Kabir sing

Kabir sing ব্লাক মেজিক

গল্প- ব্লাক ম্যাজিক ( পর্ব-০২)[ সত্য ঘটনা অবলম্বনে]লেখক- রিয়াজ রাজ৩য় পর্বের  জন্য আমাদের আইডিটা ফলো করুনhttps://www.face...
07/10/2023

গল্প- ব্লাক ম্যাজিক ( পর্ব-০২)
[ সত্য ঘটনা অবলম্বনে]

লেখক- রিয়াজ রাজ
৩য় পর্বের জন্য আমাদের আইডিটা ফলো করুন
https://www.facebook.com/profile.php?id=61550605082401
------------------------------------
" কাকে হ'"ত্যা করে তুই তোর প্রেমিকাকে চাস"। সত্যি বলতে,তখনো আমার কাছে এটি মিথ্যে মনে হচ্ছিলো।কিন্তু পরিস্থিতি অনুযায়ী আমিও বললাম," ওর চাচাতো ভাইয়ের জীবন নিয়ে,নিপাকে আমার কাছে ফিরিয়ে দিন "।

নিপার চাচাতো ভাইয়ের নাম নেওয়ায় একটি বড় কারণ রয়েছে আমার। সকালে ওর চাচাতো ভাই আমাকে সবচেয়ে বেশি মা"রধর করেছে। আমার কান এখনো ব্যাথা। এতো জোরে থা"প্পড় এর আগে কেও মারেনি আমাকে। সর্বশেষে সে আমার মা'কে নিয়েও গা"লি দিয়েছে। রাগটা বাস্তবে হোক না হোক,তবে রায়হানের কথানুযায়ী ঝেড়ে দিলাম কিছুটা। আমার আবদার শেষে রায়হান আমাকে আবার বলে," আপনার চাওয়া খুব দ্রুত পূর্ণ হবে"। এ বলে রায়হান সেখানেই জ্ঞান হারায়। আমার কাছে সব তামাশা মনে হলেও,এইবার যা দেখলাম।তাতে কিছুটা বিশ্বাস হয়েছে। রাহয়ান যখন জ্ঞান হারিয়ে পড়ে যায়। তখন রায়হানের শরীর থেকে একটা কালো ধোঁয়া উড়ে গেলো। চোখের পলকে আমি সেই ছায়া দেখেছি। তার পরক্ষণে দেখলাম,মোমবাতি গুলা আপনা-আপনি জ্বলে উঠেছে। অবিশ্বাস্য ঘটনা। এইটা তো সম্পুর্ন অলৌকিক। তবে কি আমি সত্যিই কোনো জ্বীনের সাথে কথা বলছিলাম? আমার এসব ভাবনার মাঝে রায়হান শোয়া থেকে উঠে। সে তার মাথাটা চেপে ধরে আছে।হয়তো তার মাথায় কিছুটা যন্ত্রণা হচ্ছে। মাথা ধরে উঠে সে আমাকে বলে," শয়তান তোর দাসত্ব হয়েছে। এখন থেকে আর আমাকে লাগবেনা। এ নে কিতাবটা। যখনি তাকে দরকার পড়বে। তখনি একা রুমে ৪টা মোমবাতি জ্বালিয়ে মন্ত্রটা পড়বি। আর মনে রাখবি,তোকে নাপাক থাকতে হবে। প্রস্রাব করার পর,কিছুটা হাতে নিয়ে তোর গায়ে ছিটাবি। কাজ শেষে আবার আমার কিতাব, আমাকে দিয়ে দিস"।

এতটুকু বলে রায়হান বসা থেকে উঠে। সামনে থাকা মোমবাতিগুলা এক এক করে সে বক্সে ঢুকায়। আমার হাতের সুতোটা নেয়নি। ওটা নাকি শয়তানকে ডাকার শক্তি। শয়তান যার-তার ডাকে সাড়া দেয়না। এসব বিভিন্ন কথা বলতে বলতে রায়হান কুফরি করার সব জিনিষ বক্সে ঢুকায়। বক্স খাটের নিচে রেখে বলে," যা, বাসায় চলে যা। খুব শীঘ্রই নিপা তোর জীবনে আসবে। আর দাওয়াত দিতে যদি ভুলে যাস।তো খবর আছে"। রায়হানের কথা শুনে যেনো আমার ভিতরে একটা খুশির ঢেউ জেগে উঠলো। সত্যিই তাহলে নিপা আমার জীবনে ফিরে আসবে? আমি আবার তাকে পাবো? আমার প্রেমিকা হিসেবে? এইবার হয়তো বউ হিসেবে পাবো। এই পাওয়া-চাওয়ার বিষয়বস্তু অনেকটা মর্মান্তিক। এ বুঝি হেলে যাচ্ছে,আবার এ বুঝি কিছুটা হারাচ্ছে। তবে যত কিছুই ভাবি। রাহয়ান আমাকে একটা পথ দেখিয়েছে। এটিই আমার কাছে অনেক। খুশিতে আমি রায়হানকে জড়িয়ে ধরে,কাঁদতে শুরু করি।

রায়হানকে বিদায় দিয়ে যখন নিজের বাড়িতে এলাম। আমার মা-বাবা আমাকে দেখে কান্না আরম্ভ করেছে। আমি কোনোভাবে তাদের শান্তনা দিয়েছি। কিন্তু শান্তনা'টা তখন আমার দরকার ছিলো। আমার বাবা বললেন," কার জন্য শুধু শুধু মা"র খেতে গেলি। তোকে পাঠিয়ে দেওয়ার পর,নিপার বাবা তাড়াহুড়ো করে তখনি নিপাকে বিয়ে দিয়ে দেয়। তুই নাকি বিয়েতে ঝামেলা করবি,সেটি নিপা বলেছে সবাইকে। তাই ওর বাবা দ্রুত সব আয়োজন করে বিয়ে সারায়"। বাবার মুখে সংবাদটা শুনে আমার মাথায় বাজ ভেঙ্গে পড়ার অবস্থা। এটি কিভাবে সম্ভব। এইটাও কি আমি ঠিক শুনছি?

মাথায় কারো হাত বোলানোর স্পর্শে চোখ খোলে আমার। আমি বিছানায় শুয়ে আছি। পাশে মা-বাবা আর ছোট ভাই দাঁড়িয়ে আছে। ছোট বোন পাশে বসে আমার মাথায় হাত বোলাচ্ছে। আমি কিছুক্ষণ কিছু বুঝতে না পারলেও,মনে পড়ে গিয়েছে নিপার কথা। নিপার তো বিয়ে হয়ে গেছে। লাফ মেরে উঠে ফোনে সময় দেখি,রাত ১০:৩৮ মিনিট। হায় খোদা,আমার সব শেষ হয়ে যাচ্ছে। দিক-বেদিক হয়ে আমার বিছানা থেকে দৌড়ে নেমে যাই। ছোট ভাই সাকিবকে বললাম( ছদ্মনাম) বাইক বের করার জন্য। যদিও আমার কোনো বাইক নেই। ছোট ভাইয়ের বাইক নিয়ে বের হয়েছি নিপার শশুর বাড়ি। আমার হাতে একটা বড় লো"হা। আজ নিপাকে নিজের হাতে খু/"ন করার ভুত চাপে মাথায়।
জানি, আপনারা এখন আমাকে পাগল ভাবছেন। তবে বাস্তবতা অনেক ভিন্ন। এই পরিস্থিতিতে যেকোনো ছেলের মস্তিস্ক ভুল-সঠিক দেখায়না। কিন্তু এখন আমি নিজের পাগলামির জন্য শরমিন্দা হচ্ছি।তবে,ঐ সময়ে এই সেন্সটা আমার ছিলোনা বললেই চলে।

আমি বের হতে হতে এলাকা থেকে আরো ১৩ জন বন্ধুকে কল করেছি। ওরাও বাইক নিয়ে সামনের বাজারে অপেক্ষা করছে( বাজারের নাম প্রকাশ করতে অনিচ্ছুক) । ওদের কারো হাতে ছু"/রি,কারো হাতে পি:/স্তলও রয়েছে। আমি পুরোপুরি সিদ্ধান্ত নিয়েই বের হয়েছি। নিপা অন্যের খাটে যাবার আগে,আমার হাতে শেষ নি"শ্বা"স ত্যাগ করবে।

প্রায় দেড় ঘন্টা অতিক্রম করার পর নিপার শশুর বাড়ি পৌছাই আমরা। বাইক থেকে নেমেই আলাতুল যাকে পেয়েছি,তাকে আ"ঘা"ত করে যাচ্ছি। পি"স্ত/ল নেওয়ার উদ্দেশ্য শুধুমাত্র ভয় দেখানো । আ"ঘাত করছিলাম লোহা,এসএস ফাইপ এসব দিয়ে। আমি আর আমার ভাই সহ ৪ জন বাড়ির ভিতরে ঢুকে যাই। বাসর ঘর সাজানো রুমের সামনে ফুলে ভরা। দৌড়ে গিয়ে দরজা লাথি মেরে ভেঙ্গে ফেলেছিলাম।হয়তো এই রাগ মাথায় না থাকলে,সারাদিন লাথি মেরেও দরজা ভাঙ্গতে পারতাম না। তবে ঐ সময়টাতে কিভাবে ভেঙ্গে ফেলেছি।তা এখনো আমি বুঝতে পারছিনা। আবার হতে পারে,দরজা আগে থেকেই দুর্বল ছিলো।
তবে রুমে ঢুকার পর যা দেখেছি,তা দেখে আমার সমস্ত শরীর কাঁপতে শুরু করেছিলো। নিপার স্বামী শর্ট প্যান্ট ঠিক করে যাচ্ছে। আর নিপা পেটিকোট পড়তেছে,তবে হাটু অব্দি পড়েছে মাত্র। পুরোপুরি পারেনি।
আমার স্থানে আপনি থাকলে কি করতেন?
তারমানে এতক্ষণে নিপা তার সতীত্ব শেষ করে দিয়েছে।
গত ৮ বছরে যে মেয়েটার প্রাইভেট প্লেস আমি দেখার চেষ্টাও করিনি। একেবারে বিয়ের জন্য যত্ন করে রেখেছিলাম।সে মেয়েটা আজ অন্য পুরুষের সাথে এইভাবে?
না রিয়াজ ভাই। আমি এই অনুভূতি প্রকাশ করতে পারবোনা। তবুও যা পারবো,বলছি।

নিপাকে এই অবস্থায় পেয়ে আমার শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায়। বুকের ঠিক বাম পাশে চিনচিন ব্যাথা অনুভব করছিলাম। এতো দিন মুভি বা গানে শুনতাম।কবিদের কবিতাতেও শুনতাম। নারীর কষ্টে বুকের বাম পাশের ব্যাথাটা সত্যিই সহ্য করার মতো নয়। আমার হাতে থাকা লোহা দিয়ে,মন চাচ্ছিলো নিজের বুকটাকেই ছি"দ্র করে ফেলি। চোখটা ভিজে এসেছে আমার। হাত-পা কাঁপতে থাকায়,দাঁড়িয়ে থাকার শক্তি পাইনি। আমি সেখানেই বসে পড়েছিলাম। বসে শুধু ভেজা চোখে নিপার দিকে তাকিয়ে আছি। মানুষ এইভাবেও রুপ বদলাতে পারে? কিভাবে?

এদিকে বাড়িতে হামলা করায়,নিপার স্বামীর পরিবার থানায় কল দেয়। থানা বেশি দূরে ছিলোনা। হেটে গেলে ৭ মিনিটের রাস্তা। পুলিশ চলে আসে বাড়িতে। আমার সাথীদের অনেকে পুলিশ দেখে পালায়। আমার ভাইও পালিয়ে যায়। শুধু আটকা পড়েছিলাম আমি সহ ৩ জন। যখন পুলিশ আমাকে নিয়ে যাচ্ছিলো,তখনো আমি নিপার দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিলাম।আপনি বিশ্বাস করবেন না রিয়াজ ভাই। ঐ সময়ে আমার সত্যিই বুকটা চিনচিন করে যাচ্ছিলো। আমার ভিতরে কেও চিৎকার দিয়ে কান্না করছে।তবে উপরে আমি একদম শান্ত। বসা ছিলাম,তাই দাঁড়াতে পারিনি।পুলিশ আমাকে টেনে টেনে নিয়ে যাচ্ছিলো। এতে আমার একটা স্যান্ডেল ওদের বাড়িতেই থেকে যায়।

৫ দিন পর আমি ছাড়া পেয়েছি জেল থেকে। কিভাবে মা-বাবা আমাকে বের করেছিলো আমি জানিনা। কোন উকিল ধরেছে আর কি জবাব দিয়েছে। হয়তো কিছু টাকাও জরিমানা করেছে। কিন্তু আমার কোনো হুদিশ ছিলোনা। জেলে এই ৫ দিন আমি পানি ছাড়া কিছুই খাইনি। কিভাবে খাবো বলেন ভাই। আমি এই সময়টা পার করে এসেছি। আমি জানি এটি কতটা ভয়ানক। আমি এইটাও জানি,এই সময়ে আপনি নিজেকে চিনবেন না। আপনার ধ্যান থাকবে ঐ মেয়েটিকে ঘিরে।আমারো কিভাবে ৫ দিন কেটেছে আমি জানিনা। আমি শুধু তাকে ভাবছিলাম।পুরোনো দিনের কথাগুলা স্বরণ করছিলাম।এই ভাবনা আর স্বরণে আমার সময়ের মরণ হয়ে গেছে। টের পাইনি কখন ৫ দিন গলেছে।

বাসায় যখন গাড়িতে করে নিয়ে যাচ্ছিলো আমাকে। আমি কারো সাথে দুচটা কথাও বলিনি। কি বলবো,আমার কথা বলাটাও এখন যুদ্ধের সমান। বাসায় এসে নিজের রুমে গিয়েছিলাম।এরপর দরজা বন্ধ করে আমি ইচ্ছেমতো চিৎকার দিয়েছি। আমার এক একটি চিৎকারে,নিপার সাথে কাটানো ৮ বছরকে দেখতে পাচ্ছিলাম।মনের সব কষ্ট আজ উড়াতে চাচ্ছি।জানি, লোকে আমাকে পাগল ভাবছে। কিন্তু আমি এইটাও জানি, এই চিৎকার তারাও দিতো।যদি তাদের সাথে আমার মতো কিছু ঘটতো।

আমার দিনটা পুরো একঘেয়ে হয়ে গিয়েছে। একা সারাদিন রুমে বসে পাগল হচ্ছিলাম। আপনাকেও আমি তখন থেকে চিনেছি। সময় কাটানোর জন্য,একটা ভুতের গল্প গ্রুপে আপনার গল্প পাই। প্রথম পর্ব পড়ে দেখি,একটা কপিবাজ আপনার লেখা চুরি করেছে। পরে অনেক কষ্টে আপনার Riaz Raj Official পেজ খুঁজে বের করি। তখন আপনার গল্প পড়েই আমার সময় কেটেছে। আমি আপনাকে জুলাই মাসের ০৩ তারিখে মেসেজও করেছিলাম। ভাবতাম, যদি আপনি আমার কাহিনিটা লিখতেন। শেষ অব্দি আপনি শুনার জন্য রাজিও হলেন।

১৫ দিন পর।
অর্থাৎ নিপার বিয়ের আজ ২০ দিন। আমার ছোট ভাই খবর পেয়েছে একটা। সে দৌড়ে এসে আমাকে বলে," ভাইয়া ভাইয়া। নিপার জামাই নিপাকে ডিভোর্স দিয়ে দিছে। ওদের ছাড়াছাড়ি হয়ে গেছে"। ছোট ভাইয়ের মুখে কথাটা শুনে আমি কিছুটা অবাক হলাম।না না,খুশি হয়েছি। নাকি আপসোস করছি। আমি বুঝতেও পারছিলাম না, আমি কোন রিয়েকশন দিবো। হতভাগ হয়ে আমি জানতে চাইলাম ঘটনার মূল কারণ। কিন্তু ছোট ভাই কোনো উত্তর দিতে পারেনি। সে শুধু ছাড়াছাড়ির খবরটাই পেয়েছে। আমি রুম থেকে উঠে বের হতে চাচ্ছিলাম।তখন আমার বাবা বলে," যে মেয়েটার জন্য আজ তোর এই হাল হয়েছে। সেই মেয়েটির জন্য তুই এখনো ছুটে যাচ্ছিস? আমার সম্মানের কথা একটাবারও ভাবলিনা। আমার কোনো মূল্য নেই তোর কাছে? মানুষ আমাকে বাজারে ছি ছি করে যাচ্ছে। আমাদের কথা বাদ দে। অন্তত তোর লজ্জাবোধ হওয়া উচিৎ। এতো অবিচার অপমান করার পরেও, তুই ছোটলোকি কেন করছিস বাবা?"।

সেদিন আব্বুর কথায় আমার পা আটকে যায়। আর যাইনি আমি। কার জন্যেও বা যাবো। যে আমাকে রেখে অন্য একটা পুরুষের বিছানায় গেছে,তার জন্য? তবে ছাড়াছাড়ির কারণটা আমার জানতে ইচ্ছে হয়েছিলো। বাবার কথায়,সেটাও আর জানতে চাইলাম না। সোজা নিজের রুমে এসে পড়েছিলাম। যদি ঘটনা এইভাবেই শেষ হয়ে যেতো। তবে হয়তো ঠিক ছিলো। ঘটনা যেনো মাত্র শুরু হয়েছে।

২৩ দিনের মাথায় ঘটে এক দূরকল্পনা ঘটনা।
সকাল ভোরে আচমকা আমার ঘুম ভেঙ্গে যায়।বাহিরে আলো পড়েছে বুঝা যাচ্ছে। কিন্তু বাড়ির সবাই ঘুম। আমার বুকের বাম পাশটায় চিনচিন ব্যাথা উঠেছে। টেবিল থেকে পানির জগ নিয়ে আমি পানি খেতে চাই।কিন্তু জগে পানি না থাকায়,জগ নিয়ে হাটা ধরি কলপাড়ের দিকে। যখনি আমি দরজা খুলে বের হলাম। দেখতে পাই আমাদের উঠোনে নিপা দাঁড়িয়ে আছে। আমি নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। নিপার এই হাল কেনো। চোখের নিচে কালো দাগ পড়ে গেছে। না,শুধু কালো দাগ না। যেনো কেও কালি মেখে দিয়েছে। চেহারা শুকিয়ে পুরো শুটকি হয়ে গেছে। গালের মাংস ডুকে গিয়ে, হাড্ডি সব ভাসা দিয়েছে। শুধু তাই নয়,ওর হাত পা এতো চিকন হয়েছে।যা কল্পনাও করা যায়না। এ নিয়ে আমি নিপার ৩টি রুপ দেখলাম।একটা প্রেমের সময়,একটা তার বিয়ের সময়,আরেকটা এখন। এতো রোগা কিভাবে হলো মেয়েটি। হাত থেকে আমার জগ পড়ে যায়। সেই জগের শব্দে হয়তো বাবার ঘুম ভেঙ্গে গেছে। বাবা রুম থেকে বেরিয়ে এসে দাঁড়ায় আমার পাশে। কিন্তু সামনে রুপাকে দেখতে পেয়ে বেশ রেগে যায়। দরজার সামনে পড়ে থাকা লাঠি হাতে নিয়ে, বাবা নিপার দিকে তেড়ে যাচ্ছিলেন।

চলবে.....?

গল্প- ব্লাক_ম্যাজিক ( পর্ব-০১)[ সত্য ঘটনা অবলম্বনে]লেখক-  সাব্বির হাসান ২য় পর্ব সবার আগে পেতে আমাদের পেইজটা  ফলো করুনhtt...
05/10/2023

গল্প- ব্লাক_ম্যাজিক ( পর্ব-০১)
[ সত্য ঘটনা অবলম্বনে]

লেখক- সাব্বির হাসান

২য় পর্ব সবার আগে পেতে আমাদের পেইজটা ফলো করুন

https://www.facebook.com/profile.php?id=61550605082401

প্রেমিকাকে কালো যাদু করেছি আমি।

তবে এর ফলাফল এতো ভয়ানক হবে। তা আমার ধারণার বাহিরে ছিলো। কি বা করতাম। আমার ৮ বছরের প্রেম। সব ভুলে গিয়ে সে অন্য একটা পুরুষকে, বিয়ে করতে যাচ্ছিলো। কিন্তু আমার কোনো খারাপ উদ্দেশ্য ছিলো না। আমি শুধু তাকে চেয়েছি। অনেক চেষ্টা করেও যখন ব্যর্থ হয়েছি। তখন ব্লাক ম্যাজিকের সাহায্য নিতে হয়েছিলো। জানতে চান? মূল ঘটনা?

আজ থেকে ২ মাস আগের কথা। হটাৎ সে কলেজে আসা বন্ধ করে দিয়েছিলো। আমি প্রথমদিন এটি তেমন আমলে না নিলেও।পরেরদিন সন্দেহ হয়। ফোন বন্ধ,কলেজেও আসেনা। বাধ্য হয়ে তার বান্ধুবীর কাছে জিজ্ঞেস করেছি। নিপার ( ছদ্মনাম) বান্ধুবী আমাকে জানায়,নিপা পরশু সন্ধায় দেশের বাড়ি চলে গেছে। আমি রীতিমতো অবাক হলাম। আমাদের মাঝে ঝগড়াও হয়নি। এইভাবে না জানিয়ে সে কিভাবে গেলো। আবার ভাবলাম,হয়তো ফ্যামিলিগত কোনো সমস্যা হয়েছে। কিন্তু একটা কল তো করতে পারতো। নিজেকে শান্ত অশান্ত করার মাঝে, সিদ্ধান্ত নিয়েছি ওদের বাড়ি যাবো। স্কুল জীবন থেকে প্রেম। আমার পাশের এলাকাতেই তাদের বাড়ি। আমি কলেজে ভর্তির জন্য ঢাকায় এসেছি জেনে,নিপাও ঢাকা এসেছে।সব তো ঠিকঠাক ছিলো।তবে নিপা এমন করার কারণ কি। জানতে আমি সেদিন রাতেই গ্রামে রওনা করি।

হটাৎ বাড়িতে আসায় আম্মা আব্বাও অবাক হয়। আমি কাওকে কিছু না বলে,সকাল সকাল নিপাদের বাড়ির দিকে রওনা করেছি। নিজের এলাকা পেরিয়ে তাদের এলাকাতে যাই। আর দেখতে পাই,একটি বিয়ের গেট।
আমার স্থানে যেকোনো ছেলে থাকলে,এই অনুভূতিটা উপলব্ধি করতে পারবে। কতটা যন্ত্রণা এটিতে।তা একটা ছেলের চেয়ে বেশি কেও জানবেনা। নিপার কোনো ভাই/বোন নেই। এই বাড়িতে যদি কোনো বিয়ে হয়,তবে তা নিপার। আমি হতভাগ হয়ে বাড়ির দিকে প্রবেশ করতেই যাচ্ছিলাম।কিন্তু নিপার সাথে দেখা হয়ে গেলো উঠোনে। নিপা আমার হাত ধরে টেনে নিয়ে আসে বাড়ির বাহিরে। আমি শুধু তাকে দেখছিলাম।আমাকে কিছু বলতেও দেয়নি। বাড়ির বাহিরে এনে নিপা আমাকে মিষ্টি স্বরে বলতে থাকে,

- শুনো রাফি ( ছদ্মনাম) । আমি তোমাকে না বলে এসেছিলাম।যাতে তুমি কোনো সমস্যা না করো। আমাদের মধ্যে যা ছিলো সব ভুলে যাও।আজ আমার গায়ে হলুদ। তুমি আমার চেয়ে ভালো মেয়ে পাবে। দয়া করে কোনো ঝামেলা করিওনা।চলে যাও।
- এসব কি বলছো নিপা। তোমার মাথা কি ঠিক আছে? ৮ বছর ধরে ভালোবাসি তোমাকে। হুট করে তুমি বলছো সব ভুলে যাবো? তাও এতো সহজে?
- রাখো ওসব ভালোবাসা। তুমিই বলো? কি আছে তোমার? এখনো অনার্সের ফাইনাল দাওনি। কবে তুমি চাকরি ধরবে,আর কবে বিয়ে করবে। আমি হয়ে যাচ্ছি বুড়ি। আব্বু ছেলে দেখেছে। ছেলের বিদেশে বিজনেস আছে। বিয়ের পর আমাকেও নিয়ে যাবে। প্লিজ,দয়া করে আমার ক্যারিয়ার খারাপ করিওনা।এমন ছেলে আমি কোনোদিন পাবোনা।
- নিপা? তুমি সত্যিই ঠিক আছো? আর আমি কি স্বপ্ন দেখছি? এসব তুমি নিজের মুখে আমাকে বলছো? কিভাবে নিপা?

হ্যাঁ,সেদিন আমি যেমন অবাক হয়েছি।তেমনি কেঁদেছি। নিপার পা ধরে অনুরোধ করেছি।নিপা আমাকে পাত্তাও দেয়নি। আমি বার বার নিপাকে বুঝাতে চেয়েছি।কিন্তু নিপা আমাকে তার ক্যারিয়ারের গল্প শুনিয়ে যাচ্ছিলো। শেষে সে রাগ দেখিয়ে আমার বুকে লা"থি মারে। শুরু করে আমার উপর চিৎকার চেঁচামেচি।নিপার চিৎকারে ওর বাবা,চাচাতো ভাইয়েরা সবাই দৌড়ে আসে। আমাকে প্রচুর মা"রধ"র করে। কারো লা"থি,কারো ঘু"ষি। নাক মুখ ফে"টে র'ক্তা"ক্ত হই। ক্ষ"ত শরীর নিয়ে ফিরতে হয়েছে বাড়িতে। যদিও দেহের ক্ষতটার চেয়ে,আমার অন্তরের ক্ষতটা বেশি যন্ত্রণা দিয়েছে।

আমি প্রায় পাগল হয়ে যাচ্ছিলাম। মানুষ কিভাবে মুহুর্তে তার রুপ বদলাতে পারে। গত ৮ বছরে মনে হয়েছিলো,এই মেয়ে সবার থেকে আলাদা।ওর মতো কেও হয়না।সবাই ছেড়ে চলে যায়,কিন্তু নিপা যাবেনা। নিপার মতো কেও আমাকে কোনোদিন ভালোবাসতে পারবেনা। সেই নিপা আজ আমার বুকে লা"থি মে"রে,অন্যের বিছানায় যেতে প্রস্তুত। আমি কোনোভাবেই নিজেকে বুঝাতে পারছিলাম না। ও কি সত্যিই আমার সেই নিপা? যাকে আমি এতো বছর ভালোবেসে এসেছি?

আমার এই হাল দেখে,গ্রামে থাকা আমার এক বন্ধু আমাকে সাপোর্ট করেছে। সে আমাকে বুঝায়।কিন্তু আমি কিছুতেই নিজেকে শান্ত করতে পারিনি। ফাইনালি বন্ধু আমাকে কালো যাদুর ব্যাপারে বলে। এটি করলে নাকি নিপা ফিরে আসবে। কোনোভাবে নিপা এলে যদি, আমি তাকে বিয়ে করে ফেলি।তাহলে আর কোনো সমস্যা থাকবেনা। ঐ সময়টাতে আমার কাছে আর কোনো পথ ছিলো না। তবে রায়হান ( ছদ্মনাম) আমাকে কোনো কবিরাজের কাছে নিয়ে যায়নি। আমার বন্ধু নিজেই কালো যাদু নিয়ে কাজ করতো। দুপুরেই আমাকে সে তার বাড়িতে নিয়ে যায়। ওর রুমে কিছু না থাকলেও,খাটের নিচ থেকে একটা বক্স বের করে। সেই বক্সে রয়েছে অসংখ্য কালো যাদুর জিনিষপত্র। রায়হান বক্স থেকে জিনিষপত্র নামিয়ে দরজা জানালা বন্ধ করে দেয়। যদিও আমি নিজের ইচ্ছেতে এসেছি।কিন্তু ভয় করছিলো আমার। রাগ বা ভালোবাসা অর্জনের ইচ্ছে আছে।তবে ভয়টা এখানে আসার পরে করছে।এখন অন্য কোনো পথও নেই। নিপাকে ছাড়া আমি একদিনও ভাবতে পারবোনা।

রায়হান দরজা জানালা বন্ধ করার পর,রুমে চারটা মোমবাতি জ্বালায়। এক পাশে আমাকে বসায়,অন্য পাশে রায়হান বসে। বক্স থেকে বের করা কিছু সুতো রাহয়ান আমার হাতে বেঁধে দেয়। এরপর একটা বোতল থেকে কিছু পানি আমার গায়ে ছিটিয়ে দেয়। এগুলা শেষ করে রায়হান আমাকে বলে," এই পানিগুলা নাপাক পানি। মানে মানুষের মূত্র। আর সুতোটা মৃত মানুষের হাড্ডিতে ২১ বেঁধে নাপাক করা হয়েছে। এখন আমরা যে জ্বীনকে ডাকবো। সেই জ্বীন নাপাক স্থান পছন্দ করে।আর নাপাক মানুষের সাহায্য করে। আমি এখন মন্ত্র উচ্চারণ করবো।আমার সাথে সাথে তুই'ও সেই মন্ত্র উচ্চারণ করবি। যখন মোমবাতি নিভে যাবে,তখন তুই আমার কাছে সাহায্য চাইবি। শুধুমাত্র একটা ইচ্ছে পূরণ করবে সে। এর বিনিময়ে যদি সে তোর কাছে কিছু চায়। তুই সেটি দিতে রাজি হবি। আর যদি দিতে না চাস।তাহলে বলবি তুই তোর যাদু বন্ধ করতে চাস"।

এইটুকু বলে রায়হান একটা কিতাব হাতে নেয়। এরপর কিতাব দেখে দেখে কিছু মন্ত্র উচ্চারণ শুরু করে( মন্ত্রগুলা আরবিতে। সমস্যা হবে তাই আমি উল্লেখ করছিনা)। সে একটা শব্দ বলে,সাথে সাথে আমিও সেটি উচ্চারণ করি। এইভাবে কিছু সময় পার করার পর,আমার চোখের সামনেই মোমবাতি নিভে যায়।
দরজা জানালা বন্ধ থাকলেও,বাহিরের আলো মোটামুটি রুমে ছিলো। সেই আলোতে আমি রায়হানকে দেখতে পাচ্ছিলাম। রায়হান আমার দিকে তাকিয়ে গম্ভীর স্বরে বলে," বল তোর কোন ইচ্ছে পূরণ করবো"।

আমার কাছে এইবার ব্যাপারটা হাস্যকর মনে হলো। কোনোভাবে এসব ভূয়া না'তো? রায়হান কি আমাকে বোকা বানাচ্ছে? শান্তনা দেওয়ার জন্য এসব করছে? কিন্তু তবুও আমি আমার ইচ্ছের কথা বলি। ভূয়া হোক আর সঠিক। করতে যেহেতু এসেছি,করেই ফেলি। আমি ভীত স্বরে রায়হানকে বললাম," আমার প্রেমিকা নিপার বিয়ে হয়ে যাচ্ছে। আমি চাই,সে আমাকে বিয়ে করুক।আমার জন্য পাগল হয়ে যাক। আমার কাছে ছুটে আসুক"। আমার আবদার শুনে রায়হান আবার গম্ভীর স্বরে বলে," ঠিক আছে। কিন্তু এর বিনিময়ে আমাকে কারো জী'বন দিতে হবে। কাকে হ'"ত্যা করে তুই তোর প্রেমিকাকে চাস"। সত্যি বলতে,তখনো আমার কাছে এটি মিথ্যে মনে হচ্ছিলো।কিন্তু পরিস্থিতি অনুযায়ী আমিও বললাম," ওর চাচাতো ভাইয়ের জীবন নিয়ে,নিপাকে আমার কাছে ফিরিয়ে দিন "।

চলবে.....?

24/08/2023

কাপুরুষ আটকায় সৌন্দর্যে,
কু-নারী আটকায় অর্থে,
মানুষ আটকায় মায়ায়,
অমানুষ আটকায় স্বার্থে!

24/08/2023

-আমার গালে চুমু দিয়ে...! 💔👍

-ইজ্জত লুটে নিলো এক যুবতি

মশা 🦟🙄🤧

Address

Lalbag
Rangpur

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Kabir sing posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share