আইডিয়া প্রকাশন

আইডিয়া প্রকাশন উত্তরবঙ্গের ইতিহাস-ঐতিহ্য সংগ্রহ ও প্রকাশকেন্দ্র অমর একুশে বইমেলায় অংশগ্রহণকারী উত্তরাঞ্চলের প্রথম প্রকাশনা সংস্থা ও গবেষণা কেন্দ্র

14/07/2025
তিস্তাপারের কবি হাবিবুর রহমানের স্মরণে “তিস্তাপারের গল্পকথা”র মোড়ক উন্মোচনসদ্যপ্রয়াত কবি এ.এস.এম. হাবিবুর রহমান স্মরণে স...
22/06/2025

তিস্তাপারের কবি হাবিবুর রহমানের স্মরণে “তিস্তাপারের গল্পকথা”র মোড়ক উন্মোচন

সদ্যপ্রয়াত কবি এ.এস.এম. হাবিবুর রহমান স্মরণে সাহিত্য-সংস্কৃতি ও সামাজিক সংগঠন ‘ফিরেদেখা’ আয়োজন করে তাদের ৩৫৯তম মননপাঠের আসর।
২১ জুন ২০২৫, শনিবার সন্ধ্যায় রংপুর নগরীর আইডিয়া পাঠাগারে অনুষ্ঠিত হয় এই বিশেষ স্মরণসভা, যার শিরোনাম ছিল "তিস্তাপারের গল্পকথায় হাবিবুর রহমান"।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই প্রয়াত কবির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এরপর মোড়ক উন্মোচন করা হয় কবির স্মৃতিনির্ভর গ্রন্থ “তিস্তাপারের গল্পকথা”।

আলোচনায় অংশগ্রহণকারী বিশিষ্টজনেরা বলেন, এ গ্রন্থে হাবিবুর রহমান তুলে ধরেছেন তিস্তাপারের জনজীবন, নদীমাতৃক প্রকৃতির অন্তরঙ্গ রূপ এবং প্রান্তিক মানুষের সুখ-দুঃখ, গান-বাজনা ও লোকাচারের মর্মস্পর্শী ছবি।
বইটির পাতায় পাতায় ছড়িয়ে আছে ভাওয়াইয়া কিংবদন্তি কছিমুদ্দীন, লেখক সুফী মোতাহার হোসেনসহ বহু গুণীজনের স্মৃতিচারণা। প্রকৃতি, সংস্কৃতি ও মানুষের জীবনের আন্তঃসম্পর্ক বইটিকে করে তুলেছে এক অনন্য সাংস্কৃতিক দলিল।

আসরে প্রধান আলোচক ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ প্রফেসর মোহাম্মদ শাহ আলম এবং রংপুর আরআরএফ-এর কমান্ড্যান্ট ও লেখক মো. আব্দুর রাজ্জাক।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের সাবেক আঞ্চলিক পরিচালক মনোয়ারা বেগম এবং সাবেক অতিরিক্ত সচিব এস.সি. খান।

স্মৃতিচারণায় অংশগ্রহণ করেন:
রংপুর সাহিত্য সংস্কৃতি পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মামুন উর রশীদ
কবি সুনীল সরকার
টিচার্স ট্রেনিং কলেজের শিক্ষক বাবুল সরকার
কবি মাসুম মোরশেদ
কবি ও সংস্কৃতিকর্মী আল আমিন ইসলাম
নীল রতন সরকার
মোজাম্মেল হক
শফিকুল ইসলাম আবির
নাজমুল হক প্রমুখ।

আসরের স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন কবি ও প্রকাশক সাকিল মাসুদ,
আর সভাপতিত্ব করেন গবেষক ও লেখক তাপস মাহমুদ।

‘ফিরেদেখা’র এই মননপাঠের আসর ছিল এক গভীর শ্রদ্ধা, স্মৃতি ও সাহিত্যভক্তির সন্ধ্যা—যেখানে ভাষার বাঁকে বাঁকে ফিরে এসেছেন তিস্তাপারের কবি হাবিবুর রহমান।

10/06/2025

উত্তরবঙ্গের ভাষার নামকরণ ও নান্দনিক বিতর্ক

21/05/2025

বংশীবাদক রাজকুমারের অন্ধকার
সাকিল মাসুদ

এই শহরের কোণে কোণে, দিনের আলো ধুলো হয়ে মিশে যায় রাস্তায়। এর মাঝেই নানা জীবনের বর্ণাঢ্য মিছিল চলে। ধুলো, বালি, কোলাহল আর আলো-ছায়ার খেলা খেলতে খেলতেই মানুষ প্রতিদিন নিজেকে হারায়, আরেকটা মুখোশ পরে।

মানুষেরা যখন মোহে ডুবে, স্বার্থে বিভোর, তখনই শহরের এক প্রান্তে বাঁশি হাতে ঘুরে বেড়ায় এক রাজকুমার।
তিনি কোনো মোহগ্রস্ত মানুষ নন।
বরং নির্মোহ, নির্লিপ্ত—শহরের প্রাসাদের অলিগলি আর চোরাপথই যেন তাঁর রাজ্যের বিলাসী উদ্যান।

রাজকুমারের চোখে কখনো আলোর ঝলকানি ছিল না।
তিনি কোনোদিন দেখেননি এই পৃথিবীর প্রতারক মুখগুলো।
দেখেননি তাদের, যারা কথা দিয়ে কথা রাখে না, যারা প্রতিদিন নতুন মুখোশ পরে।

সমাজ, রাজনীতি, পররাষ্ট্রনীতি—এসব তার কাছে যেন শব্দমাত্র। ভোরের খবর কিংবা টিভি পর্দার কৃত্রিম দুনিয়া তার কাছে এক অপরিচিত ভ্রম।

রাষ্ট্র তার দায়িত্ব নেয়নি। সমাজ তাকে স্বীকার করেনি। কিন্তু তবুও দিন চলে যায়।

রাজকুমার কারও কাছে কিছু চাননি।
চাইলেই পারতেন—এই শহরে কত সম্মানিত, সুস্থ, সবল মানুষও তো জীবনের চাপে হাত পাতে।
কিন্তু রাজকুমার বেছে নিয়েছেন অন্য এক পথ।

তিনি তাঁর বাঁশিতে খুঁজে পেয়েছেন জীবন।
আলোকিত করেছেন নিজের আত্মবিশ্বাস।
একটি বাঁশি আর একটি অজানা গন্তব্যই তাঁর সম্বল।

হয়তো প্রতিদিন তাঁর ঘুম ভাঙে কোনো কাকের ডাক, কুকুরের ঘেউ ঘেউ, কিংবা শহরের কোন ট্রাকের শব্দে।
তারপর, তিনি বাঁশি বাজান। সেই সুর বাতাস ছুঁয়ে যায়, রাস্তা ছুঁয়ে যায়, মানুষকে ছুঁয়ে যায়—যদি কেউ শোনে।

নগরীর ব্যস্ত ভিড়ে কেউ শোনে, কেউ থামে, কেউ পাশ কাটিয়ে যায়—তবুও তিনি থেমে যান না।
অকারণে আমি সেদিন দাঁড়িয়ে গেলাম।

হর্নের কোলাহলে, ট্রাফিকের ধাক্কায় ঝাঁঝালো শব্দের ভেতর হঠাৎ সেই বাঁশির সুরে আমার ভিতরটা কেঁপে উঠলো—
"কপালের ফ্যার,
নইলে কি আর পাখিটির এমন ব্যবহার?"
রাজকুমার এক অন্ধকারের রাজা। যেখানে কোন চেহারা নেই আছে শুধু অনুভব।

রাষ্ট্র তার দায়িত্ব নেয়নি, সমাজ তাকে অস্বীকার করেছে, তবুও সে নিজেই নিজের রাজত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছে। রাষ্ট্রের সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানগুলো প্রচুর অশিল্পীর পেছনে অর্থ ও সময় ব্যয় করে।

তার বাঁশি দিয়ে হয়তো কোনো সাম্রাজ্য গড়ে ওঠে না, কিন্তু গড়ে ওঠে এক অনুচ্চারিত বেদনার করাঘাত—যা কেবল অনুভবের।

আমরাও চলছি, জানি না এই পথ কোথায় নিয়ে যাবে। রাজকুমারও জানেন না, তবুও তিনি থামেন না।

আজ সন্ধ্যার পরে, জিএল রায় রোডের ফুটপাতে, অভিজাত শপিং মলগুলোর পাশে
তার বাঁশির সুর বেজে উঠেছিল।

রিকশাওয়ালারা ছুটে যাচ্ছে, মোটরসাইকেল হর্ন বাজিয়ে পার হয়ে যাচ্ছে, কেউ মোবাইলে ব্যস্ত, কেউ বেরিয়ে আসছে ব্যাগ হাতে শপিং মল থেকে। তার মাঝেই বাতাসে ভাসছে এক বাঁশির সুর।

আপনি শুনেছেন কি?

=সুন্দরবননামা: ইতিহাস, প্রত্নতত্ত্ব ও লুপ্ত গল্পের খোঁজে=বাংলাদেশ ও ভারতের উপকূলজুড়ে বিস্তৃত সুন্দরবন শুধু একটি বন নয়—এ ...
10/05/2025

=সুন্দরবননামা: ইতিহাস, প্রত্নতত্ত্ব ও লুপ্ত গল্পের খোঁজে=

বাংলাদেশ ও ভারতের উপকূলজুড়ে বিস্তৃত সুন্দরবন শুধু একটি বন নয়—এ এক জীবন্ত রহস্য, এক বহুমাত্রিক জগৎ, যেখানে প্রকৃতির সৌন্দর্য, ভয়, কল্পনা ও ইতিহাস একাত্ম হয়ে উঠেছে। পৃথিবীর বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন হিসেবে সুন্দরবনের গুরুত্ব কেবল পরিবেশগত নয়; এটি ইতিহাস, জীববৈচিত্র্য ও মানবজীবনের অন্তঃসলিলা ধারা। এই বন প্রাচীনকাল থেকেই মানুষের কল্পনা, উপকথা এবং টিকে থাকার সংগ্রামে এক অমোঘ প্রতীক হয়ে আছে।

‘সুন্দরবননামা’ বইটি সেই বিস্ময়কর অরণ্যের বর্ণিল, ভয়াল ও ইতিহাসঘন পরতে পরতে প্রবেশের এক অনন্য সাহসী প্রয়াস। লেখক ইসমে আজ ঋজু নিজ অভিজ্ঞতার আলোকে পাঠকদের হাত ধরে নিয়ে গেছেন বাঘের পায়ের ছাপ, অজানা শব্দ, লবণের ঘ্রাণ, নদীর হাহাকার ও নিঃসঙ্গ মন্দিরের ধ্বংসাবশেষে। বইটির শুরু লেখকের প্রথম সুন্দরবন দর্শনের অভিজ্ঞতা দিয়ে, যেখানে বিস্ময় আর সম্ভ্রম মিশে এক অদ্ভুত আবেশ তৈরি করে। সেখান থেকে শুরু হয় এক দীর্ঘ অভিযাত্রা—বাঘের হিংস্র উপস্থিতি, হরিণের দুরন্ত দৌড়, সাপ ও কুমিরের ছায়া, নানা প্রজাতির পাখির কোলাহল এবং বনজীবীদের কঠিন জীবনযাপন।

লেখক তুলে এনেছেন সুন্দরবনের হারিয়ে যাওয়া জনপদ, পুরাতাত্ত্বিক নিদর্শন, লবণ শিল্পের অতীত ও লোকবিশ্বাসের দেব-দেবীদের, যাদের নিয়ে বনজীবীদের জীবনে এক ধরনের আত্মিক নির্ভরতা তৈরি হয়েছে। বনভূমির প্রতিটি কোণে ছড়িয়ে আছে এমন সব গল্প, যা ইতিহাস ও লোককথার সীমারেখাকে ধোঁয়াশায় রূপ দেয়।

এছাড়াও আলোচিত হয়েছে জলদস্যুদের দৌরাত্ম্য, ঝড়-জলোচ্ছ্বাসে বিপর্যস্ত জনপদ, বন সংরক্ষণে আধুনিক গবেষণা ও ক্যামেরা ট্র্যাপিং প্রযুক্তির কার্যকারিতা, এবং প্রাণী সুরক্ষার নানা দিক। প্রতিটি অধ্যায়েই লেখক সুন্দরবনের অস্তিত্ব রক্ষার সংগ্রাম, এর জীববৈচিত্র্যের প্রতি মানুষের নির্ভরতা ও অবহেলা, এবং প্রকৃতির সঙ্গে আমাদের অনিবার্য সম্পর্কের কথা গভীর মানবিকতা ও অনুসন্ধিৎসু দৃষ্টিভঙ্গিতে তুলে ধরেছেন।

বিশেষভাবে, সুন্দরবনের প্রত্নতাত্ত্বিক দিক—হারিয়ে যাওয়া নগর, মন্দির ও সভ্যতার চিহ্ন—এই বইয়ের অন্যতম আকর্ষণ। লেখক এখানে শুধু প্রাকৃতিক পরিবেশ নয়, প্রাগৈতিহাসিক ও ঐতিহাসিক সময়ের একটি সংবেদনশীল পাঠও তুলে ধরেছেন।

‘সুন্দরবননামা’ কেবল তথ্যনির্ভর কোনো গবেষণাগ্রন্থ নয়; এটি একটি আবিষ্কারের সাহিত্যিক দলিল, যা পাঠককে প্রকৃতির সঙ্গে গভীরতর সংলাপে আহ্বান জানায়। যারা সুন্দরবনের সৌন্দর্য, রহস্য, ইতিহাস ও বর্তমান বাস্তবতা নিয়ে জানতে চান, তাদের জন্য এটি একটি অপরিহার্য পাঠ্য।

এই বই আমাদের শেখায়—সুন্দরবন শুধু বন নয়, এটি একটি চেতনা, একটি অস্তিত্ব, যা হারিয়ে গেলে আমাদের নিজেদেরই হারিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়।

বইটি সংগ্রহ করতে পারেন----
ভারতীয় যারা সংগ্রহ করতে চান। যোগাযোগ করুন-
গীদাল মুস্তাক হোসেন
মোবাইল +91 89449 99870

#সুন্দরবননামা
#ইসমেআজমঋজু
#আইডিয়া_প্রকাশন
#নতুনবই

সুন্দরবন হারানো সভ্যতা ও আন্দোলনের ইতিহাস ঘিরে দুই গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন রংপুরেরংপুর, ১৬ এপ্রিল:সুন্দরবনের হারিয়ে যাওয়া ...
16/04/2025

সুন্দরবন হারানো সভ্যতা ও আন্দোলনের ইতিহাস ঘিরে দুই গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন রংপুরে

রংপুর, ১৬ এপ্রিল:
সুন্দরবনের হারিয়ে যাওয়া সভ্যতা ও দুর্লভ ইতিহাস-ঐতিহ্য নিয়ে রচিত অনুসন্ধানী গ্রন্থ “সুন্দরবননামা” এবং বাঙালির আন্দোলন-সংগ্রামে বিপ্লব-বিদ্রোহের পঙক্তির ভূমিকাভিত্তিক গবেষণাগ্রন্থ “কবিতা গান স্লোগানে দেশ-কাল-জীবন”– এই দুই বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠিত হলো রংপুর নগরীতে।

বুধবার সন্ধ্যায় আইডিয়া পাঠাগারে সাংস্কৃতিক সংগঠন ফিরেদেখা'র আয়োজনে বৈশাখী কবিতা আড্ডা অনুষ্ঠানে এ আয়োজন সম্পন্ন হয়।
অনুষ্ঠানে “সুন্দরবননামা” গ্রন্থটির মোড়ক উন্মোচন করেন সুন্দরবন গবেষক ও গ্রন্থকার ইসমে আজম ঋজু। পাশাপাশি “কবিতা গান স্লোগানে দেশ-কাল-জীবন” বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন গ্রন্থকার ও গবেষক তাপস মাহমুদ।

অনুষ্ঠানে অতিথির আসনে উপস্থিত ছিলেন আমেরিকা প্রবাসী কবি শামস আল মইন, কবি ও কথাসাহিত্যিক রানা মাসুদ, কবি ও প্রাবন্ধিক খৈয়াম কাদের, সাহিত্যসমালোচক আনোয়ার মল্লিক, কবি ইসলাম রফিক, সাবেক অতিরিক্ত সচিব এসসিখান।

কবিতা পাঠ ও আলোচনার অংশে বক্তব্য রাখেন কবি মাহাবুবা লাভীন, কবি মোহিত মিঠু, কামরুননাহার রেনু, কবি হিরণ্য হারুণ, কবি মীর রবি, কবি আল আমিন ইসলাম, কবি হোসেন রওশন, হাসনাইন রাব্বি, খেয়ালি মোস্তফা, মোজাম্মেল হক, তনু আক্তার প্রমুখ।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন কবি, সম্পাদক ও প্রকাশক সাকিল মাসুদ।

অনুষ্ঠানটি বৈশাখী কবিতা আড্ডা শিরোনামে শুরু হলেও এর আলোচনার ব্যাপ্তি ছাড়িয়ে যায় পশ্চিমা সাহিত্য পর্যন্ত। আলোচনায় শামস আল মইন বাংলা এবং পশ্চিমা সাহিত্যের তুলনামূলক আলোচনা করেন। তিনি বলেন, “বাংলা কবিতা এখনও আন্তর্জাতিক সাহিত্যের তুলনায় অনেক পিছিয়ে। চিত্রকল্প ও আঙ্গিকের বিকাশে আমাদের আরও সচেতন হতে হবে।”

রানা মাসুদ কবিতার নান্দনিকতার বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন, “বর্তমান কবিতার অনেক ক্ষেত্রে চিত্রকল্পের সীমাবদ্ধতা রয়েছে, যা কাটিয়ে উঠতে কবিদের আরও গভীর পর্যবেক্ষণ প্রয়োজন।”

খৈয়াম কাদের কবিতার তুলনামূলক আলোচনা করতে গিয়ে বক্তব্যে বলেন, “আমাদের সাহিত্য খুবই সমৃদ্ধ। প্রবাসী দোভাষীরা এগিয়ে আসলে তা আন্তর্জাতিক পরিসরে পৌঁছাবে।”

আনোয়ার মল্লিক কবিতার প্রাসঙ্গিকতা আলোচনায় বলেন, “শামস আল মইনের কবিতায় প্রবাস জীবনের বাস্তবতা থাকলেও তিনি দেশ ও মাটির অনুভবকে ভুলে যাননি, যা তার কবিতাকে বিশেষভাবে অনন্য করে তোলে।”

কবি ইসলাম রফিক কবিতা প্রসঙ্গে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, কবিদের সাহিত্যচর্চায় প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে সংগঠন। কারণ কবিরা যখন সংগঠনকে গুরুত্ব দেয়, তখন তাদের কাব্যস্রোত আলোচনার বাহির দিয়ে প্রবাহিত হয়।

অনুষ্ঠানটি স্থানীয় সাহিত্যানুরাগী ও কবিদের মিলনমেলায় রূপ নেয় এবং আলোচনার মধ্য দিয়ে সাহিত্য, পরিবেশ ও ইতিহাসচর্চার নতুন দিগন্ত উন্মোচনের আশা প্রকাশ করা হয়।

15/04/2025

মোহনীয় সঙ্গীত । কথাসাহিত্যিক কাকন আপার কণ্ঠস্বর

14/04/2025

এসো হে বৈশাখ

06/04/2025

ঐতিহ্যবাহী সিন্দুরমতির মেলায় মাটির সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক দেখে এলাম। দেখে এলাম হরেক রকম মাটির পুতুল, খেলনা, ঢোল, তবলা, বাঁশি, শঙ্খ, সিঁদুর, তাবিজ, কবজ।
বাতাসা, জিলাপি, মিষ্টি, আচার রকমের জিনিসের সমাহার।
সিন্দুরমতির এই মেলাকে ঘিরে আছে এক লোক কাহিনী। কুড়িগ্রামের এই সিন্দুরমতি অঞ্চলের জমিদার প্রজাদের জলের চাহিদা মেটাবার জন্য একটি পুকুর খনন করেছিলেন। বিশাল সেই পুকুর খননের পরও সেখানে জলের দেখা পাননি জমিদার। একদিন স্বপ্নে দেখেন তার দুই ছেলেমেয়েকে উৎসর্গ করলে পুকুরে জল আসবে। স্বপ্নের ওসিয়াত মতো জমিদার তার কন্যা এবং পুত্রকে পুকুরে নামতে বলেন। তারা নামার পর সেখানেই জলের ফোয়ারা উঠতে থাকে। সিন্দুর এবং মতি আর সেই জল থেকে ডাঙ্গায় উঠতে পারেন না। তখন থেকেই লোকোদেবতা হিসেবে প্রজারা চৈত্র মাসের শেষ সপ্তাহে পুকুরপাড়ে সিন্দুরমতি পূজা আয়োজন করেন। এই পূজাকে ঘিরে বসে সিন্ধুরমতির মেলা....

 #সুন্দরবননামা  #ইসমেআজমঋজু কুরিয়ার পাঠানো শুরু হয়েছে। ৩১কপি পাঠকের  ঠিকানায় পাঠালাম। স্টক সীমিত। আপনার কপিটি সংগ্রহ ...
05/04/2025

#সুন্দরবননামা #ইসমেআজমঋজু
কুরিয়ার পাঠানো শুরু হয়েছে। ৩১কপি পাঠকের ঠিকানায় পাঠালাম।
স্টক সীমিত। আপনার কপিটি সংগ্রহ করুন আজই। সরাসরি আমাদের #আইডিয়া_প্রকাশন সেন্ট্রাল রোড থেকে অথবা আমাদের অফিসিয়াল ওয়েবে ঢুকে অর্ডার করুন...। লিংক কমেন্টে

বাংলাদেশের সুন্দরবন ও প্রত্নতাত্বিক ইতিহাসের অজানা ইতিহাসের বই “সুন্দরবননামা”। আজ প্রকাশিত বইটি পবিত্র ঈদ উপলক্ষে পাঠকদে...
28/03/2025

বাংলাদেশের সুন্দরবন ও প্রত্নতাত্বিক ইতিহাসের অজানা ইতিহাসের বই “সুন্দরবননামা”।
আজ প্রকাশিত বইটি পবিত্র ঈদ উপলক্ষে পাঠকদের জন্য উপহার।

প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য, রহস্যময়তা, ভয় ও কৌতূহলের মিশেলে এক অনন্য বিস্ময় হয়ে দাঁড়িয়ে আছে বাংলাদেশ ও ভারত উপকূল জুড়ে সুন্দরবন। পৃথিবীর বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন হিসেবে এর গুরুত্ব শুধু পরিবেশগত নয়; ইতিহাস, প্রাণবৈচিত্র্য ও মানবজীবনের সঙ্গে এর গভীর সংযোগ রয়েছে।
সুন্দরবননামা বইটি সুন্দরবনের বিভিন্ন দিককে তুলে ধরার এক অনন্য প্রয়াস। লেখক ইসমে আজ ঋজুর প্রথম দেখা সুন্দরবন থেকে শুরু করে বাঘের ভয়ঙ্কর উপস্থিতি, অরণ্যের গহীনে লুকিয়ে থাকা রহস্য, হারিয়ে যাওয়া জনপদ, প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন, লবণ শিল্পের অতীত, সুন্দরবনের লৌকিক দেব-দেবী, বনজীবীদের জীবনযাপনসহ আরও বহু বিষয়ে আলোকপাত করা হয়েছে। প্রতিটি অধ্যায়ে সুন্দরবনের বৈচিত্র্যময় রূপ, এর অস্তিত্ব রক্ষার সংগ্রাম এবং প্রকৃতি ও মানুষের সম্পর্কের কথা উঠে এসেছে।
বাঘ এই বনের প্রতীক হলেও, তার পাশাপাশি রয়েছে হরিণ, কুমির, সাপ, নানা প্রজাতির পাখি ও অন্যান্য প্রাণী। অন্যদিকে বনজীবীদের জীবনে সুন্দরবনের ভূমিকা, জলদস্যুদের দৌরাত্ম্য, ঝড়-জলোচ্ছ্বাসের ধ্বংসযজ্ঞ, বন সংরক্ষণে আধুনিক গবেষণা ও ক্যামেরা ট্র্যাপিং পদ্ধতির কার্যকারিতা নিয়েও বইটিতে বিস্তৃত আলোচনা রয়েছে।
তাছাড়া, সুন্দরবনের প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন এবং প্রাগৈতিহাসিক গুরুত্বের বিবেচনায় লেখক সুন্দরবনের ইতিহাস, হারিয়ে যাওয়া জনপদ ও সভ্যতার চিহ্ন অনুসন্ধান করেছেন, যা পাঠকদের এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।
যারা সুন্দরবনের রহস্য, জীববৈচিত্র্য, ইতিহাস ও বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে গভীরভাবে জানতে চান, তাদের জন্য এটি এক মূল্যবান সংযোজন।
বইটি সুন্দরবন সম্পর্কে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে তুলতে সাহায্য করবে এবং মানুষকে বন সংরক্ষণ ও প্রকৃতির প্রতি দায়িত্বশীল হতে অনুপ্রাণিত করবে।

বইটি সংগ্রহ করতে কমেন্টসে থাকা লিংকে অর্ডার করুন----

#সুন্দরবননামা
#ইসমেআজমঋজু
#আইডিয়া_প্রকাশন
#নতুনবই

Address

Rangpur

Opening Hours

Monday 09:00 - 17:00
Tuesday 10:00 - 17:00
Wednesday 10:00 - 17:00
Thursday 10:00 - 17:00
Saturday 10:00 - 17:00
Sunday 10:00 - 17:00

Telephone

+8801726976982

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when আইডিয়া প্রকাশন posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to আইডিয়া প্রকাশন:

Share

Category