03/11/2023
জাকির নায়েক মালয়েশিয়াতে যাওয়ার পর যখন বক্তব্য দেওয়া শুরু করেন এবং তার প্রোগ্রামে লাখ লাখ মানুষ এটেন্ড করা শুরু করে। তখন সেখানকার কিছু ইন্ডিয়ান বংশোদ্ভূত ক্ষমতাধরদের তার এসব কাজ কর্ম পছন্দ হয় না, তার উপরে জাকির নায়েক সেখানে মোদীর বিরুদ্ধেও বলতে শুরু করলেন, এসব কিছুর কারণে তাদের গা জ্বলে পুরে শেষ। জাকির নায়েকের কিছু করতে না পেরে তারা social media তে যাকির নায়েকের ব্যাপারে বিশদ্গার করতে শুরু করেন।
এরি আলোকে জাকির নায়েক ২০১৯ সালে মালয়েশিয়ার চার ব্যক্তিকে তার কাছে ক্ষমা চাওয়ার জন্য আইনি নোটিশ প্রেরন করেন। নোটিশে বলা হয়েছে, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ওই চার ব্যক্তি ক্ষমা না চাইলে তাদের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করবেন তিনি। সেই চার ব্যক্তি হলেন, পেনাংয়ের উপ-মুখ্যমন্ত্রী পি. রামাসামি, বাগান ডালামের প্রতিনিধি পরিষদের সদস্য সাতিস মুনিয়ানদি, সাবেক রাষ্ট্রদূত ডেনিস ইগনাটিয়াস ও ক্লাংয়ের এমপি চার্লস সান্তিয়াগো।
এরা কেউই ছোটখাটো কেউ নন যার কারণে তারা কেউ জাকির নায়েকের সামনে নত হননি, তার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন নি। যার ধারাবাহিকতায় জাকির নায়েক তাদের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা ঠুকে দেন। এক এক করে সকল ফায়সালা হয় এবং জাকির নায়েক বিজয়ী হন এবং তাদের মধ্য থেকে তিনজন জাকির নায়েকের কাছে ক্ষমা চায় এবং out of court settlement করে নেয়। এদের মধ্যে একজন কে জাকির নায়েক ক্ষমা করেনা, আর সে হচ্ছে পেনাংয়ের উপ-মুখ্যমন্ত্রী পি. রামাসামি।
তিনি তার বিরুদ্ধে কেইস চালিয়ে যান। আজকে সেই কেইসের ফয়সালা হয়। এটাতেও জাকির নায়েক বিজয়ী হন। জাজ পি. রামাসামিকে জাকির নায়েক কে হয়রানি এবং মানহানি করার কারণে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে আদেশ করেন এবং ক্ষতিপূরণ হিসেবে ১.৫ মিলিয়ন রিঙ্গিত দিতে বলেন। ১.৫ মিলিয়ন রিঙ্গিত আনুমানিক ৩ কোটি ৫৩ লাখ টাকা।
আজকে নাইজেরিয়াতে জাকির নায়েক তার বক্তব্যের শুরুতে বিষয়টি সবার সাথে শেয়ার করেন এবং তিনি এই সম্পূর্ণ টাকা ফিলিস্তিনের মুসলিমদের জন্য ওয়াকফ করে দেন। সুবহানআল্লাহ। অপর দিকে পি. রামাসামিকে দেখলাম ফেইসবুকে এসে সবার কাছে জাকির নায়েকের এই টাকা পরিশোধ করার জন্য ভিক্ষা করতে। তার কাছে নাকি জরিমানা দেওয়ার জন্য টাকা নেই, তাই তিনি সবার কাছ থেকে টাকা কালেক্ট করার জন্য ক্রাউডফান্ডিং করছেন।
নভেম্বর ২, ২০২৩
সংগৃহীত