Rezaul Karim Sumon

Rezaul Karim Sumon Tour Operator | Tour Planner | Tour Guide |Researcher | Rural Tourism & Heritage Conservation Worker
(3)

পাহাড়ি জুমের ফসল ও শহুরে পর্যটকপাহাড়ে গেলে কি করা যাবে, কিংবা কি করা যাবে না—এইসব শেখানোর বিষয় নয়, এসব পারিবারিক শিক্ষা।...
22/09/2025

পাহাড়ি জুমের ফসল ও শহুরে পর্যটক

পাহাড়ে গেলে কি করা যাবে, কিংবা কি করা যাবে না—এইসব শেখানোর বিষয় নয়, এসব পারিবারিক শিক্ষা। কিন্তু তারপরও সমাজে কিছু মানুষ দেখবেন, যারা হয়তো পরিবার থেকে সেই শিক্ষা পায়নি। পেলে নিশ্চিতভাবে অন্যের উৎপাদিত ফসলে হাত দেবার আগে দ্বিতীয়বার ভাবতো। ধরেই নিলাম ভুলবশত জুমের ফসল ছিঁড়েছে বা নষ্ট করেছে, কিন্তু মুখের উপর বলে দিচ্ছে—এই ফল নাকি খাবার যোগ্য নয়, তিতা।

জরিমানা করেছে মাত্র ২৫০ টাকা। এক পাল ছাপড়ি বাইকার অপরাধ করেছে, সেই অপরাধের জরিমানা হিসেবে ২৫০ টাকার জন্য ঝামেলা করেছে। সেই ভিডিও কাটছাঁট করে নিজের মতো করে বানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছেড়েছে ভিউ কামানোর জন্য।

পরের ছবিগুলো যুক্ত করলাম পার্থক্য বোঝাতে। জুমে গিয়েছি, জুমের মালিক নিজেই আপ্যায়ন করার জন্য মারফা এনেছে, মাল্টা এনেছে। নিজেরা খাওয়ার জন্য নুডলস নিয়ে গিয়েছিলাম, সেটি ভাগ করে খেয়েছি, গল্প করেছি, সুখ-দুঃখের আলাপ করেছি।

পাহাড়িরা অতিথিপরায়ণ। তারা তাদের অল্প সামর্থ্যের মধ্যে সর্বোচ্চ আপ্যায়নের চেষ্টা করেন। কিন্তু আপনি কি করবেন সেটি আপনার সিদ্ধান্ত, সেইসাথে আপনি কোন পরিবার থেকে উঠে এসেছেন সেটিও নির্ধারণ করে।
জুমের ফসল চুরি করে খেলে, প্রথম ছবিটার মতো অবস্থা হবে—আধখাওয়া একটি মারফা হাতে নিয়ে এক ছাপড়ি দাঁড়িয়ে আছে, আরেকটি মারফা মাটিতে পড়ে আছে।
ন্যূনতম লজ্জা থাকলে, মাত্র ২৫০ টাকা তো—জরিমানা দিয়ে চলে আসতো। ভিডিও তো দূরে থাক, কাউকে মুখ দেখাতো না।

এখন শহুরে পর্যটকদের উদ্দেশ্যে কিছু কথা। অনেকেই আমার সাথে পাহাড়ে ঘুরতে যেতে চান, ইনিয়ে-বিনিয়ে হলেও আমি সবাইকে সাথে নিতে চাই না, বা নিয়ে যেতে চাই না। এর প্রধান কারণ যারা সাথে যেতে চান তাদের মানসিকতা। আপনি আমার সাথে দেশ-বিদেশের, কমার্শিয়াল পর্যটনে, কমার্শিয়াল স্পটে আসেন—সমস্যা নাই।

পাহাড়ের গহীনের এই মানুষগুলোর কাছে কাউকে নিয়ে যাবার আগে অন্তত দশবার ভাবি—যাকে নিয়ে যাবো সে কি এই মানুষগুলোর সাথে মেশার যোগ্য? সে যে প্রাণ, প্রকৃতি আর মানুষকে দেখবে, তা ধারণ করার ক্ষমতা কি তার আছে?
সুস্থ পর্যটন বিকশিত হোক, এটাই চাই। কিন্তু তার আগে ছাপড়ি পর্যটকদের নিয়ে আমাদের সবাইকে কথা বলতে হবে। 🙏

বাংলায় একটি প্রবাদ আছে, ' যেমন কুকুর , তেমন মুগুর '। ছাপড়ি বাইকার আর ট্রেকার দিয়ে পাহাড় ভরে গেছে। এরা নিজেদের একেকজন পাহ...
22/09/2025

বাংলায় একটি প্রবাদ আছে, ' যেমন কুকুর , তেমন মুগুর '। ছাপড়ি বাইকার আর ট্রেকার দিয়ে পাহাড় ভরে গেছে। এরা নিজেদের একেকজন পাহাড়ের কিং ভাবে আর জুমগুলো যেনো ওদের বাপ দাদাদের আর পাহাড়িরা বর্গাচাষি। জুমের ফল ছেড়ার অপরাধে ২৫০ টাকা আর এই ব্যবহার জরিমানা হিসেবে অনেক কম হয়েছে।

জুমের মালিকের উচিৎ ছিলো এদের রাস্তার পাশে বাইক সহ বেধে রাখা। আমার জুম হলে আমি তাই করতাম। বেশি না একটি দিন আর একটি রাত, এই কাঠফাটা গরমে উপুড় করে খোলা আকাশের নিচে জুমের মাঝে শোয়ায় প্রকৃতি উপভোগ করাতাম ।

পাহাড়ের মানুষেরা এমনিতেই নানা ধরনের সংকটে জর্জরিত। জুমের ফসল ঠিকভাবে না হলে হলে সারাবছর খেতে পারবে না। জুমে কাজ করতে এই সময়ে অনেক পরিশ্রম করতে হয় সবাইকে। তার উপর পাহাড়ে নেই কোনো হাসপাতাল, নেই চিকিৎসার ব্যবস্থা। আর হ্যা , যাদের এইরকম মানসিকতা আছে তারা পাহাড়ে যাবেন না, আপনাদের জন্য পাহাড় নয়। এইসব ছাপড়ি পর্যটকের অন্তত পাহাড়ে কোনো প্রয়োজন নেই। পাহাড়ে আপনারা ছাপড়ি , আপনারা গোদের উপর বিষফোঁড়া।

21/09/2025

এভাবে লেবু খাওয়া যায়? একসাথে ৫ টি বিশাল বিশাল আস্ত লেবু না খেলে নাকি তৃপ্তি হয় না। আজাইরা ভিডিও কিন্তু আমরা পাহাড়ে এসবই করি, ল্যাটাই আর গল্প করি।

19/09/2025

পার্বত্য চট্রগ্রামের ১৪ টি জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে সবচেয়ে জাতিগত বৈচিত্র্যপূর্ণ ও দূর্গম জেলা বান্দরবান। তিনটি রেঞ্জ বা পাহাড়সারির সমন্বয়ে গঠিত বান্দরবানের দুটি রেঞ্জ চিম্বুক ও মিরিঞ্জার , বেশিরভাগ পাহাড়চূড়ায় বসবাস করে যে জাতিগোষ্ঠীর তারা নাম ম্রো। ম্রো মানে মানুষ। ম্রোরা এই পাহাড়চূড়াগুলোর সবচেয়ে আদি বাসিন্দা ।

শুধু এই পাহাড়সারির চূড়া নয় , একসময় ম্রো জাতির মানুষেরা উঁচু এইসব রেঞ্জের, পাহাড়সারির নিচের দিকের অঞ্চলে বসবাস করলেও, ধীরে ধীরে তাদের বন জঙ্গল , ভূমি সবকিছু হারিয়ে তারা পাহাড়ের উপরে বসতি স্থাপন করে।
এখন সেই পাহাড় চূড়ার উপরের বনভূমি ধ্বংস হয়েছে , পাকা রাস্তা হয়েছে , সেই রাস্তাজুড়ে হয়েছে পর্যটন ।

তাদের আর বন জঙ্গল নির্ভর জীবনটা যাপন করা হয়ে উঠলো না।
কিন্তু বন নির্ভর , জঙ্গল নির্ভর পার্বত্য চট্রগ্রামের ম্রো নামের চমৎকার এই জাতিগোষ্ঠীর মানুষগুলো যাবে কোথায় ? তাদের সৌন্দর্যকে দেখিয়ে যে রমরমা পর্যটন ব্যবসা হচ্ছে তারা সেখান থেকে বিন্দুমাত্র উপকৃত হচ্ছেন না , বরং তাদের ভূমির উপর দিয়ে পাকা রাস্তা হয়েছে বলে পর্যটন হচ্ছে।
সেই রাস্তা ধরে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা চলে গেছে কিন্তু তারা নুন্যতম বিদ্যুৎ টুকুও পায় নি । পুরো রেঞ্জ জুড়ে স্কুলের সংখ্যা অতি নগন্য , নেই নুন্যতম কোনো চিকিৎসা ব্যবস্থা ।

বন জঙ্গল না থাকায় তারা একদিকে যেমন পূর্বপুরুষের বন নির্ভর জীবন যাপনটা করতে পারছে না ,
অন্যদিকে নেই চিকিৎসাকেন্দ্র, নুন্যতম কোনও ঔষধ বা প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা , নতুন জীবনের সাথে মানিয়ে নিতেও কষ্ট হচ্ছে ।
আমরা খুব বেসিক কিছু ঔষধ নিয়ে দূর্গম অঞ্চলের এই মানুষগুলোর কাছে যাবার চেষ্টা করি, কিন্তু এটি নিশ্চয়ই সমাধান নয় ।

আমাদের প্রশ্ন করতে হবে, রাষ্ট্র কি করছে এখানে ?
পার্বত্য চট্রগ্রামের অধীবাসীরা কি এ দেশের নাগরিক নয় ? এই প্রশ্ন আজ আমাদের মন খুলে উপস্থাপন করতে হবে । পাশাপাশি ঔষধের এই কার্যক্রম চলমান থাকবে , চাইলে যে কেউ ঔষধ দিয়ে সহায়তা করতে পারেন , সেক্ষেত্রে যোগাযোগ করতে হবে 01877027277 এই নাম্বারে ।
তবে আমাদের উদ্দেশ্য শুধু এই কার্যক্রম নয় ।
তাদের এই অবস্থার কথা নিজে জানা এবং আপনাদের সামনে ও এই রাষ্ট্র এর সামনে তুলে ধরা ।
পার্বত্য অধীবাসীদের মৌলিক চাহিদার কোনটাই রাষ্ট্র এখানে কখনো পূরণ করে নি , করে না ।
এই দায়িত্ব কার ? এর সমাধান কি? এই প্রশ্ন আমাদের করতেই হবে । ভালবাসা অবিরাম ❤️🙏

পাহাড়চূড়ায় ম্রো আদিবাসীদের জীবন | Chimbuk Range | Bandarban
18/09/2025

পাহাড়চূড়ায় ম্রো আদিবাসীদের জীবন | Chimbuk Range | Bandarban

পার্বত্য চট্রগ্রামের ১৩ টি জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে সবচেয়ে জাতিগত বৈচিত্র্যপূর্ণ ও দূর্গম জেলা বান্দরবান। তিনটি রেঞ....

পার্বত্য চট্রগ্রামের  ১৪ টি জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে সবচেয়ে জাতিগত বৈচিত্র্যপূর্ণ ও দূর্গম জেলা বান্দরবান। তিনটি রেঞ্জ বা পাহাড়...
18/09/2025

পার্বত্য চট্রগ্রামের ১৪ টি জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে সবচেয়ে জাতিগত বৈচিত্র্যপূর্ণ ও দূর্গম জেলা বান্দরবান। তিনটি রেঞ্জ বা পাহাড়সারির সমন্বয়ে গঠিত বান্দরবানের দুটি রেঞ্জ চিম্বুক ও মিরিঞ্জার , বেশিরভাগ পাহাড়চূড়ায় বসবাস করে যে জাতিগোষ্ঠীর তারা নাম ম্রো। ম্রো মানে মানুষ। ম্রোরা এই পাহাড়চূড়াগুলোর সবচেয়ে আদি বাসিন্দা ।

শুধু এই পাহাড়সারির চূড়া নয় , একসময় ম্রো জাতির মানুষেরা উঁচু এইসব রেঞ্জের, পাহাড়সারির নিচের দিকের অঞ্চলে বসবাস করলেও, ধীরে ধীরে তাদের বন জঙ্গল , ভূমি সবকিছু হারিয়ে তারা পাহাড়ের উপরে বসতি স্থাপন করে।
এখন সেই পাহাড় চূড়ার উপরের বনভূমি ধ্বংস হয়েছে , পাকা রাস্তা হয়েছে , সেই রাস্তাজুড়ে হয়েছে পর্যটন ।

তাদের আর বন জঙ্গল নির্ভর জীবনটা যাপন করা হয়ে উঠলো না।
কিন্তু বন নির্ভর , জঙ্গল নির্ভর পার্বত্য চট্রগ্রামের ম্রো নামের চমৎকার এই জাতিগোষ্ঠীর মানুষগুলো যাবে কোথায় ? তাদের সৌন্দর্যকে দেখিয়ে যে রমরমা পর্যটন ব্যবসা হচ্ছে তারা সেখান থেকে বিন্দুমাত্র উপকৃত হচ্ছেন না , বরং তাদের ভূমির উপর দিয়ে পাকা রাস্তা হয়েছে বলে পর্যটন হচ্ছে।
সেই রাস্তা ধরে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা চলে গেছে কিন্তু তারা নুন্যতম বিদ্যুৎ টুকুও পায় নি । পুরো রেঞ্জ জুড়ে স্কুলের সংখ্যা অতি নগন্য , নেই নুন্যতম কোনো চিকিৎসা ব্যবস্থা ।

বন জঙ্গল না থাকায় তারা একদিকে যেমন পূর্বপুরুষের বন নির্ভর জীবন যাপনটা করতে পারছে না ,
অন্যদিকে নেই চিকিৎসাকেন্দ্র, নুন্যতম কোনও ঔষধ বা প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা , নতুন জীবনের সাথে মানিয়ে নিতেও কষ্ট হচ্ছে ।
আমরা খুব বেসিক কিছু ঔষধ নিয়ে দূর্গম অঞ্চলের এই মানুষগুলোর কাছে যাবার চেষ্টা করি, কিন্তু এটি নিশ্চয়ই সমাধান নয় ।

আমাদের প্রশ্ন করতে হবে, রাষ্ট্র কি করছে এখানে ?
পার্বত্য চট্রগ্রামের অধীবাসীরা কি এ দেশের নাগরিক নয় ? এই প্রশ্ন আজ আমাদের মন খুলে উপস্থাপন করতে হবে । পাশাপাশি ঔষধের এই কার্যক্রম চলমান থাকবে , চাইলে যে কেউ ঔষধ দিয়ে সহায়তা করতে পারেন , সেক্ষেত্রে যোগাযোগ করতে হবে 01877027277 এই নাম্বারে ।
তবে আমাদের উদ্দেশ্য শুধু এই কার্যক্রম নয় ।
তাদের এই অবস্থার কথা নিজে জানা এবং আপনাদের সামনে ও এই রাষ্ট্র এর সামনে তুলে ধরা ।
পার্বত্য অধীবাসীদের মৌলিক চাহিদার কোনটাই রাষ্ট্র এখানে কখনো পূরণ করে নি , করে না ।
এই দায়িত্ব কার ? এর সমাধান কি? এই প্রশ্ন আমাদের করতেই হবে । ভালবাসা অবিরাম ❤️🙏

চিম্বুক রেঞ্জে আগে এই সমস্যা এতো বড় পরিসরে দেখি নি। চিম্বুক রেঞ্জ থেকে পূবের ঢালে যে পাড়ায় ঔষধ দিতে গিয়েছি, সেই পাড়ার প্...
14/09/2025

চিম্বুক রেঞ্জে আগে এই সমস্যা এতো বড় পরিসরে দেখি নি। চিম্বুক রেঞ্জ থেকে পূবের ঢালে যে পাড়ায় ঔষধ দিতে গিয়েছি, সেই পাড়ার প্রায় বেশিরভাগ মানুষ এই সমস্যায় জর্জরিত। নারী , শিশু, বৃদ্ধ প্রায় সবারই। চিম্বুকের পশ্চিমের ঢালে আমরা যে পাড়া থেকে কার্যক্রম পরিচালনা করি সেখানেও একই সমস্যা। আমরা পাড়ায় পাড়ায় স্যাভলন , ভায়োডিন, প্যারাসিটামল , খাবার স্যালাইন এসব দেয়ার চেষ্টা করছি। জুমের এই মৌসুমে এইসব ঔষধ খুবই প্রয়োজনীয় কিন্তু আমাদের সামর্থ্যও সীমিত, সেখানে এই রোগের ঔষধ আমাদের কাছে নেই।

ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া হয়েছে, যেসব ঔষধ প্রয়োজন তা আমাদের সামর্থ্যের বাইরে। করনীয় কি জানি না। একটি পাড়াতেই অনেক ঔষধ প্রয়োজন , সেখানে অনেক পাড়ায় মানুষ আক্রান্ত , মানুষ কষ্ট পাচ্ছে।

আমি শুধু পাহাড়ের আদিবাসীরা কি অবস্থায় আছে তা জানানোর চেষ্টা করছি। আর আমরা ঔষধ নিয়ে যতটুকু করছি বা করতে পারছি তা হলো, সমুদ্র সমান সমস্যার সামনে দু চার বালতি পানি ঢালার মত।

তবুও আমরা আমাদের সামর্থ্যের মধ্যে যতটুকু সম্ভব লড়াই করার চেষ্টা করছি , পাশে থাকার চেষ্টা করছি , আপনাদের ও এসব নিয়ে কথা বলতে অনুরোধ করছি। পার্বত্য চট্রগ্রাম অঞ্চল দেশের দশভাগের এক ভাগ। এতো বিস্তীর্ণ অঞ্চলের মানুষ যুগের পর যুগ এভাবে চিকিৎসা সেবা বঞ্চিত হয়ে থাকতে পারে না।

বিস্তারিত জানতে চাইলে বা পাহাড়ের জন্য ঔষধ এর এই কার্যক্রমে অংশ নিতে চাইলে যোগাযোগ করতে পারেন আমাদের সাথে 01877027277 (What's app) এই নাম্বারে। ভালবাসা অবিরাম 🙏💕

13/09/2025

বান্দরবানের পাহাড়িদের জীবন ও যাপন কেমন? কেমন আছেন জুম পাহাড়ের মানুষ? দেশের নাগরিক হিসেবে রাষ্ট্র কতৃক কতটুকু সুযোগ সুবিধা তারা পাচ্ছেন? এসব নিয়েই বিস্তারিত কথা বলার চেষ্টা করেছি এখানে। সেইসাথে প্রতি বছরের মত এবারও আমরা পাহাড়ের প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতে ঔষধ পাঠানোর চেষ্টা করেছি। এই কার্যক্রম জুম না ওঠা পর্যন্ত চলমান থাকবে। আপনারা চাইলে যে কেউ যুক্ত হতে পারেন এই কার্যক্রমে। সেক্ষেত্রে যোগাযোগ করতে পারেন 01877027277 ( What's app ) এই নাম্বারে। ভালবাসা অবিরাম 🙏

চিম্বুক রেঞ্জের পাহাড় চূড়া থেকে একটু নিচে নামলেই চমৎকার একটি ম্রো পাড়া। পাড়ার বেশিরভাগ মানুষের জীবন জুম নির্ভর। পাহাড়ের ...
13/09/2025

চিম্বুক রেঞ্জের পাহাড় চূড়া থেকে একটু নিচে নামলেই চমৎকার একটি ম্রো পাড়া। পাড়ার বেশিরভাগ মানুষের জীবন জুম নির্ভর। পাহাড়ের মানুষের জীবন চালানোর জন্য নারী বা পুরুষ উভয়কেই সমানভাবে কাজ করতে হয়। জুমে কাজ করতে গেলে কাটাছেঁড়া নিয়মিত ঘটনা , সেইসাথে নানা ধরনের অসুখ বিসুখ তো লেগেই আছে। কিন্তু পুরো অঞ্চলে একটিও স্বাস্থ্যকেন্দ্র নেই।

পাড়ায় এসে দেখতে পাই জুমে কাজ করতে গিয়ে মধ্যবয়সী এক নারীর বাম হাতের চারটি আংগুল কাটা গেছে। এর মধ্যে তিনটি আংগুলের অবস্থা বেশ খারাপ। একটুখানি স্যাভলন বা ডেটল এর ব্যবস্থা নেই। হাসপাতালে যাবার সামর্থ্য বা অবস্থা কোনোটাই নেই। পাহাড়ি গাছ গাছালির ঔষধ দিয়ে ,ত্যানা প্যাচায় এই অবস্থায় পড়ে আছে তিন দিন যাবত।

জুমের মৌসুমে এই চিত্র পুরো পার্বত্য চট্রগ্রাম অঞ্চলজুড়ে। পার্বত্য চট্রগ্রাম অঞ্চলে সবচেয়ে নাজুক অবস্থায় আছে চিকিৎসা আর শিক্ষা ব্যবস্থা। কিন্তু রাষ্ট্র নির্বিকার। এখানে মানুষের ন্যায্য মৌলিক অধিকারের কোনোটাই পূরন হয় না, আর কবে হবে জানি না, এইসব বিষয়ে কাউকে তেমন কথা বলতেও শুনি না।

আমরা পাড়ায় পাড়ায় খুব বেসিক কিছু ঔষধ পৌঁছানোর কাজ করছি। কাটাছেঁড়ার জন্য এন্টিসেপটিক ( স্যাভলন/ ভায়োডিন ), প্যারাসিটামল , খাবার স্যালাইন, মেট্রোনিডাজল এইসব আর কি। জুম না ওঠা পর্যন্ত এই কার্যক্রম চলমান থাকবে। আপনারা চাইলেও যুক্ত হতে পারেন এই কার্যক্রমে , যোগাযোগ করতে পারেন 01877027277 এই নাম্বারে। ভালবাসা অবিরাম 💕🙏

25/08/2025

যে দেশের রাস্তাঘাটে এতো চমৎকার সঙ্গীত হয় সেই দেশ কখনো মৌলবাদীদের দখলে পুরোপুরি যাবে না, নিশ্চিত। তোমায় আমি পাইতে পারি 'বাজি ' ভালবাসা হাশিম ভাই ❤️🙏

Address

Rangpur

Telephone

+8801515662875

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Rezaul Karim Sumon posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Rezaul Karim Sumon:

Share