We want American Democracy

We want American Democracy We believe and follow that Democracy is government of the people, by the people and for the people. I want democracy . We want free and fair election.

We want democratic government who will rule us.

চলমান ছাত্র আন্দো/লনে যেভাবে আপনি সাহায্য করতে পারেন:1. সরাসরি অংশগ্রহন করে। নেট বন্ধ থাকবে তাই রাস্তায় আসুন।নিজ  নিজ কল...
03/08/2024

চলমান ছাত্র আন্দো/লনে যেভাবে আপনি সাহায্য করতে পারেন:
1. সরাসরি অংশগ্রহন করে। নেট বন্ধ থাকবে তাই রাস্তায় আসুন।নিজ নিজ কলেজ বা স্কুলের বন্ধুদের সাথে যোগাযোগ বাড়ান। প্রতিটি পাড়ায় পাড়ায় গ্রুপ গড়ে তুলুন। এক এলাকার সাথে অন‍্য এলাকার লোকদের যোগাযোগ বাড়ান।
2. অন‍্যকে উৎসাহ দিয়ে।
3. আন্দোলনের পক্ষের খবর ফেসবুক/ ইউটিবে বা অন‍্য মাধ‍্যমে শেয়ার করে অথবা রিয়েক্ট দিয়ে। হ‍্যাশট‍্যাগ দিয়ে।
4. মাথায় বাধার জন‍্য ছোট পতাকা কিনে দিয়ে সাহায্য করতে পারেন।
5. দেশের একটি পতাকা কিনে বা বানিয়ে দিয়ে আপনি এই আন্দোলনে শরিক হতে পারেন। ছাত্রকে দেন। আপনি নিজে নিন।
6. আন্দোলনকারীদের পরিবহন ভাড়া কম বা না নিয়ে আপনি সাহায্য করতে পারেন।
7. পানি বা খাবার দিয়ে সাহায্য করতে পারেন।
8. আন্দোলনের বিপক্ষে যারা আছেন তাদের হামলার খবর প্রকাশ করে।
9. আন্দোলনকারীদের দাবির প্রতি সমর্থন দিয়ে।
10. নিজ নিজ বাড়ির বা এলাকার দেয়ালে স্বৈরাচার মুক্ত বাংলাদেশ গড়ি, ছাত্র হত‍্যার খুনির বিচার করতে হবে,। এধরনের কথা গুলো লিখে।
ভয় শেষ। মরতে শিখেছি। কতজন ধরবে। কত মারবে। সবাইকে ধরা বা মারা সম্ভবও না।
ভয়ের কিছু নেই। আজ আমার ভাইকে মারছে। কাল আমাকে বা আমার পরবর্তী ছোট ভাইকে বোনকে মা/রবে। এটা হতে দেয়া যায় না। এর শেষ চাই, বিচার চাই। না হলে পরবর্তীকালে যারা সরকার গঠন করবে তারাও আমাকে আপনাকে, আপনার সন্তান কে মা/রবে।
এখন এর বিচার হলে আর কেউ ছাত্র হত্যা করার সাহস পাবে না।
ছাত্র হত‍্যার সময় তুমি কি করেছিলে?
কি উত্তর দিবেন আপনার সন্তানকে?
ইতিহাসে একজন স্বৈরাচারী শাসকের সমর্থক হিসেবে পরিচিত থাকবেন? আপনার সিদ্ধান্ত।
চুপ থাকা সরকার কে সম্মতির লক্ষণ। চাকরিজীবিরা টাকা দিয়ে সাহায্য করুন।
সময় বের করুন। চেষ্টা করুন।
আপনি যেভাবে পারেন সাহায্য করুন। আন্দোলনে অংশগ্রহন করুন।

কতটা ছোট আর নিকৃষ্ট মনের অধিকারী হলে দেশবাসীকে রাজাকার বলতে পারে। কোটা ধারী ছাড়া সবার পিতাকে রাজাকার আর তাদের সন্তানকে র...
15/07/2024

কতটা ছোট আর নিকৃষ্ট মনের অধিকারী হলে দেশবাসীকে রাজাকার বলতে পারে। কোটা ধারী ছাড়া সবার পিতাকে রাজাকার আর তাদের সন্তানকে রাজাকারে সন্তান এবং তাদের সন্তান কে রাজাকারের নাতি নাতনি বলেছেন।
চোর চামটারা মানুষকে এভাবেই অস্মান করে।
যে নিজে অবৈধভাবে ক্ষমতা ভোগ করছে সে তো অবৈধ অধিকার ভোগকারীদের পক্ষ নিবে এটা স্বাভাবিক। গাছের গোড়া ঠিক রেখে ডাল পালা কাটা সহজ নয়, সম্ভব ও নয়। গাছ উপড়ে ফেলতে হবে। নতুন গাছ লাগাতে হবে।
একদিন একদিন করে 12 বছর থেকে অবৈধ শাসন চলছে। এই অপশাসন দূর করার জন্য অবাধ,সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের বিকল্প নেই।
বাংলাদেশ সংবিধানে কোথায়ও কাউকেই কোটা নামের ফেতরা দেওয়ার কথা উল্লেখ নেই। কোটা শব্দটাই নেই সংবিধানে। অথচ এটা চলছে।
সংবিধানের বলা হয়েছে অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর উন্নতির জন্য রাষ্ট্র ব‍্যবস্থা গ্রহন করতে পারে। তার মানে এই নয় যে প্রথম আর দ্বিতীয় শ্রেনীর চাকরি তাদের জন্য দেয়া হবে। চাকরিজীবির সন্তান চাকরি পাবে।
আগে থাকলেও এখন কোটাধারীরা অনগ্রসর
গোষ্ঠীর মধ্যে পরে না।
বতর্মানে কোটার প্রয়োজন নেই,থাকার কোনো যুক্তি নেই। যারা চাকরি পেয়েছেন তারা নিজেদের সন্তানদের সুশিক্ষিত করে গড়ে তোলেন। কোটা না থাকলে আপনাদের সন্তানও বুঝবে পড়ালেখা করতে হবে, নিজের মেধায়, নিজের যোগ‍্যতায় কাজ পাওয়ার মধ্যে সন্মান আছে। যা কোটায় নেই।

24/01/2024

২০২৪-এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক পরাজয়

রাষ্ট্রের সব যন্ত্রের ওপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ কায়েম রেখে ২০২৪-এর ৭ জানুয়ারি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও তার কয়েকটি লেজুড় সংগঠন জাতীয় সংসদের সব আসনে ‘জয়লাভ’ করেছে। এই নতুন জাতীয় সংসদে সরকারি দল আওয়ামী লীগবিরোধী একজন সদস্যও নেই। এ ছাড়া আর এক চমকপ্রদ ব্যাপার ঘটেছে। আওয়ামী লীগ কথায় কথায় সংবিধানের দোহাই দিলেও এবং সংবিধানের ১৫ সংশোধনীর কথা বললেও নিজেদের সরকারের অধীনে এই নির্বাচন করেছে। কিন্তু তারা সাংবিধানিক নিয়ম অনুযায়ী পূর্ববর্তী জাতীয় সংসদ বাতিল না করেই এই নির্বাচন করেছে। এমন সব অভূতপূর্ব ব্যাপার বাংলাদেশে তো নয়ই, এমনকি দুনিয়ার কোনো দেশে আজ পর্যন্ত দেখা যায়নি। ২০০৯ সালে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হওয়ার অল্প দিনের মধ্যেই তারা যা কিছু করেছিল, তার ফলে তারা উপলব্ধি করেছিল যে, পরবর্তী নির্বাচনে জয়লাভ তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। কিন্তু পরাজয়ের এই সমূহ আশঙ্কা সত্ত্বেও তারা ছিল ক্ষমতায় টিকে থাকতে বদ্ধপরিকর। এ জন্য অতি ন্যক্কারজনকভাবে ১৯৯৬ সালে তারা নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য যে আইন সংসদে পাস করতে বাধ্য করেছিল তৎকালীন সরকারকে, তা রদ করে আবার বিদ্যমান সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা ফিরিয়ে এনেছিল। এটা ছিল রাজনৈতিকভাবে এক চরম অনৈতিক কাজ। সংবিধানে জাতীয় সংসদ সদস্যের সংখ্যা ৩০০। কিন্তু পূর্ববর্তী জাতীয় সংসদ বাতিল না করায় এই সংখ্যা এখন দাঁড়িয়েছে ছয়শর বেশি।
২০০৯ সালে ক্ষমতাসীন থাকাকালে পরিকল্পিত এজেন্ডা অনুযায়ী তারা এমন সব পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিল, যাতে ২০১৪ সালের নির্বাচনে ১৫৩টি আসনে আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য কোনো দলের প্রার্থী ছিল না এবং নির্বাচনের আগেই ১৫৩টি আসন দখল করে আওয়ামী লীগ ‘সংসদীয়’ আইন অনুযায়ী সরকার গঠন করার অধিকারী হয়েছিল। এটাও ছিল সারা দুনিয়ায় ‘সংসদীয়’ নির্বাচন ব্যবস্থার এক অদৃষ্টপূর্ব ঘটনা।
২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপিসহ কয়েকটি দল অংশগ্রহণ করেছিল। কিন্তু সেই নির্বাচনের সময় বিরোধী দলগুলোর ওপর দমন-পীড়ন করা হয়েছিল এবং পুলিশ ও নির্বাচন কমিশনের ওপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ রেখে নির্বাচনে বেপরোয়া ও অভূতপূর্ব কারচুপির মাধ্যমে আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতা দখল করেছিল। তাদের সেই সাফল্য দ্বারা নির্বাচনী কৌশলের কার্যকারিতা বিষয়ে নিশ্চিত হয়ে ২০২৪ সালে তারা সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনের ব্যবস্থা করেছিল।
২০১৪ ও ২০১৮ সালে বিএনপি তার নানা ভুলভ্রান্তির কারণে রাজনৈতিকভাবে এক বেহাল অবস্থায় ছিল। কিন্তু ২০১৮ সালের নির্বাচনের পর থেকে তারা কিছুটা সক্রিয় হতে থাকে। খালেদা জিয়ার অসুস্থতা এবং তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করে তাঁকে জেলে পাঠালেও বিএনপি সাংগঠনিকভাবে ঘুরে দাঁড়ায়। তারা জনগণের বিরোধিতা ও প্রতিরোধ আকাঙ্ক্ষাকে সাংগঠনিক ও রাজনৈতিকভাবে কাজে লাগানোর জন্য নানা উদ্যোগ গ্রহণ করতে থাকে। এর ফলে ২০২০ সালের মধ্যেই তারা আবার রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হয়। জনগণ বিএনপিকে তাদের প্রতিরোধের অবলম্বন হিসেবে সমর্থন করতে থাকে। এই সমর্থন লাভ করতে থাকায় বিএনপি মিটিং-মিছিল সংগঠিত করতে থাকে এবং বিদ্যমান সরকারের অধীনে নির্বাচনের পরিবর্তে একটি নির্দলীয়-নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলন শুরু করে। তাদের আন্দোলনের পেছনে জনগণ সমবেত হতে থাকে। ২০২২ সালের মধ্যেই তারা শক্তি সঞ্চয় করে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে আবির্ভূত হয়।
আওয়ামী লীগের প্রতি জনগণের ক্ষোভ পুঞ্জীভূত হতে থাকার সময় রাজনৈতিকভাবে বিএনপি ঘুরে দাঁড়ায়। বিএনপির অবস্থা যাই হোক, মির্জা ফখরুল ইসলাম একজন সৎ ও যোগ্য রাজনীতিবিদ হিসেবে সুপরিচিত। প্রধানত তাঁর নেতৃত্বে বিএনপি রাজনৈতিক ও সাংগঠনিকভাবে দ্রুত নিজেদের দুর্বল অবস্থা কাটিয়ে উঠে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে বিক্ষুব্ধ জনগণকে নিজেদের পেছনে সমবেত করতে থাকে এবং জনপ্রিয়তা অর্জন করে। একের পর এক তারা ঢাকাসহ দেশের সর্বত্র মিটিং-মিছিল সংগঠিত করতে থাকে। ২০২২ সালের ১০ ডিসেম্বর সরকারের অনেক বিরুদ্ধতা সত্ত্বেও তারা ঢাকায় এক বড় জনসমাবেশ করে। এই পরিস্থিতির মুখে আওয়ামী লীগ সরকার বিএনপির বিরুদ্ধে তাদের আক্রমণ ও নির্যাতন বৃদ্ধি করতে থাকে। তা সত্ত্বেও প্রায় পুরো ২০২৩ সালে বিএনপি সারাদেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন এবং আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগ দাবিতে আন্দোলন সংগঠিত করতে থাকে। সেই সঙ্গে তারা আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে নির্বাচন বর্জনেরও ঘোষণা দেয়।
গত বছরের ২৮ অক্টোবর বিএনপি ঢাকায় এক বিশাল সমাবেশ করেছিল। অগণিত মানুষ সেই সমাবেশে যোগদান করেছিল। সেই সমাবেশের সময় আওয়ামী লীগ সরকার পুলিশ দিয়ে তাদের ওপর এক সর্বাত্মক আক্রমণ চালায় এবং সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করে দেয়। সেই সঙ্গে ২৮ তারিখ থেকে তারা বেপরোয়াভাবে বিএনপি নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করতে শুরু করে। তারা বিএনপির হাজার হাজার লোককে মিথ্যা মামলা দিয়ে, এমনকি কোনো মামলা না দিয়েও গ্রেপ্তার শুরু করে। তারা বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতা মির্জা ফখরুল ইসলামসহ অন্যান্য নেতাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার করে জেলে পাঠায়। ৭ জানুয়ারির নির্বাচন পর্যন্ত এভাবে তারা বিএনপির ২৩ হাজারের ওপর নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করে।
তারা শুধু বিএনপিই নয়, অন্যান্য বিরোধী রাজনৈতিক দলের ওপর একইভাবে নির্যাতন চালিয়ে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি করে, যাতে আওয়ামী লীগ এবং তাদের লেজুড় কয়েকটি ছোট দল ছাড়া নির্বাচনে অন্য কারও পক্ষে প্রার্থী হওয়া অসম্ভব। কাজেই নির্বাচনে তারা ছাড়া অন্য কেউ প্রার্থী না থাকায় আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য কাউকে ভোট দেওয়ার কোনো সুযোগ জনগণের ছিল না।
কিন্তু এ পরিস্থিতি তৈরি করলেও আওয়ামী লীগ অন্য এক বিপদের মধ্যে পড়ে। তারা এটা উপলব্ধি করে যে, নির্বাচনে তাদের মনোনীত প্রার্থীদের বিরুদ্ধে তাদের দলেরই অন্য প্রভাবশালী নেতারা বিদ্রোহী প্রার্থী হবেন। এই ভয়ে ভীত হয়ে তারা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে বিদ্রোহী আওয়ামী প্রার্থীদের নিয়ম অনুযায়ী বহিষ্কার না করে আওয়ামী লীগেরই স্বতন্ত্র বা স্বাধীন প্রার্থীরূপে স্বীকৃতি দেওয়ার। এটা ছিল নির্বাচনী নিয়ম ও নৈতিকতার এক লঙ্ঘন। বাংলাদেশ এবং দুনিয়ার অন্য কোনো দেশের নির্বাচনে এ ধরনের অদ্ভুত ব্যাপার এর আগে আর কোথাও দেখা যায়নি। এই কাজের দ্বারা আওয়ামী লীগ এক চরম নীতিহীনতা ও নির্বাচনী নিয়মকানুনই লঙ্ঘন করেনি; এর দ্বারা প্রমাণিত হয়েছিল যে আওয়ামী লীগ সংগঠনের অভ্যন্তরে এক মহাভাঙন সৃষ্টি হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে সাংগঠনিক অবক্ষয়ের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সংগঠনে দুর্নীতি ব্যাপকভাবে ঘটতে থাকায় পারস্পরিক স্বার্থের সংঘাতে অভ্যন্তরীণ ঐক্য ভয়াবহভাবে বিনষ্ট হয়েছিল। এই অবস্থায় রাজনৈতিকভাবেও আওয়ামী লীগ জনগণ থেকে একেবারে বিচ্ছিন্ন হয়েছিল। এটা ঘটেছিল নিজের দলের পরিবর্তে আমলা, পুলিশ ও আদালত নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে ক্ষমতা সংহত করতে থাকার কারণে। এই পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগ সংগঠনকে প্রায় সম্পূর্ণভাবে উপেক্ষা করায় সংগঠন হিসেবে আওয়ামী লীগের মধ্যে অনৈক্যজনিত সংকট তীব্র আকার ধারণ করে।
অনেক মেগা প্রকল্প খাড়া করে দেশের উপরিকাঠামোতে এক বিপ্লব সাধন করে দেশে উন্নয়নের বন্যা বইয়ে দেওয়ার কথা গর্বের সঙ্গে বলা হয়। কিন্তু এই মেগা প্রকল্পগুলোই হয়ে দাঁড়ায় চুরি ও লুটপাটের বড় উপায়। দেখা যাবে, প্রতিটি মেগা প্রকল্পে প্রাথমিক যে ব্যয় ধরা হয়েছিল সেগুলোর ব্যয় প্রকল্প শেষ হওয়া পর্যন্ত দুই, তিন, চার গুণ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছিল। এই বৃদ্ধির সিংহভাগই লুটপাট হয়ে আওয়ামী লীগ নেতাদের ধনসম্পদ বাড়িয়েছিল। নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা নিজেদের সম্পদের যে ঘোষণা নির্বাচন কমিশনের কাছে দিয়েছেন, তাতে দেখা যায়, তারা ২০০৯ সাল থেকে বিশেষ করে ২০১৮ সালের নির্বাচনের পর থেকে নিজেদের ধনসম্পদ প্রভূতভাবে বৃদ্ধি করেছেন। তাদের মধ্যে অনেকের ধনসম্পদ এই পর্যায়ে একশ, দুইশ গুণ বা তারও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে! এসবই হয়েছে চুরি, দুর্নীতি ও লুটতরাজের মাধ্যমে। এর ফলে আওয়ামী লীগ প্রার্থী এবং তাদের সঙ্গে সম্পর্কিত ছোটখাটো দলের প্রার্থীদের মধ্যে তেমন কোনো সৎ লোক নেই।
এসবের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের প্রায় সব পত্রিকায় অসংখ্য রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, কানাডা, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, অস্ট্রেলিয়া, এমনকি ভারতের প্রধান পত্রিকাগুলোতেও বেশ কড়া সমালোচনামূলক রিপোর্ট ও প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু ক্ষমতা-মদমত্ত আওয়ামী লীগ সরকার এসব কিছুই আমলে না এনে তাদের নির্বাচনী এজেন্ডা অপ্রতিহতভাবে কার্যকর করেছে।
যেহেতু নির্বাচনে শতভাগ প্রার্থীই ছিল আওয়ামী লীগ ও তাদের কৃপাপ্রার্থী লেজুড় সংগঠনের এবং যেহেতু নির্বাচনে বিরোধী দলের কোনো প্রার্থী ছিল না; কোনো রাজনৈতিক প্রতিযোগিতা ছিল না; সে জন্য তাতে অংশগ্রহণে জনগণের কোনো উৎসাহ ছিল না। নির্বাচন কমিশনের হিসাবমতো ভোট দিয়েছে ৪২ শতাংশ ভোটার। কিন্তু এটা হলো কারচুপির চূড়ান্ত। কারণ প্রথম থেকেই জাল ভোট শুরু হলেও বেলা ৩টা পর্যন্ত তাদের ঘোষণা অনুযায়ী ভোট পড়েছিল ২৭ শতাংশ। কিন্তু ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত এই শেষ এক ঘণ্টায় ভোটার সংখ্যা দাঁড়ায় ৪২ শতাংশ। যে কোনো সৎ ও নিরপেক্ষ লোকের কাছে এটা বোঝার অসুবিধা নেই যে, শেষ এক ঘণ্টায় অবাধ কারচুপি করা হয়েছে। পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী আওয়ামী লীগ সরকার ছাত্রলীগ ও যুবলীগ কর্মীদের ভোটকেন্দ্রগুলোতে ঢুকিয়ে রাশি রাশি ব্যালট পেপার ভোটের বাক্সে ফেলেছে। এর ফলে ৭ ঘণ্টায় তাদেরই হিসাবমতো ২৭ শতাংশ ভোট পড়লেও শেষদিকে ভোটারদের অনুপস্থিতিতে ভোট পড়ে ১৪ শতাংশ!
আওয়ামী লীগ কোটি কোটি টাকা খরচ করে ভোটার সংগ্রহ করেছে। গরিব ভোটারদের টাকা দিয়ে, বাস ও রিকশায় করে তাদের ভোটকেন্দ্রে উপস্থিত করে ও বিরিয়ানি খাইয়ে আওয়ামী লীগ ভোটার সংখ্যা বৃদ্ধি করেছে। মনে হয়, আসলে ১০-১৫ শতাংশের বেশি ভোট পড়েনি। সংবাদপত্রের রিপোর্ট ও ছবি থেকে দেখা যায়, সমতল ও পাহাড়ি অঞ্চলে অসংখ্য ভোটকেন্দ্র একেবারে ফাঁকা ছিল। কেউ ভোট দেয়নি।
এভাবে এই নির্বাচন দেশের মানুষ এবং আন্তর্জাতিক মহল কারচুপির নির্বাচন হিসেবেই প্রত্যাখ্যান করেছে
কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংস্থা এই নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করে নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচনের আহ্বান জানিয়েছে।
ভারত, চীন, রাশিয়া নিজেদের সাম্রাজ্যবাদী স্বার্থে এই নির্বাচনকে নিরপেক্ষ হিসেবে আখ্যায়িত করে নির্বাচনে জয়ের জন্য শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছে। কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, কানাডা, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, অস্ট্রেলিয়া ইত্যাদি দেশ এ নির্বাচনকে প্রত্যাখ্যান করেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং দুনিয়ার নিকৃষ্ট সাম্রাজ্যবাদী দেশগুলোর বাংলাদেশের নির্বাচনে এই ভূমিকা পালন করার কারণ বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে নানা কারণে তাদের সম্পর্কের অবনতি। বিশেষ করে চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক দিন দিন বৃদ্ধি পেতে থাকা সম্পর্কের অবনতির অন্যতম কারণ। কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই অবস্থান সত্ত্বেও বাংলাদেশের নির্বাচনের ক্ষেত্রে তারা যে ভূমিকা নিয়েছে, তার ফলে বাংলাদেশের পরিস্থিতি দুনিয়াজুড়ে প্রচার লাভ করেছে। উপরোক্ত দেশগুলো ও তাদের প্রধান প্রধান পত্রিকা বাংলাদেশের নির্বাচনের প্রকৃত চরিত্র উদ্ঘাটন করে দুনিয়ার জনগণকে এ বিষয়ে অবহিত করেছে।
২০০৯ সালে ক্ষমতাসীন হওয়ার পর থেকেই প্রধানমন্ত্রী নিজের হাতে সব ক্ষমতা নিয়ে আসার চেষ্টায় নিযুক্ত থেকেছেন। এখন ২০২৪ সালের নির্বাচনে জয়ের পর রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা তাঁর হাতে নিরঙ্কুশভাবে কেন্দ্রীভূত। সরকার ও দলের মন্ত্রী ও নেতারা তাঁর আজ্ঞাবহ ছাড়া আর কিছুই নয়। জনগণ থেকে সম্পূর্ণভাবে বিচ্ছিন্ন অবস্থায় এক হাতে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার এই কেন্দ্রীভবন রাষ্ট্র, ক্ষমতাসীন সরকার ও দল কারও শক্তির পরিচায়ক নয়। কোনো এক আলোচনা প্রসঙ্গে রবীন্দ্রনাথ বলেছিলেন, ‘সমস্ত শরীরের রক্ত মুখে আসিয়া জমা হইলে তাহাকে স্বাস্থ্য বলা যায় না।
আওয়ামী লীগ ২০২৪ সালের এই নির্বাচনে নিরঙ্কুশভাবে জয়লাভ করে রাষ্ট্রের সর্বময় কর্তৃত্বের অধিকারী হয়েছে। তা সত্ত্বেও সারাদেশের লোক এবং আন্তর্জাতিক মহল যেভাবে এই নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে, তাতে নির্বাচনে জয় সত্ত্বেও রাজনৈতিকভাবে আওয়ামী লীগ শোচনীয়ভাবে পরাজিত। এদিক দিয়ে বিচার করলে আওয়ামী লীগ সরকার এখন এক বিরাট সংকটের মধ্যে নিক্ষিপ্ত হয়েছে। নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের মধ্যে অধিকাংশই ব্যবসায়ী। এই ব্যবসায়ীরা এখন নিজেদের ব্যবসায়িক স্বার্থে যেভাবে দেশের শাসনকাজ পরিচালনা করবেন, তার দ্বারা এই সংকট লাঘব না হয়ে আরও বৃদ্ধি পাবে। মুদ্রাস্ফীতি এখন এই সরকারের সামনে এক বিরাট সমস্যা। জিনিসপত্রের দাম কমে আসার পরিবর্তে আরও বাড়বে। দেশে চুরি, দুর্নীতি ও লুটপাট অতীতের থেকে আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করবে। এসব সমস্যা মোকাবিলা করা আওয়ামী লীগ সরকারের পক্ষে অসম্ভব হবে।
আওয়ামী লীগের নির্বাচনে বিজয় সত্ত্বেও দেশের জনগণ আজ তাদের বিরুদ্ধে চরমভাবে বিক্ষুব্ধ। এ পরিস্থিতিতে জনগণও চায় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে এক নতুন নির্বাচন। এদিক দিয়ে আওয়ামী লীগের নির্বাচনে বিজয় সত্ত্বেও দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি এখন উত্তপ্ত। এই পরিস্থিতিতে বিএনপিসহ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো যদি হতোদ্যম না হয়ে নতুন নির্বাচনের জন্য আন্দোলনে নামে, তাহলে রাজনৈতিক পরিস্থিতির মোড় ঘুরবে। মুদ্রাস্ফীতি, জিনিসপত্রের অনিয়ন্ত্রিত মূল্যবৃদ্ধি, চারদিকে আওয়ামী লীগের লোকদের চুরি, দুর্নীতি, লুটপাট, বাংলাদেশের সঙ্গে আন্তর্জাতিক মহলের সম্পর্কের অবনতি ইত্যাদি ইস্যু নিয়ে বিএনপিসহ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো যদি আন্দোলনে দৃঢ়ভাবে এগিয়ে আসে, সক্রিয় হয়, তাহলে দেশের পরিস্থিতির দ্রুত পরিবর্তন হবে। এই সুযোগ যদি বিরোধী দলগুলো ব্যবহার না করে তাহলে সেটা হবে এক বড় রকম রাজনৈতিক নির্বোধের কাজ। শেকসপিয়র লিখেছিলেন, ‘There is a tide in the affairs of man which taken at the flood leads on to fortune.’ বাংলাদেশের জনগণের এবং বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর সামনে এখন এক অনুকূল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এর ফলে আওয়ামী লীগ সরকার গভীর সংকটের মুখোমুখি হবে।
বদরুদ্দীন উমর: তাত্ত্বিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক


দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষ এক ঘণ্টায় ব্যাপক ভোট৮ ঘণ্টায় ভোট পড়েছে ৪ কোটি ৯৯ লাখ ৬৫ হাজার, শেষ এক ঘণ্টায় ভোট পড়েছে ১ ...
09/01/2024

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষ এক ঘণ্টায় ব্যাপক ভোট
৮ ঘণ্টায় ভোট পড়েছে ৪ কোটি ৯৯ লাখ ৬৫ হাজার, শেষ এক ঘণ্টায় ভোট পড়েছে ১ কোটি ৭৬ লাখ ৫৯ হাজার
সর্বোচ্চ ভোট পড়েছে ৮৭ দশমিক ২৪ শতাংশ, সর্বনিম্ন ভোট ১৩ দশমিক ০৪ শতাংশ
প্রদত্ত ভোটের হার নিয়ে কারোর সন্দেহ হলে চ্যালেঞ্জ করতে বললেন সিইসি
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের শেষ একঘণ্টায় ব্যাপক ভোট পড়েছে। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) তথ্যমতে, রবিবার বেলা তিনটা পর্যন্ত ভোট পড়েছিল ২৭ দশমিক ১৫ শতাংশ। পুরো নির্বাচন শেষে ইসি এখন বলছে, মোট ভোট পড়েছে ৪ কোটি ৯৯ লাখ ৬৫ হাজার ৪৬৭টি অর্থাৎ ৪১ দশমিক ৯৯ শতাংশ। এর মধ্যে শুধু শেষ এক ঘণ্টায় ১৪ দশমিক ৮৪ শতাংশ ভোট হয়েছে। অর্থাৎ ১ কোটি ৭৬ লাখ ৫৯ হাজার ৮৮৮ জন ভোটার ভোট শেষ হওয়ার পূর্বের এক ঘণ্টায় তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। শেষ এক ঘণ্টার ভোট পড়ার হার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন নির্বাচন সংশ্লিষ্ট ও প্রার্থীরা।
তবে ইসির চূড়ান্ত ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, দু’টি আসনে ৮৭ ভাগ, ৩টি আসনে ৭০ ভাগ, ১৬টি আসনে ৬০ ভাগ ও ৫৮টি আসনে ৫০ শতাংশেরও বেশি ভোট পড়ে। অন্যদিকে ৫ টি আসনে ২০ শতাংশেরও কম ও ২১টি আসনে ২৫ শতাংশেরও কম ভোট কাস্ট হয়। যার বেশিরভাগই ঢাকায়।
যদিও প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, কারও যদি সন্দেহ-দ্বিধা থাকে, ইউ ক্যান চ্যালেঞ্জ ইট এবং এটা পরীক্ষা করে দেখতে পারেন। রেজাল্টগুলো আসছে যদি মনে করেন বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, তাহলে ইউ আর মোস্ট ওয়েলকাম; ওটাকে চ্যালেঞ্জ করে আমাদের অসততা আপনারা পরীক্ষা করে দেখতে পারেন। এখন ফাইনাল যে পারসেন্টেজটা হচ্ছে ৪১ দশমিক ৮ শতাংশ।
ইসি থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, রবিবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত টানা বিরতিহীনভাবে এবার ২৯৯টি আসনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে একটি আসনের একটি কেন্দ্র স্থগিত থাকায় বাকী ২৯৮টি আসনের ফলাফল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। এতে ২২৩টি আসনে আওয়ামী লীগ, ১১টি আসনে জাতীয় পার্টি-জাপা, ৬১টি আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী এবং জাসদ, ওয়ার্কার্স পার্টি ও কল্যাণ পার্টি একটি করে আসনে জয়লাভ করে। ২৯৮ আসনের নির্বাচনে ১১ কোটি ৮৯ লাখ ৮৯ হাজার ২৪১ জন ভোটারের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ ছিল। এর মধ্যে ৪ কোটি ৯৯ লাখ ৬৫ হাজার ৪৬৭ জন তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। যা মোট ভোটারের ৪১.৮ ভাগ। নির্বাচনে ভোট প্রদত্তের হার ৪১ দশমিক ৯৯ শতাংশ। পার্বত্য এলাকার ২১টি ভোটকেন্দ্রে একটি ভোটও পড়েনি। নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী ১৯৬৯জন প্রার্থীর মধ্যে প্রায় দেড় সহস্রাধিক প্রার্থী জামানত হারিয়েছেন। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী, প্রদত্ত ভোটের ৮ শতাংশের এক শতাংশ ভোট না পেলে জামানত হারান প্রার্থীরা। এই জামানত হারানোর তালিকায় বেশকয়েকজন হেভিওয়েট প্রার্থী আছেন।
আলোচনায় শেষ একঘন্টা: শেষ একঘণ্টার ভোট নিয়ে আলোচনা সর্বত্রই। ভোটের দিন রবিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় ইসির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে সচিব মো. জাহাংগীর আলম বলেছিলেন, সকাল ৮টা থেকে ১২টা পর্যন্ত ১৮ দশমিক ৫০ শতাংশ ভোট পড়েছে। অর্থাৎ প্রথম চার ঘণ্টা ভোট পড়ে ২ কোটি ২০ লাখ ১৩ হাজার ৯টি ভোট। এরপর বেলা সাড়ে ৩টায় আবার প্রেস ব্রিফিংয়ে আসেন ইসি সচিব। তখন তিনি সাংবাদিকদের বলেন, বিকাল ৩টা পর্যন্ত ২৭ দশমিক ১৫ শতাংশ ভোট পড়েছে। হিসাব অনুযায়ী তখন ভোট পড়ে ৩ কোটি ২৩ লাখ ৫ হাজার ৫৭৮টি ভোট। তখন বিভাগ ওয়ারী কোন বিভাগে কত ভোট পড়েছে তার হিসাবও দেন ইসি সচিব। ভোটগ্রহণ শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে আসেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি)। সন্ধ্যায় সাড়ে ৫টায় প্রেস ব্রিফিংয়ের শুরুতে সিইসি ভোটের হার ২৮ শতাংশের মতো পড়েছে বলে উল্লেখ করেন। পরে সিইসি’র পাশে থাকা সচিবসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা সিইসিকে ৪০ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানান। তবে পরে তা সংশোধন করে সিইসি বলেন, এখনো নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না। এখন পর্যন্ত ৪০ শতাংশ ভোট পড়েছে। তবে আরও হয়তো বাড়তে পারে। আবার নাও পারে।
গতকাল বেলা সাড়ে ৩টায় নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখী হন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। সিইসি বলেন, চূড়ান্ত রিপোর্ট অনুযায়ী দেশের ২৯৮ সংসদীয় আসনে ৪১ দশমিক ৮ শতাংশ ভোট পড়েছে। কারো সন্দেহ থাকলে চ্যালেঞ্জ করতে পারে। ইসি স্বাগত জানাবে। যদিও ইসির চূড়ান্ত ফলাফল শীটে ভোট প্রদত্তের হার ৪১ দশমিক ৯৯ শতাংশ।
ইসির দেয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, শেষ এক ঘন্টায় ১৪ দশমিক ৮৪ শতাংশ ভোট পড়েছে। প্রথম সাত ঘন্টায় ভোট পড়েছে ৩ কোটি ২৩ লাখ ৫ হাজার ৫৭৮টি। হঠাৎ শেষ একঘন্টায় কিভাবে ১ কোটি ১ কোটি ৭৬ লাখ ৫৯ হাজার ৮৮৮টি ভোট পড়েছে তা নিয়ে স্বয়ং প্রশ্ন আছে ইসির সংশ্লিষ্টদের মধ্যে।
নির্বাচন বিশেষজ্ঞ ও ইসির সংশ্লিষ্টদের মতে, শেষ এক ঘন্টা অনেকটা নিয়ন্ত্রিত ভোট হয়েছে। গ্রামাঞ্চলের আসনগুলোয় শেষ দিকে কেন্দ্র ফাঁকা থাকলেও ভোট পড়েছে ব্যাপক। এই ব্যাপক ভোট পড়ার পেছনে নিয়ন্ত্রক হিসাবে স্থানীয় প্রশাসন ও ভোটগ্রহণ কর্মকর্তারাই সম্পৃক্ত। অনেক আসনের কিছু কিছু কেন্দ্রের দরজা ওই সময়ে বন্ধ থাকতে দেখা গেছে বলে অভিযোগ আছে। কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি দেখাতে ডামি লাইনও প্রস্তুত রাখা হয় কিছু কেন্দ্রে। নিয়মানুযায়ী বিকাল ৪টায় ভোট শেষ হওয়ার আগে কোন ভোটার কেন্দ্রের ৪শ গজ চৌহদ্দির মধ্যে প্রবেশ করলে নির্ধারিত সময়ের পরেও ভোট নেয়ার সুযোগ আছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু ইত্তেফাককে বলেন, আমার নির্বাচনী আসনে দেখেছি স্থানীয় প্রশাসন নিরপেক্ষ ছিলো না। একজন প্রার্থীর হয়ে প্রশাসন দিনভর কাজ করেছে।
এদিকে, ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন গ্রহণযোগ্যতা পাবে না বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টি-জাপার চেয়ারম্যান জি এম কাদের। সোমবার রংপুর নগরীর স্কাইভিউ ভবনে তিনি বলেন, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের আশ্বাসে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলাম আমরা। কিন্তু সরকার আমাদের কথা দিয়ে কথা রাখেনি। সরকারের নিয়ন্ত্রণে নির্বাচন হয়েছে। এই নির্বাচনে সরকার যেখানে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট করতে চেয়েছে, সেখানে করেছে। আর যেখানে তাদের লোকজনকে জেতাতে চেয়েছে সেখানে তারা আমাদের লোকজনকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ও জোর করে সিল মেরে হারিয়ে দিয়েছে। সার্বিকভাবে এই নির্বাচন ভালো হয়নি।
শেষ এক ঘন্টার ভোট নিয়ে যা বললেন সিইসি : ১ ঘণ্টায় ভোটের ব্যবধান বাড়লো কীভাবে এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, বেলা ৩টা না, সেটা ২টা পর্যন্ত রেজাল্ট ছিল। ইসি সচিব তিনটার রেজাল্ট জানিয়েছেন এমন বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, আপনারা একটা কাজ করতে পারেন। টোটাল রেজাল্টটা যখন চলে আসে, আসার পরে কে কতটা ভোট পেলেন, ২৯৮ সংসদীয় আসনের একজন, দুইজন, তিনজন, চারজন এভাবে সবার ভোট যোগ করে এক্সেলে ফেলে দিয়ে পার্সেন্টেজটা নিজেরাই দেখে নিন। তিনি আরো বলেন, যখন আমি ২টার সময়ে বলি তখন কোনোভাবেই এটা পুরোপুরি সঠিক হওয়ার কথা নয়। যখন চারটার সময়ে বলি এটা কোনোভাবেই সঠিক হওয়ার কথা নয়। সব চলে আসার পর যখন রাত ১০টায় বলি, তখন সঠিকটা বলা যাবে।
সর্বোচ্চ ৮৭.২৪ সর্বনিম্ন ১৩.০৪ শতাংশ: এবারের নির্বাচনে সর্বোচ্চ ৮৭.২৪ ভাগ ভোট পড়েছে গোপালগঞ্জ-৩ আসনে। আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ আসনে বিজয়ী হয়েছেন। এ আসনের মোট ২ লাখ ৯০ হাজার ২৯৭ ভোটের মধ্যে ২ লাখ ৫৩ হাজার ২৪৭ ভোট কাস্ট হয়। এর মধ্যে শেখ হাসিনা ২ লাখ ৪৯ হাজার ৯৬২ ভোট পান। আর সর্বনিম্ন ১৩.০৪ শতাংশ ভোট পড়েছে ঢাকা-১৫ আসনে। এ আসনে ৩ লাখ ৪৪হাজার ৫০৭জন ভোটারের মধ্যে মাত্র ৪৪ হাজার ১৩৬জন তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের কামাল আহমেদ মজুমদার ৩৯ হাজার ৬৩২ ভোট পেয়ে বিজয়ী এবং জাতীয় পার্টি-জাপার সামছুল হক ২ হাজার ৪৪ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় হন।
ইত্তেফাক/এমএএম

03/11/2023

স‍্যালুট আপনাকে।

02/11/2023

সত্যিই কথা। ক্ষমতায় থাকতে হলে ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতা অর্জন করে থাকতে হবে। ভোট চোর সরকার কখনও সঠিক শাসক হতে পারে না। যার কাছে জনগণের ভোট নিরাপদ নয় তার দ্বারা দেশের কল‍্যাণ সম্ভব নয়, কাম‍্য নয়।

বাংলাদেশে এমন একজন মুক্তিযোদ্ধা আছে কি যার স্ত্রী জেলে বন্দি আছে? একজনও নেই। একজন খেতাব প্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা যার উপাধী ব...
04/10/2023

বাংলাদেশে এমন একজন মুক্তিযোদ্ধা আছে কি যার স্ত্রী জেলে বন্দি আছে? একজনও নেই। একজন খেতাব প্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা যার উপাধী বীর উত্তম জিয়াউর রহমান। যিনি দেশের স্বাধীনতার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছিলেন তার সহধর্মীনী ৩ (তিন) বারের প্রধান মন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এখনও চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে কাতরাচ্ছেন। তাঁর উন্নত চিকিৎসা অত্যন্ত প্রয়োজন। অথচ দেশের স্বাধীনতা এনে দেয়া পরিবার আজ বন্দি। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা যে কত নিষ্ঠুর তার উজ্জ্বল প্রমাণ এটি। এতে বুঝতে বাকি নেই দেশ এখন জালিমের হাতে। দেশের স্বাধীনতা আর ন্যায়বিচার অবরুদ্ধ।
মনে রাখা প্রয়োজন শহীদ প্রেসিডেন্ট একজন
বীর উত্তম খেতাব প্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা যা শেখ মুজিবুর রহমান নিজেই দিয়েছেন।
জিয়া পরিবারের অবদান দেশের জনগণ কখনও
ভুলবে না।


#অসভ্যভোটচোর



বাংলাদেশের গণতন্ত্রের মা, গণতন্ত্রের ধারক ও বাহক, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। যিনি আজ বন্দি, গণতন্ত্র ও বন্দি। কঠিন কষ্ট...
04/10/2023

বাংলাদেশের গণতন্ত্রের মা, গণতন্ত্রের ধারক ও বাহক, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। যিনি আজ বন্দি, গণতন্ত্র ও বন্দি। কঠিন কষ্টে দিন পার করছেন। ছোট ছেলে মারা গিয়েছে দেখতে পারেন নি। বালুর ট্রাকে বন্দি করে রেখে দিয়েছিল ভোট চোর সরকার।
বড় ছেলে লন্ডনে। যে মা সন্তানের জন্য রাত জেগে সেবা করেন সেই মা আজ অসহায়। বড় ছেলে বেচে থাকলেও মায়ের কাছে থাকতে পারছেন না। কত কষ্টের, কত বেদনাদায়ক। ভোট চোর সরকার দেশনায়ক জনাব তারেক রহমানকে দেশে আসতে দিচ্ছে না। বিদেশে চিকিৎসা করতে যেতেও দিচ্ছে না। মুলত দেশনেত্রীকে মেরে ফেলার জন্য সর্বাত্নক চেষ্টা করছে সরকার।
তার মৃত্যু নিয়ে কত মজা করছে সরকার।
অশিক্ষিত, মূর্খের মত ঠাট্টা করছে #অসভ্যভোটচোর সরকার।
সবাই প্রস্তুত থাকবেন। দেশের গণতন্ত্র পূণরায় ফিরিয়ে আনতেই হবে । আমাদের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতেই হবে।



03/10/2023

পৃথিবীর সবচেয়ে নিকৃষ্ট প্রধানমন্ত্রী। ভোট চোরের লজ্জা বলতে কিছু নেই। এই হলো মুক্তি যুদ্ধের চেতনানাশক খাওয়া প্রধানমন্ত্রী। একজন বীর উত্তম মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী কে কিভাবে তিলে তিলে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছে।
আজ তার মৃত্যু নিয়ে উপহাস করেছে। ছিঃ ছিঃ থু। একবার ভাবুন, আপনার নিজের বাড়িতে একজন অসুস্থ লোক থাকলে আর কেউ যে এই অবস্থার জন্য দায়ী এধরনের কথা বললে কতটা খারাপ লাগবে। কাটা ঘায়ে নুনের ছিটা দেয়ার মত। #অসভ্য #অভদ্র #ফ্রি #
FreeKhaleda #অহংকার
অপেক্ষা করছে জনগণ এর বিচার করার জন্য। Wait. অন্ধকার রাতের এক সময় শেষ হবে। সূর্য উঠবে। ইনশাআল্লাহ্।

29/09/2023

বৃটিশদের বৈষম্য, শোষণ, নির্যাতন করা আর ভোটাধিকার দিতে দেরি করার কারণে ভারতীয় উপমহাদেশ থেকে চলে যেতে হয়েছে। তাদের পালন আর লালন করা জমিদার গুলো কোথায় আজ? নেই। ঐ জমিদারের বংশধররা নিজের পরিচয় দিতে লজ্জা পায়, ভয় পায়।

পাকিস্তানের আয়ুব খান দীর্ঘ দশ বছর দেশ শাসন করেছে। জোর করে ইস্কেন্দার মির্জার কাছ থেকে ক্ষমতা কেড়ে নিয়ে দেশ শাসন করেছে। নিজের পছন্দ মতো গণতন্ত্রের সংজ্ঞা নির্ধারণ করে সেই অনুযায়ী মৌলিক গণতন্ত্র নামের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার উদ্ভব করেছে। যা তার ক্ষমতাকেও টিকিয়ে রাখতে পারেনি। তিনি যে জনগণের ভোটাধিকার নিয়ে খেলা করেছেন তা জনগণ ভালো করে বুঝেছিল। তাই তার সময়ে পাকিস্তানের অনেক উন্নয়ন হলেও জনগণের মনে জায়গা নিতে পারেনি। জনগণের ভোটাধিকারের প্রতি আয়ুব খানের অবহেলা পাকিস্তান ভাঙার অন্যতম কারণ ছিল।

আয়ুব খানের উন্নয়ন জনগণের ভোট পেতে সাহায্য করেনি। যার ফলে তাকে বাধ্য হয়ে ক্ষমতা ছাড়তে হয়েছে। পাকিস্তানে তিনি যে বিভক্তি আর অবিশ্বাসের বীজ লাগিয়ছিলেন তার ফলাফল ছিল পাকিস্তানের বিভক্তি। পাকিস্তান ভেঙ্গে বাংলাদেশের সৃষ্টি হয় পাক বাহিনীর নারকীয় হত্যা কান্ডের মধ্য দিয়ে।
বাংলাদেশের সৈরাচার সরকার ছিল তারও পতন হয়েছে। ঐ দল আজ চামশামো করে দিন পার করছে। ভোট চোরদের দোসর হিসেবে কাজ করছে। পরগাছা হয়ে বেঁচে আছে বড় দলের সাথে। জনগণ এদের আজও ক্ষমা করেনি।
আর সেই সৈরাচারী সরকারের পতন
ঘটিয়েছিলেন বেগম খালেদা জিয়া।
ইতিহাস সাক্ষী ভোটাধিকার হরণকারীদের জনগণ কখনো ক্ষমা করেনি। কখনও করবেও না। ভোটচোরদেরও ক্ষমা করবে না। ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমেই এর জবাব দেবে জনগণ।

ইতিহাস কথা বলে। ইতিহাস জানুন। ক্ষমতা চিরস্থায়ী নয়।
যে সরকারই থাকুক জনগণের ভোটের মাধ্যমে সম্মতি নিয়েই ক্ষমতায় থাকতে হবে।
আবারও ফ্যাসিস্ট, ভোটচোর সরকারের পতন হবে ইনশাআল্লাহ্। ঠিক তো?




আমেরিকা বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় দেশ। দেশের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রয়োজনে আমেরিকার প্রয়োজন আছে। বাংলাদেশের যে রোহি...
28/09/2023

আমেরিকা বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় দেশ। দেশের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রয়োজনে আমেরিকার প্রয়োজন আছে।
বাংলাদেশের যে রোহিঙ্গা সংকট সৃষ্টির জন্য ভারত আর চীন দায়ী। এই দুটি দেশের অর্থনৈতিক ও ব্যবসায়ীক স্বার্থের কারণেই রোহিঙ্গাদের দেশ থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। রোহিঙ্গারা যে এলাকায় থাকে সেই এলাকার মাটির নিচে প্রচুরপরিমাণ খনিজ সম্পদ রয়েছে। আর এসব উত্তোলন করার জন্য ঐ এলাকার বৌদ্ধ ভিক্ষুদের সাথে রোহিঙ্গাদের দাঙ্গা বাধিয়ে দেয় মায়ানমার জান্তা বাহিনী।
জাতিসংঘে মায়ানমারারের বিরুদ্ধে যেকোনো ধরণের প্রস্তাবে ভারত আর চীন ভেটো দেয়।

তাই আজ আমেরিকার প্রয়োজন আছে। রোহিঙ্গা সংকট সমাধান আমেরিকা ছাড়া কেউ করতে পারবে না। বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি রপ্তানি আয় আমেরিকা থেকে আসে। আমেরিকা পোশাক না নিলে বাংলাদেশের পোশাক শিল্প শেষ হবে।
কে কিনবে আমাদের পোশাক ভারত নাকি চীন?

বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সচল করার জন্য আমেরিকার ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ 10 বছর থেকে বাংলাদেশে একটি অগণতান্ত্রিক সরকার দেশ পরিচালনা করছে। জনগণের ভোট ছাড়া একটি পুতুল সরকার দেশ পরিচালনা করছে। চীন আর ভারতের ব্যবসায়ীক স্বার্থ এবং নিজ দলের নেতা কর্মীদের স্বার্থ পূরণ করছে।
এই 10 বছরে একবার ও ভারত বা চীন ভোটার বিহীন সরকারের সমালোচনা করেনি।
কারণ বাংলাদেশের গণতন্ত্র বা জনগণের অধিকারের প্রতি এসব দেশের গুরুত্ব নেই। এদের গুরুত্ব নিজ স্বার্থের প্রতি।
মনে রাখতে হবে আমেরিকা হলো বিশ্বের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের কর্ণধার, নেতা। আমেরিকার গণতান্ত্রিক ধারণার প্রভাবের কারণেই বহু গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের জন্ম হয়েছে। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকন বলেছিলেন, "গণতন্ত্র হলো এমন এক সরকার যা জনগণের, জনগণের দ্বারা এবং জনগণের জন্য গঠিত হয়।"
আর কোনো সরকার গণতান্ত্রিক কি না তা যাচাইয়ের একমাত্র উপায় বা মাধ্যমে হলো একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নিবার্চন করা এবং এই নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার গঠন করা। আমরা একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই। আমরা জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার দেখতে চাই, তার শাসন চাই। সে যে দলেরই হোক। জনগণ যাকে চাইবে সেই সরকার হবে।

এজন্যই প্রয়োজন একটি নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার।
ঠিক তো?

স্বাধীনতাযুদ্ধের দিনগুলোতে বন্দিজীবন কাটানো দুই সন্তানের মা খালেদা জিয়া দেশের সেনাপ্রধান ও প্রেসিডেন্টের স্ত্রী হিসেবে ব...
19/09/2023

স্বাধীনতাযুদ্ধের দিনগুলোতে বন্দিজীবন কাটানো দুই সন্তানের মা খালেদা জিয়া দেশের সেনাপ্রধান ও প্রেসিডেন্টের স্ত্রী হিসেবে বর্ণাঢ্য জীবনের অভিজ্ঞতা লাভ করেন।

বেগম খালেদা জিয়ার স্বামী শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ( বীর উত্তম খেতাব প্রাপ্ত)। যিনি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধেকালীন Z ফোর্সের প্রধান ছিলেন। এছাড়াও তিনি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের আনুষ্ঠানিক ঘোষকও ছিলেন। শহীদ জিয়াউর রহমানই একমাত্র প্রেসিডেন্ট যার মৃত্যুর পর কোনো দুর্নীতির অভিযোগ করা হয় নি। এমনই সৎ আর দেশপ্রেমিক ছিলেন তিনি)। স্বামী প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে হারিয়ে অল্প বয়সে বিধবা হয়ে দুই সন্তানকে নিয়ে জীবন সংগ্রাম শুরু করতে না করতেই রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন।

রাজনীতিতে বেশ সাফল্যের স্বাক্ষর রাখেন তিনি। চারবারের সংসদে পাঁচটি করে আসনে বিজয়ী হন তিনি। আর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিনবার দেশ পরিচালনায় নেতৃত্ব দেন।

বেগম জিয়া বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। তিনি মুসলিম বিশ্বের দ্বিতীয় নারী প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন।
খালেদা জিয়া ১৯৪৫ সালের ১৫ আগস্ট ভারতের জলপাইগুড়ি জন্মগ্রহণ করেন।

তার গ্রামের বাড়ি ফেনী জেলার ফুলগাজীতে। পিতা ব্যবসায়ী ইস্কান্দার মজুমদার ও মা তৈয়বা মজুমদার দিনাজপুরের চন্দবাড়ির মেয়ে। তিন বোন ও দুই ভাইয়ের মধ্যে তিনি তৃতীয়।

খালেদা জিয়ার শৈশব ও কৈশোর পার করেছেন দিনাজপুরের মুদিপাড়া গ্রামে।

১৯৬০ সালে দিনাজপুর সরকারি স্কুল থেকে ম্যাট্রিকুলেশনে উত্তীর্ণ হন খালেদা খানম পুতুল। পরে তিনি দিনাজপুর সুরেন্দ্রনাথ কলেজে লেখাপড়া করেন । কলেজে পড়ার সময় তখনকার পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন জিয়াউর রহমানের সঙ্গে তার বিয়ে হয়।

১৯৬৫ সালে স্বামীর সঙ্গে পশ্চিম পাকিস্তানে যান। ১৯৬৯ সালের মার্চ পর্যন্ত করাচিতে ছিলেন। এর পর ঢাকায় আসেন। কিছু দিন জয়দেবপুর থাকার পর জিয়াউর রহমানের পোস্টিং হলে চট্টগ্রামের ষোলশহর এলাকায় চলে যান।
জিয়াউর রহমান-খালেদা জিয়া দম্পতির দুই সন্তান তারেক রহমান আর প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকো।
মুক্তিযুদ্ধের শুরুতে তিনি কিছু দিন আত্মগোপনে ছিলেন। পরে ১৬ মে নৌপথে ঢাকায় চলে আসেন। বড়বোন খুরশিদ জাহানের বাসায় ১৭ জুন পর্যন্ত ছিলেন। ২ জুলাই সিদ্ধেশ্বরীতে এস আব্দুল্লাহর বাসা থেকে পাকসেনারা তাকে ও তার দুই ছেলেকে বন্দি করে। ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত তিনি ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে বন্দি ছিলেন।
ছোট ছেলে কোকো ২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি মালয়েশিয়ার একটি হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যান। ১৯৮১ সালের ৩০ মে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে কিছু বিপথগামী সেনাসদস্যের হাতে নিহত হন।
স্বামী নিহত হওয়ার আগপর্যন্ত গৃহবধূই ছিলেন খালেদা জিয়া। দুই ছেলেকে লালন-পালন ও ঘরের কাজ নিয়েই সময় কাটাতেন।
জিয়াউর রহমান দেশের প্রেসিডেন্ট হলেও রাজনীতিতে তার উপস্থিতি ছিল না। পরে দলের নেতাকর্মীদের আহ্বানে বিএনপির হাল ধরেন তিনি। বাস্তবতা বিবেচনায় নিয়ে একসময় তাকে রাজনীতিতে নামতে হয়েছে।
নীতি ও আদর্শে অটুট থাকায় তিনি আপসহীন নেত্রী হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। খালেদা জিয়া তিনবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। বিএনপির চেয়ারপারসন হিসেবে তিনি একটানা ৩২ বছর দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৮২ সালের ২ জানুয়ারি খালেদা জিয়া বিএনপির প্রাথমিক সদস্য হিসেবে যোগ দেন। বছরখানেক যেতে না যেতেই নিজের রাজনৈতিক প্রজ্ঞায় প্রশংসা অর্জন করেন।
পরের বছর মার্চে তিনি দলটির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান পদোন্নতি পান। এক মাস পর ১ এপ্রিল তিনি দলের বর্ধিতসভায় প্রথম বক্তৃতা করেন।
বিচারপতি আব্দুস সাত্তার অসুস্থ হলে তিনি ১৯৮৪ সালের ১২ জানুয়ারি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন এবং একই বছরের ১০ মে চেয়ারপারসন পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।
বিএনপির দায়িত্ব নেয়ার পরই নানা প্রতিকূলতার মুখে পড়েন খালেদা জিয়া। দল ঐক্যবদ্ধ রেখে এরশাদের স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলেন।

একমাত্র বেগম জিয়ার অক্লান্ত পরিশ্রম, ধৈর্যের
আর দূর্বার আন্দোলনের কারণে সৈরাচারী সরকারের পতন হয়। দূর হয় দীর্ঘ প্রায় দশ বছরের অগণতান্তিক সৈরাচারী সরকারের। প্রতিষ্ঠিত হয় সংসদীয় গণতন্ত্র।

তিনি এই দশ বছরে তিনবার জেলে বন্দি হন। স্বৈরাচারী সরকার তাকে ৩ বার বন্দি করে। তবুও তিনি অগণতান্ত্রিক সরকারের সাথে আপোষ করেন নি। এক দফা আন্দোলন করে তিনি দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন।

১৯৮৩ সালে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে সাত-দলীয় ঐক্যজোট গঠিত হয়। একই বছর সেপ্টেম্বরে জোটের মাধ্যমে সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামেন।
১৯৮৬ সাল পর্যন্ত পাঁচ দফায় আন্দোলন চলতে থাকে। ওই বছর ২১ মার্চ রাতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এরশাদের অধীনে নির্বাচনে অংশ নেয়ার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু তাতেও এরশাদবিরোধী আন্দোলনে দমে যাননি।
১৯৮৭ সাল থেকে খালেদা জিয়া ‘এরশাদ হটাও’ এক দফার আন্দোলন শুরু করেন। একটানা নিরলস ও আপসহীন সংগ্রামের পর ১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত সংসদ নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায় বিএনপি।

খালেদা জিয়া ১৯৯১ সালে প্রথমবারের মতো দেশের প্রধানমন্ত্রী পদে নির্বাচিত হন। এর পর ১৯৯৬ সালে ১৫ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয়বার ও ২০০১ সালে জোটগতভাবে নির্বাচন করে তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হন তিনি।খালেদা জিয়া দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থার (সার্ক) দুবার চেয়ারপারসনের দায়িত্ব পালন করেন।

নির্বাচনের ইতিহাসে খালেদা জিয়ার একটি অনন্য রেকর্ড হচ্ছে- পাঁচটি সংসদ নির্বাচনে ২৩ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে সব কটিতেই তিনিই জয়ী হয়েছেন।

যা বাংলাদেশের কোনো মানুষের ক্ষেত্রে ঘটেনি। তার জনপ্রিয়তার কারণে তিনি যখন যে আসনে নির্বাচনে দাড়িছেন সেখানেই জিতেছেন। কখনও কোনো আসনে হারেন নি।

সেনাসমর্থিত ওয়ান ইলেভেনের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে খালেদা জিয়াকে ২০০৭ সালের ৩ সেপ্টেম্বর গ্রেফতার করা হয়। দীর্ঘদিন কারাবাসের পর তিনি আইনি লড়াই করে সব কটি মামলায় জামিন নিয়ে মুক্তিপান। কারাগারে থাকাকালে তাকে বিদেশে নির্বাসনে পাঠানোর চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তিনি যেতে অস্বীকার করেন। তিনি বলেন দেশের মানুষকে রেখে আমি কোথাও যাব না। আমি মুত্যুর আগ পর্যন্ত দেশের মানুষের অধিকারের জন্য লড়াই করব।

আমি সৈনিকের স্ত্রী। সৈনিক যেমন বিপদে কখনও পিছপা হয় না। আমি ও হব না।

বেগম খালেদা জিয়া যিনি গরিবদের জন্য টাস্ট তৈরি করলেন। সেই টাস্টের টাকার দুর্নীতির মিথ্যা অভিযোগে তাকে জেল খাটতে হচ্ছে।

শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান সরকার থাকার সময় এক টাকাও দুর্নীতি হয়নি। শহীদ জিয়ার বেগম জিয়ার থাকার জায়গাও ছিল না। অবশেষে এরশাদ সরকার ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে একটি থাকার জায়গা দেন।

সেটাও আজ নেই। স্বামী ক্ষমতায় থাকার সময় এক পয়সাও দুর্নীতি হয় নি। অথচ আজ দুর্নীতির অভিযোগে তাকে জেল খাটতে হচ্ছে।

আপনারা নিজেরা খেয়াল করবেন, আপনি যদি সতী নারী বা সৎ পুরুষ হোন, বা ঈমানদার হোন। আপনার যারা ক্ষতি করতে চায় তারা সবসময় চেষ্টা করবে আপনার সবচেয়ে ভালো জায়গা বা দুর্বল জায়গায় আঘাত করার। এমনটাই করা হয়েছে জিয়া পরিবারের সাথে।

শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের পরিবারের প্রতি দেশের মানুষের একটি স্বচ্ছ ও দৃঢ় বিশ্বাস ছিল যে জিয়া পরিবার একটি আদর্শ পরিবার। এই বিশ্বাসেই বাকশালীরা প্রচণ্ড আঘাত করে। বিভিন্ন কৌশলে জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করে।

কিন্তু দীর্ঘদিন এ মিথ্যাচারের বীজ স্থায়ী হতে পারেনি। এখন মানুষ বুঝতে পেরেছে সব কাহিনী। সব ষড়যন্ত্র জনগণ বুঝতে পেরেছে।

যেদেশে প্রধান বিচারপতি অবিচারের শিকার হয়েছেন সেখানে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া কিভাবে সঠিক বিচার পায়? কখনও সম্ভব নয়।উপর থেকে যেমন চেয়েছে, তেমন রায় দেয়া হয়েছে। বেগম জিয়া ও তার দল সব সময় জনগণের অধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। বিএনপি কখনও কারো মাথায় বন্দুক রেখে, বিনা ভোটে বা রাতের ভোটে সরকার গঠন করেনি। করেনা। কখনো করবেও না। বহুদলীয় গণতন্ত্রের জনক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এবং সংসদীয় গণতন্ত্রের জনক দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। গণতন্ত্রের আরেক নাম বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল।









Address

Rangpur, Bangladesh
Rangpur
5400

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when We want American Democracy posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share