27/06/2025
চীন গোপন অভিযানের জন্য ০.৬ সেমি মশার মতো স্পাই ড্রোন উন্মোচন করেছে!
গোপন অভিযান পরিচালনায় আধুনিক যুদ্ধকৌশলের অন্যতম ভিত্তি হলো নিরব, অদৃশ্য এবং তথ্য সংগ্রহে সক্ষম প্রযুক্তি। সেই লক্ষ্যেই চীনের সামরিক গবেষণা ও প্রযুক্তি বিভাগ সম্প্রতি উন্মোচন করেছে একটি অতিক্ষুদ্র নজরদারি ড্রোন, যার আকার মাত্র ০.৬ সেন্টিমিটার, প্রায় একটি মশার সমান। তবে এর বহিরাকৃতি সাধারণ হলেও, অন্তর্গত প্রযুক্তি ও সামর্থ্য একে পরিণত করেছে এক মারাত্মক গোয়েন্দা অস্ত্রে।
এই মশা-সদৃশ স্পাই ড্রোনটি বিশেষভাবে নকশা করা হয়েছে শত্রুপক্ষের নিরাপত্তা বলয় ভেদ করে তাদের স্থলবাহিনী, বিমানঘাঁটি কিংবা নৌসদরের মতো উচ্চ পর্যায়ের কৌশলগত স্থানে প্রবেশ করার জন্য। একবার লক্ষ্যবস্তুতে ঢুকে গেলে, এটি তার ক্ষুদ্র ক্যামেরা ও অডিও ট্রান্সমিশন ব্যবস্থার মাধ্যমে উচ্চ মানের ভিডিও ও শব্দ ধারণ করে প্রেরণ করতে পারে নিয়ন্ত্রণকেন্দ্রে।
দৃষ্টিগোচর হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় শূন্য। এর গতি, ওজন ও গঠন এতটাই নিখুঁতভাবে মিলিয়ে তৈরি যে এটি রাডারে ধরা পড়ে না, ইনফ্রারেডেও নেই তার উপস্থিতির ছাপ। এটি শব্দহীন, এবং একদম নিম্ন উচ্চতায় উড়তে পারে, ফলে সাধারণ প্রহরার চোখ ফাঁকি দিয়ে অবলীলায় প্রবেশ করতে পারে যেকোনো সীমান্তবর্তী স্থাপনায়।
কৌশলগত দৃষ্টিকোণে এই ড্রোন যুদ্ধের চেহারা পাল্টে দেওয়ার মতো। কারণ যুদ্ধের ময়দানে ট্যাংক, কামান কিংবা ক্ষেপণাস্ত্রের আগেই এখন চলে এসেছে তথ্য সংগ্রহের লড়াই ইন্টেলিজেন্স ডমিন্যান্স। যেখানে যে পক্ষ আগে তথ্য সংগ্রহ করতে পারবে, সেই পক্ষই তৈরি হয়ে নামবে আসল লড়াইয়ে। শত্রু কোন রুটে অগ্রসর হবে, কোথায় তাদের লজিস্টিক সাপোর্ট, কোথায় আছে কমান্ডারদের উপস্থিতি—সবকিছু আগেই জানতে পারলে, আঘাত হানার জন্য প্রস্তুতি নেয়া যাবে নিখুঁতভাবে, নিঃশব্দে।
এই প্রযুক্তি শুধুমাত্র সামরিক ব্যবস্থায় নয়, বরং কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেও কার্যকরভাবে ব্যবহৃত হতে পারে। রাষ্ট্রীয় নীতি নির্ধারকদের গতিবিধি, গোপন সভা কিংবা উচ্চ পর্যায়ের পরিকল্পনার ওপর নজরদারি চালানোর মাধ্যমে একটি দেশের পূর্ণ অভ্যন্তরীণ কাঠামো সম্পর্কে ধারণা নেওয়া সম্ভব।
🔥 সামরিক ও সমরাঙ্গনের সর্বশেষ আপডেট তথ্য পেতে ফলো করে রাখুন।