09/08/2025
আগেই বলে রাখছি-“যতই বকা দাও, এই পোস্ট আমি ডিলিট করবো না”-
এই প্রজন্মের বাচ্চারা নেটফ্লিক্স, ইউটিউব বা অন্যান্য অনলাইন প্ল্যাটফর্ম দেখে এমন সব সিম্বল বা অঙ্গভঙ্গি করে( সহজ ভাষায় টুপকি মারা), যা প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ইঙ্গিতপূর্ণ। তারা হয়তো এর অর্থ বোঝে, হয়তো বোঝে না—তবুও ব্যবহার করছে। প্রশ্ন হচ্ছে, এটা কি তাদের স্বাভাবিক বিকাশের অংশ, নাকি আমাদের প্যারেন্টিং-এ কোথাও ভুল আছে?
ইনস্টাগ্রাম বা টুইটারের মতো সোশ্যাল মিডিয়ায় তারা ভুয়া নামে অ্যাকাউন্ট খুলছে—যার খবর অনেক বাবা-মারই জানা নেই, কিংবা জানলেও গুরুত্ব দিচ্ছেন না। অনেক অভিভাবক মনে করেন, “আমার সন্তান খুব ভালো, কিছুই বোঝে না।” কিন্তু অন্ধভাবে এতটা বিশ্বাস করা আসলে বোকামি।
আজকের অনলাইন দুনিয়ায় শিশুদের কৌতূহল, দ্রুত শেখার ক্ষমতা আর সহজ অ্যাক্সেস—তাদের এমন সব জগতে নিয়ে যাচ্ছে, যা তারা মানসিকভাবে বুঝতে বা সামলাতে পারে না। অথচ অনেক অভিভাবক এ বিষয়ে উদাসীন বা অনভিজ্ঞ।
আমি সত্যিই খুব আতঙ্কিত—কারণ এই অবহেলা ও অজ্ঞানতা একদিন বড় সমস্যায় রূপ নিতে পারে। এখনই যদি সচেতন না হই, তাহলে সন্তানদের সুরক্ষা, মানসিক স্বাস্থ্য ও নৈতিকতা—সবকিছুই ঝুঁকির মুখে পড়বে।
(ছবিটি আমার সেন্সর অতিক্রম করে দিতে বাধ্য হয়েছি , কারণ এটি আমারই পরিচিত জনের এক ভদ্রলোকের মেয়ে । বাবা মা এই সম্পর্কে জানেই না অথচ মেয়ে নেট দুনিয়ায় টুপকি মেরে বেড়াচ্ছে) ।আমি নিজেও তার অভিভাবককে বলতে লজ্জিত হয়তো আমার আপনারটাও এমন করে বেড়াচ্ছে । আমরা শুধুই লুকিয়ে যাচ্ছি, দেখেও না দেখার ভ্যান করছি । একে অন্যের সন্তানের বিষয়ে অভিভাবককে সচেতন করতে কুণ্ঠাবোধ করি ।এখনই সময় সাবধানতা অবলম্বন করার ।
Basu দাদার ফেসবুক ওয়াল থেকে নেওয়া।