28/02/2025
মানুষ যন্ত্রণাকে যতটা রোমান্টিসাইজ করে, এমনকি রোমান্স করাও ততটা রোমান্টিক না।
আমাদের সামনে সমস্ত পৃথিবী খোলা ছিলো। সাগর-পাহাড়-অরণ্য। প্রেম ও সৌন্দর্য। লিচু আর কাঁঠাল। আকাশ আর পাতাল। মানবের অকল্পনীয় সব অর্জন। কিন্তু আমাদের ছুঁয়ে গেল বিষাদ। দুঃখ আর যন্ত্রণা!
হরিণ শাবক জন্মেই দৌড়ায়, মানুষ জন্মেই কাঁদে। যে যা করতে আসে আরকি!
জীবনের যন্ত্রণায় সিলভিয়া প্লাথ নিজের মাথা টোস্টারে ঢুকিয়ে দিয়েছিলেন, তাঁর কবিতাকে মানুষ ভালোবেসে দুঃখের স্মারক বানালো। জীবনানন্দের অকালমৃত্যু কি তাঁর কবিতার উপমার উপমা বদলে দেয়নি!
ভিনসেন্ট ভ্যানগগের জরা আর দুর্দশাই কি তাঁর শিল্পকে শ্রেষ্ঠের চেয়েও বেশি ভালোবাসা দিলো? আমি জানি না। আমি জানি দুঃখের চেয়ে সরল অনুবাদ আর কিছু হয়না। কাউকে কাঁদতে দেখলে খারাপ লাগে। সে স্বজাতি হোক বা জার্মান হোক।
যন্ত্রণায় চিরজীবী হয়েছেন এমন মানুষ, শিল্পী অসংখ্য। 27 club নামে তো একটা টার্মই আছে। গত দুই শতাব্দীতে পৃথিবীর সবচেয়ে গুণী আর বিখ্যাত মানুষদের একটা বড় অংশ ২৭ বছর বয়সে নির্মম ভাবে মারা গিয়েছেন। সেখান থেকেই 27 club কথাটি আসে। কার্ট কোবিন, জিম মরিসন, জিমি হ্যনরিক্স, সিলভিয়া প্লাথ সহ পঞ্চাশের বেশি শিল্পী ২৭ এর ক্লাবে আছেন।
আজকের নন্দনতত্ত্বকে অনেকটাই দখল করে আছে দুঃখময়তা। একবিংশ শতাব্দীতে বিষাদই সবচেয়ে সার্বজনীন আর সমাদৃত। দুঃখ আমাদের এত ভোগায় তবু তার এমন অস্বাভাবিক জনপ্রিয়তা কেন? দুঃখের পৃষ্ঠপোষক কে? আমার তো স্বয়ং খোদাকেই সন্দেহ হয়।
- দিগ্বিজয় আজাদ