শিরোনামহীন

শিরোনামহীন কিছু জানতে চাইলে মেসেজ করুন। 💌

আমি তখন সবেমাত্র অনার্স ভর্তি হয়েছি। ফার্স্ট ইয়ার। হাতখরচ চালানোর জন্য টিউশনি শুরু করলাম। ক্লাস টেনের একটা মেয়েকে ইংরেজি...
23/07/2025

আমি তখন সবেমাত্র অনার্স ভর্তি হয়েছি। ফার্স্ট ইয়ার। হাতখরচ চালানোর জন্য টিউশনি শুরু করলাম। ক্লাস টেনের একটা মেয়েকে ইংরেজি পড়াতাম। বড়লোকের মেয়ে। ওর বাবার দশটা মত ট্রাক আছে। বাজারে রড সিমেন্টের দুইটা দোকান। টাইলসের দোকান একটা। মেয়ে তার বাবা মায়ের একমাত্র সন্তান। আমি শুরুতে ভাবতাম একটা মেয়ে কেন? দশ টাকার চিপসের মধ্যের স্ক্রাচ কার্ডেও লেখা থাকে, আবার চেষ্টা করুন। আর এই দম্পতি এক বাচ্চা নিয়েই সন্তষ্ট? আরেকবার চেষ্টা করে দেখলো না? এতো টাকাপয়সা খাবে কে। আঙ্কেলের বিশাল ধৈর্য আছে মাশাল্লাহ। আন্টিকে দেখলে আমারই মাথা ঠিক থাকে না। যেরকম সুন্দরী, সেইরকম ফিগার। আমি এই মহিলার বর হলে আমার ছেলেমেয়েরা বাসার ছাদেই দুই দলে ভাগ হয়ে ফুটবল খেলতে পারতো। বাইরে থেকে কোনো ফ্রেন্ড ডেকে আনার দরকার পড়তো না।
যাই হোক, আমাদের আজকের কাহিনী ঐ মহিলাকে নিয়ে না৷ উনার একমাত্র মেয়ে অর্থ্যাৎ আমার ছাত্রীকে নিয়ে৷ মেয়ের নাম অরনী। মায়ের থেকেও তিনগুন বেশি সুন্দরী। কতটা সুন্দরী উদাহরণ দেই৷ টিউশন মাস্টাররা লুচ্চা হলে নাকি ছাত্রীর বুকের দিকে তাকায়। কিন্তু আমি যথেষ্ট লু&%চ্চা হয়েও কখনো অরনীর বুকের দিকে তাকাইনি। ওর চেহারা এতো সুন্দর যে মুখের দিক থেকে চোখই সরাতে পারিনা। অন্যদিকে তাকাবো কিভাবে৷ টিউশন শুরু করার পর থেকে জাস্ট ওকে দেখার জন্যই একটা দিন অফ দেইনি। একঘন্টা পড়ানোর কথা থাকলেও দেড় ঘন্টা পড়াই। শুক্রবারে গিয়ে বলি, 'আন্টি আজকে একটা পরীক্ষা নিব ওর। সারা সপ্তায় যা পড়াইছি তার ওপরে।'
আন্টি আঙ্কেলের কাছে আমি বিশাল প্রশংসা পাওয়া শুরু করলাম। এতো ভালো আর সিরিয়াস টিচার নাকি আজকাল পাওয়াই যায় না। উনার বোনের ছেলের টিউশন মাস্টার নাকি সপ্তায় দুইদিন আসে তো চারদিন আসে না। নানান বাহানা দেয়৷ আধাঘন্টা পড়ায়েই চলে যায়।
আমি আর বললাম না যে এর আগে ঠিকমতো না যাওয়ার জন্য আমার দুইটা টিউশনি চলে গেছে। দুইটাই ছেলে ছিলো। আর আপনার মেয়ে অরণী মানুষ না, চুম্বক। আমার চশমার ফ্রেমের লোহাকে আকর্ষণ করে সে।
তারপর ঠিক একমাস পর একটা ঘটনা ঘটলো। আমাকে মাস শেষে বেতনের যে খাম দেয়া হলো সেই খাম খুলে দেখি টাকার সাথে সাথে একটা চিরকুট৷ তাতে লেখা, 'এই যে সোহাইল সাহেব, আই লাভ ইউ। ডু ইউ লাভ মি?'
আমার হার্টবিট মিস হলো। মাথা ঘুরতে লাগলো। তার থেকেও বেশি যেটা হলো সেটা কনফিউশান। আমাকে প্রপোজ কে করেছে? অরণী নাকি অরণীর মা?
কনফিউশনের কারণ খামটা আমার হাতে দিয়েছে স্বয়ং অরণীর বাবা। কিন্তু আমি যতদূর দেখেছি সেটা ভেতরের ঘরে গিয়ে এনে দিছে অরণীর মায়ের থেকে। তাহলে কি আন্টি? হতেও পারে। আঙ্কেল তো সারাদিনই ব্যবসা নিয়ে বিজি থাকে৷ অথচ আন্টির বয়স সর্বোচ্চ পঁয়ত্রিশ হবে। এই বয়সে কত শখ আল্লাদ থাকে মানুষের৷
কিন্তু আন্টিকে কিভাবে জিজ্ঞেস করি? একদিন সুযোগ আসলো। আন্টি নাস্তা দিতে এসে প্রতিদিনই বসেন দুই তিন মিনিট। এদিন আন্টি আসার পর অরণী ভেতরে গেলো পানি খেতে৷ আমার অভিজ্ঞতা বলে অরণীর পানি খেতে অন্তত সাত আট মিনিট লাগে৷ কারণ সে পানি খাওয়ার কথা বললেও যায় আসলে হি*সু করতে।
এখন আন্টিকে সরাসরি তো বলতে পারি না৷ হিন্টস দিলাম৷ বললাম, 'আন্টি আপনি খুব সুন্দর।'
আন্টি হেসে দিয়ে বললো, 'তাই নাকি? তোমার আমাকে ভালো লাগে?'
আমিও হাসলাম, 'আপনাকে কারো খারাপ লাগতে পারে? যেকোনো ছেলের জন্যই আপনি স্বপ্নের মত!'
- আহা, তোমার জন্যেও?
- আমিও তো ছেলেই।
- অথচ দেখ, তোমার আঙ্কেল ফিরেও দেখেনা আমার দিকে। সারাদিন কাজ নিয়ে বিজি।
- আমি আঙ্কেলের জায়গায় থাকলে কোথাও যাইতাম না। সারাদিন ঘরে থাকতাম আপনার কাছে।
আন্টি কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে বললো, 'আসলে এই লাইফ আমারো আর ভাল্লাগছেনা৷ আর তাছাড়া?'
- তাছাড়া কি?
- তুমি ছেলে হিসাবে খারাপ না। আসলে কিভাবে যে বলি।
- বলেন আন্টি, কোনো সমস্যা নাই৷ অবশ্য আমি টের পেয়েগেছি দেখেই?
- সত্যি টের পেয়েছ?
আরো কিছু বলতে যাব তার আগেই অরণী চলে আসলো। আন্টি কিছু না বলে লাজুক মুখে চলে গেলেন।
এর পরদিন থেকে আন্টি আমাকে একটু বেশিই যত্ন নেয়া শুরু করলেন। নাস্তায় দামী দামী খাবার আসতে লাগলো। আমি যখন প্রায় শিওর যে ঐ প্রপোজ আন্টিরই ছিলো তখনই একটা ঘটনা ঘটলো। অরণী অংক করতে করতে হুট করে বললো, 'স্যার আমি কি দেখতে খারাপ?'
- না তো, তুমি অনেক সুন্দরী।
- তাহলে আপনার চোখে সমস্যা?
- তা হবে কেন? এসব কি বলতেছ?
- আপনি কিছুই বুঝেন না স্যার?
- কি বুঝবো?
- আপনি আসলেই গাধা।
- তোমার মাথা ঠিক আছে? যা বলার খুলে বলো।
- আমি কি বলব? আমার কিছুই বলার নাই। আর ভাগ্যই খারাপ।
- ভাগ্য খারাপ হবে কেন?
- আমার সব বান্ধবীরই বয়ফ্রেন্ড আছে৷ আর আমার নাই। এমনকি আমার যাকে ভালোলাগে সে কিছুই বুঝেনা। আস্ত একটা গা&%ধা৷
আমি বুঝলাম অরণী কি বলতে চাচ্ছে। কিন্তু বুঝেও এমন ভান করলাম যে বুঝিনি৷ তাহলে কি ঐ চিরকুট অরণীর ছিলো? অরণী আমাকে ভালোবাসে? আমি আবারো কনফিউশানে পড়ে গেলাম।
কনফিশান দূর করার একটাই উপায়। পরের মাসের বেতনের খাম৷
খাম হাতে পেয়ে যেন তর সইছে না। দ্রুত ওদের বাসা থেকে বের হয়েই খুলে ফেললাম। হ্যা, চিরকুট আছে৷ সেখানে লেখা, 'গত খামে দেয়া প্রশ্নের উত্তর যদি হ্যা হয় তবে আগামী শুক্রবার সকালে আমি বাসায় অপেক্ষা করবো। ঐদিন আমি ছাড়া কেউ থাকবে না বাড়িতে।'
ইয়েস, শুক্রবারেই বোঝা যাবে ওটা কে? অরণী নাকি অরণীর মা। আমি মুচকি হাসলাম। যেই হোক, আমার দিক থেকে কোনো সমস্যা নাই। .
শুক্রবার সকাল সকাল রেডি হয়ে ভালো জামাকাপড় পরে চলে গেলাম অরণীদের বাসায়। কলিংবেল টিপতেই দরজা খুলে গেল। একটা হাত আমাকে টেনে ঘরে ঢুকিয়েই দরজা বন্ধ করে দিলো।
আমার হার্ট এটা&%ক হচ্ছিলো আরেকটু হলে। কোনোমতে বললাম, 'আ আঙ্কেল, আপনি?'
- হ্যা আমিই। অরণী ওর আম্মুর সাথে খালার বাসায় গেছে। আজকেই সুযোগ।
- হোয়াট? কিসের সুযোগ?
- তোমাকে তো বলেছিই। আমার মেয়ে মানুষ ভালোলাগে না। বাসা থেকে জোর করে বিয়ে দিয়ে দিছিলো। একটা বাচ্চাও হইছে। কিন্তু অরণীর আম্মুর প্রতি আমার কোনো আগ্রহ নাই৷ তোমাকে ভালো লেগেছে। এজন্য আই লাভ ইউ বলে দিছি৷ ভাবিনাই তুমি রাজি হবা।
- ইয়ে মানে।
- লজ্জা পাওয়ার দরকার নাই৷ বেডরুমে আসো।
- এক মিনিট।
- আবার কি হলো? আঙ্কেলের কণ্ঠে অধৈর্য।
- বাইক লক করে আসতে ভুলে গেছি৷ এখনি আসতেছি।
সেদিন পালিয়ে আসার পর বহুবার অরণী কল দিয়ে যেতে বলেছে৷ কান্নাকাটিও করেছে। আন্টি মেসেজ দিছে, 'তুমি শুধু একবার বাসায় আসো। শুধু একবার।'
কিন্তু আমি যাইনি। প্রেম ভালোবাসা একটা গেলে আরেকটা পাওয়া যাবে। কিন্তু ইজ্জত খুবই দামী জিনিস। একবার হারালে আর কোনোদিন পাওয়া যায় না।

16/06/2025

বাচ্চা বাচ্চা ছেলে মেয়েগুলো তাদের বাচ্চার নাম ঠিক করে ফেলেছে..
আর আমি কাচের দরজা দেখলে ভাবি
ঠেলবো নাকি টানবো 😐

সান্ডা—লিনা!কফিলের রূপচর্চায় আভিজাত্য!🙂
15/05/2025

সান্ডা—লিনা!
কফিলের রূপচর্চায় আভিজাত্য!🙂

উপর তলা থেকে চিৎকার করে কান্নার আওয়াজ আসছে… সাথে শোনা যাচ্ছে - মা আর করবো না।বিষয়টা বুঝে উঠতে পারছিলাম না। একটু আগেই তো ...
12/01/2025

উপর তলা থেকে চিৎকার করে কান্নার আওয়াজ আসছে… সাথে শোনা যাচ্ছে - মা আর করবো না।
বিষয়টা বুঝে উঠতে পারছিলাম না। একটু আগেই তো তাদের বাড়িতে আমাদের নেমন্তন্ন ছিলো। তার ছেলে চাকরি নতুন পেয়েছে সেজন্য। কতো অমায়িক পরিবার। কি রেখে কি খেতে দিবে, কিভাবে খাতির যত্ন করবে, সে নিয়ে তাদের কতো হৈ হুল্লোড়। তাহলে এই অল্প সময়ের মধ্যে কি হলো?
যেহেতু সে আমার ভাড়াটিয়া তাই সাহস করে যেতেও পারছি না। অনাধিকার চর্চা হয়ে যায় কিনা সে ভয়ে।
স্ত্রীকে ডেকে বললাম - কে কাঁদছে এভাবে? জানো কিছু?
সে দীর্ঘনিশ্বাস ফেলে বললো - আর কে? তুমি যেই মাসিমনির একটু আগে প্রশংসা করলে - কত্তো ভালো মানুষ সে! তার ছেলের বউ এর সাথে চিল্লাচ্ছে।
আমি কিছুটা স্তব্ধ হয়ে বললাম - কেনো? উনাকে দেখে তো এমন লাগলো না!
আমার স্ত্রী বললো - থাক, তোমার সাথে তর্কে যাবো না। মহিলা মানুষের বিষয়। তুমি বুঝবে না।

এই বলে সে চলে গেলো। আমি টিভি দেখতে লাগলাম। হঠাৎ মনে হলো উপর তলায় ঠাস করে কিছু পরে ভাঙলো, আর এরপর আরো জোরে চিৎকার।
আর নিতে পারছিলাম না। বাড়িওয়ালা হিসেবে এবার ওদের বাড়িতে যাওয়ার কথা ভাবলাম।
চশমাটা চোখ থেকে খুলে হাঁটা দিলাম উপর তলায়।
কলিং বেল দিতেই সব চুপচাপ হয়ে গেলো।
১-২ মিনিট পর অর্ধেক দরজা খুলে মুখ বের করলেন মাসীমণি ।
হাসি মুখে এগিয়ে বললেন - কি হইসে বাবা?
আমি বললাম - একটু আগে কান্নার আওয়াজ পেলাম। তারপর মনে হলো কি যেন ভেঙে গিয়েছে। কি হয়েছে? কোন সমস্যা?
মাসীমণি বললেন - আরে না বাবা। বউমা কাজ করতে গিয়ে হাতে লেগে টেবিলের কাঁচ টা ভেঙে গেছে। নিজে থেকেই ভয়ে কান্না করছে। ভয় পাইসে, আমি যদি কিছু বলি সেজন্য।
আমার কাছে কেন যেন তেমন কিছু মনে হলো না।
পুরুষ মানুষ তাই জোর করে ঢুকতেও পারলাম না। চলে আসলাম সেখান থেকে।
কিন্তু আসার পর থেকে মাথা ধরে আছে। তাই সহ্য না করতে পেরে আমার স্ত্রীকে ডেকে বললাম - চলো তো আমার সাথে।
সে বললো - কোথায়?
আমি হাত ধরে টান দিয়ে তাকে নিয়ে গেলাম উপর তলায়।
আবার কলিং বেল দিলাম। এবার আরও সময় নিয়ে দরজা খুললো তারা। এবার দরজা খুললো মাসীমণি'র ছেলে। একদম ঘামিয়ে আছে সে। বয়সে আমার সমবয়সী হলেও বিয়ে করেছে আমার মেয়ের বয়সী একটা মেয়েকে।
সে জিজ্ঞাসা করলো - কিছু বলবেন ভাই?
বললাম - তোমার মায়ের সাথে কথা আছে। ভেতরে যাবো।
সে বললো - মা পুজো করছে। পুজো শেষে বলছি যেন আপনার সাথে দেখা করে আসে।
আমি খানিকটা ধাক্কা দিয়েই বললাম - এখনই দেখা করবো।
এই বলে ঘরে ঢুকে আমার মাথা ঘুরে গেলো। ফ্লোরে রক্তের ছোপ ছোপ দাগ। সামনের ঘরের টি টেবিলটার গ্লাস ভেঙে নিচে পরে আছে। ঘরের ভেতরটা নিশ্চুপ।
আমাদের বাধা দেওয়ার পরও ভেতরে গিয়ে পুরুষ মানুষ হয়েও চোখে জল চলে আসলো। ময়না (ছেলের বউ) মেঝেতে পড়ে আছে। নাক মুখ দিয়ে রক্তে ভেসে যাচ্ছে।
আমার স্ত্রী দৌড়ে গিয়ে তাকে ধরলো। মাসীমণি আরেক রুম থেকে দৌড়ে এসে বললো - একটু আগে বাথরুমে পইড়া ব্যথা পাইসে। আমি এখন ডাক্তারের কাছে নিতাম।
আমি বললাম - বাথরুমে পরে গিয়েছে তো মুখে গামছা বাঁধা কেন?
ওরা একটু নড়ে উঠলো। মাসীমণি র স্বামী আমাকে এসে বললো - বাবা বসেন। সব খুলে বলতেসি।
আমার স্ত্রী তখন বললো - ময়নার জ্ঞান নাই। ডাক্তারের কাছে এখনই নিতে হবে।
আমি মাসীমণি কে বললাম - আপনাদের সাথে আমি পরে কথা বলবো।
এই বলে একটু সাইডে গিয়ে হাসপাতালে ফোন করলাম। আর ফোন করলাম আমাদের দারোয়ানকে। মেইন গেইট টা বন্ধ করতে বললাম।
আর সবশেষে ফোন দিলাম আমাদের এলাকার থানায়।
তারা জানতো না থানায় যে ফোন করেছি। একেক জন অস্থির হয়ে উঠলো। হঠাৎ ময়না ময়না বলে কেঁদে উঠলো মাসীমণি। শ্বশুর সাহেবও কম যান না। তিনিও অভিনয় করে চোখ মোছা শুরু করলেন।
শুধুমাত্র একজন অভিনয় করছিলো না। সে হলো ময়নার স্বামী। সে যেন ফোঁস ফোঁস করে উঠছিলো রেগে। আর বারবার বলছিলো - আমাদের ব্যাক্তিগত ব্যাপারে আপনি নাক গলাচ্ছেন কেন?
আমি কোন উত্তর দিলাম না। শুধু দেখে যাচ্ছিলাম সবাইকে।
ময়নাকে আমার স্ত্রীকে আর মেয়েকে সহ অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতাল পাঠিয়ে দিলাম। সাথে যাওয়ার জন্য তার বাড়ির সবাই খুব জোর করলেও আমি সবাইকে নিষেধ করে দেই। আর অন্য ৩ ফ্লাটের ভাড়াটিয়া ঘরের পুরুষদের ফোন করে আসতে বলি।
তাদের আটকাই। থানা থেকে লোক আসলে তাদের হাতে এই ভদ্র পরিবারকে তুলে দেই।
এরপর হাসপাতালে গিয়ে দেখি ময়নার চিকিৎসা চলছে।
২ দিন পর পুলিশ তার স্টেটমেন্ট নিতে আসে। আমি সেখানে উপস্থিত ছিলাম। যে কারণে সেদিন ময়নার উপর নির্যাতন হয়েছিলো তা শুনে যে কোন শয়তানও একবার চোখের জল ফেলতো বোধহয়।

বিয়ের শুরু থেকেই কাজের মেয়ের মতো তার সাথে আচরণ করা হতো। কারণ সে গরীব ঘরের মেয়ে। নাহলে অতোটুক মেয়েকে এই বয়স্ক লোকের সাথে কোন বাবা মা ই বা দেয়। খাবারের কষ্ট দেওয়া হতো। আর এটা প্রথমবার তার গায়ে হাত তোলা হয়নি। তাই আমরা সেদিন যখন তাদের বাড়িতে খেতে গিয়েছিলাম। সেদিন সে লুকিয়ে কিছু পোলাও তার ওরনায় বেঁধে বাথরুমে নিয়ে খাচ্ছিলো। কিন্তু ধরা পরে যায়। এরপর তাকে অমানবিক নির্যাতন করা হয় খাবার চুরি করে খাওয়ার দায়ে। একদম ৩ জন মিলে যে যেভাবে পেরেছে মেরেছে মেয়েটাকে। ভগবান মাফ করুক। কতো খাবার প্লেটে ফেলে উঠি আমরা প্রায়ই। আর এই খাবারের জন্য কেউ মার খেলো? কেনো খেলো?

এগুলো বলার সময় আমার স্ত্রীও পাশে ছিলো। চোখ মুছে আমার দিকে এগিয়ে বলছে - মেয়ে বিয়ে দিবো না আমরা। দরকার নাই। মেয়ের খাওয়ার জন্য কতো চিন্তা করি, আর সেই মেয়ে যদি অন্যের ঘরে গিয়ে ভাতের বদলে মার খায় তাহলে তেমন বিয়ের দরকার নেই।

আমিও তাকে জড়িয়ে ধরে বললাম - সবাই এক না। সবাই খারাপ না। সবাইকে আবার দেখতে মানুষ লাগলেও আসলে তারা মানুষ না।
আমি নিজে ময়নাকে সুস্থ হওয়ার পর উকিল ধরিয়ে মামলা করাই। ময়না তার বাবার বাড়ি ফেরত যেতে চায়নি। তাই তার বাবার অনুমতি নিয়ে আমার বাড়িতেই রেখে দেই। আমার একটা মেয়ে। তার সাথেই ময়না থাকে। এতে আমার স্ত্রীও কোনদিন একটা কথা বলেনি।
শত হলেও একজন মেয়ের বাবা আমি।
আর এভাবেই যদি সবাই রুখে দাড়াতো তাহলে এই সমাজে এমন নির্যাতনকারী আর সাহস করে কাউকে নির্যাতন করতো না।
"Domestic Violence" কে না বলুন। আশে পাশে কাউকে এমন হতে দেখলে তার বিরুদ্ধে যা করার দরকার সব করুন। এতে অন্তত কারো না কারো জান বেঁচে যাবে।

#অনুলিপি 🥀🌷

ঝগড়ার মাঝপথে স্ত্রীর কোমল গাল টিপে রাগি স্বরে বললাম " ধ্যাত,তোমার সাথে আর থাকবোই না।আজ রাতে আদর ও করবো না "" থাকতে বলছে ...
12/01/2025

ঝগড়ার মাঝপথে স্ত্রীর কোমল গাল টিপে রাগি স্বরে বললাম " ধ্যাত,তোমার সাথে আর থাকবোই না।আজ রাতে আদর ও করবো না "

" থাকতে বলছে কে? "

" তুমি "

" কখন? "

" ফুলসজ্জা রাতে আমার হাত ধরে বলেছিলে সারাজীবন তোমার সাথে থাকতে "

নুশু রাগ চেপে রেখে বললো " আবেগে ভুল বলছি।এখন সত্যি বলছি,যেথা খুশি সেথা চলিয়া যাও।তোমার মুখ দর্পন দেখলে গা জ্বলে যাচ্ছে "

" এখন তো গা জ্বলবেই,শুরুর দিক তো চোখের আড়াল হলেই নাকের জল মুখে ঢুকিয়ে ফেলতে "

" ছিঃ তুমি যাও তো, অসহ্য লোক একটা "

" যাচ্ছিই তো।থাকবো না এই বাড়িতে "

কথাটা বলে বেড়িয়ে গেলাম।আমাদের ভালোবেসে বিয়ে।খুনসুটির ঝগড়া লেগেই থাকে।

অপরদিকে নুশুর প্রচন্ড মাথা গরম।নিজেই নিজের সাথে কঠিন স্বরে প্রশ্ন করে ; ঝগড়া হলেই বেড়িয়ে যাওয়া কি ধরণের অভ্যাস?বউয়ের রাগ ভাঙ্গাতে না পারলে বিয়ে করলো কেন?গেছে যাক,ঘরে আর ঢুকতে দিচ্ছি না।

শ্বশুর বাড়িতে এসে ফ্রেশ হয়ে বসেছি মাত্র,তখনি শ্বাশুড়ির ফোন বেজে উঠলো " তোমার জামাই ওখানে? "

শ্বাশুড়ি মা আমার দিকে তাকালো।ইশারায় " না" বলতে বললাম " না তো "

" না গেলেও হয়তো একটি পর পৌঁছাবে।ও আসলে কল দিও তো "

ফোন কাটার পর জিগ্যেস করলাম " মা,কি বললো ও? "

" তুমি আসলে কল দিতে বলছে।তোমাদের ব্যাপার স্যাপার যে কি,খাইছো? "

" ব্যাপার কিছুই না।এটা ওর শাস্তি "

" টেনশন করবে তো "

" করুক।ভাত থাকলে দিন।খিদে পেয়েছে "

ঘন্টাখানেক পর আবার নুশুর কল।শ্বাশুড়ি ফোন রিসিভ করলে " তোমার জামাই এখনো আসেনি? "

শ্বাশুড়ি আমার দিকে তাকালো।আবারো ইশারায় "না" বলতে বললাম।শ্বাশুড়ি কপাল কুঁচকে

" আসেনি তো "

" কি বলো! ৪ ঘন্টা হয়ে গেলো,ওর বন্ধুদের কল দিলাম কারো সাথে নেই।কোথায় যে গেলো "

কথাটা শেষ করেই নুশু ফোন কাটলো। আয়েশ করে বিছানায় হাত পা এলিয়ে শ্বাশুড়িকে বললাম " বউদের টুকটাক চাপে রাখতে হয় "

" ওর রাগ তো জানোই,সন্ধার আগেই বাসায় যাইয়ো "

" বিকেলেই যাবো "

এই ঘটনা সকালের।খাওয়ার পর চোখ লেগে গেছিলো।ঘুমিয়ে পড়লাম।ঘুম ভাঙ্গলো সন্ধায়।

উঠে চা খেয়ে ফোন অন করবো তখন দরজার দিকে তাকিয়ে চোখ ছানাবড়া হয়ে গেলো। নুশু বাড়িতে উপস্থিত।নুশুকে দেখে গলা শুকিয়ে কাঠ।চোখ টকটকে লাল,চেহারায় রাগ লেপ্টে আছে।

নুশুকে দেখে শ্বাশুড়ি মা ইতস্তত করে " তুই হঠাৎ,আয় ভেতরে আয় "

নুশু চুপচাপ ঘরে গেলো।পেছন পেছন আমিও গেলাম।কিছুক্ষণের মধ্যে ভয়ঙ্কর কান্ড বেঁধে যাবে।বিষয়টা অতিরিক্ত পর্যায়ে চলে গেছে।নুশুকে এতো টেনশন দেওয়া ঠিক হয়নি।নিজের কাছেই নিজেকে অপরাধী মনে হচ্ছে।

নুশুর ঝগড়ার থেকেও ভয়ঙ্কর ওর চুপ করে থাকা।প্রচন্ড রেগে গেছে বুঝতে পারছি।এখন রাগানোর মতো কিছু বলা যাবে না।যা বলার ভেবেচিন্তে বলতে হবে৷মুখে নকল হাসি এনে বললাম

" ঘুমিয়ে পড়েছিলাম।নইলে বিকেলের মধ্যেই চলে যেতাম "

" এখন যাও "

" তুমি যখন চলেই এসছো,রাতটা থাকি,কাল সকালে একসাথে যাবো "

নুশু সরল চোখে আমার দিকে তাকালো।সে চোখে রাগ,ক্রোধের ফুলকি।মুখ কাচুমাচু করে সেখান থেকে সরে গেলাম।

রাতের খাওয়াদাওয়া শেষ করে ঘরে গেলাম।খাওয়াদাওয়ার সময়ও নুশু একদম চুপ ছিলো।ভয় হতে লাগলো,শ্বশুর বাড়িতে মারপিট না শুরু হয়ে যায়।জামাই মা"র খেয়েছে জানলে শ্বশুর শ্বাশুড়ির সামনে মুখ দেখাতে পারবো না।

ও চুপচাপ বিছানায় এক পাশ ফিরে শুয়ে আছে।অতশত না ভেবে এক লাফে নুশুকে জড়িয়ে ধরলাম।নুশু ঠান্ডা স্বরে বললো

" আমায় স্পর্শ করবে না।পাশের ঘরে মা বাবা আছে,সিনক্রিয়েট করতে বাধ্য করিও না "

" সরি গো,ভুল হয়ে গেছে "

" মাফ করে দিলাম।ঘুমাও "

জানি ও মাফ করেনি।বরং রেগে গেছে।কিভাবে কি করবো বুঝে উঠতে পারছি না।ওকে স্বাভাবিক না করলে ঘুমও আসবে না।

টের পেলাম নুশু কাঁদছে।বু"কের ভেতরটা হাহাকার করে উঠলো।পাশ ফিরে নিজের দিকে করে দেখলাম অনুমান সঠিক।নুশুর চোখ টকটকে লাল হয়ে গেছে।গাল ভর্তি জল।বু!কে জড়িয়ে নিয়ে জল মুছে বললাম

" আমি তো বড় হইছি তাই না, এতো চিন্তা করার কি আছে,পাগলি মেয়ে "

" তুমি ধারণাও করতে পারবে না একটা মেয়ের কাছে এটা কি ভয়ঙ্কর একটা বিষয়।মা যখন বললো তুমি নেই,তখন আমার পায়ের তল থেকে মাটি সরে গেছে।খারাপ ভাবনাগুলো বারবার ঘুরপাক খাচ্ছিলো।মাথা কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছিলো।থাকতে না পেরে চলে আসলাম।এখানে এসে যদি দেখতাম সত্যিই তুমি নেই,জানিনা আমার কি অবস্থা হতো "

" কি ভেবেছিলে আমি রোড এক্সিডেন্টে রাস্তার ধারে পড়ে আছি? "

নুশু নিজেকে প্রাণপণে চেষ্টা করলো আমার থেকে সরিয়ে নিতে।আরো শক্ত করে জড়িয়ে ধরে বললাম

" আর রাগতে হবে না।ভুল হয়ে গেছে বললাম তো।এই ভুল দ্বিতীয়বার হবে না,কথা দিচ্ছি।তুমি তো জানোই ঝগড়া করে শ্বশুর বাড়িতে আসি "

" জানি তো।কিন্তু মা আমায় মিথ্যা বলবে কখনো ভাবিনি "

" আমিই বলেছি মাকে মিথ্যা বলতে।তুমি তো শুধু ঝগড়া করো,একটু বোঝানোর জন্য.. "

পুরো কথা শেষ না করতেই নুশু বললো " সেজন্য চলে যাবে?তুমি মানাবে জন্য ঝগড়া করি।এটুকু বোঝার ক্ষমতাও তোমার নাই।গাধার সর্দার "

" আচ্ছা অনেক হইছে মান,অভিমান।এখন আসো তো একটু আদর করি "

" খবরদার,ছুঁলে কিন্তু....."

নুশু পুরো কথাটা বলতে পারলো না।পারবে কি করে?ওর ঠোঁ"ট তো এখন আমার ঠোঁ"টে বন্দি।

গল্প #কল্পনার_সংসার

বাসর_রাতে_বউকে_তুই_বলে ডেকেছিলাম। বলেছিলাম তুই আমাকে আপনি করে ডাকবি। কাছে ঘেষার চেষ্টা করবিনা কখনো। কারণ বউ ছিলো পুরাই ক...
12/01/2025

বাসর_রাতে_বউকে_তুই_বলে ডেকেছিলাম। বলেছিলাম তুই আমাকে আপনি করে ডাকবি। কাছে ঘেষার চেষ্টা করবিনা কখনো। কারণ বউ ছিলো পুরাই কয়লার ড্রাম। কুচকুচে কালো তার গায়ের রং। বাসর ঘরে ঢুকে বিছানায় তাকিয়ে দেখি যেন ঠিক একটা কালো কু' কু' র বসে আছে লাল ঘোমটা দিয়ে।

ঠোঁটে লাল লিপস্টিক, কপালে ঢ্যামা একটা টিপ। ওয়াক থু, কি বিচ্ছিরি সাজ। লাল কালোয় কি এক অগোছালো সাজ। বাতি বন্ধ করতেই বুঝলাম যেন একটা আধার নিয়ে শুয়ে আছি। নেহাৎ যৌ*নতার দায় সারা হয়েছিল সে রাতে। তারপর বিছানা থেকে তুলে দিয়েছিলাম তাকে।...

যৌ' তু' ক বিরোধী ছিলাম আমরা। তাই বাবার বক্তব্য ছিলো বিনা যৌ' তুকে নিজের আত্মীয়ের কারো মেয়েকে পুত্রবধু করে আনবেন। তাই হল। হাজারো অনিচ্ছা স্বত্তেও বাবার গরিব বন্ধুর কালো মেয়েকে বিয়ে করতে হল আমায়। কলেজের সেলফি বয়ের এমন একট বউ জুটলো, যে জীবনে বউকে নিয়ে আর সেলফি তোলা যাবেনা। বন্ধুরা অনুরোধ করত বউ নিয়ে বেড়াতে আসতে।...

কিন্তু আমি তাকে নিতামনা। লজ্জা আছে তো নাকি। রাতে বাড়ি ফিরতাম দেরি করে। তখনো সে জেগে থাকত। খাবার বেড়ে দিত। কথা বলতাম না আমি। কিভাবে বলি, বারে, ডিস্কোতে সুন্দরী মেয়ে দেখে বাড়িতে কি অমন আলকাতরা ভালো লাগে? ওর কি প্রয়োজন সেটা কোনদিন জিজ্ঞেস করিনি। বাড়িতে সবার কাপড় কেনাহত, খাবার তো আছেই। আর কি চাই? এভাবেই কেটে গেল কয়েকমাস....

সেদিন একবন্ধু তার গার্লফ্রেন্ডকে গিফট দেয়ার জন্য কিছু কিনেছিল। সেটা আমাকেই পৌছে দিতে হবে। অনেকরাত গিফট বক্স নিয়ে বাড়ি ফিরলাম আমি। দেখলাম সে সোফায় ঘুমিয়ে গেছে। ভাবলাম খেয়েছে তো? আমি না আসা পর্যন্ত আবার ওকে খেতে দেখিনি কোনদিন। শুয়ে পরলাম। কিন্তু মনটা বড় খচখচ করছে। ডেকে তুলে বললাম, খেয়ে তারপর শুবি।...

পরদিন সকালে গিফট বক্স খুজে দেখি ওটা আর আস্তনেই। ও ওটা খুলে ভিতরে যা ছিল ব্যবহার করা শুরু করে দিয়েছে। ওর খুশি মুখ দেখে কিছু বললামনা। বেচারী। কালো বলে কি সাজতে নেই? নিজেই হেসেছিলাম সেদিন। তারপর নতুন করে গিফট সাজিয়ে পৌছে দিলাম আমি। তারপর একদিন ও বমি করলে বুঝলাম ও মা হতে চলেছে।

এক শীতের বিকেলে বাবা মা বেড়াতে গেলেন গ্রামে। বাসায় রইলাম আমি আর সে। সে রাতে তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরলাম। কারণ বাড়ি পুরো একা। গ্রাম্য মেয়ে। বলা যায়না ভুতের ভয়টয় পায় নাকি। বাসায় ফিরে শুনলাম রান্না হয়নি। কারণ জানতে চাইলে ও বলল, ভেবেছিলাম আপনি বন্ধুদের সাথে খাবেন।

দুপুরের কিছু ভাত ছিল। আমার হয়েযাবে। তাই, ফ্রিজ খুলে দেখলাম। সামান্যই ভাত। বললাম চল, কাপড় পরে নে। হোটেলে খাবি। ও যেতে চাইলনা। আমিও রেখে যেতে পারছিনা একা বাড়ি বলে। অবশেষে দুজনে বাহির হলাম। রাতের শহর ও যেন হা হয়ে দেখছিল। বললাম হাত ধর, নাহলে ভীড়ে আবার হারিয়ে যাবি।

সেদিন প্রথম ও আমার সাথে বেড়িয়েছিলো, প্রথম আমার হাত ধরেছিল। মন্দ না। আমিও ওর আঙুল ধরেছিলাম যাতে ও হারিয়ে না যায়! হোটেলে আমাকে আপনি করে বলবিনা, তুমি করে বলবি আচ্ছা? মাথা নাড়ল ও। কিন্তু হোটেলে খাবার সময় ও একবারো আমায় ডাকেনি। উল্টো আমিই বলেছিলাম, তুমি আরো কিছু খাবে!

সেদিন দেখি স্নোর টিউব কেটে স্নো বাহির করছে। রেগে বললাম, স্নো ফুরিয়ে গেছে বলতে পারোনা? সেদিনই সে প্রথম আমার কাছে শ্যাম্পু চেয়েছিল। আমি সেদিন ওকে নিয়ে মার্কেটে গেলাম কসমেটিকস কিনতে। বন্ধুরা অনেকেই দেখেছিল সেদিন কিন্তু সবাই ভাবি বলে যথেষ্ঠ রেসপেক্ট করেছিল।

সবাই তিনদিন পর আড্ডাতে আসার জন্য অনুরোধ করছিলো ওকে। তিনদিন পর আমিই ওকে নিয়ে গিয়েছিলাম মোটর সাইকেলে। ওর জীবনের প্রথম লংড্রাইভ আর ড্রাইভার ছিলাম আমি। আর আমার বউকে নিয়ে প্রথম।

জীবনের প্রথম ওরজন্য আজ খোদার দরবারে হাত তুলেছি আমি। ও যেন সুস্থ থাকে। কারণ আজ ও মা হবে। আমি বাবা হব। জানিনা কোথা থেকে আজ এতো কান্না আসছিল আমার। হাসপাতালে ওর কাছে বার বার ছুটে যাচ্ছিলাম। ও হাতধরে যতবার বলেছিলো ওর খুব ভয় করছে, ততবারই বলেছি ভয় পেওনা আমি আছি। সেদিন ও কাউকে খুজেনি শুধু আমায় খুজেছে।

আমায় পাশে থাকতে বলেছে বার বার। আর আমি, বার বার পর্দার ফাকে বার বার ওকে দেখলাম। সিজারে নেওয়া হয়েছিলো ওকে। সন্তান পেলাম। কিন্তু ওকে পেলাম না। ওর দেহটা ধরে সেদিন খুব কেঁদেছিলাম। মনে হচ্ছিলো খুব যেন নিজের কলিজাটা ছিড়ে গেছে। আজো ওর কবরের পাশে ছুটে যাই। চিৎকার করে বলি, ফিরে এসো তুমি, একটা রাত তোমার সাথে গল্প করা বাকিছিলো, একটা সেলফি তোমায় নিয়ে তোলার ছিল। জানি ওকে ভালবাসা দিতে পারিনি। কিন্তু আজ বুঝছি কেন এখনো বুকের বামপাশটা চিনচিন করে ব্যাথা করে।

"সমাপ্ত"

লুকিয়ে ছাদে স্ত্রীর কাপড় শুকাতে দিচ্ছি।মা দেখে ফেললো।কর্কষ স্বরে বললো " বৌমার কাপড় তুই শুকাতে দিচ্ছিস? "" আসলে মা,ওর শরী...
11/01/2025

লুকিয়ে ছাদে স্ত্রীর কাপড় শুকাতে দিচ্ছি।মা দেখে ফেললো।কর্কষ স্বরে বললো " বৌমার কাপড় তুই শুকাতে দিচ্ছিস? "

" আসলে মা,ওর শরীরটা খারাপ।তাই...."

" শরীর খারাপ তাহলে কাপড় ধুইছে কে? "

মাথা নিচু করে বললাম " আমি "

" বউমা তোর দারায় কাপড় ধুয়ে নিলো? কি এমন শরীর খারাপ যে স্বামীকে কাপড় ধুতে হয়? "

আরো কিছুক্ষণ কর্কষ গলায় আমায় খোঁটা দিলো।আমি নাকি বউয়ের আঁচলে থাকি,প্রেম করে বিয়ে করার মাশুল দিচ্ছি আরো কত কি!

মায়ের কথার কোনো জবাব দিলাম না।সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে আমার স্ত্রী মায়ের সব কথা শুনছিলো সেটা লক্ষ্য করিনি।

ঘরে আসতেই স্ত্রী বললো " মা ওভাবে বললো আর তুমি চুপ করে ছিলে ? মা ঠিকি বলছে। আমায় বিয়ে করে তুমি সত্যিই ঠকেছো "

" তুমি নিজেও তো ঠকেছো।মা তো জানেনা,তুমি তোমার বাবা-মার পছন্দ করা ১ গ্রেডের টপ চাকরিওয়ালা ছেলেকে বিয়ে না করে আমার মতো ৮ গ্রেডের সাধারণ একটা ছেলেকে ভালোবেসেছো। বিয়ে করেছো।তোমার এই ত্যাগের কাছে এই সামান্য কাপড় ধুয়ে দেওয়া কিছুই না।তোমায় নিজের করে পেয়েছি এটাই আমার শ্রেষ্ঠ পাওয়া,বরং আমার ভালোই লাগে,পারলে তোমার সব কাজ আমি করে দিতাম "

" এসব কাজ করছো, কষ্ট হয় না? "

" না।বরং তোমায় না পেলে কষ্ট পেতাম।তোমায় পাওয়ার সাথে সাথেই কষ্ট হারিয়ে ফেলেছি।ভালোবাসার মানুষকে পাশে না পাওয়াই বড় কষ্ট।ভাগ্যিস সে কষ্ট আমি পাইনি "

স্ত্রীর চোখে জল।অশ্রুসিক্ত চোখ নিয়ে বললো " কাছে আসো, জ"ড়িয়ে ধরবো "

গল্প #তুমি_আমি

চট্টগ্রামে বিয়ের নামে কনের পিতাকে জীবন্ত লাশ বানানো হচ্ছে!পৃথিবীর সব জায়গা থেকে চট্টগ্রামে বিয়ের সংস্কৃতি হচ্ছে সম্পূর্ণ...
10/01/2025

চট্টগ্রামে বিয়ের নামে কনের পিতাকে জীবন্ত লাশ বানানো হচ্ছে!
পৃথিবীর সব জায়গা থেকে চট্টগ্রামে বিয়ের সংস্কৃতি হচ্ছে সম্পূর্ণ আলাদা। কারণ চট্টগ্রামের মানুষ যৌতুক ছাড়া বিয়ে করে না। চট্টগ্রামের মানুষ যৌতুককে বৈধতা দিয়ে আসছে যুগ যুগ ধরে। এখানে যৌতুক নেওয়াটা একধরণের ফ্যাশনে পরিণত হয়েছে। চট্টগ্রামের মানুষ বিয়ের সময় টাকা নেওয়াকে যৌতুক মনে করে আর বাকি গুলোকে তাদের অধিকার মনে করে।
নিচে বিভিন্ন অপসংস্কৃতি উল্লেখ করা হলো:
#খাবার_পর্ব:
চট্টগ্রামে বিয়ের সময় বর পক্ষের ৪০০/৭০০/১০০০ মানুষকে খাওয়াতে হয়। খাবার ম্যানুতে থাকে চিংড়ি,গরুর মাংস,খাসির মাংস,রূপচাঁদা মাছ,ডিম,পোলাও ভাত,মুরগি,চিকেন টিক্কা,পায়েস,মিনারেল ওয়াটার,কুক ও বিভিন্ন ধরনের সবজিসহ আরো অনেক কিছু। এসব আইটেমে কোন কিছু কমবেশি হলে বা কোন আইটেমে সামান্য লবণ বেশি হলে শুরু হয়ে যাবে কনে পক্ষের সাথে বর পক্ষের তর্কাতর্কি । কারণ বর পক্ষ এগুলো তদারকির জন্য একজন ব্যারিষ্টার রাখে যার কাজ হল কনে পক্ষের দোষ খুঁজে বের করা।
বিয়ের পূর্বে যদি আকদ হয় তখন কিন্তু প্রায় ২০০/৩০০ জন মানুষের খাবারের আয়োজন করতে হয়। বিয়ের পর শুরু হয় বিভিন্ন পর্বের দাওয়াতনামা, নতুন জামাই বিয়ের পর শ্বশুর বাড়িতে যাবে তবে একা যেতে পারবে না, ৮০/১০০/১৫০ জনের বিশাল বহর নিয়ে শ্বশুর বাড়িতে যেতে হবে, না হয় মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে যাবে! নতুন জামাইয়ের পর্ব শেষ হলে কিছুদিন পর শুরু হবে শ্বশুর ও শ্বাশুড়ি পর্ব কারণ নতুন জামায়ের সাথে শ্বাশুড়ি আসতে পারবে না, এটা তথাকথিত ''বুড়া/বুড়ির'' মানা (নিষেধ)।
শ্বাশুড়িও তাদের বিশাল বহর নিয়ে এসে খেয়ে যাবে এবং কিছু খাবার সাথে নিয়ে যাবে। এখানে কিন্তু শেষ না, বিয়ের সময় বরের ভাই-বোনের স্বামী বা অন্য কেউ বিদেশে ছিল যার কারণে সে আসতে পারে নি, সে যখন দেশে আসবে তখন তার সাথেও ১০-৩০ জন যেতে হবে।
#মৌসুমি_ফল এরপর শুরু বছরি জিনিস আমের মৌসুম আসলে দিতে হয় ৫০-৬০ কেজি আম, আনারস, কাঠালসহ আরো বাহারি রকমের ফল ফল-ফলাদি।
#রমজানের সময় দিতে হয় মেয়ের শ্বশুর বাড়ির চৌদ্দ গোষ্টিকে ইফতারি'সহ আরো হরেক রকম আইটেম।
#ঈদের সময় ছেলের পরিবার, বোনের স্বামীসহ সবাইকে শপিং করে দিতে হয়। তবে ঈদের সময় ছেলে পক্ষের সবাই আসবে এটা স্বাভাবিক বিষয় এবং এর ফলে দুই পরিবারের মাঝে সম্পর্ক আরো ঘনিষ্ঠ হয়।
#কুরবানের_ঈদে দিতে হবে গরু, গরু রান্না করার জন্য তৈল, মসাল্লা, পিয়াজ ইত্যাদি, মহরম আসলে দিতে হবে ১৫/১৬টি মুরগি ও ৮/১০ কেজি গরুর মাংস রান্না করে।
শীতকাল আসলে দিতে হবে হরেকরকম শীতেরপিটা, তালপিটা ইত্যাদি। এছাড়া বাৎসরিক উৎসবের আইটেম তো আছেই।
#ফার্নিচার ও বিভিন্ন জিনিস বিয়ের পূর্বেই বর পক্ষের বাড়িতে পৌঁছে দিতে হয়। ফার্নিচারের মধ্যে থাকে বিভিন্ন ধরনের উন্নতমানের জিনিসপত্র তারমধ্যে ফ্রিজ, টিভি, গ্যাসের চুলা এগুলোও বাধ্যতামূলক দিতে হয়। এছাড়া কনে পক্ষের অতিথিদের দেয়া উপহারের অধিকাংশ জিনিসও বর পক্ষকে দিয়ে দিতে হয়।
#বাচ্চা_জন্ম
বিয়ের পর যখন কনের বাচ্চা হয় তখন বাচ্চার দোলনা,সাবান,পাউডার,লোশন ও বিভিন্ন ধরনের কাপড়সহ আরো অনেক কিছু কনের পক্ষ থেকে দিতে হয়।
যুগের সাথে তাল মিলিয়ে বদলে গেছে বিশ্ব। এমনকি আমাদের দেশও অনেক বদলে গেছে। কিন্তু বদলাতে পারি নাই আমরা চট্টগ্রামের মানুষ গুলো।
আসুন ধর্মীয় মূল্যবোধ জাগিয়ে তুলি,
অপসংস্কৃতিকে না বলি।

---বউ দেখতে কালো বলে, বাসর রাতে তাকে বলছিলাম!---শোন তুমি নিজেও জানো তোমার সঙ্গে আমার কোন ভাইবেই যায়না। কোথায় তুমি আর কোথ...
10/01/2025

---বউ দেখতে কালো বলে, বাসর রাতে তাকে বলছিলাম!

---শোন তুমি নিজেও জানো তোমার সঙ্গে আমার কোন ভাইবেই যায়না। কোথায় তুমি আর কোথায় আমি?

---তাহলে বিয়ে করলে কেনো আমায়।

---পরিবারের চাপে পরে তোমাকে বিয়ে করতে বাদ্ধ হয়েছি। এখন যেহেতু বিয়ে করেই ফেলছি কিছু তো করার নাই। তুমি তোমার মতো থাকবে আমি আমার মতো থাকবো।

---ঠিক আছে।

---কখনো স্বামী অধিকার খাটাবেনা। আমার কোন কাজে বাধা দিবেনা।

---ঠিক আছে।

---এর পরে এই ভাবে আমাদের দিন কাটতে লাগলো। আমি ওকে অনেক ঘৃনা করতাম। সব সময় রাগ দেখাইতাম বিশ্বাস করুন তবুও মুখ ফুটে আমাকে কিচ্ছু বলতো না।

---রাত জেগে বাসায় আসতাম ও দরজা খুলে দিতো। খাবার টেবিলে বসে একাই খেয়ে উঠতাম তবুও ওকে বলতাম না তুমি খেয়েছো নাকি খাওনি। আমি আমার মতো চলতাম।

---বেশ কিছু দিন যাওয়ার পরে হঠাৎ একদিন রাতে নিজেকে কন্টল করতে না পেরে রিয়ার সঙ্গে আমি শারীরিক সম্পর্কে আবদ্ধ হয়ে যাই। প্রথমে ভেবেছিলা রিয়া আমাকে বাধা দিবে। আশ্চর্যের বিষয় হলো সে আমাকে কোন বাধাই দেয়নি। ( রিয়া হলো মেয়েটির নাম)

---এর পরে আবার সেই আগের মতোই অবলেহা করতে লাগলাম। এই ভাবে বেশ কয়েক মাস যাওয়ার পরে জানতে পারলাম আমার বউ প্রেগনেন্ট যা শুনে বেশ খুশিই হয়েছিলাম। যার করনে রিয়ার সঙ্গে একটু কথা বার্তা শুধুমাত্র বলতাম এর বেশি না।

---আবার বেশ কিছুদিন পরে হঠাৎ রিয়ার পেটে ভিষণ ব‍্যাথা উঠলো যার কারনে সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে ভর্তি করলাম।

---হাসপাতালে আসার পরে ডাক্তার আমাকে বললো চিন্তা করবেন না। আপনার বেবি হবে?

"এই বলে ডাক্তার রিয়াকে নিয়ে একটি কেবিনে ডুকে পরে "

---প্রায় ২৫ মিনিট পরে ডাক্তার বাহিরে এসে বললো মি. হাসিব আপনি কন‍্যা সন্তানের বাবা হয়েছেন। ডাক্তারের মুখে এই কথাটি শুনেই খুশিতে আত্তহারা হয়ে যাই।

---ঠিক এর পরেই ডাক্তার বলে। মি. হাসিব আরেকটি কষ্টের খবর আছে। সেটা হলো আপনার স্ত্রী মারা গিয়েছে বাচ্ছা ডেলিভারির সময়।

---ডাক্টারের মুখে এই কথাটি শুনেই আমার বুকটা কেমন জানি চিন চিন করে উঠে। বুঝতে পারছিলাম না কি করবো।

আবার ডাক্তার বলে উঠে '

আপনার স্ত্রী মৃত্যু আগে একটি কথা বলে গিয়েছে। তখন ডাক্তার কে বললাম কি কথা বলছে।

---সে বলেছে আপনার জন্যে তার মনে কোন অভিমান নেই। আপনার সঙ্গে যতোটা দিন কাটিয়েছে তার জীবনের শ্রেষ্ট দিন ছিলো সেই গুলা। আর যদি কখনো ভুল করে থাকে তাহলে মাপ চেয়েছে।

-ডাক্টারের মুখে এই কথা গুলা শুনে হাসিব সেখেনে চিৎকার করে কান্না করতে থাকে। আর রিয়াকে ফিরে চায় আল্লাহ্ কাছে থেকে।

"কিন্তু রিয়া আর ফিরে আসেনা?

"আজ ৫ বছর পরে হাসিব তার মেয়েকে স্কুলে ভর্তি করাতে যাবে এমন সময় মেয়েটি বলে উঠে।

বাবা আমার মা কোথায় থাকে। আমার কাছে আসেনা কেনো?

"মেয়ের মুখে এই কথা শুনে হাসিব বাকরুদ্ধ হয়ে যায়।
ওহ হ‍্যা রিয়ার মৃত্যুর পরে হাসিব আর বিয়ে করেনি?

"অনু_গল্প : #আসিবোনা_ফিরে.

পেজটি সবাই ফলো করুন :

ছেলের হাতে কাগজে মোড়ানো কি যেন একটা,জিগ্যেস করলাম " প্যাকেটে ওসব কি?" ছেলে আমতা আমতা করে বললো " তেমন কিছু না, রসমঞ্জুরী ...
10/01/2025

ছেলের হাতে কাগজে মোড়ানো কি যেন একটা,জিগ্যেস করলাম " প্যাকেটে ওসব কি?"

ছেলে আমতা আমতা করে বললো " তেমন কিছু না, রসমঞ্জুরী "

" তুই তো মিষ্টি পছন্দ করিস না "

" তোমাদের জন্য আনলাম "

" তোর বাবা,আমি দু'জনই ডায়বেটিসে ম"রতেছি "

ছেলে ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে বললো " আসার সময় দেখতে পেলাম।তাই নিয়ে এলাম! "

" হয়েছে, আর বানিয়ে বলতে হবে না।যান স্যার,ম্যাডামকে দেন "

ছেলে লজ্জায় হেসে ফেললো।বিয়ে দিয়েছি ৩ দিন হলো।বউমার মিষ্টি খুব পছন্দের।জানা সত্ত্বেও ইচ্ছে করেই লজ্জা দিলাম।এই লজ্জা তাদের প্রেম আরো বাড়িয়ে তুলবে।

গল্প #লজ্জা

রোমান্টিক সামাজিক গল্প পেতে পেজটা ফলো করে রাখতে পারেন।

Address

Rangpur

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when শিরোনামহীন posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share