Fuad Shah

Fuad Shah পৃথিবীর সৌন্দর্য, হৃদয়ের ভালোবাসা—একসাথে বাঁধা এখানে। 🍃❤️

"শেষ বিকেলের প্রতিশ্রুতি"শেষ বিকেলের প্রখর রৌদ্রটা তখন বিদায় নিচ্ছে। গোধূলির আভায় চারপাশটা হলুদ-কমলায় ঢেকে গেছে। রাস্তা...
26/06/2025

"শেষ বিকেলের প্রতিশ্রুতি"

শেষ বিকেলের প্রখর রৌদ্রটা তখন বিদায় নিচ্ছে। গোধূলির আভায় চারপাশটা হলুদ-কমলায় ঢেকে গেছে। রাস্তার ধারে গাছের পাতাগুলো নরম বাতাসে দুলছে। হঠাৎ সেই বাতাসে নীলার চুল এলোমেলো হয়ে যায়।

তাকে পাশে থেকে দেখছিল রিদয়। সে ধীরে হাত বাড়িয়ে নীলার চুল গুছিয়ে দেয়।

"এমন মুহূর্তগুলো না, ধরে রাখতে ইচ্ছে করে," রিদয় ফিসফিস করে।

নীলা এক চুমুক কফি খায়, হেসে বলে,
"ধরে রাখো না কেন? আমি তো আছি। বাতাসও আছে, তুমি আর আমি একসাথে… এই বিকেলটা থাকুক চিরকাল।"

রিদয় চুপ করে তাকিয়ে থাকে নীলার দিকে।
"তুমি শুধু বিকেলটায় না, সারাদিন আমার মনে থেকো। ঝড় থাকুক বা রৌদ্র, শুধু থেকো।"

নীলা মাথা নিচু করে, একটু লাজুক হেসে বলে,
"আমি থাকব… ঠিক এই বাতাসের মতোই, তুমি হয়তো দেখতে পাবে না, কিন্তু অনুভব করবে প্রতিটা নিঃশ্বাসে।"

বাতাসটা তখন আরও শীতল, নরম।
চারপাশে শুধু হালকা গুঞ্জন আর একটা শান্ত ভালোবাসার প্রতিশ্রুতি।

🌬️🌇💛
প্রেম মানেই কখনো কখনো এক কাপ কফি, কিছু নীরবতা আর শীতল বাতাসে বলা অদৃশ্য প্রতিশ্রুতি।

স্ত্রীকে ভালো রাখার মানেই ভালো খাবার আর বাসস্থান নয়। তার আত্মিক শান্তিটা খুবই জরুরী। সবাই বিলাসিতায় সুখী হয়না। একজন স্বা...
09/04/2024

স্ত্রীকে ভালো রাখার মানেই ভালো খাবার আর বাসস্থান নয়। তার আত্মিক শান্তিটা খুবই জরুরী। সবাই বিলাসিতায় সুখী হয়না। একজন স্বামী মানে যার হাত ধরে তার স্ত্রী সব ছেড়ে আজীবন কাটিয়ে দিবে, যার ফলে তার সর্বগুণ থাকা প্রয়োজন। অথচ সমাজ স্ত্রীর পেছনে লেগে থাকে তাকে জ্যাজ করতে।
আপনি জানেননা আপনার স্ত্রীর ত্যাগের গল্প, আপনার চোখে সে সর্বসুখী। এরকম হলে সমস্যা আপনার চোখের,সাথে অন্তরেরও। আপনি আসলে তাকে উপলব্ধি করতে পারেননা। একটা স্বামী শুধু জীবন সঙ্গীই নয়,বরং বাবা মায়ের স্নেহেরও অংশীদার, স্ত্রীর উত্তম বন্ধু। অথচ আপনার মধ্যে ইগো কাজ করে।
স্ত্রীর উপদেশ যদি শুনতে শরীর জ্বলে তাহলে বুঝে নিন শয়তান আপনাকে অহংকারে কাবু করে ফেলেছে।

স্ত্রীর প্রতি যেমন স্বামীর কর্তৃত্ব রয়েছে তদ্রুপ স্বামীর প্রতিও স্ত্রীর পূর্ণ হক্ব রয়েছে।সংসার জীবনে কলহ আসবেই কিন্তু সেই কলহে জবান দিয়ে যেন এমন কিছু বের যেন নাহয় যেটা সাংসারিক জীবটায় বিষাদ করে দেয়।জীবন কেটে যাবে কিন্তু জবানের কষ্টের ঘাঁ কোনো মলমেই শুকাবে না।

স্ত্রী অনুভুতি গুলো তার হয়ে ভাবলে বুঝতেন তাকে।বিশ্বাস করুন জগতের সব নারীই ভালোবাসা, আদর ও আহ্লাদের কাঙাল। এসব দিয়েই প্রতিটি নারীকে সহজেই কাবু করা যায়।

আপনি একটু ভাবুন,স্ত্রীর পরিবার থেকে কেউ আপনার বিরুদ্ধে কিছু বললে আপনি মারাত্মক চটে যাবেন।হয়তো কোনোদিন শ্বশুর বাড়ি পা রাখবেননা। অথচ প্রতিনিয়ত আপনার স্ত্রীর সাথে এটায় হয়ে চলে। যেখানে আপনিই পারেননা ফ্যামিলি ছাড়া কাউকে আপন করতে সেখানে তার ওপর কিভাবে চাপিয়ে দেন?

মেয়ে বলে? মেয়ে বলে কি মানুষ না? আপনিও যেই মায়ের সন্তান সেও মায়েরই সন্তান বরং বাবার রাজকুমারিও। আচ্ছা কোন আইনে লেখা একটা মেয়েকে এসব সহ্য করতেই হবে? না রাষ্ট্রীয় আইন আর না ইসলামিক শরিয়াহ্।শরিয়তের দৃষ্টিতে নারীরা এহসান করে। না করলে বাধ্য নয়। স্ত্রীকে সম্মান দিতে শিখুন। কেননা আল্লাহ্ র কাছে ঐ ব্যক্তিই উত্তম যে তার স্ত্রীর নিকট উত্তম। আমার কথা না হাদিসের কথা।

একজন স্বামীকে খুব বেশিই সাপোর্টিভ হতে হয়। উত্তম জীবনসঙ্গী না পেলে জীবনটা এতো বেশি তিক্ত হয়!!!
এটাও ঠিক সবার নসীবে সব জোটেনা।থাকনা অপূর্ণ, চলুক এভাবেই!!
এইতো কয়টা দিন, মৃত্যু আসলেই তো সব শেষ
দুনিয়ায় কস্টের বিনিময়ে আমার আল্লাহর কাছে সুখ চেয়ে নেবো পরকালে।

সবাই আমার পেইজটা সাপোর্ট করো ❤️❤️

নতুন বিয়ে করা স্ত্রীর সাথে ড্রইং রুমের সোফায় বসে টিভি দেখছিলাম। আর সোফার পাশে মেঝেতে বসে টিভি দেখছিলো দশ এগারো বছরের কাজ...
12/10/2023

নতুন বিয়ে করা স্ত্রীর সাথে ড্রইং রুমের সোফায় বসে টিভি দেখছিলাম। আর সোফার পাশে মেঝেতে বসে টিভি দেখছিলো দশ এগারো বছরের কাজের মেয়েটি। ওর নাম শেফালি। দরিদ্র ঘরের মেয়ে। বাবা নেই। মা আছে। আমাদের গ্রামে ওদের বাড়ি। সেই সূত্রেই আমাদের চেনে। ওর মা একদিন মেয়েকে নিয়ে গ্রাম থেকে আমাদের বাড়িতে এসে আমার মাকে বললো, মেয়েটিকে যেনো আমরা রেখে দিই। আমাদের এখানে থাকবে, কাজ করবে। মা রেখে দিলেন। তারপর থেকে মেয়েটি আমাদের বাড়িতে থাকে। মাঝে মাঝে ওর মা এসে মেয়েকে দেখে যায়।

আমার স্ত্রী মেয়েটির দিকে তাকিয়ে বললো,"তুমি নিচে কেনো বসেছো? সোফায় বসো।"

মেয়েটি আমাদের এখানে আছে দু বছর হলো। সে সব সময় নিচে বসে টিভি দেখে। তাকে কখনো আমরা সোফায় বসে টিভি দেখার কথা বলি নি।

মেয়েটি তাই অবাক এবং কিছুটা ভয় নিয়ে আমাদের দিকে তাকালো। সে বুঝতে পারছে না কী করবে?

স্ত্রী তখন উঠে গিয়ে মেয়েটির হাত ধরে দাঁড় করিয়ে সোফায় বসালো।
এবং হেসে বললো,"এখন থেকে সোফায় বসে টিভি দেখবে। কখনো নিচে বসবে না।"

মেয়েটি জড়োসড়ো হয়ে বসে টিভি দেখতে লাগলো।

কিছুটা দূর থেকে মা দৃশ্যটি দেখলেন।
পরে মা আমাকে তার রুমে ডেকে বললেন,"আমাদের সৌভাগ্য যে, আমরা খুব ভালো একটা বউ পেয়েছি।"
আর বাবা বললেন,"বউটার যত্ন নিবি। আমি নিশ্চিত এই মেয়ে আমাদের জীবন বদলে দেবে। ঠিক যেমন তোর মা আমাদের জীবন বদলে দিয়েছিলো।"

বাবার কথা অক্ষরে অক্ষরে মিলে গেলো। শহরের আমাদের এক খণ্ড জমি নিয়ে বারো বছর ধরে মামলা চলছিলো। জমিটির বর্তমান মূল্য প্রায় এক কোটি টাকা। জমিটি এক প্রভাবশালী লোক জোর করে দখল করে রেখেছিলো। কিছুদিন পর ঐ মামলার রায় হলো। এবং আমরা জিতলাম।

বাবা সেদিন আদালত কক্ষে আমাকে আবারো বললেন,"বউটার যত্ন নিবি।"

কিন্তু বাবার কথা শেষ পর্যন্ত রাখতে পারলাম না।
একদিন রান্নায় লবণ একটু বেশি হয়েছিলো বলে গলা চড়িয়ে স্ত্রীকে বললাম,"কী রেঁধেছো এসব! মুখেই তো দেয়া যাচ্ছে না।"
আরো বেশ কিছু কথা বললাম।

বাবা তখন ছুটে এসে ধমকে আমাকে বললেন,"ঐ খাবার তো আমরাও খেয়েছি। কই আমাদের তো সমস্যা হয় নি।"

আর মা বললেন,"কথা ভদ্র ভাবে বলবি। বেয়াদবের মতো কথা সহ্য করবো না।"

আমি আর কিছু না বলে বড়ো বড়ো কদম ফেলে ডাইনিং রুম থেকে বেরিয়ে গেলাম।

পরদিন অফিসে গিয়ে জানলাম, বড়ো অংকের টাকার হিসেব গণ্ডগোল হয়েছে। আর অফিসের টাকার দায়িত্ব যেহেতু আমার, তাই দোষটা আমার ওপর পড়লো।

বস আমাকে শান্ত গলায় বললেন, টাকার হিসেব যদি না মেলে তাহলে পুলিশকে জানাবেন এবং চাকরিও যাবে।

শুনে মনটা ভীষণ খারাপ হয়ে গেলো। পুরো অফিস তন্নতন্ন করে খুঁজেও ঐ টাকাগুলোর সন্ধান পেলাম না। অফিসের বাইরে অন্য কোথাও রেখেছি কিনা তাও মনে পড়লো না। দু:সংবাদের এখানেই শেষ নয়। সেদিনই জানতে পারলাম, ঐ প্রভাবশালী লোক, যে আমাদের জমি দখল করে রেখেছিলো, উচ্চ আদালতে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছে। তার মানে, আবারো দীর্ঘদিন ধরে মামলা চলবে। অর্থাৎ আরো খাটুনি এবং টাকা খরচ হবে।

বিধ্বস্ত মনে বাড়ি ফিরলাম। বাড়ি ফিরে প্রথম যে কাজটা করলাম, তা হলো, স্ত্রীর কাছে ক্ষমা চাইলাম।
সেই সাথে বললাম,"জীবনে আর কখনো তোমার সাথে বাজে আচরণ করবো না। কথা দিচ্ছি।"

স্ত্রী কিছুক্ষণ চুপ থেকে বললো,"শেফালিকে স্কুলে ভর্তি করাতে চাই। আমি নিজে ওকে পড়াবো।"

অপ্রত্যাশিত কথাটা শুনে খানিক সময় ওর দিকে চেয়ে রইলাম।
তারপর বললাম,"তাহলে ঘরের কাজ করবে কে?"
"আমি শুনেছি ওর মা গ্রামে মানুষের বাড়িতে কাজ করে কোনো রকমে বেঁচে আছেন। তুমি তাকে এখানে নিয়ে আসো। উনি আমাদের বাড়িতে কাজ করবেন। আর মা মেয়ে এক সাথে থাকলে তাদেরও ভালো লাগবে।"

তৎক্ষনাৎ রাজি হয়ে গেলাম। এবং বাবা মাকে বলাতে তারাও রাজি হয়ে গেলেন।

তারপরের ঘটনা অবিশ্বাস্য! অফিসের টাকাগুলো অফিসেরই এক ড্রয়ারে খুঁজে পেলাম। অথচ সেদিন এতো খোঁজার পরও কেনো পাই নি কে জানে! আর দ্বিতীয় অবিশ্বাস্য ঘটনা হলো, ঐ প্রভাবশালী লোকটি আচমকা মামলা তুলে নিলো। লোকটির হঠাৎ এই মন পরিবর্তনের কারণ হলো, লোকটির একমাত্র ছেলের শরীরে ক্যান্সার ধরা পড়েছিলো।

সেদিন দু হাত ভর্তি মিষ্টি নিয়ে যখন বাড়ি ফিরলাম তখন বাবা পুনরায় আমাকে বললেন,"বউটার যত্ন নিবি।"
বাবাকে তখন বললাম,"আপনি সব সময় বউয়ের যত্নের কথা কেনো বলেন?"
বাবা উত্তরে বললেন,"একটা মেয়ে যখন বাবা মা'র বাড়ি ছেড়ে অচেনা এক বাড়িতে আসে, তখন আল্লাহ ঐ মেয়েটার মধ্যে সৌভাগ্য দিয়ে পাঠান। যারা ঐ সৌভাগ্যের যত্ন নেয়, তাদের জীবন আলোতে ভরে ওঠে। আর যারা অযত্ন করে, তাদের জীবন ভেঙে চুরমার হয়ে যায়। এটা আমার মুখের কথা নয়। নবীজীর কথা। নবীজী বলেছেন, মেয়েরা হলো বরকত এবং কল্যাণের প্রতীক।"

আমি তখন বুঝতে পারলাম, বাবা কেনো কোনোদিন মায়ের সাথে খারাপ আচরণ করেন নি। আর সেজন্যই হয়তো শূন্য হাতে জীবন শুরু করে আজ উপরে উঠে এসেছেন।

স্টাডি রুমে স্ত্রী তখন শেফালিকে পড়াচ্ছিলো। মেয়েটা পড়াশোনায় ভালো করছে। আমি দরোজায় দাঁড়িয়ে স্ত্রীর দিকে তাকালাম। সে আমাকে দেখে হাসলো। তখন আমার মনে হলো, চাকরি এবং কোটি টাকার সম্পত্তি পেয়ে যে আনন্দ পেয়েছি, তারচেয়ে অনেক বেশি আনন্দ পেলাম স্ত্রীর হাসি মুখ দেখে।

Dekhun kivabe Mas kata hosse
20/08/2023

Dekhun kivabe Mas kata hosse

, If you enjoy this video, please leave...

মেয়েরা তার বাবাকে কেন এত ভালোবাসে জানেন ?কারণ, পৃথিবীতে বাবাই একমাত্র পুরুষ, যে পুরুষটা তাকে কষ্ট দেয়না। তার প্রথম হিরো ...
27/07/2023

মেয়েরা তার বাবাকে কেন এত ভালোবাসে জানেন ?

কারণ, পৃথিবীতে বাবাই একমাত্র পুরুষ, যে পুরুষটা তাকে কষ্ট দেয়না। তার প্রথম হিরো তাকে এতোটাই ভালোবাসা দেয় পরবর্তী জীবনে আর কোন পুরুষের স্নেহ কিংবা মমতার প্রয়োজন পড়ে না।

বাবাই একমাত্র পুরুষ , যে পুরুষটা তাকে সারাজীবন আগলে রেখে ভালোবাসে। তাকে ফিল করায় সে যেমনই ষ্ট্যাটাসের হোক না কেন সে তার রাজকন্যা। তার রাজকন্যার জন্য সারা দুনিয়ার সাথে সে লড়তে রাজি থাকে.....!

Address

Rangpur
5460

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Fuad Shah posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share