14/02/2024
গত বছর ভ্যালেন্টাইন ডে টা অফিসে বসে কাটিয়েছিলাম।
এবারের টাও তাই।
কিন্তু কি আকাশ পাতাল পার্থক্য!
ঠিক এক বছর আগের এই দিনটা আমার জীবনের সবচেয়ে কষ্টকর একটা দিন ছিলো। আমি অফিসে বসে কাজ করছিলাম আর দুই চোখ বেয়ে পানি পড়ছিলো অবিরাম। হৃদয়টা মনে হচ্ছিলো কেউ ধারলো একটা ছোড়া দিয়ে ফেঁড়ে ফেলছে!
অথচ একবছর পর আমি আজ শান্ত, সুস্থির ভাবে বসে কাজ করছি। আমার কলিগ, সুপারিয়র স্যার সবার সাথে মাঝে মাঝে অল্প হাসিখুশি গল্পও করছি। আলহামদুলিল্লাহ, ভিতরে কোন কষ্টের অনুভূতি নেই। সব ভোঁতা হয়ে গেছে।
অথচ মাত্র ৩৬৫ দিন আগেই নিজেকে শেষ করে দেওয়ার তীব্র ইচ্ছা হচ্ছিলো। আমি বহু কষ্টে নিজেকে সেদিন সামলিয়েছিলাম। জানিনা এত শক্তি কোত্থেকে পেয়েছিলাম। হয়তো আমার আম্মুর কথা চিন্তা করেই নিজেকে বাঁচিয়ে রেখেছিলাম।
আমি জানি, অনেক মানুষ আমার চেয়েও অনেক খারাপ পরিস্থিতিতে এই মুহূর্তে আছেন। বেঁচে থাকা অসম্ভব মনে হচ্ছে। দম আটকে আসছে, দুনিয়া ছোট ছোট হতে হতে চেপে মেরে ফেলছে। আমি জানিনা, এক্সাক্টলি কতটা কষ্ট আপনারা সহ্য করছেন, কিন্তু বিশ্বাস করেন, আমি রিলেট করতে পারি।
যাস্ট সময়টা পাস হতে দিন। যাস্ট মনটা অন্যদিকে নিন। যাস্ট যেই মানুষগুলো আপনাকে সত্যিই মন থেকে ভালোবাসে— হোক পরিবারের সদস্য বা অনেক দূরের কোন বন্ধু— তাদের সাথে সময় কাটান। খুব মজার একটা মুভি দেখুন, ইউটিউবে গিয়ে ফানি ভিডিও দেখুন। সময় এক সময় সব কষ্ট মুছে দিবে, ভোঁতা হয়ে যাবে তীব্র যন্ত্রণাও।
আর যাদের মাথায় সুইসাইডাল থট আসে, তাদের উদ্দেশ্যে একটা কথাই আমি বলি— আপনার কাছে যদি মৃত্যু একটা ডিজায়ারেবল অপশন হয়, তাহলে আপনি তো যা খুশি তাই করতে পারেন। তাই না? মানে সর্বোচ্চ খারাপ কি ঘটতে পারে? মৃত্যুর চেয়ে তো খারাপ কিছু না। আর সেটা তো আপনি চানই। তো মরার আগে নিজেকে হ্যাপি করাতে যা করা লাগে (আইন না ভেঙ্গে/অন্যের ক্ষতি না করে) করুন না। কে কি বললো তা পাত্তা দিবেন কেন? আপনি তো অলরেডি মৃত, কে আপনার কিছু করতে পারবে?
আজকের এই ভ্যালেন্টাইন ডে তে আপনি নতুন করে জন্ম নিন, আজকে নিজের জন্য থেকে বাঁচা শুরু করুন। হ্যাপি ভ্যালেন্টাইন ডে টু ইউ! ❤
লেখা: মো: আসিফ উর রহমান