Dhdb jsgazヅ

Dhdb jsgazヅ আপনাদের দোয়াই অনেক দূর এগিয়ে যেতে চাই..!�

19/11/2020

- কলিজা বলা মানুষ গুলো শেষ পর্যন্ত...!☺️

- কলিজায় আঘাত করে গল্পটা সমাপ্তি করে.!😞😞

14/11/2020

- মরে যাবো বলে ভয় পাচ্ছি না।😐

- ভয় পাচ্ছি আল্লাহর সামনে কি নিয়ে দাড়াবো।😓

অর্থের শূন্যতার চেয়ে প্রিয় জনের শূন্যতা মানুষকে বেশি কাঁদায়।
14/11/2020

অর্থের শূন্যতার চেয়ে

প্রিয় জনের শূন্যতা মানুষকে বেশি কাঁদায়।

09/11/2020

- একবার ফ্যামিলি প্রবলেমে পড়ে দেখুন.!

- দুনিয়ার কোনো কিছু আর ভাল্লাগবে না!'🙂

08/10/2020

- জীবনে কি এমন কাউকে পাবো নাহ..!?😐

- যার কাছে আমিই হবো তার পুরো পৃথিবী.!😇

01/09/2020

- একটাই চাওয়া স্রষ্টার কাছে.!😊

- আমি যেন কারোর কষ্টের কারণ না হই.!🙂🖤

23/08/2020

যে ব্যক্তি,
অজু করার পর

আশহাদু আল্-লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া আশহাদু

আন্না মুহা‘ম্মাদান আ‘বদুহু ওয়া রাসুলুহু |🌹

পাঠ করবে তার জন্য আল্লাহ্ তায়ালা জান্নাতের

৮টি দরজা খুলে দেবে! 🌸

( সুবহানাল্লাহ)♥

04/07/2020

💙💛গল্পটা প্রত্যাশার💙💛
যারা ভালোবাসার পাগল এবং ভালোবাসার জন্য সব কিছুই করতে পারেন,তাদের জন্য এই গল্প টি।
এটা একটা মেয়ের বাস্তব জিবনের সত্যি কাহিনি,গল্প নয় বাস্তব😰😰
আমার বিএফ কে আমি এতোই ভালোবাসতাম যে তার জন্য বোকার মতো অনেক কিছুই করে গেছি। অতিরিক্ত ভালোবাসার কারনে আজ সে আমার প্রাক্তন।
১ম ঘটনাঃ আগে আমার চুল গুলো একটু উসকো খুসকো ছিলো। আর অনেক কারলি আর কম ছিলো।
একদিন সে হটাত করে আমাকে বলে আমার চুল গুলো তার পছন্দ না। ভালো লাগে না। আমি তখন ক্লাস টেনে পড়ি।
তার কথা শুনে ভীষণ ভাবে মন খারাপ হয়ে গেলো আমার। সে মাঝে মাঝে বলত তুমি ন্যারা করো, ন্যাচারাল সুন্দর চুল হবে। অতঃপর
এসএসসি দেওয়ার পর নিজের সব চুল কেটে ফেলি আমি। ন্যারা করে ফেলি। 😆😆😆😆😆
আমি কি ভেবে ওইটা করছিলাম আমি জানি না কিন্তু এখন ভাবলে অনেক হাসি পায়। 🙂
২য় ঘটনাঃ এর পর একদিন তার সাথে আমার তুমুল ঝগড়া লাগে। ঝগড়ার এক ফাকে আমার এতোটাই রাগ উঠে যায় যে আমি বিছানার পারল এ হাত বাড়ি মারি। আর মজার ব্যাপার হচ্ছে রাগের ঠেলায় এতোটাই জোরে মারি যে আমার হাত টা ভেঙে যায়। হাত ভাঙার পর আমার হুশ আসে যে আমার হাত ভেঙে গেছে। কান্না শুরু করে দেই বাসার সবাই দৌড় দিয়ে আসে। সবাই আমাকে দেখে অবাক।
এর পর পড়ে গেছি বলে ব্যাপার টা হ্যান্ডেল করে নেই।
সেই হাত নিয়ে ৬-৭ মাস যন্ত্রনা ভোগ করতে হয় আমাকে।
দিন রাত না ঘুমিয়ে তার প্রতিটি জন্মদিন স্পেশাল বানানোর জন্য একটু ও কমতি রাখি নি। নিজে হাতে কেক বানিয়ে, উপহার বানিয়ে তাকে সারপ্রাইজ দিতাম।
তার সাথে কথা না হলে আমার দিন কাটতো না। এমন ও সময় গেছে আলমারি থেকে টাকা চুরি করে তাকে কল দিয়ে কথা বলতাম।। তার অবহেলায় আমি প্রায় পাগল হয়ে যেতাম। তাকে ভালোবেসে আমি মেন্টালি ডিসঅর্ডার এ পড়ে গেছিলাম। ব্রেকাপের পর কত রাত দু চোখের পাতা এক করতে পারি নি সেটা ও মনে নেই। আর ঘুমালে দুঃস্বপ্ন দেখে কেদে উঠতাম।
এই ভালোবাসাটাই ছিলো আমার জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল।
ভালোবাসার গল্প টা নাহয় অন্য একদিন বলব।
এইতো কয়েকটা মাস আগে আমার তার সাথে আবার ঝগড়া লাগে, আমি তার কথা গুলো শুনে নিজের উপর কন্ট্রোল হারিয়ে ফেলি। এতোটাই হার্টলেস ভাবে সে আমার সাথে বিহেভ করে আমি কি বলতাম বুঝতে পারি না। ফোনটা কেটে দিয়েই আমি কান্না করতে শুরু করে দেই। আর সেই কান্নাটা এতো টাই তীব্র ছিলো যে আমার মুখ দিয়ে আওয়াজ বের হয়ে যায়। আমার আম্মু রুম থেকে বের হয়ে দরজার কাছে এসে দেখে আমি ফ্লোরে বসে পাগলের মতো কানতেছি। এতোটাই লজ্জিত হয়ে গেছিলাম যে তাড়াতাড়ি উঠে দরজা টা লাগিয়ে দিয়েছিলাম।
আম্মুর চোখে হাজার প্রশ্ন ছিলো সেদিন উত্তর দিতে পারিনি।
হয়ত সেদিন আম্মু বুঝতে পারছিলো আমার জীবনে কেউ আছে। একদিন আবার আমার চোখ মুখের অবস্থা দেখে আমাকে বলেই বসে, কার সাথে কথা বলো?
দেখ, এমন কারো সাথে কথা বলিও না যে তোমাকে এখন ই এরকম ভাবে কাদায়। আমাদের মান সম্মান ও ডবাইও না নিজের ক্ষতি ও করিও না।
কিছু বলতে পারি নি শুধু শুনে গেছি।
কি লজ্জার বিষয় ভাবা যায়??
আমি তাকে অনেক ভালোবাসতাম। কেনো কিজন্য জানি না। সে নিজেও হয়ত আমাকে এতো বেশি ভালোবাসতে পারে নি যতটা আমি বাসতাম। এমন আহামরি কেউই নয় সে। তবুও।
কোটি কোটি মানুষের ভীরে আমরা একজনকেই বেছে নেই তবুও কেনো তারা আমাদের ভাগ্য থেকে হারিয়ে যায়?
আমি অনেক চেষ্টা করেছিলাম সম্পর্কটা নষ্ট না হওয়ার কিন্তু এমন একটা স্টেজ এ এসে দাড়িয়েছি যে পারিনি থাকতে আমি। গান আছে না একটা.....
I tried so hard
And got so far
But in the end, it doesn't even matter...🙂
সব করার পরেও ৭ বছরের সম্পর্ক টা একদিন খুব সুন্দর ভাবে শেষ হয়ে গেলো।
আমি শুধু চেয়ে চেয়ে দেখে গেছি। কিছুই করার ছিলো না।
আমার মন্তব্যঃ-আজকালের অনেক অনেক ছেলেই মেয়েদের সাথে রিলেশন করে, কিছু ভালো সুন্দর, মিষ্টি, রোমাঞ্চকর রোমান্টিক কথা বলে,মেয়েদেরকে পটিয়ে ফেলে,মেয়েরা সহজে পটেনা,আর যদি পটে যায়,তখন মেয়েটি ভালোবাসতে শুরু করে,মেয়েটি নিজের জিবন দিয়ে সবকিছু দিয়েই সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে,ভালোবাসে চায়।আর তখনই ছেলেটি অবহেলা শুরু করে। বেশিরইভাগ ছেলেই টাইম পাস করে,নতুন নতুন মেয়ে খুজে,নতুম নতুন দেহ খোজে😥সবাই নয়,সব ছেলে ও মেয়ে কিন্তু এক নয়😀কেউ কেউ সত্যি ভালোবাসে ❤
পরে মেয়েদের মন,জিবন,বিশ্বাস, সবকিছুই ভেঙে যায়। নষ্ট হয়ে যায়। এটাই বাস্তব এখন সমাজে হচ্ছে।
মেয়েরা প্রেম করেন ভালো কথা,এমন প্রেম করবেন না,যার জন্য নিজের আপনজন,মন, বিশ্বাস, দেহ,সবকিছুই নষ্ট, শেষ হয়ে যায়। পবিত্র প্রেম অপবিত্র করবেন না।আজকে যাকে ভালোবাসেন,যার সাথে রিলেশন প্রেম করেন,বিশ্বাস করেন,তার জন্য সবকিছুই করেন,সে যে আপনাকে একা করে,ছেরে চলে জাবে না তার কোনো গ্যারান্টি নাই।আজকাল
দেশের ৯৫%রিলেশনই মিল হচ্ছে না 💔ব্রেকআপ হচ্ছে 💔তাই আবেগ,ভালোলাগা, মায়া,মন,দেহ দিয়ে
কখনোই প্রেম করবেন না💔💔
অবশেষে একটাই কথা বলবো,,ভাবিয়া করিও প্রেম,করিয়া ভাবিও না,,কখন যে
বাঁশ খাবে টেরও পাবে না ১০০%😀💙💛

03/07/2020

-উড়ার বয়স তাই উড়ছি!🙄
-কেউ জ্ঞান দিতে আসলে তাকে ও ফুঁ দিয়ে উড়াই দিবো🐸

17/06/2020

“ঘটনাটা প্রায় পাঁচ বছর আগের। মেয়েটার চুলগুলো বাচ্চাদের মতো করে দু’পাশে দুই ঝুঁটি করা। পরনে টপস আর প্লাজু। ক্লাস টেনে পড়ে তখন। হঠাৎই প্লাজুর সাথে উষ্টা খেয়ে পড়ে যায় রেস্টুরেন্টের পাঁচ হালি লোকের সামনে। পড়েই ভ্যা ভ্যা করে কাঁদতে কাঁদতে উঠে দাঁড়ায়। দরজার গ্লাসে তাকিয়ে নিজের কান্না দেখে আচমকা হেসে উঠে। দেখতে চায় যে কান্নার সময় হাসিতে কেমন লাগে। তা দেখে রেস্টুরেন্টের লোকের কি যে হাসি!”
শায়খ কথাগুলো সব জেনীর দিকে তাকিয়ে বললো। একটু পরেই রুমে বসা ছয় সাত জন ছেলেমেয়ে শায়খের কথা শুনে হো হো করে হেসে উঠে। হাসি আর থামেনা তাদের।
আর এদিকে লজ্জায় লাল গোলাপী হয়ে যায় জেনী। দৌড়ে বাথরুমে চলে যায় সে। এই ঘটনাতো তার সাথেই হয়েছিলো। শায়খদের সাথে একবার রেস্টুরেন্টে খেতে যায় আর সেদিন এই ঘটনাটা ঘটে। এতে তার কি কোনো দোষ আছে নাকি! তখন তো ছোট ছিলো তাই এমন করেছে তাই বলে সেটা বন্ধুদের বলতে হবে নাকি। একদম পঁচা লাউয়ের মতো পঁচিয়ে দিলো জেনীকে।
এমনিতেই শায়খ জেনীকে কোনো এক অজানা কারণে দেখতে পারে না। কিন্তু জেনী এই সব অপমান চুপ করে সহ্য করে নেয় কারণ শায়খকে যে সে ভালোবাসে যদিও শায়খকে কখনো বলেনি সেটা। আর বলবেও না কখনো। জেনীর বুঝি লজ্জা লাগে না?
জেনীর চোখের আর নাকের পানি মিলে একাকার হয়ে গেছে। উ উ করে কাঁদছে সে। হঠাৎ চোখ যায় বাথরুমের আয়নার দিকে। সেদিকে তাকিয়ে হেসে উঠে সে। নাহ! সুন্দর ই তো লাগছে। কান্না চোখে হাসিটাতে আরো কিউট লাগছে দেখতে। মোবাইল নিয়ে ফটাফট কয়েকটা সেলফি তুলে নেয় সেই কান্নামাখা হাসির।
বাথরুম থেকে বেরিয়ে সোজা ফুফির রুমে চলে যায়। এখন এদের সামনে থাকলে নির্ঘাত আরো অপমান করবে শায়খ। ফুফির বাসায় বেড়াতে এসেও শান্তি নেই। ফুফাতো ভাই শায়খ আছে জানলে আড়ালেই থাকতো।
রাতের বেলায় ছাদে শায়খ তার সকল বন্ধু-বান্ধবীদের নিয়ে বারবিকিউ পার্টির আয়োজন করে। যাবেনা যাবেনা করেও জেনী চলে যায় শায়খকে দেখতে। শায়খ তো বিজি তার মেয়ে বান্ধবীদের সাথে গল্প করতে। তা দেখে জেনীর মস্তিষ্কে যেন দপ করে আগুন জ্বলে উঠে। ইচ্ছে করছে সবগুলো মেয়ের পিছনে লাত্থি দিয়ে ছাদ থেকে ফেলে দিতে। মুহুর্তেই সে আগুনে এক বোতল পানি ঢেলে শান্ত করে নিজেকে।
সে কোন অধিকারে এসব করবে হ্যাঁ! উল্টো শায়খ আরো অপমান করবে তাকে। তাই চুপচাপ কান্না করা ছাড়া উপায় নেই। এই মুহূর্তে অনেক কাঁদতে ইচ্ছে করছে তার।
দৌড়ে গিয়ে রান্নাঘর থেকে একটা পেঁয়াজ নিয়ে হাতে রাখে। কেউ যদি বলে যে কেন কান্না করছে সে
যাতে পেঁয়াজ দেখিয়ে বলে দিতে পারে যে পেঁয়াজের কারণে কান্না করছে। কান্না করছে আর পেঁয়াজের দিকে তাকিয়ে আছে জেনী। সবাই ভাবছে পেঁয়াজের ঝাঁঝেই বোধহয় কান্না করছে।
হুট করে জেনীর হাত থেকে পেঁয়াজ ছিনিয়ে নিলো শায়খ। হাঁটু মুড়ে বসে ধমকে বললো,
-“কি হে ছিচঁকাদুনে মেয়ে? কান্না করে নাকের ময়লা পানি খাবারে ফেলার প্ল্যান আছে নাকি? হু? বেশি ঢঙ করবিনা একদম। কান্না করতে চাইলে রুমে চলে যা। আমাদের পার্টি নষ্ট করিস না। হাঁদারাম একটা।”
শায়খের ধমক শুনে অনেক কান্না পেলেও গিলে ফেলে সে। এখন কাঁদলে তাকে চলে যেতে হবে আর সে চায় না শায়খের কাছ থেকে দূরে যেতে।
শায়খের বন্ধু আয়ান এসে জেনীর হাত ধরে উঠিয়ে নিয়ে বললো,
-“কেঁদো না তো। তোমাকে কাঁদলে একদম আমাদের বাড়ির গাছের আগায় বসে থাকা শাঁকচুন্নীর মতো লাগে। আচ্ছা ওয়েট, এই, এই দিকে তাকাও। আহা তাকাও না। তোমার একটা ছবি তুলে নিই। যাতে ভবিষ্যতে এই কান্নার ছবি দেখে তুমি হেসে উঠো।”
আয়ানের কথা শুনে না চাইতেও হেসে ফেলে জেনী। এই সহজ সরল ছেলেটা জেনীর প্রতি অসম্ভব রকমের দুর্বল। সেটা জেনী বুঝতে পারলেও না বুঝার ভান করে থাকে কারণ তার মনপ্রাণ জুড়ে যে শায়খের বাস। শায়খ ছাড়া আর কাউকেই ভাবতে পারে না সে।
আয়ান তাকে নিচে গিয়ে মুভি দেখার জন্য বললে না করতে পারে না জেনী। ভদ্রতার খাতিরে আয়ানের সাথে চলে যায় সে। পিছন ফিরে তাকালে হয়তো দেখতে পেত কেউ একজন তাদের একসাথে দেখে অগ্নিদৃষ্টে পুরো খাবারের বাটি ধাক্কা দিয়ে ফেলে ফোসফোস করছে।
শায়খের বিয়ে ঠিক হয়েছে কথা শুনে চোখের সামনে মরুভূমি দেখতে পায় জেনী। যেখানে না আছে এক ফোঁটাও জল। বুকের মধ্যে চিনচিন ব্যাথা অনুভব হয় তার। শায়খ কি জেনীর ভালোবাসাটা আজও বুঝতে পারেনি? অবশেষে শায়খকে হারিয়ে ফেললো সে। সেইদিন পুরোরাত বাবা মায়ের ঘরে ঘুমিয়ে তাদের জড়িয়ে ধরে পার করেছিলো জেনী। বাবা মা ভেবেছিলেন জেনী হয়তো পরীক্ষার টেনশনে কান্না করছে। কারণ প্রায় সময়ই পরীক্ষার টেনশনে কান্না করে জেনী।
পরদিন বিকেলে শায়খদের বাড়িতে যায় সে। ঝিরিঝিরি বাতাস বইছে পরিবেশে। শীতল হয়ে উঠেছে মুহুর্তেই। আকাশে উঠেছে সাত রঙা রঙধনু। সেদিকে একমনে তাকিয়ে ছাদের দোলনায় বসে আছে শায়খ। আচ্ছা শায়খের বুঝি মন খারাপ? শায়খের যখন মন খারাপ হয় তখন সে ছাদের দোলনায় বসে আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকে। শায়খের কেন মন খারাপ হবে? ওর তো নাগিন গিন গানে নাচা উচিত। বিয়ে করতে চলেছেন তিনি। এসব ভেবে চোখের পানি মুখে জেনী।
জেনীর উপস্থিতি টের পেয়ে শায়খ তার দিকে ফিরে। একটু আগেই জেনেছে তার বিয়ের কথা। শায়খকে দেখেই চমকে উঠে জেনী। উশকোখুশকো চুল, মুখটা একদম পাংশু হয়ে আছে। অচেনা লাগছে বড্ড তাকে। চুম্বকের ন্যায় আটকে যায় চারটি চোখ।
জেনী দ্রুত নিচে চলে যায়। এক মুহুর্তও থাকা যাবে না এখানে। এক মুহুর্তও না। বাড়িতে গিয়ে সিলিংয়ের দিকে তাকিয়ে কান্না করতে থাকে। জীবনটা বড্ড এলোমেলো লাগছে তার।বড্ড...
পরদিন বিকেলে পার্কে গিয়ে বসে থাকে জেনী। ভালো লাগছেনা কিছুই তার। অদূরে হঠাৎই শায়খকে দেখতে পায়। হাসিখুশি দেখাচ্ছে তাকে। একি! কালকে না তিনি অনেক দুঃখ ভারাক্রান্ত মন নিয়ে বসেছিলো। তো হঠাৎ আজ এত খুশি কেন। ও আচ্ছা! বিয়ে তো। তাই বোধহয় এত খুশি।
-“আর কতক্ষণ নিজের হবু স্বামীর দিকে তাকিয়ে থাকবি? এবার তো চোখ নামা। নাহলে যে নজর লেগে যাবে আমার দুলাভাইটার।”
মারিয়ার কথায় চমকে উঠে জেনী। মারিয়া তার প্রিয় বান্ধবী। তার সাথেই এখানে এসেছে। কি বলছে এসব? হবু স্বামী? কিছু না বুঝেই জেনী বললো,
-“মানে? কি বলছিস? কার হবু স্বামী?”
-“ন্যাকা! কয়েকদিন পর যার সাথে বিয়ে হতে চলেছে তাকেই চিনিস না তুই! হায় কপাল!”
মারিয়ার কথার মানে বুঝতে সময় লাগলো না জেনীর। মুহুর্তেই দৌড়ে চলে যায় শায়খের দিকে। গিয়েই শায়খের শার্ট ধরে কান্না শুরু করে দেয় জেনী। জেনীর হঠাৎ এমন আক্রমনে বিচলিত না হয়ে বরং ধমকে উঠে শায়খ বলে,
-“এই হাঁদারাম! আমার শার্ট নোংরা করে ফেলবি নাকি নাকের পানি দিয়ে? ইয়াক! সর সর, ছাড় স্টুপিড।”
তাও ছাড়েনা জেনী। বুকে মুখ গুঁজে অস্ফুট স্বরে কিছু একটা বলে। যা কিছুটা 'অ্যা ক্যা অ্যা'-র মতো শোনা যায়।
কিছুক্ষণ পর নিজেকে শান্ত করে শায়খকে ছেড়ে দিয়ে একবার তাকায় তার চোখের দিকে। শায়খের ঠোঁটে রয়েছে ভুবন ভুলানো হাসি। ধাম করে শায়খকে দু’হাতে ধাক্কা দেয় জেনী। শায়খ পড়ে গিয়েও কোনো রাগ দেখায় না বরং সেই হাসিই রয়েছে তার ঠোঁটে।
শায়খ উঠে এসেই জড়িয়ে জেনীকে।
-“জানিস। কালকে যখন মা বলেছিলো আমার বিয়ে তখন কি রাগটাই না হয়েছিলো। কন্যা কে সেটা না জেনেই অনেক রাগ করি আমি। আজকে মা এসে তোর সাথে আমার বিয়ের কথা বলতেই সব রাগ উধাও হয়ে যায়।”
-“আপনিতো আমায় পছন্দ করেন না। আমাকে পঁচান খালি। তাহলে আমার সাথে বিয়ে হওয়ার কথা শুনে এত খুশি হচ্ছেন কেন?”
-“সেটার উত্তর পেয়ে যাবি তুই। আগে বিয়েটাতো হতে দে। পাগলী একটা।”
বলেই উষ্ণ স্পর্শ এঁকে দেয় জেনীর অধরে।
আজ বিয়ে। পুরো বাড়ি সাজানো হয়েছে শায়খের মন মতো করে। কবুল বলার সময় জেনীর গলার স্বরটা কতই না কেঁপেছিলো! তাও নিয়তিকে মেনে বিয়ে করে সে।
সবাইকে বিদায় দিয়ে নতুন জীবনে পা রাখে জেনী। পাশে বরের আসনে বসে আছে আয়ান। হ্যাঁ। আয়ানের সাথেই বিয়ে হয়েছে জেনীর। হলুদের রাতে শায়খ লুকিয়ে এসেছিলো জেনীর বাড়িতে। জেনীকে হলুদ ছোঁয়াতে। সেই রাতে জেনীর জন্য একটা ছোটো খাটো বক্স নিয়ে আসে শায়খ। বলেছে এটা যাতে বিয়ের দিন খুলে দেখে। সে রাতের পর আর বাড়ি ফিরেনি আবীর। স্থান হয়েছে হাসপাতালের শুভ্র চাদরে।
জেনীর বাড়ি থেকে ফেরার পথে চার রাস্তার মোড়ে শায়খের বাইকের সাথে বড় একটি মালবাহী ট্রাকের সংঘর্ষ হয়। ট্রাকের ড্রাইভারের কাঁচের সাথে মাথা লেগে মাথায় ব্যাথা পায়। শায়খ বাইক নিয়ে পড়ে যায় পিচঢালা রাস্তায়। রক্তে রঞ্জিত হয়ে উঠে রাস্তার বেশ খানিকটা। সেখানে প্রায় অর্ধমৃত অবস্থা তার। আশেপাশের লোকজন তাড়াতাড়ি পাশের হাসপাতালে নেয়।
খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন তখন হন্তদন্ত হয়ে ছুটে আসে, আসে আয়ানও। জেনী এসেছিলো তবে দেরী হয়ে গিয়েছিলো ততক্ষণে। শায়খের প্রানপাখি প্রায় ওড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলো।
জেনী যখন শায়খের কাছে এসেছে তখন শায়খের শেষ কথাটা শুনেছিলো যেটা ছিলো আয়ানের সাথে জেনীর বিয়ে দেওয়া। একমাত্র শায়খের পর আয়ানই জেনীকে খুব ভালোবাসতে পারবে।
ব্যস, তারপর সারাজীবনের জন্য চোখ বুজে শায়খ। প্রানপাখিটি উড়াল দিয়েছে তার।
শায়খের প্রাণহীন দেহের সামনে অনেকক্ষণ বসে ছিলো জেনী। মুখে রা নেই। বলে না, অল্প শোকে কাতর, অধিক শোকে পাথর। তেমনটাই হয়েছে জেনীর ক্ষেত্রে। সারক্ষণ হাত ধরে বসেছিলো শায়খের। দাফনের সময় জেনী হাউমাউ করে কেঁদেছিলো। কিছুতেই শায়খকে দূরে যেতে দেবে না। কাঁদতে কাঁদতে একসময় অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিলো।
তারপর অনেকদিন যায়, জেনী ভুলতে পারেনা শায়খকে। পরিবার আয়ানের সাথে বিয়ে দেয়। জেনী বাঁধা দেয় না। কারণ এটাই শেষ ইচ্ছে ছিলো শায়খের। আর শায়খের প্রত্যেকটা ইচ্ছা জেনী পুরণ করবে। তবে বিয়ের প্রতিটা মুহুর্ত চোখের পানি ফেলে কাটিয়েছে সে।
গাড়িতে শায়খের দেওয়া বক্সটা খুলে জেনী। বক্সে রয়েছে ছোট একটা ঝুঁটি আর পাশে একটা নূপুর। এই নূপুরটা রেস্টুরেন্টে পড়ে যাওয়ার সময় খুলে গিয়েছিলো বোধহয়। আর তখন শায়খ সেটা সযত্নে নিজের কাছে রাখে। আরেকদিন শায়খ জেনীর চুল টেনে ধরে তখন বোধহয় ঝুঁটিটা হাতে চলে যায় শায়খের। কি যত্নেই না রেখেছে!
শেষে একটা হলুন কাগজে মোড়া চিঠি। চিঠিতে লেখা,
“ছিঁচকাদুনে পাগলী। নূপুর আর ঝুঁটির ঘটনাটা নিশ্চয়ই বুঝেছিস? জানিস? রেস্টুরেন্টে পড়ে যাওয়া দু ঝুঁটি করা ছোট্ট মেয়েটার কান্না মাখা হাসি দেখেই প্রেমে পড়ি তার। কি অমায়িক না দেখতে মেয়েটাকে! আমার ভালোবাসাটা তোকে কখনোই বুঝতে দেই নি। সঠিক সময়ের অপেক্ষায় ছিলাম তাই। সেদিন রাতে তুই যখন কান্না করেছিস সেই কারণটা কিন্তু আমি বেশ ভালোই বুঝতে পেরেছি। আমাকে মেয়েদের সাথে দেখে তোর খুব কান্না পেয়েছিলো তাই না? তাই ইচ্ছে করেই পেঁয়াজ এনেছিস তুই। কিন্তু আমি তো বুঝে গেছি। আর পেঁয়াজের কারণে কেউ এমন ফ্যাচফ্যাচ করে কাঁদে না। পেঁয়াজের কারণে শুধু চোখ জ্বলে। আমাকে বোকা বানিয়ে লাভ নেই। আর তুই যখন আয়ানের সাথে কথা বলছিস না তখন আমার অনেক রাগ হয়েছিলো। তুই কেন আমাকে ছাড়া অন্য ছেলের সাথে কথা বলবি? মেরে গুম করে রাখবো একদম যদি দেখি কোনো ছেলের সাথে কথা বলেছিস। জানিস তোর ঐ চোখের আর নাকের পানির চেহারাটা দেখে আরেকদফা প্রেমে পড়েছিলাম আমি। এখন আর কিছুই বলতে চাই না, যা বলার বিশেষ রাতেই বলবো না হয়। পাগলী একটা।”
এইটুকুই ছিলো চিঠিটাতে। জেনী কাঁদছে আর আয়ান এক হাতে ধরে আছে তাকে। যতই হোক, এই মেয়েটা যে তার ভালোবাসা। কাঁদতে দেখতে ভালো লাগে না তার। কষ্ট হয়।
দমকা এক এলোমেলো হাওয়া ঝড়ে রুপ নিয়ে তছনছ করে দেয় জেনীর জীবনটাকে। নিয়তিই হয়তো এটাই চেয়েছিলো। নিয়তির খণ্ডন ভাঙ্গার সাধ্যি কার?
(সমাপ্ত)
[ভুলত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন]
গল্প ~ এলোমেলো হাওয়া

09/06/2020

প্রতিটা মেয়ের সব পাওয়ার মধ্যে সবচাইতে
বড় পাওয়া হলো।
দায়িত্ববান একজন স্বামী।😍

যে তাকে শাসনও করবে।আবার আদরও
করবে। যে অভিমানও করবে ঠিক-ই,কিন্তু বেশিক্ষণ থাকতে পারবেনা।যে ঝগড়াও করবে,
আবার বুকেও টেনে নিবে।

যে কাঁদাবে ঠিক-ই,কিন্তু একফোঁটা চোখের জল মাটিতে পড়তে দিবেনা।খাওয়ার সময় যে বলবে দুটো প্লেট কেন,আমি তোমাকে খাইয়ে দিবো।

যে কখনও তাকে অবিশ্বাস করবেনা,বিশ্বাসের চাদরে জড়িয়ে রাখবে সবসময়।যে সবসময় তাকে বুকে আঁগলে রাখবে,যে বুকে শুধু তার-ই বসবাস হবে।

যে কখনও তাকে মিথ্যা বলে ঠকাবেনা।
যে সবসময় তার পাশে ছায়ার মত লেগে থাকবে।
যে কখনও তাকে হারানোর ভয় দেখাবেনা।

যে তার সবসময় খেয়াল রাখবে।
যে তাকে এতটাই ভালোবাসবে। যতটা ভালোবাসলে অন্য কাউকে ভালোবাসার ইচ্ছেটা মরে যায়।

আসলে মেয়েদের চাওয়া গুলো খুব-ই কম,
কিন্তু তাদের এই চাওয়া গুলোও আমরা পূরণ করতে পারিনা।

বুঝতে পারিনা তাদের চাওয়া গুলোকে,
বুঝতে পারিনা তার কতটা স্বপ্ন আমাদের নিয়ে।

05/06/2020

মেয়ে: এই রিক্সা যাবেন?
রিক্সাওয়ালা: কই যাইবেন মেডাম?
মেয়ে: Rajuk Uttora Model College.!
রিক্সাওয়ালা: চলেন.......
মেয়েটা রিক্সায় ওঠে ফোনে কথা বলতেছিল আর মাঝে মাঝে ইংরেজী শব্দ
ব্যবহার করতেছিল।
রিক্সাওয়ালা তার ইংরেজী কথা শুনে মাঝে মাঝে হেসে ফেলছে.!
মেয়েটা বিষয় বুঝতে পেরে রেগে ক্ষেপে গেল এবং বললো থামুন,আমি নামবো।আপনার রিক্সায় আমি যাবো না!
রিক্সাওয়ালা: ক্যান মেডাম, যাইবেন না ক্যান?
মেয়েটা রাগের মাথায় রিক্সা থেকে নামতে গিয়ে রিক্সার একটা পেরেকের
সাথে লেগে মেয়েটার ওড়নাটা ছিরে গেল!
মেয়ে: Go To Hell.....
রিক্সাওয়ালাঃকি বলেন, মেডাম আমি তো কিছু বুঝতে পারলাম না!
মেয়েঃDoes You Know The Price Of This Dress?
ও তুমিতো আবার ইংরেজী বুঝ না।কখনো এতো দামের পোষাক দেখেছো।তোমার জন্য আমার ওড়নাটা ছিড়ে গেল।অশিক্ষিত গ্রাম্য ভুত!
রিক্সাওয়ালা: No I Have Never Seen.I'm illiterate,so what?.You Have Made A Mistake.You Have
Told,Does You Know The Price Of This Dress.!
This Sentence Is Not Correct.The Correct
Sentence,Do You Know The Price Of This Dress?
Got it.Don't try To Underestimate Angone Ok?
মেয়ে: আপনি ইংরেজী জানেন?
রিক্সাওয়ালা: হা জানি! আমি ইংরেজীতে অনার্সের একজন ছাত্র।আমার বাবা খুব অসুস্থ থাকায় সংসার চালাতে এখন আমি রিক্সা চালাইতাছি।যতদিন পযর্ন্ত বাবা সুস্থ না হয়!
মেয়ে: তাহলে গ্রাম্য ভাষায় কেন কথা বলেন?
রিক্মাওয়ালা: কারণ,এটা আমার মূল,আমি আমার মূল থেকে আলাদা হতে চাই না!
শিক্ষাতে আমি আমার নিজের ভিতরে লালন করি।শুধুমাত্র ইংরেজী বলে Modern হওয়ার জন্য আমি শিক্ষা গ্রহণ করতে যাই না!
মেয়ে: আপনি কি বলতে চাইতেছেন?
ছেলে: আপনি একজন শিক্ষিত হয়েও সহজ কথাটা বুঝতে পারলেন না?
মেয়েটা তখন যেন বোবা হয়ে গেল।কি বলবে বুঝতে পারতেছে না। লজ্জায় মাথা নিচু করে থাকলো।
মেয়েটা তখন বললো আমাকে ক্ষমা করে দেন! আমি
আর কখনো এই রকম ভুল করবো না।
রিক্সাওয়ালা বললো,আমি কিছু মনে করি নাই। মানুষকে কখনো অপমান করবেন না।আর আমার বাবার জন্য দোয়া করবেন,এই বলে রিক্সাওয়ালা ভাড়া নিয়ে চলে গেল।
বি:দ্র: মানুষকে কখনো ছোট চোখে দেখা ঠিক না,
কারন, কার ভিতরে কি থাকে সেটা অনেক সময় পরিস্থিতির কারনে বুঝা মুশকিল হয়ে যায়.!

Address

Satkhira

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Dhdb jsgazヅ posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Dhdb jsgazヅ:

Share

Category