কাব্যের গল্পগুচ্ছ-Kabbo's Story

কাব্যের গল্পগুচ্ছ-Kabbo's Story Explain Love story & video creator
(8)

30/06/2025

আপু কিন্তু ভালোই গান গায়, আমিও একটু আপুর মতো গাওয়ার চেষ্টা করলাম, যদিও হয় নি,,,😁😁

28/06/2025

সে জনমে তোমাকেই চাই গো,,, যদিও গাইতে পারি না, তাও ট্রাই করলাম,,

আজকে আমি বিয়ে করতে যাচ্ছি। ছোটোবেলা থেকেই স্বপ্ন দেখতাম। একদিন আমি বর সেজে বিয়ে করতে যাবো। অবশেষে আজ আমার স্বপ্ন সত্যি হ...
30/03/2025

আজকে আমি বিয়ে করতে যাচ্ছি। ছোটোবেলা থেকেই স্বপ্ন দেখতাম। একদিন আমি বর সেজে বিয়ে করতে যাবো। অবশেষে আজ আমার স্বপ্ন সত্যি হতে যাচ্ছে। কিছুক্ষণ এর মাঝেই আমি আমার হবু বঊ এর বাসায় চলে এলাম। তাদের বাসার সবাই এসে আমাকে বরণ করে ভিতরে নিয়ে এলো। বর আর কনে কে পাশাপাশি বসানো হলো। আমার খুব ইচ্ছে করছে বউ এর মুখ টা দেখতে। তাই আমি যেই না আমার বউ এর ঘোমটা টা খুলতে যাবো ঠিক তখনি মনে হলো চার দিকে ভুমিকম্প শুরু হয়ে গেল। আমি ভয়ে চার দিকে তাকাতে থাকলাম। আর ফাঁকা জায়গা খুজতে থাকলাম, কোন দিক দিয়ে দৌড়ে পালানো যায়। বউ গেলে আর একটা বিয়ে করতে পারবো, কিন্তু জীবন গেলে,,,,। তাই দৌড়ানোর প্রস্তুতি নিলাম। ঠিক তখন মনে হলো,, আরে এটা তো ভুমিকম্প না, আমার ফোন যা ভাইব্রেটর মুডে আছে। কিন্তু এ কি আমার ফোন কোথাও খুজে পাচ্ছি না। কিন্তু আমার শরীর এখনো কাপতে আছে। কিছুক্ষণ পর বালিশের নিচে হাত দিতেই ফোন টা পেলাম। ওহ তার মানে এতো ক্ষন আমি স্বপ্ন দেখছিলাম। মেজাস টাই খারাপ হয়ে গেলো, বউ এর মুখ টাও দেখতে পারলাম না। ইচ্ছে করছে যে ফোন দিয়েছে তাকে ইচ্ছে মতো গালি দিবো। তাই ফোন টা হাতে নিয়েই তাকিয়ে দেখি, ফোন আর কেউ দেয় নি, মায়া ফোন দিয়েছে।

ফোন টা রিসিভ করেই,,,

- ওই তুই ফোন দেওয়ার আর সময় পেলি ন,?
- কেন রে..
- তুই জানিস, তোর জন্য আমি আমার হবু বউকে হাতে পেয়েও পেলাম না,,
- মানে,,
- মানে আর কি, তোর জন্য তো একটা গার্লফ্রেন্ডও পাইলাম না, তাই স্বপ্নে একটা বিয়ে করতেছিলাম, আর তুই বিয়ে টাও শেষ করতে দিলি না,,,,
- হা হা হা হা,,, আমি তোর স্বপ্নে গিয়েও বাগড়া দিয়েছি,,,,
- চুপ, স্বপ্নে গিয়ে না, ফোন দিয়ে,,
- হয়েছে,, এতো বক বক না করে, রেডি হয়ে ক্যাম্পাসে আয়,,
- ঠিক আছে, ফোন রাখ,,

এরপর ফোন রেখে আমি ফ্রেস হতে চলে গেলাম। ফ্রেস হতে হতে না হয় আমি আপনাদের আমার পরিচয় টা দিয়ে দেই। আমি শুভ্র, অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। আর যে আমার স্বপ্নের বারো টা বাজালো সে আমার একমাত্র বেস্টফ্রেন্ড মায়া। শুভ্রের মায়া। হা হা হা হা,,,। সুন্দর না।

সেইদিন ভার্সিটি তে আমার তৃতীয় দিন। আমি আর রিয়াদ আমার ডিপার্টমেন্ট এর সামনে দাঁড়িয়ে আছি। এমন সময় দুইটা মেয়ে আমাদের সামনে দিয়ে হেটে যাচ্ছে। দেখে মনে হচ্ছে তারা নতুন। তাই ভাবলাম একটু মজা করি,,। আমি মেয়েটার সামনে গিয়ে দাড়ালাম,,,

- এই যে মেয়ে কোন ইয়ার শুনি,,,

কোনো জবাব না দিয়ে তারা চলে যেতে থাকে। আমি আবার তাদের সামনে গিয়ে বললাম,,।

- এই মেয়ে তুমি তো অনেক বেয়াদব, সিনিয়র রা তোমাকে কিছু একটা জিজ্ঞেস করছে আর তুমি উত্তর না দিয়ে যাচ্ছো,,,। নাম কি তোমার,,

- তখন একজন আমতা আমতা করে বললো,, মায়া,,,
- ভালো না, তা সিনিয়র দের দেখলে সালাম দিতে হয় জানো না,,,

এইটা বলার সাথে সাথে আমার ঘারে হাত এর স্পর্শ পেলাম। তাকিয়ে দেখি লিলি আপু,, আমাদের ডিপার্টমেন্ট এর বড় আপু।

- কিরে, তুই কি ভালো হবি না,, প্রথম দিন তো বড় আপু কে র‍্যাগ দিতে ধরছিলি, আর আজ আবার আর একজন কে,,, এই মেয়ে কোন ইয়ার তুমি,,
- আমি ফাস্ট ইয়ার। (মায়া)
- কোন ডিপার্টমেন্ট,,, (লিলি আপু)
- ম্যানেজমেন্ট।

কি,, তার মানে এই মেয়ে আমার ডিপার্টমেন্ট এর। এখনি পালাতে হবে,,,

- আপু আমি যাই, আর কখনো কাউকে র‍্যাগ দিবো না,,,,(আমি)

এই বলে আমি সেইখান থেকে দৌড়ে পালিয়ে এলাম।

এরপর মায়া, আপু কে জিজ্ঞেস করলো,,,

- আচ্ছা আপু, উনি এইভাবে দৌড়ে পালালো কেন,,,
- ক্লাসে যাও, বুঝতে পারবে, আর হ্যা শোনো, কোনো রকম সমস্যা হলে আমাকে জানাবে,,,

আমি ক্লাসে এসে হাপাতে হাপাতে বসে পড়লাম।
একটু পর সেই মেয়ে টা মানে মায়া, ক্লাসে প্রবেশ করে।ক্লাসে ডুকেই আমার দিকে তাকিয়ে থাকে। তার দিকে তাকাতেই বুঝলাম সে অনেক রেগে আছে। ভাবছিলাম মেয়েটা হয়তো আমাকে বোকাঝকা করবে কিন্তু কিছুই করলো না। যাক বাবা বেঁচে গেলাম।

ওই মেয়ের সাথে আর কখনো কথা বলার সাহস হয় নি আমার। এইভাবে কয়েক দিন চলে গেলো। দেখতে দেখতে ভার্সিটিতে প্রথম ভ্যালেন্টাইন্স চলে এলো। আমার ফ্রেন্ডরা সবাই মিলে আমাকে চেপে ধরলো যে, আজকে যেকোনো একজন কে প্রপোজ করতেই হবে। আমি তাদের বললাম, দেখ এই সব প্রেম আমার দ্বারা হবে না। কিন্তু কে শুনে কার কথা। পরে তাদের জোড়াজুড়ি তে রাজি হলাম। কিন্তু শর্ত একটাই প্রপোজ করবো কিন্তু প্রেম করবো না। সবাই মেলে নিলো।

- কিন্তু কাকে প্রপোজ করতে হবে।
- 5 মিনিট এর মধ্যে এই দোড়জা খুলে যেই মেয়ে আগে রুমে প্রবেশ সে,,

আমি ফুল হাতে দোড়জার সামনে দাঁড়িয়ে আছি। বুকের ধুকপুকানি টা অনেক বেরে যাচ্ছে। মনে মনে ভয় হচ্ছে প্রপোজ করতে গিয়ে উত্তম মাধ্যম না খেলেই হলো। একটু পর কারো পায়ের শব্দ পেতে থাকি। তখন সাথে সাথে নিজের চোখ বন্ধ করে ফেলি,,
এরপর দোড়জা খোলার সাথে সাথে বলে উঠি,,

- i love u, will you be my girlfriend?

- তোর প্রপোজ করা আমি বের করছি,,

এইটা শুনে তাকিয়ে দেখি মায়া,, রীতিমতো ঢক গিলতে শুরু করি,, এরপর মায়াও এদিক ওদিক কি যেন খুজতে থাকে, সে একটি ছোট লাঠিও পায়। আমার এই খানে থাকা বিপদজনক। এই ভেবে দৌড় মারি। মায়াও আমার পেছন পেছন দৌড় দেয়।

- ওই দ্বারা দৌড়াচ্ছিস কেন, প্রেম করবি না আমার সাথে, আমাকে তোর গার্লফ্রেন্ড বানাবি না,, পালাচ্ছিস কেন,,,

- আমাকে কি পাগলে পেয়েছে,, যাই হয়ে যাক, আজকে আমাকে কেউ আঠকাতে পারবেন না।

সেই দিন মায়া আমাকে সম্পুর্ন ক্যাম্পাস দৌড় করিয়েছে। এরপর ধীরে ধীরে আমারা দুইজনেই খুব ভালো বন্ধু হয়ে গেলাম। একজন যেন আর একজন কে ছাড়া চলেই না।।।

কিছুক্ষণ পর আবার মায়া ফোন দিলো,,

- কিরে তোর আসতে আর কতক্ষন লাগবে।
- এইতো বের হচ্ছে,, একটু ওয়েট কর,,,

এরপর আমি ক্যাম্পাসে চলে আসি। এসে দেখি মায়া শহীদ মিনারের সামনে বসে আছে,,,,

- কিরে, এখানে বসে কি করছিস,,
- সেই কথা পড়ে বলছি, আগে আমার ঝালমুড়ি দে,,,।

(এই যা, তাড়াহুড়োর জন্য তো ওর জন্য ঝালমুড়ি আনতে ভুলে গিয়েছি, এখন কি করি,, আসলে ও আমার কাছে শুধু এই টুকুই চায়, বলতে গেলে এইটা আমার ডিউটি, কি করি এখন)

- একটা কথা বলি,, আমি না, ঝালমুড়ি আনতে ভুলে গেছি,,,
- ভুলে তো যাবিই, আমি কে যে আমার কথা তোর মনে থাকে৷ তোর তো এখন স্বপ্নের বউ হয়েছে, যা তুই তোর সে বউ এর কাছে,,
- যাবো কি করে, তুই তো ওর মুখ দেখতে দিলি নি,,,
- কি বললি তুই, অন্য মেয়ের মুখ দেখতে পারিস নি দেখে তোর আফসোস হচ্ছে,, থাকবো না আমি তোর সাথে,, তুই থাক,,
- ওই কই যাচ্ছিস৷ থাম,,

এরপর মায়া সেইখান থেকে উঠে অন্য একজায়গায় বসলো,, আমি তো জানি কি করে তার রাগ ভাঙ্গাতে হবে,,,।

তাই আমি সোজা তার জন্য ঝালমুড়ি আনতে চলে গেলাম। এরপর তার হাতে দিয়ে চাইলাম কিন্তু সে নিলো না,, বললো,,

- তোর ঝালমুড়ি তুই খা, আমার লাগবে না,,

আমিও নাছোড়বান্দা,, মিছে মিছে ঝালমুড়ি খাচ্ছি আর বলছি,,

- আজিকের ঝালমুড়ি টা আগের চেয়ে অনেক মজা হয়েছে,,, মামা যে কিভাবে এতো সুন্দর ঝালমুড়ি মাখে,,,

( আড় চোখে মায়ার দিকে তাকাচ্ছি, দেখেই বুঝা যাচ্ছে সে লোভ সামলাতে পারছে না)

এরপর।সে আমার কাছ থেকে ঝালমুড়ি কেড়ে নিয়ে বললো,,

- তোর লজ্জা করে না, অন্যের জিনিস না বলে খাইতে,,, এইটা আমার সো এতে একদম নজর দিবি না,,।

- তোর জন্যই এনেছি, আমি একটুও খাই নি,,
- ভালো করেছিস৷ এখন তুই চুপচাপ বসে থাক আর আমাকে খাইতে দে,,, আর হ্যা নজর দিবি না একদম, যদি পেট খারাপ হয় না, তো বুঝবি,,
- ঠিক আছে তুই খা, কিন্তু এখন তো বল, এতো আর্জেন্ট ডাকলি কেন,,
- আরে এমনি, একা একা বোর লাগছিলো তাই,,,
- ধুর, তোর জন্য আমি শান্তি মত খাইতেও পারলাম না,,।
- ঠিক আছে কান্না কাটি করিস না, তোর জন্য আমি খিচুড়ি রান্না করে এনেছি,,
- সত্যি বলছিস, আমার খুব ক্ষুধা লেগেছে, দে না, আমি এখনি খাবো,,
- খিচুড়ির কথা শুনলে তোর হুস থাকে না তাই না,
- তুই তো জানিস, খিচুড়ি আমার কতো প্রিয়,,
- ঠিক আছে, একটু গল্প করে নেই তারপর একসাথে খাবো,,

কথা বলতে বলতে আমাদের ফাস্ট ইয়ার এর একটা মেয়ে এসে আমাকে বলছে,,

- শুভ্র ভাইয়া, আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, আপনি যদি সেইদিন আমাকে পড়া টা না বুঝিয়ে দিতেন আমি আজকে ফাস্ট হতে পারতাম না, এই নেন এই একটা চকলেট আপনার,,,

আমি মায়ার দিকে শুধু তাকিয়ে আছি, সে আমার দিকে অগ্নিকাণ্ডের লাভার মত তাকিয়ে আছে,, এইটা দেখে আমি মনে মনে ভাবছি,, এইবার আমার খবর আছে,, জানি না, আজ বেঁচে থাকবো কি না,, যদি বেঁচে থাকি তাহলে পরের পার্ট এ দেখা হবে,,,।

wait for next part...

#ডিয়ার_বেস্টফ্রেন্ড-2

#লেখকঃ_কাব্য (পার্টঃ 1)

আজ ১৪-ই ফেব্রুয়ারী।  আমার ভালোবাসার মানুষটির ২২ তম জন্মদিন।সে চেয়েছিলো, আজকের দিন টা তে সে যেন সবার আগে আমাকে দেখে। কিন্...
14/02/2025

আজ ১৪-ই ফেব্রুয়ারী। আমার ভালোবাসার মানুষটির ২২ তম জন্মদিন।

সে চেয়েছিলো, আজকের দিন টা তে সে যেন সবার আগে আমাকে দেখে। কিন্তু আমার ঘুম থেকে উঠতে আজ একটু দেরি হয়ে গেলো। এই দিকে সেও আমাকে কোনো ফোন করেনি। বুঝতে পারলাম সে রাগ করেছে। তাই তো আমি তার জন্য ২২ টি লাল গোলাপ নিয়ে চলে গেলাম তার কাছে। যেতে যেতে অনেক দেরি হয়ে গেলো।

আমি তার কাছে যেতেই আমাকে দেখে অভিমানে সে অন্য দিকে মুখ ঘুরিয়ে তাকিয়ে রইলো। আমি তাকে বললাম,,,

- কি হলো, আমার সাথে কথা বলবে না,,,
- তোমার সাথে আমার আড়ি,, সেই কখন থেকে তোমার জন্য অপেক্ষা করে আছি, আর তুমি এখন এলে,,,,
- আচ্ছা সরি আর এমন হবে না, এই যে দেখো কান ধরছি,, লক্ষ্মীটি একটু আমার দিকে তাকাও,,,

আমার প্রিয়তমা আর আমার উপর রাগ করে থাকতে পারলো না। কি করে রাগ করে থাকবে, সে তো আমাকে আমার চেয়েও বেশি ভালোবাসে। সে আমার দিকে তাকিয়ে বললো,,,

- হয়েছে থাক আর কান ধরতে হবে না। ক্ষমা না করলে তো আবার তুমি এতিম হয়ে যাবে, হি হি হি হি....

- তোমাকে ছাড়া তো আমার এতিমই লাগে, বুঝো না,,,

- আমার জন্য গোলাপ এনেছো তো, নাকি সেইটাও ভুলে গেছো।

- কি বলো, আমি কি এইটা ভুলতে পারি। তুমি তো আমার কাছে কখনওই কিছু চাও না, শুধু প্রতিটা বছর এই দিনে এই কিছু গোলাপ চাও, আর তা আমি কি করে ভুলে যাই বলো,,,

- থাক হয়েছে,, এখন আমার গোলাপ দেও।

এরপর আমি তার হাতে গোলাপ গুলো দিলাম। এরপর সে আমাকে বললো,,

- এই আমার খোপায় একটা গোলাপ পড়িয়ে দিবে না।
- হ্যা দিবো তো,,,

এরপর আমি তার খোপায় একটা গোলাপ পড়িয়ে দিলাম।

তারপর সে আমার দিকে তাকিয়ে বললো,,,

- এই তোমাকে এই লাল পাঞ্জাবি তে অনেক সুন্দর লাগছে,,,

- লাগবেই তো, আমার পরিটা যে আমাকে এইটা পছন্দ করে দিয়েছে,,,

- তাই না,,,

- কিন্তু, তুমি আজকে এই সাদা কাপর পড়ে আছো কেন, তোমার তো লাল সাড়ি পড়ার কথা,,,,

- তুমি তো জানো আমি শাড়ি তেমন একটা সামলাতে পারি না,,,

- তাই বলে তুমি আজকের দিনে সাদা শাড়ি পড়বে,,,

- এখন তো আমাকে এই টাই পড়ে থাকতে হয়,,,

- এই সাদা কাপড় কেন পড়তে হবে তোমাকে,, কেন?

বলতে বলে আমার চোখ দিয়ে পানি চলে আসে। এইটা দেখে আমার প্রিয়তমা আমাকে বলতে থাকে,,,

- এই তুমি কাঁদছো কেন, তোমাকে না বলেছি কখনো কাদঁবে না, তুমি বুঝো না, তোমার চোখে পানি আসলে যে আমার ভীষন কষ্ট হয়,,,

তোর একাই কষ্ট হয় তাই না। আমার মনে হয় একটুও কষ্ট হয় না। আজ 4 টা বছর পার হয়ে গেলো তুই আমাকে ছেড়ে চলে গেছিস,, একটা বার ভাবলিও না যে তোকে ছাড়া আমি কেমন করে থাকবো। কেমন করে আমার দিন গুলো কাটবে। খুব তো বলেছিলি আমাকে ছেড়ে কোথাও যাবি না আর আমাকে নাকি খুব ভালোবাসিস, তাহলে আমাকে ছেড়ে কেন ওই কা*ফনের সাদা কাপড় নিজের সঙ্গি করে নিলি। ওই একটু আয় না, আমার সাথে একটু কথা বলনা। তোকে যে আমি ভীষণ মিস করি।

তুই না বলেছিলি, ভালোবাসলে কখনো দূরে থাকা যায় না, তাহলে আজ তুই কেন দূরে চলে গেলি আমাকে ছেড়ে,, কেন,,,

খুব ভালোবাসি রে তোকে, আজও ঠিক আগে যেমন ভালবাসতাম তোকে,, যেই খানে আছিস ভালো থাকিস,,।।

এরপর তার কবরের মাঝে ২২ টি গোলাপ ফুল রেখে ধীরে ধীরে তার কাছ থেকে চলে এলাম। শুধু আমি চলেএসেছি, কিন্তু আমার ভালোবাসা সম্পূর্ণ আমার প্রিয়তমার কাছে রেখে এসেছি।

***Happy Birthday my love, Happy Birthday ***

***********কাব্য**********

 #ডিয়ার_বেস্টফ্রেন্ড  #লেখকঃ_কাব্য (পার্টঃ 4)********★***★********- অহনা আমার কেমন যেনো লাগছে..(আয়ান)- এই তুমি এমন করছো ...
08/02/2025

#ডিয়ার_বেস্টফ্রেন্ড

#লেখকঃ_কাব্য (পার্টঃ 4)
********★***★********
- অহনা আমার কেমন যেনো লাগছে..(আয়ান)
- এই তুমি এমন করছো কেন..?
- আমার মাথায় খুব ব্যাথা করছে,, সহ্য করতে পারছি না।। অহনা অহনা......

আমার আর কিছুই মনে নেই। যখন জ্ঞান ফিরলো তখন দেখলাম আমি হাসপাতালের বেড এ সুয়ে আছি। আম্মু আব্বু আর অহনার আব্বু আম্মু আমার পাশে দাঁড়িয়ে আছে আর অহনা আমার মাথার কাছে বসে আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে আর কান্না করছে.....

- এই পাগলি কাদছো কেন,,,,।।
- খুব কষ্ট হচ্ছে তাই না..?
- এই আম্মু আব্বুও দেখি কান্না করছে,, আচ্ছা তোমরা কেন কাঁদছো বলতো,, আমাকে তো এইভাবেই বেছে থাকতে হবে।
- এই তুমি এই সব কি বলছো, ভালো হবে না কিন্তু। আমি কান্না করবো..... (অহনা)
- এই না, একদম কেঁদো না, তুমি জানো না, তুমি কাদলে আমার আরও কষ্ট হয়।।
- আর তুমি যে এইভাবে কথা বলো, এতে আমার খুব ভালো লাগে তাই না।
- সরি রে পাগলি,,,,।
- তোমাকে আমি খুব ভালোবাসি আয়ান,,,।
- এই তুমি এইভাবে কাদছো কেনো..? আব্বু ও এইভাবে কাদছে কেনো...?
- বাবা রে, ডাক্তার রা আজকেই তোর operation করতে চাইছে। (আয়ানের মা)
- অহনা,,(আয়ান)
- হুম বলো,,
- আমি না তোমাকে নিয়ে বাছতে চাই, আমার operation টা না করালে হয় না, যদি আমি সেই খানেই.....

সাথে সাথে অহনা আমার মুখ চেপে ধরলো,।

- তোমাকে না বলছি এই সব কথা না বলতে, দেখো তোমার কিচ্ছু হবে না, তুমি একদম ভালো হয়ে যাবে।
- আমার খুব ভয় করছে অহনা।
- আমি আছি তো তোমার পাশে,, তোমার কিছু হওয়ার আগে আমার কাছে আসতে হবে,,।
- এই তুমি কি বলছো এই সব, একদম বাজে কথা বলবে না।
- কথা দাও তুমি ফিরবে, আর ফিরে এসে আমাকে জড়িয়ে ধরবে...
- হুম ফিরবো আমার ভালোবাসার জন্য আমাকে যে ফিরতেই হবে। একটি বার জড়িয়ে ধরবে আমাকে।
- হুম....

এরপর অহনা আমাকে জড়িয়ে ধরে। আর এই দিকে ডাক্তার এসে জানায় তারা সব কিছু রেডি করে রেখেছে। কথা টা শুনে আমার খুব ভয় হচ্ছে। আমি কি পারবো সব কিছু জয় করে, আমার ভালোবাসার মানুষ গুলোর কাছে ফিরে আসতে৷ আম্মুর কাছে পায়েস, মিষ্টি আর Ice-cream খাওয়ার বায়না করতে,, আর আব্বু কে বলতে যে আব্বু আমাদের ঘুরতে নিয়ে যাবে না৷ আর আমার ভালোবাসার মানুষ টা বলতে যে এই অহনা আমি ফিরে এসেছি, এইবার আমরা ছোট্ট একটা সংসার শুরু করবো যেইখানে আমাদের দুটো ছোট ছোট বেবি থাকবে, আর এই কথা শুনে আমার বুকে অহনা মুখ লুকিয়ে রাখবে,,,।।

অহনার ডাকে আমার ভাবনার জগৎ কেটে গেলো,,,,

- কি হলো আয়ান, কি ভাবছো..?
- না কিছু না,,।
- আমি জানি তুমি কি ভাবছো।
- কি..?
- আমাদের সাজানো সংসার এর কথা,,।
- তুমি কিভাবে বুঝলে,,?
- বলেছিনা ভালোবাসি।

আমি আর কিছুই না বলে অহনা কে জড়িয়ে ধরে চিৎকার করে বলতে থাকলাম।

- আমি বাছতে চাই অহনা আমি বাছতে চাই। আমি তোমাকে নিয়ে আমার স্বপ্ন গুলো সাজাতে চাই।

এর মাঝে আমার মাথায় আবারও পেইন হওয়া শুরু হয়ে গেলো। যন্ত্রণায় আমি ছটফট করতে থাকি। আর অহনা চিৎকার করে ডাক্তার কে ডাকতে থাকে। ডাক্তার আর নার্স মিলে আমাকে OT তে নিয়ে যেতে থাকে। আর আমি শেষ বারের মত আমার ভালোবাসার মানুষদের দিকে তাকিয়ে ধীরে ধীরে চোখ বন্ধ হয়ে যেতে থাকে। চোখ বন্ধ হওয়ার পূর্বে অহনার একটা কথাই শুনতে পাই,,,,
- আয়ান তুমি কিন্তু ফিরে আসবে, আর বলবে এইতো আমার পাগলিটা আমি ফিরে এসেছি তোমার কাছে,,, আমি তোমার জন্য অপেক্ষায় থাকবো। ভালোবাসি আয়ান খুব ভালোবাসি।।।।

আমি আর কিছুই শুনতে পারি নি। আমার চোখ বন্ধ হয়ে গেলো।

31 ঘন্টা পর আমার জ্ঞান ফিরলো। হ্যা, আমার operation টা successed হয়েছে। তবে doctor রা বলেছিলো 48 ঘন্টার মধ্যে জ্ঞান না ফিরলে আমি সারাজীবন এর জন্য হারিয়ে যেতাম আমার ভালোবাসার কাছ থেকে। আল্লাহ আমাকে আমার ভালোবাসার কাছে ফিরিয়ে দিলো। যখন জ্ঞান ফিরলো আমি তাকিয়ে দেখি অহনা আমার আমার পাশে বসে আমার বুকে মাথা দিয়ে চোখের পানি ছেরে দিয়েছে। তার চোখের পানিতে আমার বুকটা একদমি ভিজে গেছে। যখন আমি অহনা কে অহনা বলে ডাক দিলাম সে ধীরে ধীরে আমার দিকে তাকালো আর আমার চোখ খুলা দেখেই আমাকে জড়িয়ে ধরে জোরে জোরে কান্না শুরু করে দিলো। এই কান্না কষ্টের না খুশির কান্না।
আমিও ফিরে পেলাম একটা নতুন জীবন। মা বাবা সবাই খুশি তে কান্না করে দিয়েছে।
অহনার কান্না দেখে আমি অহনা কে ডাক দিলাম,,,
- ওই পাগলী কান্না করছো কেন,,? আমি তো ফিরে এসেছি..
- যানো তোমার যখন জ্ঞান ফিরছিলো না আমি তখন কতোটা ভয় পেয়েছিলাম,,।
- আর ভয় পেতে হবে না, আমি ত ফিরে এসেছি। তোমার ভালোবাসার জোরেই তো আমি ফিরে এসেছি।
- তোমার কিছু হলে আমি....
- চুপ,,, বাজে কথা বললে নাকি কিন্তু ঘুসি মারবো,,,।
- আম্মু...
- এই আম্মু কে ডাকছো কেন,,?
- আম্মু কে বলে দিবো তুমি আমাকে ঘু*সি মারতে চেয়েছো,,।
- নারে পাগলী,, আমি কি আমার পাগলীটাকে আঘাত দিতে পারি,, এখন চুপ করে আমার বুক মাথা রেখে জড়িয়ে রাখো তো আমাকে।।
- হুমমম.....

এরপর অহনা আমার বুকে মাথা রেখে আমায় জড়িয়ে ধরলো,,। আর আমি অহনার মাথায় হাত বুলাতে থাকলাম।
আরো কিছু দিন আমাকে হাসপাতালে থাকতে হলো৷ এরপর আমাকে বাসায় নিয়ে আসা হলো। এখন আমি একদম সুস্থ।

আম্মু আব্বুর আবদার আমার নাকি আবার নতুন করে বিয়ে দিবে। টেনশনে যে আনন্দ করতে পারে নি তখন তাই। আমিও সায় দিলাম,। এই প্রথম কারো দুই বার বিয়ে হবে হয়তো।

বাসায় বিয়ের আনন্দের জোয়ার ভেসে এলো। আত্মীয় স্বজনেরা সবাই এলো আমার বিয়েতে। আমি খুশি মনে দ্বিতীয় বার বর সাজলাম আর অহনা দ্বিতীয় বার বউ।

অহনা কে আজ আগের চেয়ে অন্য রকম লাগছে। কেনো না আজ সে খুব খুশি তার মাঝে আর কোন ভয় নেই।

যাই হোক, অবশেষে খুব ধুম ধাম করে আমাদের দ্বিতীয় বিয়ে সম্পুর্ণ হলো। আমি অহনা কে নিয়ে বাসায় চলে আসি,, আর আজ আমাদের দ্বিতীয় বাসর রাত।

আজ ঘর টাকে খুব সুন্দর করে সাজানো হয়েছে। সেই সৌন্দর্যের মাঝে অহনা মাথায় ঘোমটা দিয়ে বসে আছে। আমি গুটি গুটি পায়ে অহনার কাছে এগিয়ে গেলাম.....

- দেখিতো আমার লজ্জাবতীর লজ্জা রাঙা মুখ খানি...
- একদম ভালো হবে না কিন্তু,,।
- একি,, তুমি তো লজ্জায় একদম টমেটো হয়ে গেছো।
- দেখো এমন করলে কিন্তু আমি আম্মু কে ডাকবো,,।
- যতই আম্মুর ভয় দেখাও আজ কোন কাজ হবে না,,,।
- আম্মু.....

( এ কেমন মেয়ের পাল্লায় পড়লাম রে আমি, বিয়ের রাতেও আমার আম্মু কে ডাকছে,,)
- ওই তুমি কি হ্যা,, আজো আম্মু কে ডাকছো,,?
- এখন তো শুধু আম্মুকে ডেকেছি,, এরপর দুষ্টুমি করলে,, বাড়ির সবাই কে ডাকবো,,,

(এই মেয়ের ভরসা নেই, ডাকতেও পারে)

-ঠিক আছে ঠিক আছে,,,,
( আল্লাহ এই কোন মেয়ের পাল্লায় ফেললা আমাকে- কথাটি আমি আসতে করে বললাম, মনে হয় তাও, অহনা শুনে ফেলেছে)
- এই কি বললা তুমি,,?
- কই, কিছু নাতো,,
- মিথ্যে বলছো কেন, সত্যি করে বলো কি বলছো,,,?
- আসেই কিছু বলি নি,,,
- বলবা নাকি আম্মু কে ডাকবো,,,

(কি জ্বালায় পড়লাম কথায় কথায় আম্মুর ভয় দেখায়).
- বলছি বলছি.. কথায় কথায় আম্মু কে ডাকার কি আছে,,,।
- এইতো গুড বয়।
- বলছিলাম, তোমার জন্য চকলেট আর Ice-cream এনে ছিলাম, কই যে রাখছি মনে পড়ছে না।
- কি তুমি ভুলে গেছে,, এক্ষুণি খুজে নিয়ে আসো, নইলে,,
- আম্মু কে ডাকবা তাই তো,,,
- হি হি হি হি... হুম।
- দারাও খুজে আনছি,,,।

( এই মেয়ে মনে হয় আমার জীবন টাকে প্লাস্টিক বানিয়ে দিবে)

এরপর আমি অহনা কে চকলেট আর Ice-cream খুজে এনে দিলাম। সে এই গুলো পেয়ে তো মহা খুশি।।।।

- এই অহনা শুনো না...
- হুম বলো...
- তুমি তো তোমার গিফট পেলে আমার টা কই,,,?
- তোমার আবার কি গিফট....
- মিষ্টি.....
- একদম ফাজলামো করবা না কিন্তু,,,।
- সেই কখন থেকে আম্মুর ভয় দেখাচ্ছো এইবার আর সুযোগ দিচ্ছি না,,,।
- এই না, না বলছি কিন্তু......

( বাকিটা পাঠকেরা বুঝে নিন)
এতো বড় বাধার পর ও অহনা কিন্তু আয়ান কে ছেড়ে যায় নি, বরং ভালোবেসে সব কিছু জয় করে নিয়েছে, আর শুরু করেছে তাদের স্বপ্নের সংসার........
ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমা প্রার্থী... & wait for next story
(সমাপ্ত)

 #ডিয়ার_বেস্টফ্রেন্ড  #লেখকঃ_কাব্য (পার্ট:3)*******★****★*******- এখন আবার কে এলো..?(আম্মু)- আম্মু তুমি দাড়াও আমি দেখছি....
06/02/2025

#ডিয়ার_বেস্টফ্রেন্ড

#লেখকঃ_কাব্য (পার্ট:3)
*******★****★*******
- এখন আবার কে এলো..?(আম্মু)
- আম্মু তুমি দাড়াও আমি দেখছি..... (আয়ান)

গিয়ে দড়জা খুলে দিলাম। একি এতো অহনা......
আমি কিছু বলে উঠার আগেই অহনা আমাকে জড়িয়ে ধরলো। আর কান্না করতে করতে বলতে শুরু করে দিলো....

- আমাকে এইভাবে কাদালি কেন,,? তুই জানিস না তোকে ছাড়া আমি বাছবো না, তুই কি বুঝিস না যে তোকে আমি ভালোবাসি, তুই কি জানিস না তোর সাথে কথা না বলে আমি একটা মুহুর্ত ঠিক থাকতে পারি না। তাও আমার সাথে এমন করলি কেন,,
- কি বলছিস এই সব, ছেড়ে দে আমাকে, আম্মু আব্বু দেখছে।
- না ছাড়বো না, আগে বল কাল যা বলেছিস মিথ্যে...

(অহনার কথা গুলো শুনে বুকের ভিতর টা দুমড়ে মুচড়ে যাচ্ছে। মনে হচ্ছে খুব জড়ে চিৎকার করে বলি যে অহনা আমিও তোকে খুব ভালোবাসি খুব, কিন্তু আমার কপালে তো আর কারো ভালোবাসা পাওয়া লেখা নেই, আর আমি চাইও না, অহনার বাকি জীবন টা কষ্টে কাটুক, তাই কষ্ট হওয়া শর্তেও আমাকে অনহাকে মিথ্যে বলতে হচ্ছে)

আমি অহনা কে জোর করে ছাড়িয়ে নিলাম।

- কি বলছিস এই সব, তোর মাথা ঠিক আছে,,? আর তোকে না বলছি কোন দিন আমার সামনে আসবি না।
- প্লিজ এইভাবে বলিস না, আমি যে তোকে খুব ভালোবাসি।
- কি....? কিন্তু আমি তোকে ভালোবাসি না, তোকে শুধু বন্ধুর নজরেই দেখেছি আর কিছুই না।
- তুই মিথ্যে বলছিস,, আমি জানি গত দিন তুই আমাকে প্রপোজ করতে চেয়েছিলি,,, তুই যাতে আমাকে প্রপোজ করিস তাই রাতে তোকে মিথ্যে স্বপ্নের কথা বলেছিলাম।
- তোর ধারণা ভুল।
- না ভুল নয়৷ আমি তোর মনকে পড়তে পারি।

অহনার এই সব কথা শুনে আমি কথা বলার ভাষা হারিয়ে ফেললাম,। খুব ইচ্ছে করছে অহনা কে একটি বার জড়িয়ে ধরতে। কিন্তু পারছি না।জানেন বুকের ভিতরে খুব কষ্ট হচ্ছে। কি করে একটা মেয়ে এইভাবে ভালো বাসতে পারে।৷ কিন্তু আমি চাই না অহনা এই মিছে ভালোবাসায় জড়িয়ে যাক।।

- তুই এইখান থেকে চলে যা...

অহনা আমাকে আর কিছু না বলে সোজা আমার আম্মুর পায়ের কাছে বসে পড়লো....

- মা, আপনার ছেলে কে বলেন না,আমাকে যেন ফিরিয়ে না দেয়। আমি আপনার ছেলে টা খুব ভালোবাসি।
- মা রে.... আমি তোমাকে কি বলবো বুঝতে পারছি না।
- মা আপনি আমাকে বলেন না, ওইদিন কি হয়েছিলো যার জন্য আয়ান আমার সাথে এমন করছে। আমার যে খুব কষ্ট হচ্ছে মা৷ আমি যে ওকে ছাড়া বাছবো না।
- কি হয়েছিলো আমার শুনবি,, ঠিক আছে, শোন তাহলে আমার ব্রেইন টিউমার।
- চুপ একদম চুপ, দোয়া করে এমন মিথ্যে কথা বলিস না। মা আপনার ছেলেকে বলেন না, যেন এই সব মিথ্যে কথা যাতে না বলে।
- মারে... আমার ছেলেটা মিথ্যে কথা বলছে না।

(এইটা বলে আম্মু আব্বুর চোখ দিয়ে অঝোরে পানি পড়তে থাকে। অহনাও চুপ হয়ে থাকে। এইবার হয়তো অহনা বুঝতে পেরেছে আমি কেন এমন করেছি। এইবার ঠিকি অহনা আমাকে ভুলে যাবে.. নিরবে আমার কাছে গিয়ে বলে...)

- কিরে, আমার দিকে তাকা, এই জন্য তুই আমার সাথে এইভাবে কথা বলেছিস।
- হুম...
- তুই কি ভেবেছিস তোর এই খারাপ সময়ে আমি তোকে ছেড়ে চলে যাবো।
- তাহলে কি করবি শুনি...
- তোকে ভালোবাসি আমি, আর ভালোবেসে আঁকড়ে ধরে রাখবো তোকে।
- জীবন কোনো নাটক সিনেমা না, ......
- ঠিক তেমনি আমার ভালোবাসাও কোনো নাটক সিনেমা না,,,
- কেন এমন টা করছিস, আমি তো আর কিছু....

(অহনা আমার মুখটি চেপে ধরে)
- প্লিজ এমন কথা বলিস না। আমি তোর কিচ্ছু হতে দিবো না। আমার ভালোবাসা যদি সত্যি হয়, তোকে সকল বিপদ থেকে ফিরে আনবো ইনশাল্লাহ।

আমি পারলাম না অহনা কে আর ফিরিয়ে দিতে। হেরে গেলাম তার ভালোবাসার কাছে। অহনা কে জড়িয়ে ধরলাম।

- আমি বাঁচতে চাই অহনা, আমি তোকে নিয়ে বাঁচতে চাই।
- হুম তুমি বাঁচবে। আমি তোমার কিচ্ছু হতে দিবো না, তারপর তুমি আর আমি আর আম্মু আব্বু মিলে ছোট্ট একটা সংসার বানাবো।
- তাই যেন হয়। আর রাতে তোমাকে কষ্ট দেওয়ার জন্য সরি।
- সরি বললে হবে না, আমাকে Ice-cream আর চকলেট দিতে হবে।
- হুম দাড়াও নিয়ে আসছি।
- এখন না,, আমি আর একটু জড়িয়ে ধরে থাকি তারপর।

আম্মু আব্বুর দিকে তাকিয়ে দেখি শত কষ্টের মাঝেও তাদের মুখে হাসি ফুটেছে আজ। হয়তো তারাও অহনার এই রকম ভালোবাসা দেখে অবাক হয়ে গেছে।

এর পর আম্মু আমাদের খেতে ডাকলো। আমি আর অহনা মিলে খেতে গেলাম। কিন্তু অহনা আমাকে নিজের হাতে খেতে দিলো না। সে নাকি আমাকে খাইয়ে দিবে আর আমি তাকে। আমি বললাম আম্মু আব্বু আছেতো। কিন্তু আব্বু বললো আরে বেপার না, আমি তোর আম্মুকে তার বাবার সামনে কতো খাইয়ে দিয়েছি। সো তুইও লজ্জা পাশ না আর।

- এই ওদের সামনে এইসব তুমি কি বলছো...(তুর্য্যের বাবা)
- হইছে থাক, আপনাকে আর লজ্জা পেতে হবে না, এখন কার ছেলে মেয়েরা আপনার চেয়েও এডভান্স,,, (তুর্য্যের আম্মু)

এরপর অহনা আম্মু কে বললো....

- মা, ডাক্তার কি বলেছে,,?
- মারে... ডাক্তার বলেছে operation করতে কিন্তু তাতে খুব ঝুকি আছে,,। যে কোন কিছু হয়ে যেতে পারে।
- আর operation না করলে...
-......
- কি হলো মা বলুন...
- বলেছে, যদি operation না করা হয় তাহলে আমার ছেলে টা এক বছর এর......

এই বলে আম্মু কান্না করতে শুরু করে দিলো। অহনা গিয়ে আম্মুর মাথাটা জড়িয়ে নিলো। আর আম্মুকে সান্তনা দিতে থাকলো। আর আম্মুকেও খাইয়ে দিলো।

- মা, কিচ্ছু ভাবিয়েন না, আমি আপনার ছেলে কে একদম ভালো করে আপনার বুকে ফিরিয়ে দিবো।
- তাই যেন হয় মা, তাই যেন হয়।
- আমি কালকে আয়ান কে নিয়ে আবার ডাক্তার এর কাছে যাবো।
- ঠিক আছে মা।

এরপর খাওয়া শেষ করে অহনা আর আমি ছাদে গেলাম। গিয়ে অহনার দিকে তাকিয়ে আছি.....

- কি দেখছো এইভাবে....?
- তোমাকে..
- কেন,? আগে দেখোনি বুঝি..
- তখন তো অন্য ভাবে দেখতাম আর এখন তো.....
- এখন তো কি...?
- আচ্ছা অহনা আমি ভালো হবো তো..
- তুমি চিন্তা করো না৷, আমি আছিতো তোমার পাশে,,,।
- তোমার মা বাবা মেনে নিবেন তো...
- হ্যা,, আমি যা বলবো আমার আম্মু আব্বু তাই করবে আমার জন্য।
- অহনা আমি তোমার কলে একটু মাথা রাখতে পারি?
- এই বুদ্ধু এইটার জন্য কি অনুমতি নেওয়ার লাগে।

এরপর আমি অহনার কোলে সুয়ে পড়ি। আর অহনা আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে।

আজ দিন টা হাযারো কষ্টের মাঝে ভালো লাগার মধ্যেই পার করলাম। আজকের দিন টা আমার সব চেয়ে সুখের দিন। এই সুখের মাঝেও ওই আকাশের দিকে তাকিয়ে মনে মনে বলতে থাকলাম,, কি দোষ করেছিলাম আমি, আমাকে কি আপনি একটু সময় দিতে পারলেন না,, একটু বেশি সময় দিলে কি খুব কষ্ট হয়ে যেতো আপনার। আমি এই পাগলি টাকে নিয়ে বাঁচতে চাই, আমাকে দোয়া করে একটু সময় দিবেন প্লিজ,,,।
বলতে বলতে আমার চোখ থেকে কয়েক ফোটা অশ্রু গাল বেয়ে গড়িয়ে পড়তেই অহনা তা মুছে দিয়ে বললো,,,,

- এই পাগল, কাঁদছো কেন,,
- না এমনি,,
- আমি আছি তো তোমার পাশে, তোমার কিছুই হবে না, তুমি যা যা স্বপ্ন দেখেছো দুইজন মিলে তা সব পূরণ করবো দেখে নিয়ে,,।।

আমি আর কিছু বললাম না, অহনার দিকে তাকিয়ে একটা মুচকি হাসি দিলাম।

পরের দিন সকালে অহনা আমাকে ফোন দিলো...

- এই কখন উঠছো..?
- অনেক আগেই।
- এতো আগে উঠার কি দরকার ছিলো। আর একটু ঘুমালে তো পারতে,,।
- ঘুমতে খুব ভয় হয়, যদি আর চোখ খুলতে না পারি..
- চুপ, একদম বাজে কথা বলবে না, যদি বলো না তাহলে আমি কান্না করবো কিন্তু,,,।
- আচ্ছা আচ্ছা আর বলবো না...
- জানো আম্মু আব্বু সব মেনে নিয়েছে। প্রথমে একটু দিমত দিয়েছিলো কিন্তু পড়ে সব মেনে নিয়েছে। তোমাকে আজ ডাক্তার দেখিয়ে আমাদের বাসায় নিয়ে আসতে বলেছে।তুমি আসবে তো..?
- হুম যাবো...
- এখন রেডি হও, আমি আসছি।
- আচ্ছা আসো তুমি।

এরপর আমি আর অহনা মিলে ডাক্তার এর কাছে গেলাম। ডাক্তার আবার সব কিছু টেস্ট করলো। আর রিপোর্ট সেই একি।
কিন্তু ডাক্তার বলেছেন, operation করলে নাকি ভালো হতে পারে, কিন্তু আবার operation bed এই আমি........... থাক এই শব্দ টা আর বললাম না। তবে অহনাও চায় আমি যেনো operation টা করি। কিন্তু তার আগে অহনা আমাকে বিয়ে করতে চায়।

এরপর আমি অহনা দের বাসায় গেলাম৷ তারা খুব সহজ ভাবেই আমাকে মেনে নিলো। এরপর আমাকে বললো আমি যেনো আব্বু কে ফোন দিয়ে আসতে বলি।

আম্মু আর আব্বু কিছুক্ষন এর মাঝেই চলে এলো। এরপর আমার আর অহনার বিয়ের দিন ঠিক হলো। কিন্তু আম্মু খুব ভয় হচ্ছে operation এর কথা শুনে। কিন্তু অহনার ভালোবাসার প্রতি বিশ্বাস রেখে আম্মু ও রাজি হলো।

আজ আমার আর অহনার বিয়ে। বাসা টা খুব সুন্দর করে সাজানো হয়েছে। আমি ভুলেই গেলাম যে আমার ব্রেইন টিউমার। আম্মু আব্বু কে দেখলাম কিছুটা মন মরা,। হয়তো আমি ভুলে গেলেও তারা ভুলে গেলো না। আজ বর সেজে আমি অহনাকে বিয়ে করতে যাচ্ছি। খুব ইচ্ছে ছিলো অহনা কে বধু সাজে দেখার।

অহনা বধু সাজে বসে আছে। অপরুপা লাগছে অহনাকে৷ মনেছে প্রকৃতির সব রঙ গুলো আজ তার মাঝে ঢেলে দিয়েছে। পরীরাও হয়তো তার রুপ দেখে লজ্জা পেয়ে মুখ লুকিয়ে নিয়েছে। অহনার দিকে তাকিয়ে একটা মুচকি হাসি দিলাম। অহনা হয়তো লজ্জা পেয়েছে।
যাই হোক বিয়েটা ঠিক মত হয়ে গেলো। আমি অহনা কে নিয়ে চলে আসলাম। আর আজ আমাদের বাসর রাত....

আমি অহনার কাছে গেলাম।
- জানো আজ তোমাকে খুব সুন্দর লাগছে.
- হুম হইছে আর বলতে হবে না, আমার গিফট কই..?

এরপর আমি অহনাকে কিছু গিফট দিলাম আর তা হচ্ছে অনেক গুলো চকলেট, ice-cream আর কিছু ফুল। কারন অহনা এই সব বেশি পছন্দ করে।
- অহনা....
- হুম বলো...
- আমার খুব ভয় করছে।
- কেন?
- আমি তোমার কাছে ফিরতে পারবো তো, আর তোমাকে নিয়ে আমাদের এই ছোট্ট সংসার টা কে সাজাতে পারবো তো।
- দেখো, আজ আমরা এই বিষয়ে কোন কথা বলবো না। শুধু আজ আমাদের স্বপ্নের কথা গুলো শুনবো।

( এই বল অহনা আমার হাত ধরে তার মাথা টা আমার কাধে রাখলো)

- অহনা আমার কেমন যেনো লাগছে..?
- এই তুমি এমন করছো কেন??
- অহনা আমার মাথায় খুব ব্যাথা করছে,,, সহ্য করতে পারছি না।।।৷ অহনা অহনা......

wait for next part.......

 #ডিয়ার_বেস্টফ্রেন্ড #লেখকঃ_কাব্য (পার্টঃ 2)******★*****★******অহনা কে গুড নাইট বলে ফোনটা রেখে দিলাম। ঘুমটা তো চলেই গেলো...
05/02/2025

#ডিয়ার_বেস্টফ্রেন্ড

#লেখকঃ_কাব্য (পার্টঃ 2)
******★*****★******
অহনা কে গুড নাইট বলে ফোনটা রেখে দিলাম। ঘুমটা তো চলেই গেলো। এখন ভাবছি কাল কি ভাবে অহনা কে আমার কথা বলবো। এ পাশ ও পাশ করতে করতেই রাত টা কাটিয়ে দিলাম। খুব অক্সাইডম্যান্ড কাজ করছে আর সেই সাথে ভয় ও যদি অহনা আমাকে মেনে না নেয়। যা হবার হবে, আমি আজকে বলেই দিবো আমার ভালাবাসার কথা, এতে যা হবার হবে। বিকেল হয়ে গেলো। অহনা ফোন দিলো....
- কিরে কই তুই..?
- তুই কথায়,,?
- আমি তো বাসা থেকে বের হয়ে গেছি, তুইও চলে আয়...
- ঠিক আছে আসছি....

আমি রেডি হয়ে অহনার জন্য আনা চকলেট আর কিছু ফুন নিলাম। কারন এই গুলো দিয়েই অহনা কে প্রপোজ করবো। একি আমার এমন লাগছে কেনো? ধীরে ধীরে সব কিছু ঝাপ্সা হয়ে যাচ্ছে কেন? ওহ মাথায় এতো যন্ত্রণা হচ্ছে কেন,,?
- আম্মু........................

জোড়ে একটা চিৎকার দিলাম। এরপর আমার আর কিছুই মনে নেই। যখন আমার জ্ঞান ফিরলো তখন দেখতে পেলাম আমার আব্বু আম্মু আমার পাশে বসে আছে। আম্মু কান্না করছে আর আব্বু আমার মাথার কাছে বসে আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে।
- আম্মু তুমি কাদছো কেনো? আর আমি এখানে কেন,? কি হয়েছিলো আমার।
- কিছু হয়নি, তুই শুধু মাথা ঘুরিয়ে পড়ে গিয়েছিলি (আব্বু)
- আমারও তাই মনে হচ্ছে, কিন্তু আম্মু এইভাবে কাদছে কেন?
- তুই ২২ ঘন্টা senseless ছিলি তো তাই তোর আম্মু খুব ভয় পেয়েছে, সেই জন্য কান্না করতেছে।
- ও আম্মু কাদছো কেনো? আমি তো ঠিক আসি,।

আম্মু আমাকে আর কিছু না বলে জড়িয়ে ধরে জোরে কান্না করতে শুরু করলো। যা দেখে আমি খুবি ভয় পেলাম। আর ভাবলাম আমি কখনোই আম্মু কে এই ভাবে কাদতে দেখি নি। যখন আমার নানু মারা যায় তখনো না। তাহলে আজ কেনো...?

- আম্মু তুমি কাদছো কেনো..?
- তোর কিচ্ছু হবে না, বাবা,, তোর আম্মু তোকে ভালো করে তুলবে দেখে নিস।
- কিন্তু আম্মু আমার হয়েছে টা কি..?
- কিছু হয়নি বাবা।
- তোমরা আমার কাছে কিছু একটা লুকাচ্ছো। প্লিজ বলো কি হয়েছে।
- কিছু হয়নি, বাবা,। তুই পরে গিয়ে মাথায় আঘাত পেয়েছিস তাই ডাক্তার বলেছে তোর মাথায় ছোট্ট একটা operation করতে।
- তুমি মিথ্যে বলছো। কই আমার মাথায় তো কোনো আঘাত হয়নি। তাহলে কেন operation করবে?
- 😭😭😭😭😭😭😭
- কি হলো কিছু বলছো না কেন..?

আম্মু কাদতে কাদতে বাইরে চলে গেলো৷ আব্বুও আম্মুর পিছন পিছন গেলো।কিন্তু তারা আমার মেডিকেল রিপোর্ট টা নিতে ভুলে গেছে। এই সুযোগ এ আমি রিপোর্ট টা হাতে তুলে নিলাম। রিপোর্ট টা দেখে মুহুর্তের মধ্যে আমার চোখ অন্ধকার দিয়ে আসলো। মনে হচ্ছে আমার পায়ের নিচের মাটি টাও সরে গেছে।

আমার ব্রেইন টিউমার।

মহুর্তের মধ্যেই আমার সব কিছু শেষ হয়ে গেলো। কত স্বপ্ন ছিলো কাল আমি অহনা কে প্রপোজ করবো তারপর ভালোবাসার এক ঘড় সাজাবো। ও আমাকে বার বার ভয় দেখাত যে ও আমার বাসায় এসে আমার আম্মু কে বলবে সে নাকি আমার বউ। আমি তো তাকে সত্যি বউ করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু নিয়তি হয়তো তা চায় নি। খুব কষ্ট হচ্ছে আমার। কি করতে চেয়েছি আর ভাগ্য আমায় কি করে দিলো।

- কিরে আয়ান তোর চোখে পানি কেন..?
- বাবা... ও বাবা.....

আব্বু হয়তো বুঝে গেছে যে আমি সব জেনে গেছি। আব্বু কিছুই বলতে পারছে না, শুধু ছূটে এসে আমাকে জড়িয়ে ধরে কান্না শুরু করে দিলো।
- আব্বু.. আমার সব স্বপ্ন গুলো এইভাবে শেষ হয়ে গেলো...
- না বাবা, কিচ্ছু হয়নি তোর, আমি তোর কিচ্ছু হতে দিবো না।
- আব্বু আমি তোমাদের ছেড়ে যেতে চাই না, আমি তোমাদের সাথে থাকতে চাই,,, আমি তোমাকে আর আম্মু কে খুব ভালোবাসি।
- কি বলছিস এই সব হুম, কথায় যাবি,? একদম এই সব বাজে কথা বলবি না, তাইলে কিন্তু....
- না আব্বু আর বলবো না,। আম্মু কথায়..?
- বাইরে বসে আছে।
- আম্মু কে ডাক দিবা।
- দারা আমি এখনি ডাক দিচ্ছি। আর এই নে তোর ফোন অহনা নামের একটা মেয়ে কাল থেকে তোকে খুব ফোন দিচ্ছে। কথা বলে নে।

এরপর আব্বু আমার কপালে একটা চুমু খেয়ে বাইরে আম্মু কে ডাকতে চলে গেলো। আমি ফোন হাতে নিয়ে দেখি অহনা আমাকে ১৫৬ বার ফোন দিয়েছে। আমি তাই অহনা কে ফোন দিলাম।

- ওই কু*ত্তা, স*য়*তান, বা**ন্দর, কত বার ফোন দিয়েছি তোকে, ফোন রিসিভ করিস নি কেন.?

(আমার এই জীবনের সাথে অহানা কে জড়িয়ে তার জীবন টা শেষ করে দিতে চাই না। আমি চাই অহনা ভালো থাকুক। আর চাই সে যেন আমার থেকে দুরে থাকে)
-.......
- করে চুপ করে আছিস কেন?
- এমনি...
- কাল আমাকে দেখা করতে বলেও আসলি না কেন,,?
- মন চাইনি তাই আসি নি।
- মানে...
- এতো প্রশ্ন করছিস কেন, বললাম তো মন চাই নি।
- আয়ান তুই আমার সাথে এইভাবে কথা বলছিস কেন..?
- তো কিভাবে বলবো,,? তোর সাথে থাকতে থাকতে আমি বিরক্ত হয়ে গেছি।
- মানে,,,
- মানে তুই আমাকে যেইভানে ট্রিট করিস মনে হয় আমি তোর চাকর, যা বলিস তাই শুনতে হবে আমাকে।

( আমার এইভাবে কথা বলার ধরন দেখে অহনা কান্না শুরু করে, সত্যি বলতে আমার ভিতর টাও একদম ক্ষতবিক্ষত হয়ে যাচ্ছে, যেই মেয়ে কে আমি 3 বছরেও একবার চোখের পানি ফেলতে দেখি নি আর আজ আমি তাকে কাদাচ্ছি। যে সামন্য মন খারাপ করলে তাকে হাসানোর জন্য কত কি করতাম আর আজ আমি তার মনে আঘাত করছি)

- আয়ান.....
- কি আয়ান,, কি ভেবেসিস তুই, সব সময় আমি তোর ছেলে মানুষি গুলো মেনে নিবো, আজকের পর থেকে আমাকে কখনো ফোন দিবি না।

এই বলে ফোন টা বুকের মাঝে নিয়ে চোখের পানি ছেড়ে দিলাম। আমি লক্ষ্য করলাম আম্মু আব্বু দূরে দাঁড়িয়ে থেকে সব শুনছে আর আমার মত তারাও চোখের পানি ছেড়ে দিয়েছে।
- আয়ান...
- জানো আম্মু আমার একটা মেয়ে ফ্রেন্ড আছে, আমার সাথে ঝগড়া হয়ে বার বার বলতো যে আমি কিন্তু তোর বাড়ি গিয়ে আম্মু আব্বুকে বলবো যে আমি আপনাদের ছেলের বউ। জানো আম্মু তার এই পা*গলামি গুলো দেখতে দেখতে কখন যে তাকে ভালো বেসে ফেলেছি বুঝতেই পার নি।
- মেয়ে টাকে একবার আমাদের বাসায় নিয়ে আসবি??
- কি ভাবে আনবো বলো আম্মু, আমি যে তাকে খুব বাজে বাজে কথা বলেছি আজ।
- যাকে এতো ভালোবাসিস তাকে কেন কষ্ট দিলি বাবা।
- আমি তাকে কি করে ভালো রাখবো বলো, আমি তো......

( সাথে সাথে আম্মু আমার মুখে হাত দিয়ে চেপে ধরলো)

- না বাবা, এমন কথা কখনো বলবি না। মেয়েটা দেখ তোকে কত ফোন দিচ্ছে রিসিভ করে কথা বল।।
- না, আম্মু আমি চাইনা সে আমার সাথে জড়িয়ে যাক। দেখে নিও, আমি যদি তার সাথে আর কথা না বলি একদিন সে ঠিকি আমাকে ভুলে যাবে।
- আমার ছোট্ট খোকাটা কবে এতো বড় হয়ে গেলো।
- আম্মু.....
- বল বাবা,,,
- আমার খুব কষ্ট হচ্ছে।
- কথায় কষ্ট হচ্ছে বল আমাকে,,,?
- যাকে এতো ভালোবাসি আজ তাকে খুব খারাপ কথা বলেছি, তার চোখে অশ্রু এনে দিয়েছি। আম্মু সে খুব কান্না করছে।
- তুই একটু ওর সাথে কথা বল, দেখবি তোর ও ভালো লাগবে।
- না আম্মু,,, আম্মু....
- কি বল..?.
- আমাকে একটু জড়িয়ে ধরবে।

এরপর আম্মু আর আব্বু আমাকে জড়িয়ে ধরে কান্না করে দেয়।
আজ নিজেকে খুব অপরাধী মনে হচ্ছে।
জানালার গ্রীল ধরে আকাশের দিকে তাকিয়ে ওই চাদের সাথে কথা বলছি। আর সেই চাদের মাঝে আমি অহনা কে খুজে নিচ্ছি.....
- অহনা, কিরে পাগলি কান্না করছিস, প্লিজ কাদিস না, তুই কাদলে যে আমার খুব কষ্ট হয়। আমি খুব খারাপ তাই না, তোকে খুব কষ্ট দিছি না রে। বিশ্বাস কর, আমার যে আর করার কিছুই নেই। আমি যে তোকে ভালোবাসি, তাহলে কি করে তোর ক্ষতি চাইবো বল,, এই শুন না, আমি যখন থাকবো না, তুই একটি বার করে প্রতি রাতে ছাদে আসিস, আমি তারা হয়ে তোর গায়ে আলো চাদরে জড়িয়ে নিবো। আর বলবো ভালোবাসি খুব ভালোবাসি।

এরপর অহনা ছবিটি বুকের মাঝে নিয়ে শুয়ে পড়লাম। সারা রাত শুধু জেগে জেগে অহনার সাথে কাটানোর কথা গুলো ভাবতে লাগলাম। কি সুন্দর না ছিলো সেই মুহুর্ত গুলো। এইভাবেই সকাল হয়ে গেলো। আম্মু আমার রুমে এলো। ঘুম হয়নি তাই চোখ গুলো লাল আর ফুলে গেছে।
- কিরে আয়ান, চোখ এমন কেন, সারা রাত কি ঘুমাস নি,,,?
- আমাকে তো খুব বলছো, তোমাদের চোখ লাল কেন, তোমরা ঘুমাও নি কেন?
- কই নাতো,,,।
- আমি বুঝি আম্মু, এমন করছো কেন, না ঘুমালে যে তোমার প্রেসার বেড়ে যাবে, আর আব্বুর ও তো বুকের ব্যাথা আছে তাই না।
- খুব বড় হয়ে গেছিস তাই না,,, আর কথা না বলে উঠ, তোর জন্য পায়েস করেছি,,,। আর মষ্টি সাথে Ice-cream ও রেখেছি।
- সত্যি তাহলে আমি এই উঠছি আর এই আসছি।

হাযারো কষ্টের মাঝে আম্মুর ঠোঁটের কোনে মৃদু হাসি দেখতে পেলাম। আমি ফ্রেস হয়ে খাবার টেবিলে গেলাম৷ আম্মু আর আব্বু আমার জন্য ওয়েট করছে।।।

- তোমরা এখনো নেও নি কেন,? আম্মু আমাকে তাড়াতাড়ি দাও খুব খিদে পেয়েছে।
- হুম দিচ্ছি......

এমন সময় কলিং ব্যাল এর শব্দ পেলাম।

- এখন আবার কে এলো।
- আম্মু তুমি দাড়াও আমি দেখছি...।

দড়জা খুলে দিলাম। একি এতো অহনা............

Wait for next part.....

Address

Rangpur

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when কাব্যের গল্পগুচ্ছ-Kabbo's Story posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to কাব্যের গল্পগুচ্ছ-Kabbo's Story:

Share