
19/07/2025
🛑 "বর্ষা নয়, যেন শাস্তির ঋতু!"
🛑 রাস্তায় নয়, কষ্টে হাঁটি!
-------------------
📍স্থান: রহমতপুর ৭ নম্বর ওয়ার্ড ও মুছপুর ১নং ওয়ার্ডের সংযোগ সড়ক (মুত্তাকী পাড়া, দক্ষিণ-পশ্চিম রোড)
🌧️ বর্ষা মানেই কাদা-পানির রাজত্ব
এই সড়কে বর্ষা নামে কেবল আকাশে না—জমে পায়ের নিচে।
বৃষ্টির পরপরই হাঁটুসমান পানি, পিচ্ছিল কাদা, আর গর্তে গর্তে রাস্তাটা অচল হয়ে যায়।
এই রাস্তা যেন কোনো জনপদ নয়, একটা পরিত্যক্ত কর্দমপথ।
সাধারণ মানুষের যাতায়াত চরম ঝুঁকিপূর্ণ
শিশু থেকে বৃদ্ধ—সবাই পায়ে হেঁটে চলতে বাধ্য
মাথায় ছাতা, হাতে সন্তান, কাপড় গুটিয়ে মানুষ মসজিদে, বাজারে যায়
জরুরি প্রয়োজনে রিকশা-ভ্যান চলে না, বাইক আটকে পড়ে
এটা শুধু রহমতপুর না, মুছপুরেরও সমস্যা
এই রাস্তা দুইটি ইউনিয়নের মাঝামাঝি—
রহমতপুর ৭ নম্বর ওয়ার্ড ও মুছপুর ১ নম্বর ওয়ার্ড—
তাই দায়িত্ব শুধু এক পক্ষের নয়, উভয় ইউনিয়নের নেতৃত্বের সম্মিলিত দায়িত্ব।
ছবিই সাক্ষ্য দেয় বাস্তবতা
এই দৃশ্য ২০২৫ সালের, অথচ অবস্থা যেন ১৯৯৫-এর থেকেও পেছনে। এই রাস্তার কষ্ট মুখে বলার নয়—ছবিতেই প্রমাণ।
মানুষ কাঁধে কলস নিয়ে হাঁটছে কাদায়,এটা কি তাঁর প্রাপ্য?
রাস্তায় পানি, পিচ্ছিল কাদা—চলার কোন উপায় নেই।
এই রাস্তায় কাদা-মাটিতে চলতে গিয়ে মানুষ যেন নিজের সম্মান বিসর্জন দেয়।
এই দৃশ্য বারবার ঘটছে—এটা কেবল বর্ষা না, এটা এক-একটা পরিবারের পরীক্ষা।
আমাদের দাবি: চলনসই একটি রাস্তা চাই
কোটি টাকার প্রকল্প নয় শুধু একটি মেরামতকৃত, পানিনিষ্কাশনের ব্যবস্থা সহ ব্যবহারযোগ্য রাস্তা।
যারা ইউনিয়নের নেতৃত্বে আছেন,
যারা ওয়ার্ডের উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করেন,
তারা কি কখনো নিজের পায়ে এই রাস্তায় হেঁটেছেন?
একবার অন্তত পায়ে হেঁটে আসুন—তারপরই বোঝা যাবে এই মানুষগুলোর কষ্ট কত গভীর।
আমরা অভিযোগ নয়, সমাধান চাই,
শুধু চাই—মসজিদে যাওয়ার সময় কেউ যেন পাঞ্জাবি তুলে হাঁটতে না হয়।
সন্তানকে স্কুলে নিতে গিয়ে কেউ যেন নিজেকে অসহায় না ভাবে
চিকিৎসার প্রয়োজনে আর যেন কেউ আটকে না পড়ে কাদায়।
এই রাস্তা দু’টি ইউনিয়নের—তাই সমাধানও দুইপক্ষের সম্মিলিত উদ্যোগেই সম্ভব।
#রহমতপুর_মুছপুর_রোড #রাস্তার_দাবি #আমাদের_অধিকার #স্থানীয়_উন্নয়ন