22/09/2025
অপরিচিতা,
প্রতিদিন রেস্টুরেন্টে বসে আপনাকে কফি খেতে দেখি।অপলক তাকিয়ে থাকি আপনার দিকে, তবে আপনি হয়তো আমায় খেয়ালই করেননি কখনো।
শুনেছি নারীরা নাকি পুরুষদের আড় চোখে দেখে। কিন্তু কই? এই যে আমি অন্যদিকে তাকিয়ে ছোট্ট আয়নাটা ঠিক আপনার মুখের দিকে তাক করে রাখি, তবুও তো আপনি একবারও তাকান না।
জানেন তো?
আপনি যখন কফি খাওয়ার ঐ মগটায় ঠোঁট লাগান, তখন আমার বড্ড হিংসা হয়। আচ্ছা মিস, আমি কি আপনার ঐ কফি খাওয়ার মগটা হতে পারি না? যে অনায়াসে আপনার ঠোঁট স্পর্শ করার স্পর্ধা দেখায়।
আর ঐ যে ঊনবিংশ শতাব্দীর প্রেয়সী হয়ে আপনি যে শাড়িটা গায়ে জড়ান, আমি কিন্তু ঐ শাড়িটার প্রেমেও মাতোয়ারা! আপনার কাজল চোখে ভীষণ ডুবে যেতে ইচ্ছে করে।
আমি জানি,
এ যুগে সত্যিকার ভালোবাসা দুর্লভ!
কিন্তু একটাবার বিশ্বাস করে দেখুন না, ঠিক আপনার ঐ শাড়িতে গেঁথে থাকা আলপিনের মতো। শাড়ির মতো করে না হয় আপনাকেও সামলে রাখবো, গেঁথে থাকবো আপনার মনের আষ্টেপৃষ্টে।
মিস,
সেদিন বৃষ্টিতে ছাতা নিয়ে এসেও কেমন,বৃষ্টিতে ভিজলেন। আমি বুঝেছি, বৃষ্টি আপনার ভীষণ পছন্দের। তবে বৃষ্টির জলকে আমি বড্ড হিংসা করি মিস! সে কি অনায়াসে আপনার শরীর ছুঁয়ে দেয়। ভালো লাগে না আমার। বিধাতা বোধহয় আমার জন্যই আপনাকে সৃষ্টি করেছে, সেখানে আমি ছাড়া বৃষ্টির জল কেন আপনাকে ছুঁয়ে দেয়?
প্লিজ,
হাসবেন না।
আমার ইমোশন নিয়ে সিরিয়াস হোন। আমি জানি, আপনি দেখতে অপূর্ব, সুদর্শনী। আমার মতো অতি সাধারণ, নগন্য একজন মানুষের ভালোবাসা আপনার কাছে কেবলই তুচ্ছ। কিন্তু বিশ্বাস করুন, আমি ঠিকঠাক ঘুমাতে পারছি না।
এমন অনিশ্চয়তা নিয়ে ঘুমাই কি করে? বলুন....
একটু নিশ্চয়তা কি দিতে পারেন না? আপনার পাশের চেয়ারটায় বসে কফি খাওয়ার কোনো ইচ্ছে নেই। শুধু আপনার কাজল চোখের দিকে তাকিয়ে অপলক আপনার কফি খাওয়া দেখে যাবো না হয়। কেমন?এমন হুটহাট আপনাকে দেখতে চাইনা, আমি সারাজীবন আপনাকে খুব কাছ থেকে দেখতে চাই।মনের তৃষ্ণা মেটাতে চাই।
মিস,
আপনি একটু সুযোগ দিবেন আমায়? দেখুন না, পৃথিবীতে কত মানুষই তো ভালোবাসি বলে কিন্তু ঠিক কতক্ষণ অবধি বাসতে পারে বলুন? আমায় না হয় ততদিন ভালোবাসার সুযোগ দিন, যতদিন আপনার সাথে পাশাপাশি বসে কোনো চিরচেনা রেস্টুরেন্টে দু কাপ কফি খেতে যাওয়ার শক্তি থাকে শরীরে।
কিগো, সেই সুযোগ দিবেন তো?
ইতি,
হিংসুটে পুরুষ
লেখায়ঃ- মোঃ ফাহাদ মিয়া🌼