21/07/2025
রাস্তায় বেরোলেই বুক ধকধক করে…
এই বুঝি একটা বাস পেছন থেকে উঠে আসবে,
চাপা দিয়ে চলে যাবে…
আর কেউ জানতেও পারবে না, ঘরে ফেরার অপেক্ষায় ছিল একজোড়া চোখ।
গলির কোণে দাঁড়িয়ে থাকা ছিনতাইকারীর হাতে
গলা কাটা পড়ে যায়—
শুধু একটা আর্তচিৎকার বাতাসে ভেসে থাকে কিছুক্ষণ,
তারপর সব শেষ…
ঘর, যে ঘরটা নিরাপদের আশ্রয় হবার কথা—
সেই ঘরেই ঢুকে পড়ে ডাকাত…
তলোয়ারের কোপে রক্তে ভেসে যায় বিছানা,
ভাঙে পরিবারের স্বপ্ন, ভেঙে চুরমার হয় বুকের সবটুকু শান্তি।
বাজারে গেলেও কি বাঁচা যায়?
একটা গুলি হঠাৎই বিদ্ধ করে বুক…
চাঁদাবাজের অস্ত্রে থেমে যায় জীবন,
সবজি, মাছ, চাল-ডাল একপাশে পড়ে থাকে…
আর মানুষটা পড়ে থাকে অন্যপাশে—নিস্তব্ধ, নিথর।
বৃষ্টি নামে…
কেউ গান গায়, কেউ ভালোবাসার গল্প খোঁজে।
আমরা?
আমরা ড্রেনে পড়ে হারিয়ে যাই,
কেউ খোঁজে না, কেউ জানে না—
একজন মানুষ স্রেফ পানিতে পড়ে মারা গেল।
আর মাথার ওপরে?
সেই পুরনো বিল্ডিং থেকে হঠাৎ একটা ইট ভেঙে পড়ে,
যেমনভাবে ভেঙে পড়ে স্বপ্ন, বিশ্বাস… আর বুকের ভিতর জমে থাকা আশা।
এখন তো আকাশও বিশ্বাসঘাতক—
ওখান থেকেও নেমে আসছে মৃত্যু—
ভাঙাচোরা এক প্লেন হয়ে,
ভাঙা রাষ্ট্রের মতোই… মানুষের ওপরে ভেঙে পড়ে জীবন।
জানেন তো?
এত বৈচিত্র্যময় মৃত্যুর সুযোগ আর কোনো দেশ দেয় না।
এমন 'ক্রিয়েটিভ' মৃত্যু কেবল বাংলাদেশই পারে উপহার দিতে।
তাই আর দেরি না করে,
একবার ভেবে নিন…
আপনারটা কোনটা হবে?
বাস, ছুরি, গুলি, ইট, ড্রেন, নাকি ভাঙ্গারি প্লেন?
নাকি আপনি বসেই আছেন,
যেদিন মৃত্যু নিজেই পথ চিনে আসবে,
আপনার দরজার সামনে… এই দেশেই, এই বেঁচে থাকার যন্ত্রণার ভেতরে।