Ishrat - Jahan

Ishrat - Jahan Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from Ishrat - Jahan, Social Media Agency, New Babu Para , Nilphamari Sadar, Rangpur.

10/09/2025

Presented by the students of Class 6

---১২ বছর পরে দেশে আসলাম!---এসেই দেখি আমার বউ কবুল বলে আমার ছোট ভাইকে বিয়ে করলো?---এই রিয়া তুমি ৩ বার কবুল বলে আবার কাকে...
24/02/2025

---১২ বছর পরে দেশে আসলাম!

---এসেই দেখি আমার বউ কবুল বলে আমার ছোট ভাইকে বিয়ে করলো?

---এই রিয়া তুমি ৩ বার কবুল বলে আবার কাকে বিয়ে করলে শুনি? আমি তো তোমার স্বামী আছি!

---আমার মুখে এই কথাটি শুনে সবাই চমকে উঠে সাথে সাথে। আর সবাই আমাকে ঘিরে ধরে।

রিয়া : তুমি বেছে আছো এখনো! তুমি তো মারা গিয়েছো।

---আমি মারা গিয়েছি মানে। কি বলছো এই সব তুমি?

রিয়া : এই সত্যি করে বলো তুমি কে।

---আরে আমি তোমার স্বামী কাব‍্য। আর কে তোমাকে বলেছে আমি মারা গিয়েছি।

রিয়া : এই সব মিথ্যা বানোয়াট কথা বলবেন না। আমার স্বামী বিদেশে একটি দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছে কয়েক বছর হলো তাকে মাঠি ও দিয়েছি।

---রিয়ার কথা শেষ হতে না হতেই দেখতে পারলাম আমার বাবা মা সেখানে চলে এসেছে। অনেক দিন পরে বাবা মা কে দেখতে পেয়ে জরিয়ে ধরলাম। কিন্তু আমি লক্ষ করলাম তারা আমাকে কোন পাত্তাই দিচ্ছে না। তখন জিঙ্গেস করলাম।

কাব‍্য : মা বাবা তোমরা কেমন আছো।

---সাথে সাথেই আমার মা বাবা বলে উঠলো।

---কে তুমি বাবা! আর এখানে কেনো এসেছো। তুমি তো প্রায় আমার ছেলে কাব‍্যের মতোই দেখতে।

কাব‍্য : মা আমি তোমার সন্তান কাব‍্য?

মা : না এটা হতেই পারে না। কারন.....?

কাব‍্য: কি কারন মা একটু বলবে দয়া করে।

মা : কারনটা হলো আমার সন্তান কয়েক বছর আগে প্রবাসে একটি রাস্তা দুর্ঘনায় মারা গিয়েছে।

কাব‍্য : আরে আমি মারা যাইনি। সেখানকার কিছু পুলিশ আমাকে বিনা কারনে জেলে নিয়ে গিয়েছিলো।

মা : তবে আমরা যাকে মাঠি দিলাম সে কে? আর তুমি যে কাব‍্য তার প্রমান কি।

কাব‍্য : আরে কি প্রমান দিতে হবে শুনি। আমি যে তোমাদের সন্তান এটাই তো অনেক।

---তখন আমার ছোট ভাই হাসিব বলে উঠে।

হাসিব : আপনি কি চলে যাবেন এখানে থেকে থাকি পুলিশের সহায়তা নিবো আমরা।

কাব‍্য : আরে হাসিব তুই এতো রেগে যাচ্ছিস কেনো।

হাসিব : এই কে আপনার ভাই হ‍্যা। আমার ভাই মারা গিয়েছে।

কাব‍্য : মা বাবা আমি তোমাদের কাব‍্য?

বাবা : তার প্রমান কি দেখি।

---তখন কাব‍্য নিজের শরীর থেকে পোশাক খুলে ফেলে বলতে থাকে।

কাব‍্য : বাবা তোমার মনে আছে আমার পিঠে জন্মের কিছু দাগ ছিলো।

বাবা : হুমমম?

কাব‍্য : তবে আমার পিছনে এসে দেখো সেই দাগ গুলা এখনো আছে কি না।

---তো কাব‍্যের কথা মতো ওর বাবা পিছনে গিয়ে দেখে যে সত্যি তো কাব‍্যের মতোই জন্মের দাগ আছে।

কাব‍্য : আরো প্রমান লাগবে। আমার পায়ে দেখো আমার ৬টি আঙ্গুল আছে।

---এই বার কাব‍্যের মা নিজেই দেখে? আর সাথে সাথেই চিৎকার দিয়ে বলে উঠে।

মা : হ‍্য এটাই আমার কাব‍্য। বাবা তুই এতো দিন কোথায় ছিলি বল।

---এই কথাটি শুনেই সবাই থমকে যায়। কারন যেই মানুষ কে কয়েক বছর আগে মাঠি দেয়া হলো সে আবার কেমন করে আসলো।

কব‍্য : মা আমি প্রবাসে একটি রাস্তায় দু,র্ঘনা ঘটাই যার কারনে আমাকে সেখানকার পুলিশ জেলে নিয়ে যায়। তার পরে আমার ৪ বছর জেল হয়। তো জেল খাটার পরে ওরাই আমাকে দেশে পাঠাই দেয়।

মা : তবে আমারা যাকে কাব‍্য ভেবে মাঠি দিয়েছি সে কে।

কাব‍্য : আমি জানি না মা। কেনো তোমরা কি ওকে চিনো নাই।

মা : কেমনে চিনবো ওর মুখ তো বুঝাই যাচ্ছিলো না।

কাব‍্য : কি মা রিয়ার সাথে হাসিবের বিয়ে হচ্ছে কেনো আমি থাকতে।

মা : বাবা রে থাক এই সব আর বলিশ না। আমরা সবাই ভেবেছি তুই মারা গিয়েছিস। তাই ভাবলাম ঘরের বউ ঘরেই রাখি। তাই একটু আগে বিয়ের কাজ সম্পূর্ণ করলাম। কে জানতো তুই আজ আসবি। যদি জানতাম কখনোই এমন করতাম না।

---মায়ের মুখে কথাটি শুনার সাথে সাথেই পায়ের নিছে থেকে কেমন জানি মাঠিটা সরে গেলো।

কাব‍্য : বিয়েই তো হয়েছে শুধুমাত্র আর কিচ্ছু তো হয়নি। হাসিব ডিভোর্স দিলেই হচ্ছে।

হাসিব : ডিভোর্স মানে। কিসের ডিভোর্স হ‍্যা।

কাব‍্য : তুই রিয়াকে ডিভোর্স দিবি। কারন রিয়া আমার বউ।

---সাথে সাথেই রিয়া বলে উঠে?

রিয়া : এই যে মি. কাব‍্য আমি আপনার সাথে থাকতে চাইনা। কারন আমার ও হাসিবের বিয়ে হয়ে গিয়েছে।

কাব‍্য : বাসর তো হয়নি।

হাসিব : হয়নি তবে হবে কোন সমস্যা নেই।

কাব‍্য : হাসিব তুই দেখি মুখে মুখে তর্ক করিশ। বরদের সন্মান করতে হয় জানিস না।

মা: এই তোরা সবাই চুপ করবি।

কাব‍্য : মা তুমি হাসিব কে বুঝাও যে রিয়া তোর বর ভাইয়ের বউ।

রিয়া : মা বুঝিয়ে কি হবে হ‍্যা। আমি আর তোমাকে চাইনা।

কাব‍্য : কেনো শুনি।

রিয়া : কারন একটাই আমি এখন হাসিব কে ভালোবাসি। হাসিব চলো রুমে চলো। এখানে যতোই থাকবো শুধুমাত্র টাইম ন,ষ্ট হবে।

---কথাটি বলে যখনি রিয়া হাসিবের হাতটি ধরে রুমে দিকে যাবে। এমন সময় কাব‍্য রিয়ার হাতটি ধরে ফেলে।

কাব‍্য : রিয়া দারাও। আমাকে ছেরে এই ভাবে যেতে পারো না।

---যেইনা রিয়ার হাতটি ধরে এই কথাটি বলেছে। তার সাথে সাথেই রিয়া ঠাসস! করে থা,প্পড় দিয়ে উঠে?

রিয়া : ঠিসসস! ঠাসসস! লজ্জা করে না পর পুরুষের বউয়ের হাত ধরেন।

---রিয়ার এমন রাগ দেখে রিতিমতো সবাই আশ্চর্য হয়ে ওঠে।

কাব‍্য : তুমি আমাকে থা,প্পড় দিলে।

রিয়া : হুমম দিয়েছি। আবার বেয়াদবি করলে আবার দিবো।

---কথাটি বলেই হাসিবের হাতটি ধরে হন হন করে ভিতরে চলে গেলো। এমন সময় কাব‍্যের মা বলে উঠে কাব‍্যকে।

মা : বাবা চিন্তা করিশ না। আয় ভিতরে আয়। খাওয়া দাওয়া কর। চোখ মুখ দেখে বুঝা যাচ্ছে অনেক খিদে পেয়েছে তোর।

---কথাটি শুনে কাব‍্য মনে মনে বলতে থাকে। আমার বউয়ের বিয়ে আমাকে খাওয়াবে বাহ্?

কব‍্য : না আমি খাবো না। আমার রুমে নিয়ে চলো ঘুম যাবো।

মা : ঠিক আছে বাবা চল।

---তো এর পরে কাব‍্যকে একটি রুমে নিয়ে গিয়ে ঘুমানোর জন্যে জায়গা করে দেয়া হয়।

---অনেক যান্নি ও হাজারো টেনশন নিয়ে কাব‍্য ঘুমিয়ে পরে। কিন্তু হঠাৎ করেই মধ‍্যরাতে রিয়া চিৎকার দিয়ে ওঠে আর বলতে থাকে।

---এর পরে কি হলো জানতে হলে সাথে থাকুন। নতুন গল্প সবাই সুন্দর সুন্দর কমেন্ট করুন।

যে_পাখি_ঘর_বোঝেনা
পর্ব--( ১ )
লেখা কাহিনী : মি_হাসিব

✍️✍️✍️১. কেউ বিশ্বাস ঘাতকতা করছে?👤চুপ হয়ে যান।২.কেউ যন্ত্রণা দিচ্ছে? 👤চুপ হয়ে যান। ৩.কেউ অনেক ভালবাসার পরও প্রাপ্যটা দেয়...
15/02/2025

✍️✍️✍️
১. কেউ বিশ্বাস ঘাতকতা করছে?
👤চুপ হয়ে যান।
২.কেউ যন্ত্রণা দিচ্ছে?
👤চুপ হয়ে যান।
৩.কেউ অনেক ভালবাসার পরও প্রাপ্যটা দেয়নি?
👤চুপ হয়ে যান।
৪.কোন মানুষ অনেক অপমান করছে?
👤চুপ হয়ে যান।
৫.কেউ ঠকিয়ে গেছে?
👤চুপ হয়ে যান।
৬.কেউ আপনাকে নিয়ে তুমুল মিথ্যা দোষারোপ করছে?
👤চুপ হয়ে যান।

👀এমন নিরব হয়ে যান, সে মানুষগুলো যেনো আর কখনই আপনার শব্দ কিংবা ছায়া না দেখে। মৃত হয়ে যান তাদের কাছে।
প্রতিজ্ঞা করুন আর কখনই ঘুরে তাকাবেন না। শুধু এই প্রতিজ্ঞাটা করতে পারলে আপনি কষ্ট পাবেন না। এই যে নিরবতা আপনাকে দম বন্ধ করা আর্তনাদ দিবে কিন্তু অপর পক্ষকে দিবে আফসোস।
আসলে আমরা হারাবার ভয়ে শব্দ দিয়ে প্রতিবাদ করি।
কিন্তু আপনি জানেন কি?
যে মানুষগুলো আপনাকে মানুষ বলে মূল্যায়ন করেনি , আপনাকে দমবন্ধ কান্নার অনুভূতি দিয়েছে তারা আপনার কেউ না।

👀তাই নিজের স্বার্থে বাঁচুন, নিজেকে ভালোবাসুন,,
আপনার একজন "সৃষ্টিকর্তা" আছেন।
সকল দুঃখ, কষ্ট, চাওয়া,পাওয়া'র কথা সৃষ্টিকর্তাকে বলুন তিনি সব কিছুর সমাধান করবেন।

পুরুষদের বলছি বাবা মা ভাই বোন আত্নীয় স্বজন বন্ধু বান্ধবী এদের খুশি রাখার জন্য আপনি কি আপনার স্ত্রীকে আঘাত করছেন,, তাহলে ...
14/02/2025

পুরুষদের বলছি বাবা মা ভাই বোন আত্নীয় স্বজন বন্ধু বান্ধবী এদের খুশি রাখার জন্য আপনি কি আপনার স্ত্রীকে আঘাত করছেন,,

তাহলে পোস্টটি পড়ুন,,,

বাবা মা বিয়ের পরে এদের ভরসা করা একেবারেই উচিৎ নয়,কারন তারাই তখন আপনার প্রতি নির্ভরশীল,,
ছেলে হিসেবে আপনার উচিৎ তাদের প্রতি দায়িত্ব কর্তব্য পালন করা,,

তার মানে এটা নয় যে স্ত্রীর সুখটা কেরে এনে আপনি তাদের দিবেন,,

বাবা মায়ের টা বাবা মাকে দিন আর স্ত্রীর টা স্ত্রীকে দিন,, উভয়কে সমান ভাবেই সুখি করুন,,,

এরপরে আসি ভাইয়ের কাছে,,

ভাই - ভাই যতই ভাব ভালোবাসা থাকুক না কেন,, স্বার্থে আঘাত লাগলে প্রানের ভাইও আপনাকে চিনবে না,, নিজের সংসার সন্তান হলে সে আপনার মতো ভাইকে সেকেন্ডের মধ্যে ভুলে যাবে,,,
তখন আলাদা সংসার পাতানোর জন্য বলেই ফেলে আমি আমার বউ বাচ্চা নিয়ে বা আমার সম্মান নিয়ে আলাদা থাকবো,,একসাথে থেকে আমায় এই সংসারে বেশি টাকা দিতে হয়,,,

আর সবচেয়ে বড় পয়েন্ট এখানেই,,

ভাই- যতই র*ক্তের সম্পর্কের হোক না কেন,,
তার ভালোবাসা কতটা খাটি সেটা বুঝতে পারবেন যখন সম্পত্তি ভাগাভাগি নিয়ে কথা উঠবে,,

আপনার ভাবে ১ ইঞ্চি বেশি আসলেই বুঝে যাবেন ভাই কতটা আপন,,,

এবার আসি বোনের কাছে,,

বোন সেতো বিয়ে দিলেই পরের বাড়ির বউমা,,
তাই তার কাছে আশা করা বোকামি যে সে সারাজীবন পাশে থাকবে,, তবে বোনের সাথে সম্পর্ক টিকে যায় শেষ অব্দি,,,

আত্নীয়স্বজন ,,,,

এরা তখনই আপনাকে সরন করবে যখন আপনার ম্যানিব্যাগটা ভর্তি থাকবে,, বা যখন আপনাকে তাদের খুব প্রয়োজন হবে,,

বন্ধু বান্ধবী,,,

যতদিন ট্রিট নামক ভালোবাসা ঢেলে দিবেন ততদিন তারা আপনার কাছে ছায়ার মতো লেগে থাকবে,,,

রইলো বাকি স্ত্রী,,

আপনি তাকে সম্পূর্ণ উজার করে ভালোবাসা ঢেলে দিন,, কখনো তাকে ধমক বা নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখবেন না,,
তাকে শুধু বুঝান আপনি তাকে ভালোবাসেন, তাকে ছাড়া আপনি অসম্পূর্ণ,,,

তার মুখের হাসির কারন হউন,,,
দেখবেন এই স্ত্রী নামক অর্ধাঙ্গিনী আপনার পাশে শেষ অব্দি থেকে যাবে,,,,

তাই সবাইকে খুশি করতে গিয়ে নিজের অর্ধাঙ্গিনীকে কখনোই আঘাত করবেন না,,
বার বার বুঝাবেন না সে পরের বাড়ির মেয়ে,,,

তাকে বুঝান সব তোমার - এমনকি আমিও তোমার,,,

আজকাল বেশিরভাগ স্ত্রী স্বামীর ভালোবাসা যত্ন সম্মান সাপোর্ট,, এগুলো পায়না দেখেই বিচ্ছেদের সংখ্যা অন্যতম,,,

তাই অত্যাচারী পুরুষ না হয়ে বীর পুরুষ হউন আর সেটাও হউন নিজের স্ত্রীর জন্য

ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। ফোনে ঘুম ভাঙলো। ইন্টারন্যাশনাল কল। বুক ধক করে উঠে। অসময়ে ইন্টারন্যাশনাল কল মানেই দুঃসংবাদ! ফোন রিসিভ কর...
14/02/2025

ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। ফোনে ঘুম ভাঙলো। ইন্টারন্যাশনাল কল। বুক ধক করে উঠে। অসময়ে ইন্টারন্যাশনাল কল মানেই দুঃসংবাদ!
ফোন রিসিভ করলাম। ওপাশ থেকে সুইডিশ উচ্চারনে ইংলিশ শোনা গেল। মেয়েলি কন্ঠ।
“হ্যালো, মঞ্জুর চৌধুরী বলছেন?”
“জ্বি।”
“আমি সুজানা স্মিথ, নোবেল কমিটি থেকে বলছি।”
“কি বেল থেকে বলছেন?”
“নোবেল। ইউ নো, ইন্টারন্যাশনাল পুরস্কার, যা পেলে মানুষ ধন্য হয়ে যায়।”
“রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, অমর্ত্য সেন আর ড ইউনুস যেটা পেয়েছেন, সেটা?”
“জ্বি।”
“শেখ হাসিনা যেটা পাননি, সেই নোবেল?”
“এইতো ধরতে পেরেছো।”
“ফোন রাখ গাঞ্জাখোর!”
ধমক দিয়ে ফোন রেখে দিলাম। নোবেল কমিটি আমার কাছে ফোন করবে কোন সুখে? নিশ্চই স্ক্যাম। বলবে, “তোমাকে আমরা নোবেল দিব, কিন্তু সেজন্য ফি হিসেবে পাঁচ হাজার ডলার এডভান্স দিতে হবে।”
আজকাল এইসব স্ক্যামারের যন্ত্রনায় অপরিচিত নাম্বারের ফোন কল ধরতে ইচ্ছা করেনা।
সাথে সাথে আবার ফোন বেজে উঠলো, “হ্যালো, তুমি মনে হয় বিশ্বাস করছো না। আমরা সত্যি নোবেল কমিটি থেকে ফোন করেছি। তোমার বিশেষ সাহায্য প্রয়োজন।”
“কি সাহায্য?” যদিও বিশ্বাস করিনি, তবু মুখ ফস্কে বেরিয়ে এলো।
“তোমাদের দেশের এক বিজ্ঞানীকে খুঁজে বের করতে হবে। ফিজিক্স শাখায় ওকে এ বছরের নোবেল দেয়া হবে। ওর যুগান্তকারী আবিষ্কারকে রেকগনাইজ করে নোবেল কমিটি ধন্য হতে চায়।”
মাথা চুলকে বুঝার চেষ্টা করলাম কোন বিজ্ঞানী কি আবিষ্কার করে ফেলেছে যে আজকে নোবেল কমিটি ওকে খুঁজছে?
“আমি কিভাবে তোমাদের সাহায্য করবো?”
“আমরা তোমার দেশের অনেক ফেসবুক ইউজারের সাথেই যোগাযোগ করছি। এলগরিদম ব্যবহার করে তোমার নামও আমরা খুঁজে পেয়েছি। রেজাল্ট বলছে যে তোমার নিউজফিডে একটা থিওরি খুব শেয়ার হচ্ছে। নিউটনের গ্র্যাভিটি আবিষ্কারের পর এটাই বিজ্ঞানের সবচেয়ে বড় আবিষ্কার। ফিজিক্সের মোড় ঘুরিয়ে দিবে। আমরা সেই থিওরির আবিষ্কারককেই খুঁজছি। হয়তো তুমি আমাদের সাহায্য করতে পারবে।”
আমি চুপ করে আছি বলে মহিলা বলল, “তুমি নিউটনের ল গুলো জানোতো?”
“না, আমি সায়েন্সের স্টুডেন্ট। পরে একাউন্টিংয়ে এসেছি। ল নিয়ে পড়াশোনা করি নাই।”
মহিলা একটু থমকে গেল। তারপর হাসতে হাসতে বলল, “তোমার রসবোধ আছে। হাহাহা। আই লাইক ইট। এখন আমাকে বল যে “ইলেকট্রিক চেয়ার মেটালের তৈরী হয়না, কাঠের হতে হয়। নাহলে ফ্লোরে দাঁড়ানো আশেপাশের সবাই শক খায়।” - এই বৈজ্ঞানিক থিওরি কে আবিষ্কার করেছে?”
খাইছে! বলে কি মহিলা!
আমি বললাম, “তুমি নিশ্চিত এমন থিওরি কেউ আবিষ্কার করেছে?”
“অবশ্যই। বাঙালিদের সোশ্যাল মিডিয়া ভরে গেছে এই থিওরিতে। এবং যারাই পোস্ট করছে, তারাই দাবি করছে অপর পক্ষ মূর্খ। ড ইউনূসের আয়নাঘর নাটকের স্ক্রিপ্ট অতি দুর্বল এবং কোন মূর্খ সেটা লিখেছে। এই সামান্য বৈজ্ঞানিক লজিকের ব্যাপারেও যার জ্ঞান নেই! এ নিয়ে খুউব হাসি তামাশা করছে!”
আমার মাথা চক্কর দিয়ে উঠলো।
“হোলি কাউ! বলো কি!”
“অবশ্যই! একটু আগে মিস্টার স্টিভেন ওয়েইনবার্গ আমাদের অফিসে ফোন করে এই কথা বললেন। তিনি নিজেও মূর্খের ক্যাটাগরিতে পড়ে গেছেন বলে একটু মর্মাহত হয়েছেন।”
“উনি একা না, আমিও একই কাতারে পড়েছি। দাঁড়াও, আমি দেখি কি করতে পারি।”
ফোন রেখে গভীর ভাবনায় পড়ে গেলাম। আমার এখনও মনে আছে প্রাইমারি স্কুলের বিজ্ঞান বইয়ে পড়েছি প্লাস্টিক ও কাঠের মতন সিমেন্টের ফ্লোরও বিদ্যুৎ অপরিবাহী। যদি না তাতে পানি ছড়ানো হয়, যদি না সেটা ভেজা বা স্যাতস্যাতে হয়, তাহলে তা দিয়ে বিদ্যুৎ প্রবাহিত হবে না।
ক্লাস নাইনে উঠে ফিজিক্স নিলাম, সেই বইয়েও একই কথাই লেখা ছিল। আরেকটু ডিটেইলে। সিমেন্ট সাধারণত একটি **অপরিবাহী (ইনসুলেটর)** পদার্থ। এর মানে হল এটি বিদ্যুতের প্রবাহকে সহজে অনুমতি দেয় না। সিমেন্টের গঠনগত বৈশিষ্ট্য এবং এর মধ্যে বিদ্যমান উপাদানগুলি বিদ্যুতের প্রবাহকে বাধা দেয়।
এইচএসসির ফিজিক্সেও দেখি একই কথা লেখা ছিল। ওমা, ইউনিভার্সিটিতে উঠে ফিজিক্স নিয়েছি, সেই বইয়েও লেখা যে সিমেন্টে প্রধানত সিলিকেট এবং অন্যান্য খনিজ পদার্থ থাকে, যা বিদ্যুতের জন্য উচ্চ প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে। এছাড়াও, সিমেন্ট শুষ্ক অবস্থায় থাকলে এর বিদ্যুৎ পরিবাহিতা আরও কমে যায়। তবে, যদি সিমেন্ট ভেজা বা স্যাঁতসেঁতে হয়, তাহলে এর মধ্যে বিদ্যুৎ কিছুটা প্রবাহিত হতে পারে, কারণ জল বিদ্যুতের একটি ভাল পরিবাহী। কিন্তু সাধারণভাবে শুষ্ক সিমেন্টের ফ্লোর বিদ্যুৎ প্রবাহিত হতে দেয় না।
এই বৈশিষ্ট্যের কারণে সিমেন্টকে বিল্ডিং নির্মাণে নিরাপদ এবং উপযুক্ত পদার্থ হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
তা বাংলাদেশের বিজ্ঞানী এমন বিদ্যুৎ আবিষ্কার করে ফেলেছে যা লোহার চেয়ার থেকে সিমেন্টের শুকনো ফ্লোর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে আশেপাশের সবাইকেই ঝাকানাকা শক দেয়? কে এই মহান বিজ্ঞানী? এই কারণেই ওকে নোবেল কমিটি খুঁজছে!
আমার জীবনের যাবতীয় পড়াশোনা মিথ্যা প্রমাণিত হলো? বাপ্পারাজের মতন বলতে ইচ্ছা করছে, “এ আমি বিশ্বাস করিনাআআআআআ!”
আবার অন্যদিকে খুশিও লাগছে। দেশের বিজ্ঞানী ফিজিক্সে নোবেল পাবে! আঃ! কি আনন্দ!
তা আপনারা যদি সেই বিজ্ঞানীর নাম ঠিকানা একটু জানাতেন, আমার বিশেষ উপকার হতো। ভদ্রমহিলা এখনও ফোন ধরে আছেন। ইন্টারন্যাশনাল কলে বিল উঠছে।

এক গ্রামে শ্রমিক লাগে ৬০০।  বেডা আছে ৫০০৷ মহাজনের কাছে শ্রমিক শর্ট৷ বেডা শ্রমিকদের ১০০০ টাকা মজুরি দেয়া লাগে।  ঐ টেকা দি...
11/02/2025

এক গ্রামে শ্রমিক লাগে ৬০০। বেডা আছে ৫০০৷ মহাজনের কাছে শ্রমিক শর্ট৷ বেডা শ্রমিকদের ১০০০ টাকা মজুরি দেয়া লাগে। ঐ টেকা দিয়ে পুরুষ শ্রমিকরা সংসার চালায়৷ মহাজন তো দেখল, ব্যাপক মুশকিল৷ সে গ্রামের বেডিদের যাইয়া কইলো, তোরা জামাইর অত্যাচার সহ্য করতাছস কেন, জামাই তোগোরে খাওয়ার খোটা দেয়, ঠিক মত শপিং এর টেকা দেয় না, আয় আমার কারখানায় কাম কর, তোগোরে টেকা দিমু, তোরা ঐ টেকা দিয়া শপিং করতে পারবি, রেস্টুরেন্টে ঘুরতে পারবি৷ জামাইর দিকে চাইয়া থাকতে হবে না, নিজে স্বাবলম্বী হবি, নিজের খরচ নিজে চালাবি৷ এখন বেডিগুলা নেমে গেছে কামলা দিতে৷ শ্রমিক হয়ে গেছে ১০০০, শ্রমিক লাগে ৬০০। শ্রমিকের দাম কমে গেছে৷ এইদিকে বেডিগুলা ২০০ টাকা মজুরি তেই কামলা দিতে রাজি হইয়া গেছে, ওদের তো আর একাই পুরা ফ্যামেলি চালাইতে হবে না। এখন বেডাগুলো যখন ১০০০ দাবি করল, মহাজন কয়, আরে যা ব্যাডা যাহ৷ ২৫০ টাকা মজুরি দিমু, আইলে আয়, না আইলে ভাগ। আরো ৪০০ শ্রমিক সিরিয়ালে আছে৷ এখন ব্যাডাগুলো ২৫০ টাকায় কামলা দিতেই রাজি হয়ে গেল৷ এখন ২০০ + ২৫০ = ৪৫০ জামাই বৌ দুইজন মিলে কামাই করল৷ কিন্তু সংসার চালাইতে ১০০০ লাগে৷ তাই লিভিং স্ট্যান্ডার্ড কমাইয়া ফেলল৷ অথচ, জামাই যদি একা কামাই করতো, তাহলে কিন্তু ১০০০ টাকাই কামাতে পারতো৷

এইদিকে লাগলো আরেক ভ্যাজাল। জামাইর ২৫০ টাকা দিয়া তো হচ্ছে না, সে বৌয়ের কামাইতে ভাগ দাবি করে বসল৷ সংসারের খরচ দেয়া তো জামাইর দায়িত্ব, বৌয়ের দায়িত্ব না৷ বৌ কামলা দিতে গেছে নিজে ভোগবিলাস করার জন্য, সংসারের খরচ দেয়ার জন্য না৷ এখন এই ট্যাকা নিয়া লাগলো বৌ জামাই মারামারি৷ সংসারে অশান্তি৷ কিসের পুরুষ মানুষ হইছে৷ সংসারের খরচ দেয়ার মুরোদ নাই, আবার বৌয়ের কামাই খাইতে চায়, কিসের পুরুষ সে৷

এরপরই একটা একটা করে সংসার ভাঙতে লাগলো৷ নারী এখন নিজে ২০০ টাকা কামাই করে, নিজে খায় শুধু৷ পুরুষও নিযে ২৫০ টাকা কামাই করে, নিজে খায় শুধু৷ একার ইনকাম দিয়ে সংসার চালানো সম্ভব না৷
এইদিকে মহাজন তো লালে লাল৷ ব্যবসা চাংগা৷ অধিক প্রোডাকশন, স্বল্প মজুরি, প্রচুর প্রফিট হচ্ছে৷ এই প্রফিট দিয়ে সে বান্ধা নারীবাদী ভাড়া রাখলো৷ নারীবাদী গুলো মহাজনের টাকায় মৌজ মাস্তি করতেছে, আর সাধারন নারীদেরকে বলতেছে, জামাইর সংসারে লাথি দিয়ে চলে আয়৷ মহাজনের কারখানায় কাম নে। স্বাবলম্বী হ৷ পরাধীন থাকিস না৷ নিজের খরচ নিজে চালা৷
আর সাধারন নারীগুলো মগজ বন্ধক দিয়ে দিল।

ম্যাথ ক্লাসে নতুন স্যার রুপে নিজের হবু বর স্পর্শ কে দেখে মাথা ঘুরে উঠলো আমার। বড় বড় চোখ করে তাকিয়ে আছি। নয় মাস পর দে...
05/02/2025

ম্যাথ ক্লাসে নতুন স্যার রুপে নিজের হবু বর স্পর্শ কে দেখে মাথা ঘুরে উঠলো আমার। বড় বড় চোখ করে তাকিয়ে আছি। নয় মাস পর দেখছি স্পর্শ কে তবুও চিনতে অসুবিধা হয়নি। উনি স্যার হয়ে গেলো কবে? আমি তো এসব কিছুই জানি না। লেখাপড়া শেষ করে না উনি জবের জন্য ঘুরছিলো শুনছিলাম। আমি চোখ কচলে কচলে দেখছি আবার ঘোরের মধ্যে আবোল তাবোল দেখছে না তো। আমার তো আবার এই লোকটাকে নিয়ে দিবা স্বপ্ন দেখার রোগ আছে। আজকেও তাই হচ্ছে নাকি তাই ভাবছি বসে। এদিকে স্যার ক্লাসে আসায় যে দাঁড়িয়ে ভদ্রতার সাথে সালাম দিবো তার ও খেয়াল নাই আমার।‌আমি হা করে স্পর্শের দিকে তাকিয়ে বসে আছি। তা দেখে প্রিন্সিপাল স্যার রেগে এক ধমক দিলো আমাকে। আমি ধরফরিয়ে উঠে দাঁড়ালাম। আশেপাশে তাকিয়ে দেখলাম ক্লাসের সবাই দাঁড়িয়ে আছে একমাত্র আমি ই গাধার মত বসে ছিলাম। হায় কি লজ্জা! মাথা নিচু করে প্রিন্সিপাল স্যারকে সরি বললাম। প্রিন্সিপাল স্যার বিরক্তকর চাহনী দিয়ে বললো, সিট ডাউন।
তারপর বললো, এই হচ্ছে তোমাদের নতুন ম্যাথ টিচার সাদাফ মাহফুজ স্পর্শ
স্যার আর বলতে পারলেন না তার ফোনের রিংটোন বেজে উঠল।
আদিম কালের একটা গান রিংটোন দেওয়া স্যারের সবাই মুখ টিপে হাসছে কিন্তু আমি তা করতে পারলাম না। নিচু স্বরে হাসতে গিয়ে ও খিলখিলিয়ে হেসে উঠলাম। আর সম্পূর্ণ ক্লাসে আমার হাসির শব্দ দেয়ালে বাড়ি খেল। আমার বান্ধবী মিষ্টি আমাকে ধাক্কা মারলো রাগে।
আমি সাথে সাথে মুখ চেপে ধরলাম। হায় আল্লাহ আজ আমি এসব কি করছি। একেতে প্রিন্সিপাল স্যারের সামনে বেয়াদবি করছি তার উপর আমার হবু বর স্পর্শর সামনে এসব করে নিজের মান সম্মান ক্ষুন্ন করছি ছিহ।
আমার নিজের গালে নিজেকেই কষিয়ে থাপ্পড় মারতে ইচ্ছা করছে। স্পর্শের সামনে ইজ্জতের লুফা হয়ে গেল।

স্পর্শের দিকে আড়চোখে তাকিয়ে দেখলাম তার মধ্যে কোন হেলদোল নেই। খুব স্বাভাবিক ভাবেই দাঁড়িয়ে নিজের পরিচয় দিচ্ছে। হেসে হেসে কথা বলছে। আমি একটু পরপরই আড়চোখে তাকিয়ে দেখছি তার কার্যক্রম। স্পর্শ সবাইকে দাঁড়িয়ে পরিচয় দিতে বলেছে। সবাই একে একে দাঁড়িয়ে নাম ধাম বলছে। প্রিন্সিপাল স্যার কথা শেষ করে এসে স্পর্শের স্বাভাবিক ভাবেই সুন্দর করে কথা বলতে দেখে খুশি হয়ে তাড়া দেখিয়ে চলে গেল।
স্পর্শ তাকে বিদায় দিয়ে সবাইকে একে একে নাম জিজ্ঞেস করতেই লাগলো। আমি ছিলাম দরজার পাশের লাইনে একদম লাস্টের সিটের জানালার পাশে। আমার ডান পাশে আছে মিষ্টি মাই বেস্ট ফ্রেন্ড। আরো আছে এক সিটে পাঁচজন করে বসা হয়। কারণ আমাদের বেঞ্চ গুলো অনেক বড়। আমাদের আরো ফ্রেন্ড আছে নিঝুম, সিনথি, ধারা।

স্পর্শ এতো গল্প করতে পারে উফ অবশেষে আমার পালা এলো। আমি মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে র‌ইলাম। আমাকে তো চিনেই আমি আবার কি বলবো। চুপ করে দাঁড়িয়ে আছি তাই স্পর্শের গম্ভীর গলায় আওয়াজ কানে এলো আমি চমকে মাথা উঁচু করলাম,

' হে ইউ! চুপ করে কেন? হোয়াটস ইউর নেম?' আমার দিকে আংগুল তাক করে স্পর্শ জিগ্যেস করলো। আমি হতবিহ্বল হয়ে গেলাম। অবাক নয়নে তাকালাম স্পর্শের মুখের দিকে। তিনি তার ভ্রু উঁচু করে কথা বলতে ইশারা করছে। ক্লাসের সবাই ফিসফিস করে কি যেন বলছে আমি আকাশ‌ সমান রাগ মাথায় নিয়ে শুকনো ঠোঁট দুটো ভিজিয়ে নিয়ে নিচু স্বরে টেনে টেনে বললাম,

' মারিয়া '

স্পর্শ আমার কথা শুনে বলল, ' শুধু মারিয়া? নামের আগে পরে কিছু নাই!'

আমি বললাম, ' আছে‌!'

স্পর্শ বিরক্তিকর চোখে তাকিয়ে বলল, ' তাহলে সম্পূর্ন বলেন!'

আমি বলতে যাব এমন সময় ক্লাস শেষের ঘন্টা বাজলো। আমি থেমে গেলাম। স্পর্শ ও আর দাঁড়ালো না গটগট করে চলে গেল। বিদায় নিয়ে। আমি মুখ কালো করে বসে পরলাম। উনি আমাকে চিনতে পারলো না। একদম অপরিচিতদের মতো বিহেভ করলো। উনি আমাকে চিনলো না কেন? এই উনার ভালোবাসা! সবাই যে বলে উনি নাকি আমাকে খুব ভালোবাসে? এজন্য নাকি আব্বুর পায়ে ও পরে বলেছেন তার সাথেই যেন আমাকে বিয়ে দেন। আব্বু তো বেকার ছেলে দেখে নাকি না করে দিয়েছিল। কিন্তু স্পর্শ হাল ছাড়ে নি আব্বুর পেছনে ভালো করেই নেমেছিল তাকে না মানিয়ে থামবে না। শেষ পর্যন্ত নাকি পায়েও পরেছিল তখন আব্বু একটু নরম হয়েছিল। স্পর্শের পরিবারের সবার সম্পর্কে খোঁজখবর নিয়ে সম্ভান্ত পরিবার দেখে রাজি হয়েছে কিন্তু বিয়ে এখন না স্পর্শকে নিজের পায়ে দাঁড়াতে হবে তারপর হবে সব। স্পর্শ রাজি হয়ে যায় এক পায়ে কিন্তু একটা অনুরোধ করে এনগেজমেন্টটা যেন করিয়ে রাখে তাই হয় আমাকে আমার হবু শাশুড়ি মা আংটি ও চেন দিয়েছে। আমি তো তখন স্পর্শকে দেখিনি। তখন আমি ক্লাস নাইনে পরি আমি বিয়ের খবর জানতে পেরে বাচ্চাদের মতো কেঁদেছিলাম আর বলেছিলাম। আপুর আগে আমার বিয়ে কেন ঠিক করছো তোমরা। আমি তো ছোট এখনি কেন আমাকে বিয়ে দেওয়ার জন্য পাগল হয়েছ। আমি বিয়ে করবো না। অনেক বুঝিয়ে সুঝিয়ে আমাকে আংটি পরিয়ে ছিল। আমি সেটা টেনে খুলে ফেলে দিয়েছিলাম। শত বলেও কেউ পরাতে পারেনি। আমি খাওয়া দাওয়া ও বন্ধ করে দিয়েছিলাম। সবাই শত চেষ্টা করেও আমাকে এক ফোঁটা পানিও খাওয়া তে পারেনি।
সবাইকে বলেছিলাম বিয়ে দিবে না বলো তাহলে খাব না হলে না খেয়ে মরে যাব। তোমরা কেউ আমাকে ভালোবাসো না তাই ত বিয়ে দিয়ে তাড়াতে চাইছো। সবাই আপুকে ভালোবাসো। তখন সবাই বলেছিল বিয়ে দিবে না। আমি বিশ্বাস করেছিলাম। সেই দিনের পর আর সত্যি বিয়ে না কোন কথা বার্তা শশুর বাড়ি নিয়ে কোন আলোচনা হয় নি আমি ভেবেছিলাম সব বন্ধ হয়ে গেছে কিন্তু না।
এসব কিছুই শেষ হয়নি। সব ছিল শুধু আমার চোখের আড়ালে। কারণ আমি রিয়েক্ট বেশি করতাম তাই আমার বুঝ হ‌ওয়া অব্দি সব লুকানো ছিল। কিন্তু একদিন আমি সব জেনে গেলাম তখন আমি ইন্টার ফাস্ট ইয়ারের পড়ি। এক বছর আগে জানতে পেরেছি। সব আমি আমার বড় বোন তানহা আপু তখন সব বললো। সাথে একটা পিকচার ও দিল। ছবিটা ছিল স্পর্শের। আমি প্রথম দেখেই ক্রাশ খেয়েছিলাম। তারপর ছবিটা নিজের কাছে নিয়ে রুমে গিয়ে নেচেছিলাম এতো সুন্দর ছেলের সাথে আমার বিয়ে ঠিক হয়েছে বলে। আমি বিয়েটা নিয়ে আর আগের মতো ঝামেলা করিনি বলে সবাই তারপর থেকে আমার সামনেই আলোচনা নিয়ে বসতো। আমি প্রথম রোজার মধ্যে আমার শশুর বাড়ির সবাইকে দেখেছি। স্পর্শ ও সেদিন এসেছিল কিন্তু সামনাসামনি দুজনের কথা হয়নি। আমি উঁকি ঝুঁকি মেরে দেখেছি তাকে। কথা বলার জন্য হাঁসফাঁস করছিলাম। কিন্তু কথা হলো না। তিনি ইফতার করেই তাড়া দেখিয়ে চলে গেলো। আমি বিহ্বল হয়ে গেলাম তার কান্ড কারখানায়। কীভাবে কথা বলবো? ভাবছিলাম কিন্তু লোকটা চলেই গেল।

এইভাবে এই একবছরে তিনবার তার সাথে আমার দেখা হয়েছে। আর কথা হয়েছে একবার। তাও সেটা আমার শশুর বাড়ী গিয়ে। আমি এই পর্যন্ত সাত বার শশুর বাড়ি গিয়েছি। কিছু হলেই আমাকে নিতে চলে আসে আমার একমাত্র ননদ সীফা নয়তো শাশুড়ি মা। আমি গেলে স্পর্শের জন্য ওয়েট করি কিন্তু ফাটা কপাল আমার মহাশয় জীবনে ও আমি ওই বাসায় গেলে বাসায় থাকে না। যতক্ষণ থাকি বাড়ি ও আসে না। সব সময় আমায় এমন পেরেশানি করেছে উনি। কতো শখ ছিল প্রেম করবো। যখন জানতে পারলাম এমন হিরোর মতো বর ঠিক করে রেখেছে সবাই তখন তার সাথেই প্রেম করার সিদ্ধান্ত নিলাম কিন্তু পারলাম না। একদিন নিজে থেকে ফোন দিয়েছিলাম কিন্তু আর কখনো তিনি ফোন করেননি। লজ্জায় অপমানে আর ফোন করিনি। তার ফেসবুক একাউন্ট ও আমি রাউন্ড করি কিন্তু তার পাত্তা নাই। তাই রিকোয়েস্ট ও দেয়নি আমার একটা ভাব আছে না। হুহ

রষকষ হীন বর আমার ধুর। গালে হাত দিয়ে পুরোনো স্মৃতি বিচরণ করছিলাম তখন মিষ্টির ধাক্কা খেয়ে বাস্তবে ফিরলাম।
' এই মারু তুই এমন হা করে কি ভাবছিলি হ্যা!!"

'আমার জামাইয়ের কথা ভাবছিলাম। লোকটা খাটাশ রে। ওইটারে আমার পঁচা পানিতে চুবাইতে মন চাইছে খালি ভাব দেখায় আমারে।'

ধারা বলল, ' এই মাইয়া নিশ্চিত পাগল হ‌ইয়া গেছে। জামাইয়ের খবর পাওয়া পর থিকা খালি এসব বলে। জীবনে দেখা করাতে পারলো না। ওর সাথেও কথা কয় না। আবার তার প্রেমে দেওয়ানা হয়েছে।'

' হ রে ঠিক ক‌ইছত এহন থিকা আমি ও ভাব দেখামু। আমারে না চেনার ভান করলো তাই না ওকে আমিও চিনি না এমন ভাব‌ই ধরবো।'

ওরা সবাই অবাক হয়ে বলল, ' তুই কি কস এগুলো কিচ্ছু তো বুঝতে পারছি না। সব আওলাইয়া যাচ্ছে।'

আমি সব সত্যি টা বলে দিলাম ওদের। ওরা মুখে হাত দিয়ে তাকিয়ে আছে আমার দিকে।
চলবে

পাশের বাসায় নাকি নতুন ভাড়াটিয়া এসেছে। সাথে আছে তাদের হ্যান্ডসাম হাদারাম ছেলে। শুনলাম তার আশপাশ দিয়ে ঘুরঘুর করলেও নাকি সে...
04/02/2025

পাশের বাসায় নাকি নতুন ভাড়াটিয়া এসেছে। সাথে আছে তাদের হ্যান্ডসাম হাদারাম ছেলে। শুনলাম তার আশপাশ দিয়ে ঘুরঘুর করলেও নাকি সে মেয়েদের দিকে তাকায় না। আর এই সব খবর আমার কাছে পৌছে দেয় আমার রিপোর্টার যুথী।
আল্লাহর কৃপায় আমার বেলকোণ বারান্দা আর তার বেলকোণ বারান্দা মুখোমুখি। দূর্ভাগ্যবসত সে এদিকের জানালার পর্দা সরায় না আর বারান্দার দরজাও খুলে না। সব মিলে আমি জানিই না যে পাশের বাসার ঐ রুমটাতে কেউ থাকে।
গত সপ্তাহে যুথী এসে বললো-
__"জানেন বন্ন আফা পাশের বাসায় মনকয় নতুন ভাড়াট্টি আইচে। একটা হ্যানচাম যুবক পোলাও আছে তাগো।"
__"তুই জানলি কি করে?"
__"দুই দিন ধইরা বৈকালে হেরে ছাদে বইসা থাকতে দেখি। তাই বুঝলাম।"
__"ওহ তাই?"
__"আপ্নে তারে বারান্দায় দ্যাখেন নাই?"
__"না তো।"
__"দ্যাখবেন কি কইরা? হেই ব্যাডা তো কারো দিকে তাকায় না।"
__"তুই জানলি কি করে?"
__"আমি ছাদে কাপড় উঠাইতে গিয়া তারে দেইখা কু কু শব্দ করচি মেলাক্ষণ কিন্তু ব্যাডায় একবারও তাকাইলো না।"
আমি অবাক হয়ে বললাম-
__"কু কু করেছিস কেনো?"
সে লাজুক মুখ করে মুখ নুইয়ে বললো-
__"কু কু হইলো কোকিল পাখির ডাক তাই। ভাবচিলাম পাখি ভাইবা যদি একবার তাকায়।"
ওর কথা শুনে আমি হা করে তাকিয়ে থেকে বললাম-
__"এত দিন জানতাম কুহু কুহু হলো কোকিলের ডাক। আজকেই প্রথম জানলাম কু কু হলো কোকিলের ডাক। তা কোকিল পাখি তুই তার তাকানো নিয়ে পড়েছিস কেনো?"
__"সব খবর আপ্নেরে দিমু তাই।"
__"সব খবর দেয়া হয়েছে এখন তুই যা। আমি দেখছি।"
__"ঐ ব্যাডা মনকয় আপ্নের দিকেও তাকাইবো না।"
__"কে বললো তোকে?"
আমি বড় বড় চোখে তার দিকে তাকাতেই সে বসা থেকে উঠে দাড়িয়ে বললো-
__"কেউ না আফা, আমি যাই কাম আছে।"
কথাটা বলেই সে দ্রুত প্রস্থান করলো। ও ছেলের তাকানো নিয়ে আমার কোনোই মাথা ব্যাথা নেই। তাকে জ্বালিয়ে ভষ্ম করবো ডিসিশন ফাইনাল। আমি আইডিয়া খুঁজতে শুরু করলাম।
অনেক ভেবে ভেবে বের করলাম গান বাজিয়ে জ্বালাবো। আনন্দদায়ক ঘটনা হলো আমি ফুল সাউন্ডে গান বাজাই। কিন্তু তাতেও তার কোনোই প্রতিক্রিয়া নেই। তাই ভাবলাম ডোজ বাড়াতে হবে। আর সে কারণেই নিজেই গান গাওয়া শুরু করলাম। আমি ওদের বেলকোণের দিকে মুখ করে জোরে জোরে গাই-
"মেরি সামনে ওয়ালি খিড়কি ম্য এক চাঁদকা টুকরা রেহতাহ্য। আফসোস হ্য হো হামছে কুচ উখরা উখরা রেহতাহ্য...."

এটা ছেলেদের গান হয়েছে তো কি হয়েছে? গান তো গানই। গান যদি মনের কথা বলে তবে সেটা গাওয়াই যায়।
সকালে উঠে দরজা জানালা খুলে গান শুরু করি। বেকুবটা কানে শুনে না নাকি কে জানে! আমি তো এক রকম চিল্লিয়ে গান গাই। মূলত এটা এক প্রকার ইফটিজিং। আর এটা করতে আমার খুব ভাল্লাগে। কয়েক দিন ধরে খালি গলায় গান গেয়েও যখন ফলাফল পেলাম না তখন মনে হলো খালি গলার গান হয়তো তার ভালো লাগে না তাই সে জানালার পর্দাও হয়তো সরায় না। বাধ্য হয়েই আব্বুকে বললাম-
__"আব্বু আমার একটা হারমোনিয়াম লাগবে।"
আব্বু অবাক চোখে তাকিয়ে বললেন-
__" হারমোনিয়াম কি করবি?"
আমি করুণ অসহায় মুখ করে বললাম-
__"গান গাইবো।"
__"কিহ? কোনো কালেও তো তোকে গান গাইতে দেখিনি হঠাৎ গান গাইবি কেনো?"
__"পাশের বাসার ছেলেটা খালি গলার গান পছন্দ করে না, সে জন্য হয়তো বাইরেও আসে না। তাই হারমোনিয়াম বাজিয়ে গান গাইবো।"
আব্বু মুচকি হেসে বললেন-
__"বলিস কি? ও ছেলে কানে শোনে তো?"
__"কি জানি!"
__"তাকে দেখলি কোথায়?"
__"এখনো দেখিনি, যুথী বললো পাশের বাসায় নাকি হ্যান্ডসাম একটা হিরো এসেছে আর সে নাকি কোনো মেয়ের দিকে তাকায় না।"
আমার কথা শুনে আব্বু যে বেশ খানিকটা অবাক হলেন তা তার চোখ মুখ দেখেই বোঝা যাচ্ছে। কাজের বুঁয়া খবর দিয়েছে আর সেটা না দেখেই গান শুরু করেছি আবার হারমোনিয়াম কিনেও চাইছি। অবাক না হলে হয়তো আমিই অবাক হতাম। আব্বু বিস্ময়ের দৃষ্টিতে তাকিয়ে বললেন-
__"না দেখেই গান শুরু করে দিলি আবার হারমোনিয়ামও চাইছিস?"
আমি রেগে গিয়ে বললাম-
__"এতো কথা রাখো তো! কিপ্টার মতো কথা বলো কেনো? একটা জিনিস চাইছি আর সেটা দেবার নামে খোঁজ নাই পুলিশের মতো জেরা করে চলেছো! লাগবে না হারমোনিয়াম।"
__"রেগে যাচ্ছিস কেনো? আমি চাই তোর মিশন সাকসেস হোক। ঠিক আছে আজকেই তোর হারমোনিয়াম পেয়ে যাবি।"
আমি ফিক করে হেসে বললাম-
__"গুড বয় একটা।"
__"এই বয়সে আমাকে বয় বলিস না, তোর মা শুনে ফেললে আমার সাথে নানী গিরি শুরু করবে। তখন আমাকে উদ্ধার করার জন্য কেউ থাকবে না।"
আব্বুর কথা শুনে হাহা করে হেসে ফেললাম। সাথে আব্বুও হাসলেন। আমার বাবা হলেন পৃথিবীর সেরা বাবা। আমার বেস্ট ফ্রেন্ড। আমার সব বখাটেপনাতে আব্বুর প্রশ্রয় আছে। এমন বাবা পাওয়া সৌভাগ্যের ব্যাপার আর আমি নিঃসন্দেহে সৌভাগ্যবতী।

বিকেলে আব্বু হারমোনিয়াম কিনে আনলেন। আমি তো ভীষণ খুশি। এবার দেখি ফলাফল কি আসে!
পরের দিন সকালেই হারমোনিয়াম নিয়ে গান শুরু করলাম। যদিও হারমোনিয়ামের সুর আর আমার গানের সুর সম্পূর্ণ আলাদা তবুও আমি খুব খুশিতে আছি। গান ধরলাম-
"তোমাকে চাই আমি আরো কাছে তোমাকে বলার আরো কথা আছে
বলতে পারি না মুখে তওবা তওবা
দিলে জখম হলো উহু আহা..."

এই টুকু গাইতেই কি যেন শুনলাম। সামনে মুখ তুলে তাকাতেই দেখি কাঙ্ক্ষিত সেই হ্যান্ডসাম হাদারাম দাড়িয়ে আছে। ওয়াও কি ক্যারামতি হারমোনিয়ামের! আমি তো খুশিতে বাকবাকুম। ছেলে পুরাই আগুন আগুন দেখতে। আমি হা করে কিছুক্ষণ চেয়ে থাকলাম। যদিও তার সৌন্দর্যে আমার কিচ্ছু যায় আসে না। সামনের রুমে যে ছেলে থাকবে তাকে জ্বালানোটা হলো আমার প্রতিবেশীগত অধিকার। সে ছেলে কুৎসিত হোক বা হ্যান্ডসাম। সে সামনে দাড়িয়ে আমার দিকে তাকিয়ে আছে, আমিও তার দিকে হতবাক হয়ে তাকিয়ে এসব হাবিজাবি ভাবছি। কি ভাবে যে শুরু করবো সেটা ভেবেই কুল কিনারা পেলাম না। আমি যখন কিনারা খুঁজতে ব্যস্ত তখন সে চিৎকার বললো-
__"রোজ সকালে উঠে চিৎকার করেন, পাশে প্রতিবেশীদের যে প্রবলেম হয় সেই সেন্স টুকু নেই আপনার?"
আমি হা করে কিছুক্ষণ তার দিকে চেয়ে থেকে তারপর হা বন্ধ করে বললাম-
__"এসব সেন্স টেন্স আমি সাথে রাখি না। এসব বর্ণর জন্য নয়। এসব কথা বাদ দিয়ে বলুন আপনার নাম কি?"
সে অবাক হয়ে বললো-
__"হোয়াট?"
আমি মুচকি হেসে বললাম-
__"বানান করে বলবো হিরোটা?"
সে রেগে গিয়ে বললো-
__"ফালতু কথা রেখে আপনার এই কা কা বন্ধ করুন। আপনার কা কা আমার কানে এসে আমার ঘুমের প্রবলেম করে।"
আমি মুখ ভেঙচি কেটে বললাম-
__" রাখুন আপনার ঘুমের প্রবলেম। নাম না বললে তো কা কা শুনতেই হবে হ্যান্ডসাম। নাম বলো কুহু কুহু শোনাবো।"
সে আমার কথা শুনে আরো রেগে গিয়ে বললো-
__"বখাটে মেয়ে একটা।"
কথাটা বলে আমাকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়েই সে রুমে ঢুকে ঠাস করে দরজা বন্ধ করে দিলো। মুখের সামনে দরজা বন্ধ করে এতো বড় অপমান বর্ণকে? বর্ণ এর শোধ নিয়েই ছাড়বে। আমি নিজেও আমাকে বখাটেই মনে করি। তাই তার কথায় আই ডোন্ট কেয়ার। আমার সাথে রাগ দেখানো মানেই হলো নিজে ইনভাইট করে বিপদ ডেকে এনে জীবনের সাড়ে বারোটা বাজানো। আমি জোরে জোরে বললাম-
__"বখাটের দেখছো কি চাঁন্দু? তোমার জীবন তেজপাতা বানিয়ে তবেই ছাড়বে বর্ণ।"

আমি গান বন্ধ করলাম না। প্রতিদিন নিয়ম করে আমি গান গাই। নিজেকে আজকাল গায়িকা মনে হয়। কিন্তু ঐ হাদারামটা কিছুতেই সামনে আসে না। সামনে না এলে তো জ্বালানোর সুবিধা হয় না। একদিন বিকেলে যুথী দৌড়ে এসে বললো-
__"বন্ন আফা ঐ বান্দর উপ্রে বইসা আছে।"
আমি অবাক হয়ে বললাম-
__"বানর কোথা থেকে এলো? আমাদের এলাকায় তো কোনো জঙ্গল নেই। নাকি সুন্দরবন থেকে লাফ দিয়ে উত্তরবঙ্গে এলো?"
__"আরে আফা পাশের বাসার ঐ বান্দরডার কথা কইতাছি।"
__"পাশের বাসার ওরা বানর পোষে? ওয়াও দারুণ তো। তাহলে তো একদিন বানর দেখার উছিলায় ওদের বাসায় যাওয়াই যায়।"
__"বান্দর পোষবে ক্যা? হেই ব্যাডা তো নিজেই একটা বান্দর।"
__"মানে? কোন্ পোলা বান্দর ওহ স্যরি বানর?"
__"যে পোলারে গান শুনান হেই পোলার কথা কইতাছি।"
__"ওহ তাই বল। তো তাকে বান্দর বলছিস কেনো?"
__"নাম না জানলে কি কমু কন? আমি তারে হ্যানচাম কইলে তো আপনে মাইন খাইবেন।"
__"হ্যানচাম না, ওটা হ্যান্ডসাম হবে। আর মাইন না, ওটা মাইন্ড হবে।"
__"ঐ হইলো আফা। ইহা বানান মিচতেক।"
__"মিচতেক না মিস্টেক হবে। ইংরেজী পারিস না তাহলে বলতে যাস কেনো? মাথাটা খেয়ে নিলি! যা তো এখন।"
__"আপ্নে উপ্রে যাইবেন না?"
__"যাবো। এখন তুই যা।"

আমি যুথির সাথে কথা শেষ করে ছাদে গেলাম। ছাদে উঠতেই দেখি হিরোটা চেয়ার পেতে বসে থেকে বই পড়ছে। ওহ্! আমার কি যে খুশি লাগছে! তাকে জ্বালাতে আমার ঈদ ঈদ লাগে।
আমি একটা কাশি দিয়ে মুচকি হেসে বললাম-
__"হিরো তোমার নামটা বলো।"
সে চমকে উঠে পেছনে ফিরে তাকালো।
আমি হাসি হাসি মুখ করে বললাম-
__"আমাকে চিনতে পারছো না হিরো? আমি সেই গায়িকা, বর্ণিতা।"
সে মুখ ফিরিয়ে নিয়ে বললো-
__"চিনেছি।"
__"ভেরী গুড। এখন ঝটপট তোমার নামটা বলে ফেলো।"
__"নাম শুনে কি করবেন?"
__"নাম কাগজে লিখে পানিতে চুবিয়ে সেই পানি খাবো ডার্লিং।"
__"আচ্ছা আপনি আমাকে এতো বিরক্ত কেনো করেন? আমি তো আপনার কোনো ক্ষতি করিনি।"
__"বখাটে ছেলেরা পথে ঘাটে নিরিহ মেয়েদের কেনো বিরক্ত করে? মেয়ে গুলো কি তাদের বাড়িতে গিয়ে ক্ষতি করে এসে ছিল?"
__"আপনি আসলেই একটা যা তা।"
__"কেমন যা তা?"
__"বখাটে যা তা।"
__"ডার্লিং এসব ছেড়ে বলো তোমার নাম কি?"
সে রেগে চোখ লাল করে বললো-
__"একটা মেয়ে হয়ে এসব বলতে আপনার লজ্জা করে না?"
আমি ইনোসেন্ট মুখ করে বললাম-
__"কি বললাম? আর ভাষার গায়ে কি মেল ফিমেল লেখা আছে?"
__"কি সব ভাষা ছিঃ।"
__"এসব ছেড়ে নাম বলো ডার্লিং।"
__"বলবো না।"
কথাটা বলেই সে হনহন করে নিচে চলে গেলো। আর হাসতে হাসতে আমার পেট ব্যাথা হয়ে গেলো। আমি চিল্লিয়ে বললাম-
__"ডার্লিং এমন করে আমার পেট ব্যাথা করে দিলে? তোমার কিন্তু ভালো হবে না, এটা বর্ণর ভবিষ্যৎ বাণী।"

পরের পর্ব আগামীকাল......

"বখাটে বউ"
(পর্ব-১)

পাত্র পক্ষের সামনে এসে দাঁড়াতেই শুনতে পেলো,"থাক! থাক! তোমার বসতে হবে না যতটুকু দেখেছি যথেষ্ট।"হতবিহ্বল নয়নে নাসরিন বেগমে...
03/02/2025

পাত্র পক্ষের সামনে এসে দাঁড়াতেই শুনতে পেলো,"থাক! থাক! তোমার বসতে হবে না যতটুকু দেখেছি যথেষ্ট।"

হতবিহ্বল নয়নে নাসরিন বেগমের দিকে তাকায় সবাই। অপমানে থমথমে হয়ে গেল অদিতির মুখটা। ছলছল করে উঠলো নয়নজোড়া। মাথা নোয়ালো সে। উনার মুখের ভাবভঙ্গিমা দেখে যা বুঝার বুঝতে পারলো সবাই। মেয়েকে ইশারা দিয়ে চলে যেতে বললেন আশরাফুল সাহেব। এরপর টুকটাক ফর্মালিটি মেইনটেইন করে উনারা সবাই বিদেয় নিলেন। নিজের রুমের বিছানার উপর অনুভূতিশূন্য হয়ে বসে রইলো অদিতি। চোখের জল মুছে শুয়ে পড়লো। পরের দিন সকালে বাবা-মাকে বলে ঢাকায় ফিরে গেল।

০২.
ঢাকার একটি প্রাইভেট ভার্সিটি থেকে একাউন্টিং সাবজেক্ট এর উপর অনার্স করছে অদিতি। পড়তে বসেছিল হঠাৎ ভাইব্রেট করে উঠলো ফোনটা।

"হ্যালো মা!"

"কেমন আছিস অদিতি?"

"ভালো। তোমরা কেমন আছ?"

"আছি আলহামদুলিল্লাহ। শোন,তোর প্রিয়া আপুর বিয়ে দাওয়াত দিয়ে গেছে তোর মামা-মামী।"

"ওহ কবে?"

"সামনের শুক্রবারে। আমরা তোর মামার বাসায় আসবো বুধবারে। বৃহস্পতিবারে গায়ে হলুদ। তুই বরং বৃহস্পতিবারে তোর মামার বাসার চলে আসিস কেমন!"

"না গেলে হয় না মা?"

"এত করে বলেছে না গেলে কেমন দেখায়!"

"আচ্ছা আসবো।"

"তোর পড়াশোনা কেমন চলছে?"

"ভালো।"

"ঠিকমতো খাওয়া-দাওয়া করিস তো?"

"হ্যাঁ।"

"ঠিক আছে এখন রাখি।"

"আচ্ছা।"

মাকে সালাম দিয়ে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করলো অদিতি। কিশোরগঞ্জ তার গ্রামের বাড়ি। ঢাকায় স্টাডি করে বলে হোস্টেলে থাকে। পড়াশোনা করে রীতিমতো ঘুমাতে চলে গেল অদিতি।

০৩.
বৃহস্পতিবার। প্রিয়ার গায়ে হলুদ আজ। গ্রাম থেকে অদিতির বাবা-মা এসেছে। সেও হোস্টেল থেকে সোজা মামার বাসায় উঠেছে। ছাঁদের উপর গায়ে হলুদের আয়োজন করেছে। অদিতি সিম্পল সাজসজ্জা করেছে যতটুকু না করলেই নয়। বরপক্ষ থেকে হলুদ দিতে এসেছে বেশ কয়েকজন। প্রিয়াকে হলুদ ছুঁইয়ে দ্রুত উঠে যেতেই হঠাৎ তার মামা ডেকে বলল,"অদিতি একটা প্লেটে করে কয়েকটা মিষ্টি নিয়ে আয় তো মা যা।"

"জ্বী মামা আনছি।"

সায় দিয়ে মিষ্টি নিয়ে যেতেই হঠাৎ একটা ছেলে ডেকে উঠলো।

"এই যে মিস!"

চমকে তাকায় অদিতি।

"হাই আমি অনিক।"

হকচকায় অদিতি।

"ভাবীর কী হোন আপনি?"

"কাজিন।"

"মিষ্টি খাওয়াবেন না চলে যাচ্ছেন দেখছি!"

"নিন খান।"

"থাক লাগবে না। এক গ্লাস পানি হবে বেয়াইন?"

"জ্বী।"

এক গ্লাস পানি এনে অনিকের সামনে ট্রে সমেত ধরলো অদিতি।

"আমার জন্য নয় আপনার বেয়াইর জন্য।"

থমকায় অদিতি।

"কোথাকার বেয়াই?"

হাত দিয়ে দেখালো এক যুবকের দিকে।

"পানিটা আপনার বেয়াইকে দিন।"

"আপনি দিন।"

"আরে! বেয়াইন আমরা কি প্রতিদিন আপনাদের বাড়িতে এসে বসে থাকবো নাকি! একটু আদর-যত্ন তো আমরা ডিজার্ভ করি পাত্র পক্ষের হয়ে তাই না!"

কথা বাড়ালো না অদিতি। গম্ভীর মুখে ট্রে ধরলো সেই যুবকের সামনে। হাত কাঁপতে লাগলো অদিতির। অদিতির দিকে একপলক তাকিয়ে পানির গ্লাস হাতে নিলো আসিফ। অর্ধেক পানি পান করে অদিতির দিকে তাকিয়ে আবার রেখে দিলো। নীরবে প্রস্থান করলো অদিতি। সেদিন ভালোই ভালোই হলুদ এবং পরেরদিন বিয়েটা মিটে গেল।

০৪.
পরের দিন কনেপক্ষের হয়ে বৌভাতের অনুষ্ঠানে প্রিয়ার শ্বশুড়বাড়িতে যেতে হয় অদিতিকেও। ভোজনপর্ব শেষে নীরব হয়ে প্রিয়ার সাথে তার রুমে বসে রইলো অদিতি। তাকে ঘিরে রয়েছে তাদের বেশকিছু আত্মীয়স্বজন। হঠাৎ প্রিয়ার স্বামী নাঈমের সঙ্গে আসিফকে দেখতেই চমকে উঠে দ্রুত চোখ সরিয়ে নিলো অদিতি। অদিতির দিকে তাকিয়ে রইলো আসিফ। আলমারি থেকে কিছু একটা নিয়ে ছাঁদের দিকে হাঁটা ধরলো দু'জন।

"দোস্ত তোর বউয়ের পাশে বসে থাকা মেয়েটা কে রে?"

"ফুপাতো শ্যালিকা।"

"ওহ।"

গম্ভীর হলো আসিফ।

"কী ভাবছিস?"

"কিছু না।"

"তোরে দেখলাম ওর দিকে কেমন করে তাকিয়েছিলি ব্যপার কী?"

"কিছু না।"

"শ্যালিকাকে পছন্দ হয়েছে তোর?"

মাথা চুলকায় আসিফ। মুচকি হাসলো একটু।

"হুম একটু একটু।"

"তো বিয়ের অফার পাঠিয়ে দে বরং।"

"আগেই না। একটু পরিচিত হয়ে নিই।"

হেসে উঠলো নাঈম।

"ঠিক আছে।"

"কিন্তু কীভাবে কী করবো?"

"আয় পরিচিত হবি?"

"মন্দ হয় না।"

নাঈম তার বোন নিত্যাকে ডেকে প্রিয়া আর অদিতিকে আসতে বললো। লাজুক হেসে নিত্যার সাথে ছাঁদের দিকে পা বাড়ালো তারা দু'জন। ওদের দেখতেই সিগারেট ফেলে জুতো দিয়ে পিষলো। আসিফকে দেখতেই অপ্রস্তুত হলো অদিতি। চোখ পড়তেই সরিয়ে নিলো দ্রুত।

"শ্যালিকা কী খবর?"

"ভালো।"

"ও আমার বন্ধু আসিফ।"

নীরব রইলো অদিতি। সৌজন্যতামূলক আসিফের সঙ্গে টুকটাক কথা বললো প্রিয়া কিন্তু সবটা সময় নীরব রইলো অদিতি। কিছুক্ষণ পর নিত্যার সাথে নিচে চলে গেল অদিতি। ভালো লাগছে না তার। ভীষণ অস্বস্তি হচ্ছে।

"প্রিয়া তোমার কাজিনকে পছন্দ হয়েছে আসিফের।"

সুমিষ্ট হাসলো প্রিয়া।

"হতেই পারে সমস্যা নেই।"

মলিন হাসলো আসিফ।

"ওদের সাথে সেটিং করিয়ে দাও।"

"তার চেয়ে আসিফ ভাই বরং তার পরিবারকে নিয়ে যাক।"

"নিবে আগে থেকে না হয় একটু ফ্রী হয়ে নিক।"

"অদিতি পড়াশোনা পাগলি মেয়ে। সে পড়াশোনা নিয়ে বেশ সিরিয়াস থাকে। ওকে এখন বিরক্ত না করে বরং পরিবার থেকে প্রস্তাব পাঠানো ভালো।"

"ও প্রিয়া তুমিও না যে কী!"

বিরক্ত হয় নাঈম।

"ওর ফেইসবুক একাউন্ট থাকলে দাও বরং।

"অদিতি শুনলে রাগ করতে পারে।"

"তুমি দাও বাকিটা আসিফ হ্যান্ডেল করে নিবে।"

নাঈমের মুখের দিকে তাকায় প্রিয়া। ইশারা দিলো দিতে। নিরুপায় হয়ে বিপন্ন মুখে দোনোমোনো করে তাই করে প্রিয়া।

০৫.
এরপরের দিন হোস্টেলে ফিরে গেল অদিতি। আবারও পড়াশোনায় ব্যস্ত হয়ে গেল। রাতে বেড গুছিয়ে শুয়ে পড়তেই হঠাৎ মেসেজ টোন বেজে উঠলো। গুরুত্ব দিলো না অদিতি। ফের কয়েকবার বেজে উঠলো। নোটিফিকেশন চেক করে দেখলো একটা অপরিচিত আইডি থেকে মেসেজ এসেছে।

"হাই কেমন আছেন? কী করছেন?"

এইরকম অহরহ কত মেসেজ আসে এইসবে কখনো গুরুত্ব দেয় না অদিতি। ছেলেদের কাজই তো এমন। দ্রুত ব্লক লিস্টে ফেললো। হতাশ হলো আসিফ। এবার মেইন একাউন্ট থেকে মেসেজ দিলো।

"হাই বেয়াইন! কেমন আছেন?"

চমকায় অদিতি। প্রোফাইল নেইম এবং পিকচার দেখতেই হঠাৎ কাঁপতে লাগলো হাতটা। নীরব হয়ে তাকিয়ে রইলো অদিতি।

"আমাকে চিনতে পেরেছেন বেয়াইন?"

ঠিক কী করবে ভেবে পেলো না অদিতি। রিপ্লাই দিবে নাকি দিবে না সেটা নিয়েও পড়লো বিপাকে। না দিলে যদি নাঈম-প্রিয়া রাগ করে? কিংবা অপমানিতবোধ করে নাঈম প্রিয়াকে কিছু বলে তাহলে? তার জন্য তাদের নব সংসারে অশান্তি হোক তা চায় না অদিতি। কম্পিত হাতে রিপ্লাই দিলো।

"ভালো। আপনি কে?"

ঝিলিক দিয়ে উঠলো আসিফের মুখটা। গড়গড় করে টাইপিং করতে লাগলো।

"আপনি আমাকে চিনেন না বেয়াইন?"

"না।"

"নাঈমের বন্ধু আসিফ।"

"ওহ।"

"কী করছেন?"

"ঘুমাবো।"

"ডিসটার্ব করলাম বোধহয়?"

"হ্যাঁ।"

অদিতির এমন প্রতিত্তোরে আসিফ বুঝতে পারে তাকে ইগনোর করছে অদিতি।

"আমার একাউন্ট কোথায় পেয়েছেন?"

"চেষ্টা করলে কী না হয়!"

"আচ্ছা আমি ঘুমাবো রাখি।"

মেসেজটা সেন্ড করেই অফলাইনে চলে গেল অদিতি। নিজের ফোনের স্ক্রিনে তাকিয়ে রইলো আসিফ।
______

তোমার_কুঠিরে_রাঙিও_আমায় ❤️
Mahra Imroz-তারাফুল
পর্বসংখ্যা-(০১)

গল্পটির পরবর্তী পর্ব পড়তে পেজটি ফলো দিয়ে রাখুনচলবে
কপি করার অনুমতি দেওয়া হয়নি।

Address

New Babu Para , Nilphamari Sadar
Rangpur
5300

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Ishrat - Jahan posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share