Shamima Akter Atika

Shamima Akter Atika Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from Shamima Akter Atika, Digital creator, Mithapukur, Rangpur.

শামীমা আক্তার অতিকা - কল্পনার সীমাহীন জগৎ

রহস্য, রোমাঞ্চ, ভূতুড়ে কাহিনি ও সিনেমাটিক গল্পের অনন্য দুনিয়া। আমার লেখায় মিলবে শিহরণ, ভালোবাসা ও অজানা সত্যের সন্ধান। কল্পনার পথে হারিয়ে যেতে আমার সঙ্গে থাকুন! 📖✨

বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় ভালোকে আমরা এসোশিয়েট করি কে কতোটুকু অনাচার মুখ বুজে সহ্য করে নিতে পারে তার উপর।ঘরের বড় মেয়ে ...
23/07/2025

বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় ভালোকে আমরা এসোশিয়েট করি কে কতোটুকু অনাচার মুখ বুজে সহ্য করে নিতে পারে তার উপর।
ঘরের বড় মেয়ে নীতা ভালো। কারণ তাকে ভালো টিউশন দেয়া হয়না তবুও সে ভালো রেজাল্ট এনে দেয়, তার খাওয়া নিয়ে বাছবিচার নেই, তাকে বাসি আলুভাজি দিয়ে ভাত খেতে দিলেও সে দোষ ধরেনা।
মেঝো মেয়ে রীতা ভালো না কারণ সে তার পছন্দ অপছন্দ সম্বন্ধে যথেষ্ট লাউড এবং সহজে সে তার নিজের জায়গা থেকে নড়ে না।

শাহেদ ভাই ভালো কারণ সে কখনো তার মায়ের বিপক্ষে কথা বলেনা এবং বউ এর বিপক্ষেও কথা বলেনা। দরজার ওপাশে বউয়ের আর এপাশে মায়ের ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইলের ভিকটিম হতে হতে শাহেদ ভাইয়ের দুইচোখই গর্তে ঢুকে গেছে কিন্তু যেহেতু শাহেদ ভাই ভালো, সে কিছুতেই এই সাইকেল থেকে বেরিয়ে আসতে পারেন না। অন্যদিকে শাফীন ভাই, যেকোনো ঝামেলায় আগে বিচার করেন বউ অথবা মা কার কথায় যুক্তি বেশি। দুইপক্ষের আলোচনা শুনার পর নিজের ক্যালকুলেশনকে প্রায়োরিটাইজ করে শাফীন ভাই নিজের দিকের স্টেটমেন্ট দিয়ে দেন এবং তাতেই অনড় থাকেন। এতে করে বউ বা মা যেকোনো একজন সবসময় প্রথমে অসন্তুষ্ট হলেও ইন দ্যা লং রান ফ্যামলিতে শাফীন ভাইয়ের জায়গাটা ফিক্সড থাকে৷ তবে এর প্রাইস পে করতে গিয়ে শাফীন ভাই কখনোই নিজে একজন শতভাগ ভালো ছেলে অথবা ভাল স্বামী হয়ে উঠতে পারেন না।

টুম্পা ভাবীর মতো ভালো মানুষ পৃথিবীতে দুইটা নাই। যখন তখন কোনো রকম ডিসক্লেইমার ছাড়া তার ঘরে গিয়ে হাজির হওয়া যায়। এমনকি বাচ্চাদের পরীক্ষার সময় ঘরভর্তি মেহমান থাকলেও টুম্পা ভাবী তার বাচ্চাদেরকেই ম্যানেজ করান মেহমানদের উপস্থিতি ইগনোর করে ১০০% মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা করার জন্য। অথচ তিনি তো রূম্পা ভাবীর মতোও হতে পারতেন, যিনি কিনা আগে থেকে ইনফর্ম করে না আসলে একটু বিরক্তই হন! তার ভাষ্যমতে মেহমান আসার জন্য নাকি আগে থেকে প্রিপারেশন নেয়া লাগে!
ক্যাম্পাসের নাদিয়া আপু। কোনোভাবে যেদিন ওনার সাথে একসাথে ভার্সিটি যাওয়া যায় ভাড়াটা উনিই দিয়ে ছাড়েন! অথচ সাদিয়া আপু ডিরেক্ট বলে ফেলেন "এর আগেরবার আমি দিয়েছিলাম, এবার তুমি দাও।"

বন্ধু মাহীন একদম মাটির মানুষ। পরীক্ষার আগের দিন রাত তিনটায় কল দিলেও ভিডিও কলে বসে বসে সব কিছু বুঝায় দেয়। অন্যদিকে তানভীর, মুখের উপর বলে দিবে, "দোস্ত এখন যদি তোকে বুঝাইতে যাই আমার পরীক্ষাটা খারাপ হবে। তোর উচিৎ ছিলো আমাকে দুইদিন আগে নক দেয়া।"

মানুষের চোখে পৃথিবীতে সবচেয়ে ভালো প্রাণী হচ্ছে গাধা। তাকে পোষ মানানো সহজ, তাকে দিয়ে নিজের বোঝা টানানো সহজ। গাধা প্রশ্ন করতে জানেনা, ক্যালকুলেট করতে জানেনা। গাধা কখনো, কোনো পয়েন্টে গিয়ে ভাবেনা "আমি কেন দিনের পর দিন অন্যের বোঝা টেনে যাচ্ছি।"
গাধা একসময় ক্লান্ত হয়ে যায়। সেদিন সে ইনিয়েবিনিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করে তাকে দিয়ে আর সম্ভব হচ্ছেনা। তখন মানুষ সেই গাধাকে ডিসকার্ড করে অন্য গাধা খুঁজে নেয়৷ কারণ, গাধার মুখে প্রশ্ন বেমানান। যুক্তি অকাম্য। যেই মুহূর্তে গাধা বুঝতে পারে All along, he has been only support, গাধার নিজেকে দেয়ার জন্য কিছুই অবশিষ্ট থাকেনা।
অনাচার সহ্য করার মধ্যে কোনো ভালো নেই। কোনো সাহসিকতা নেই। একচেটিয়া সবার পোষ মেনে নেয়ার মধ্যে কোনো স্বকীয়তা নেই।

বয়স বাড়তে বাড়তে একদিন ঠিকই মাথায় হিট করে এসব। People pleasing is fun untill you realise people can, however, never be pleased.
তার চেয়ে বরং সিংহ হন, মানুষের চোখে রাগী ট্যাগ পাবেন, কিন্তু নিজের পারসোনাল একটা বাউন্ডারি তো থাকবে!
"ভালো" জিনিসটা আসলে বিশাল বড় একটা স্ক্যাম।
পৃথিবীতে যতো বেশি মানুষের কাছে আপনি ভালো, আপনি আসলে ততো ইজিলি কাস্টমাইজ্যাবল।

CP

একটা ভয়ংকর সত্যি যে, আগুনে পো*"ড়া রোগীর ভবিষ্যৎ অনেকাংশেই নির্ভর করে তার শরীরের কত শতাংশ পুড়েছে তার ওপর।শরীরে কতটুকু পুড়...
22/07/2025

একটা ভয়ংকর সত্যি যে, আগুনে পো*"ড়া রোগীর ভবিষ্যৎ অনেকাংশেই নির্ভর করে তার শরীরের কত শতাংশ পুড়েছে তার ওপর।

শরীরে কতটুকু পুড়ল, তা মাপার জন্য ডাক্তাররা “রুল অফ নাইনস” (Rule of Nines) নামে একটি পদ্ধতি ব্যবহার করেন।

একটা পুরো হাত (সামনে-পেছনে) পুড়ে গেলে ধরা হয় ৯%। একটা পুরো পা (সামনে-পেছনে) পুড়ে গেলে ধরা হয় ১৮%। শরীরের সামনের পুরো অংশ (বুক-পেট) ১৮% এবং পেছনের পুরো পিঠ ১৮%।


কারো যদি শুধু দুই হাত আর সামনের পুরো শরীরটা পুড়ে যায়, তাহলেই তার প্রায় (৯+৯+১৮) = ৩৬% পোড়া হয়ে যায়।

কারো শরীর যদি ৪০% এর বেশি পুড়ে যায় তবে তার মৃ*"ত্যু"ঝুঁকি ৯০% বেড়ে যায়। কারণ, পোড়া শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণে পানি ও দরকারি তরল বেরিয়ে গিয়ে শরীর পানিশূন্য (dehydration) হয়ে পড়ে। এরপরই হয় ইনফেকশন। এরপর মারাত্মক জীবাণু রক্তে মিশে গিয়ে সেপসিস (sepsis) ঘটায়।

আগুনে পোড়ার রোগীরা প্রথম কয়েকদিন কথা বলে, হাঁটাচলাও করতে পারে, দেখে মনে হয় সুস্থ হয়ে উঠবে। কিন্তু কিছুদিন যেতেই পানিশূন্যতা আর ইনফেকশনের কাছে শরীর হার মানতে শুরু করে। চিকিৎসা দিয়ে হয়তো ৪-৫ দিন বা তার কিছু বেশি সময় লড়াইটা চালানো যায়, কিন্তু শেষ রক্ষা হয় না।

যারা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন সামনের দিনগুলোতে প্রতিদিনের খবরে ২-৩ জন করে মৃ"ত্যু"র সংবাদ আসাটা এক অবধারিত ও হৃদয়বিদারক বাস্তবতায় পরিণত হতে পারে।

মহান আল্লাহ প্রতিটি পরিবারকে তাঁর কুদরতি রহমত দিয়ে এই ভয়াবহ শোক সামলানোর শক্তি দিন। তাদের পরিবারকে ধৈর্য ধারণ করার তৌফিক দান করুন। আমীন।

Written By: AH Abubakkar Siddique

আপনি যদি এমন কোন নারীকে জীবনসঙ্গী করতে চান—যিনি soft, surrendered, আর deeply connected থাকবেন আপনার সঙ্গে—তাহলে আপনাকেই ...
18/07/2025

আপনি যদি এমন কোন নারীকে জীবনসঙ্গী করতে চান—যিনি soft, surrendered, আর deeply connected থাকবেন আপনার সঙ্গে—তাহলে আপনাকেই হতে হবে সেই পুরুষ, যিনি lead করেন love দিয়ে, আর stability ও security provide করেন

একটা কথা মনে রাখবেন…

যদি তাকেও hustle করতে হয় আপনার মতো, বাইরে গিয়ে same burden carry করতে হয়, আর constant battle করতে হয় জীবন নিয়ে, তাহলে naturally সে feminine থেকে masculine energy-তে shift করবে।

সে তখন challenge করবে আপনার leadership! একারনে না যে, সে disrespect করছে, বরং এই কারণ যে সে তখন survival mode-এ আছে, surrender নয়।

একজন truly feminine woman তখনই bloom করে, যখন সে feel করে she is safe.
সে তখনই মন দিয়ে শুনে, যখন সে বুঝতে পারে she’s seen, she matters.

সে follow করে তখনই, যখন সে দেখে আপনার direction আসছে care থেকে, control থেকে না।

So, ask yourself honestly—

আপনি কি এমন একটা home বানাচ্ছেন, যেখানে সে নিজের softness নিয়ে শান্তিতে থাকতে পারে?
নাকি আপনি নিজের অজান্তেই তাকে একটা warrior-এ পরিণত করছেন, যাকে নিজের protection নিজেকেই করতে হয়?

Lead করুন তবে not to dominate, but to create space for her to be in her feminine.

Provide করুন but not just টাকা দিয়ে, but with your presence, emotional safety, আর grounded support দিয়ে।

Because, যত বেশি সে feel করে সে secure আপনার leadership-এ, তত বেশি সে flow করবে grace, trust, আর deep devotion নিয়ে।

Often, a woman’s behavior reflects the environment she lives in—if her partner is emotionally unavailable, disrespectful, or unsupportive, it can deeply impact her attitude and mental well-being.

Cp@Sajiatonny

একজন পুরুষ যখন সারাদিনের ধকল সামলে ঘরে ফেরে, তার মনে শুধু একটাই ইচ্ছা কাজ করে—একটুখানি শান্তি। রাস্তাঘাটের কোলাহল, অফিসে...
08/07/2025

একজন পুরুষ যখন সারাদিনের ধকল সামলে ঘরে ফেরে, তার মনে শুধু একটাই ইচ্ছা কাজ করে—একটুখানি শান্তি। রাস্তাঘাটের কোলাহল, অফিসের টেনশন, মানুষের নানা রকম ব্যবহার—সবকিছু মিলিয়ে তার মন তখন ক্লান্ত। আর তখন সে চায়, নিজের বাড়িটুকুই হোক তার আশ্রয়, একটু প্রশান্তির জায়গা।

একটা মেয়ে সারাদিন ঘরের কাজ করে, সন্তান সামলায়, রান্নাবান্না করে, নিজের শরীর-মন নিংড়ে দেয় পরিবারের জন্য। সেই শ্রমের কোনো তুলনা হয় না। কিন্তু একজন স্ত্রী যদি এই বাস্তবতা বোঝেন—যে তার স্বামীও একইভাবে সারাদিনের চাপ আর ক্লান্তি নিয়ে ফিরছে—তাহলে হয়তো সংসারটা হয়ে উঠতে পারে একটু বেশি নির্ভার।

যখন স্বামী দরজায় পা রাখে, প্রথম ১ ঘণ্টা তার জন্য রেখে দিন। কোনো অভিযোগ নয়, কোনো তাগাদা নয়, শুধু একটু আন্তরিকতা। তাকে একটা গ্লাস পানি বা শরবত দিন, জিজ্ঞেস করুন, “কেমন কাটল দিনটা?” তার ক্লান্ত মুখে একটু হাসি ফোটানোর চেষ্টা করুন। এ সময় তাকে বলে ফেলবেন না—প্লেট ভেঙে গেছে, বাজার শেষ, কারেন্ট বিল দিতে হবে, কিংবা আপনি কেন ফোন দিলেন না আজ!

ধরা যাক, আপনার সন্তান কাঁদছে, আপনিও ক্লান্ত, কিন্তু স্বামী দরজায় পা রাখার সেই প্রথম ঘণ্টা যেন শুধু ওর হয়। ওর চোখে যেন আপনি হন শান্তির ঠিকানা। আপনার ভালোবাসা, যত্ন, সম্মান—এসবই তাকে মনে করিয়ে দিক, সে তার ঘরে ফিরে এসেছে।

পুরুষদের অনেকেই ভেতরে ভেতরে খুব আবেগী হয়, কিন্তু প্রকাশ করতে জানে না। আপনি যদি এমন করে তার মনের জায়গাটা বুঝে নিতে পারেন, তাহলে সে নিজেই বলবে—আজ অফিসে কী হলো, কেন সে ফোন দেয়নি, কেন তার মন খারাপ ছিল। আপনাকে বিশ্বাস করে নিজে থেকেই সব বলবে। তখন আপনি চাইলেও হয়তো তার উপর রাগ করতে পারবেন না।

বলা হয়, নারীর কাছে সংসারটা নির্ভর করে। পুরুষ টাকা এনে দিতে পারে, কিন্তু ভালোবাসার বাতাসে ভরিয়ে দিতে পারে একজন নারীই। আপনি যদি চুপ থেকে, নিজের ইগো একটু সরিয়ে রেখে ওকে জায়গা দেন—তাহলে হয়তো রাতের খাবার শেষে সে নিজেই বলবে, “আজ চা আমি বানিয়ে দিই তোমায়।” এই একটা মুহূর্তের জন্যই তো বাঁচা, এই ভালোবাসার ছায়াটুকুর জন্যই তো এত আয়োজন।

এক ঘণ্টার এই নিরব, ভালোবাসাময় প্রস্তুতির জন্য আপনি কিছু হারাবেন না। বরং দিনের বাকি সময়টা আপনারই হয়ে উঠবে। আবদার, হাসি, এমনকি যদি ঝগড়াও হয়—তাও ভালোবাসার কাঠামোতেই হবে।

সব দাম্পত্যেই চাপ থাকে, ক্লান্তি থাকে। কিন্তু সেটা ঘুচে যেতে পারে একজন স্ত্রীর ছোট্ট একটু চেষ্টায়। ভালোবাসার বাড়ি বানানো কঠিন নয়, দরকার শুধু বোঝার মানসিকতা।

ভালো থাকুক সব দম্পতি। ভালোবাসা থাকুক সবার সংসারে।

গল্প: “তুমি ছিলে বলেই”লেখক: Shamima Akter Atika(১ম পর্ব ও শেষ পর্ব)শহরের ব্যস্ততা, কোলাহল আর মানুষের ভিড়ের মাঝেও কখনো কখ...
02/07/2025

গল্প: “তুমি ছিলে বলেই”
লেখক: Shamima Akter Atika
(১ম পর্ব ও শেষ পর্ব)
শহরের ব্যস্ততা, কোলাহল আর মানুষের ভিড়ের মাঝেও কখনো কখনো নিঃশব্দে জন্ম নেয় কিছু সম্পর্ক, কিছু অনুভূতি—যার শব্দ হয় না, কিন্তু ছাপ রেখে যায় সারা জীবন। ঠিক এমন এক অনুভবের নাম ছিল আরাফ ও নীলার প্রেম।

তাদের প্রথম দেখা হয় একটি বইমেলায়। আরাফ ছিল উদাস প্রকৃতির, একটু চুপচাপ, বইপোকা টাইপের ছেলে। আর নীলা ছিল পুরো উল্টো—প্রাণবন্ত, হাসিখুশি, চঞ্চল। “বইয়ের দোকানের পাশে এক টুকরো শীতের রোদ যেন”—এমনই ছিল নীলার হাসি। আরাফ যখনই তাকায়, মনে হয় সময় যেন এক জায়গায় থেমে গেছে।

নীলা প্রথম আলাপেই বলেছিল, “আমি অনুভব নিয়ে বাঁচতে ভালোবাসি। বই, কবিতা, বৃষ্টি, আর প্রেম—এই জিনিসগুলোই আমাকে মানুষ করে তোলে।”

সেই কথার পর থেকে আরাফ প্রতিদিনের ডায়রিতে লিখতে লাগল—“নীলা, তুমি কবিতা হয়ে উঠছো।”

সেই বইমেলা থেকেই শুরু হয় তাদের বন্ধুত্ব, গল্প, হাঁটা, মুভি দেখা, বই আদানপ্রদান। ধীরে ধীরে এই বন্ধুত্ব একদিন আরাফের মনে প্রেম হয়ে ওঠে। কিন্তু বলার সাহস পায় না।

একদিন বৃষ্টির দিনে, ধানমণ্ডির লেকে বসে নীলা বলল—
— “আরাফ, যদি কোনো দিন আমি হারিয়ে যাই, আমাকে খুঁজে পাবে তো?”
আরাফ কাঁপা গলায় বলল,
— “তুমি যদি হারাও, আমি বাকি জীবন হারিয়ে যাব, তোমায় খুঁজতেই।”

সেই দিনই নীলা হাতে ধরে বলল, “তোমার চোখে আমি নিরাপত্তা দেখি, আরাফ। তুমি আমার ঘর হয়ে যাও না?”

আরাফ শুধু বলল, “তুমি বললে তো আমি তো নিজেকেই ভুলে যেতে রাজি।”

তাদের সম্পর্ক ছিল অসাধারণ রকমের সাদামাটা—একটা মুঠোফোনে দীর্ঘ মেসেজ, রাতে হেডফোনে একই গান শোনা, ক্লাস বাদ দিয়ে হঠাৎ দেখা, কবিতা আদানপ্রদান, আর নীরব রাগ-ভাঙার খেলা।

তবে প্রতিটি প্রেমেই যেমন পূর্ণিমার চাঁদ থাকে, তেমনি জোছনার পরে একদিন অমাবস্যা আসেই।

নীলার আচরণ বদলাতে শুরু করে, কথা কমে যায়, চোখে অন্য রকমের ক্লান্তি। আরাফ ভাবল, হয়তো রাগ করেছে। কিন্তু একদিন নীলা আরাফকে একটি চিঠি দিল।

চিঠিতে লেখা ছিল:

“আরাফ,
আমার জীবনটা এমন এক ট্রেনের মতো, যেখানে গন্তব্য আগে থেকেই নির্ধারিত। আমার শরীরে এক নিষ্ঠুর অতিথি বাসা বেঁধেছে—Blood Cancer। আমি চেয়েছিলাম তোমায় এই অন্ধকার থেকে দূরে রাখতে। কিন্তু পারিনি।

তোমার স্পর্শে আমি বেঁচে থাকার মানে বুঝেছি। আমি চেয়েছিলাম, মৃত্যু নয়, জীবনের মুখোমুখি হই তোমার পাশে দাঁড়িয়ে। কিন্তু বাস্তবতা বড় নিষ্ঠুর।

শেষবার যদি তুমি আমার চোখে চোখ রাখো, দেখবে আমি তোমায় রেখেছি—শেষ নিঃশ্বাস অবধি।

ভালো থেকো, কারণ আমি তোমার ভেতরেই বেঁচে থাকব।
– নীলা”

আরাফ ছুটে গিয়েছিল হাসপাতালে। কিন্তু তখন খুব দেরি হয়ে গেছে। নীলা শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছিল আগের দিন রাতে।

তারপরে আরাফ বদলে যায়। কোনো শব্দে কথা বলে না, নিজের মতো একা বসে থাকে বই নিয়ে। কিন্তু সে এক কাজ করেছিল—নীলার নামে একটি ছোট্ট লাইব্রেরি খুলেছিল—“নীলার নীড়” নামে।

প্রতি বছর বইমেলায়, সেই প্রথম দেখা হওয়া দিনটিতে, সে একটি চেয়ার খালি রাখে। পাশে একটা চিঠি রাখে:

“নীলা, তুমি আজও এখানে আসবে জানি, আমি অপেক্ষা করি… ঠিক যেভাবে অপেক্ষা করেছিলাম সেদিন তোমার পাশে বসার।”

আরাফ বেঁচে ছিল, কারণ সে প্রতিদিন ভালোবাসত নীলাকে। আর ভালোবাসা তো শেষ হয় না, শেষ হয় কেবল চোখে দেখা যাওয়ার দিনগুলো।
সমাপ্ত

07/04/2025

আমেরিকান মন্ত্রী গাজার সবাইকে হ'ত্যা করতে হ্যাঁ বলেছেন, সাথে সাথে ফিলিস্তিনি মুসলিম সাংবাদিক সিংহের মতো লাফিয়ে জালিম মন্ত্রীর উপর আক্রমণ চালান, প্রতিবাদ শুরু হোক না প্রতিরোধ শুরু হোক প্রতিটি যায়গায় প্রতিটি ক্ষেত্রে। এই দায় আমরা কেউ এড়াতে পারি না, মুসলমান আমরা সবাই ভাই ভাই।

গল্পের নাম: ছায়াসঙ্গী চূড়ান্ত পর্ব অন্ধকারের মুখোমুখি ড্যানিয়েল আর অলিভিয়া হতভম্ব হয়ে দরজার সামনে দাঁড়িয়ে থাকা রহ...
24/03/2025

গল্পের নাম: ছায়াসঙ্গী

চূড়ান্ত পর্ব

অন্ধকারের মুখোমুখি ড্যানিয়েল আর অলিভিয়া হতভম্ব হয়ে দরজার সামনে দাঁড়িয়ে থাকা রহস্যময় ব্যক্তির দিকে তাকিয়ে ছিল। "তোমরা সত্য জানতে চাও? তবে প্রস্তুত হও," লোকটি বলল। তার কণ্ঠস্বর যেন বাতাসের মধ্যেই একরকম অদ্ভুত তরঙ্গ সৃষ্টি করল। মুহূর্তের মধ্যে ঘরের আলো দপদপ করে নিভে গেল, আর এক অদ্ভুত গা ছমছমে ঠান্ডা বাতাস বয়ে গেল ঘরজুড়ে। অলিভিয়া আতঙ্কে ড্যানিয়েলের হাত চেপে ধরল। “এটা কি হচ্ছে?” কাঁপা কাঁপা গলায় বলল সে। লোকটি ধীরে ধীরে সামনে এগিয়ে এলো, তার চোখে অদ্ভুত অন্ধকারের ছায়া। “ড্যানিয়েল, তুমি কি কখনো ভেবেছো, কিছু ছায়া তোমাকে অনুসরণ করে? তুমি কি লক্ষ্য করেছো, কখনো কখনো রাতের বেলা ঘুমানোর সময় ঘরের কোণায় একটা অতিপ্রাকৃত অস্তিত্ব অনুভব করো?” ড্যানিয়েলের কপালে বিন্দু বিন্দু ঘাম জমল। “তুমি কী বলতে চাও?” লোকটি হেসে উঠল, কিন্তু তার হাসির মধ্যে ছিল ভয়াবহতা। “তুমি আসলে ছায়াদের চুক্তি ভেঙেছো, ড্যানিয়েল। তোমার জীবন কখনোই স্বাভাবিক ছিল না। এই ছেঁড়া টিকিট, লাল লিপস্টিকের দাগ—এগুলো নিছকই কাকতালীয় ঘটনা নয়। এগুলো ছিল সতর্কবার্তা। কিন্তু তুমি বুঝতে পারোনি।” হঠাৎ করেই বাতাসে যেন শীতলতার শিহরণ উঠল। ঘরের দেয়ালগুলোর ছায়াগুলো নড়েচড়ে উঠতে লাগল, যেন তারা জীবন্ত! অলিভিয়া চিৎকার করে উঠে বলল, “ড্যানিয়েল, এটা থামাও! দয়া করে!” কিন্তু তখনই ঘরের কোণ থেকে এক ছায়ামূর্তি বেরিয়ে এলো। তার লম্বা, কালো হাত ড্যানিয়েলের দিকে প্রসারিত হলো। ড্যানিয়েলের মনে পড়ল, কয়েক বছর আগে এক পুরনো বাড়িতে সে এক অদ্ভুত আচার অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিল। তখন সে এটাকে তুচ্ছ ভেবেছিল। কিন্তু সম্ভবত তখনই সে কিছু মুক্ত করে দিয়েছিল—একটি ছায়া, যা এখন তার জীবন গ্রাস করতে চাইছে। লোকটি ধীরে ধীরে বলল, “তোমার সময় শেষ, ড্যানিয়েল। এবার তোমাকে ছায়ার সঙ্গে যেতে হবে।” ড্যানিয়েল আতঙ্কে দরজার দিকে ছুটে গেল, কিন্তু দরজা এক লাফে বন্ধ হয়ে গেল, যেন কোনো অদৃশ্য শক্তি সেটাকে আটকে রেখেছে। ছায়ামূর্তিটি আরও কাছে এলো, তার চোখ দুটো কোটরের গভীরে লালচে আলোয় জ্বলজ্বল করছিল। অলিভিয়া কাঁদতে কাঁদতে একটা ল্যাম্প তুলে ছায়ার দিকে ছুঁড়ে মারল, কিন্তু সেটা মুহূর্তের মধ্যে বাতাসে মিলিয়ে গেল। ড্যানিয়েল প্রচণ্ড ভয়ে বলে উঠল, “আমি কী করলে মুক্তি পাব?” লোকটি এবার মৃদু হাসল। “তোমার আত্মা তার প্রাপ্য দিতে হবে।” ড্যানিয়েলের শরীর যেন এক মুহূর্তের জন্য অসাড় হয়ে গেল। সে জানত, পালানোর আর কোনো উপায় নেই। ধীরে ধীরে সে বুঝতে পারছিল, এই ছায়ারা তার অস্তিত্বের গভীরে প্রবেশ করেছে, তার জীবন নিয়ন্ত্রণ করছে। অলিভিয়া হঠাৎ করেই ছুটে গিয়ে বেডসাইড টেবিল থেকে একটা পুরনো বাইবেল নিয়ে এল। সে জোরে জোরে প্রার্থনা শুরু করল। ঘরের ভেতর ভয়ানক ঝড় উঠল, আলো আবারও দপদপ করতে লাগল। ছায়ামূর্তিটি যন্ত্রণায় চিৎকার করে উঠল। মুহূর্তের মধ্যে পুরো ঘর কেঁপে উঠল, আর তারপর—এক প্রচণ্ড বিস্ফোরণের মতো শব্দ হলো। আলো ফিরে এলো। লোকটি অদৃশ্য হয়ে গিয়েছিল। ছায়ারা মিলিয়ে গিয়েছিল। ড্যানিয়েল মেঝেতে বসে পড়ল, নিঃশ্বাস নিতে পারছিল না। অলিভিয়া তার পাশে বসে কাঁপতে কাঁপতে বলল, “সব শেষ?” কিন্তু ঠিক তখনই, ড্যানিয়েলের ফোন স্ক্রিনে একটা নতুন মেসেজ ভেসে উঠল। “তোমরা হয়তো এক রাতের জন্য মুক্তি পেয়েছো। কিন্তু আমি সবসময় ছায়ায় থাকবো...”
(শেষ)
গল্পের নাম: ছায়াসঙ্গী
১ম পর্বঃ https://www.facebook.com/share/p/1AgMinF5f2/
২য় পর্বঃ https://www.facebook.com/share/p/168vpdXCsD/

গল্পের নাম: ছায়াসঙ্গী২য় পর্ব: ছায়ার অস্তিত্বপরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হয়ে উঠছিল। অলিভিয়া এখন আর সহজে ড্যানিয়েলের কথা বিশ...
22/03/2025

গল্পের নাম: ছায়াসঙ্গী

২য় পর্ব: ছায়ার অস্তিত্ব

পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হয়ে উঠছিল। অলিভিয়া এখন আর সহজে ড্যানিয়েলের কথা বিশ্বাস করতে পারছিল না। অন্যদিকে, ড্যানিয়েল নিজেই বুঝতে পারছিল না, এসব কীভাবে ঘটছে?
পরদিন অফিসে গিয়ে সে জ্যাকের সঙ্গে কথা বলল।
“শোন, তুমি কি আমার কাছে সিনেমার টিকিট রেখেছিলে?”
জ্যাক অবাক হয়ে বলল, “টিকিট? না তো! আমি কখনো তোমাকে কিছু দেইনি।”
ড্যানিয়েলের মাথায় যেন বাজ পড়ল। তাহলে সেই ছেঁড়া টিকিট এল কোথা থেকে?
সে ভাবনার মধ্যে ছিল, তখনই ফোনে আবার একটা মেসেজ এল: “খুঁজতে থাকো, কিন্তু উত্তর পাবে না। সত্যটা যখন জানবে, তখন অনেক দেরি হয়ে যাবে।”
ড্যানিয়েলের শরীর ঠান্ডা হয়ে গেল। কে এই ব্যক্তি? সে কি সত্যিই নজরদারিতে আছে?
এদিকে, অলিভিয়া রাতে ঘুমানোর সময় অদ্ভুত কিছু আওয়াজ শুনতে পাচ্ছিল। রান্নাঘরের আলো বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল আপনা আপনি, কখনো দরজায় চাপা শব্দ হচ্ছিল। প্রথমে ভেবেছিল বাতাসের কারণে হচ্ছে, কিন্তু রাতে যখন সে ঘরের দরজায় ছায়ার অস্তিত্ব দেখতে পেল, তখন তার শরীর অবশ হয়ে গেল।
অলিভিয়ার গলা শুকিয়ে গেল। কাঁপা কাঁপা গলায় বলল, “কে… কে ওখানে?”
কিন্তু উত্তর এল না। দরজার ছায়াটি ধীরে ধীরে মিলিয়ে গেল।
ড্যানিয়েল উঠে পড়ল, “কি হয়েছে?”
অলিভিয়া চোখ বড় বড় করে বলল, “আমাদের কেউ অনুসরণ করছে, ড্যানিয়েল। আমি জানি।”
ঠিক তখনই দরজায় বেল বাজল।
ড্যানিয়েল দরজা খুলতেই সেখানে দাঁড়িয়ে এক রহস্যময় ব্যক্তি। তার চোখ অস্বাভাবিক ঠান্ডা।
“তুমি কি সত্য জানতে চাও?” রহস্যময় ব্যক্তিটি বলল।
ড্যানিয়েল আর অলিভিয়া দুজনেই হতভম্ব। দরজায় দাঁড়িয়ে থাকা লোকটির মুখে একটা অদ্ভুত রহস্যময় হাসি।
“আপনি কে?” গলায় কাঁপুনি নিয়ে জিজ্ঞেস করল অলিভিয়া।
লোকটি ধীরে ধীরে বলল, “আমি সেই, যে সব দেখে। যার চোখ কখনো বন্ধ হয় না।”
ড্যানিয়েলের শরীরে একটা শীতল স্রোত বয়ে গেল।
লোকটি আরেক ধাপ এগিয়ে বলল, “তোমরা যা ভাবছ, তা সম্পূর্ণ সত্য নয়। ড্যানিয়েল, তুমি জানো না, কিন্তু ছায়ারা তোমার পাশে হাঁটে।”
হঠাৎই ঘরের লাইট কয়েকবার জ্বলে উঠল, দরজার পাশের দেয়ালে একটা কালো ছায়া নড়েচড়ে উঠল। অলিভিয়ার ঠোঁট কেঁপে উঠল।
লোকটি হেসে বলল, “সত্য জানতে চাইলে প্রস্তুত হও। কারণ, এখন যা ঘটবে, তা তোমাদের বাস্তবতাকে বদলে দেবে।”
চলবে,,,
গল্পের নাম: ছায়াসঙ্গী
পর্বঃ ২
পর্বঃ ১ এর লিংক কমেন্টে

22/03/2025

Hi everyone! 🌟 You can support me by sending Stars – they help me earn money to keep making content that you love.

Whenever you see the Stars icon, you can send me Stars.

Address

Mithapukur
Rangpur
5460

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Shamima Akter Atika posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share