Satkania Press Club - সাতকানিয়া প্রেসক্লাব

Satkania Press Club - সাতকানিয়া প্রেসক্লাব সাতকানিয়া প্রেসক্লাব ১৯৭৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ।

সাতকানিয়া প্রেসক্লাবের স্বপ্নদ্রষ্টা ছিলেন সাংবাদিক সৈয়দ মোস্তফা জামাল । জমিদাতা মরহুম আলহাজ্ব আহমদ কবির চৌধুরী । প্রতিষ্ঠাতা সৈয়দ মাহফুজ উন নবী খোকন । সাতকানিয়া প্রেসক্লাব নিজস্ব জমিতে নিজস্ব ভবন নির্মাণ করেছে । সাতকানিয়া প্রেসক্লাব সাংবাদিক প্রশিক্ষণ কর্মশালা ,বৃক্ষরোপন অভিযান ,ইফতার পার্টি ,শীতবস্ত্র বিতরণ .খেলাধুলা সহ নানা ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে সফলতার সাথে ।

প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস ও  তারই আপনভাই              সাংবাদিক জাহাঙ্গীর স্মৃতিকথা   ------------------------------------...
10/08/2025

প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস ও তারই আপনভাই সাংবাদিক জাহাঙ্গীর স্মৃতিকথা ------------------------------------------------------------------নোবেল বিজয়ী ড.মোহাম্মদ ইউনূস ও সাংবাদিক প্রিয় জাহাঙ্গীর ভাইকে যেভাবে দেখেছি যে, সদা হাস্যজ্জ্বল সহজ সরল প্রকৃতির মানুষ। স্বাধীনতার পর থেকে জাহাঙ্গীর ভাইয়ের সাথে আমার পরিচয় ও আত্মার সম্পর্ক গড়ে উঠে । ড. মোহাম্মদ ইউনূস ও জাহাঙ্গীরভাই চট্টগ্রামেরই কৃর্তি সন্তান এবংড. মোহাম্মদ ইউনূস ও সাংবাদিক জাহাঙ্গীর উনারা দুজনেই আপন ভাই । জাহাঙ্গীর ভাই অধুনালুপ্ত জাতীয় দৈনিক " দৈনিক বাংলা " সহ বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্র পত্রিকায়, তংকালিন রেডিও বাংলাদেশ ও টেলিভিশনে পেশাগত দায়িত্ব পালন করেছেন । জাহাঙ্গীর ভাই বাংলাদেশ প্রেস ইনইষ্টিটিউ এর একজন প্রশিক্ষক ছিলেন। জাতীয় ও স্হানীয় পত্র পত্রিকা টিভি চ্যানেল গুলোর সাংবাদিকদের বুনিয়াদি প্রশিক্ষন সহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিয়ে সাংবাদিকদের মান্নোয়নে অবদান রেখে গেছেন । ঢাকায় বাংলাদেশ প্রেস ইনইষ্টিটিউটে দেশের প্রায় তিরিশ জন সাংবাদিকদের প্রশিক্ষণে অন্যান্যদের সাথে আমি সৈয়দ মাহফুজ-উননবী খোকন, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের প্রাক্তন সভাপতি দৈনিক আজাদীর সাংবাদিক পরবর্তী কালে বিটিবির উপস্হাপক এবং সিভয়েজ এর এডিটর ছিলেন সাংবাদিক নাসিরুল হক, দৈনিক বাংলার চট্টগ্রাম প্রতিনিধি সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচি ভাই, দৈনিক সংবাদ চট্টগ্রাম প্রতিনিধি ও পরবর্তী দৈনিক পূর্বকোণ এর সিনিয়র সাংবাদিক স ম কামরুল ইসলাম একসাথে এ প্রশিক্ষণে ছিলাম। একদিন ড. মোহাম্মদ ইউনূস আসলেন প্রেস ইনষ্টিটিউট ( পিআইবি) ভবনে। আমাদের একসাথেই সকালে চা নাস্তা করলেন। ড. ইউনূস সাহেবের প্রতিষ্টিত গ্রামিন ব্যাংক এর কার্যক্রম সরেজমিনে পরিদর্শনে নিয়ে যাওয়া হলো টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে। প্রথমে টাঙ্গাইলের ধান গবেষণা ইনইষ্টিটিউট পরিদর্শন করানো হলো। এটি সরকারের কৃষি উন্নয়নে গবেষণা ইনস্টিটিউট । এখানে নতুন নতুন ধান উদ্ভাবন সহ কৃষি জমিতে কিভাবে উৎপাদন বৃদ্ধি করা যায় তার উপরে চলে ব্যাপক গবেষণা । বিশাল বিশাল গবেষণাগার । চমৎকার সুন্দর ভবনগুলো এবং কৃষি জমিতে গবেষণা চালানোর সুযোগ সুবিধা রয়েছে । ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট থেকে আমরা টাঙ্গাইল সার্কিট হাউসে পৌঁছলাম। সার্কিট হাউসে পৌঁছে দেখলাম পাশে মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর কাদের সিদ্দিকীর ভাস ভবন। সময় ছিলনা তাই সার্কিট হাউসে ফিরে দুপুরের আহার শেষ করে নিয়ে যাওয়া হলো গ্রামিণ ব্যাংকের প্রথমিকে শুরু করা কর্মকান্ড পরিদর্শনে জামুর্কি ইউনিয়নে। গ্রাম গুলো পরিদর্শন করে গেলাম সন্তোষ নির্লোভ রাজনীতিবিদ স্বদেশ প্রেমিক মৌলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর কবর জেয়ারত করলাম। এতোবড় মাপের একজন মানুষ যিনি থাকতেন সামান্য কুড়েঁ ঘরে। তখন জাহাঙ্গীর ভাই ও তার আপন ভাই ড.মুহাম্মদ ইউনূস সহ পিআইবি'র কর্মকর্তারাও ছিলেন। প্রশিক্ষণ শেষে এ ভ্রমণটি ছিল অনুসন্ধানী আনন্দদায়ক। আমাদের সাথে এ প্রশিক্ষণে অংশ নেয়া নোয়াখালী মাইজদির সাংবাদিক বন্ধু দৈনিক বাংলার কামালউদ্দিন আহমদ, লক্ষীপুরের দৈনিক বাংলার রফিকভাই, সিলেটের আবদুল মালিক ভাই, কুমিল্লার দৈনিক বাংলাও বাংলাদেশ টেলিভিশন এর আমার বন্ধু কবি আলী হোসেন ( আলী হোসেনের পুত্র রাঙ্গুনিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ওপপ কর্মকর্তা মিরাজ চৌধুরী পরে কুমিল্লায়), ফেনীর নুরুল ইসলাম, আবুল কাশেম আজাদ চৌধুরী, মাহফুজুল হক,আবু তাহের, কক্সবাজার এর বদিউল আলমসহ অনেকে। । একদিন আমি বরিশালের সাংবাদিক বদিউর রহমান ভাইয়ের ঢাকায় কলাবাগান বাসভবনে যাচ্ছিলাম। যাবার পথে দেখা হলো জাহাঙ্গীর ভাই এর সাথে। তিনি তখন রিকশায় যাচ্ছিলেন। আমাকে দেখে উনার রিক্সা থামিয়ে আমাকে ডাক দিলেন। জিজ্ঞেসা করলেন আমি কোথায় যাচ্ছি । বললাম সাংবাদিক বদিউর রহমান এর বাসায়। কৌশলাদি জিঙ্গাসা করে বললেন আমি ( জাহাঙ্গীর ভাই) টেলিভিশনে যাচ্ছি বাংলাদেশ টেলিভিশন বিটিভিতে লেট নিউজে পড়তে । রাত দশটার ইংরেজি সংবাদ পড়তে। কত বিনয়ের সাথে অনুরোধ করলেন যেন উনার বাসায় যাই। জাহাঙ্গীরভাই বললেন " মাহফুজভাই আমার বাসায় আসলে সত্যি খুশী হবো" । সব সময় উনাকে দেখেছি হাসি-খুশিভরা মনে খুবই আন্তরিকতা দিয়ে কথা বলতেন। আজো ভূলতে পারিনি। মহান আল্লাহ আমাদের প্রিয় জাহাঙ্গীর ভাইকে জান্নাতুল ফেরদৌস নসীব করুন। আমিন।

-- সাতকানিয়া কলেজ প্রতিস্টার ইতিকতা"  -সৈয়দ মাহফুজ-উন নবী খোকন এর  স্মৃতি চারণ ঃ--  আলহাজ্ব মোজাফ্ফর   আহমদ চৌধুরী টি,কে...
28/07/2025

-- সাতকানিয়া কলেজ প্রতিস্টার ইতিকতা" -সৈয়দ মাহফুজ-উন নবী খোকন এর স্মৃতি চারণ ঃ-- আলহাজ্ব মোজাফ্ফর আহমদ চৌধুরী টি,কে । তিনি সাতকানিয়া সরকারী কলেজের প্রতিষ্টাতা । শুধু সাতকানিয়া সরকারী কলেজ নয় - কলেজের পশ্চিম পাশেই সুন্দর মসজিদ,মসজিদের পৃকুর,পুকুরের ঘাট, টয়লেট, কবর স্হান, আজানখানা,কলেজের বিশাল মাঠ, মসজিদের পশ্চিম থেকে উপজেলা পর্যন্ত সড়ক( চেমন আরা সড়ক) টি প্রতিষ্টা করেন। জেলা পরিষদের ডাকবাংলো'র জন্য তিনি জমি দান করেন। তার প্রতিষ্টিত কলেজে প্রথম অধ্যক্ষ ছিলেন রায় বাহাদুর কামিনি কুমার ঘোষ। কিছুদিন অধ্যক্ষ হিসেবে নসরুল্লাহ খান ছিলেন ( তিনি পরবর্তি কালে পুলিশে যোগদিয়ে পুলিশের অতিরিক্ত আইজি হন)। পরে অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদান করেন চট্রগ্রামের মিরেরসরাই উপজেলার আবুল খায়ের চৌধুরী। তখন কলেজ সরকারী ছিলনা। কলেজে পর্যায়ক্রমে যোগদান করেন বাঁশখালী উপজেলার কালিপুর ইউনিয়নের অধ্যাপক গোলাাম রসুল চৌধুরী (ছাএদের কাছে বাংলা মামা নামে পরিচিত) বাংলা পড়াতেন বলে তিনি সকলের কাছে বাংলা মামা। আমিও তারই ছাএ ছিলাম। অধ্যাপক শ্রী অসিত কুমার লালা, অধ্যাপক মোজাফ্ফর হোসেন,অধ্যাপক আবুল বশর, অধ্যাপক জয়নাল আবেদীন,অধ্যাপক আবদুর রব, অধ্যাপক আক্তার আলম খান( বুদ্বিজীবি সিরাজুল আলম খানের ছোট ভাই) পরে তিনি শিক্ষকতা ছেড়ে ম্যাজিষ্ট্রেট হন। অধ্যাপক হীরেন্দ্র, অধ্যাপক করিম, অধ্যাপক ইউচুফ চৌধুরী,অধ্যাপক আলী হায়দার, বাংলা ব্যাকরণের লেখক অধ্যাপক হরলাল রায়, অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী,অধ্যাপক ডা:মোজহারুল হক, অধ্যাপক আনোয়ারুল হক,অধ্যাপক আনোয়ার কাদের চৌধুরী, অধ্যাপক জহিরউদ্দিন মোহাম্মদ বাবর, অধ্যাপক হীরেন বাবু, অধ্যাপক তপন সিংহ, অধ্যাপক হারাধন নাগ, অধ্যাপক ওসমান গণি, অধ্যাপক নূরুল হুদা সিকদার মনসুর, অধ্যাপক আশরাফউদ্দিন, সহ আরো অনেকে । অধ্যাপক আলী হায়দার,অধ্যাপক মোজাফ্ফর হোসেন থাকতেন কলেজের মাঠের পূর্বদিকে ছাএ হোস্টেলের দক্ষিন পাশে। হোস্টেলটি আগুনে পুড়ে গেছে। কাঠ বাঁশের বেড়া উপরে টিন দেয়া বিশাল আঁকার এ হোস্টেলটিতে। তখনকার দিনে কলেজ হোস্টেলটি দৃস্টি নন্দন ছিল। এ কলেজে বায়োলজি,বোটানি (বিজ্ঞান বিভাগ)এবং বিশালাকার লাইব্রেরী চট্রগ্রাম সরকারী কলেজ বা মহসিন কলেজে ও নেই।। সে সময়ের কলেজের শিক্ষকরা সততা, নিষ্টা, কর্তব্য পরায়ন,দায়িত্ববান,আদর্শবান, সৎ চরিএবান, সামাজিক মর্যাদাশীল । এলাকার সর্ব শ্রেণির সর্ব পেশার মানুষেরা এ কলেজের অধ্যাপকদের শুধু শ্রদ্বা করতেননা নিজেদের বাসা-বাড়ীতে সবচে বেশী সম্মান দিয়ে নিমন্ত্রণ করে খাওয়াতেন । সাতকানিয়ায় সর্বক্ষেএে তারা ছিল সম্মানিত ব্যাক্তি । মানুষেরা এ কলেজের অধ্যাপকদের নিজের অন্তর থেকে শ্রদ্বা করতেন । এখনো যারা বেচে আছেন তাদের সাথে দেখা সাক্ষাৎ হলে কি ভাবেযে সম্মান শ্রদ্বা জানায় তা একমাএ তারাই জানেন। পূর্ব পাকিস্তান আমলে ইস্ট পাকিস্তানের তৎকালিন গভর্নর মোনায়েম খান আসছিনেন কলেজ পরিদর্শনে । তখন আমি ছিলাম ছোট। আমাদের বাড়ীতে ছিলেন কলেজের তংকালিন মেধাবী কলেজ ষ্টুড়েন্ট গৃহ শিক্ষক। গৃহ শিক্ষক স্যারের কথায় কলেজের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার সৌভাগ্য হয় আমার। তখন আমি ছিলাম হাইস্কুলের ছাত্র। ইষ্ট পাকিস্তানের গর্ভনর মোনায়েম খান আসার আগ মূহুর্তে বহুদূর পর্যন্ত সড়কের দু'পাশে মানুষের লাইন। কলেজের ভিতরে মূল প্রবেশ পথে বিশালাকার মঞ্চ । মঞ্চে আসলেন গর্ভনর মোনায়েম খান। সারাদিন রাত পরিশ্রম করলেন কলেজের প্রতিষ্টাতা জনাব মোজাফফর আহমদ চৌধুরী টিকে।মোনায়েম খান খবর পাটালেন সাবেক মুসলিম লীগের সাবেক এমএলএ আহমদ কবির চৌধুরীকে। আহমদ কবির চৌধুরী আসার পর মোনায়েম খান আসন থেকে নেমে এসে আহমদ কবির চৌধুরীকে জড়িয়ে ধরে কোলাকুলি করলেন। এ সময় পাশে দাঁডিয়ে থাকা কলেজ প্রতিষ্টাতা মোজাফফর আহমদ চৌধুরী টিকে কে মোনায়েম খান তার হাতের কনুই দিয়ে গুঁতো মারলেন। যাতে কলেজ প্রতিস্টাতা চুপচাপ থাকেন। তখন মুসলিম লীগ ছিল দুটি বিভক্ত। মোনায়েম খান ছিল কলেজ প্রতিষ্টাতা দল করতেন। কলেজে আহমদ কবির চৌধুরীর নামে কলেজের দক্ষিণ পাশে একটি ছোট্র গ্যালারী আহমেদ কবির চৌধুরীর দেয়া । তখন আহমেদ কবির চৌধুরী ছিলেন জমিদার। তিনি কলেজ প্রতিস্টার বিরোধী ছিলেন বলে কলেজের জনশ্রুতি রয়েছে। দু'জনেই সাবেক পাকিস্তান সরকার আমলের রাজনৈতিক দল মুসলিমলীগ করলেও রাজনৈতিক কারনে একে অপরের সাথে মিল ছিলনা। দু’জনেই একে অপরের প্রতিদন্ধি ছিলেন । নির্বাচনী এলাকা ও ছিল একটাই। দুজনেই সাতকানিয়া ইউনিয়নের রুপকানিয়া মৌজার অধিবাসী । রাজনৈতিক বিরোধ মেটাতে জমিদার আলহাজ্ব আহমদ কবির চৌধুরী নিজ বুদ্ধিতে সুকৌশলে করলেন। তিনি মোজাফফর আহমদ চৌধুরী কে রুপকানিয়া মৌজার একটি অংশ ভাগ করে নিলেন। সাতকানিয়া রহমত আলী দীঘির পশ্চিমাংশের পশ্চিম ঢেমশা মৌজার অংশ কে নিজ এলাকা করে নিলেন।অপর দিকে সাতকানিয়া কলেজ রোডের রুপকানিয়া মৌজার অংশ টি মোজাফফর আহমদ চৌধুরীকে দিয়ে মৌজা ভাগ করে রাজনৈতিক দন্ধের অবসান ঘটিয়ে নিলেন। সে থেকে সাতকানিয়া ইউনিয়নের সাথে সাতকানিয়া পশ্চিম ঢেমশা মৌজার কিছু অংশ সাতকানিয়া ইউনিয়নের হয়ে গেল।অপরদিকে সাতকানিয়া ইউনিয়ন এর রুপকানিয়া মৌজার একটি অংশ চরপাড়ার সাথে পশ্চিম ঢেমশা ইউনিয়নর হয়ে যাওয়ায় দু'জনের মধ্যে রাজনৈতিক বিরোধের অবসান হয়। জানা যায় - তখন সাতকানিয়া থানা সার্কেল অফিসার ছিলেন জনাব তাজুল ইসলাম চৌধুরী। (কলেজের অধ্যক্ষ রুমে উনার ছবি এখনো টাঙানো আছে) । তিনি ইনকাম টেক্স ফাঁকি দেবার কারনে নোটিশ প্রদান করা হলে প্রবীণ বয়োজ্যেষ্ঠ সম্মানিত জনাব সোলতান মাষ্টার এর সাথে সার্কেল অফিসারের সাথে আপোষ মিমাংসায় কলেজে আহমদ কবির চৌধুরীর নামে গ্যালারী ভবনটি করে দেন। আহমেদ কবির চৌধুরী একজন সম্মানিত বিশিষ্টজন। তিনি সমগ্র সাতকানিয়া লোহাগাড়া বাঁশখালী, চকোরিয়া সহ সমগ্র কক্সবাজার পর্যন্ত জমিদারী ছিল। তিনি অসংখ্য শিক্ষা প্রতিস্টান সামাজিক , ধর্মীয় প্রতিষ্টান সহ বিভিন্ন প্রতিষ্টানে জমিদাতা। তিনি সাবেক মুসলিম লীগের এমএলএ পরবর্তী সময়ে দীর্ঘবছর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি সাতকানিয়া পাবলিক লাইব্রেরি কাম অডিটোরিয়াম এর জন্য ১৫ গন্ড়া ( ৩০শতক জমি দান করেন,সাতকানিয়া সরকারি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রতিষ্টাতা ও জমিদাতা, সাতকানিয়া প্রেসক্লাবের জন্য ৫গন্ড়া বা দশ শতক জমিদাতা। একজন দায়িত্বশীল সমাজের অভিভাবক। সাতকানিয়া কলেজ ছাড়া তখন দক্ষিনে ক্ক্সবাজার টেকনাফ, কুতুবদিয়া, পূর্বে পার্বত্য জেলা বান্দরবান, পশ্চিম বাঁশখালীএবং উওরে পাটিয়া পর্যন্ত কোন কলেজ ছিলনা। তখন সেই সকল এলাকার ছাএরা সাতকানিয়া কলেজে অধ্যায়ন করতো। ক্ক্সবাজার সমিতি, কুতুবদিয়া সমিতি প্রতিস্টা করেন। সাতকানিয়া কলেজের উওরে শুধুমাএ কানুনগোপাড়া কলেজ ছিল।
স্বাধীনতার পর সরকারের ১৫ সদস্য বিশিস্ট ড. খুদরুতে খোদা শিক্ষা কমিশনের সকলেই সাতকানিয়া কলেজ পরিদর্শনে আসেন। তখন আমরা কলেজের ছাএ। এ শিক্ষা কমিশনের অন্যতম সদস্য সাতকানিয়ার কৃর্তি সন্তান তৎকালিন চট্রগ্রাম সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ আবু সুফিয়ান তিনি পরবর্তি আমলে সরকারের স্বাস্হ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ন সচিব ছিলেন। দক্ষিন ঢেমসার কৃর্তি সন্তান সাবেক গণ পরিষদ সদস্য (এমএনএ) বীর মুক্তিযোদ্বা জনাব আবু সালেহ এর আপন বড় ভাই । কলেজ প্রতিষ্টাতা মরহুম মোজাফ্ফর আহমদ চৌধুরীটিকে ( স্বাধীনতার পূর্বে তৎকালিন পাকিস্তান আমলে সর্ব্বোচ বেসরকারি খেতাব তমগায়ে খেদমত (টিকে) সম্মানে ভূষিত করেন। তারই নিরলস প্রচেষ্টায় সাতকানিয়ার রাস্তার মাথা থেকে কলেজ পর্যন্ত সড়কটি প্রতিস্টিত হয়। জাতীয় পার্টির এরশাদ সবকার আমলে কলেজের প্রাক্তন ছাএ বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্বা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান,সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও পরবর্তী জাতীয় সংসদ সদস্য ইব্রাহিম বিন খলিল চৌধুরী তৎকালিন সরকারের যোগাযোগ মন্ত্রী দৈনিক ইওেফাক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন মন্জু সড়কটির নামকরণ করে উদ্বোধন করেন "আলহাজ্ব মোজাফ্ফর আহমদ চৌধুরী টিকে সড়ক " হিসেবে। জনাব আনোয়ার হোসেন মন্জু সাবেক সরকারের বন ও পরিবেশ মন্ত্রী ছিলেন । তৎকালিন কলেজের (বেসরকারী থাকা কালে) ভাইস প্রিন্সিপাল শ্রী অসিত কুমার লালার এক সত্য ঘটনা :- সাতকানিয়া কলেজের তার( শ্রী অসিত কুমার লালার বাসভবনে থেকে নিজের শালী কলেজে লেখাপড়া করতো। ভাইস প্রিন্সিপ্যাল অসিত কুমার লালা বাবুর শালী কলেজে ফাইন্যাল পরীক্ষা দেয়ার সময় শালী তখন পরীক্ষায় নকল করছিলেন। আপন দুলাভাই ভাইস প্রিন্সিপ্যাল এর চোখে ধরা পড়ে শালীর নকল করা । সংগে সংগে ভাইস প্রিন্সিপ্যাল অসিত বাবু আপন শালী বলে ক্ষমা করেননি। তাৎক্ষনিক কতর্ব্যবিমুড় নিজ শালীকে পরীক্ষা কেন্দ্র হতে বহিস্কার করেন। পরীক্ষা শেষে ভাইস প্রিন্সিপ্যাল শ্রী লালা নিজ বাসায় যাচ্ছিলেন। তখন লালা বাবুর সহধর্মিনী লালা বাবুকে বাসা থেকে তাড়িয়ে দেন । অগত্য লালা বাবু স্যার পুকুরের উত্তর পাড়ে প্রায় অধ্যাপক ডমেটরি বিল্ডিং এ অন্যান্য অধ্যাপকদের সাথে ছিলেন। ১৫/২০ দিন পর অন্যান্য অধ্যাপকরা লালা বাবুর সহ ধর্মিনীকে শান্ত করেন স্যারের সাথে মিলমিশ করে দেন । *******ছবিটি সাতকানিয়া সরকারী কলেজের প্রতিস্টাতা মরহুম আলহাজ্ব মোজাফ্ফর আহমদ চৌধুরী টিকে, মুসলিম লীগ সরকার আমলের এমএলএ সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আহমদ কবির চৌধুরী, কলেজেের প্রথম অধ্যক্ষ রায় বাহাদুর কামিনী কুমার ঘোষ, ভাইস প্রিন্সিপাল শ্রী অসিত কুমার লালা, কলেজের অধ্যাপক ও চিকিৎসক ডাক্তার মোজহারুল হক, তৎকালিন কলেজের ভাইস প্রিন্সিপ্যাল শ্রী অসিত। কুমার। লালা স্যার সাতকানিয়া প্রেসক্লাব ভবনের স্টোন পাথর ও আহমদ কবির চৌধুরীর জন্মও মৃত্যুসাল সহ স্টোন পাথর । বিঃ দ্রঃ- ভূল ত্রুটিসহ কারো নিকট কোন সঠিক তথ্যাদি জানা থাকলে অবহেলিত করার জন্য সনিবদ্ধ অনুরোধ রইলো। আগামীতে বিস্তারিত পুস্তক আকারে প্রকাশ করার ইচ্ছে রইল। ******************************** :--চলবে

28/07/2025
18/07/2025
-------------    শোক  সংবাদ   -------------                                                            সাতকানিয়ার কৃর্তি...
03/07/2025

------------- শোক সংবাদ ------------- সাতকানিয়ার কৃর্তি সন্তান, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সাবেক সচিব, মাইডাস ফাইন্যান্সিং পিএলসি'র চেয়ারম্যান, চট্টগ্রাম সমিতি-ঢাকা'র সাবেক সভাপতি, ঢাকাস্থ সাতকানিয়া লোহাগাড়া সমিতির সাবেক সভাপতি,সাতকানিয়া উপজেলার চরতি ইউনিয়নের সন্তান, জনাব আবদুল করিম (প্রকাশ করিম সাহেব) ঢাকাস্থ ধানমন্ডি গ্রীন লাইফ হসপিটালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেছেন! (ইন্না-লিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজেউন)।
সাতকানিয়া উপজেলার চরতি ইউনিয়নের এ কৃর্তি সন্তান গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সাবেক সচিব গুণিজন জনাব আবদুল করিম এর মৃত্যুতে সাতকানিয়া প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা ঢাকাস্থ সাতকানিয়া -লোহাগাড়া সমিতির আজীবন সদস্য ও চট্টগ্রামস্হ সাতকানিয়া সমিতির আজীবন সদস্য সৈয়দ মাহফুজ-উননবী খোকন শোক প্রকাশ করেছেন ।
মরহুম আবদুল করিম ছিলেন অত্যান্ত সং নিষ্ঠাবান দায়িত্বশীল সুদক্ষ একজন ভালো মানুষ ছিলেন। এমন একজন গুণিজন সবার শ্রদ্ধার ব্যাক্তিত্বকে হারিয়েছেন সাতকানিয়াবাসী। তাঁর মৃত্যুতে আমি শোকাভিভূত হয়েছি।
আমি তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। মহান আল্লাহ পাক উনাকে জান্নাতুল ফেরদৌস নসীব করুন। আমিন।

সাতকানিয়া প্রেসক্লাব এর ইফতার মাহফিলের একাংশ
18/06/2025

সাতকানিয়া প্রেসক্লাব এর ইফতার মাহফিলের একাংশ

দক্ষিণ চট্টগ্রাম এর সাংবাদিকদের জন্য সাতকানিয়া প্রেসক্লাবের ব্যবস্হাপনায় PRESS INSTITUTE of Bangladesh (Pib) এর উদ্দ্যেগ...
18/06/2025

দক্ষিণ চট্টগ্রাম এর সাংবাদিকদের জন্য সাতকানিয়া প্রেসক্লাবের ব্যবস্হাপনায় PRESS INSTITUTE of Bangladesh (Pib) এর উদ্দ্যেগে আয়োজিত কর্মশালার একাংশ । ঢাকা থেকে আসা পিআইবি'র মহা পরিচালক জনাব শাহ আলমগীর বক্তব্য রাখছেন ।

সাতকানিয়া প্রেসক্লাব ভবনে সমগ্র দক্ষিণ চট্টগ্রামের সাংবাদিকদের জন্য Press Institute of Bangladesh (Pib)কর্তৃক বুনিয়াদি ক...
18/06/2025

সাতকানিয়া প্রেসক্লাব ভবনে সমগ্র দক্ষিণ চট্টগ্রামের সাংবাদিকদের জন্য Press Institute of Bangladesh (Pib)কর্তৃক বুনিয়াদি কর্মশালা শেষে প্রেসক্লাব ভবনের সামনে কর্মশালায় অংশ গ্রহণকারী সাংবাদিকদের একাংশ ।

সাতকানিয়া প্রেসক্লাব এর নিজস্ব ১০শতক জমির উপর  নির্মিত সাতকানিয়া প্রেসক্লাব ভবনের দেয়াল খোঁদাই করে পাথর স্টোন স্থাপিত হয়...
18/06/2025

সাতকানিয়া প্রেসক্লাব এর নিজস্ব ১০শতক জমির উপর নির্মিত সাতকানিয়া প্রেসক্লাব ভবনের দেয়াল খোঁদাই করে পাথর স্টোন স্থাপিত হয়েছে বহু বছর আগে ।

Address

প্রেসক্লাব ভবন , উপজেলা ও পৌরসদর . সাতকানিয়া চট্টগ্রাম
Satkania

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Satkania Press Club - সাতকানিয়া প্রেসক্লাব posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share