17/05/2025
দ্বীনদার ছেলেরা কি রোমান্টিক হয় না?
অনেকে মনে করে, যারা দ্বীন মেনে চলে, দাড়ি রাখে, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে, ইসলামিক পোশাক পরে—তারা বুঝি একেবারেই কাঠখোট্টা! তাদের জীবনে ভালোবাসা, রোমান্স, আবেগ—এসবের কোনো স্থান নেই। কিন্তু এ ধারণা কতটা সত্য?
আসলে রোমান্টিকতা মানে যদি হয় ভালোবাসা প্রকাশ, যত্ন নেওয়া, অনুভব করা এবং প্রিয়জনকে মূল্য দেওয়া—তাহলে দ্বীনদাররাই তো আসল রোমান্টিক! আমাদের প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ছিলেন সবচেয়ে উত্তম স্বামী। তিনি স্ত্রীদের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশে কখনো কার্পণ্য করতেন না। তিনি স্ত্রীদের নাম ধরে ডাকতেন, তাদের সঙ্গে গল্প করতেন, এমনকি দৌড় প্রতিযোগিতাও করতেন।
একবার ভাবুন—যিনি দ্বীনের সবচেয়ে বড় দায়িত্ব কাঁধে নিয়েছিলেন, যিনি ছিলেন ওহির বাহক, তিনি যদি ভালোবাসা প্রকাশে এত যত্নবান হন, তাহলে একজন প্রকৃত দ্বীনদার কীভাবে ভালোবাসায় অনাড়ম্বর হতে পারে?
আসলে সমস্যা হলো—আমরা রোমান্টিকতা বুঝি শুধু সিনেমার চোখে। যেখানে প্রেম মানে চোখের জল, চিঠি, গান, হাত ধরা কিংবা সারারাত ফোনে কথা বলা। কিন্তু ইসলাম ভালোবাসাকে দেখেছে আরও গভীর, আরও ভারসাম্যপূর্ণ এক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে। যেখানে ভালোবাসা মানে সম্মান, দায়িত্ব, আদর এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ—আল্লাহর জন্য ভালোবাসা।
তাই হ্যাঁ, দ্বীনদার ছেলেরা রোমান্টিক হয়—তবে তাদের রোমান্সে থাকে পরিশুদ্ধতা, নৈতিকতা, আর আল্লাহর সন্তুষ্টির খোঁজ। তারা স্ত্রীকে ভালোবাসে নবীর সুন্নাহ অনুসারে, গোপনে নয় বরং হালালভাবে, সম্মান দিয়ে।
রাস্তাঘাটে হাত ধরা নয়, বরং নিজের স্ত্রীকে জায়নামাজে পাশে বসিয়ে দোয়া করার মধ্যেই তারা খুঁজে পায় প্রেমের আসল সৌন্দর্য।