Mostofa litu blog bd

Mostofa litu blog bd সমাজ সংস্কৃতির নানাবিধ অনিয়মের বিরুদ্ধে সোচ্চার কলম।

🤨এক কোম্পানীতে ছিলো এক পিপড়া। সে প্রতিদিন ৯টায় অফিসে ঢুকতো। তারপর কারো সঙ্গে সময় নষ্ট না করে সঙ্গে সঙ্গে কাজে বসে যেত।সে...
16/05/2024

🤨এক কোম্পানীতে ছিলো এক পিপড়া। সে প্রতিদিন ৯টায় অফিসে ঢুকতো। তারপর কারো সঙ্গে সময় নষ্ট না করে সঙ্গে সঙ্গে কাজে বসে যেত।

সে যে পরিমাণ কাজ করত, তাতে কোম্পানির উৎপাদন হতো প্রচুর এবং এর ফলে সে আনন্দের সঙ্গেই জীবন নির্বাহ করত।

ওই অফিসের সিইও সিংহ অবাক হয়ে দেখত, এই পিঁপড়াটি কোনো ধরনের সুপারভিশন ছাড়াই প্রচুর কাজ করছে। সিংহ ভাবল, পিঁপড়াকে যদি কারও সুপারভিশনে দেওয়া হয়, তাহলে সে আরও বেশি কাজ করতে পারবে।

কয়েক দিনের মধ্যেই সিংহ একটি তেলাপোকাকে পিঁপড়ার সুপারভাইজার হিসেবে নিয়োগ দিল। সুপারভাইজার হিসেবে এই তেলাপোকাটির ছিল দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা, আর সে দুর্দান্ত রিপোর্ট লিখতে পারত।

তেলাপোকাটি প্রথমেই সিদ্ধান্ত নিল, এই অফিসে একটি অ্যাটেনডেন্স সিস্টেম থাকা উচিত।

কয়েক দিনের মধ্যেই তেলাপোকার মনে হলো, তার একজন সেক্রেটারি দরকার, যে তাকে রিপোর্ট লিখতে সাহায্য করবে। … সে একটা মাকড়সাকে নিয়োগ দিল এই কাজে যে সব ফোনকল মনিটর করবে, আর নথিপত্র রাখবে।

সিংহ খুব আনন্দ নিয়ে দেখল যে তেলাপোকা তাকে প্রতিদিনের কাজের হিসাব দিচ্ছে আর সেগুলো বিশ্লেষণ করছে গ্রাফের মাধ্যমে। ফলে খুব সহজেই উৎপাদনের ধারা সম্পর্কে ধারণা নেওয়া যাচ্ছে এবং সিংহ সেগুলো বোর্ড মিটিংয়ে ‘প্রেজেন্টেশন’ আকারে পেশ করে বাহবা পাচ্ছে।

কিছুদিনের মধ্যেই তেলাপোকার একটি কম্পিউটার ও লেজার প্রিন্টার প্রয়োজন হলো এবং এগুলো দেখভালের জন্য আইটি ডিপার্টমেন্ট গঠন করল। আইটি বিশেষজ্ঞ হিসেবে নিয়োগ পেল মাছি।

আমাদের কর্মী পিঁপড়া, যে প্রতিদিন অফিসে এসে প্রচুর কাজ করে মনের সুখে গান গাইতে গাইতে বাসায় ফিরত, তাকে এখন প্রচুর পেপার ওয়ার্ক করতে হয়, সপ্তাহের চার দিনই নানা মিটিংয়ে হাজিরা দিতে হয়।

নিত্যদিন এসব ঝামেলার কারণে কাজে ব্যাঘাত ঘটায় উৎপাদন কমতে লাগল, আর সে বিরক্ত হতে লাগল।

সিংহ সিদ্ধান্ত নিল, পিঁপড়া যে বিভাগে কাজ করে, সেটাকে একটা আলাদা ডিপার্টমেন্ট ঘোষণা করে সেটার একজন ডিপার্টমেন্ট প্রধান নিয়োগ দেওয়ার এটাই উপযুক্ত সময়।

সিংহ ঝিঁঝিপোকাকে ওই ডিপার্টমেন্টের প্রধান হিসেবে নিয়োগ দিল। ঝিঁঝিপোকা প্রথম দিন এসেই তার রুমের জন্য একটা আরামদায়ক কার্পেট ও চেয়ারের অর্ডার দিল।

কয়েক দিনের মধ্যেই অফিসের জন্য স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যান তৈরি করতে ঝিঁঝি পোকার একটি কম্পিউটার ও ব্যক্তিগত সহকারীর প্রয়োজন হলো। কম্পিউটার নতুন কেনা হলেও ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবে ঝিঁঝিপোকা নিয়োগ দিল তার পুরোনো অফিসের একজনকে।

পিঁপড়া যেখানে কাজ করে, সেখানে আগে ছিল চমৎকার একটা পরিবেশ। এখন সেখানে কেউ কথা বলে না, হাসে না। সবাই খুব মনমরা হয়ে কাজ করে।

ঝিঁঝিপোকা পরিস্থিতি উন্নয়নে সিংহকে বোঝাল, ‘অফিসে কাজের পরিবেশ’ শীর্ষক একটা স্টাডি খুব জরুরি হয়ে পড়েছে।

পর্যালোচনা করে সিংহ দেখতে পেল, পিঁপড়ার বিভাগে উৎপাদন আগের তুলনায় অনেক কমে গেছে।

কাজেই সিংহ কয়েক দিনের মধ্যেই স্বনামখ্যাত কনসালট্যান্ট পেঁচাকে অডিট রিপোর্ট এবং উৎপাদন বাড়ানোর উপায় বাতলে দেওয়ার জন্য নিয়োগ দিল।

পেঁচা তিন মাস পিঁপড়ার ডিপার্টমেন্ট মনিটর করল, সবার সঙ্গে ওয়ান টু ওয়ান কথা বলল। তারপর বেশ মোটাসোটা একটা রিপোর্ট পেশ করল সিংহের কাছে। ওই রিপোর্টের সারমর্ম হলো, এই অফিসে প্রয়োজনের তুলনায় কর্মী বেশি। কর্মী ছাঁটাই করা হোক।

পরের সপ্তাহেই বেশ কয়েকজন কর্মী ছাঁটাই করা হলো। বলুন তো, কে সর্বপ্রথম চাকরি হারাল?

ওই হতভাগ্য পিঁপড়া। কারণ, পেঁচার রিপোর্টে লেখা ছিল, ‘এই কর্মীর মোটিভেশনের ব্যাপক অভাব রয়েছে এবং সর্বদাই নেতিবাচক আচরণ করছে, যা অফিসের কর্মপরিবেশ নষ্ট করছে।

সংগৃহীত................

কচ্ছপ আর খরগোশের গল্পটা আমরা সবাই জানি। কিন্তু মজার বিষয় হল আমরা গল্পের শুধু প্রথম অংশটাই পড়েছি।এই গল্পের আরো ৩ টি অধ্য...
05/03/2024

কচ্ছপ আর খরগোশের গল্পটা আমরা সবাই জানি। কিন্তু মজার বিষয় হল আমরা গল্পের শুধু প্রথম অংশটাই পড়েছি।
এই গল্পের আরো ৩ টি অধ্যায় আছে! যা হয়তো আমরা কেউ কেউ পড়েছি বা শুনেছি, কিন্তু বেশিরভাগ মানুষই পড়িনি।

গল্পের বাকি অংশটুকু এবার জেনে নেই তাহলে🥰🥰

🔰১ম অংশ:
এই অংশটা আমরা ছোটবেলায় বইয়ে পড়ছি। এখানে খরগোশ ঘুমিয়ে যায়, আর কচ্ছপ জিতে যায়। প্রথমবার হেরে যাওয়ার পর খরগোশ বিশ্লেষণ করে দেখল তার পরাজয়ের মূল কারণ 'অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস।' তারমানে অতি আত্মবিশ্বাস যে কারো জন্যই ক্ষতিকর। আর কচ্ছপ বুঝল, লেগে থাকলে সাফল্য আসবেই!

🔰২য় অংশ:
হেরে যাওয়ার পর এবার খরগোশ আবারো কচ্ছপকে দৌড় প্রতিযোগিতায় চ্যালেঞ্জ করল আর কচ্ছপও রাজী হল।

এবার খরগোশ না ঘুমিয়ে দৌড় শেষ করল এবং জয়ী হল। খরগোশ বুঝল, মন দিয়ে নিজের সামর্থের পুরোটা দিয়ে কাজ করলে দ্রুত সফল হওয়া যায়।

আর কচ্ছপ বুঝল, ধীর স্থির ভাবে চলা ভালো, তবে কাজে উপযুক্ত গতি না থাকলে প্রতিযোগীতা মূলক পরিবেশে জয়ী হওয়া অসম্ভব!

🔰৩য় অংশ:
কচ্ছপ এবার খরগোশকে আরেকবার দৌড় প্রতিযোগিতার আমন্ত্রন জানালো। খরগোশও নির্দিধায় রাজী হয়ে গেল। তখন কচ্ছপ বলল, "একই রাস্তায় আমারা ২ বার দৌড়েছি, এবার অন্য রাস্তায় হোক।" খরগোশও রাজী। অতএব নতুন রাস্তায় দৌড় প্রতিযোগিতা শুরু হল।

যথারীতি খরগোশ জোরে দৌড় শুরু করে দিল। কচ্ছপও তার পিছন পিছন আসতে শুরু করল। কচ্ছপ যখন খরগোশ এর কাছে পৌঁছাল, দেখল খরগোশ দাঁড়িয়ে আছে, কিন্তু দৌড়ের শেষ সীমানায় যেতে পারেনি।

কারণ দৌড়ের শেষ সীমানার আগে একটি খাল আছে। কচ্ছপ খরগোশ এর দিকে একবার তাকালো, তারপর তার সামনে দিয়ে পানিতে নেমে খাল পার হয়ে দৌড়ের শেষ সীমানায় পৌছে প্রতিযোগিতা জিতে গেল।

খরগোশ বুঝল, শুধু নিজের শক্তির উপর নির্ভর করলেই হবে না, পরিস্থিতি আর বাস্তবতা অনুধাবন করাও ভীষণ প্রয়োজনীয়! আর কচ্ছপ বুঝল, প্রথমে প্রতিযোগীর দূর্বলতা খুজে বের করতে হবে, তারপর সেই অনুযায়ী পরিকল্পনা করতে হবে।

গল্প কিন্তু এখানেই শেষ নয়‼️

🔰চতুর্থ অংশ:
এবার খরগোশ কচ্ছপকে আরেকটি দৌড় প্রতিযোগিতার জন্য আহবান জানালো এই একই রাস্তায়। কচ্ছপ ও রাজী। কিন্তু এবার তারা ঠিক করল, প্রতিযোগী হিসেবে নয়, বরংএবারের দৌড়টা তারা দৌড়াবে সহযোগী হিসেবে!

শুরু হল প্রতিযোগিতা। খরগোশ কচ্ছপকে পিঠে তুলে দৌড়ে খালের সামনে গিয়ে থামলো।এবার কচ্ছপ খরগোশ এর পিঠ থেকে নেমে খরগোশকে নিজের পিঠে নিয়ে খাল পার হল।তারপর আবার কচ্ছপ খরগোশ এর পিঠে উঠে বাকী দৌড় শেষ করল আর এবার তার দু জনই একসাথে জয়ী হল।

📚এখান থেকে আমরা আসলে কি শিখলাম?

আমরা শিখলাম, ব্যক্তিগত দক্ষতা থাকা খুবই ভালো। কিন্তু দলবদ্ধ হয়ে একে অপরের দক্ষতাকে কাজে লাগাতে পারলেই আসে সত্যিকারের সাফল্য যেখানে সবাই বিজয়ীর হাসি হাসতে পারে।

*** লেখা ও ছবি সংগৃহীত **

30/11/2023

A টিম এর সাথে B টিমের নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী সবাইকে ধন্যবাদ।

Flower
12/11/2023

Flower

29/10/2023
14/10/2023

আমজনতা খেটে মরে....

গোলাম মোস্তফা লিটু

নেত্রী খাচ্ছে নেতা খাচ্ছে
খাচ্ছে দালাল চামচারা,
যা পাচ্ছে তা খাচ্ছে লুটে
মন্ত্রী এমপি আমলারা।

শোষক শ্রেণী খাচ্ছে গিলে
রাষ্ট্র সমাজ অর্থনীতি
সমাজ রাষ্ট্রের রন্ধ্রে রন্ধ্রে
ছেয়ে গেছে দূর্ণীতি।

ঊর্ধ্বতনরা খাচ্ছে বসে
আরাম কেদারায় আয়েশ করে
আমজনতা জীবন ভর
শুধু শুধুই খেটে মরে।

২০-০৯-২০২১
[email protected]

সামনে ধাবমান মানুষ টা কে, পেছনের মানুষরা এভাবেই টেনে হিঁচড়ে ক্ষত বিক্ষত করে দেয়।
29/09/2023

সামনে ধাবমান মানুষ টা কে, পেছনের মানুষরা এভাবেই টেনে হিঁচড়ে ক্ষত বিক্ষত করে দেয়।

02/09/2023

পুনঃ পোস্ট

** আবার একটি যুদ্ধ চাই **

আবার একটি যুদ্ধ চাই
অর্জিত স্বাধীনতা রক্ষার তরে যুদ্ধ চাই
গনতান্ত্রিক অধিকার পুনঃপ্রতিষ্টায় যুদ্ধ চাই
শাষকের জুলুম রুখতে যুদ্ধ চাই
শোষিত মানুষের মুক্তির তরে যুদ্ধ চাই

আবার একটি যুদ্ধ চাই
আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার তরে যুদ্ধ চাই
মিথ্যা মামলা রুখতে যুদ্ধ চাই
আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিন্তে যুদ্ধ চাই
আইনী সংস্থার জবাবদিহিতা নিশ্চিন্তে যুদ্ধ চাই

আবার একটি যুদ্ধ চাই
নাগরিক অধিকার প্রতিষ্টার তরে যুদ্ধ চাই
ভোটাধিকারের অধিকার ফেরাতে যুদ্ধ চাই
মত প্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষায় যুদ্ধ চাই
নিরাপদ জীবনের অধিকার রক্ষায় যুদ্ধ চাই

আবার একটি যুদ্ধ চাই
সামাজিক অবক্ষয় রুখতে যুদ্ধ চাই
বৈষম্যহীন সমাজ গঠনের তরে যুদ্ধ চাই
সামাজিক মূল্যবোধ ফেরাতে যুদ্ধ চাই
সুষ্ঠু সমাজ প্রতিষ্ঠার তরে যুদ্ধ চাই

আবার একটি যুদ্ধ চাই
দুর্নীতিবাজ নেতা নেত্রীর দৌরাত্ম বন্ধে যুদ্ধ চাই
সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় দুর্নীতি রুখতে যুদ্ধ চাই
দুর্নীতিমুক্ত অর্থনৈতিক ব্যাবস্থা প্রতিষ্ঠায় যুদ্ধ চাই
দুর্নীতির মূলোৎপাটন করতে যুদ্ধ চাই

আবার একটি যুদ্ধ চাই
কৃষকের অধিকার প্রতিষ্টার তরে যুদ্ধ চাই
উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য মূল্য রক্ষায় যুদ্ধ চাই
কৃষক মজুরের জীবন মান উন্নয়নে যুদ্ধ চাই
অর্থনৈতিক মুক্তির সোপান কৃষিখাত কে বাচাতে যুদ্ধ চাই

আবার একটি যুদ্ধ চাই
ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তির নিশ্চয়তা বিধানে যুদ্ধ চাই
ধর্ষিতার অধিকার প্রতিষ্টায় যুদ্ধ চাই
ধর্ষকদের পৃষ্ঠপোষক আমলা মন্ত্রীদের রুখতে যুদ্ধ চাই
সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় ধর্ষণ রুখতে যুদ্ধ চাই

আবার একটি যুদ্ধ চাই
অনির্বাচিত সরকার কে রুখতে যুদ্ধ চাই
সরকারি ছাত্র সংগঠনের অরাজকতা ঠেকাতে যুদ্ধ চাই
বিরুদ্ধ মতের রাজনৈতিক দলের অধিকার রক্ষায় যুদ্ধ চাই
সরকারের সীমাহীন দুর্নীতি রুখতে যুদ্ধ চাই।।

০২/০৯/২০১৯

সবাই স্বার্থ বাজ মোস্তফা লিটু মানুষ গুলো কেমন যেন অন্য রকম আজ একে অন্যের করতে ক্ষতি করেনা ভয় লাজ। দিবা নিশি ছুটছে সবাই শ...
31/08/2023

সবাই স্বার্থ বাজ

মোস্তফা লিটু

মানুষ গুলো কেমন যেন
অন্য রকম আজ
একে অন্যের করতে ক্ষতি
করেনা ভয় লাজ।
দিবা নিশি ছুটছে সবাই
শুধুই স্বার্থের পিছে
আপন স্বার্থ চরিতার্থে
নামছে সর্ব নিচে।
মানবিকতা মূল্যবোধ সব
হারিয়েছে সেই কবে
হানাহানি রাহাজানি
চলছে সারা ভবে।
কেউ ভাবেনা কারোর কথা
সবাই স্বার্থ বাজ
মানুষ গুলো কেমন যেন
অন্য রকম আজ।

০৭-০৩-২২
[email protected]

Address

Shathibari
Rangpur
5460

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Mostofa litu blog bd posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share