেকে এইটুকুর বেশি কিছুই বের হলো না। ছেলেটি এতক্ষনে হাতে থাকা বইটির থেকে মুখ তুলে তানিশার দিকে তাকালো।
--"আর ইউ ওকে?"
ছেলেটির সৌন্দর্যের সাথে গলার স্বরও হ্যান্ডসাম লাগলো তানিশার কাছে।(গলার স্বর হ্যান্ডসাম হয়?!🙄কিজানি,তানিশার কাছে তো সবই অবশ্য সম্ভব)
তানিশার দিকে ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে থেকেই ছেলেটি আবার প্রশ্ন করলো.."এই যে মিস আপনি ঠিক আছেন?"
তানিশা:- না।
তানিশা নিজের চিন্তা জগৎ থেকে না বেরিয়েই উত্তর দিলো।পরক্ষণেই হুস ফিরলো তানিশার। ততক্ষণে সে ছেলেটির সামনের সিটে নিজেকে সেট করে নিয়েছে।
তানিশা:- ইয়ে মানে হ্যাঁ.আমি ঠিক আছি। আচ্ছা আপনার এখানেই সিট?
-"হুম।"
তানিশা:- আপনি সত্যি বলছেন?😍
-"আজব তো,এখানে সিট বলেই তো বসেছি। অকারণে অন্যের জায়গা দখল করতে যাবো কেন?"
তানিশা:-তোমার মতো হ্যান্ডসাম কাউকে দেখলে আমি তো ট্রেন চালকের সিটে বসতেও রাজি আছি।
তানিশা বিড়বিড় করে বললো।
-"কিছু বললেন?"
ছেলেটির এক ভ্রু উঁচিয়ে প্রশ্ন করার স্টাইল দেখে তানিশা আরেক দফা ক্রাশ খেল। নিজের আবেগকে কোনো রকমে সামলে নিয়ে হাসিমুখে ছেলেটির দিকে নিজের ডান হাত বাড়িয়ে দিল।
তানিশা:- হাই.... আমি তানিশা।
ছেলেটি ভ্রু কুঁচকে একবার তানিশার বাড়িয়ে দেওয়া হাতের দিকে তাকিয়ে আবার ওর মুখের দিকে তাকালো।
তানিশা:- ও আচ্ছা..(হাত জোড় করে)নমস্কার, আমি তানিশা চ্যাটার্জি।
ছেলেটি তানিশার আচরণে বিরক্ত হয়ে হাতে ধরে রাখা বইটি আবার মুখের সামনে তুলে নিল। আজ পর্যন্ত তানিশাকে কেউ এইভাবে ইগনোর করেনি। স্কুল,কলেজে তানিশা সর্বদা নিজের চুলবুলি স্বভাবের জন্য বেশ পরিচিত থেকেছে। অনেকেই যেচে এসে তানিশার দিকে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে কিন্তু তানিশা অতটা পাত্তা দেয়নি। ওর দুই সখীকে নিয়ে তানিশা নিজের দুস্টুমির জগৎ গড়ে তুলেছে। আজকে প্রথমবার তানিশা নিজে থেকে কারো দিকে হাত বাড়ালো,আর প্রথমবারের মতো রিজেক্ট হলো,ব্যাপারটা তানিশাকে খুবই অবাক করেছে।
তানিশা:- এই যে....ও হ্যালো... শুনছেন!!
ছেলেটি আবার বিরক্ত হয়ে বইটা নামিয়ে তানিশার দিকে তাকালো।
-কি হয়েছে?
তানিশা:- আমি আমার নাম বললাম,আপনি কিছু বললেন না?
-বললাম না মানেই তো আপনার বুঝে যাওয়া উচিত,আমি ইন্টারেস্টড না নিজের পরিচয় দিতে।
তানিশা:- তাই বললে হয়!!না মানে লং জার্নি,দুজনে একজায়গায় আছি,সুবিধা অসুবিধায় টুকটাক কথা হবে,গল্প হবে,আড্ডা হবে...
তানিশার কথার রাজধানীকে চেন টেনে,,ইয়ে মানে হাত তুলে থামিয়ে দিয়ে ছেলেটি উত্তর দিলো।
-অযথা এত কথা বলেন কেন?
তানিশা:- নিজের নাম বলতেই বা এত সমস্যা কিসের?আমি মেয়ে হয়ে বলে দিলাম,আর আপনি বলতে পারছেন না? এই আপনি কি সন্ত্রাসবাদী? ও মাই গড...হ্যাঁ হ্যাঁ, আপনার নিশ্চই কোনো গন্ডগোল আছে তাই নিজের নাম বলতে চাইছেন না!! আপনি..
তানিশা নার্ভাস হয়ে আবার নিজের কথার রেলগাড়ি চালু করলো, এবার ছেলেটি বিরোক্তিমাখা গলায় উত্তর দিলো.."আবির,আবির চ্যাটার্জি। আর শুনুন,আমি কোনো সন্ত্রাসবাদী না।"
তানিশা:- ওয়াও..আপনিও চ্যাটার্জি!!বাহঃ বাহঃ দুই চ্যাটার্জি মিলে তাহলে ভালোয় চিট চ্যাট করতে করতে সময় কাটবে। তাইনা বলুন?
আবির:- না।
তানিশা:-কি না?
আবির:- একটা কথা পরিস্কার ভাবে শুনে নিন,এইভাবে অকারণ কথা বলা বা বিরক্ত করা আমি পছন্দ করিনা।কথাটা আশাকরি মনে রাখবেন।"
আবির কথাগুলো বলেই হাতে থাকা বইটা মুখের উপর তুলে নিলো। তানিশা উঁকি ঝুঁকি মেরেও আবিরের মুখদর্শন করতে পারলো না। এজন্য মন খারাপ করে মিলির নাম্বারে ডায়েল করে কেবিন থেকে বেরিয়ে এলো কথা বলার জন্য।তানিশা চলে যেতেই আবির বইটা সরিয়ে দীর্ঘশ্বাস ফেললো।
আবির:- উফফ সো মাচ ইরিটেটিং। জানিনা এই জার্নি কেমন কাটবে। আবির,বি কেয়ারফুল।
আবির কথাগুলো নিজের মনে বিড়বিড় করে আবার দীর্ঘশ্বাস ফেললো।

চলবে........

আপনাদের অনুরোধে সবার পছন্দের আবির,তানিশাকে নতুন রূপে ফিরিয়ে আনলাম। তবে হ্যাঁ এটা যেহেতু নতুন গল্প,তাই গল্পের চরিত্র গুলির মধ্যে হালকা একটু পরিবর্তন থাকবে। আশা করি আমার বাকি গল্প গুলোর মতো এই গল্পটিও আপনাদের মনে জায়গা গড়ে তুলতে পারবে। 😊

গ্রামের চাচা যখন নতুন এডিট করা শিখে 🤣🤣🤣
24/02/2024

গ্রামের চাচা যখন নতুন এডিট করা শিখে 🤣🤣🤣

১৯৯০ সালে জমি বিক্রি করে ক্রয় করা চাচার এই টেপ রেকর্ডারটি  এখন শুধুই স্মৃতি !BD Misty Media
24/12/2023

১৯৯০ সালে জমি বিক্রি করে ক্রয় করা চাচার এই টেপ রেকর্ডারটি এখন শুধুই স্মৃতি !
BD Misty Media

27/07/2023

Address

Rangpur
5431

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when BD Misty Media posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Category