Funtu - ফানটু

Funtu - ফানটু Welcome to Funtu! Your ultimate destination for entertainment! Get ready to escape reality and immerse yourself in a world of endless entertainment.

Don't forget to hit that subscribe button to get entertainment video regularly! Let the good times roll!"
Thank you very much.

....... ⤵⤵
28/08/2025

....... ⤵⤵

🎬ছন্দপতনভিকি জাহেদ
28/08/2025

🎬ছন্দপতন
ভিকি জাহেদ

সত্যজিৎ রায়ের শুরুটা একটা বিজ্ঞাপন সংস্থায় ৮০ টাকা বেতনের চাকরি দিয়ে। সেখানে একজন ভিজ্যুয়াল ডিজাইনার হিসেবে কাজ শুরু ক...
27/08/2025

সত্যজিৎ রায়ের শুরুটা একটা বিজ্ঞাপন সংস্থায় ৮০ টাকা বেতনের চাকরি দিয়ে। সেখানে একজন ভিজ্যুয়াল ডিজাইনার হিসেবে কাজ শুরু করেছিলেন, এখনকার সময়ে যাকে আমরা গ্রাফিক ডিজাইনার বলি। এই কাজের সাথে সাথেই একটি প্রকাশনা সংস্থার জন্য বইয়ের প্রচ্ছদ ডিজাইন করা শুরু করেন সত্যজিৎ রায়। বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের 'পথের পাঁচালী'র ছোটদের জন্য সংস্করণ 'আম আঁটির ভেঁপু'র প্রচ্ছদের দায়িত্ব পেয়েছিলেন তিনি। পরে একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন যে, এই প্রচ্ছদের কাজ করার সময়ই মনে মনে ঠিক করে ফেলেছিলেন, সুযোগ পেলে এই গল্প নিয়ে সিনেমা বানাবেন। কারন সেই সময়টায় কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিশ্ব-সিনেমার চর্চা শুরু করে দিয়েছিলেন তিনি। ভিন্ন ধারায় সিনেমা বানানোর স্বপ্ন দেখছেন সত্যজিৎ। সেই স্বপ্ন থেকেই চিদানন্দ দাশগুপ্ত ও আরও কয়েকজনের সঙ্গে মিলে সত্যজিৎ খুলে ফেলেন 'ক্যালকাটা ফিল্ম সোসাইটি'। বহু বিদেশি সিনেমার স্ক্রিনিং করালেন। সেই সময় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলছে। চারিদিকে উত্তাল পরিস্থিতি। এরই মাঝে সত্যজিৎ ঠিক করলেন তাঁকে নিজের মতো করে কিছু গল্প বলতে হবে। যে গল্পগুলো শুধু বইয়ের পাতায় নয়, সেলুলয়েডের পর্দায় তুলে ধরতে হবে।

সেই সময় কাজের সুবাদে তার কোম্পানি তাকে লন্ডনে পাঠায়। হঠাৎ করেই পাওয়া এই সুযোগের মাধ্যমে স্বপ্ন পূরণের রাস্তা যেন পরিষ্কার দেখতে পান সত্যজিৎ। সিনেমা বানানোর মুন্সিয়ানা শেখার জন্য পাগলের মত সিনেমা দেখতে থাকেন, পড়তে শুরু করেন সেই সময়ের আলোচিত নির্মাতাদের লেখা নানা ফিচার। কিছু স্টুডিও ঘুরে ঘুরে সিনেমা বানানোর বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করতে থাকেন। প্রাপ্ত জ্ঞান এবং নিজের মেধা আর কাজের প্রতি ডেডিকেশন নিয়ে দেশে ফিরে এসেই শুরু করলেন 'পথের পাঁচালী' বানানোর কাজ। কিন্তু অর্থের অভাবে বহু বছর ধরে চলে 'পথের পাঁচালি' মনের মতো নির্মান করার প্রক্রিয়া। সেই সময় প্রযোজক থেকে পাওয়া অর্থের সাথে রাজ্য সরকার থেকে পাওয়া অল্প কিছু ফান্ডের পাশাপাশি নিজের বাড়ির দলিল, স্ত্রীর গয়না সব বন্ধক রেখেই একটা সময় শেষ হয় 'পথের পাঁচালী'। তবে সকল কষ্ট আর ত্যাগ স্বীকার করে সত্যজিৎ রায় যে, সিনেমা নয় ইতিহাস বানাচ্ছেন তা মনে হয় নিজেও জানতেন না।

অবাক করার মত বিষয় হলো 'পথের পাঁচালী' চলচ্চিত্রের কোন চিত্রনাট্য লেখা হয়নি। সত্যজিৎ রায়ের আঁকা ছবি ও টীকাগুলি থেকে নেয়া পয়েন্ট ধরে ধরে এই চলচ্চিত্র নির্মিত হয়। তিনি ১৯৫০ সালে লন্ডনের উদ্দেশ্যে সমুদ্রযাত্রার সময় এই সকল নোটগুলো লেখেন। সত্যজিৎ রায় পরবর্তীতে লিখেছেন যে, তিনি চলচ্চিত্রের প্রয়োজনে উপন্যাসের বেশ কিছু চরিত্রকে সরিয়ে দিয়েছিলেন ও গল্পটিকেও কিছুটা রদবদল করেছিলেন। উপন্যাসের শুরুর দিকেই গ্রামের মন্দিরে সকলের সামনেই ইন্দির ঠাকরুণের মৃত্যু ঘটে, কিন্তু চলচ্চিত্রে অপু ও দুর্গা তার মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে। চলচ্চিত্রের অপু ও দুর্গার ট্রেন দেখার জন্য দৌড়নোর দৃশ্যটিও উপন্যাসে নেই। বর্ষায় ভিজে প্রচণ্ড জ্বর বাঁধিয়ে দুর্গার মৃত্যু ঘটে বলে চলচ্চিত্রে দেখানো হলেও উপন্যাসে মৃত্যুর কারণ অজানাই রাখা হয়েছে। হরিহর রায়ের পরিবারের গ্রাম ত্যাগ দিয়ে চলচ্চিত্র শেষ হলেও উপন্যাস সেই ভাবে শেষ হয়নি। তবে উপন্যাসের সাথে কিছু কিছু জায়গায় অমিল থাকলেও সিনেমা হিসেবে 'পথের পাঁচালী' নান্দনিক এক শিল্পকর্ম হিসেবেই উঠে এসেছিলো স্ক্রিনে।

অপুর চরিত্রে অভিনয় করার জন্য সত্যজিৎ রায় সেই সময় পাঁচ থেকে সাত বছরের শিশুর সন্ধানে সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দেন, কিন্তু কোন বিজ্ঞাপনের মারফত আসা কোন ছেলেকেই তার পছন্দ হয়নি। কিন্তু সত্যজিতের স্ত্রী বিজয়া রায় তাদের বাড়ির নিকটে সুবীর বন্দ্যোপাধ্যায় নামে একটি ছেলেকে দেখে পছন্দ করেছিলেন এবং অবশেষে সেই আইকনিক অপুর চরিত্রে তাকেই পছন্দ করা হয়। ইন্দিরা ঠাকরুণের চরিত্রে অভিনয়ের জন্য সত্যজিৎ রায় কলকাতার নিষিদ্ধ পল্লী থেকে চুনীবালা দেবী নামক একজন পুরাতন নাট্যাভিনেত্রীকে খুঁজে বের করেন। 'পথের পাঁচালী' চলচ্চিত্র নির্মাণ হওয়ার আগেই কানু বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলা চলচ্চিত্র জগতের একজন প্রতিষ্ঠিত অভিনেতা ছিলেন। তিনি হরিহর তথা অপুর পিতার ভূমিকায় অভিনয় করেন। সত্যজিতের বন্ধু-পত্নী করুণা বন্দ্যোপাধ্যায় একজন ভারতীয় গণনাট্য সংঘের একজন অপেশাদার অভিনেত্রী ছিলেন। তিনি সিনেমায় ল অপুর মা সর্বজয়া চরিত্রে কাজ করেন। দুর্গার ভূমিকায় অভিনয় করার পূর্বে উমা দাশগুপ্ত কয়েকটি নাটকে অভিনয় করেছিলেন। তবে এই সিনেমার প্রাণ ছিলেন তিনি। অন্যান্য বিভিন্ন চরিত্রে বড়াল গ্রামের বাসিন্দারা অভিনয় করেন যা এককথায় বিস্ময়কর।

তবে সব বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে সিনেমাটি রিলিজের পরে প্রথমদিকে বক্স অফিসে খুব একটা ভালো ফলাফল আনেনি। কারন তখনো ভারতবর্ষে এই ধরনের সিনেমা বোঝার দর্শক খুব বেশি তৈরী হয়নি। তবে বিশ্ব দরবারে হইচই ফেলে দেন সত্যজিৎ রায় তার প্রথম সিনেমা দিয়েই। কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে 'সেরা ডকুমেন্টারি'র পুরস্কার পেয়ে যান তিনি। এরপরে টনক নড়ে তৎকালীন ভারতবর্ষ এবং এপার বাংলার সিনেমাবোদ্ধাদের। এই সিনেমাই একটা সময় সিনেমা নিয়ে স্টাডি করা বা সিনেমা নিয়ে যারা ভাবেন এবং কিছু নির্মান করার স্বপ্ন দ্যাখেন তাদের জন্য ‘মাস্ট ওয়াচ’ হিসেবে গন্য করা হয়ে আসছে।

'পথের পাঁচালী' স্বাধীন ভারতে নির্মিত প্রথম চলচ্চিত্র যা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সমাদৃত হয় এবং ভারতকে বিশ্ব চলচ্চিত্রের দরবারে পরিচিত করিয়ে দেয়। এই আইকনিক সিনেমা ভারতীয় চলচ্চিত্র নির্মাণের নতুন ধারার সমান্তরাল চলচ্চিত্রের প্রথম উদাহরণ, যার প্রধান বিষয়বস্তু ছিলো অকৃত্রিমতা ও সামাজিক বাস্তবতাবাদ, যা ভারতীয় চলচ্চিত্রে সেই সময়ের প্রতিষ্ঠিত অনেক ধারা এবং নিয়ম ভেঙে দিয়েছিলো। 'পথের পাঁচালী'কে ভারতীয় চলচ্চিত্রের বাঁক বদলের সিনেমা হিসেবেও অভিহিত করা হয়ে থাকে।

নান্দনিকতা, নির্মানশৈলী, আবহসংগীত, সিনেমাটোগ্রাফি এবং অভিনয় সবগুলো শাখায় ‘পথের পাঁচালী’ যে অসাধারণ ভিত্তি স্থাপন করে গেছে বাংলাভাষী দর্শকদের কাছে তা আজো এক অদ্ভুত বিস্ময়। সময়ের চেয়ে অনেকটা সময় এগিয়ে থাকা এই সিনেমাটি আজ ক্যালেন্ডারের হিসেবে ৭০ বছর পূর্ণ করলেও এখনো বাঙলা এবং বাঙালিদের জীবনে 'পথের পাঁচালী'র আবেদন একই রকম অটুট। আগামী ৭০ বছরেও এই আবেদন এতোটুকু কমবে বলে মনে হয়না।

একটি গণমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে ৩ কোটি টাকা নেয়ার ব্যাপারে ‘প্রিন্স’ সিনেমার প্রযোজক ক্রিয়েটিভ ল্যান্ডের কর্ণধার শিরিন সুলতা...
25/08/2025

একটি গণমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে ৩ কোটি টাকা নেয়ার ব্যাপারে ‘প্রিন্স’ সিনেমার প্রযোজক ক্রিয়েটিভ ল্যান্ডের কর্ণধার শিরিন সুলতান বলেন, এটা তার প্রাপ্য। যেটা উনি ডিজার্ভ করেন সেটা তাকে অবশ্যই দিতে হবে। অবশ্যই আগের তার ছবিগুলো চেয়ে রেমুনারেশন (পারিশ্রমিক) বেশি হওয়াটা স্বাভাবিক।

লেটেস্ট ক্লিকে মেগাস্টার Salman Khanবিগবস-১৯ এর প্রথম এপিসোড থেকে সালমান খান এর এই ছবিটি প্রকাশিত হয়।
25/08/2025

লেটেস্ট ক্লিকে মেগাস্টার Salman Khan
বিগবস-১৯ এর প্রথম এপিসোড থেকে সালমান খান এর এই ছবিটি প্রকাশিত হয়।


এই সিনেমায় শাকিব একজন আর্মি অফিসারের চরিত্রে অভিনয় করবেন বলে জানা গেছে...
21/08/2025

এই সিনেমায় শাকিব একজন আর্মি অফিসারের চরিত্রে অভিনয় করবেন বলে জানা গেছে...

ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জান্নাতুল সুমাইয়া হিমি দুঃসাহসী এক অভিজ্ঞতায় শামিল হলেন। সম্প্রতি অভিনয়ের ফাঁকে অবকাশ যা...
20/08/2025

ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জান্নাতুল সুমাইয়া হিমি দুঃসাহসী এক অভিজ্ঞতায় শামিল হলেন। সম্প্রতি অভিনয়ের ফাঁকে অবকাশ যাপনে কানাডা সফরে গিয়ে ২১০ ফুট উচ্চতা থেকে বাঞ্জি জাম্প দিলেন তিনি। কানাডার মন্ট্রিয়ালে বাঞ্জি থেকে লাফ দেন এই অভিনেত্রী। জীবনের প্রথম অভিজ্ঞতা হওয়ায় শুরুর দিকে ভয় কাজ করলেও শেষ পর্যন্ত সাহস করে লাফ দেন তিনি। এই বাঞ্জি জাম্পের ঘটনার ভিডিও ফেসবুকে পোস্ট করেছেন হিমি। যা শেয়ার করার সাথে সাথেই রীতিমতো আলোচনায়।

#বাঞ্জি

আমাদের বাংলা সাহিত্য ও চলচ্চিত্রের ইতিহাসে জহির রায়হান একটি অবিস্মরণীয় নাম। আধুনিক বাংলা উপন্যাসের ধারায় তিনি এক সূচন...
20/08/2025

আমাদের বাংলা সাহিত্য ও চলচ্চিত্রের ইতিহাসে জহির রায়হান একটি অবিস্মরণীয় নাম। আধুনিক বাংলা উপন্যাসের ধারায় তিনি এক সূচনাপুরুষ। মাত্র আটটি উপন্যাস লিখে তিনি বাংলা সাহিত্যে অনন্য স্থান করে নিয়েছেন। তাঁর রচনায় ফুটে ওঠে আমাদের জীবনের বাস্তব চিত্র। আবার অন্যদিকে অল্প কিছু সিনেমা বানিয়েই তিনি দেশের অন্যতম কিংবদন্তি নির্মাতা হিসেবে নিজের জায়গা অমর করে রেখেছেন নিজ যোগ্যতায়। মাত্র ৩৭ বছরের জীবনে জহির রায়হান বাংলা সাহিত্য ও চলচ্চিত্র জগতে এক অম্লান খ্যাতি অর্জন করেছেন। এই বাংলার নবজাগরণে তার অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।

১৯৬৪ সালে প্রকাশিত তাঁর সেরা উপন্যাস ‘হাজার বছর ধরে’ গ্রামের প্রান্তিক মানুষের জীবনযুদ্ধের কাহিনী অসাধারণ সুন্দর ভাষায় ফুটিয়ে তুলেছেন। আবার ‘বরফ গলা নদী’ উপন্যাসে শহরের নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের গল্প বলেছেন তিনি। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন তাঁকে দু’টি উপন্যাস রচনায় অনুপ্রাণিত করে, ‘আরেক ফাল্গুন’ ও ‘একুশে ফেব্রুয়ারি’। তবে সিনেমা বানানোর ঝোঁক তার ছিলো কৈশোর কাল থেকেই। এরই ধারাবাহিকতায় বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকাকালীন বিভিন্ন নাট্যকর্মশালায় সরাসরি জড়িত ছিলেন। সিনেমার প্রতি ভালোবাসার কারনে কলকাতার একটি চলচ্চিত্র বিদ্যালয়ে ভর্তি হন তিনি। কিন্তু দশ মাসের কোর্সের মধ্যে ছয় মাসেই দেশে ফিরে আসতে হয় তাকে।

১৯৫৭ সালে উর্দু সিনেমা ‘জাগো হুয়া সাবেরা’র সহকারী পরিচালক হিসেবে সেই সময়ের পূর্ব পাকিস্তানের চলচ্চিত্র জগতে পা রাখেন জহির রায়হান। ‘এ দেশ তোমার আমার’ চলচ্চিত্রের সহকারী পরিচালক থাকাকালীনই প্রথম স্ত্রী সুমিতা দেবীর সাথে পরিচয় হয়। ১৯৬১ সালে ‘কখনো আসেনি’ সিনেমা দিয়ে পুরোপুরি পরিচালক হিসেবে যাত্রা শুরু তাঁর। ১৯৬৪ সালে নির্মান করেন উপমহাদেশের প্রথম রঙিন চলচ্চিত্র ‘সংগম’। বাংলাদেশের প্রথম ইংরেজি ভাষার চলচ্চিত্র ‘লেট দেয়ার বি লাইট’ প্রযোজনা করেন তিনি। ব্যবসায়িক, অব্যবসায়িক ও প্রামাণ্যচিত্র সহ মোট ১২টি সিনেমা নির্মাণ করেছেন জহির রায়হান। তার পরিচালিত ‘বেহুলা’ সিনেমার মাধ্যমে নায়ক রাজ রাজ্জাক চলচ্চিত্র জগতে সুপরিচিত হন।

১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন এক ঝড়ের মতো বয়ে গিয়েছিলো বাংলাদেশের মানুষের মনে। সেই আন্দোলনের জ্বালা আর জয়গানই ১৯৭০ সালে সিনেমার পর্দায় ফুটিয়ে তোলেন জহির রায়হান তার চলচ্চিত্র ‘জীবন থেকে নেয়া’-তে। এটিই ছিল চলচ্চিত্রকার জহির রায়হানের সবচেয়ে সেরা সৃষ্টি। মাতৃভাষার প্রতি ভালোবাসা, সংগ্রাম ও জয়গানকে এতো মর্মস্পর্শী, এতো গভীরভাবে ফুটিয়ে তোলার জন্য ‘জীবন থেকে নেয়া’ এক অনন্য উদাহরণ। এই সিনেমা বানানো থেকে শুরু করে এটি পাকিস্তানি শাসক গোষ্ঠীর চোখ এড়িয়ে রিলিজ দেয়ার ঘটনাও কম চমকপ্রদ নয়। সিনেমাটি মুক্তি পাওয়ার পর চলচ্চিত্র জগতের কিংবদন্তিরাও মুগ্ধ হয়েছিলেন। সত্যজিৎ রায়, ঋত্বিক ঘটক, মৃণাল সেন, তপন সিংহের মতো বিখ্যাত পরিচালকরা ‘জীবন থেকে নেয়া’-র নির্মাণ দেখে প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছিলেন।

এরপরে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে তিনি কলকাতায় চলে যান। যুদ্ধে সরাসরি অংশ না নিলেও দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন তিনি। কলকাতা থেকে শুরু করেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রচারণা। ভারত ও অন্যান্য দেশের বিভিন্ন পত্রিকায় সাক্ষাৎকার দিতে থাকেন। চরম আর্থিক অনটনের মধ্যেও তিনি লেখালিখি ও সিনেমা থেকে উপার্জিত অর্থ মুক্তিযুদ্ধের তহবিলে দান করেন। বিভিন্ন ফটোস্ট্যাট ও সিনেমা তৈরি করে বিশ্বব্যাপী মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে প্রচারণা চালান। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি প্রচার মাধ্যমে প্রচুর মিথ্যা তথ্য ছড়ানো হচ্ছিলো। এসব দেখে ক্ষুব্ধ হয়ে তিনি একটি ডকুমেন্টারি নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন তাঁর ‘স্টপ জেনোসাইড’ ডকুমেন্টারি বিশ্বব্যাপী সাড়া ফেলে। এই ডকুমেন্টারির মাধ্যমেই বিদেশি মানুষ জানতে পারে পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর নৃশংসতার কথা।

১৯৭১ সালের ডিসেম্বরে স্বাধীন বাংলাদেশে ফিরে আসেন জহির রায়হান। মুক্তিযুদ্ধ শেষ হতে না হতেই ১৪ তারিখে সেই নিন্দিত অপারেশন সার্চলাইটের সময় তার আপন ভাই, জনপ্রিয় লেখক শহীদুল্লাহ্‌ কায়সারকে রাজাকার-আলবদর বাহিনী অপহরণ করে নেয়। তারপর থেকে নিখোঁজ শহীদুল্লাহ কায়সারকে খুঁজে বের করতে মনোযোগী হন তিনি এবং তার পরিবার।।যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলার পাশাপাশি নানাভাবে নিখোঁজ ভাইকে খুঁজতে থাকেন তিনি।

১৯৭২ সালের ২৮ শে জানুয়ারির সকালে একটি রহস্যময় ফোনকল আসে জহির রায়হানের কাছে। ফোনে জানানো হয়, তার ভাই মিরপুর ১২ নং এলাকার একটি আবাসিক এলাকায় আটক রয়েছেন। এই খবরে দেরি না করে ভাইয়ের খোঁজে মিরপুরে রওনা দেন তিনি, আর ফিরে আসেননি জহির রায়হানের নিখোঁজ হওয়ার পেছনে রয়েছে নানা ধরনের গুজব এবং গুঞ্জন। কেউ বলেন, তিনি সাথে কয়েকজনকে নিয়ে মিরপুরে গিয়েছিলেন। সেখানে ছদ্মবেশে থাকা কিছু পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর সদস্য তাকে গোপনে গ্রেফতার করে হত্যা করে লাপতা করে দেয়। তার ছোট ভাই হাবিবের মতে, তিনি জহির রায়হানকে মিরপুর থানায় নামিয়ে দেন। এরপর আর তাকে দেখা যায়নি। এমনও শোনা যায়, মিরপুর থানা থেকে জহির রায়হানকে জানানো হয় যে, কিছু পাকিস্তানি সৈন্য ও রাজাকার মিরপুর ১২ নম্বরে লুকিয়ে আছে। সেখানে যাওয়ার আগে প্রথমে ফোনটির সত্যতা যাচাই করার পরামর্শ দেওয়া হয় তাকে। কিন্তু তিনি রেগে থানা থেকে চলে যান। এরপর আর পাওয়া যায় নি তাকে। তার মৃতদেহও কখনো পাওয়া যায়নি। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য সেই কঠিন সময়টায় তার মতো একজন জনপ্রিয় এবং প্রশংসিত ব্যক্তির নিখোঁজের ঘটনায় কোন তদন্তও হয়নি। ১৯৭২ সালের ৩০শে জানুয়ারি তার মৃত্যু তারিখ ঘোষণা করা হয়। অনেকেই বলেন, সেদিন রহস্যময় ফোনকলটি বিশ্বাস না করে বাড়িতে থাকলে হয়তো এত অল্প বয়সেই এই কিংবদন্তিকে হারাতে হতো না বাংলাদেশকে। আমরা পেতাম আরো ক্লাসিক উপন্যাস ও কালজয়ী চলচ্চিত্র। জহির রায়হানের ক্ষণস্থায়ী জীবন ও কালজয়ী কাজ এই স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। কিন্তু তার রহস্যময় নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা আজও একটি অমীমাংসিত প্রশ্ন হয়েই থেকে গেছে।

ভাগ্য ভালো, বরবাদ আগে রিলিজ হয়েছে 😃😃
20/08/2025

ভাগ্য ভালো, বরবাদ আগে রিলিজ হয়েছে 😃😃

Hmmm 🤝 Emni
05/08/2025

Hmmm 🤝 Emni

সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণঃ⚠️শুভ্রশ্রী আর Dev কে দেখে আপনি আবার আপনার এক্স কে কল দিয়া বইলেন না 'আমরা কি ফ্রেন্ড হতে পারি?'    ...
05/08/2025

সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণঃ⚠️
শুভ্রশ্রী আর Dev কে দেখে আপনি আবার আপনার এক্স কে কল দিয়া বইলেন না 'আমরা কি ফ্রেন্ড হতে পারি?'

...

🎬 ১৫ বছর পূর্ণ করলো “জোশ” (২০০৯) 💣টলিউডের ইতিহাসে এক স্মরণীয় ব্লকবাস্টার। জিৎ-শ্রাবন্তী জুটির তুঙ্গে ফেরা, চার্টবাস্টার ...
31/07/2025

🎬 ১৫ বছর পূর্ণ করলো “জোশ” (২০০৯) 💣
টলিউডের ইতিহাসে এক স্মরণীয় ব্লকবাস্টার। জিৎ-শ্রাবন্তী জুটির তুঙ্গে ফেরা, চার্টবাস্টার গান, আর বাম্পার ওপেনিং—সব মিলিয়ে “জোশ” ছিল এক ঐতিহাসিক সাফল্য।

📊 বক্স অফিস তথ্য:
⭐ ওপেনিং: বাম্পার
💸 বাজেট: ₹৩ কোটি
🏠 ডমেস্টিক নেট: ₹৫.১০ কোটি
🌐 ডমেস্টিক গ্রোস: ₹৭ কোটি (৳১০.৭৫ কোটি)
📈 মুদ্রাস্ফীত নেট: ₹২০ কোটি
💥 মুদ্রাস্ফীত গ্রোস: ₹২৪ কোটি (৳৩৪ কোটি)
✅ ফলাফল: BLOCKBUSTER

📌 হাইলাইটস ও ট্রিভিয়া:
🔹 ৫ বছর পর জিৎ দিলেন বাম্পার ওপেনিং — সেটাই ছিল তাঁর কামব্যাক ইয়ার।
🔹 সে বছরে জিৎ-এর ৩টি ছবি—তিনটিই ছিল বড় হিট।
🔹 ২০১০ সালের ৩য় সর্বোচ্চ আয়ের বাংলা সিনেমা।
🔹 ওপেনিং ডে গ্রোস: ₹৭০ লাখ+ (৳১.০৬ কোটি) — সময়ের মধ্যে ৩য় সর্বোচ্চ।
🔹 এটি ছিল তেলুগু ব্লকবাস্টার "Bhadra"-র রিমেক।
🔹 জিৎ-এর ৮ম ব্লকবাস্টার, এবং ২য় ₹৫ কোটি+ নেট ফিল্ম।
🔹 প্রথমবারের মতো জিৎ পেয়েছিলেন ₹২ কোটি+ উইকেন্ড গ্রোস।
🔹 জিৎ ও রবি কিনাগীর একসাথে ৭ম কাজ।
🔹 জিৎ-শ্রাবন্তী জুটি এখানে তৃতীয়বার স্ক্রিনে, পরে তারা "Fighter"-এ আবার একসাথে কাজ করেন।
🔹 বলিউড এক্টর পুনীত ইসার ১৩ বছর পর কামব্যাক করেন বাংলায়—নেগেটিভ রোলে তাঁর পারফরম্যান্স প্রশংসিত হয়েছিল।

🎵 স্মরণীয় গান:
♪ খুঁজেছি তোকে
♪ পীড়িত করিস না
🎙️ নচিকেতার গাওয়া “কেনো আজকাল” — underrated gem!

🎥 এটি ছিল টালিগঞ্জের অন্যতম সফল রিমেক সিনেমা, যেখানে পারফর্ম্যান্স, মিউজিক, এবং প্রেজেন্টেশন—সবই ছিল টপ ক্লাস।

📺 আজও জিৎ-শ্রাবন্তীর সবচেয়ে জনপ্রিয় টিভি রিলিজ সিনেমাগুলোর একটি।

❤️ ‘জোশ’ মানেই নস্টালজিয়া, ব্লকবাস্টার, আর ফিরে দেখার মতো এক সময়।

Address

College Road Alamnagar
Rangpur
5400

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Funtu - ফানটু posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Funtu - ফানটু:

Share