কাব্যকানণ

কাব্যকানণ "যেখানে কল্পনারা ছুঁয়ে যায় শব্দের পাতা — কাব্যকানন।"
(11)

অধরা জানো তোমার অবাধ্য খোলা চুলের -উড়াউড়ি দেখতে বড্ড বেখেয়ালি হয়ে পরি'"সময়ের কোন খেয়ালী থাকে না আমার। তোমার ওই মিষ্টি ঠো...
29/08/2025

অধরা জানো তোমার অবাধ্য খোলা চুলের -
উড়াউড়ি দেখতে বড্ড বেখেয়ালি হয়ে পরি'"
সময়ের কোন খেয়ালী থাকে না আমার।

তোমার ওই মিষ্টি ঠোঁটের বিশ্লেষণ করতে
গেলে গোটা একটা ডাইরীর পাতা -
শেষ হয়ে যাবে।

" গোলাপি ঠোঁটের মিষ্টিমুখ দেখে যেনো -
এক নিমিষেই থমকে যাই।

আর তোমার ঠোঁটের উপরের-
গোলাপি কমলা বর্ণ টা যেনো আমায় বন্দুকের গুলির মত বুকে এসে আঘাত করে"

'তোমার কপালের কালো টিপ টা"
দেখে যেনো মনে হচ্ছে এক চিলতে পরস।
একে দেই তোমার ওই কপালে।

আচ্ছা মেয়ে তুমি ত শাড়ী পরতে পারো "
শুনেছি মেয়েরা নাকি তার জীবনের -
প্রথম শাড়ী পরা শিখে তার মায়ের কাছ থেকে,
তুমিও কী শিখেছো...?

আচ্ছা মেয়ে শুনো তোমায় না জল্পাই কালার শাড়ীতে বেস
মানাবে, পরবে কিন্তু, সাথে ম্যাচিং চুড়ি হালকা
গহণা, মনে হবে যেনো নিশীথে পূর্ণিমায় -
সপ্নমঁয়ী নেমে এসেছে ।

-কাব্য🌸

28/08/2025

Some voices don’t just sing, they touch the soul...
Amazing Voice🌸🥺

28/08/2025

When words fail, music speaks louder.🎶🎵
Aysha Afroz Aruhi,, Amazing Voice🎶🤗🌸

রাত বাজে বারোটা। বেলকনির রেলিংয়ের ওপর মাথা রেখে শুয়ে আছে সায়রা!  চাঁদ সেই নিঃশব্দ আলোয় ঝলমল করছে, ঠিক যেন তার একাকিত্...
25/08/2025

রাত বাজে বারোটা। বেলকনির রেলিংয়ের ওপর মাথা রেখে শুয়ে আছে সায়রা! চাঁদ সেই নিঃশব্দ আলোয় ঝলমল করছে, ঠিক যেন তার একাকিত্বকে আরও গভীর করে দিচ্ছে। চার দিন ধরে তার দেহ ভাঙছে, একটার পর একটা ইনফিউশন, রোগের ভারে মনও ক্লান্ত। কিন্তু দেহের কষ্টের চেয়েও বড় কষ্ট তার হৃদয়ে, কারণ তার প্রিয় মানুষ—যাকে সে ভালোবেসে ডাকত “ডাক্তার সাহেব” বলে!!এখন সে মানুষ টা তার নয়। অন্য নারীর হাত ধরেছে সে,,অন্য নারীর হালাল পুরুষ সে,,সায়রার জন্য পরপুরুষ!
সায়রা চাঁদের দিকে তাকিয়ে ভাবছিলো—কেন অসুস্থতা তার পিছু ছাড়ে না? কেন এই রোগ তাকে এত ভালোবাসছে, যতটা ভালোবাসা সে তার প্রিয় মানুষের কাছে পেতো না? কেন তার প্রিয় মানুষ এখন অন্য কারো? চোখ ভিজে গেছে, হৃদয় ব্যথায় ভারাক্রান্ত।

সে ভাবতেছিলো-তার ডাক্তার সাহেব তো ওই সময় গুলোতে তার পাশে থাকতো, যখন সে এত কষ্টে ভুগত। কিন্তু আজ??, আজ তার মনে পড়ে না।কেন এত নিষ্ঠুরতা, কেন এত অপ্রাপ্য দূরত্ব?সায়রার মনের মধ্যে প্রশ্নগুলো অনন্ত!!অসুস্থতা কেন তাকে ছেড়ে যায় না? এই রোগ কেন এত নিবিড়ভাবে ভালোবাসলো? তবে কি এই অসুস্থতাই তার পরম বন্ধু! আচ্ছা সায়রার প্রিয় মানুষটা কেন তাকে এভাবে জড়িয়ে থাকলো না? কেন তার ডাক্তার সাহেব তার নয়?
অজস্র প্রশ্ন সায়রার মনে!

চাদ আকাশে ঝলমল করছে, কিন্তু তার নীরবতা, নিঃশব্দ উপস্থিতি—কোনো উত্তর দেয় না। যেন সেই নিঃশব্দই সায়রার সমস্ত প্রশ্নের একমাত্র উত্তর, যা কখনো বলা হবে না। এবং সায়রা বুঝলো, কিছু প্রশ্নের উত্তর কখনো শব্দে আসে না, আসে শুধু নিঃশব্দ বেদনা, আসে শুধু একাকিত্বের গভীরতা।

সায়রার চোখে জল জমেছে, মনে হলো আকাশের অসীম নীরবতা তার চোখে বৃষ্টির ন্যায় অঝোড়ে ভেঙে পড়ছে। “আমাকে ভুলে গেছে, নাকি? আমার না হওয়া মানুষ টা?” সে চেঁচিয়ে বলতে চায়, কিন্তু শব্দ বের হয় না। চারপাশে শুধু নিস্তব্ধ রাত, চাদ,! এবং তার নিজের ভাঙা হৃদয়ের শব্দ,,আর অসুস্থতায় কুকড়ে যাওয়া জীর্ণ শরীর টা!

সায়রা মনে মনে তার ডাক্তার সাহেবকে খুঁজে ফিরছিল—সেই ছায়া, সেই মৃদু হাসি, সেই একচেটিয়া ভালোবাসা, যা শুধু তার জন্যই ছিল। সায়রা আগের কথা গুলো মনে করতেছিলো,, সে অসুস্থ হলে যে ডাক্তার সাহেব কতো অস্থির হতো, আজ কেন তার মনে পড়ছে না? এত নিষ্ঠুরতা কি সম্ভব? ভালোবাসার অযোগ্য কি সে সত্যিই?

বেলকনির ধূসর আলোয় তার শরীর হালকা কাঁপছে, কিন্তু মন টা আরও বেশি ভিষণ ভাবে কাঁপছে। এই মুহুর্তে তার সাথে বাবা নেই, মা নেই, ভাই নেই। আর সেই প্রিয় মানুষ, যার কাছে সে নিজের সব কথা জানাতো, আজ সেই মানুষ টিও নেই। অথচ হৃদয়ের কোনোকোনায় এখনও চিহ্ন রয়ে গেছে তার স্পর্শের—মৃদু হাসি, সেই গভীর চেয়ে থাকা চোখ।

সায়রা দীর্ঘশ্বাস ফেলে, চোখ বন্ধ করে। মনে হয়, ডাক্তার সাহেব যেন এখনো তার সব কথা শুনতে পারে, তার নিঃশ্বাসে, তার ব্যথায়। কিন্তু বাস্তবতা তখনি চোখের সামনে এসে আঘাত হানে—সে তো এখন তার নয়। অন্য নারীর হাতে তার মন আর শরীর ২ টোই রয়েছে,,অন্য নারীর বক্ষে সে সুখ খুজছে!! আর সে শুধুই দূরের ছায়া, নিঃসঙ্গতার সাক্ষী।

রাতের চাদ যেন সব কিছু জানে। সেই শান্ত, কাশফুলের মতো ঠান্ডা আলোতে সায়রার ব্যথা ফুটে উঠছে। মনে হয়, তার ভালোবাসা এত গভীর যে, দূরত্ব, সময়, অন্য কেউ—,,এবং কোণ কিছুই এখন তাকে ছুঁতে পারবে না। অথচ সেই ভালোবাসা এখন শুধুই নিঃশব্দ প্রার্থনা, শুধুই একাকিত্বের অন্তহীন অন্ধকারে হারানো চাঁদের মতো।
সায়রা জানে, সে ভালোবাসার অযোগ্য নয়। ভালোবাসা তাকে ছেড়ে যায়নি, বরং সে নিজেকে হারিয়েছে, প্রিয় মানুষকে হারিয়েছে। তার চোখে অশ্রু, হৃদয়ে ব্যথা, আর বেলকনির সেই চাদ—সব মিলিয়ে এক অনন্ত নিঃশব্দ, এক অব্যক্ত কাব্য।

শরীর ক্লান্ত, মন বিষণ্ণ, কিন্তু ভালোবাসা—তার হৃদয়ে এখনও অমলিন। ডাক্তার সাহেব এখন অন্য নারীর শখের পুরুষ,হালাল পুরুষ!!, কিন্তু সায়রার ভালোবাসা?? এখনও সেটা চেয়ে আছে, দূর থেকে, নিঃশব্দে, চাদঁকে ছুঁয়ে। আর রাতের সেই নিঃসঙ্গতা, অসুস্থতার ক্ষীণ আলো—সব মিলিয়ে এক চিরন্তন কাব্যিক বেদনা, যা কখনো শেষ হবে না।..................কত অব্যাক্ত কথা রয়ে গেলো,,অন্য সময় না হয় লিখবো,,আজ এখানেই থামলাম!

18/08/2025

শুরুর সেই রঙিন গল্পের শেষে,
থেকে গেলো শুধু নিঃশব্দ কান্না,
শেষ চাহুনি হয়ে উঠলো প্রশ্নের পাহাড়—

কেন শুরুটা এত রঙীন হয়,
যদি শেষে বিচ্ছেদই লেখা থাকে?
কেন প্রেমের মুহূর্তটা এত দারুণ,
যদি বিদায়ের মুহূর্তটা এত বিষাদময় হয়?

ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কোলাহল সেই রাতে অন্য রকম মনে হচ্ছিলো! এয়ারপোর্টের কাঁচের দেয়ালের ওপারে দাঁড়...
17/08/2025

ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কোলাহল সেই রাতে অন্য রকম মনে হচ্ছিলো! এয়ারপোর্টের কাঁচের দেয়ালের ওপারে দাঁড়িয়ে ছিল রিদিসা! ভিড়ভাট্টার শব্দ, লাগেজের ঠকঠক, ঘোষণা দেওয়া স্পিকারের আওয়াজ—সবকিছুই তার কাছে যেন ঝাপসা লাগছিল। তার চোখ শুধু খুঁজে নিচ্ছিল এক জনকেই—যে কয়েক মুহূর্ত পরেই দেশের আকাশ ছেড়ে অচেনা দেশের আকাশ পথে উড়াল দেবে।চারপাশে এতো মানুষ!কেউ বিদায় দিচ্ছে, কেউবা উল্লাসে প্রিয়জনকে বরণ করছে। অথচ তার চারপাশটা যেন নিস্তব্ধতা বিরাজ করছে! কাচের ওপাশে চেক-ইন কাউন্টারের সামনে দাঁড়িয়ে ছিল আয়ান। হাতে পাসপোর্ট, ভিসা আর ভর্তি পত্র। এবারের গন্তব্য পড়াশুনার জন্য, তার স্বপ্নের বিশ্ববিদ্যালয়। অথচ আজ এই স্বপ্নই যেন দু’জনকে আলাদা করে দিল।

আয়ান ঠিক শেষ মুহূর্তে এসে দাঁড়াল তার সামনে। চোখ লাল, হয়তো সারারাত না ঘুমানো বা কান্নার দাগ। হাতে পাসপোর্ট-টিকিট শক্ত করে ধরা, যেন ছাড়তে চাইছে না। আয়ান রিদিসা কে উদ্দেশ্য করে বললো,,

- “তুমি আমাকে ফিরিয়ে দিয়েছো, জানি। কিন্তু শোনো, আমি হাল ছাড়ছি না। একদিন ফিরে আসবো। ততদিন তুমি যদি থেকো… অপেক্ষা কোরো।”

রিদিসা ঠোঁট শক্ত করে চেপে ধরলো। হৃদয় কাঁপছে, তবুও বললো,
-”“ভালোবাসা যদি শুধু আমার আর তোমার হতো, আমি ফিরিয়ে দিতাম না। কিন্তু আমার পরিবার আছে, আমার দায়িত্ব আছে, আমার নিজের লড়াই আছে। আমি তোমাকে ভালোবাসলেও সেটা হয়তো বলা সম্ভব নয়…”

আয়ান হেসে ফেললো হঠাৎ, তবে সেই হাসিতে ছিল কষ্টের হাজারো ছাপ।
-“তাহলে আমাকেই লড়তে হবে… তোমার স্বপ্নের সাথে, তোমার পরিবারের সাথে, আর তোমার হৃদয়ের নীরবতার সাথে।”

রিদিসা নিশ্চুপ দাড়িয়ে রইলো!কি বলবে সে,,কি বা বলার আছে!

আয়ানের বুকটা হুহু করে উঠলো। এতটা সে কল্পনাও করেনি। তার মনে হলো, হয়তো সে ভালোবাসায় হেরে গেছে। কিন্তু তবুও একরকম জেদে বললো,
- “তাহলে আমি যাচ্ছি। কিন্তু শোনো, আমি একদিন ফিরে আসবো। হয়তো ততদিনে তুমি বদলে যাবে, হয়তো থাকবে না। তবু… তুমি যদি থেকো, তবে অপেক্ষা করো।”

রিদিসা আর কিছু বললো না। শুধু ভেতরে ভেতরে বুকটা চিৎকার করে উঠলো,
“-আমি তো তোমাকে ভালোবাসি… শুধু বলতে পারলাম না।”

আয়ান আবার ও একবার মায়াময় দৃষ্টিতে তাকালো মেয়েটির দিকে-“আমার জন্য কাঁদিস না, আমি ফিরব। খুব শিগগিরই।”
আয়ান কথাটা বললো গলা ভারী করে।

রিদিসা মাথা নিচু করে দাড়িয়ে রইলো,,চোখে জল টলমল করছে,শেষ বার বললো,-ফিরবে তো? সত্যিই ফিরবে?”

আয়ান বললো -হু" ফিরবো অপেক্ষা করো!
গেট নাম্বার ডাকা হলো। ছেলেটা ধীরে ধীরে ভিড়ের ভেতরে মিলিয়ে গেল। একবারও পিছনে তাকালো না।

রিদিসা স্থির দাড়িয়ে রইলো। বুকের ভেতর এক অদ্ভুত টান। ভালোবাসার কথা সে কখনো বলেনি, শুধু মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল বাস্তবতার অজুহাতে। কিন্তু আজ তার মনে হলো—সে কি ভুল করলো?তার কানে শুধু বাজছে আয়ানের শেষ কথা—
“অপেক্ষা করো…”

আকাশের বুক চিরে প্লেন উড়ে গেল। রিদিসার চোখে জল ভেসে উঠলো-
“ভাগ্য কি আদৌ আমাদের আবার মিলাবে? আমি যে তাকে ফিরিয়ে দিয়েছি এটা কি অন্যায় করেছি?কিন্তু তার ও তো ক্যারিয়ার আছে!!আমি কি সত্যিই অপেক্ষা করতে পারবো?”

বাতাসের মতো উত্তরহীন প্রশ্নগুলো রয়ে গেল তার চারপাশে ভেসে।
এখন শুধু সময় জানে, অপেক্ষার এই গল্পের শেষ কোথায়…

অপেক্ষার উপাখ্যান,,
-muntaha

ঘড়ির কাঁটা বিকেলের শেষ প্রান্ত ছুঁইছে। শরীরটা ১০৩° জ্বরে পুড়ে যাচ্ছে, মনে হচ্ছে যেন কেউ আমার ভেতরে আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে।...
12/08/2025

ঘড়ির কাঁটা বিকেলের শেষ প্রান্ত ছুঁইছে। শরীরটা ১০৩° জ্বরে পুড়ে যাচ্ছে, মনে হচ্ছে যেন কেউ আমার ভেতরে আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে। জানালার দিকে তাকাতেই দেখি—সূর্যটা ধীরে ধীরে গড়িয়ে নামছে দিগন্তের পেছনে।

আমি ক্লান্ত গলায় বললাম,
- “জানো সূর্য, আজ ভীষণ জ্বর। মনে হচ্ছে তোমার সব তাপ আমার শরীরে দিয়ে যাচ্ছো।”

সূর্যের কমলা আলো আমার মুখে এসে পড়ল, যেন হাসি দিয়ে বলল,
-“হয়তো আজ তোমাকে আমার উষ্ণতা ধার দিয়েছি, যাতে একা না লাগে।”

আমি তিক্ত হেসে বললাম,
-"উষ্ণতা চাইনি আমি… চাইছিলাম পাশে থাকার মানুষ।”

সূর্য একটু থেমে নরম স্বরে বলল,
-“তোমার পরিবার তো আছে।”

আমি দীর্ঘশ্বাস ফেললাম,
-"পরিবার আছে, হ্যাঁ… কিন্তু যাদের জন্য রাত জেগে গল্প লিখেছি, মন খুলে কথা বলেছি, যাদের কষ্টে কেঁদেছি—তারা খবরও নেয় না। কেউ জানতে চায় না আমি বেঁচে আছি কি না।”

সূর্যের রঙ গাঢ় হয়ে উঠল,
- “মানুষ এমনই। আলোতে তারা কাছে আসে, অন্ধকারে হারিয়ে যায়।”

আমি তাকিয়ে রইলাম তার দিকে, চোখ কেমন যেনো জ্বলে ভরে গেলো,
-“তুমি প্রতিদিন ডুবে যাও, তবুও ফিরে আসো। কিন্তু মানুষ কেন ফেরে না?”

সূর্য মৃদু হেসে বলল,
-“কারণ আমার ডোবা আর ফেরা—প্রতিশ্রুতি। আর মানুষ… প্রতিশ্রুতি রাখতে শিখে না।”

আমি নিচু গলায় জিজ্ঞাসা করলাম,
- “তাহলে কি সবাই বেইমান?”

-“সবাই না,” সূর্য ধীরে ধীরে বলল, “কিন্তু যারা তোমার দুঃখের খবরও রাখে না, তারা কখনোই তোমার আলো ছিল না। তারা ছিল কেবল ছায়া-যা আলো থাকলেই পাশে থাকে, আর আলো নিভলেই মিলিয়ে যায়।”

আমি জানালার ধারে ঠেস দিয়ে বসে পড়লাম, চোখ ভারী হয়ে আসছিল,
“তোমারও তো হারিয়ে যাওয়া কষ্ট দেয়, তাই না?”

সূর্যের আলো ম্লান হতে হতে উত্তর দিল,
“হ্যাঁ, দেয়। কিন্তু আমি জানি, কাল আবার ফিরব। তুমিও শিখে নাও—ডুবে যাওয়া মানে হার মানা নয়।”

শেষ আলো মিলিয়ে যাওয়ার আগে সে ফিসফিস করে বলল,
“আজকের তাপটা রেখে দাও নিজের ভেতরে, একদিন এই আগুনই তোমাকে শক্তি দেবে।”

তারপর সে মিলিয়ে গেল, আকাশ অন্ধকার হয়ে এলো, আর আমি চেয়ে রইলাম… সুর্যের অস্ত যাওয়ার দিকে,,চোখ গুলোও ভিষণ জ্বলছে আজ..

বৃষ্টিভেজা বিকেল। মাঠের পাশ দিয়ে দুজন হাঁটছি-আমার ওড়নায় ভেজা কদম ফুলের মিষ্টি গন্ধ লেগে আছে, যদিও তাতে খুব একটা গন্ধ থাক...
07/08/2025

বৃষ্টিভেজা বিকেল। মাঠের পাশ দিয়ে দুজন হাঁটছি-আমার ওড়নায় ভেজা কদম ফুলের মিষ্টি গন্ধ লেগে আছে, যদিও তাতে খুব একটা গন্ধ থাকে না।
সে হঠাৎ থেমে গেলো। তার হাতে তিনটি কদম ফুল। হালকা হাসি দিয়ে এগিয়ে এলো আমার দিকে।

সে আমার দিকে তাকিয়ে হেসে বললো,
- তুমি জানো? কদম ফুল আমার অনেক পছন্দ!এই ফুলটা একদম তোমার মতো—গোলগাল, শান্ত, আর দেখতে কোমল ও মায়াবী।"তুমি আমার কদম ফুল,
তুমি আছো মানেই জীবনটা রঙিন,🌸

আমি হেসে বললাম,
-"তাহলে রাখো, কদমের প্রতিটা কাঁটা তোমার জন্য, আর সব টুকু মিষ্টি গন্ধ আমার জন্য🌸

-আমি মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে ছিলাম। হঠাৎ দেখি সে একটা ফুল তুলে আমার খোপা করা চুলের পাশে গুঁজে দিয়ে আমার কানে ফিসফিস করে বললো,
"তোমাকে হারালে যেন এই বর্ষা মরুভূমি হয়ে যাবে…"

সেই মুহূর্তটা সময়ের পাতায় চাপা পড়ে গেলো, কিন্তু রয়ে গেলো কদমফুল আর তার চোখের মায়া.....

🌸কদম ফুলে তেমন গন্ধ নেই… কিন্তু সে যখন চুলে গুঁজে দেয়, তখন মনটা সুগন্ধে ভরে যায়।🌼

তুমি জানো তো?তুমি আমায় ছেড়ে যাওয়ার আগে,আমি তোমার প্রিয় গান শুনে ঘুমাতাম।তুমি গেলে…আর আমি আর গান শুনতে পারি না,কারণ প্রতি...
07/08/2025

তুমি জানো তো?
তুমি আমায় ছেড়ে যাওয়ার আগে,
আমি তোমার প্রিয় গান শুনে ঘুমাতাম।

তুমি গেলে…
আর আমি আর গান শুনতে পারি না,
কারণ প্রতিটা সুরে এখন কাঁটার মতো বাজে—তোমার স্মৃতি।
তোমার নাম ধরে ডাকা বন্ধ করে দিয়েছি,
কিন্তু মনে ডাকা থামাতে পারিনি।

তুমি এখন অন্য কারো পাশে ঘুমাও,
অন্য নাম বলো আদরে,
অন্য কারো গালে হাত রেখে বলো
"তুমি ছাড়া থাকতে পারি না।"

ঠিক যেভাবে আমায় বলেছিলে।

কিন্তু আমি?
আমি এখন আর কাউকে ভালোবাসতে পারি না।
আমি নিজের নামটা উচ্চারণ করি আয়নার সামনে—
প্রতিবার নিজেকে বোঝাই,
"তুইও কিছু কম ছিলি না। তোর দোষ ছিলো শুধু একটাই—তুই ওকে বিশ্বাস করেছিলি।"

তুমি চলে গেলে সহজে,
আর আমি থেকে গেলাম ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে,
কিন্তু তুমি তো জানো না,
এই টুকরোগুলো একদিন আগুন হবে।

তখন দেখবে,
যাকে তুমি ফেলে গেলে, সে আর আগের মতো নেই।
সে আর কাঁদে না,
সে আর কারো অপেক্ষা করে না
সে শুধু একবার হেসে বলে,,
"যে চলে যায়, তার ফিরে আসার অধিকার থাকে না।"

আমি দেখেছি তোমায়,অন্য কারো পাশে হাসতে…তোমার চোখে কোনো দুঃখ ছিল না,ছিল শুধু সুখের ছায়া।আমি দাঁড়িয়ে ছিলাম,নিঃশব্দে, একটু দ...
04/08/2025

আমি দেখেছি তোমায়,
অন্য কারো পাশে হাসতে…
তোমার চোখে কোনো দুঃখ ছিল না,
ছিল শুধু সুখের ছায়া।

আমি দাঁড়িয়ে ছিলাম,
নিঃশব্দে, একটু দূরে
যেখানে শুধু কষ্টগুলো হেঁটে বেড়ায়,
ভাঙা স্বপ্নগুলোর কোলাহলে।

তোমায় ভালোবেসেছিলাম বলেই,
তোমার সুখে হাসতে চেয়েছিলাম একসময়,
কিন্তু আজ বুঝি
তোমার সুখ মানে ছিল না ‘আমরা’,
ছিল শুধু ‘তুমি’ আর ‘তোমার ইচ্ছে’।

আমি আজও ভালোবাসি…
তবুও আর চাই না!
তোমায় নয়—নিজেকেই চাই আজ,
নিজের পবিত্র ভালোবাসাকে,
যেটা তুমি কোনোদিন বুঝতে পারোনি🌸

এটা পরিবর্তন নয়, এটা তো অনিবার্য.!🙂🖤
02/08/2025

এটা পরিবর্তন নয়, এটা তো অনিবার্য.!🙂🖤

-তুমি আজকাল কেমন আছো?– ঠিক আছি। তুমিই কেমন?– আমি… চেষ্টা করছি ঠিক থাকতে।– আমি জানি।– তুমি চলে যাচ্ছ?– হ্যাঁ… হয়তো এটাই ঠ...
25/07/2025

-তুমি আজকাল কেমন আছো?
– ঠিক আছি। তুমিই কেমন?

– আমি… চেষ্টা করছি ঠিক থাকতে।
– আমি জানি।

– তুমি চলে যাচ্ছ?
– হ্যাঁ… হয়তো এটাই ঠিক।

– এতগুলো স্মৃতি ফেলে রেখে চলে যেতে পারো?
– স্মৃতিগুলো রেখে যাচ্ছি তোমার কাছে। আমি শুধু নিজেকে নিয়ে যাচ্ছি।

– ফিরে আসবে না?
– জানি না। কোনো কিছুই আর ঠিক করে বলা যায় না।

– ভালোবাসো না আর?
– বাসি।

– তাহলে?
– সব ভালোবাসা থাকাতে রূপ নেয় না।

– তুমি অন্তত একটা মিথ্যে বলতে পারতে,
"আমি আসবো"—এইটা শুনলে হয়তো বেঁচে থাকতে পারতাম।
– মিথ্যে দিয়ে আর ক'টা দিন টিকে থাকা যায় বলো?
আমি চাই তুমি সত্যি সত্যি ভালো থাকো। আমার ছায়া থেকে বেরিয়ে আসো।
তুমি তার চেয়েও বেশি কিছু ডিজার্ভ করো….

তারপর চলে গেল সে।

পেছন ফিরে তাকায়নি।

আর আমি?
আমি আজও দাঁড়িয়ে থাকি—সেই জায়গায়,
যেখানে কেউ কথা রাখে নি..
তবুও মন বলে,

সে আসবে… একদিন… শুধু একটিবারের জন্য হলেও।
...... বিদায়

Address

Rangpur

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when কাব্যকানণ posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to কাব্যকানণ:

Share