20/07/2025
আলহামদুলিল্লাহ
আমার সামাজিক কর্মকাণ্ডে এমন কিছু মানুষ যুক্ত ছিলেন, যারা একসময় শিবির করতেন। তাদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়েই আমি এক নতুন বাস্তবতা উপলব্ধি করেছি—এই সংগঠনের ভিতরকার শৃঙ্খলা, পরিকল্পনা আর ধৈর্যের এমন নিপুণ প্রদর্শনী আমি আর কোনো রাজনৈতিক বা অরাজনৈতিক শক্তির মধ্যে দেখিনি।
সম্প্রতি একটি মহাসমাবেশ আয়োজিত হলো জামাতের পক্ষ থেকে। আপনি যদি একটুখানি মনোযোগ দিয়ে দেখেন, তাহলে সহজেই বুঝবেন—এই দাঁড়ি-টুপি পরা মানুষগুলো কতটা সুসংগঠিত, পরিকল্পিত এবং পরিশ্রমী।
আমি এর আগে কখনো শুনিনি যে কেউ রেলগাড়ি ভাড়া নিয়ে সভায় অংশ নেয়! এই যে অসংখ্য জনতা এলেন, তাদের খাবার, পানি, চিকিৎসা, স্টেজ, সাউন্ড, আমন্ত্রণ, নিরাপত্তা—সব কিছুই ছিল নিখুঁত। প্রতিটি কাজের দায়িত্বে ছিলেন একজন ‘ব্রিগেড কমান্ডার’-এর মতো দক্ষ সংগঠক।
সভার মাঝখানে জামাতের মহাসচিব অসুস্থ হয়ে পড়লেন। মঞ্চে হুলুস্থুল কোনো বিশৃঙ্খলা হয়নি। কেউ চিৎকার করেনি, দৌড়ায়নি, কেউ ‘বাঁচাও’ বলে নায়কের মতো তর্জন-গর্জন করেনি। সভা চলেছে ঠিক আগের গতিতে। কারণ তারা জানে—ব্যক্তি নয়, সংগঠনই মুখ্য।
এই প্রশিক্ষণই একজন সৈনিককে দেয় প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও ঠান্ডা মাথায় কাজ চালিয়ে যাওয়ার শক্তি। এটা কোনো মামুলি ব্যাপার নয়। এই মাটি থেকে বহু রাজনৈতিক দল উঠে এসেছে, আবার হারিয়েও গেছে। কিন্তু জামাত-শিবির? তারা হারেনি, বরং সময়ের অপেক্ষায় আছে—নিজেদের মতো করে, নিঃশব্দে প্রস্তুত হচ্ছে।
তারা এখন সরাসরি ক্ষমতা নিতে চায় না। বরং দেশের প্রতিটি ক্ষেত্র—শিক্ষা, প্রশাসন, আইন, অর্থনীতি, ব্যবসা, সেনা, পুলিশ—সবখানে তাদের লোকজন তারা গড়ে তুলছে। তারা জানে, আজকের শিক্ষার্থীই আগামী দিনের ডিসি, ওসি, সচিব কিংবা জেনারেল।
#বাংলাদেশ