Tamim0.8

Tamim0.8 Wellcome to Tamim0.8

06/08/2024

 #তুই_শুধু_আমারপাগলা রাইটার #শেখ_লাদেন_ইসলাম_তানজিম #পর্ব_শেষ👇👇হঠাৎ দেখি আম্মু আমার রুমে এল।আম্মু:- কি করিস লাদেন।আমি:- ...
03/01/2024

#তুই_শুধু_আমার

পাগলা রাইটার

#শেখ_লাদেন_ইসলাম_তানজিম

#পর্ব_শেষ

👇👇

হঠাৎ দেখি আম্মু আমার রুমে এল।

আম্মু:- কি করিস লাদেন।

আমি:- এই তো শুধু আছি আম্মু। কেন দরকার আছে নাকি!

আম্মু:- একটা কথা বলতাম বাবা।

আমি:- হু বল।

আম্মু:- সেই যে তর খালার বাসা থেকে এলি তখন থেকেই দেখছি তর মনটা ভাল না মনে হয়।‌ খাবার খেতে গেলেও খাবার রেখে চলে আছিস কেন বুঝলাম না।

আমি:- আরে না আম্মু এমনেই।

আম্মু:- সত্যি করে বল কি হয়েছে আমি তো তর মা সব বুঝি।

আমি:- আসলেই আম্মু আমি রিয়াকে ভুল করে বিয়ে করে ফেলেছি। এখন কিভাবে যে কি করব কিছুই বুঝতে পারছি না।

আম্মু খুশি হয়ে বলল সত্যি তুই রিয়াকে বিয়ে করে নিছত।

আমি:- তোমার মেয়ের সম্পর্কে তো তোমার ধারনা আছেই। কি যে করতে পারে ও আমাকে। কায়দায় ফেলে বিয়ে করে নিছে।

আম্মু:- এখন যে করেই হোক রিয়ার আটকাতে হবে। আমি আমার বউয়াকে তো অন্য করো সাথে দেখতে চাই না।

আমি:- খুব টেনশনে আছি আম্মু আর টেনশন দিও না ভাল লাগছে না।

আম্মু:- কালকেই সব সমাধান হয়ে যাবে তুই দেখে নিস।

আমি:- হ চাচাকে তো তুমি চিন ওনি কেমন মানুষ।

আম্মু:- তর এসব চিন্তা করতে হবে না। এখন ঘুমা কেমন।

আমি:- হু।

আম্মু চলে যাওয়ার পরে শুয়ে পড়লাম। আগে রিয়া আমার বোন ছিল কিন্তু এখন তো ও আমার বিয়ে করা বউ। ওর উপর আমার পুরোপুরি অধিকার আছে।

সকালে ঘুম থেকে উঠে শুনি বাড়ির ভিতরে কেমন চেঁচামেচির শব্দ শুনা যাচ্ছে।
তাড়াতাড়ি উঠে ফ্রেশ হয়ে নিচে নেমে দেখি খালামনি চাচার সাথে কথা বলছে। এখন আমি নিশ্চিত হলাম যে আম্মু হয়তো খালামনিকে আসতে বলছে।

তবে এটা শুনতে পারলাম খালামনি আজকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে এখান আসতে বলছে। কি একটা মিটিং করে নাকি ওনি। সোফা ছেড়ে আমার কাছে এসে বলল,,তরে ওরা অপমান করছে আমাকে বলবি না আগে। তর খালামনির কি ক্ষমতা নাই নাকি যে ওদের শাস্তি দিতে পারবে না।

আমি:- আম্মু সব বলছে না। বাদ দাও খালামনি। ওদের সাথে অর্যতা ঝগড়া করে লাভ আছে।

আজকে তো আমি সব কয়টা কে উচিত শিক্ষা দিয়ে দিব দেখে নিস। আর রিয়ার জন্য তর চিন্তা করতে হবে না। ও এই বাড়ির বউ হয়ে আসবে আজকেই।

আমি:- অনেক অনেক ধন্যবাদ খালামনি আপনাকে।

দেখতে দেখতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসে গেছে। সাথে তার ছেলে মেয়েও। তবে ওরা বাকা চোখে আমাকে তাকিয়ে দেখল। চাচার বাসায় আজকে সবাই মিলে একত্রিত হয়েছে। দেখে মনে হচ্ছে বিশাল বড় মিটিং চলছে।

খালামনি:- তো ভাই সাহেব ভাল আছে।

আপনার সাথে এভাবে সাক্ষাৎ হবে আমি ভাবতেও পারি নাই। ভাইয়ের বড় বড় লোকদের সাথে উঠাবসা। আমরা গেলে তো কথা বলার সুযোগেই পাই না।
খালা:- এসব কথা বাদ দেন আগে আমি একটা বিষয় পরিস্কার করি।

চাচা:- কিসের কথা বলছ আপু!

খালা:- তুই এখানে কথা বলবি না। আসলেই দেখেন ভাই মেয়েটার বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে আপনার ছেলের সাথে। কিন্তু ও যে একটা দুর্ঘটনা ঘটিয়ে ফেলবে আমরা কেউ জানতাম না।

কিসের কথা বলছেন বুঝলাম না তো।

খালামনি রিয়ার দিকে হাত ইশারা করে বলল, ও পেকনেন্ট ।

সবাই অবাক হয়ে রিয়ার দিকে তাকিয়ে আছে। সুমনের তো সক খাওয়ার মতো অবস্থা। তবে রিয়া একটু লজ্জা পেয়েছে বুঝতে পারছি। তবে আমি ভাবতেও পারি নাই খালামনি এই কথা বলবেন। চাচা তো চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে আছে রিয়ার দিকে।

দেখেন ভাবি বিয়ে ভাঙার জন্য অনেকেই মিথ্যা কথা বলে। তবে আজকালের ছেলে মেয়েরা এই কথা গুলো বেশি বলে। কিন্তু আপনি যেহেতু বললেন আমি একটু পরিক্ষা করে দেখি। আমার সাথে সবসময় একজন ডাক্তার থাকে সবসময়।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হাতে ইশারা করতেই ডাক্তার এসে রিয়াকে পরিক্ষা করতে লাগল। তবে খালার কপালে ভাঁজ পড়ে গেছে। যদি মিথ্যা হয়। ডাক্তার পরিক্ষা করে বলল,, সত্যি ও পেকনেন্ট। ওনি যা বলছে সব সত্যি ‌।

এটা শুনে আমি অবাক হয়ে গেছি তবে সত্যি কি আমার সন্তান রিয়ার পেটে। মনে মনে আমি একটু খুশিই হয়েছি। রিয়া লজ্জায় ভিতরে চলে গেল।

খালা:- আরেকটা কথা আমরা ওদের এই অবস্থা দেখে বিয়ে করিয়ে দিছি আপনারা কিছু মনে করবেন না।
চাচা তো কোন কথাই বলছে না চুপচাপ বসে আছেন তিনি।

তবে এখন তাহলে আমরা চলে যাই না।
সুমন:- আমার একটু ওর সাথে কথা ছিল।

আমি:- আমার বউয়ের সাথে তোমার কি কথা হু।
রাগে বললাম, সেই দিনের অপমানের কথা মনে হয়ে গেল।

খালা আমাকে ইশারা দিয়ে বলল চুপ থাকতে। তো এখানে সবাই আসছেন যেহেতু খাবার খেয়েই যাবেন।

খাবার দাবার শেষে খালা বলল, তো আপনি আবার রাগ করেন নাই তো।

আরে না কি যে বলেন আজকালের ছেলে মেয়েরা একটু এমন করেই।

আপনার ছেলেমেয়েদের আমি ইচ্ছে করলেই অপমান করতে পারি কিন্তু তা করব না। কারন আমরা মানুষ আপনার ছেলেমেয়েদের মতো কুত্তা বিলাই না।

হঠাৎ রেগে এই কথা বললেন যে ভাবি।
খালা:- তো কি বলব সেইদিন আপনার ছেলে আর মেয়ে আমার ছেলেকে ভুল বুঝিয়ে আপনার বাড়িতে নিয়ে গিয়ে কুকুরের সাথে খাবার খাওয়াইছে। আর বলছে না খেলে নাকি মেরে ফেলবে। ছিঃ ছিঃ কত নিচু আপনার ছেলে মেয়ে গুলো।

কিরে ওনি যা বলছে সব কি সত্যি।
আঁখি আর সুমন মাথা নিচু করে আছে কোন কথা বলছে না।

ভাবি সাহেব আপনার মনটা অনেক ভালো। যার কারনে ওদের কিছু বলেন নাই। এর বিচার আমি করব সমস্যা নেই পাবেন। আজকে আসি।

সবাই উঠে চলে গেল। এখন শুধু আমাদের পরিবারের সদস্যরা বসা আছে।

খালা মনি আমাকে জড়িয়ে ধরে বলল,,দেখ কি লক্ষী একটা ছেলে। যার কাছে আমি আমার মেয়েকে বিয়ে দিতেও পর্যন্ত দ্বিধা করি নাই। আর তুই কিভাবে পারলি ছেলেটাকে মারতে। তর তো কোন ছেলে নাই ওকে কি ছেলে মনে করে যাই না রে। কেন তর মেয়েকে ওরা কম ভালবাসে রে। আজোও যদি তর ওদের মেনে নিতে সমস্যা হয় তাহলে বলতে পারিস।

চাচা:- আর আমাকে ছেলে মেয়েদের সামনে লজ্জা দিয় না। আসলেই আমি টাকা নেশায় অন্ধ হয়ে গেছি। সরি লাদেন বাবা মাফ করে দিও।

আমি:- আরে চাচা মাফ করার কি আছে। আপনি তো আমার বাবার মতোই নিজের আপনার চাচা। আপনি কেন মাফ চাইবেন।

বাবা:- তাহলে আজকে থেকে আমাদের সম্পর্ক আরো গভীর হল। সবাই মিলে হাসতে লাগলাম।

আম্মু:- কী গো আমার বউমা কই?

চাচা:- ওকে এখানেই নিয়ে যাবি।

আম্মু:- হু আমার বউমা এখন থেকে আমাদের বাড়িতেই তো থাকবে।
সব সমস্যা সমাধান করে রিয়াকে বাসায় নিয়ে যাওয়া হল।তবে আম্মু বলছে আমার সন্তান হওয়ার অনুষ্ঠান কয়েকদিন পর বড় করে করবেন। রাতে রুমে গিয়ে দেখি রিয়া এক কোনায় শুধু আছে।

আমি:- কি করিস রিয়া!

কোন কথা নাই ওর মুখে, আমি কাছে গিয়ে দেখি ও কান্না করছে।

আমি:- এই তরে কতবার আমি বলছি না এভাবে কান্না করবি না। কি হয়েছে আমাকে বল তো।

রিয়া:- আমি না তর সাথে অনেক অন্যায় করে ফেলেছি। তুই কি আমাদের সন্তানকে মেনে নিবি।

আমি:- শারীরিক সম্পর্ক কার সাথে করছিলি।

রিয়া:- কেন তর সাথে!

আমি:- তো বাচ্চাটা কার।

রিয়া:- আমাদের।

আমি:- তো বাচ্চাটাকে মেরে ফেলার কথা বলিস কেন। দিব এক চর।

রিয়া আমার বুকের মাঝে জড়িয়ে ধরল,,সরি রে আমি মনে করছিলাম তুই মেনে নিবি না।

আমি:- মেনে না নেওয়ায় কোন কারন আছে বল!

রিয়া:- আমি কি তর বউ হওয়ার যোগ্য আছি রে।

আমি:- আমার জানা মতো তুই ছাড়া আমার খেয়াল আর কেউ রাখতে পারবে না!

রিয়া:- তাহলে এখন বল আমাকে আর কতদিন তর জন্য আমি অপেক্ষা করব!

আমি:- অপেক্ষা করতে তরে আমি বলছি। তর জিনিস তুই আগের মতো জোর করে আদায় করে নিতে পারিস না!

রিয়া:- না রে আমি আগের মতো ভুল আর করতে চাই না।

আমি:- ভুল করলি দেখেই তো আমাকে পেলি নয়লে পাইতি। তবে এটা মানতে হবে, তুই আমাকে কাছে পাওয়ার জন্য যা করলি অন্য একটা মেয়ে এসব জীবনেও করত না।

রিয়া:- তাহলে এখন তুই বুঝ তরে আমি কতটা ভালবাসি।

আমি:- সত্যি তর মতো হয়তো আমি ভালবাসতে পারব না!

রিয়া:- শুধু পাশে থাকিস তাহলেই হবে। জড়িয়ে ধরে ঘুমানোর অনুমতি তো পাব।

আমি:- সব অনুমতি তরে দিয়ে দিছি রে পাগলি যখন শুনছি তর পেটে আমার বাচ্চা!

রিয়া:- সত্যি তুই খুশি হলি রে?

আমি:- অনেক অনেক খুশি হয়েছি যা বলার বাহিরে রে।

রিয়া:- ওদেরকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানিয়ে গল্প এখানেই শেষ করে দে রে ‌। গল্পে নতুন কাহিনী করে আমাকে আর কষ্ট দিস না।

আমি:- কি পাঠকেরা রিয়া তো ঠিকেই বলছে কাহিনী করে আর কষ্ট আমিও দিতে চাই না।
নতুন বছরের শুভেচ্ছা। আসসালামুয়ালাইকুম! সবাই ভাল থাকবেন।
আল্লাহ হাফেজ

সমাপ্ত

,, নামাজ বাদ দিয় না বন্ধু এপারের চেয়ে ওপারের জীবন অনেক সুন্দর,,,

(সব চিন্তা ভাবনা করে গল্পটা এখানেই শেষ করলাম)

 #তুই_শুধু_আমার পাগলা রাইটার #শেখ_লাদেন_ইসলাম_তানজিম  #পর্ব_10👇👇আমি:- দেখ তরা সবাই তো তদের কথা বলে ফেললি। আমি জানি রিয়া...
03/01/2024

#তুই_শুধু_আমার

পাগলা রাইটার

#শেখ_লাদেন_ইসলাম_তানজিম

#পর্ব_10

👇👇

আমি:- দেখ তরা সবাই তো তদের কথা বলে ফেললি। আমি জানি রিয়া আমাকে কতটা ভালবাসে। কিন্তু আজকে তদের একটা কথা ভাবতে হবে, দেখ যাকে ছোট থেকে আপু আপু করে ডাকছি। আমার কোন বোন নেই ওকেই আমি বোনের নজরে দেখতাম। আর হঠাৎ করে সে বলল আমাকে ভালবাসে এটা কিভাবে মেনে নেওয়া সম্ভব বল। আর আমি রিয়ার সাথে অনেক বড় অন্যায় করে ফেলছি এটাও আমি বলি। হয়তো এটা রিয়ার ভুল ছিল। এখানে আমার কিছু করার ছিল বল।

মিতু:- এখন আমি বলি তুই শুন। দেখ ভালবাসা এমন একটা শব্দ। যেটা জাত জাতী কোন কিছু দেখে হয় না। কারন তর কখন যে কাকে ভাল লাগতে পারে তুই নিজেই বলতে পারবি না। এখন একটা বিষয় চিন্তা করে দেখ তো। রিয়াকে বিয়ে করলে তুই যেই ভালবাসা পাবি অন্য মেয়ে কি আজোও তরে এমন ভালবাসবে। আচ্ছা মানছি ও তর বোন আমি বলি ওকে তুই বিয়ে কর, কয়েকদিন পর দেখবি তুই মন দেখে ওকে মনে নিবি?
আমিও তো তর বোন ছিলাম আমার সাথে তুই প্রেম করিস নাই বল!

রিয়া:- মিতু থাক আমি বলছি না ওকে তুই জোর করবি না। ভালবাসর মানুষকে কষ্ট দিতে নেই। বাদ দে?

ওদের সবাই কথা শুনে আমি ভাবতে লাগলাম সত্যি রিয়ার মতো আমাকে কেউ ভালবাসতে পারবে না। বিয়েই তো সমস্যা নেই করে ফেলি। আস্তে আস্তে হয়তো ওকে মেনে নিতে পারি।

আমি:- আচ্ছা যা তর যেহেতু এতই করে বললি আমি রাজি।

রিয়া খুশি হয়ে বলল, সত্যি।

আমি:- হু ,,কাজী সাহেব বিয়ে পড়ান এমনেই অনেক দেরি হয়ে যাচ্ছে।

যাক দেখতে দেখতে রিয়া আর আমার বিয়ে হয়ে গেল। বিয়ে শেষ হতে না হতেই রিয়া এসে আমাকে জড়িয়ে ধরে কান্না করতে লাগল।

আমি:- আরে কি হয়েছে এভাবে কান্না করছিস কেন?

রিয়া:- খুশিতে কান্না করছি রে! আজকে আমার মতো খুশি এখানে কেউ মনে হয় হয় নাই। আসলেই কথাই আছে ভালবাসা সত্যি হলে তাকে পাওয়া সম্ভব। আমার ভালবাসা সত্যি খাঁটি ছিল রে।

আমি:- এভাবে কান্না করিস না। একটু দূরে দাঁড়া।

রিয়া:- হু!

আমি:- মিতু আমি তো একটা কথা বলতে ভুলেই গেছি?

মিতু:- কি!

আমি:- রিয়ার বিয়ে তো ঠিক করা আছে। এখন কি হবে।

মিতু:- কি আর হবে তর পরিবার নিয়ে দূরে কোথাও পালিয়ে যা আর সুখে শান্তিতে সংসার কর।

আমি:- আমাকে কি তর পাগল মনে হয় এমনটা করব আমি।

রিয়া:- এত কিছু চিন্তা করছ কেন! এসব কিছু আমি সামলে নিব দেখিও!

আমি:- কেন এত কথা বলিস পরে দেখি তো চাচার উপরে কোন কথাই বলতে পারিস না। ভয়ে একেবারে চুপ করে থাকিস।

রিয়া:- চাচা কি হু। বাবা বলবা বাবা, ভুলে যেও না এখন আমি তোমার বিয়ে করা বউ!

আমি:- দেখ দেখ এখন কেমন আমার উপরে অধিকার কাটাচ্ছে।

মিতু:- এক কাজ কর আমাদের বাসায় চল। পরে আম্মুর সাথে কথা বলে সব ঠিক করে নিবি!

রিয়া:- হু এটা ঠিক হবে। বাবা আবার খালামনিকে একটু ভয় পাই।

মিতু:- তো আর কোন কথা না চল।

রিয়া:- তরা যাবি নাকি আমাদের সাথে. ওদের বান্ধবীদের উদ্দেশ করে বলল!

না রে রিয়া যাব না তরা যা। আর কোন সমস্যা হলে আমাদের বলিস।

আমরা চারজন মিতুদের বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। রিয়া আমার হাত ধরে আছে। না তো আর করতে পারি না। যদি না করি বলবে তোমার উপর আমার অধিকার আছে। বিয়ে করে ফেসে গেছি। তা-ও আবার নিজের আপন চাচাতো বোনকে। অনেকটা পথ জার্নি করার পর খালামনির বাসায় গেলাম।

খালামনি আমাকে দেখে দৌড়ে এসে জড়িয়ে ধরল।

বাবা তুই কেমন আছিস! এত দিন পর মনে পড়ল তর খালামনির কথা।

আমি:- মনে তো পড়েই কিন্তু সময় পাই না যে!

সরকারি চাকরি করিস মনে হয় যে সময় পাস না। বাবার মতো কথা বলতে শিখে গেছিস।

রিয়া:- খালামনি আমাকে কি চোখে দেখ না নাকি।‌ থাক আমাকে তো আর ভালবাস না।

খালামনি আমাকে ছেড়ে রিয়াকে জড়িয়ে ধরে বলল,,
তো কি ব্যাপার আজকে দেখি সবাই এক সাথে।

আমি:- খালামনি একটা বিপদে ফেসে গেছি। আপনার সাথে কিছু কথা বলার ছিল।

আগে যা ওয়াসরুম থেকে ফ্রেশ হয়ে আই।

বাসার ভিতরে গিয়ে, হাত মুখ ধুয়ে বাহিরে এসে দেখি রিয়া গামছা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।

রিয়া:- নেন হাত মুখ মুছে নেন!

মনে মনে বললাম বিয়ে করে তো উপকার হয়েছে।

একটু পর সোফায় বসে খালামনিকে সবকিছু খুলে বললাম।

তো আমাকে ছাড়া আমার মেয়ে বিয়ে হয়ে গেছে। আর তুই কিভাবে তর বোনকে বিয়ে করে ফেললি।

রিয়া:- খালা মনি আমি কিন্তু ওকে ছোট থেকে ভালবাসি। আমার ভালবাসা তো কম ছিল না ওর প্রতি।

এখন তর বাবা যদি জানতে পারে কি অবস্থা হবে একবার চিন্তা করে দেখছত।

আমি:- বিপদে পড়েই তো তোমার কাছে আসা নয়লে কি আসতাম।

আচ্ছা এখানে এলি যেহেতু দুইতিন থেকে যা আর আমি তদের বাবার মা'র সাথে কথা বলব। আর এই বিষয়ে এখন কথা বলব না, পরে একদিন সময় করে বলব কেমন। আর তরা হয়তো জানিস না রিয়ার বাবা কতটা রাগি।

মিতু:- আম্মু!

আর পাম দিতে হবে না তরা যা আমি দেখে নিব।

রাতে একেবারে বাসর ঘরে ঢুকে পড়লাম। অবশ্য বাবা মার অনুমতি না নিয়ে এটা করা উচিত হবে না।‌ আর আমারও এসব করার এখন কোন ইচ্ছে নেই।

রিয়া এসে আমাকে সালাম করল।
বিছানার উপর বসে রিয়াকে বললাম, দেখ বিয়ে আমি এসবের জন্য প্রস্তুত না। আমাকে কয়েকদিন সময় দিতে হবে তর।

রিয়া:- আমি কি তরে না করছি তর ইচ্ছা মতো তুই সময় নে আমি অপেক্ষা করব তর জন্য।

এখন শুয়ে পড় আমার উপর বিশ্বাস করতে পারিস। আমি তার অনুমতি না নিয়ে কিছুই করব না।

আমি:- আচ্ছা তুইয়েও শুয়ে পড় অনেক রাত হয়ে গেছে।
রিয়া মাঝে একটা কুল বালিশ দিয়ে শুয়ে পড়ল।

রিয়া:- আচ্ছা লাদেন আমি তরে কি বলে ডাকব!

আমি:- তর যা ইচ্ছা হয় ডাকতে পারিস।

রিয়া:- না তা-ও তো তুই আমার স্বামী। তর কথা মানতে আমি বাধ্য।

আমি:- দেখ পাগলের মতো কথা বলবি না এখন। ঘুমাতে দে।

রিয়া:- কিন্তু আমার যে ঘুম আসছে না। বাসর রাত নিয়ে আমার অনেক স্বপ্ন ছিল আমার জানিস।

আমি:- তুই থাক আমি উঠে চলে যাই।

রিয়া:- সরি সরি আর বলব না।

আমি:- হু একটু ঘুমাতে দে আমাকে আর তুইয়েও ঘুমা!

রিয়া:- আনরোমান্টিক কোথাকার।

সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি রিয়া এক কোনায় চুপটি করে শুয়ে আছে। মুখটা দেখে মনে হয় যেন খুব মায়াবী। সত্যি ওকে আমি বোন মনে করতাম তবে ও যে আমার বউ হবে এটা আমার ভাগ্য ছিল‌।

ফ্রেশ হয়ে এসে দেখি বিছানার উপর রিয়া শুয়ে শুয়ে আমাকে দেখছে।

আমি:- কিরে ঘুম হয়েছে তর!

রিয়া:- আজকে তো আমি ঘুমাতে চেয়েছিলাম না তর কারনে ঘুমাতে হল?

আমি:- এখন উঠবি অনেক বেলা হয়ে গেছে।

রিয়া:- হু বলে উঠে ওয়াস রুমে ঢুকে গেল। আমি বসে বসে ফেসবুকে দেখছি কে কি কমেন্ট করে। একটু পর রিয়া গোসল করে ওয়াসরুম থেকে বের হল।

আমি:- কিরে এই ঠান্ডায় কিভাবে গোসল করলি। আর আমাদের তো তেমন কিছু হয় নাই আজকে।

রিয়া:- হয় নাই সেটা আমি আর তুই জানি। বাহিরের তো কেউ জানে না। এখন যা গোসল করে আই।

আমি:- তর মাথা খারাপ হয়ে গেছে এই ঠান্ডায় গোসল করব।

রিয়া:- দেখ বছরের প্রথম দিন আজকে গোসল করে পবিত্র হ। তাহলে হয়তো বছরটা ভালো যেতে পারে তর!

আমি:- আমার পবিত্র হওয়া লাগবে না। আর তুই তো আমার বউয়েই তুই গোসল করছত না। ততেই হবে আর বাহিরের মানুষকে দেখাতে হবে না। কি করি কি করি আইডিয়া, এক কাজ করি শরীরের তেল দিয়ে দেই তাহলেই তো হবে।

রিয়া:- তাও তুই গোসল করবি না।

আমি:- নারে বইন আমার পক্ষে গোসল করা সম্ভব না মাফ কর।

রিয়া আমার দিকে তেরে এসে,, আমার একটা কান ধরে বলল চল।

আমি:- দেখ ঠান্ডায় মরতে পারব না।

রিয়া আমার কোন কথা না শুনে জোর করে ওয়াসরুমে ঢুকিয়ে গোসল করতে লাগল।

কোন হালা বলছিল ঠান্ডায় বিয়ে করলে শরীর গরম হয়। ওকে পেলে ধরে কিছুক্ষণ আগে মারতাম। সকাল সকাল যে গোসল করা লাগে সেটা কি ওর চোখে পড়ে নাই। যাক গল্পে আসি,,

এভাবে খালামনির বাসায় দুইদিন থেকে বাসায় চলে গেলাম। খালামনি বলল তরা যা আমি একদিন সময় করে আসব। বাসায় এসে শুনি আর তিনদিন পর রিয়ার বিয়ে শুনে তো আমার মাথা খারাপ হয়ে গেছে। কি করা যাই কি করা যাই। কিছুই মাথায় ঢুকছে না। আর আমাদের বিয়ের কথা কাউকে বলি নাই। ওটা গোপন রাখছি। ‌ তবে রিয়ার সাথে এখনো ও আমি স্বভাবিক ব্যবহার করি এতটা ফিলিং আসে নাই ওর প্রতি। দেখি সামনে কি হয়।

রাতে রুমে শুয়ে আছি,,

হঠাৎ দেখি....

waiting for next

❤️ সবাইকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা ❤️

,, নামাজ বাদ দিয় না বন্ধু এপারের চেয়ে ওপারের জীবন অনেক সুন্দর,,

(গল্পটা কিন্তু অনেক বড় হবে তাই এখানেই কিন্তু কাহিনী শেষ নয় মনে রাখবেন)

 #তুই_শুধু_আমারপাগলা রাইটার #শেখ_লাদেন_ইসলাম_তানজিম  #পর্ব_9👇👇মিতু:- তাড়াতাড়ি আমার দেওয়া ঠিকানায় চলে আই। আমি একটা মে...
03/01/2024

#তুই_শুধু_আমার

পাগলা রাইটার

#শেখ_লাদেন_ইসলাম_তানজিম

#পর্ব_9

👇👇

মিতু:- তাড়াতাড়ি আমার দেওয়া ঠিকানায় চলে আই। আমি একটা মেসেজ করছি তরে দেখ!

আমি:- মিতু হঠাৎ তর কি হল। আর এখানে আবার তর কি মতলব আছে।

মিতু:- আজকে পুরো দমে খেলা হবে। আমি এখন তর সাথে কথা বলে সময় নষ্ট করতে চাই না। লোকেশন অনুযায়ী চলে আসবি। আর কেউ যেন আমাদের এই কথা জানতে না পারে। আর বেশি চালাকি করলে ভিডিও ভাইরাল মনে রাখিস।

এই বলে মিতু ফোনটা রেখে দিল। কি আর করব আমিও রেডি হয়ে মিতুর দেওয়া ঠিকানায় চলে যাচ্ছি। মনে মনে চিন্তা করছি আজকে না জানি আমার সাথে কি হয়?
মিতুর দেওয়া ঠিকানায় গিয়ে দেখি একটা পুরাতন বাসা। এর আশেপাশে তেমন কোন লোকজন নেই একদম নিরব। পরিবেশেটা দেখে আমার কেন জানি ভয় হচ্ছে।
ভিতরে গিয়ে দেখি মিতু এক সাইটে দাঁড়িয়ে আছে। আমাকে দেখে এগিয়ে এল।

মিতু:- কিরে তর কপালে ঘাম জমে আছে কেন! মনে হচ্ছে যেন খুব টেনশন টেনশন লাগছে তকে।

আমি:- ফাউল কথা একদম বলবি না। এখন বল এখানে কেন ডাকলি।

মিতু:- ভিতরে চল। আজকে সব খেলা শেষ করে দিব এগুলো আর ভাল লাগে না।

আমি মিতুর সাথে ভিতরে গিয়ে দেখি সামনে ইয়া বড় এক পর্দা টাঙ্গানো আর রাসেল বিছানায় বসে আছে।
আমি অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলাম,
আমি:- কিরে মিতু রাসেল এখানে কেন?

মিতু:- ওকে আমি এখানে সাথে করে নিয়ে আসছি।

আমি:- তর হাব ভাব ভাল লাগছে না?

মিতু:- একটু অপেক্ষা কর রিয়াকেও আসতে দে!

আমি:- কি রিয়া! ও এখানে কেন আসবে।

মিতু:- ওর না খুব তেজ। ও দেখতে চাই ওর সামনে আমি তরে বিয়ে করতে চাই। আজকে তাই হবে।

আমি:- ফাঁদ ফাতলি মনে হচ্ছে না?

মিতু বিশ্রি একটা হাসি দিয়ে বলল,,হু তুই ঠিকেই বললি। আর সেইদিন আমি বলছি না খুব তাড়াতাড়ি আবার তদের সাথে দেখা হবে।এই তো রিয়া এসে গেছে।

রিয়া হয়তো আমাকে এখানে দেখে অবাক হয়ে গেছে।

মিতু:- তো মিস রিয়া আপনি কেমন আছেন?

রিয়া:- তুই কি করতে চাস বল তো?

মিতু:- বেশি কথা হবে না। ওই সামনে দেখলি কি! যদি আমার কথা না শুনিস হাতে ইশারা আরব আর ভিডিও ভাইরাল হয়ে যাবে। আর এখান থেকে তরা লাইভ টেলিকাস্ট দেখবি।

রিয়া:- অনেক প্রস্তাবি রে মিতু তুই মনে রাখিস। আমাকে কষ্ট দিলে আমি হাঁসি মুখে মেনে নিতাম। আর তুই এর মাঝে লাদেনকে টেনে এনে খুব ভয় ভুল করলি।

মিতু:- চুপ করে ওই চেয়ারে বস। তর বক বক শুনতে এখানে আমি আসি নাই।

রিয়া আমার দিকে একবার মায়াবী দৃষ্টিতে তাকিয়ে চেয়ারে বসে গেল। মিতু গিয়ে রিয়ার হাত পা বেঁধে ফেলল।

মিতু:- লাদেন!

আমি:- বলতে হবে না আমাকে চেয়ারে বসতে হবে তাই তো। কোন কথা না বলে বসে পড়লাম।
আমারও হাত পা মিতু বেঁধে ফেলল,,

মিতু:- লাদেন তরে একটা কথা বলছিলাম মনে আছে!

আমি:- তর কথা মনে রেখে আমি কি করব।

মিতু:- রিয়াকে একটু শুনাই,, শুন রিয়া আজকে তর সামনে আমি লাদেনকে বিয়ে করব। আর বাসর রাত করব রাসেলের সাথে। কেমন হবে বল তো।

রাসেল:- যা মিতু এভাবে বলিস না লজ্জা করে আমার।

রিয়া:- তরে তো আমি।

মিতু:- কিছু করতে পারবি না। ওই আমি বলছি না আমার সাথে লাগতে আসবি না ‌নয়লে কপালে দুঃখ আছে। আর তুই কি করলি আমার কথা তো শুনি না! অপেক্ষা কর কাজি এসে যাবে।

আমি:- আর কত নিচে নামবি রে মিতু।

সেইদিন তুই যে রিয়ার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করলি মনে নাই তর। আমার তো এখনো ও এটা মনে হলে শরীর জ্বলে যাই ‌। আর আজকে তর বউ অন্য কোনো ছেলের সাথে শারীরিক সম্পর্ক করবে আবার তার স্বামীর সামনে। আমিও দেখতে চাই তর কেমন লাগে।

আমি:- রাসেল তুমিও মিতুর কথায় পা দিলে!

রাসেল:- কি করব ভাইয়া ও আমার বেস্ট ফ্রেন্ড আরেক হল আমার ভালবাসা। আর এমন অফার কে মিস করতে চাই বলেন তো।

কিছুক্ষণ পর কাজি এসে গেল, মিতু আর আমার বিয়ের সব কিছু লেখতে লাগল। তবে এখন কবুল বলার বাকি আছে। আমার যে এখন কি অবস্থা হয়েছে বলে বুঝাতে পারব না আপনাদের।

কাজী:- বল বাবা কবুল!

মিতু:- আরে আমি আগে কবুল বলছি। পরে ওর মুখ থেকে শুনে নিয়েন। মিতু তিন বার কবুল বলে রিয়াকে বলল,,কিরে রিয়া তর মুখে তো কোন কথাই নাই। আমি তো লাদেনকে বিয়ে করে ফেলছি।

রিয়া হাসতে হাসতে বলল,, আমাকে কি তর বোকা মনে হয়। কিরে কই তরা, অনেক অপেক্ষা করলি এভার সামনে আই। দেখি ও কিভাবে আমার ভালবাসাকে বিয়ে করে।
সাথে সাথে ছয়টা মেয়ে মিতুর কাছে এসে সব কেরে নেয়। আর ভিডিওটা ও ডিলেট করে দেয়। রাসেল উঠে যেই ওদের আঘাত করতে যাবে। সাথে সাথে ওর বুকে লাথি দিয়ে ফেল দিল।
একটা মেয়ে গিয়ে রিয়ার হাত খুলে দিল। রিয়া আমার কাছে এসে আমার হাত পায়ের বাঁধ গুলো খুলে দিয়ে বলল,, লাগে নাই তো তোমার কোথাও।

আমি চিন্তা করতে লাগলাম যেখানেই যাই রিয়া আমাকে বাঁচিয়ে নেয়। আসলেই সত্যিই রিয়া আমাকে অনেক ভালবাসে।
রিয়া আমাকে ছেড়ে মিতুর কাছে চলে গেল।

রিয়া:- কি ভিডিও ভাইরাল করবি না!

মিতু:- তুই খুব চালাক, একটা বিষয় আমার মাথায় আসছে না এরা এখানে কিভাবে আসল।

মিতু:- ভুল করলি তুই, তর ভুলের কারনে ওরা এখানে আসছে। আমি যখন লাদেনকে বাহিরে যেতে দেখতে পাই, তখনেই আমার সন্দেহ লাগে। আর ওর কোন দরকার ছাড়া বাহিরে যাই না। এতদিন ও নিজকে বন্দীর মতো ঘরে রাখছে। হঠাৎ করে ওর বাহিরে যাওয়াটা আমার সন্দেহ জাগে। আর তখনেই আমি আমার বান্ধবীদের সাথে সাথে মেসেজ করে বলে দেই। লাদেনের পিছু নিতে। আর একটু পর তুই যখন আমাকে মেসেজ করে আসতে বললি তখন আমার সব বিষয় পরিস্কার হয়ে যাই। এখন তো বুঝলি না।

মিতু:- এখন তুই কি করতে চাস?

রিয়া:- এভাবে হার মেনে নিলি।

এখন তুই বিনা বিয়েতে ওর সাথে শারীরিক সম্পর্ক করবি আর এগুলোর ভিডিও করব আমি। এখানে বসে তুই লাইভ টেলিকাস্ট দেখতে পারবি সমস্যা নাই। তবে আমাদের সবার সামনে! তর তো এটাই ইচ্ছে।

আমি:- রিয়া আমি কি বলি শুন!

রিয়া আমার কাছে এসে বলল হু বল।

আমি:- একজন যদি কুকুরের পিছনে দৌড়ায় তাহলে তুইয়েও কি তার পিছনে যাবি। আমি বুজতে পারছি, আমাদের এত বছরের সম্পর্ক ছিল হঠাৎ তার আর আমার মাঝে শারীরিক সম্পর্ক দেখে ও সহ্য করতে পারে নাই। প্রতিশোধের নেশায় ও অন্ধ হয়ে গেছে। আমি তো ওর মতো পাশান হতে পারি না। হয়তো সে আমার আপন বোন না। আমার খালাতো বোন।তবে আমার খুব খারাপ লাগছে ও আমার সাথে এরকম করবে আমি আশা করি নাই। থাক এসব বাদ দে ওর সাথে রাসেলের বিয়ে দিয়ে দে ওরা সুখে থাক।

আমার কথা শুনে রিয়া গিয়ে মিতুর চুল ধরে বলল,,,দেখ দেখ যার সাথে আজকে তুই প্রতিরোধে খেলা খেলতে চেয়েছিলি আজকে সেইয়েই তরে বাঁচিয়ে দিল।

আমি:- রিয়া আমি কিন্তু এগুলো পছন্দ করি না। ছেড়ে দে ওকে। কাজী সাহেব ওদের বিয়ে পড়ান।

আমার কথা শুনে কাজী ওদের বিয়ে পড়াতে লাগল। মিতু আর রাসেলের বিয়ে হয়ে গেছে। তবে এখানে মিতুর ইচ্ছে আছে বুঝতে পারছি।

আমি:- রাসেল একটা কথা বলব!

রাসেল:- সরি ভাইয়া আপনার সাথে খারাপ ব্যবহার করার জন্য। কিন্তু আপনার মনটা অনেক ভাল। হু ভাইয়া বলেন?

আমি:- তোমার মতোই মিতুকে আমি অনেক ভালবাসতাম। কিন্তু ও বুঝল না। ওকে কখনোই কষ্ট দিয়ে না। সুখে রাখিও।

মিতু আমার দিকে মায়াবী দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে।

আমি:- মিতু এবার তো তুই খুশি। যা এখান থেকে দূরে কোথাও চলে যা আর সুখে শান্তিতে সংসার কর!

মিতু কান্না করতে করতে আমাকে জড়িয়ে ধরল,,

মিতু:- আমি এত অন্যায় করলাম আর তুই আজকে এভাবে মাফ করে দিলি। আজকে আমিও একটা বিষয় না দেখে যাব না। তুই আমার সুখের জন্য রাসেলের সাথে আমার বিয়ে করালি। এখন তর সাথে আমি রিয়ার বিয়ে না দেখে যাব না।

রিয়া হয়তো এই কথাটা শুনে অবাক হয়ে গেছে। ও ভাবতেও পারে নাই এই কথাটা মিতু বলবে।
রিয়ার এক বান্ধবী বলল,, ঠিকেই বলছে আপু আমরা এটাই চাই ‌ রিয়া অনেক কষ্ট করছে লাদেনকে পাওয়ার জন্য।

রাসেল:- হু ভাইয়া আমাদের সুখ আপনি দেখবেন, আমরা আপনাকে এভাবে কষ্টের মাঝে ফেলে যেতে পারি না।

মিতু:- সত্যি রে রিয়া আমাকে মাফ করে দিস। আমি সত্যি প্রতিরোধে নেশায় অন্ধ হয়ে গেছি। তুই আমার ছোট বোনের মতো অনেক অপরাধ করে ফেলেছি আমি তর সাথে। আর লাদেনের সাথে আমি এত অন্যায় করছি তাও ও আমাকে এভাবে মাফ করে দিবে আমি ভাবতেও পারি নাই।

রিয়া:- আপু আমাকেও মাফ করে দিস আমিও তর সাথে অনেক অপরাধ করে ফেলছি।

মিতু:- এত কথা আমি শুনতে চাই না। এখন তরা বিয়ে করবি না?

রিয়া:- আমি ওরে জোর করতে চাই না। অনেক ভালবাসি ওকে‌। ওর যদি ইচ্ছা থাকে তাহলে আমি এক পায়ে রাজি।

মিতু:- লাদেন তর মুখ থেকে আমি কথা শুনতে চাই ‌। সত্যি রিয়া তরে অনেক ভালবাসে। একটা বিষয় চিন্তা করে দেখ ও নিজের শরীর টা পর্যন্ত দিতে তর কাছে দ্বিধা করে নাই। কারন ও এটা জানত তুই ওর ভালবাসা। এখানে কোন খারাপ মতলব ছিল না ওর।

রাসেল:- ভাইয়া এমন ভালবাসা কয়জনে কপালে আসে। Please ভাইয়া না করবেন না।

রিয়ার এক বান্ধবী বলল,, ভাইয়া এখন যদি না করেন রিয়া কিন্তু আপনার সাথে জীবনেও কথা বলবে না। আর আপনি তো জানেন ওর বিয়ে হয়ে গেলে কি হতে পারে।‌ আমরা আপনার হাত জোড় করে বলছি। আর মানছি ওকে আপনি বোনের নজরে দেখেন। একটা মাস আমার বান্ধবীর সাথে কাটান ও আপনাকে, আমার বিশ্বাস যে সব ভুলিয়ে দিবে।

রিয়া:- বাদ দে রে থাক। ওকে জোর করিস না।

মনে হচ্ছে যেন আমার এই সিদ্ধান্তটা জীবন পাল্টে দিতে পারে। কি করব বুঝছি না। এক রিয়াকে বোন হিসেবে দেখি। কিন্তু এই কয়েকদিনে দেখছি রিয়া আমাকে কেমন ভালবাসে। তবে বিবেক মানে না?

আমি:- দেখ...,

waiting for next

,, নামাজ বাদ দিয় না বন্ধু এপারের চেয়ে ওপারের জীবন অনেক সুন্দর,,

 #তুই_শুধু_আমাররোমান্টিক লেখক #শেখ_লাদেন_ইসলাম_তানজিম  #পর্ব_4👇👇সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি খালামনি আমার মাথায় কাছে বসে আছে...
03/01/2024

#তুই_শুধু_আমার

রোমান্টিক লেখক

#শেখ_লাদেন_ইসলাম_তানজিম

#পর্ব_4

👇👇

সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি খালামনি আমার মাথায় কাছে বসে আছে।

আমি তাড়াহুড়ো করে উঠে বসলাম।
খালা:- আরে বাবা এত তাড়াহুড়া করতে হবে না,,তা তর শরীরের এখন কি অবস্থা?

আমি:- এই তো খালামনি একটু ভাল।

মিতু:- আম্মু সবাই চলে আসছে আমাদের অপেক্ষা করছে চল! আর আপনি তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে নিচে আসেন, আমাকে উদ্দেশ্য করে।

আমি:- খালামনি কি হয়েছে।

খালা:- আমাদের ভাইয়েদের মাঝেই ঝগড়া হবে সেটা আমি মেনে নিতে পারি বল,,আর আমার বাবাকে মেরেছে আজকে দেখ আমি কি করি।

আমি:- please খালামনি মাথা গরম করে কোন কিছু করা উচিত নয়। চাচা আমার বাবার সমান বাদ দাও খালা। আজকে যদি আমার বাবা আমাকে মারত!

হু তর মনটা অনেক ভাল। এজন্যই আমি তরে অনেক ভালবাসি। তুই তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে নিচে আই।

খালামনি চলে যাওয়ার পর মিতু আমার কাছে এসে বলল,,কিরে আম্মুকে বলব তুই যে কেমন ভালো।

আমি:- দেখ এমনেই খালামনি আমাকে অনেক ভালবাসে তার মাঝে তুই আগুন দিস না please.

মিতু:- তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে নীচে আই আমার সত্যের কথা পূরন হতে চলছে।

আমি:- আগে আমি তরে বউ বানানোর স্বপ্ন দেখতাম,, কিন্তু তুই যে এত নিচ আমি জানতাম না।

মিতু:- আমি আমার স্বার্থের জন্য সবকিছু করতে পারি। আমি তো খারাপ ছিলাম না? আমি তর কারনে খারাপ হয়ছি তুই আমার হক নষ্ট করছত! তুই ভাবলি কি করে আমি তরে ছেড়ে দিব। আসি কেমন, তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে নিচে আই তুই?

মিতু চলে যাওয়ার পর আমি উঠে ফ্রেশ হয়ে নিচে গেলাম,,নিচে গিয়ে দেখি আমাদের পরিবারের সবাই আছে,, আমার চাচা, চাচি, রিয়া সবাই আছে।

খালা:- আই বাবা আমার পাশে বস আমি তর জন্যই অপেক্ষা করেছি।

আমি গিয়ে খালামনির পারে বসলাম।

খালা:- আগে কী হয়েছে না হয়েছে আমি এসব কিছু জানতে চাই না? এখন আমি কি বলি মনোযোগ দিয়ে শুন?

চাচা:- জি বলেন আপা। ( খালাকে সবাই ভয় পাই খালার কিন্তু পাওয়ার আছে, আমার খালু বড় ব্যবসায়ী তিনি যে কোন মন্ত্রীর সাথে কথা বলতে একটুও সময় লাগে না,,এই হিসেবে চাচা খালামনিকে ভয় করে)

খালা:- আমার মেয়ে আর লাদেন, তর মেয়ে আর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ছেলের আজকেই এ্যাংগেজমেন্ট হবে। সব কিছু ব্যবস্তা কর আমি এখানে আসছি শুধু তদের ঝামেলা মিটানোর জন্য। আর ভাবলাম শুভ কাজটা সেরে ফেলি।

খালামনির কথা শুনে আমি অবাক হয়ে গেলাম,,এখন একটু একটু ভয় হতে লাগল আমার। আগে মিতুকে নিয়ে স্বপ্ন দেখতে ভালোই লাগত কিন্তু মিতু যে এতটা খারাপ তা আমি জানতাম না! মানলাম আমি একটা ভুল করেছি তাই বলে ও আমাকে নিয়ে গেইম খেলবে।
মিতুর দিকে তাকিয়ে দেখি ঠোঁটে হাঁসি। আমি ভালোই করে বুঝতে পারছি এই সবকিছুর পিছনের মিতুর হাত আছে। যাতে রিয়া কিছু করতে না পারে এজন্য মিতু এই গেইমটা খেলল। রিয়া তো কান্না করার মতো অবস্থা আমি বুঝতে পারছি।
যদি দরকার হয় আমি রাস্তার কোন মেয়েকে বিয়ে করতে পারব। কিন্তু মিতুর উপর এখন আমার আর বিশ্বাস হয় না।
মিতু আমার ভালবাসা নিয়ে খেলা করছে। কিন্তু রিয়াকে আমি বিয়ে করতাম মাগার বিবেক মানে না যাকে এতদিন বোন হিসাবে দেখছি তাকে কীভাবে বিয়ে করা যাই।
মিতু একটু অপেক্ষা কর আমিও তর সাথে গেইম খেলবে চিন্তা করিস না আমাকে ফাঁসিয়ে যাবি কই, শুধু ভিডিওটা তর কাছে বলে কিছু করতে পরছি না।

রিয়া:- খালামনি এত তাড়াতাড়ি কি ঠিক?

খালা:- এই শিখাইছি তোমাকে আমি বড়দের মুখে কথা বলতে কে বলছে!

রিয়া সরি বলে মাথা নিচু করে ফেলল,,

চাচা চাচী সবাই চলে গেল,,

বাবা:- তাহলে আমাকে একটু মার্কেটে যেতে হবে।

খালা;- হু সবাই চল তাড়াতাড়ি আসতে হবে।

আমি:- খালামনি আমার ভাল লাগছে না আমি please বাড়িতে থাকি।

খালা:- ইশ্ কি সুন্দর আমার ছেলেটা মেরে কি করছে। আচ্ছা বাবা তুমি থাক আমরা যাব আর আসব!

মিতু:- আম্মু আমিও তাহলে থাকি যদি ওর কিছু লাগে।

খালা:- হু থাক তর বুদ্ধি আছে,, জামাইয়ের খেয়াল রাখা আগে থেকেই শিখে রাখা ভালো।

সবাই চলে গেল,,

আমি সোফায় গিয়ে বসলাম। মিতু আমার পাশে বসে,,খেলা তো মাত্র শুরু এভাবে ভেঙ্গে পড়িস না। পরে তো সহ্য করতেই পারবি না।
হঠাৎ দেখি দরজা দিয়ে রিয়া প্রবেশ করল।

মনে মনে বললাম আজকে একটা কিছু হবে।

রিয়া:- মিতু আপু ভাল আছেন?

মিতু বসা থেকে উঠে গিয়ে রিয়ার চুল ধরে বলল,,তুই এখানে কেন এলি।

রিয়া:- ছাড় বলছি ভাল হবে না?

মিতু:- কি করবি তুই কি করবি?

রিয়াও মিতুর চুলের মুঠি ধরে ফেলল,,এসব দেখে আমি জোরে একটা চিৎকার দিয়ে বললাম, এক কাজ কর আমার জন্যই তো যত সব সমস্যা আমাকে মেরে ফেল। তাহলেই তদের শান্তি হবে।

রিয়া:- শুধু তর কাছে ভিডিওটা আছে বলে কিছু করছি না নয়লে তর শরীরের আগুন লাগিয়ে দিতাম। একটা কথা বলতে এসেছি শুন আমিও দেখতে চাই তুই লাদেনকে কিভাবে বিয়ে করবি। ও যদি আমার না হয় সারা বিশ্বের কারো হতে দিব না দরকার হলে তরে টুকরো টুকরো করে নদীতে ভাসিয়ে দিব মনে রাখিস। আমার সাথে খেলা খেলিস না আমিও দেখে নিব। আর তুই লাদেনের উপর যেই অত্যাচার করতেছত না সব কয়টার হিসাব নিব আমি। ও তো কিছু বলতে পারে না কারন একটা ভিডিও এর জন্য। ছাড়ব না মিতু মনে রাখিস। ওপেন চ্যালেঞ্জ করে গেলাম আমি তরে। লাদেন শুধু আমার যদি পারিস তর করে দেখা গুড বাই।
এটা বলে রিয়া দরজা দিয়ে চলে গেল,

মিতু ঠাসস ঠাস করে আমাকে দুইটা চর দিয়ে চিৎকার করে বলল,,
আমাকে চ্যালেঞ্জ দেয় সাহস কতবড়,, মিতু আমাকে ঠেলা দিয়ে সোফার উপর ফেলে দিল,

মিতু:- কি আছে আজকে দেখব আমি তর ভিতরে।
বলে লিভ কিস করতে লাগল,,আমি বোবার মতো পড়ে আছি কোন রেসপেন্স করছি না। মিতু শরীর থেকে কাপড় খুলে অর্ধ উলঙ্গ হয়ে গেছে,,বুঝতে পারছি আজকে আমার সাথে কি হতে চলছে, এই মূহুর্তে বাহিরে কিসের শব্দ শুনা গেল। মিতু লাফ দিয়ে উঠে!

আজকের মতো বেঁচে গেছি,,তবে খুব শীঘ্রই আবার তর সাথে আমার দেখা হবে।

আমি এখন জেন্ত লাস হয়ে আছি‌। মনে হচ্ছে আজকে শুধু রিয়ার কারনে আমাকে মিতুর এত অত্যাচার সহ্য করতে হচ্ছে।

মিতু দরজা খুলে আবার আমার কাছে এসে বসল,,

মিতু:- খুব কষ্ট হয়েছে না রে তর!

আমি:- তর সাথে কথা বলার ইচ্ছে হচ্ছে না রে আমার,, আজকে শুধু একটা ভিডিও কারনে আমাকে তুই ইচ্ছে মতো ব্যবহার করলি,,মজা পাস এগুলো করে রে।

মিতু:- আমার অনেক ভাল লাগে। আচ্ছা তুই বসে থাক আমাকে গোসল করতে হবে। যাবি নাকি গোসল করিয়ে দিব আমি তরে নিজের হাতে।

আমি কোন কথা বললাম না,, মিতু চলে যেতে যেতে বলল,, ঠোঁটে লিপস্টিক লেগে আছে মুছে নিস।

একটু পর অনুষ্ঠান শুরু হল আজকে দুইটা এ্যাংগেজমেট এক সাথে হবে। নামিদামি অনেক ব্যাক্তি এসে ভরে গেছে কিছুক্ষণের ভিতরে। আমি একটা ছেলেকে ডাক দিয়ে বলল,,মামা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ছেলে মেয়ে কয়জন।

ছেলেটা বলল,,একটা ছেলে আর একটা মেয়ে ওই যে দেখছেন না ওর বাবার মা'র সাথে বসে আছে।

আমি:- ধন্যবাদ ভাই।
একটা হাসি দিয়ে সামনে এগুতে লাগলাম,, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সামনে গিয়ে সালাম দিলাম,,ভাল আছে আংকেল।

হু বাবা ভাল আছি তুমি কামাল এর ছেলে না। (কামাল আমার বাবার নাম)

আমি:- জি আংকেল,, ভাইয়াকে দেখতে পাচ্ছি না।

হয়তো আশে পাশে কারো সাথে কথা বলছে।

আমি:- আন্টি আপনি ভাল আছেন?

আন্টি:- হু বাবা।

আমি:- আংকেল যদি কিঊ মনে না করেন আমি আপনাকে মেয়ের সাথে একটু কথা বলতে পারি।

এটা বলতেই মেয়েটা আমার দিকে তাকিয়ে দেখল,

আরে কেন নয়,,ও এমনেই বসে বোরিং হচ্ছে এক কাজ কর ওকে সবকিছু ঘুরিয়ে দেখিয়ে আন।

আমি:- জি আংকেল,,আপু আসেন আমার সাথে।

দূর থেকে দেখি মিতু আমার দিকে বড় বড় চোখে তাকিয়ে আছে,,
মনে মনে বললাম খেলা তুই খেলতে পারিস না শুধু আমিও একটু খেলি ফাঁকা মাঠে গোল দিবি কেন?

আমি:- আপনার নামটা জানতে পারি।

হু কেন নয়! আমার নাম আঁখি জাহান তুবা!

আমি:- অনেক সুন্দর নাম,, চলেন ওই দিকে বসি, তবে আমার কথায় ভুল হলে মাফ করবেন আপনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মেয়ে আমি সাধারন একজন ছেলে।

আঁখি:- সে যাই হোক দুই দিন পর তো আপনি আমার বেয়াই হবেন।

আমি:- সে হয়তো! একটা কথা জানতে পারি?

হু অবশ্যই বলেন?

আমি:- আপনার কি কোন বয়ফ্রেন্ড আছে।

এটা বলতেই আঁখি আমার দিকে বড় বড় চোখে তাকিয়ে দেখল।

আমি:- এভাবে তাকাবেন না ভয় করে যদি একটু নোটিশ করেন আমার নামে সারাজীবন থানায় পড়ে পচতে হবে।

আঁখি:- না সে না! এই প্রশ্ন করার সাহস আজ পর্যন্ত কারো হয় নাই। তাই একটু আজব লাগল। আপনার ভয় করে না আমাকে দেখে হাতে একটু ইশারা করলে আপনার লাশ মাটিতে পড়ে যাবে।

আমি:- আসলেই আপনার চেহারায় অনেক মায়াবী আর আপনি জানি এটা করবেন না।

তাই নাকি,, আপনার সাহস আছে বলতে হবে।

আমি:- সাহস তো হয় না করে নিতে হয়। আপনাকে দেখে এমনেই আমার সাহস জন্ম দিয়ে নিছে।

আঁখি:- পটানোর চেষ্টা করেছেন নাকি।

আমি একটু ভয় পেয়ে,,না মনে ইয়ে, ইয়ে।

এত ভয় পেলে কিভাবে প্রেম করবেন হু।

হঠাৎ মিতু আমার সামনে এসে বলল,, লাদেন আই তো আম্মু তরে ডাকছে।

আমি:- তুই যা দেখছিস না মেম এর সাথে কথা বলছি,,চলেন ওইদিকে যাই।
আমি জানি কাঁটা দিয়ে কাঁটা তুলতে হয়,, মিতু ওনাকে কিছু বলবে না এটা আমি জানি। তাই ওকে একটু পটানোর চেষ্টা করেই দেখি সফল হই নাকি। আমি আঁখিকে দিয়ে সব গেইম কতম করতে চাই,,তবে ওকে ভালবাসব না ওই বলছি না,,সময় আমারো ও আসবে।

আঁখি:- মেয়েটা কে?

আমি:- আজকে ওর সাথে আমার এ্যাংগেজমেন্ট হওয়ার কথা।

কি?

আমি:- তবে হবে না?

আঁখি:- ওমা তা আবার কেন?

আমি:- কাউকে পছন্দ হয়ে গেছে তাই হবে না!

আঁখি একটা হাসি দিয়ে,, জানেন বাবা মা কখনোও আমাকে একা বাহির হতে দেয় না সাথে সবসময় এই বডিগার্ড থাকে,, কিন্তু আজকে একটু ভাল লাগছে,, আপনার সাথে ঘুরতে।

আমি:- আমি জানতাম না যে হঠাৎ করে আমার একজনকে পছন্দ হয়ে যাবে! যদি আপনি বলেন তো?

আঁখি:- কি বলব হু? অনেক সাহস বেড়ে গেছে আপনার।

আমি:- বিশ্বাস করেন আমার কাছে এত সময় নাই,,একটু চিন্তা করে দেখবেন আমি থাকলে আপনার কোন বডিগার্ড লাগবে না। কথায় আছে গরিবের ভালবাসা কিন্তু সুন্দর আর বড়লোকদের শুরু চিন্তা আর চিন্তা কখন কি হয়।

আঁখি:- এই আপনি আমাকে কি বুঝতে চান হে?

আমি:- এখনো ও যদি না বুঝেন আর কি বলব,, আপনার রিদয়টা আমাকে দিয়ে দে তাহলেই হবে। এখানেই বলতে বলছি না,,সময় কিন্তু আছে হাতে আংক্টি পরানোর আগ পর্যন্ত।

রিয়া:- আপু ভাল আছেন?

আঁখি:- আরে ভাবি আপনি এখানে!

রিয়া:- না আপনাকে দেখতে আসছি। ভাইয়া একটু এই দিকে আসবি কিছু কথা ছিল তর সাথে?

আমি:- সরি রে সময় নাই,, আঁখি চল ওই দিকে যাই।

রাগে রিয়ার মুখ লাল হয়ে যাচ্ছে বুঝলাম।(তবে আঁখির সামনে ভাইয়া ডাকল নয়লে কি যে ডাকত বাবা)

আঁখি:- আপনার বোনকে ইগনোর করলেন কেন?

আমি:- আপনাকে তো পটাতে হবে তাই না।
আঁখি একটা হাসি দিয়ে বলল,,আসি বাবা মনে হয় ডাকছে।

আমার উত্তরটা,,

আঁখি:- আপনি আমাকে ভেজালে ফেলে দিলেন,, আচ্ছা চিন্তা করে দেখি কি হয়।

মনে মনে বললাম,, মিতু এখন বুঝতে পারবি কত ধানে কত চাল আমার সাথে গেইম খেলিস না এখন দেখ।

কিছুক্ষণ পর সবাই চাচার বাসার সামনে গেলাম,,আগে রিয়াকে আংক্টি পড়ানো হবে পরে আমাকে। আর খালামনি এসে দেয়াল সব ভেঙ্গে ফেলছে।

তবে মিতু আমাকে চোখের ইশারায় খেয়ে ফেলবে মনে হয়,,
রিয়াকে সাজিয়ে আনা হল,,আর পাশে সুমন দাঁড়িয়ে আছে। (স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ছেলের নাম সুমন)
তবে রিয়ার পাশে সুমনকে দেখে আমার কেমন জানি লাগল,, হঠাৎ কেন এমন হল বুঝলাম না!
রিয়ার প্রতি আমার কেমন জানি একটা মায়া জন্ম হল।

রিয়াকে বলা হল,,,

waiting for next

,, নামাজ বাদ দিয় না বন্ধু এপারের চেয়ে ওপারের জীবন অনেক,,,

Address

Rangpur

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Tamim0.8 posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Tamim0.8:

Share