24/06/2025
তুমি যখন তোমার স্ত্রীর সম্পর্কে কোনো নেতিবাচক কথা আরেকজন নারীর সঙ্গে বলো—ঠিক সেই মুহূর্তেই তুমি একটা সম্পর্ক ভাঙার দরজা খুলে দাও।
তুমি তখন তোমার বৈবাহিক জীবনের ফাঁকটা দেখিয়ে দাও, আর সেই নারী চুপিচুপি সেই জায়গা পূরণ করতে শুরু করে।
তুমি যদি বলো, “আমার স্ত্রী আমাকে আর আগের মতো গুরুত্ব দেয় না”—সেই নারী তখন তোমাকে প্রতিনিয়ত প্রশংসায় ভরিয়ে দেয়।
তুমি যদি বলো, “আমার স্ত্রী সারাক্ষণ অভিযোগ করে”—সে তখন হয়ে ওঠে তোমার প্রশান্তির উৎস, সবসময় তোমার দিকে কোমল চোখে তাকায়।
তুমি যদি বলো, “আমার ঘরে শান্তি নেই”—তাহলে সে নারী হয়ে ওঠে তোমার নতুন শান্তির আশ্রয়।
তুমি ভাবো, “আমি তো শুধু একটু কাঁধ খুঁজছিলাম ভরসা করার”—কিন্তু তুমি নিজের অজান্তেই নেমে পড়ো এক ভয়ংকর গভীর অন্ধকারে।
একটা পরকীয়া শুরু করা হয়তো খুব সহজ। কিন্তু সেটা থামানো হয় খুব কঠিন। কারণ যাকে তুমি হালকা করে ভাবো, সে হয়তো তোমাকে নিজের জীবনের অবলম্বন ভাবতে শুরু করেছে।
বেশিরভাগ মানুষ ইচ্ছে করে তাদের সংসার নষ্ট করে না। তারা শুধু একটুখানি দরজা খুলে দেয়—জানেই না, সেই দরজা দিয়ে কত অশান্তি ঢুকে আসবে।
তাই সবসময় চেষ্টা করো, তোমার দাম্পত্য জীবনের সমস্যা তোমার জীবনসঙ্গীর সঙ্গেই মিটিয়ে নিতে। প্রয়োজনে কাউন্সেলরের কাছে যাও।
কিন্তু সহকর্মী বা বন্ধুর কাছে মন খারাপের গল্প বলতে গিয়ে নিজের জীবনের ভীতটাই নাড়িয়ে দিও না। এটা শুধু বিপদ ডেকে আনে।
কপি