26/11/2022
Bellal Shikari
নকিপুর হরিচরণ জমিদার বাড়ি..
একসময়ের প্রতাপশালী শাসক জমিদার রায় বাহাদুর হরিচরণ চৌধুরী ছিলেন নকিপুরের একচ্ছত্র শাসক। প্রায় ২৫০ বছর পূর্বে যখন এ জমিদার বাড়ি প্রতিষ্ঠিত হয় তখন এর জৌলুশ কেমন ছিল তা একালের অবহেলায় ধ্বংসের দারপ্রান্তে থাকা এ বাড়ি দেখে কিছুটা হলেও আন্দাজ করা যায়।
এই জমিদার বাড়ির একটি অলৌকিক কাহিনী রয়েছে,
জমিদার হরিচরনের মা নিস্তারিণী প্রায় সময় স্বপ্নে বস্তা বস্তা টাকা,বা গুপ্তধন পেতেন। সেই টাকা দিয়ে হরিচরণ কিনেছিলেন ১৪ টি চৌহদ্দি,এক চৌহদ্দি সমান দুই থেকে আড়াই হাজার বিঘা।
সূর্যাস্ত আইনে এসব জমি কেনা হত। আইনটি হল, নিলামে ওঠার টাকা সূর্যাস্তের আগে যে পরিষোধ করতে পারতো চোহর্দি তার হয়ে যেত।
এই জমিদার এতটাই ধনি ছিলেন যে, তিনি তার মাকে ঘুমাতে মানা করতেন,যেন তিনি আর টাকার স্বপ্ন না দেখেন। ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের সময়,জমিদার সব ফেলে কোলকাতা চলে যান। আর বর্তমানে এটির অবস্থা খুবই জরাজীর্ণ,
একটা সময়ে পুরো এলাকাটি ঘিরে রাখা ছিল চওড়া পাঁচিল দিয়ে। শান বাধানো ঘাটের পাশে ছিল দ্বিতল নহবত খানা, যার ধ্বংসাবশেষ এখনো বিদ্যমান। সিংহদ্বারের কোন চিহ্নও কোথাও নেই।
মূল বাড়িটি ছিল ৪১ কক্ষের তিনতলা এল শেইপ আকৃতির বাড়ি। তিনতলার মূল বাড়ির স্তম্ভগুলোই শুধু কোনমতে দাড়িয়ে আছে, ছাদের অস্তিত্ব নেই বললেই চলে। দেয়াল ফুড়ে জন্মেছে গাছ। পুরাকীর্তির মূল্যবান ইট পাথর ইচ্ছেমতো নিয়ে যায় লোকজন।
আশেপাশের ২/৩ কিলোমিটার এর ভিতরে দেখার স্থানঃ
▪️অভিনেতা জয়ন্ত চট্টোপাধ্যয় এর বসতিভিটা
▪️যশোরেশ্বরী মন্দির,
▪️বংশীপুর শাহী মসজিদ,
▪️ইশ্বরীপুর হাম্মাম খানা
ভাবতেই অবাক লাগে এ ধরণের একটি মূল্যাবান পুরাকীর্তি কিভাবে আজ ধূলোয় মিশে যাচ্ছে। অথচ ঠিক ভাবে সংস্কার করতে পারলে এ জায়গাটাই হতে পারতো সাতক্ষীরার সবচেয়ে বড় আকর্ষণ।
Bellal Shikari